অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৬

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৬
ইরিন নাজ

গল্প করতে করতে সকলের পছন্দের খাবার রান্না করছে মীরা এবং আয়ানা। এর মাঝেই কে’টে গেছে কয়েকটা দিন। আজ শুক্রবার। ছুটির দিন। সবাই আজ বাসায় থাকবে। তাই সকলের পছন্দের খাবার রান্নার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই বোন। অনু বেগম এবং প্রীতি সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ঠে’লে রুমে পাঠিয়ে দিয়েছে মীরা, আয়ানা। আজ সবকিছু তারা দুই বোন করবে। বাড়ির পুরুষেরা ইতোমধ্যে মসজিদে চলে গিয়েছে।

গল্পের এক পর্যায়ে মীরা শুধালো,
— “একটা প্রশ্ন করি বোন?”
আয়ানা তরকারি নাড়তে নাড়তে বললো,
— “হ্যা অবশ্যই। জিজ্ঞাসা করছো কেনো!”
মীরা কয়েক সেকেন্ড থেমে পুনরায় শুধালো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— “তোর আর ভাইয়ার মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে তো? মানে আমি কি জানতে চাচ্ছি তুই বুঝতে পারছিস তো? হুট করে বিয়ে হলো তোদের। বিয়েতে তো ভাইয়ার ও কোনো মত ছিলো না। সে তোকে মেনে নিয়েছে তো? আমার কারণে তোর জীবন টা ন’ষ্ট হলো না তো?
মীরার প্রশ্নে হাত থেমে গেলো আয়ানার। আদ্রিশের কথা স্মরণ হতেই চেহারা জুড়ে লাজের আভা ছড়িয়ে পড়লো। সে আলতো হেসে মীরার দিকে তাকিয়ে বললো,

— “উনি আমাকে মেনে নিয়েছে আপু। আমাদের মাঝে সব ঠিকঠাক আছে। উনি আমার জীবনে আসায় আমার জীবন টা ন’ষ্ট হয় নি বরং অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার জীবন টা ক’ঠি’ন থেকে সহজ হয়ে উঠেছে। তাই তুমি এসব নিয়ে একদম ভেবো না। আমি উনার সাথে অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।”
আয়ানার জবাবে মীরা বেশ খুশি হলো। শুধালো,
— “ভালোবাসিস ভাইয়া কে?”

থমকালো আয়ানা। এভাবে তো সে কখনো ভেবে দেখে নি। মীরার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো সে। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলো আসলেই কি সে আদ্রিশ কে ভালোবাসে? আচ্ছা, সে যদি আদ্রিশ কে ভালো নাই বাসতো তবে তার জন্য এতো এতো পা’গ’লা’মি কেনো করে সে? আদ্রিশ নামক পুরুষটার দিকে অন্য কোনো নারী তাকালে স’হ্য হয় না কেনো তার?

কেনো আদ্রিশের দিকে কারণে-অকারণে তাকিয়ে থাকতে এতো এতো ভালো লাগে তার? কেনো আদ্রিশ কে বারংবার নিজের বলে দাবী করতে চায় সে? কেনো আদ্রিশের কাছাকাছি থাকতে তার এতো ভালো লাগে? আদ্রিশ যখন তার যত্ন নেয়, কাছে আসে তখন কেনো এতো সুন্দর অনুভূতি হয়? ইচ্ছে হয় সময়টাকে সেখানেই থামিয়ে দিতে। এই সকল প্রশ্নের উত্তর যদি ভালোবাসা হয় তবে সে ভালোবাসে আদ্রিশ কে, একটু বেশিই ভালোবাসে।

মনে মনে বেশ কয়েকবার ‘ভালোবাসি’ শব্দ টা আওড়ালো আয়ানা। আয়ানার কাছ থেকে কোনো প্রকার জবাব না পেয়ে তাকে খোঁ’চা দিলো মীরা। চোখ নাচিয়ে শুধালো,
— “কিরে বললি না?”
লাজুক হাসলো আয়ানা। জবাব না দিয়েই আবার রান্নায় মনোযোগ দিলো। আয়ানা কে লজ্জা পেতে দেখে তার গাল আলতো করে টা’ন’লো মীরা। বললো,
— “বুঝতে পেরেছি। ফাইনালি আমার বোনটাও নিজের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছে। তা ভাইয়া ও তোকে ভালোবাসে তাই না?”

আবারও থামলো আয়ানা। ভাবতে লাগলো আদ্রিশের কার্যকলাপের কথা। ইদানিং আদ্রিশের কার্যকলাপ দেখে আয়ানার মনে হয় আদ্রিশ তাকে চোখে হা’রা’য়, অনেক অনেক ভালোবাসে। কিন্তু লোক টা মুখে স্বীকার করে না। কেনো করে না? অভিমান হলো আয়ানার। আদ্রিশ কি পারে না নিজের ভালোবাসার কথা তাকে জানাতে!
আয়ানা আদ্রিশের কথা ভাবতে ভাবতেই অন্যমনস্ক হয়ে জবাব দিলো,

— “হয়তো ভালোবাসে।”
মীরা এক্সসাইটেড হয়ে শুধালো,
— “তুই ভাইয়া কে নিজের মনের কথা জানিয়েছিস?”
— “উহু।”

— “আর ভাইয়া? সে ও বলে নি বোধহয়। একে অপরকে ভালোবাসিস অথচ বলছিস না। এটা কোনো কথা!”
দীর্ঘশ্বাস ফেললো আয়ানা। মীরার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কথা ঘুরিয়ে ফেললো। আহিল আর মীরার সম্পর্কের কথা জানতে চাইলো। মীরা, আহিল সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলতে লাগলো। আহিলের একেকটা কান্ড বলতে বলতে কখনো হেসে কু’টি’কু’টি হলো আবার কখনো লজ্জা পেলো। এভাবেই গল্প করতে করতে রান্না শেষ করলো দুই বোন।

নামাজ শেষে বাড়ি ফিরলো আদ্রিশ। রুমে প্রবেশ করার পর আয়ানা কে হেসে হেসে ফোনে কথা বলতে দেখলো সে। কপালে ভাঁজ পড়লো তার। হঠাৎ করে মাথায় দু’ষ্ট বুদ্ধি চা’প’লো। নিঃশব্দে আয়ানার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো সে। হুট করে জড়িয়ে ধরলো আয়ানা কে। আয়ানার ভেজা উন্মুক্ত চুলের ভাঁজে মুখ গুজলো। হঠাৎ আ’ক্র’ম’ণে চমকে উঠলো আয়ানা। ফোন টা হাত থেকে পড়েই যাচ্ছিলো তার। কোনোমতে সামলে নিলো সে। আয়ানা চুপ হয়ে যাওয়ায় ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি হ্যালো, হ্যালো করেই যাচ্ছে। ফোন টা পুনরায় কানের কাছে নিলো আয়ানা। কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,

— “আমি ঠিক আছি। কিছু হয় নি। আমি পরে কথা বলছি তোমার সাথে। এখন রাখি। আল্লাহ হাফেজ।”
কল কে’টে আদ্রিশের হাতে স’জো’রে চি’ম’টি কা’ট’লো আয়ানা। ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো,
— “এমন কেউ করে! কতো ভয় পেয়েছিলাম জানেন! আরেকটু হলে ফোন টা নিচে পড়ে যেতো।”
আয়ানার ঝাঁ’ঝা’লো কণ্ঠে মুখ উঠালো আদ্রিশ। আয়ানার গালে শ’ক্ত করে একটা চুমু খেলো। অতঃপর আয়ানার প্রশ্নের জবাব না দিয়েই পাল্টা প্রশ্ন করলো,

— “কার সাথে কথা বলছিলে বউ?”
আদ্রিশের আদুরে স্পর্শে এবং বউ ডাকে রা’গ যেনো গ’লে পানি হয়ে গেলো আয়ানার। সে আদ্রিশের হাতে আঁকিবুকি করতে করতে জবাব দিলো,
— “আম্মুর সাথে।”
— “কেমন আছে আম্মু? সব ঠিক আছে তো?”

— “হু, সব ঠিক আছে। আম্মু ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে এখন। সারা আপু আর উনার আম্মু কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এতদিন বোনের কথায় সায় দিয়ে আম্মু কে ক’ষ্ট দেয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন উনি। সারা আপুরা যাওয়ার পর আম্মুর সাথে আর একটুও বা’জে ব্যবহার করেন নি। আম্মু আম্মুর মতো থাকে, আর উনি উনার মতো।”
— “যাক সব ঠিক হচ্ছে তাহলে….”

— “হু, আমার লাইফে আপনার আগমনের পর থেকে সবকিছু ধীরে ধীরে ঠিক হচ্ছে।”
আপনমনে শেষের কথা টা বলে উঠলো আয়ানা। নিঃশব্দে হাসলো আদ্রিশ। আয়ানার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বললো,
— “তাই!”
লজ্জায় পড়ে গেলো আয়ানা। নিজেকে আদ্রিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো,
— “আমি নিচে যাচ্ছি। আপনি ও আসুন। সবাই অপেক্ষা করছে হয়তো।”
কথাটুকু বলে এক প্রকার পা’লি’য়ে গেলো আয়ানা। সেদিকে তাকিয়ে হাসলো আদ্রিশ।

লাঞ্চ করতে বসেছে সবাই। পছন্দের খাবার পেয়ে সবাই খুব খুশি। একটু খাচ্ছে আবার একটু আয়ানা, মীরার প্রশংসা করছে। এমন সময় হালকা কাশি দিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন অনু বেগম। বললেন,
— “আদ্রিশ, আহিল বলছিলাম যদি খুব ব্যস্ত না থাকো তবে দুই চার দিন আয়ানা, মীরা কে নিয়ে কোথায় থেকে ঘুরে আসো। বিয়ের পর তেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি তোমাদের। আহিল অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলে, আদ্রিশ হসপিটাল নিয়ে আর আয়ানা তো পড়াশোনায় ডু’বে ছিলো। আয়ানা আর মাত্র কয়েকটা দিন ফ্রি আছে। তারপর আবার পড়াশোনা শুরু। তাই বলছিলাম যদি পারো তাহলে মেয়ে দুটো কে নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে এসো।”

অনু বেগমের প্রস্তাব বেশ মনে ধরলো সবার। আহিলের বাবা বললেন,
— “আপাতত অফিসে কাজের প্রে’সা’র কম। আমি সামলে নিতে পারবো। আহিল তুমি মীরা কে নিয়ে ঘুরে আসো তবে। আর আদ্রিশ তুমি কি বলো?”

— “আমাকে আগে স্যারের সাথে কথা বলতে হবে। তারপর বলতে পারবো এখন সম্ভব কিনা।”
জবাব দিলো আদ্রিশ। আয়ানা হাস্যজ্জ্বল মুখে আদ্রিশের দিকে চাইলো। রিসেন্টলি আনিকার কাছ থেকে নিয়ে একটা বই পড়েছে সে। সম্পূর্ণ ভ্রমণ কাহিনীর উপর লেখা। বই এ এতো সুন্দর করে ভ্রমণকৃত এলাকার বর্ণনা দেয়া ছিলো যে তার ইচ্ছে করছিলো উড়ে উড়ে সেখানে চলে যেতে। তার ইচ্ছে টা হয়তো বা এবার সত্যি হতে চলেছে ভেবে আনন্দে মন নেচে উঠলো আয়ানার।

সকলের খাওয়া শেষ হবার পর মীরার সঙ্গে হাতে হাতে সবকিছু গুছিয়ে ফেললো আয়ানা। এরপর এক প্রকার লাফাতে লাফাতে রুমে ফিরলো। ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনে ভীষণ আনন্দিত সে। কিন্তু রুমে প্রবেশ করার পর আদ্রিশের গম্ভীর মুখ টা দেখে হাসি উবে গেলো আয়ানার। চিন্তিত হলো সে। দরজা চা’পি’য়ে আদ্রিশের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। আয়ানার উপস্থিতি টের পেয়ে তার দিকে চাইলো আদ্রিশ। আয়ানা কিছু প্রশ্ন করার আগেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠলো,

— “এই মাসে কোথাও যাওয়া সম্ভব না। স্যারের সাথে কথা হয়েছে। প্রচুর প্রে’সা’র আছে। তার উপর বেশ কয়েকটা অপারেশন ও আছে। এমতাবস্থায় উনি কিছুতেই ছুটি দিতে রাজী নন। উনি চাচ্ছেন অপারেশন গুলোতে আমিই যেনো উনাকে অ্যাসিস্ট করি।”

আদ্রিশের বলা কথাগুলো শুনে মন টা একটু খা’রা’প হলো আয়ানার। ভেবেছিলো এবার বুঝি বই এ বর্ণিত সৌন্দর্য্য নিজের চোখে দেখতে পারবে, ছুঁয়ে দেখতে পারবে। কিন্তু হলো না। আয়ানার ভাবনার মাঝেই তার কোমর আঁকড়ে ধরে নিজের কাছাকাছি নিয়ে আসলো আদ্রিশ। অ’প’রা’ধী কণ্ঠে শুধালো,
— “মন খা’রা’প হয়েছে তাই না?”

মন খা’রা’প হলেও নিজেকে সামলে নিলো আয়ানা। চওড়া হেসে আদ্রিশের চোখে চোখ রেখে বললো,
— “না, নাহ। মন খা’রা’প হবে কেনো? আমরা পরে কখনো যাবো। সময় তো শেষ হয়ে যাচ্ছে না। মানুষের জীবন বাঁচানো আগে তারপর ঘুরাফেরা।”

আয়ানার জবাবে নিঃশব্দে হাসলো আদ্রিশ। ঘুরতে যাওয়ার কথা শোনার পর আয়ানার চোখে মুখে অন্যরকম আনন্দের ঝলক দেখেছে সে। আর এখন যেতে পারবে না জেনে যে আয়ানার মন খা’রা’প হয়েছে সেটাও বুঝতে পারছে। তবুও কতো সহজে হেসে ব্যাপারটাকে উড়িয়ে দিলো আয়ানা যাতে তার গিলটি ফীল না হয়। আয়ানার এরূপ আচরণ আরও বেশি মুগ্ধ করলো আদ্রিশ কে। সে আয়ানার কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললো,

— “একবার শুধু ছুটি পাই, তারপর দূরে কোথাও ঘুরতে যাবো আমরা। সমস্ত সৌন্দর্য্য সামনে থেকে দেখবো, অনেক অনেক ঘুরবো।”
কথাগুলো বলে আলতো করে আয়ানার নাকের ডগায় চুমু খেলো আদ্রিশ। কেঁপে উঠলো আয়ানা। চোখ বন্ধ হয়ে আসলো আপনাআপনি। গভীর চোখে আয়ানার মুখশ্রী অবলোকন করতে লাগলো আদ্রিশ। এতো কাছাকাছি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হা’রি’য়ে ফেললো সে।

আয়ানার হালকা গোলাপি অধর যেনো পা’গ’ল করে তুললো তাকে। কোনো কিছু না ভেবেই আয়ানার অধরে অধর ছোঁয়ালো সে। গভীর চুম্বনে লিপ্ত হলো। আদ্রিশের গভীর স্পর্শে কেঁপে উঠে তার বুকে, পিঠে খা’ম’চে ধরলো আয়ানা। কিন্তু মিনিট না গড়াতেই দরজায় নক করলো কেউ। সেই শব্দ আয়ানার কানে প্রবেশ করলেও আদ্রিশ যেনো শুনতেই পেলো না। সে তো আয়ানাতে মত্ত।

আদ্রিশ ছাড়ছে না দেখে শেষমেষ বাধ্য হয়ে আদ্রিশের বুকে জো’রে একটা ধা’ক্কা দিলো আয়ানা। হাতের বাঁধন আলগা হতেই ঝটফট দূরে সরে গেলো সে। গাল জোড়া রক্তিম বর্ণ ধারণ করলো নিমিষেই। মাথা নিচু করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলতে লাগলো আয়ানা। পুনরায় দরজায় নক হওয়ায় নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো সে। দরজা খুলতে এগিয়ে গেলো। ভ্রু কুঁচকে দরজার দিকে তাকিয়ে রইলো আদ্রিশ। তার রোমান্স এর বারোটা বা’জা’নো মানুষটা কে দেখতে চায় সে। আয়ানা দরজা খুলতেই আহিলের দেখা পেলো। দাঁত কেলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে। আয়ানা কে দেখে বললো,

— “ভাইয়ের সাথে বলতে এসেছিলাম।”
আয়ানা একটা হাসি দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। দুই ভাই একান্তে কিছু সময় কথা বলুক। আর সে ও এখন আদ্রিশের সামনে থাকলে নিশ্চিত লজ্জা পাবে।
আয়ানা যাওয়ার পর আদ্রিশের কাছাকাছি এসে দাঁড়ালো আহিল। দাঁত কেলিয়ে শুধালো,

— “কি ব্রো, দরজা খুলতে এতো সময় লাগে? নাকি কিছুমিছু চলছিল?”
আহিলের প্রশ্নের উত্তরে ক’ট’ম’ট চাহনি নিঃ’ক্ষে’প করলো আদ্রিশ। আদ্রিশ কে এভাবে তাকাতে দেখে বোকা বোকা হাসি দিলো আহিল। আমতা আমতা করে বললো,

— “না, মানে ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারে কি ঠিক করলে জানতে এসেছিলাম।”
— “এই মাসে সম্ভব নয়।”
মুড অফ হলো আহিলের। ভেবেছিলো দুই ভাই বউ নিয়ে একত্রে ঘুরে আসবে। কিন্তু হলো কই! সে বললো,
— “তাহলে আমরাও যাবো না। পরে একসাথে যাবো নে।”
ব্যাপার টা মানতে পারলো না আদ্রিশ। সে কবে না কবে ছুটি পাবে। তার অপেক্ষায় থাকলে মীরা, আহিলের ঘুরাই হবে না। তাই সে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৫

— “তুই আর মীরা ঘুরে আয়। আমি পরে ছুটি পেলে আয়ানা কে কোথাও থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবো।”
আহিল কিছু বলতে যাচ্ছিলো, তার পূর্বেই আদ্রিশ পুনরায় বলে উঠলো,
— “আর কোনো কথা নয়। তুই এখন ফ্রি আছিস, ঘুরে আয় মীরা কে নিয়ে। আমাদের অপেক্ষায় থাকলে পরে দেখা যাবে আমি ফ্রি, তুই ব্যস্ত। এসবের চক্করে ঘুরা হবে না। আর মীরা ও অনেক আশা নিয়ে আছে হয়তো।”

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৭