না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ২

না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ২
মাইশা জান্নাত নূরা

পুরুষালি কণ্ঠস্বর কর্ণপাত হতেই পিহু, সোমা বেগম আর সোনালী গেইটের দিকে তাকালে ইউসুফকে হালকা হাসি মুখে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখলো। মুহূর্তেই সোমা আর সোনালীর চেহারার ধরন পাল্টে গেলো। ঠোঁটে ফুটে উঠেছে কৃত্রিম হাসির রেখা। পিহু নিস্পৃহ ভঙ্গিতে মাটির দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওর হাতে গামছাটা এখনও ধরা। সোমা তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে এলো ইউসুফের দিকে। নিজ মুখে চওড়া হাসি ফুটিয়ে বললেন….

—“ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা! হঠাৎ এভাবে চলে আসবে ভাবতেও পারি নি আমরা। কই রে সোনালী, একটা চেয়ার নিয়ে আয়। এমপি সাহেবের মতো এমন এককন বড় মাপের মানুষকে এই গরীবের ভিটায় দাঁড় করিয়ে রাখাটা ভিষন বেমানান দেখায় যে।”
সোনালী তাড়াতাড়ি ভিতর থেকে একটা চেয়ার এনে দিলো। কিন্তু ইউসুফ সেই চেয়ারে বসলো না। চেয়ারটাকে পাশে সরিয়ে তার উপর ডান পা-টা উঠিয়ে সাদা পাজামার ধুলোগুলো ঝাড়তে লাগলো৷ সে। তার এমন দা*পু*টে আচরণে সোমার মুখশ্রী নি*স্তে*জ হয়ে গেলো। অ*প*মানের কাঁ*টা বুকে বিঁ*ধ*লেও তা প্রকাশ করার সাহস পেলেন না সোমা।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ইউসুফকে নিজের সামনে দেখার পর থেকেই সোনালীর চোখে ঝকঝক করছে। সোনালী হাসিহাসি মুখ নিয়ে মুগ্ধ নয়নে ইউসুফের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবলো…..
“ইসস, কী হ্যান্ডসাম লোকটা! কি চোখ, গড়ন, আর শরীরের রঙটা! তার এই সুদর্শন রূপ তো আমাকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। এইরকম পুরুষ তো কেবল আমি ডিজার্ভ করি। অথচ ওনার নজর আমাকে ছেড়ে পড়েছে ঐ কালী পিহুর দিকে! না, এটা আমি চুপচাপ মেনে নেবো না। যেভাবেই হোক ওনার মন পিহুর দিক থেকে ফেরাতে হবে আমায়।”
ইউসুফ চেয়ার থেকে পা নামিয়ে নিজের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সোমার দিকে স্থুর করে গম্ভীর স্বরে বললো…..
—“আজ ভেতরে ঢুকতে চাই নি। কেবল পিহুকে নামিয়ে দিয়েই চলে যাবো ভেবেছিলাম। কিন্তু বাইরে দাঁড়িয়ে শুনলাম কে যেনো আমার হবু বউয়ের পিঠের ছা*ল-চা*মড়া তু*লে ফেলার কথা বলেছে। তাই ভাবলাম ভিতরে এসে দেখে যাই, এমন কলিজা ওয়ালা কে আছে এখানে।”

ইউসুফের ঠান্ডা ও ধাঁ*রা*লো কণ্ঠে বলা কথাগুলো শুনে সোমার হাসি মিলিয়ে গেলো মুহূর্তেই। শরীর শি*উ*রে উঠলো তার। গলাও শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে। একাধিকবার ঢো*ক গি*লেও গলা ভিজাতে পারলেন না সোমা। কাঁপা কণ্ঠে বললেন…..
—“কা… কার এতো বড় সাহস! কে এমন কথা বলেছে পিহু মা’কে! পিহু মা নামটা বল একবার।আজই তার খবর আমি ভালো মতো করে ছাড়বো।”
সোমার এমন নাটকীয় ভ*ঙ্গি*তে বলা কথা শুনে পিহুর বুকের ভেতরটা বিরক্তিতে ভরে উঠলো। পিহু কোনো উত্তর না দিয়েই ভেতরে চলে গেলো। ইউসুফ একদৃষ্টিতে পিহুর যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো।
পরক্ষণেই সোমা আবারও কিছু ম*রি*য়া হয়ে হেসে বললেন…..
—“তুমি হয়তো ভু*ল শুনেছো বাবা। এ বাড়ি তো দূরের কথা, পুরো মহল্লাতেই কেউ সাহস করবে না পিহু মায়ের সাথে উঁচু গলায় কথা বলার।”

ইউসুফের ঠোঁটে বিদ্রুপের রেখা ফুটে উঠলো। শান্ত কন্ঠে বললো….
—“ভু*লটা যেনো আর না শুনি, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নয়তো ফল কতটা ভ*য়ং*কর হতে পারে তা কল্পনাও করতে পারবেন না, হবু সৎ শ্বাশুড়ি আম্মা।”
ইউসুফের শীতল কন্ঠের ধ*ম*কে সোমার শরীরের ভেতরে কাঁ*পু*নি ধরিয়ে দিলো। সোমা আর কোনো উত্তর দিতে পারলেন না। মুখ কাঁচুমাচু করে নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন তিনি। ঠিক তখনই গার্ডসরা একে একে সব শপিং ব্যাগ নিয়ে ভেতরে ঢুকলো। আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকা সোমা ও সোনালীর চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। ওদের মনে প্রশ্ন জাগছে – কি আছে এতোগুলো ব্যাগে?
ইউসুফ দৃঢ় কণ্ঠে বললো….

—“আমার হবু বউয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করেছি। এখন থেকে এগুলো কেবলমাত্র সে-ই ব্যবহার করবে।”
সোনালীর দু’চোখে খুশিতে ঝকঝক করে উঠলো। সে হাসি-হাসি মুখে বললো…..
—“তাহলে এসব থেকে আমিও আমার পছন্দ মতো জামা-কাপড় নিয়ে পড়তে পারবো।”
ইউসুফ ভ্রু কুঁচকে সোনালীর দিকে তাকিয়ে বললো….
—“বড় আপা, ধৈর্য ধরুন। ব্যবহার করবেন ঠিকই তবে আমার বউ ব্যবহার করার এক বছর পর থেকে সেইসব কাপড় আপনার ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হবে। তার আগে যদি কোনো জিনিস অন্য নিয়তে স্পর্শ করতে যান তাহলে যেই হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন সেই হাত আমি খুব যত্ন নিয়ে আপনার শরীর থেকে আলাদা করে দিবো। বুঝতে পেরেছেন?”

ইউসুফের কথায় সোনালীর মুখ লাল হয়ে উঠলো রাগে আর অ*প*মানে। যে কাজটা এতোদিন সোনালী নিজে পিহুর সাথে করে এসেছে আজ সেই কাজের পুনরাবৃত্তি কিনা ওর নিজের সাথেই হবে? এমন অপমান তার কপালে জুটলো! সোনালী আর একমুহূর্ত দেরি না করে গ*জ*গ*জ করতে করতে নিজ ঘরে চলে গেলো। ইউসুফ গার্ডসদের ইশারা করলো ব্যাগগুলো পিহুর ঘরের সামনে রেখে আসার জন্য। গার্ডসরা কাজ সেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো। ইউসুফ সোমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে ভারি কণ্ঠে বললো….

—“বিকেলের মধ্যে আমি দুইটা আলমারি পাঠিয়ে দেবো। আমার বউয়ের ঘরে সেগুলো বসানো হবে। সাথে একজন কাজের মেয়েও আসবে। সে শুধুমাত্র আমার বউয়ের প্রয়োজন-অপ্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখবে। অন্য কারো জন্য তাকে কাজে লাগানোর চিন্তা করলে এরপর আর আপনাদের কিছু চিন্তা করার মতো অবস্থায় থাকতে হবে না।”
এই বলে ইউসুফ বেরিয়ে গেলো। পিহু তখন ভেতরে যাওয়ার পর পরই নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলো। গার্ডসরা যে অগণিত কাপড়-চোপড়ের ব্যগগুলো তার ঘরের সামনে রেখে গেলো তা নিয়ে পিহুর বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।

বাইরে গাড়ি স্টার্ট হওয়ার আর হর্ন বাজার শব্দ কর্ণপাত হতেই সোমার ধ্যন ভাঙলো। হুড়মুড়িয়ে গেইটের দিকে ছুটে গিয়ে গেইট খুলে তাকাতেই দেখলো ইউসুফের গাড়ি ইতোমধ্যেই বাড়ির ত্রিসীমানা পেরিয়ে গিয়েছে। গাড়ির শেষ দেখা মিলতেই সোনা শব্দ করে গেইট বন্ধ করে দিলেন। একহাত বুকের উপর ও আরেকহাত কোমরে রেখে হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন….
—“ভাবছিলাম কোটিপতি, ক্ষমতাধর বেডার নজর পড়ছে পো*ড়া*মুখিটার উপর। ওর বদৌলতে অভাব-অনটন সব মিটে যাবে। সোনালী বিয়ে একজন বড়লোকের ছেলের সাথে দিতে পারবো। পোলা দুইটার ভবিষ্যতও সুরক্ষিত হবে। আর আমরা বুড়ো-বুড়ির বাকি জীবনটাও শান্তিতে কেটে যাবে। কিন্তু না রে! তা তো হলোই না। পো*ড়া*মু*খিটা না জানি কি কা*লা জাদু করেছে ঐ রাজপুত্তুরের মতো ছেলেটার উপর যার জন্য সে খালি ওকেই দেখছে! পো*ড়া*মুখিটার সুখের জন্য পারে না তো আকাশের চাঁদটাও নামিয়ে ওর সামনে বসিয়ে দেয়।”

কথাগুলো বলতে বলতে সোমা বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন। তখুনি তার চোখ পড়লো ডান পাশে পিহুর ঘরের সামনে স্তূপ হয়ে থাকা শত শত শপিং ব্যাগগুলোর উপর। সোমা চোখে-মুখে আ*ফ*সোসের ছাপ ফুটিয়ে তুলে বললেন….
—“হায় হায় রে! এতো এতো দামী কাপড়-চোপড়গুলো কেমন অবহেলায় মেঝের উপর পরে আছে। আর কি কপাল আমাদের! একটা কিছু ও ছুঁতে পারবো না। ছুঁলেই নাকি আমাদের হাত শরীর থেকে আলাদা করে দেবেন এমপি সাহেব! অথচ যার জন্য এতোগুলো জিনিস রেখে গেলেন সে দিব্যি ঘরের দরজা আটকে ভেতরে বসে আছে। আর আমরা! আমাদের এই অবস্থাগুলো চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে শুধু। পো*ড়া*মুখিটাকে তো এখন কিছু বলতেও পারবো না। কে জানে কোন দিক দিয়ে কে কি শুনে ফেলবে! তারপর যদি এমপি সাহেবের কানে যায় তাহলে তো আর রক্ষা নাই। একবার চালাকি দিয়ে বেঁচে গেছি আবার যে পারবো তার কোনো ভরসা নাই।”

বিলাসবহুল শোবার কক্ষের আবছা আলোর নিচে বিশাল এক কিংসাইজ বেডে ঘুমিয়ে আছেন সুদর্শন পুরুষ তেজওয়ার খান। তেজের আধখানা পিঠ অনাবৃত। শরীরের বাকি অংশটুকু মোটা শুভ্র কম্বলের আড়ালে ঢাকা। ফর্সা শরীরে শুভ্র রংটা অন্যরকম সুন্দর ভাবে ফুটে আছে যেনো। ঘুমন্ত অবস্থাতেও একজন মানুষকে এতো সুদর্শন লাগতে পারে তা তেজকে না দেখলে বোঝা সম্ভব হতো না হয়তো। তেজের ধারালো চোয়ালের একপাশে খোঁচা খোঁচা দাঁড়িগুলো চিকচিক করছে। প্রশস্ত কাঁধ ও শরীরের গড়ন শক্তপোক্ত। মাথার চুলগুলো কিছুটা এলোমেলো। বিছানার পাশে রাখা মার্বেল টপ সাইড টেবিলের উপর থাকা ফোনটা খানিক্ষন পর পরই ভাইব্রেট করছে। যেদিকে তেজের খেয়াল করার কোনো সময় নেই। সে নিজের ঘুম নিয়েই ব্যস্ত। ফোনের পাশেই পরে আছে আধখাওয়া রেড ওয়াইন এর একটা গ্লাস।
সেইসময় রুমের দরজা খুলে তড়িঘড়ি করে ভিতরে প্রবেশ করলেন তেজের ছোট ভাই নির্ঝর খান। নির্ঝর দ্রুততার স্বরে বললো….

—“তেজ ভাই? উঠো প্লিজ। বাবা অনেক সময় ধরে তোমাকে কল করে না পেয়ে এবার আমাকে কল করেছিলেন। আধঘন্টার মধ্যে যদি তুমি খান ভিলায় না পৌঁছাও তাহলে অনেক বড় ঝা*মে*লা পেঁকে যাবে ভাই।”
নির্ঝরের কথা তেজের কর্ণকুহরে পৌঁছাতে পারলো কিনা তা বুঝতে সে সক্ষম হলো না কারণ তেজ এখনও আগের ন্যয় ঘুমিয়ে আছে। পরক্ষণেই নির্ঝর নিজের নখ কাঁ*ম*ড়া*তে কাঁ*ম*ড়া*তে ভাবলো….
—“কি করি, কি করি, কি করি এখন আমি! তেজ ভাই তো মনে হচ্ছে কড়া ডোজ নিয়েছে রাতে। এই ঘুম এবার ভা*ঙা*বো কিভাবে আমি! উফহহহ আমার মাথা কাজ করছে না। ঐদিক থেকে বাবা যেভাবে বললেন, আজ অন্য কারোর গ*র্দা*ন না কা*টা পড়লেও আমারটা যে মিস যাবে না তা আমার বুঝতে বাকি নেই।”

কিয়ৎক্ষণ চিন্তাভাবনা করার পরই নির্ঝরের মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। নির্ঝর এক দৌড়ে রুমের বাহিরে গিয়ে রান্নাঘর থেকে একটা পেঁয়াজ কেটে আনলো। অতঃপর পেঁয়াজটা তেজের নাকের উপর ঘষে দিলো। যেনো পেঁয়াজের কড়া গন্ধে তেজের নেশা ছুটে যায় আর সে ঘুম থেকে জেগে উঠে। আর এই যাত্রায় নির্ঝরের আইডিয়াটা কাজেও দিলো। নির্ঝর ঝাপ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে খানিকটা দূরে গিয়ে দাঁড়ালো। হাতে থাকা পেঁয়াজের টুকরোটা অনেকটা দূরে পর্দার আড়ালে ছুঁ*ড়ে মা*রলো। তেজ হাঁচি ফে*লে ঝট করেই শোয়া থেকে উঠে বসে রাগে চেঁচিয়ে বললো….
—“কোন শা*লা*র পুতে আমার এতো সাধের ঘুমটার দফারফা করলো রে। শা*লা*রে হাতের কাছে পাইলে চিঁ*ড়ে ২ ভাগ করে আবার জোড়া লাগাবো।”

তখনও পুরোপুরি চোখ মেলে নি তেজের। ওয়াইন এর ঘোর এতোটাই প্রখর ছিলো। তেজের রাগী স্বরে বলা কথাটুকু শুনে নির্ঝরের কলিজার সবটুকু পানি যেনো শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। তেজ দু’হাতে নিজের চোখ ঘষলো খানিকক্ষন। পরপরই চোখ থেকে হাত সরিয়ে সামনে তাকাতেই নির্ঝরকে জড়োসড়ো ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কিছু বলতে নিবে তার আগেই নির্ঝর ভীত স্বরে বললো….
—“ভাই, আমার কোনো দোষ নেই। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। বাবা কল করেছিলেন। আধঘন্টার মধ্যে তোমায় বাসায় ডেকেছেন। বাসায় কোন জানি নিশু না টিস্যু এসে বসে আছেন। আর সেই মেয়ে নিজেকে তোমার সন্তানের মা বলে দাবি করছেন। এ নিয়ে বাবা তোমার উপর হেব্বি ক্ষে*পে আছেন। পরিস্থিতির এমন অবস্থা দেখে আমি বাধ্য হয়েছি তোমায় এভাবে ঘুম থেকে জাগাতে।”

না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ১

এক নিঃশ্বাসে সবগুলো কথা বলে নির্ঝর জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে শুরু করলো। তেজের ঘাড়ের র*গ গুলো ফু*লে উঠেছে মূহূর্তেই। দু’চোখের হালকা নীলচে বর্ণের মনির চারপাশে থাকা সাদা অংশ রাগে লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। তেজ নিজের শরীরের উপর থাকা শুভ্র রংয়ের কম্বলটা সরিয়ে বললো….
—“যাদের স্পার্ম দিয়েছি তারা তো এখনো পর্যন্ত নিজেকে প্রেগন্যান্ট বলে দাবী করলো না। আর যাকে ছুঁইনি পর্যন্ত সে এসে বলছে, ‘সারপ্রাইজ! তুমি বাবা হতে যাচ্ছো!’ ভাই আমার স্পার্ম কি এবার বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে? আর যার তার কাছে চলে গিয়ে আমাকে তাদের সন্তানের বাবা বানিয়ে দিচ্ছে!”
নির্ঝর মনে মনে বললো….
—“তেজওয়ার খানের স্পার্ম যদি সত্যিই বাতাসে উড়ে তাহলে তো নারীরা হাঁচি দিলেও গর্ভবতী হয়ে যাবে আমি শিওর!”

না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here