অদ্ভুত প্রেমানুভূতি পর্ব ৩ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

অদ্ভুত প্রেমানুভূতি পর্ব ৩
Suraiya Aayat

বিকাল চারটে…
আরোশী দুপুরে লাঞ্চ করে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিল আর আসাদ ল্যাপটপে বসে তখন কিছু কাজ করছিল৷ দুজনের মধ্যে আর কোন কথা হয়নি….
বিকালে ঘুম ভাঙলো তোহার ডাকে….

তোহা : ভাবি পার্লারের লোকেরা চলে এসেছে, তোমাকে এখন রেডি হতে হবে ৷তোমার শরীরটা কি খুব খারাপ লাগছে?
আসলে আরুশির শরীরটা সত্যিই খারাপ লাগছে৷ দুপুরবেলা বেশ জ্বর জ্বর লাগছিল তবে এখন জ্বর না থাকলেও পরে যে জ্বর আসতে পারে সেটা আরোশী বেশ ভালই বুঝতে পারছে…
আরুশি : না না , আমার শরীর খারাপ লাগছে না৷ আচ্ছা তুমি দশ মিনিট পরে ওদেরকে আসতে বল আমি একটু ফ্রেশ হয়ে নিই….

তোহা চলে যেতেই আরুশি ওয়াশ রুমে চলে গেল….যাওয়ার সময় আসাদকে কোথাও দেখতে পেল না তবে এই ব্যাপার নিয়ে আর বেশি মাথা ঘামাল না ও….
পার্লারের লোকরা আরুশিকে সাজিয়ে দিলো ৷ আসাদরা সপরিবারে কমিউনিটি সেন্টারে গেল যেখানে ওদের বৌভাত এর আয়োজন করা হয়েছে…
আসাদ সবাইকে জানালো যে ও কিছুক্ষণ পরে যাবে তার জন্য ও সকলের সাথে গেল না….
আসলে আজকের দিনে ওর শামিল হওয়ার কোন ইচ্ছাই নেই কিন্তু ওর মা এর কসম দেওয়ার কারনে ওকে যেতেই হবে ৷ নিজের পরিবারকে বড্ড ভালোবাসে ও , পরিবারের লোকের দুঃখের কারণ ও কখনই হতে চাইবেনা ৷
সন্ধ্যা সাতটা…

আরুশির পরিবারের সকলেই এসেছে…
ওর কাজিন রা ওকে ঘিরে রয়েছে, আসাদকে নিয়ে নানান ধরনের কথা বলছে যাতে আরুশি একেবারেই ইন্টারেস্টেড নই ৷ ওর চোখে এখন গেটের দিকে, যে কখন তার বেস্ট ফ্রেন্ড সাদাফ আসবে….
আসলে ওর বেস্টফ্রেন্ড হলো সাদাফ ৷ সেই ছোটবেলা থেকে দুজনে একসঙ্গে পড়াশোনা করে আসছে , দুজনে একসঙ্গে ইউকে থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে এসেছে ,মোটামুটি বলতে গেলে আরুশির ছোট থেকে বড় হওয়া সমস্তটাই হয়েছে সাদাফের সঙ্গে…

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সাদাফ আরুশিকে খুব পছন্দ করে কিন্তু আরূশির জেদ আর রাগের ভয় থেকেই সাদাফ কখনো ওকে বলে উঠতে পারেনি ৷ আরুশি যে সাদাফকে পছন্দ করে না ঠিক তেমনটা নয়, পছন্দ করে তবে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড হিসাবে….
আসাদ অনেকক্ষণ আগেই চলে এসেছে , ওকে আরূশির পাশে বসানো হয়েছে ৷ আরুশির দিকে কেবলমাত্র একটি বার তাকিয়ে ছিলো তারপর থেকে তাকানোর সাহস হয়নি ওর তার কারণ ও একজনকে ভালোবাসে তাই আর অন্য কারোর মায়ায় জড়াতে চায় না ৷ হয়তো তার ভালোবাসার মানুষটি আজ তার সাথে নেই তবে তার জায়গাটাও ও কাউকে দিতে চায় না ৷ ও মনে করে যে ওর মনে দ্বিতীয় কোনো নারীর জন্য ভালোবাসার স্থানটুকু না হয় অপূর্ণই থাকুক….
তবে আরুশি একটিবারের জন্যও আসাদের দিকে তাকাইনি…
হঠাৎ শাদাভ একটা ফুলের তোড়া নিয়ে আরুশির সামনে এসে দাড়ালো….

সাদাভ আসতেই আসাদ সাদাফের দিকে একবার তাকালো তারপর যখনই চোখ সরিয়ে নিতে যাবে তখনই দেখলো আরুশি সাদাফকে জড়িয়ে ধরেছে৷ একটু হলেও অবাক হল আসাদ কারণ ও যতদূর জানি যে আরুশি কোন রিলেশনশিপে ছিল না , তাহলে কি আরুশি কাউকে ভালোবাসা? তাহলে কি এই ছেলেটাকে ভালোবাসে?
আসাদ মনে মনে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসল :ও ভাবতে লাগলো : ভালোবাসলেই আমার কি ?জাস্ট 6 মাস আমরা স্বামী-স্ত্রী তারপরে ও নিজের মতো আমি আমার মতো ৷ তবে ছয় মাসে তো ওয়াইফ হয়ে আছো আমার,আর এই 6 মাসে তোমার লাইফ যদি আমি হেল না করেছি তো আমার নাম আসাদ সাঈদ নয়….

সাঈদ ওদের থেকে চোখ সরিয়ে নিল,তারপর stage থেকে নিচে নেমে গেল…..
বিয়ের কনে বিয়ের স্টেজে অন্য কোন একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরেছে এই ব্যাপারটা দেখে সবাই অবাক ৷ ছেলে পক্ষের লোকের মধ্যে নানা কানাঘুষা চলছে তবে আরূশির বাড়ির লোকের আচরণ খুবই স্বাভাবিক কারণ আরুশি আর সাদাফের সম্পর্কটা ঠিক কেমন সেই কথা সকলেই জানে তাই কেউ কিছু মনে করেনি ৷ তবে সকলের সামনে এভাবে জড়িয়ে ধরা অবশ্যই তা দৃষ্টিকটু….
সাদাফ আরুশির কানে ফিসফিস করে বলল…

এখন তো ছাড়, সকলে দেখছে তো নাকি? আর তোর বর দেখ জেলাস হয়ে এখান থেকে চলে গেছে…
আসাদের কথা শুনতে আরূশি আরো বেশি রেগে গিয়ে সাদাফ কে ছেড়ে দিল….
আরুশি : জেলাসি না ছাই৷ আর উনি জেলাস হল কি না হল তাতে আমার দেখার দরকার নেই ,তবে তুই কালকে আমার বিয়েতে আসলি না কেন? আমি কিন্তু খুব রাগ করেছি…..
সাদাফ: আই এম রিয়েলি সরি আমি আসতে চাইছিলাম কিন্তু জরূরি কাজ পড়ে গেছিল ৷
নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড এর বিয়ের থেকে বড় কাজ বুঝি হতে পারে…
সাদাফ একটা মুচকি হাসল যে হাসির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে হাজারো কষ্ট যা বুঝার ক্ষমতা হয়তো আরুশির নেই ৷
সাদাফ: সে সব কথা বাদ দে , বল সব কেমন চলছে?
আরুশি সাদাফকে এক কোনে টেনে নিয়ে গিয়ে বলল:

আমাদের বিয়েটা যে স্বাভাবিক বিয়ে না সেটা তো তুই খুব ভাল করেই জানিস ৷
জানিস আজকে আমাকে কন্ট্রাক্ট পেপারে সাইন করিয়ে নিয়েছেন উনি যেখানে লেখা আছে আমি লিগালি তার ছয় মাসের বউ তার পরে উনার আর আমার ডিভোর্স হয়ে যাবে…
কথাটা শুনে শাদাফ স্বস্তি পেল এবং তার সঙ্গে কিছুটা অবাকও হল কারণ হতেই পারে উনি ভালোবেসে বিয়ে করেন নি তা বলে ছয় মাসের জন্য?
আরোশী সাদাফকে ডাক দিয়ে : এই তুই এত কি ভাবছিস ?আমি কিছু বললাম আর কিছু বললি নাতো…
সাদাফ :এরপর আবার উনি উনার কথার খেলাপ করবেন না তো?
আরূশি: তোর কি মনে হয় আমি কি ওনার সাথে থাকতে চাই? না তো ! তাহলে?
শাদাফ ঠিক করে নিল যে একবার আরুশির ডিভোর্স হয়ে গেলে আর কোনভাবে আরুশিকে হারাতে দেবেনা….
রাত সাড়ে নটা…..

লোকজন আস্তে আস্তে কমে যেতে লাগলো , সকলে ডিনার করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন ৷সাদাফ অনেকক্ষণ আগেই চলে গেছে….
আরূশি চুপচাপ বসে আছে stage এ তবে ওর পাশের জায়গাটা ফাঁকা কারণ আসাদ সেই তখন চলে গেল তারপরে আসাদকে আর দেখিনি আরুশি….
আরোশী বসে আছে আর তখনই আসাদের মা এলো আরুশির কাছে…..
আসাদের মা : মামনি আসাদ কে কোথাও দেখছি নাতো ! তুই কোথাও দেখেছিস কি?
নাতো মামনি ,উনি সেই অনেকক্ষণ আগে চলে গেছেন তারপর থেকে আমিও দেখিনি ওনাকে৷
তোকে কিছু বলে যায়নি?
নাতো আমাকে কিছু বলে যায়নি!
এবার আসাদের মা আরূশির সামনে ঢুক্রে কেঁদে উঠলেন…
আরোশী হতবাক হয়ে গেল…
মামনি প্লিজ কেদোনা ৷
তোকে বলেছিলাম না মামনি আমার ছেলেটা সম্পূর্ণ চেঞ্জ হয়ে গেছে , ও আজো কোথাও না কোথাও চলে গেছে ৷ আমার ছেলেটা কি আর কখনো ভাল হবে না! বলে কেঁদে ফেললেন…

আরশির এই মুহূর্তে আসাদের মায়ের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে ৷আর কিছু পারুক আর না পারুক কারো চোখের জল আর সহ্য করতে পারে না আরুশি ,এটা যেন ওর কাছে খুবই যন্ত্রণাদায়ক ৷ ওর নিজের মা নেই ,ছোটবেলা থেকে নিজের বাবার কাছে মানুষ হয়েছে ৷ মায়ের ভালোবাসাটা কি সেটাও জানেনা ও ৷ আসাদের মাকে নিজের মায়ের মত ভালবাসবে ও৷ আসাদ এর মাকে পেয়ে নিজের একটা মা খুঁজে পেয়েছে আরুশি তবে সেটা কতদিনের জন্য ও ঠিক জানে না কিন্তু আসাদের মাকে মায়ের মতই ভালবাসতে চাই ৷
আররূশি আসাদের মাকে জড়িয়ে ধরলেন….
মামনি আপনি প্লিজ কাঁদবেন না, দেখুন উনি আসুক আমি উনার সাথে কথা বলবো…
আমার ছেলেটাকে তুই আগের মত করে দেনা মা! (কাঁদতে কাঁদতে…)
আমি ওনাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনবো কথা দিলাম…

রাত একটা বাজে ,,,,,আরোশী এখনও ঘুমায়নি, আসাদের এর জন্য অপেক্ষা করছে…
আসাদের মা যখন প্রথম দিন ওকে সমস্ত কথা বলেছিল তখন ব্যাপারটা এত গুরুত্ব দিয়ে না দেখলেও এখন ওকে ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি নিতে হবে সেটা আজকের ঘটনা থেকে ও বুঝতে পারল ৷ আর কিছু করুক আর না করুক মিথ্যে ভালোবাসা দিয়ে হলেও ওকে আসাদকে পরিবর্তন করতে হবে….
হঠাৎ দরজায় নক পড়তেই আরুশি দরজা খুলে দিল, বুঝতে পারল যে আসাদ এসেছে…..
দরজা খুলতেই আরুশি কিছু বলতে যাবে তার আগে আসাদ আরুশিকে বলল : সরেযাও সামনে থেকে৷
আরুশির আর বুঝতে অসুবিধা হলো না যে আসাদ ড্রিঙ্ক করে এসেছে , তবে নিজের ঘোরে আছে , ঠিক ভাবে দাঁড়াতে পারছে , কথা বলতে পারছে তবে এটা খুবই বাজে অভ্যাস….

আসাদ ঘরে ঢুকতেই আরূঝি বলল: আপনি কি এটা ড্রিঙ্ক করেছেন?
আসাদ জুতো খুলতে খুলতে: হ্যাঁ করেছি, তোমার কোন সমস্যা?
___আমার সমস্যা আছে, আমি চাই না আমার স্বামী ড্রিঙ্ক করুক , এতে আমার খারাপ লাগবে ৷
আসাদ আর সহ্য করতে না পেরে আরশিকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরল….
__ বারবার কি স্বামী স্বামী করো হ্যাঁ ?তোমাকে আমি আমার স্ত্রী বলে মানি না, নিজেকে কি আমার বউ ভাবতে শুরু করেছে নাকি? মনে রেখো তুমি আর আমি হলাম এনিমি আর দুজন এনিমি কখনো স্বামী-স্ত্রী সুলভ আচরণ করতে পারে না ৷ তাই তুমিও আশা করি এরকম ব্যবহার থেকে দূরে থাকবে…

অন্য সময় হলে আরুশি হয়ত আসাদকে থাপ্পর মেরে দিত তার কারণ একে আসাদ মদ খেয়েছে তার উপরে আবার নিজের খারাপ কাজের জন্য গলাবাজি করছে৷ আরূশি আর কিছু করুক অন্যায় সহ্য করতে পারে না, তাও চুপ করে আছে আসাদের মায়ের কথা ভেবে ৷ উনার বলা কথাগুলো বারবার ওর কানে এসে বাজছে , যে করেই হোক ওকে আসাদকে পরিবর্তন করতেই হবে… আসাদের মা এর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ৷
আপনি প্লিজ সরে দাঁড়ান, আমার এই মদের গন্ধ আর সহ্য হচ্ছে না…
আসাদ আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখল না, আরূসির ঠোঁটজোড়া দখল করে নিল….
আরুসি পারছেনা ওকে ছাড়াতে তবু চেষ্টা করেই চলেছে ৷
একটা মেয়ে যতই সাহসী হোক কিন্তু কখনো একটা পুরুষের সঙ্গে গায়ের জোরে পেরে উঠবে না, আর আরুশিও ঠিক তেমনি ব্যর্থ হয়েছে….

অনেকক্ষণ পর আসাদ আরুশিকে ছেড়ে দিল ৷ও আর নিজের মধ্যে নেই, একই ড্রিঙ্ক করেছে তার উপরে আরূশি নামক একটা জ্বলন্ত নেশা দুটোই এখন ওর উপরে কাজ করছে….
নিজের না চাওয়া সত্ত্বেও আসাদ আরুশের উপরে জোর খাটালো, তবে ভালোবেসে নয় নিজের হিংস্রতা থেকে…..
সকালবেলা আসাদের আগে আরূশির ঘুম ভেঙে গেলে ৷ একে তো অনেক দেরী করে ঘুমিয়েছি আর তারপর সারারাত ঘুম না হওয়ার কারণে চোখ দুটো খুব জ্বালা করছে…
আসাদের দিকে তাকালো ও , তাকাতেই দেখলো আসাদ পাশ ফিরে শুয়ে আছে ৷ওকে দেখতে সম্পূর্ণ নিষ্পাপ লাগছে , একটা মায়াবী চেহারা, চুলগুলো কপালে এসে আছড়ে পড়ছে , গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলো যেন খুবই সুন্দর মানিয়েছে ওর মুখের সঙ্গে….

আরুশি বুঝতে পারলো যে অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর কিছুক্ষণ পরেই আসাদের ঘুম ভেঙে যাবে আর ওর একমাত্র লক্ষ্য হল আসাদ এর কাছাকাছি থেকে আসাদকে পরিবর্তন করা ৷ আর ও যতই আসাদের সামনে আসাদের প্রতি ঘৃণা দেখাবে ততই আসাদের মনে আরুশির প্রতি ক্ষোভ জমবে আর তখন আসাদকে পরিবর্তন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে ৷তাই ও আসাদকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে ওর বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরল না চাওয়া সত্ত্বেও ৷
পর্দা ভেদ করে কিছুটা সূর্যের আলো আসাদের মুখের ওপরে পড়তেই দেখলে আরুশি ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে ৷ মুহূর্তের মধ্যে শরীরের মধ্যে যেন কারেণ্টের গতিতে শিহরন বয়ে গেল ,এমন কিছু অনুভব করল…
আরূশি কে ছাড়িয়ে আসাদ বিছানা থেকে নেমে গেল,

অদ্ভুত প্রেমানুভূতি পর্ব ২

আসাদ চেঁচিয়ে : এই মেয়ে তুমি আমার সাথে ঘুমিয়েছো কেন ?
আসাদের চেঁচামেচিতে আরুশির ঘুম ভেঙ্গে গেল, বুঝতে পারল যে ওর প্ল্যান কাজ করছে….
আরসি উঠে আসাদের কাছে দাঁড়িয়ে : আমি আপনার স্ত্রী তা আপনার বুকে ঘুমাবো না তো কোথায় ঘুমাবো?
আসাদ:আর কতবার বলবো তোমাকে যে এই স্ত্রীর অধিকারটা তুমি আমার কাছ এ দেখাবে না! আর আমরা তো এনিমি ছিলাম, হঠাৎ তোমার মধ্যে কনসা আতমা চলে এলো যে আমার প্রতি এত ভালোবাসা উতলে পড়ছে তোমার….
আরোশী আসাদের গালে একটা কিস করে বলল : আমি আপনার স্ত্রী, আর আপনার ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার কেবল আমার, আপনার বুকে ঘুমানোর অধিকার ও আমার , তাই এগুলোর সাথে এখন থেকে পরিচিত হয়ে থাকুন ৷( বলে জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল৷)

আসাদ সোফায় বসে মাথা দুটো হাত দিয়ে চেপে ধরে: মহা জ্বালায় পরেছি এই মেয়েকে নিয়ে ৷কোন ভাবে এই 6 মাস তাড়াতাড়ি কাটলে বাঁচি…
শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে আছে আরুশি আর শওয়ারের জলে প্রত্যেক বিন্দুর সাথে ধুয়ে মুছে যাচ্ছে সমস্ত ক্লান্তি ৷ সব ক্লান্তি দূর করে শুরু করবে এক নতুন কিছুর ৷

অদ্ভুত প্রেমানুভূতি পর্ব ৪