ভবঘুরে সমরাঙ্গন পর্ব ৬

ভবঘুরে সমরাঙ্গন পর্ব ৬
তাজরীন ফাতিহা

রওয়ানের বাবা মাহাবুব আলম এককালে শহরে চাকরি করতেন। চাকরির সন্ধানে শহরে যেতে হয়েছিল একসময়। মাহাবুব আলমের চার সন্তান। বড় ছেলে মারওয়ান আজাদ পেশায় ভবঘুরে। মেঝো ছেলে মাহদী আমিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়শোনা শেষ করে এখন পেশায় কৃষি উদ্যোক্তা। সেঝো ছেলে মাহফুজ আরাফ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছোট মেয়ে মানহা আফরিন মফস্বলের একটি ডিগ্রি কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বেশ ভালোই দিন কাটছে তার। তবে বড় সন্তানকে নিয়ে তার চিন্তার শেষ নেই। বড় বউটা আল্লাহর রহমতে কত ভালো কিন্তু ছেলেটা গোঁয়ার টাইপ। তার স্ত্রী মায়মুনা বেগম বড় ছেলের চিন্তায় প্রায় সময় অসুস্থ হয়ে যান। মাহাবুব আলমও ভীষণ পেরেশানিতে ভোগেন ছেলের জন্য।

মাহাবুব আলমের পরিবার রক্ষনশীল পরিবার। ইসলামিক বিধিবিধান মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তারা। বড় বউ নিশাতকেও এনেছিলেন রক্ষনশীল পরিবার থেকে। তাছাড়া নিশাতের বাবার সাথে তার ছোট বেলা থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তাই আর দেরি করেনি বিয়ের ব্যাপারে। নিজের গোঁয়ার ছেলেটির জন্য বিনাবাক্যে এই সুকন্যা, ধৈর্যশীল মেয়েটিকে বউ করে নিয়ে আসেন তিনি।
দুপুর দুটো। মাহাবুব আলমের পরিবারের সবাই একসাথে খেতে বসেছে। নিজেদের আঙিনায়, ক্ষেতে লাগানো সবজি, নিজস্ব চাষকৃত মাছ, গরুর খাঁটি দুধ এসব দিয়েই সাড়ছেন আজকের দুপুরের খানাপিনা। মায়মুনা বেগম স্বামী, ছেলে মেয়ের পাতে পুকুরের তাজা কই মাছ ভাজা উঠিয়ে দিলেন। মাহদী, মাহফুজ আর মানহা খুনসুটি করতে করতে খাবার খাচ্ছে। মায়মুনা বেগম স্বামীর পাতে শিমের বিচির তরকারি উঠিয়ে দিয়ে আস্তে করে বললেন,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আজাদের বাপ, আজাদরে ফোন দিছিলা?”
মাহবুব আলম পাতে হাত রেখেই বললেন,
“তোমার গুণধর পুত্র ফোন ধরলে তো। টাকার দরকার হলে ঠিক ফোন দিবে দেখো। সাংসারিক বিষয়ে এতো উদাসীন এই ছেলে। বউটা কোনদিন না জানি চলে যায়। নাতিটার মুখের দিকে তাকিয়েও তো কাজবাজ কিছু করতে পারে। বেয়াদবটা ছোট বেলা থেকেই ত্যাড়া। যেন ত্যাড়ামি তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে। যা বলবো তার উল্টোটা করবেই।”
মায়মুনা বেগম স্বামীকে খোঁচা দিয়ে বললেন,
“সবার সামনে বড় ছেলের নামে এসব বলছো কেন? ওরা কি ভাববে?
মাহাবুব আলম বললেন,
“ওরা আর কি ভাববে। ওরা তো জানেই তাদের শ্রদ্ধেয় বড় ভাই কত কাজের। বেয়াদবকে বেয়াদব বলবো না তো কি আদব বলবো?”

“আমার ছেলেটা মোটেও বেয়াদব না। শুধু একটু আধটু ত্যাড়ামি করে এই যা। শোনো ও ফোন ধরলে আমাকে একটু ধরিয়ে দিও। আমরা কতো ভালোমন্দ টাটকা টাটকা খাবার খাই কিন্তু আমার মানিকটা তো শহরের ছাইপাঁশ খেয়ে না খেয়ে থাকছে। নাতিটার জন্যও অনেক মন পুড়ে।”
মাহাবুব আলম ভাতের লোকমা মুখে দিয়ে বললো,
“দেখি ধরলে দিবো। নিশাত মার সাথে মাঝে মধ্যে কথা বোলো। মেয়েটা তোমার ছেলের মতো একটা অকর্মার ঢেঁকিকে বিয়ে করে অনেক কষ্ট সহ্য করছে। হয়তবা মুখ ফুটে বলে না তবে এরকম অকর্মা পুরুষ কেউই চায়না। মেয়েটাকে আমরা সবাই মিলে ঠকালাম। এর জন্য আফসোস হয়। ভেবেছিলাম বদমাশটা বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু কিছুই হলো না। নিজের মতো করে এখনো জীবনটা পার করছে। এমন হলো কেন ও বলতে পারো? বদটা সঠিক শিক্ষা যে কেন পেলো না সেটাই ভেবে পাইনা।”

“তোমার বাপের কিছু ধারা পেয়েছে ও। যদিও আব্বা কর্মঠ ছিলেন কিন্তু ত্যাড়ামিও কম ছিল না তার মধ্যে। ছোট বেলায় তো দাদার কাছেই বেশি থেকেছে তার ধারা কিছুটা হলেও ওর মধ্যে এসেছে।”
“হতে পারে তবে সামনের দিন নিয়ে ভয় হয় প্রচুর। এভাবে চলতে থাকলে সংসারটা কয়দিন টিকবে আল্লাহ জানেন। গ্রামেও আসতে বলতে পারিনা। অনেকের সাথে দা কুমড়ো সম্পর্ক বাঁধিয়ে রেখেছে। তার দরকার কি ছিল ওসব ঝামেলায় জড়ানোর।”
“অলুক্ষণে কথা বোলো না তো। ইংশাআল্লাহ্ আল্লাহ ভালো কিছুই করবেন।”
“তা হলেই ভালো।”
এর মধ্যেই মাহফুজ কথা বলে উঠলো। বললো,
“আম্মা আমিও তো তোমাদের কাছে থাকি না কই আমার খোঁজ তো এতো ঘটা করে নাও না। সব বড় ভাইয়ের জন্য। আমার জন্য কিচ্ছু না।”
মানহা রসিকতা করে বললো,
“সেঝো ভাইয়া মা কিন্তু আমাদেরও আদর করে না। আমরা কাছে থাকলে কি হবে ঠিক বড় ভাইয়ের জন্য চিন্তা করতে করতে অস্থির হয়ে যায়। যেন আমরা তিনজনই মায়ের কুড়িয়ে পাওয়া আর ভাইয়া একাই শুধু মায়ের আপন সন্তান।”

মাহাবুব আলম বললেন,
“তোদের মায়ের আদর করা লাগবে না। আমি একাই একশো। তোর মা তার বড় সন্তান নিয়ে থাক আমরা চার বাপ, বেটা, মেয়ে একসাথে থাকবো। কি বলিস তোরা?”
মায়মুনা বেগম তার তিন সন্তানের উদ্দেশ্যে বললেন,
“তোরা তো আমার কাছেই থাকিস। আর মাহফুজ তুই তো প্রতি মাসে মাসে আমার কাছে আসিস কিন্তু তোর বড় ভাই এই চার বছরেও একবার বাড়িতে পা দিয়েছে? আমরা গিয়ে দেখে আসি নিজে থেকে ও এসে আদরের ভাগ নিতে চায়? তোরা এতো হিংসুক কেন রে?”
মাহদী এতক্ষণ পর মুখ খুললো,

“শোনো মা, ভাইয়াকে আমরা সবাই ভালবাসি। তার গোঁয়ার্তুমির কারণে তার এই দশা। তাছাড়া বাবা মাসে মাসে ভাইয়াকে টাকা পাঠায় না? তাহলে আমরা যে বেশি আদর পাচ্ছি বা বেশি খাচ্ছি এটা বলার কোনো সুযোগ নেই। আমি যথেষ্ট ভালো ইনকাম করি। কয়েকদিন পর মাহফুজও করবে। মানহার একটা ভালো জায়গায় বিয়ে হবে কিন্তু ভাইয়া আর কতকাল বাবার ঘাড়ের উপর বসে খাবে? ভাইয়ার প্রতি আমাদের সবারই রাগ হয় বিয়ের পরও এমন ছন্নছাড়া থাকার কারণে। লোকের কথা থেকে বাঁচতে ছেলেকে তো দূরে পাঠিয়েছো কিন্তু কথা তো এখনো শুনছো। জোয়ান তাগড়া যুবক ছেলের ভরণপোষণ বুড়ো বাবা পাঠায় এর থেকে লজ্জার আর কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। তাই ভাইয়াকে আহ্লাদ দেয়া বন্ধ করো। ভাবি মানুষটা ভীষণ ভীষণ ভালো ও ধৈর্যশীল দেখে সংসার করছে নাহলে এই সংসার টিকতো না দুদিনও। এখন আবার ভেবো না হিংসা থেকে এসব বলছি। মাথা খাটাও তাহলেই বুঝতে পারবে সঠিক বলেছি কিনা?”
কথাটুকু বলেই হাত ধুয়ে উঠে গেলো মাহদী। তার একটু পর মাহফুজ আর মানহা উঠেও চলে গেলো। মায়মুনা বেগম হতাশায় নিমজ্জিত হলেন। এভাবে চলতে থাকলে ভাইবোনের সম্পর্কে না ফাটল ধরে। এই আশঙ্কা তাকে ভীত করছে। মাহাবুব আলমও আর কোনো কথা না বলেই খাওয়া শেষ করলেন।

নিশাত মাত্র ক্লাস করিয়ে এসে শিক্ষক রুমে বসলো। শরীরটা কেমন কাহিল লাগে ইদানীং। মাঝে মধ্যে মনে হয় সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে চলে যাবে। কিন্তু বিশ্রাম নিলে সংসার চলবে কিভাবে? ঢাকা শহরে একটা তিনরুমের ফ্ল্যাটে থাকা মুখের কথা না। যদিও ফ্ল্যাটের ভাড়া তার শ্বশুর আব্বাই দেন কিন্তু সংসারের যাবতীয় খরচ তো তাকেই হ্যান্ডেল করতে হয়।
বিড়ি’খোরটা আর কিছু পারুক আর না পারুক ঠিক মাসের শেষে বাসা ভাড়ার টাকা চাইতে বাড়িতে ফোন করবে। সে আবার পাক্কা নীতিবান। কারো কথা শুনতে নারাজ। বাড়িওয়ালা এসে গেট ধাক্কালে তার প্রেস্টিজে লাগে। তাই আগে ভাগেই টাকা রেডি রাখে। নিশাত অবশ্য টাকা নিতে নারাজ ছিল কিন্তু মাহাবুব আলমের স্নেহাশীষ কথায় আর না করতে পারেনি। সে মনে মনে তার স্বামীর হেদায়েতের জন্য দোয়া করতে লাগলো। সময় পেলেই সে জিকির, দুরুদ শরীফ পড়া আর এই কাজটা করে। আল্লাহ চাইলে কি না পারে। আল্লাহ একদিন নিশ্চয়ই তার দোয়াও কবুল করবেন। সেই দিন পর্যন্ত ধৈর্য আর অপেক্ষা করার ক্ষমতা আল্লাহ তাকে দিক এটাই চাওয়া।

মারওয়ান ছেলের জন্য একটা ম্যাজিক বোর্ড নিয়ে এসেছে গত পরশু। সেটা দিয়ে ছেলেকে লেখালিখি শিখায় নিশাত। মারওয়ান আজকে বাইরে না গিয়ে ছেলেকে লেখালিখি, আঁকাআঁকি শিখাচ্ছে। নাহওয়ান বাবার কোলে বসে মনোযোগ দিয়ে আঁকিবুঁকি করছে। মারওয়ান শত চেষ্টা করেও ছেলেকে ‘অ’ লিখা শিখাতে পারছে না। তার ঘাম ছুটে যাচ্ছে প্রায়। বাচ্চাটাকে লিখতে বলছে একটা বাচ্চাটা লিখছে আরেকটা। মারওয়ান পণ করেছে ছেলেকে আজকে শিখিয়েই ছাড়বে। মারওয়ান ছেলের হাত ধরে ম্যাজিক কলম ঘুরাতে ঘুরাতে বললো,
“এভাবে লিখ। যেভাবে শিখাচ্ছি ওভাবে লিখছিস না কেন কবুতরের বাচ্চা?”
নাহওয়ান লিখা থামিয়ে মাথা ঘুরিয়ে বাবার দিকে চাইলো। বললো,

“কুবুটল কি?”
“তুই।”
“কিনটু আমি টো মায়েল বাচ্চা।”
“তুই আমার বাচ্চা। তোর মায়ের না বুঝলি?”
নাহওয়ান চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো। কিছু বুঝেছে বলে মনে হয়না। তারপরও মাথা নাড়িয়ে বললো,
“আচ্চা।”
মারওয়ানের চোখ চকচক করে উঠলো। ছেলেকে বাগে আনতে পারলে তারই লাভ। সে যা শিখাবে তাই শিখবে এতে ওই দেড় ইঞ্চির মহিলাকে সহজেই কাবু করা যাবে। মারওয়ান তাই আবারও জিজ্ঞেস করলো,
“তুই কার বাচ্চা ফাইয়াজ?”
“টুমাল।”
“এইতো কি সুন্দর হয়েছে। এখন থেকে সবসময় এটাই বলবি ঠিক আছে?”
নাহওয়ান উপরনিচ মাথা নাড়ালো। মারওয়ান ছেলেকে আদর করলো কিছুক্ষণ। বাবা ছেলে হাসি মজায় দিনটা পার করলো।

নিশাত বাসায় এসে নামাজ পড়ে সবাইকে নিয়ে ভাত খেলো। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার জন্য বিছনায় ছেলেকে নিয়ে শুলো। নাহওয়ান মায়ের বুকে আদুরে বিড়ালের মতো পড়ে রইলো। সারাদিন পর মাকে পেলে আর কিছু লাগে না তার। মায়ের কাছে কতশত আবদার, বুলি আওড়ায়। মারওয়ান পাশেই শোয়া। মা, ছেলের ভালবাসা দেখছে। হঠাৎ নাহওয়ান নিশাতকে বললো,
“মা কুবুটল কি?”
“একটা পাখি বাবা। কেন?”
“পাকি কি?”
“এটা আকাশে ওড়ে। অনেকে পালে। আমরা মানুষেরা এটাকে খাইও।”
“আমি কি কুবুটলেল বাচ্চা?”
“তুমি কবুতরের বাচ্চা হতে যাবে কেন? তুমি তো আমার বাচ্চা। আমার কলিজা।”
“না না আমি বাবা আল কুবুটলেল বাচ্চা।”
নিশাত হেঁসে দিলো। মারওয়ান চোখ কপালে তুলে ছেলের দিকে তাকিয়ে আছে। এই বজ্জাত কি বলে? তার মান ইজ্জত সব খুঁইয়ে ফেলবে নাকি। ছিঃ ছিঃ। নিশাত বললো,
“কে বলেছে তোমাকে এগুলো?”
নাহওয়ান বলতে নিলে মারওয়ান ছেলেকে টেনে নিজের বুকে নিলো। ছেলেকে আদর করতে করতে বললো,
“তুমি ঘুমাও। ওর সাথে এতো কথা বলতে হবে না। পরে ঘুমাতে পারবে না। গল্প করেই সময় চলে যাবে। আমি নাহওয়ানকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি।”

নিশাতের ভ্রু কুঁচকে গেলো। ঘটনা কি? তাকে এতো সমাদর করছে কেন? এতো মধুর স্বরে তুমিই বা ডাকছে কেন? কি ঘাপলা লাগিয়েছে এই বিড়ি’খোর? নিশাত উঠে বসে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বললো,
“নাহওয়ানকে নিলেন কেন? সারাদিন তো আপনার কাছেই থাকে। এখন আমার কাছে থাকবে। আপনি আমাদের মা, ছেলের মাঝে আসবেন না বলে দিলাম। ওকে আমার কাছে দিন।”

“আমার কাছে থাকুক না। তুমি বরং রাতে নিও।”
নিশাত ছেলেকে বললো,
“বাবা মায়ের কাছে আসবে?”
নাহওয়ান বাবার বুক থেকে তার ছোট মাথাটা বের করে বললো,
“আচবো।”
নিশাত খুশি হয়ে ছেলেকে জোর করে নিলো। কোলে নিয়ে বললো,
“আমার সোনা বাচ্চা। মায়ের ভদ্র বাচ্চা। আমার কলিজার টুকরা।”
“আমি কুবুটল আল বাবার বাচ্চা।”
“এসব ফালতু কথা কে বলেছে?”
“বাবা।”

ভবঘুরে সমরাঙ্গন পর্ব ৫

নাহওয়ান আঙুল দিয়ে মারওয়ানকে দেখিয়ে বললো। নিশাত রাগান্বিত হয়ে চাইলো। মারওয়ান বললো,
“কি হয়েছে? কবুতর কি খারাপ? এভাবে চাওয়ার মানে কি? আমি ভয় পাই নাকি তোকে?”
নিশাত রহস্যময় হেঁসে বললো,
“আসলেই পান না?”
মারওয়ান মুখ কালো করে ফেললো। সেদিন ছেলেকে হাম্বা শিখিয়েছিল আজ আবার নতুন কিছু শিখাবে নাকি? লিলিপুট তাকে থ্রেট দিচ্ছে? মুখ ঘুরিয়ে উল্টো পাশে শুয়ে পড়লো সে কথা না বাড়িয়ে। লিলিপুটের বাচ্চা পুরোটা লিলিপুটের মতো পল্টিবাজ। বাবার সব কথা মায়ের কাছে সাপ্লাই করতে হবে কেন রে? বদ।

ভবঘুরে সমরাঙ্গন পর্ব ৭