মনে রেখ এ আমারে পর্ব ১২

মনে রেখ এ আমারে পর্ব ১২
রায়েনা হায়াত

আনোয়ার সাহেব মা’রা গেছেন ৭ দিন প্রায়। বাড়ির সবার অবস্থা করুণ তখনও। অবনী এখনো শ্বশুরবাড়ি যায়নি। হানিফা বেগমেরও বোধহয় মায়া হয়েছে তাই সেও জোড় করেনি। জীবন চলতে হবে তাই শুধু চলছে। বাড়ির ৩ টি সদস্যই নিষ্প্রাণ। এদের এই অবস্থা দেখে হৃদান এখানেই আছে৷ তাইমুর আর তার পরিবারও আছেই৷ ৭ দিন থেকে তহুরা বেগম-ই রান্না করছেন। রেহেনা বেগম মানা করেছিলেন কিন্তু তিনি শোনেননি। তিনি তো একজন নারী তাই নারীর কষ্ট ভালো ভাবেই টের পেয়েছেন। নীলা বাড়ি চলে গেছে।

অন্তির ওপর যত রাগ, অভিমান ছিলো সব ভুলে তাইমুর এই ৭ দিন অন্তির খেয়াল রেখেছে। পাশে থেকেছে। অন্তির অবশ্য এসব দেখার মতো পরিস্থিতি নেই। হায়দার সাহেবও ভেঙে পড়েছেন বন্ধুর মৃ’ত্যুতে। কিন্তু তাদেরও ফিরতে হবে৷ তার আগে কথা বলা দরকার রেহেনা বেগমের সাথে। অন্তি আর অবনী তখন নিজেদের রুমে। তাইমুর হসপিটালে। এ সুযোগে তহুরা বেগম আর হায়দার সাহেব রেহেনা বেগমের কাছে যান। এ কয়দিনেই তিনি বেশ শুকিয়ে গেছে। চোখে মুখে হাসি নেই। তহুরা বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাকে ডাকেন। রেহেনা বেগম সে ডাকে ঠিকঠাক হয়ে বসে দুজনকে ভেতরে আসতে বলে। তহুরা বেগম রেহেনা বেগমের পাশে বসে তার হাত ধরে। হায়দার সাহেব সামনে একটা চেয়ার টেনে বসে আমতা আমতা করে বলেন,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

–‘এসময় এ কথাগুলো বলাটা আসলেই হয়তো যুক্তিযুক্ত না। কিন্তু আনোয়ার যাওয়ার পর আমার মনেও ভয় ঢুকে গেছে। কখন কি হয় তা তো কেউ জানে না৷ আমি থাকতে থাকতে কাজটা না করে গেলে বোধহয় বড্ড আফসোস হবে।’
–‘ইতস্তত করবেন না, ভাই-সাহেব। এই বিপদে আপনারা আমাদের পাশে ছিলেন এটাই অনেক। বলুন কী বলবেন!’
–‘অন্তি আর তাইমুরের ব্যাপারে আনোয়ার আপনাকে কিছু তো বলেছিলো নিশ্চয় ভাবী!’
রেহেনা বেগম মাথা নাড়ান। ৫ বছর আগে যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তখনই আনোয়ার সাহেব তাকেও জিজ্ঞাসা করেছিল। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন,

–‘আমাকে জানিয়েছিল সব। আপনারা কি এখনই বিয়েটা হয়ে যাক তা চাচ্ছেন?’
হায়দার সাহেব মাথা নিচু করেই মাথা নাড়ান। জানান,
–‘আনোয়ার ওর মেয়েটাকে সুখী দেখে যেতে চেয়েছিল তা তো সে পারেনি। অন্তত আমি আমার কথাটা রাখতে চাই, ভাবী। আপনার কোনো আপত্তি আছে কি?’
–‘আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে অন্তি আর তাইমুরের সিদ্ধান্তটাও তো জানা জরুরি। সংসার তো ওরাই করবে।’
তহুরা বেগম বলেন,
–‘হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই। তাইমুর অন্তিকে পছন্দ করে তবে অন্তির মতামতটা জানা দরকার।’
–‘আচ্ছা, আমি কথা বলবো ওর সাথে। তবে এই মূহুর্তে কোনোভাবেই কোনো রকম আয়োজনও তো সম্ভব নয়।’
রেহেনা বেগমের মাথা নিচু করা দেখে তহুরা বেগম ব্যস্ত গলায় বলে,
–‘না না, ভাবী। কি বলেন এসব! ভাই-সাহেব গেছেন কেবল ৭ দিন হলো আমরা এর মধ্যেই আয়োজনের কথা ভাববো? তা সম্ভব? দুজনের শুধু আকদ করিয়ে দেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন আয়োজন-অনুষ্ঠান করা যাবে। আপাতত আমরা শুধু ওদের দুটোকে একসাথে দেখতে চাচ্ছি। এটুকুই!’
তাদের ৩ জনের মতামত এক হয়। তবে অন্তির মতামত এখনো তাদের অজানা। ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। হায়দার সাহেব তবুও স্বস্তির শ্বাস ফেললেন। অন্তত বন্ধুকে দেওয়া কথা সে রক্ষা তো করতে পারবে। এটাই অনেক!

সন্ধ্যায় হৃদান আসে। মাঝে সে একদিন নিজেদের বাড়িতে চলে গেছিলো তবে অবনীর অবস্থা দেখে আবার আসছে। তার বেশ লজ্জা-ই লাগে৷ অফিস থেকে ফিরে সে এসবই ভাবছিলো। অবনী শরবত হাতে আসে। গলার টাইটা ঢিলে করে হৃদান অবনীর হাত ধরে নিজের পাশে বসায়। অবনীর মুখ মলিন। এই মলিন মুখ দেখলেই হৃদানের হৃদয়ে লাগে। মেয়েটাকে একদমই মলিন মুখে মানায় না। অথচ পরিস্থিতিও বিপরীতে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে অবনীর পায়ের কাছে হাঁটু মুড়িয়ে বসে। অবনী চমকে উঠে যেতে নিলে হৃদান আটকায়। মাথা উঁচু করে বলে,
–‘আপনাকে এভাবে দেখতে ভালো লাগে না, অবনী। পরিস্থিতি খারাপ আমি জানি কিন্তু এভাবে থাকলে আপনি অসুস্থ হয়ে যাবেন।’
অবনী তাকিয়ে থাকে হৃদানের দিকে। মুখে কোনো কথা নেই। হৃদান আবার নিজেই বলে,
–‘বাবা হারানোর কষ্টটা আমি নিজেও বুঝি, অবনী। তাই এখন আপনার ওপর দিয়ে কি যাচ্ছে তা আমার থেকে ভালো কেউ বুঝবে না। কিন্তু বাবা কি আপনাদের এভাবে দেখলে খুশি হতেন? না তো, তাই না! তাহলে প্লিজ একটু স্বাভাবিক হোন।’

অবনী মাথা নাড়ায়। অনেক কষ্টে সে কান্না আটকে রেখেছে। হৃদান তার হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চুমু খায়। অবনী ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকায়। হৃদান নরম স্বরে বলে,
–‘প্লিজ, আমার আগের হাসি খুশি মিষ্টি অবনী হয়ে যান। প্লিজ!’
অবনী হাত ছাড়িয়ে নিয়ে হৃদানের মতো মেঝেতে বসে। হৃদানকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে। হৃদান শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। কষ্টের সময় নারী চায়-ই তো এমন একটা প্রশস্ত বুক। যেখানে সে নিশ্চিন্তে মাথা রেখে একটু কাঁদতে পারবে। অবনী কতক্ষণ কেঁদে শান্ত হয়। তবে হৃদানকে না ছেড়েই বলে,
–‘আমরা কাল ও বাড়ি ফিরে যাই? এখানে অনেকদিন হলো আছি। আম্মাও হয়তো রাগ করবে।’
–‘আম্মা রাগ করবে বলে ফিরতে হবে না। যখন মনে হবে আপনি এখন ফিরতে পারবেন তখনই ফিরবেন। তবে আমার এখানে খুব লজ্জা লাগে, অবনী। আমি চলে যাই?’
হৃদানের কণ্ঠের অস্বস্তি বুঝেও অবনী হেসে ফেলে। হৃদানকে ছেড়ে তার টাই খুলে দিতে দিতে বলে,

–‘কাল একসাথেই ফিরবো।’
–‘আম্মু আর অন্তি?’
–‘বুঝবে ওরা।’
মেয়েদের জীবনটা অন্যরকম হয়। এখন তার সংসার আছে, ওখানেও একটা পরিবার আছে। ওটাও তার সামলাতে হবে। হৃদানের মতো সবাই এতো বুঝদার হয় না। সবাই এভাবে পাশেও থাকে না। তাদের কথার মাঝেই বাহির থেকে অন্তি ডাকে। রেহেনা বেগম তাকে ডেকেছে। অবনী ‘আসছি’ বলে হৃদানকে ফ্রেশ হতে বলে। হৃদান ওয়াশরুমে চলে গেলে অবনীও বাহিরে আসে। সোফায় তহুরা বেগম, হায়দার সাহেব আর তাইমুরও বসে আছে। সবার এভাবে বসাটা একটু সন্দেহজনক মনে হলো অবনীর কাছে। অন্তি পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। অবনীকে দেখে রেহেনা বেগম জিজ্ঞাসা করেন,

–‘হৃদান কোথায়?’
–‘ফ্রেশ হচ্ছে। ডাকবো?’
রেহেনা বেগম ডাকতে বললে অবনী গিয়ে ডেকে আসে। মিনিট দুয়েক পরে হৃদানও আসে। তাইমুর সবার দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। অন্তির মাথা নত। রেহেনা বেগম নিজেই বলে,
–‘তোদের বাবা আর হায়দার ভাই অনেক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলো তাইমুর আর অন্তির বিয়ের ব্যাপারটা। এতোদিন তাইমুর দেশে ছিলো না বলেই কথা এগোয়নি। ভাই-সাহেব আর ভাবী এবার এসেইছিলেন ওই বিষয়ে কথা এগোতে। ভাই-সাহেব চাচ্ছেন তাইমুর আর অন্তির বিয়েটা দু-একদিনের মধ্যেই হয়ে যাক। তবে আমি কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিবো না। অন্তি আর তাইমুর তোমরা দুজনই নিজেদের মতামত জানাতে পারো। যা সিদ্ধান্ত তোমরা নিবে আমরা তাতেই রাজি।’
তাইমুর অবাক হয়ে বাবা-মায়ের দিকে তাকায়। তহুরা বেগম ছেলেকে ঈশারা করেন। তাইমুর ব্যস্ত ভঙ্গিতে অন্তির দিকে দেখে। সে চুপচাপ নিজের জায়গায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কথাটা শুনে বোধহয় সবথেকে বেশি খুশি হয়েছে অবনী। খুশিতে সে হৃদানের দিকে তাকায় হাসিমুখে। সবাই তাইমুর আর অন্তির উত্তরের অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে। তাইমুর কিছু বলতে গেলে অন্তি শান্ত গলায় বলে,

–‘আমি রাজি।’
তাইমুর অবাক না হয়ে পারলো না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রয়েছে তার দিকে। তাইমুর বাদে বাকি সবাই খুশিই হয়েছে। হৃদান এর মাঝে কি বলবে না বুঝে চুপ থাকে। হায়দার সাহেব নিজের ছেলেকে শুধান,
–‘তোর উত্তরটা তো আমরা জানি, তাই না?’
তাইমুর জবাব দেয় না। বড়রা নিজেদের মধ্যে বিয়ে নিয়ে কথা বলতে শুরু করলে তাইমুর বলে,
–‘আমি একটু অন্তির সাথে কথা বলতে চাই।’
হায়দার সাহেব আর তহুরা বেগম অবাক-ই হলেন। অবনী জানে কি কথা বলবে দুজনে তবুও নিজেদের মধ্যে সবটা ক্লিয়ার করে নেওয়াটাই ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। রেহেনা বেগম অন্তিকে বলেন তাইমুরকে তার রুমে নিয়ে যেতে। অন্তি বিনাবাক্য ব্যায়ে তাকে নিয়ে যায়। তাইমুর রুমের দরজা লাগিয়ে দিয়ে অন্তির সামনে দাঁড়ায়। অন্তি তখনো মাথা নিচু করে আছে। তাইমুর হুট করেই অন্তির দু বাহু চেপে ধরে নিজের দিকে টানে। হকচকিয়ে অন্তি তাকায় তাইমুরের দিকে। তাইমুর দাঁতে দাঁত চেপে তাকে জিজ্ঞাসা করে,

–‘বিয়েতে রাজি কেনো হলেন আপনি?’
অন্তি তাইমুরের চোখে চোখ রেখেই বলে,
–‘আমার ইচ্ছে।’
তাইমুর আরও ক্ষেপে যায়। আরও শক্ত করে চেপে ধরে অন্তিকে৷ অন্তি ব্যাথা পেলেও মুখে কিছু বলে না। তাইমুর ঘন ঘন শ্বাস ফেলে বলে,
–‘তন্ময় ছেড়ে দিয়েছে বলে আপনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন?’
অন্তির চোখ দুটো জ্বলে ওঠে। ক্ষোভে, অভিমানে, আত্মসম্মানবোধে তার কণ্ঠ জড়িয়ে আসে। নিজেকে সামলে বলে,
–‘তন্ময় আমাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে আপনাকেই বিয়ে করতে হবে এটা কোথাও লিখা আছে কি? পৃথিবীতে কি ছেলের অভাব এতো? আমি একজনকেও পাবো না? যদি আপনার এই বিয়েতে মত না থাকে তাহলে আপনি সরাসরি বলে দিন। আঙ্কেল-আন্টিকে আপনি জানাতে না পারলে আমি জানিয়ে দিবো।’

তাইমুর এক ঝটকায় অন্তিকে সরিয়ে দেয়। অন্তি দু পা পিছিয়ে যায়। তাইমুর জানে না সে কি করবে। তার রাগ হচ্ছে নাকি অভিমান, অভিযোগে অন্তিকে চাচ্ছে না সে জানে না৷ এই দিনটি সে জীবনে চেয়েছিলো ৫ বছর আগে। গত ৫ টা বছর সে বেঁচে থেকেও গুমরে গুমরে ম’রেছে রোজ। অন্তিকে ততখানিই ভালোবাসে যতখানি শুরুতে বেসেছিলো। অন্তি তাইমুরের হাসফাঁস দেখে টেবিল থেকে পানি নিয়ে তাইমুরের দিকে এগিয়ে দেয়। শান্ত গলায় বলে,
–‘আপনাকে কেউ জোড় করছে না, তাইমুর ভাই। আর কেউ জোড় করবেও না। আপনি এতো অস্থির হবেন না।’
তাইমুর পানির গ্লাস নেয় না। অন্তি গ্লাসটা আবারও টেবিলের ওপর রেখে চলে যেতে নিলে তাইমুর তার হাত টেনে ধরে। অন্তি তাকাতেই সে একটানে নিজের কাছে আনে। ফুঁসতে ফুঁসতে বলে,

–‘কি বলবেন বাহিরে? তাইমুর রাজি না?’
–‘যা সত্যি তা-ই বলবো। ছাড়ুন!’
–‘যারা আমার প্রতিটা মূহুর্তের সাক্ষী, যারা জানে আমার মনের খবর তাদের গিয়ে বলবেন আর তারা মেনে নিবে?’
অন্তি বুঝতে না পেরে বলে,
–‘কি বলতে চান? ক্লিয়ার করে বলেন!’
তাইমুর তার প্রশ্নের জবাব দেয় না। সে জানে বাবা-মা’কে কিছু বলে লাভ নাই। গত ৫ বছর ধরে তারা-ই তো দেখে আসছে তাইমুর কতটা চায় অন্তিকে! অন্তি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। তাইমুর রেগে তাকে ছেড়ে দেয়। তবে চোয়াল শক্ত করে বলে,

–‘বিয়ে যখন করতে হবে, করবো।’
অন্তি চায় না এতো তিক্ততা নিয়ে বিয়ে হোক। ভাবে আঙ্কেলকে না বলে দিবে। তাই তাইমুরের পিছু পিছু সে-ও যায়। অন্তি সেখানে গিয়েই কিছু বলতে চায়। তবে তাইমুর তাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বলে,
–‘আমরা রাজি।’
সবাই একসাথে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে ওঠে। আনোয়ার সাহেবের মৃ’ত্যুর পর আজ প্রথম সবাই একটু খুশিতে আছে। এ খুশি নষ্ট করতে ইচ্ছে না করলেও অন্তি বলতে যায়। রেহেনা বেগম চোখ মুছে বলেন,
–‘অন্তির বাবার শেষ ইচ্ছেটা তবে পূরণ হবে।’
অন্তি আর কিছু বলতে পারে না৷ তার জীবনটা মুভি সিনেমা থেকে কোনো অংশে কম নয়। অবনী এসে অন্তিকে জড়িয়ে ধরে শুভ কামনা জানায়। হৃদান তাইমুরের সাথে কথা বলে। ঠিক হয় কাল সন্ধ্যায়-ই কাজী ডেকে বিয়ে পড়ানো হবে। অন্তি আঁড়চোখে তাইমুরকে দেখে। হৃদানের সাথে সে বেশ স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে। রেহেনা বেগম হৃদানকে উদ্দেশ্য করে বলে,

মনে রেখ এ আমারে পর্ব ১১

–‘বাবা, বিয়েটা যদিও কোনো আয়োজনের সাথে হবে না তবুও আত্মীয় বলতে তোমার মা এবং বোন-ও তো আমাদের পরিবার-ই। উনাদের বলো কাল যেনো আসে।’
হৃদান হাসিমুখে ‘হ্যাঁ’ বলে দেয়। অবনী আর অন্তি একে অন্যের দিকে তাকায়। নীলা আসলেই তো বাঁধবে আরেক ঝামেলা। তাইমুরও তাকিয়েছে তাদের দিকে। অবনী ঠিক করে এবার তবে হৃদানের সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলা দরকার।

মনে রেখ এ আমারে পর্ব ১৩