তুমিময় নেশায় আসক্ত গল্পের লিংক || Jannatul ferdosi rimi

তুমিময় নেশায় আসক্ত পর্ব ১
Jannatul ferdosi rimi (লেখিকা)

বিয়ের দুইদিনের মাথায় সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সামনে অয়ন তার প্রাক্তনের হাত ধরে তার অনামিকায় আংটি পরিয়ে দিয়ে এনগেজমেন্ট সেড়ে ফেললো। অয়নের প্রাক্তন খুশিতে রিমির সামনে অয়নকে জড়িয়ে ধরলো। রিমি দেখতে পেলো তার স্বামীর ঠোটের কোণে অদ্ভুদ হাঁসি ঝুলে রয়েছে, হয়তো নিজের ভালেবাসার মানুষটিকে পেয়ে। রিমি ঠায় দাঁড়িয়ে দূর থেকে হাত ভাজ করে সবকিছু লক্ষ্য করছে। সমস্ত প্রেস-মিডিয়া জোড়ো হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। হওয়াটাই স্বাভাবিক শহরের নামকড়া বিসনেজ ওম্যান রুহানা চৌধুরীর ছোট নাতী অয়ন চৌধুরীর এনগেজমেন্ট বলে কথা। রুহানা চৌধূরী অর্থাৎ চৌধূরী ফ্যাশন বর্তমানে বাংলাদেশের সনামধন্য একটি ফ্যাশন কম্পানির মধ্যে অন্যতম। এই কম্পানিকে রুহানা চৌধুরীই নিজের পরিশ্রমে এতোদুর নিয়ে এসেছে। রুহানা চৌধুরী হাঁসিমুখে অয়ন এবং অয়নের প্রাক্তন যে এখন বর্তমানে অয়নের হবু স্ত্রী,তাকে নিয়ে মিডিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।

ষাট বছর বয়সে পা দিলেও, সবদিক থেকে নিজেকে সবসময় ঠিক রাখেন রুহানা চৌধুরী। চুল গুলো খোপা করে সাদার মধ্যে গোল্ডেন কাতান শাড়িতে নিজেকে সজ্জিত করে রেখেছেন। কপালের লেপ্টে থাকা সামনের চুলগুলো কিছুটা পেঁকে গেলেও তা বেশ লক্ষ্য করা যায়না।
অয়নের প্রাক্তন অর্থাৎ পায়েল রুজানা তো আজকে অনেক খুশি। অবশেষে সে তার ভালোবাসার মানুষকে পাচ্ছে। বার বার তার অনামিকায় হিরের আংটির দিকে তাকাচ্ছে এবং মুচকি মুচকি হাসছে।
অয়ন শুধু ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে মিডিয়ার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে।

পুরো গল্প দেখতে এখানে ক্লিক করুন 

সবকিছুই পর্দার আড়াল থেকে খুব ভালো করেই দেখতে পারছে রিমি। তার স্বামী এবং তার স্বামীর প্রাক্তন প্রেমিকার চর্চা চারদিকে হচ্ছে। রিমির জায়গায় অন্য মেয়ে থাকলে এতোক্ষনে বোধহয়
হুলস্থূল কান্ড বাঁধিয়ে দিতো,কিন্তু রিমি তা কিছুই করলো না বরং চুপচাপ নিজের রুমে গিয়ে বসে পড়লো। যেন তার এতে কিছু যায় আসেনা। হ্যা প্রকৃত পক্ষেই তার এইসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। সে তো অন্য বিষয় নিয়ে চিন্তিত। দুইদিন হয়েছে তার বিয়ে হয়েছে অয়নের সাথে। যদিও এই বিয়েকে সে কিংবা অয়ন কেউই মানেনা। এমনকি চৌধুরী বাড়ির কয়েকজন ছাড়া এবং রিমির বাড়ির লোকেরা ছাড়া তেমন কেউই জানেনা অয়নের দুইদিন আগেই বিয়ে হয়েছে রিমির সাথে। রিমির হঠাৎ করেই দুইদিন আগের কথা মনে পড়ে গেলো। যেদিন রিমির জীবনটি হুট করে মোড় নিয়েছিলো। ,সেদিন রিমির বিয়ে ছিলো তার পছন্দের মানুষটির সাথে। পারিবারিকভাবেই রিমির বিয়েটা ঠিক হয়েছিলো। পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হলেও রিমির সাথে তার হবু স্বামী আমানের বেশ ভালো শখ্যতা গড়ে উঠেছিলো বিয়ের কয়দিন আগে। আমান ডাক্তারি পাশ করে একটি সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে কেবল নিয়োগ হয়েছিলো।

রিমি এবং আমান বিয়ের কয়েকদিনে আগে রোজ রাতে একসাথে কথা বলতো। আমানের কন্ঠ রিমির খুব ভালো লাগতো। খুব মধুরতা নিয়ে সে প্রতিটা কথা বলতো। একদিন সে আনমনেই আবদারের সুরে বলে ফেলেছিলো,
‘ রিমিপাখি শুনেছি তুমি খুব সুন্দর গান করো।আমাদের বিয়ের প্রথম রাতে তুমি আমার জন্যে গাইবে আমি খানিক্টা মুগ্ধ হয়ে শুনবো। কি শুনাবে তো? ‘
রিমি লজ্জায় তখন কিছু বলেনি।
বিয়ের দিন যখন রিমিকে সাঁজানো হচ্ছিলো তখন রিমির মা তার মেয়ের কাছে এসে,মেয়ের থুত্নি উচু করে চুমু খেয়ে বললে
‘ । আজ তুই পরের ঘরে চলে যাবি।আমাকে ভুলে যাস না মা।’
রিমি তার মাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে বলে,
‘ তোমার যেমন আমি ছাড়া কেউ নেই,তেমনিই আমারোও তোমার ছাড়া কেউ নেই। তোমাকে কী করে ভুলি মা? তুমি তো আমার সব তাইনা? ‘
‘ আর আমি তোর কেউ না? ‘

কথাটি বলেই রিমির মামা রুমে ঢুকলেন। রিমি তার মামাকেও জড়িয়ে ধরে নরম গলায় বললো,
‘ তা কী আমি একবার ও বলেছি মামু? তুমিই তো ছোটবেলা থেকে আমাকে আমার মাকে আমার বোনকে আগলে রেখেছো। ‘
রিমির মামু কথাটি শুনে ভাগ্নিকে অত্যান্ত স্নেহের সহিত মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন। রিমি বুঝতে পারছে তার মামু নিজের চোখের জলকে লুকানোর বৃথা চেষ্টা করছে। ছোট বেলায় রিমির বাবা যখন ক্যান্সারে মারা যায় তখন থেকেই রিমির পরিবার তার মামুর আশ্রয় থাকে। রিমির মামি ও অনেক আগেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে। তাই রিমির মা
রিমির দুই মামাতো বোন এবং গোটা সংসারকে নিজের হাতে সামলায়।
অপরদিকে.. অয়ন এবং তার রুহানা চৌধুরী
সিলেটে এসেছিলো কিছুর কাজের জন্যে। রুহানা চৌধুরী তার নতুন কম্পানি তৈরি করার জন্যে সিলেটে মিটিং করতে এসেছিলো অয়নকে নিয়ে।রিমির মামা এলাকার চেয়্যারম্যান। অয়ন চৌধুরী এবং রুহানা চৌধুরীর মতো স্বনামধন্য ব্যক্তিরা তার এলাকায় এসেছে শুনে, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার ভাগ্নীর বিয়ের বিশেষ অতিথি হিসেবে দাওয়াত দায়। যদিও অয়ন যেতে চাইছিলো না কিন্তু রুহানা চৌধুরীর জন্যে সে বিয়েতে যায়।

রিমি তার ঘরে বসে আছে তখনি রিমির মামাতো এক বোন এসে বলে,
‘ আপাই! বিয়েটা হবেনা।আমান ভাইয়া নাকি আজকেই অস্ট্রেলিয়া চলে গিয়েছে কাউকে না জানিয়েই। ‘
রিমি কথাটি শুনেই উঠে দাঁড়ায়। মাথা ঝিম ধরে যাচ্ছে। কথাটি তার হজম হচ্ছে না। এইতো রাতেই সেই আমানের সাথে কথা বললো। এক রাতের মধ্যে কি এমন হয়ে গেলো। রিমির মামাতো বোন বাইরে চেচামেচি শুনে সঙ্গে সঙ্গে বেড়িয়ে যায়। রিমি ধপ করে বসে পড়ে। তার এখনো মাথা কাজ করছে না।
আমান এমনটা কেন করলো তাও সে বুঝতে পারছে না। রিমি মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে, সঙ্গে সঙ্গে ঘরটা অন্ধকার হয়ে যায়। রিমি বুঝতে পারে লোডশেডিং হয়ে গিয়েছে।

তখনি কেউ তার রুমে প্রবেশ করে। রিমি বুঝতে পারে কোন পুরুষ তার রুমে প্রবেশ করেছে, কিন্তু কে? অয়ন ফ্রেশ হওয়ার জন্যে রিমির ঘরটায় ভুলে চলে আসে,কিন্তু অন্ধকারের জন্যে কিচ্ছু দেখতে পারছে না। সে ফোনের লাইট অন করতে নিলে, সঙ্গে সঙ্গে কিছুর সাথে পা ভেজে রিমির উপরে বিছানায় পড়ে যায়। আচমকা এমন হওয়াতে রিমিও হতবাক হয়ে যায়।
বিপত্তি ঘটে তখন যখন পাড়ার মহিলারা মোমবাতি নিয়ে রিমির ঘরে এসে, রিমি এবং অয়নকে এইরকম আপত্তিকর অবস্হায় দেখে। সঙ্গে সঙ্গে তারা বাইরের লোকদের ডেকে আনে। অয়ন সঙ্গে সঙ্গে রিমির উপর থেকে উঠে যায়। ততক্ষনে কারেন্ট ও চলে আসে। বাইরের লোকেরা, রিমির মা ও রিমির মামু এসে অয়ন রিমিকে একসাথে দেখে ফেলে।
বাইরের লোকরা বলতে থাকে,
‘ এই মেয়ের হবু বর এমনি এমনি যায়নি। সবকিছু জেনেই এই মেয়েকে বিয়ে করতে মানা করে দিয়েছে। সে মনে হয়ে জেনে গিয়েছিলো এই মেয়ের রুহানা চৌধুরীর ছোট নাতীর সাথে সম্পর্ক আছে।’

মুহুর্তেই লোকরা রিমির গাঁয়ে চরিত্রহীনার ট্যাগ বসিয়ে দিলো। রিমির ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে।
সে জানে এখন চাইলেও সে তাকে নির্দোষ প্রমান করতে পারবে না। অয়ন রাগে গর্জে উঠে দাঁড়িয়ে বলে,
‘ জাস্ট স্টপ ইট। আর ইউ গাইস টোটালি ম্যাড?
আমি তো এই মেয়েকে চিনেই না। আমাদের কীভাবে
সম্পর্ক থাকতে পারে? ‘
আরেকজন লোক বলে উঠে,
‘ তা বললে কেন হবে? আমরা নিজের চোখে যা দেখলাম তা কি মিথ্যে? ‘
অয়ন সঙ্গে সঙ্গে লোকটার কলার চেপে ধরে বলে,
‘ হাও ডেয়ার ইউ? আপনি আমাকে জাজ করার কে? আপনি জানেন আমি কে? আমি এখন চাইলেই সব কিছু মুহুর্তেই শেষ করে দিতে পারি। মাইন্ড ইট।’
লোকটি নিজের কলার ছেড়ে শক্ত গলায় জবাব দেয়,
‘ তা বললে কী করে হয়? ক্ষমতার জোড়ে একটা মেয়ের জীবনের সাথে খেলবেন আপনি? পারলে আমরা পুলিশে যাবো। যদি আপনি এই মুহুর্তে এই মেয়েকে বিয়ে না করেন। ‘
অয়ন অবাকের সুরে বলে,
‘ বিয়ে?’

‘ হ্যা বিয়ে। আজকের ঘটনার পরে তো এই মেয়ের কোথাও বিয়ে হবেনা। এখন আপ্নাকেই এর মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। ‘
অয়ন চোখমুখ শক্ত করে জবাব দেয়, ‘ হাউ ডেয়ার ইউ? আপনাদের সাহস কী করে হয়? আমাকে থ্রেট দেওয়ার? ওকে আপনারা যা খুশি করেন বাট আমি এই মেয়েকে কিছুতেই বিয়ে করবো না। আপ্নারা আমার কিছুই করতে পারবেন না। বাট আমি চটে গেলে আপনাদের কি হবে সেইটা একবার ভেবে দেখুন।’
‘ক্ষমতার জোরে আপনি একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করবেন আমরা তা কিছুতেই হতে দিবো না।’
লোকটার কথার সাথে বাকিরাও মত দেয়। ততক্ষনে
রুহানা চৌধুরীর কানেও সব কথা যায়। তিনি ঘরে ঢুকে বুঝতে পারেন পরিস্হিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। অয়ন ও বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েছে ততক্ষনে। কিছু করে ব্যাপারটাকে সামলাতে হবে। রুহানা চৌধুরীর ভাবনার মাঝেই, রিমির মামা মাথা নত করে রুহানা চৌধুরীর কাছে আকুতি ভরা কন্ঠে বললেন,
‘ দয়া করে আমার ভাগ্নীর জীবনটাকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করুন। দয়া করুন আমাদের উপর। ‘
রুহানা চৌধুরী কিছু একটা ভেবে ধীর গলায় বললেন,
‘ বিয়েটা হবে। অয়নের সাথেই আপনার ভাগ্নীর বিয়েটা হবে। ‘

র‍ুহানা চৌধুরীর কথায় যেন পরিস্হিতি সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা স্হীর পর্যায়ে চলে গেলো। সবাই থেমে গেলো। অয়ন কিছু বলতে নিলে, রুহানা চৌধুরী অয়নের হাত ধরে বাইরে নিয়ে গিয়ে কিছু বলতে থাকলেন। অয়ন চুপ থাকলেও মুখেও বেশ গম্ভীর্য এটেঁ রেখেছে। রিমি তার মায়ের কাছে গিয়ে, কান্নার সুরে বলে,
‘ মা বিশ্বাস করো উনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। সবাই আমাকে ভুল বুঝছে। ‘
‘ আমি জানি রে মা,কিন্তু নিজের মামার সম্মান রক্ষার জন্যে হলেও বিয়েটা করে নে। ‘
মায়ের কথা শুনে রিমি তখন আর কিছু বলতে পারলো না,কিন্তু তখনি তার মাথায় অন্য চিন্তা চলে আসলো। ঠোটের কোণে আলতো হাঁসি ফুটে উঠলো। আনমনে বলে উঠলো,
‘ এই বিয়েটা করবো আমি। অনেক পুরনো হিসাব বাকি আছে। ‘
সেদিন ভাগ্যের অদ্ভুদ খেলাতে রিমি এবং অয়ন বিয়ে নামক পবিত্র একটি বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায়। যদিও অয়ন একবার রিমিকে দেখিনি কিংবা দেখার প্রয়োজন ও বোধ করেনি। কেননা রিমি মাথায় ঘোমটা টেনে রেখেছিলো। তাদের বাড়ির অদ্ভুদ নিয়ম বাসররাতের আগে পর্যন্ত সেই সকাল থেকে ঘোমটা টেনে থাকতে হয় বউকে। তাই যখন অয়ন রিমির গাঁয়ের উপর পড়ে গিয়েছিলো তখনও রিমিকে দেখিনি। রিমি শুধু ঘোমটার আড়াল থেকে

দেখে ছিলো অয়নকে। বেশ লম্বাটে সুঠোম দেহীর বেশ সুদর্শন একজন পুরুষ। বেশি ফর্সা না হলেও কিছুটা হলুদ ফর্সা গাঁয়ের রং। নীল রংয়ের ব্লেজার পড়ে ছিলো। মুখ বেশ গম্ভীর। কবুল বলেই অয়ন আর অপেক্ষা করেনা বেড়িয়ে যায় সেখান থেকে সঙ্গে সঙ্গে। রুহানা চৌধুরীই রিমিকে তাদের চৌধুরী বাড়িতে নিয়ে আসে। চৌধুরী বাড়িতে প্রবেশ করানোর আগেই,তিনি বলেছিলেন
‘ বাড়িতে প্রবেশ করার আগে আমার কিছু শর্ত রয়েছে? ‘
রিমি ভ্রু কুচকে বলে, ‘ কি শর্ত? ‘
‘ দেখো আমি তোমার সাথে অয়নের বিয়েটা দিয়েছি কিছুটা বাধ্য হয়ে কিন্তু অয়নের বিয়ে আগে থেকেই ঠিক হয়ে রয়েছে। দুইদিন পরে ওর এন্গেজমেন্ট বিখ্যাত মডেল পায়েলের সাথে। তাই তুমি নিজেকে অয়নের বউ মনে করতে শুরু করো না। আমি এর বদলে তোমাকে অনেক টাকা দিবো। তুমি শুধু অয়নকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যাবে। ‘
‘ আমার টাকা লাগবে না। আপনি শুধু ছয়মাস আপনাকে এই বাড়িতে থাকতে দিন তাহলেই হবে।
চিন্তা করবেন না কেউ জানবে না আমি অয়ন চৌধুরীর বউ। আপনাদের তো এতো বড় বাড়ি।
আমাকে ছয় মাসের জন্যে আশ্রয় দিতে পারবেন না? ‘

রিমির এমন কথায় ভরকে যায় রুহানা চৌধুরী। ভীষন অবাক ও হয়। এই মেয়ে টাকার বদলে ছয় মাস সময় থাকতে চাইলো। রিমির প্রস্তাব টা অদ্ভদ লাগলেও সেই মুহুর্তে রুহানা চৌধুরী রিমির কথায় রাজি হয়ে যায়।
বাইরের হৈচৈয়ের শব্দে অতীত থেকে ফিরে আসে রিমি। একটা কথা মাথায় ভীষনভাবে চড়া দিয়ে উঠে। অয়নের সাথে অন্য মেয়ের বিয়ে ঠিক এই কথাটি শুনে প্রেস মিডিয়া বাইরে ভাইরাল করে দেয় তাহলে তো রিমির বাড়ির লোক রিমিকে এই বাড়িতে থাকতে দিবেনা। নিয়ে যাবে তাকে এখান থেকে। কথাটি ভেবেই তরতর করে ঘামতে থাকে। সে দ্রুত পা চালিয়ে বাইরে চলে গিয়ে, দেখতে পায়…..

চলবে কী?

আসসালামু আলাইকুম চলে আসলাম আপনাদের প্রিয় রিজন জুটিকে নিয়ে। যেহুতু এইটি একটি সাইকো স্টোরি হবে, তাই কল্পনার সাথেই গল্পটি লেখা হবে তাই কেউ বাস্তবের সাথে মিলাতে যাবেন না।আশা করি এই গল্পতেও আপনারা আমার অন্য গল্পের মতো ভালোবাসা এবং ভিন্নতার স্বাদ পাবেন এবং আমি আশা করবো প্রথম পর্ব পড়েই কেউ গল্পের ভালো মন্দ বিচার করতে যাবেন না।
হ্যাপি রিডিং ?।

তুমিময় নেশায় আসক্ত পর্ব ২

1 COMMENT

Comments are closed.