অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৭

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৭
ইরিন নাজ

রাত ৯:৪৫। গল্পের বইয়ের মাঝে মুখ ডুবিয়ে রেখেছে আয়ানা। আজ একটা সাসপেন্স, থ্রিলার বই নিয়ে বসেছে সে। পাতায় পাতায় যেনো নতুন চমক অপেক্ষা করছে। কিছুতেই বইয়ের পাতা থেকে চোখ সরাতে পারছে না সে। একটু আগেই ডিনার সেরে এসেছে সে আর আদ্রিশ। আজ আদ্রিশ একটু আগেই বাড়ি ফিরেছে। কিন্তু রুমে আসার পর ফোন নিয়ে বেলকনিতে চলে গিয়েছে সে। তাই গল্পের বই নিয়ে বসে পড়েছে আয়ানা। আনিকার এক্সাম চলছে, মীরা ও ঘুরতে গিয়েছে আজ দুদিন হতে চললো। এখন বই ই একমাত্র সঙ্গী আয়ানার।

হঠাৎ চোখের সামনে থেকে বই টা উধাও হয়ে যাওয়ায় উত্তেজিত হলো আয়ানা। গল্পে চরম সাসপেন্স চলছে। আর এমন সময় বই নিয়ে নেওয়ায় বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে আসলো তার। চোখ মুখ কুঁচকেই আদ্রিশের দিকে চাইলো সে। কারণ বই টা আদ্রিশ ই নিয়েছে। আয়ানা কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— “বই টা ফেরত দিন প্লিজ। চরম মানে চরম সাসপেন্স চলছে। প্লিজ দিয়ে দিন।”
আয়ানার মুখের অবস্থা দেখে মিটমিটিয়ে হাসতে লাগলো আদ্রিশ। আদ্রিশ কে হাসতে দেখে রা’গ হলো আয়ানার। গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে চাইলো সে। বউ যে রে’গে যাচ্ছে বেশ বুঝতে পারলো আদ্রিশ। সে আয়ানার গাল টে’নে আলতো হেসে বললো,

— “এখন আর বই পড়া চলবে না ডিয়ার মিসেস। সারাদিন তো বইয়ের মাঝেই মুখ গুজে সময় কা’টি’য়েছেন। এখন আপনার মূল্যবান কিছু সময় আমাকে দিয়ে ধন্য করুন।”
আদ্রিশের কথায় রা’গ উধাও হয়ে গেলো আয়ানার। তবুও রা’গে’র ভান ধরে রইলো সে। চো’রা চোখে চাইলো আদ্রিশের দিকে। আদ্রিশ গল্পের বই টা টেবিলে রেখে পুনরায় আয়ানার কাছে এসে দাঁড়ালো। হাত ধরে বিছানা থেকে নামালো আয়ানা কে। বললো,

— “জলদি সুন্দর করে মাথায় ওড়না দিয়ে বাসার বাইরে এসো। আমি অপেক্ষা করছি।”
অবাক হলো আয়ানা। এই রাতের বেলা নিচে কি কাজ আদ্রিশের! আবার তাকেও যেতে বলছে। প্রশ্ন করতে চাইলো আয়ানা। কিন্তু প্রশ্ন করার পূর্বেই দ্রুত পায়ে রুমের বাইরে চলে গেলো আদ্রিশ। ঠিক কি কারণ হতে পারে ভাবতে ভাবতে সুন্দর করে মাথায় ওড়না দিলো আয়ানা। অতঃপর নিচে নেমে সোজা বাইরে চলে আসলো।

বাইরে আসতেই অবাকের রেশ কা’টা’র পরিবর্তে আরও এক ধাপ বেড়ে গেলো যেনো আয়ানার। আদ্রিশ হেলমেট পড়ে একটা বাইকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আয়ানা গোল গোল চোখে তাকিয়ে রইলো সেদিকে। আদ্রিশ চোখের ইশারায় কাছে যেতে বললো আয়ানা কে। আয়ানা ধীর পায়ে ঠিক আদ্রিশের সামনে এসে দাঁড়ালো। চোখে তার অসংখ্য কৌতূহল। আদ্রিশ আরেকটা হেলমেট নিয়ে যত্ন সহকারে আয়ানা কে পড়িয়ে দিলো। আয়ানা কৌতূহল দমাতে না পেরে বললো,

— “এই বাইক…”
— “আমার মেডিকেল লাইফের সঙ্গী ছিলো এটা। দ্বিতীয় বর্ষে উঠার পর গিফট করেছিলো আম্মু। তবে বহু, বহু দিন যাবৎ চালানো হয় না। তাই তুমি ও দেখো নি। ভাবলাম, আজ এই বাইকে চড়ে প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে একটা রাইড দিয়ে আসি।”
আদ্রিশের মুখে ‘প্রিয় মানুষ’ সম্বোধন শুনে লাজুক হাসলো আয়ানা। খুশ মনে প্রশ্ন করলো,

— “কিন্তু কোথায় যাবো আমরা?”
মৃদু হাসলো আদ্রিশ। বাইকে উঠে বসলো সে। আয়ানার চোখে চোখ রেখে জবাব দিলো,
— “যেদিকে দু চোখ যায়। আজ আমরা দুজন রাতের অন্ধকারে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় শহর টা ঘুরে দেখবো। কি যাবে তো?”
ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনে আনন্দে আপ্লুত হলো আয়ানার মন। আবার ভ’য় ও হতে লাগলো। সে আদ্রিশের টি-শার্ট এর হাতা খা’ম’চে ধরে বললো,

— “এতো রাতে যাওয়া কি ঠিক হবে? যদি কোনো বি’প’দ হয়?”
— “আমি আছি তো। কিচ্ছু হবে না ইনশাআল্লাহ।”
আদ্রিশের বলা ‘আমি আছি তো’ কথাটুকু যেনো আয়ানার সকল ভী’তি দূর করে দিলো। মিষ্টি করে হাসলো সে। আয়ানার দিকে নিজের হাত টা বাড়িয়ে দিলো আদ্রিশ। ইশারায় বাইকে উঠতে বললো। মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় আদ্রিশের হাতে হাত রাখলো আয়ানা। শক্ত করে ধরে উঠে বসলো। বাইকে আজ তার প্রথম রাইড। ভীষণ এক্সসাইটেড সে। আদ্রিশ বাইকের লুকিং গ্লাসে একবার আয়ানা কে দেখে নিয়ে বললো,

— “নাও, এবার আমাকে শক্ত করে ধরে বসো।”
আয়ানা যেনো আদ্রিশের বলার অপেক্ষাতেই ছিলো। বলতে না বলতেই এক হাতের সাহায্যে শক্ত করে আদ্রিশ কে জড়িয়ে ধরলো সে।

হাইওয়ে ধরে মিডিয়াম স্পিডে বাইক চালাচ্ছে আদ্রিশ। মাঝে মাঝে লুকিং গ্লাসে আয়ানা কে দেখছে সে। আয়ানার মনোযোগ আপাতত রাস্তার দিকে। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় মুগ্ধ হয়ে রাতের শহর দেখছে সে। রাতের শহরের সৌন্দর্য আসলেই অন্যরকম। রাত ১০ টার বেশি হলেও রাস্তায় ভালোই মানুষজন আছে। গাড়ি, রিকশা, অটো সবকিছুই কমবেশি চলছে।

প্রায় আধা ঘন্টা পর এক জায়গায় এসে বাইক থামালো আদ্রিশ। বাইক থেমে যাওয়ায় আদ্রিশের দিকে চাইলো আয়ানা। কৌতূহল নিয়ে নেমে দাঁড়ালো। শুধালো,

— “কোথায় এসেছি আমরা?”
— “বাসা থেকে অনেক দূরে।”
জবাব দিয়ে আয়ানার হাত মুঠোয় পুরে হাঁটতে লাগলো আদ্রিশ। ফের বলে উঠলো,
— “আজ তোমাকে মামার হাতের বেস্ট চা খাওয়াবো। মেডিকেলে পড়ার সময় নিয়মিত এখানে আসতাম, বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতাম মাঝে মাঝে। মামার তৈরি চায়ের তুলনা হয় না।”
আয়ানা প্রশ্ন করলো,

— “এতো রাত অব্দি দোকান খোলা রাখেন উনি?”
— “রাত বারোটায় আসলেও উনার দোকানে কাস্টমার দেখতে পাবে তুমি। এলাকার অনেকেই রাতের বেলা চা খায়, আবার অনেকে শখ করে দূর থেকেও খেতে আসে। আর উনার বাসা ও এই এলাকাতেই। তাই বেশি রাত হলেও তেমন সমস্যা হয় না।”

কথা বলতে বলতে ছোট একটা দোকানের সামনে এসে থামলো আদ্রিশ। দোকান ছোট হলেও কাস্টমার অনেক। আদ্রিশ হেসে সালাম দিলো দোকানে থাকা বয়স্ক লোকটা কে। লোক টা যেনো আদ্রিশ কে চিনতে পারলো। চওড়া হেসে কুশল বিনিময় করলো আদ্রিশের সাথে। আদ্রিশের পাশে দাঁড়ানো আয়ানার দিকে চোখ যেতেই প্রশ্ন করলো,

— “এইডা কে?”
— “আমার ওয়াইফ।”
আয়ানা নম্র কণ্ঠে সালাম দিলো লোকটা কে। লোক টা হেসে সালামের জবাব দিলো। আদ্রিশ কে উদ্দেশ্য করে বললো,
— “বাহ্ বিয়া হইয়া গেছে জাইনা খুশি হইলাম। তা এতো রাইতে এইখানে? কোনো কাজে আইছিলা বুঝি?”
আদ্রিশ হেসে বললো,

— “ডাক্তার মানুষ। দিনে সময় পাই না। তাই রাতেই বউ কে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম। এখান অব্দি এসেছি যখন ভাবলাম তোমার হাতের চা টেস্ট করাই। তোমাকে ভুলে গেলেও তোমার হাতের চায়ের স্বাদ যে ভুলতে পারি না!”
আদ্রিশ প্রশংসা করায় ভীষণ খুশি হলো লোক টা। মাটির কাপে গরম গরম গাঢ় দুধ চা পরিবেশন করলো। মাটির কাপে চা, ব্যাপার টা বেশ মনে ধরলো আয়ানার। অনেক আগ্রহ নিয়ে চায়ে চুমুক দিলো সে। আদ্রিশ প্রশ্ন করলো,

— “কেমন লাগলো?”
— “সত্যিই অসাধারণ। এতো টেস্টি চা আগে কখনো খাই নি।”
মিষ্টি হেসে বললো আয়ানা। চা শেষ করে লোকটার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাইকের কাছে ফিরে আসলো দুজন। আয়ানা বাইকে উঠে পুনরায় আদ্রিশ কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। বললো,
— “আবার নিয়ে আসবেন তো এই স্পেশাল চা খাওয়াতে?”
— “ইনশাআল্লাহ, শীঘ্রই।”

ঘাড় আলতো কাত করে জবাব দিলো আদ্রিশ। ফের বাইক স্টার্ট দিলো। কিছুদূর যাওয়ার পর এক প্রকার চিল্লিয়ে উঠলো আয়ানা। বললো,
— “এই, এই বাইক থামান।”
আয়ানার হঠাৎ চিল্লিয়ে বলা কথায় দ্রুত বাইক থামালো আদ্রিশ। শুধালো,
— “কি হলো? বাইক থামাতে বললে কেনো?”
আয়ানা বাইক থেকে নেমে হাতের ইশারায় একটা দোকান দেখিয়ে আনন্দে গদগদ হয়ে বললো,

— “ফুচকা খাবো।”
আদ্রিশ চোখ ছোট ছোট করে তাকালো আয়ানার দিকে। বললো,
— “ওটা না খেলে হয় না?”
আয়ানা আদ্রিশের হাত টেনে আহ্লাদী কণ্ঠে বললো,
— “প্লিইইইইইইজ…”

আয়ানার আহ্লাদী কণ্ঠে করা আবদার ফেলতে পারলো না আদ্রিশ। বাইক থেকে নেমে আসলো। আয়ানা আদ্রিশের আগে আগেই লাফাতে লাফাতে দোকানে গিয়ে ফুচকা অর্ডার করলো। কিছুক্ষন পর ফুচকা চলে আসলে টেস্ট নিয়ে খেতে লাগলো আয়ানা। আদ্রিশ পাশে দাঁড়িয়ে আয়ানার ফুচকা খাওয়া দেখে যাচ্ছে। আয়ানার মুখের অভিব্যক্তি দেখে মনে হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার খাচ্ছে সে।

হঠাৎ আদ্রিশের মুখের সামনে একটা ফুচকা ধরলো আয়ানা। আদ্রিশ না করতে চেয়েও পারলো না। ফুচকা টা মুখে পুরে নিলো। ফুচকা তে বোম্বাই মরিচ ব্যবহার করা হয়েছে, বেশ ঝা’ল। আদ্রিশের মোটামোটি ঝা’ল খাওয়ার অভ্যাস আছে। তাই তেমন একটা সমস্যা হলো না। সে তাকালো আয়ানার দিকে। ঝা’ল ঝা’ল কয়েকটা ফুচকা খাওয়ার পর ই চোখে পানি চলে এসেছে আয়ানার, নাক টা লাল হয়ে এসেছে। তবুও একের পর এক ফুচকা টেস্ট নিয়ে খেয়ে যাচ্ছে সে, মাঝে মাঝে নাক টা’ন’ছে। আদ্রিশ, আয়ানা কে উদ্দেশ্য করে বললো,

— “তুমি খেতে লাগো, আমি আসছি একটু।”
আয়ানা মাথা ঝাকিয়ে পুনরায় খাওয়ায় মনোযোগ দিলো। কিছুক্ষন পর সবগুলো ফুচকা খেয়ে শেষ করলো সে। এতক্ষন ফুচকার স্বাদের মাঝে ডুবে থাকলেও এখন ঝা’লে লাল অবস্থা তার। এর মাঝেই ফেরত আসলো আদ্রিশ। আয়ানার হাতে একটা আইসক্রিম আর একটা কোল্ড ড্রিংকস এর বোতল ধরিয়ে দিলো।

কোল্ড ড্রিংকস পেয়ে সাথে সাথে বোতলের মুখ খুলে কয়েক ঢোক খেলো আয়ানা। এখন একটু শান্তি লাগছে তার। এমন সময় কপালে কিছুর স্পর্শ টের পেলো আয়ানা। আদ্রিশ যত্ন সহকারে তার কপালে জমা বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে দিচ্ছে। মুগ্ধ চোখে আদ্রিশের দিকে তাকিয়ে রইলো সে। কিছু বলার পূর্বেই মানুষ টা তার সকল প্রয়োজন বুঝে যায় ভেবে ঠোঁটের কোণে আপনাআপনি হাসি চলে আসলো আয়ানার। তার ইচ্ছে হলো আদ্রিশ কে প্রশ্ন করতে ‘আপনি এতো কিউট, এতো সুইট কেন?’

— “ঝাল খেতে পারো না যখন খেয়েছো কেনো?”
আদ্রিশের শক্ত কণ্ঠে ঘোর থেকে বেরিয়ে আসলো আয়ানা। অধর কোণে বিদ্যমান হাসি পালালো যেনো। ঠোঁট উল্টালো সে। বললো,
— “ঝাল ঝাল খেতে মজা লাগে, আবার ঝাল ও লাগে। কি করি বলেন? তবে এখন আর ঝাল লাগছে না, একদম লাগছে না।”

আয়ানার এমন জবাবে হাসি পেলো আদ্রিশের। মুখ ঘুরিয়ে নিঃশব্দে হাসলো সে। ফের গম্ভীরতা বজায় রেখে বললো,
— “আইসক্রিম গলে যাচ্ছে। যাও খেতে লাগো। আমি টাকা দিয়ে আসছি।”
আয়ানা সম্মতি জানিয়ে বাইকের কাছে চলে গেলো। একটু পর টাকা দিয়ে বাইকের কাছে আসলো আদ্রিশ। দেখতে পেলো আয়ানা বাইকের উপর বসে আয়েস করে আইসক্রিম খাচ্ছে। আয়ানার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো সে। আদ্রিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আয়ানা বলে উঠলো,

— “জানেন আমার বহুদিনের স্বপ্ন ছিলো এভাবে রাতের অন্ধকারে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় ঘুরে বেড়ানোর। আগে ভাবতাম, ‘ইশ! যদি রাতের বেলা ঘুরে বেড়াতে পারতাম!’ কিন্তু তখন এটা আমার জন্য অসম্ভব কিছু ছিলো। আজ আমার সেই অসম্ভব ভাবা স্বপ্ন টা পূরণ হলো।”

— “অজান্তেই হোক, অন্তত বউয়ের একটা স্বপ্ন তো পূরণ করতে পারলাম!”
আয়ানার ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা আইসক্রিম টুকু মুছে দিয়ে বললো আদ্রিশ। আয়ানা মাথা নিচু করে লাজুক হাসলো। আয়ানার হাসিমাখা মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আদ্রিশ। এই হাসিটুকুই তার প্রাপ্তি। এই হাসিটুকু দেখার জন্যই তো আজকের এই আয়োজন। মেঘের গুরুমগুরুম শব্দে আকাশের দিকে চাইলো আদ্রিশ, আয়ানা।

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৬

আকাশে মেঘ জমেছে, ফুরফুরে বাতাস বইছে, যেকোনো সময় বৃষ্টি নামবে হয়তো। আয়ানা দ্রুত আইসক্রিম শেষ করে তাড়া দিয়ে বললো,
— “এবার বাসায় যাওয়া উচিত আমাদের। অনেক রাত হয়ে গেছে। আর যেকোনো সময় বৃষ্টি ও নামবে হয়তো।”
আয়ানার কথায় সম্মতি দিয়ে বাইক স্টার্ট দিলো আদ্রিশ।

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৮