অন্তর্লীন প্রণয় পর্ব ১৪

অন্তর্লীন প্রণয় পর্ব ১৪
সাদিয়া মেহরুজ দোলা

বর্ষার প্রথমাংশ! গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদে শুকিয়ে যাওয়া নদী নালা এখন বর্ষার স্নিগ্ধ বর্ষণের কারণে পানিতে টইটুম্বুর। সজীবতা হারানো গাছপালা এখন বর্ষণের ফলে নির্মল রূপ ধারণ করেছে। আশপাশ সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করে আয়ন্তিকা স্নান হাসে। বর্ষাকাল তার বড্ড প্রিয় মৌসুম। যত কষ্ট, দুঃখ এ সময়ে থাক তার মনে বর্ষার বর্ষণের মতোই তখন সেই দুঃখগুলো ধুয়ে মুছে যায়।

অহর্নিশ বাসা থেকে তার নিজস্ব মার্কেটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চলে যাওয়ার পরপরই সেই যে না খেয়ে, দুই ঘন্টা যাবৎ আয়ন্তিকা বেলকনিতে এসে দাঁড়িয়েছে ফিরে যাওয়ার নামগন্ধ নেই তার। আজ প্রকৃতিবিলাস করতে বেশ লাগছে তার। ইশ! কি সুন্দর করে প্রকৃতি সেজেছে আজ বর্ষার সাজে, দেখতে মারাত্মক লাগছে। কর্কশ শব্দধ্বনি কর্ণপাত হতে আয়ন্তিকা চটজলদি পিছন ফিরে! অহর্নিশ দাঁড়িয়ে ঘর্মাক্ত মুখশ্রী নিয়ে। ললাট হতে বিন্দু বিন্দু নোনা ঘাম বেয়ে পড়ছে। এতটা ঠান্ডা পরিবেশের মাঝে অহর্নিশের ঘেমে যাওয়ার কারণটা আয়ন্তিকা খুঁজে পেলো না। আর অহর্নিশ তার রুমেই কিভাবে?বাসার ভিতরে প্রবেশ করলো কি করে?
নিজ প্রশ্নোত্তুর মন নিয়ে আয়ন্তিকা যখন তুমুল ব্যাস্ত ক্ষন পালন করছে ঠিক সেই সময়ে অহর্নিশ রুষ্ট কন্ঠে বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-‘ খাওনি কেনো এখনো? কয়টা বাজে জানো? ‘
আয়ন্তিকা থতমত খায়। আখিঁপল্লব ছোট ছোট করে নিয়ে বলল,
-‘ আগে বলুন আপনি বাসায় কি করে আসলেন? দরজা তো লাগিয়ে রেখেছিলাম আমি। ‘
-‘ ডুপ্লিকেট চাবি ছিলো আমার কাছে। ‘
আয়ন্তিকা ঠোঁটযুগল গোল গোল করে বলল, ‘অহ!’
অহর্নিশ শার্টের হাতা দিয়ে ললাটের ঘাম মোছার প্রয়াস চালায়। পরবর্তীতে সে এগিয়ে যায় বেলকনিতে। ক্রোধান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
-‘ কি জিজ্ঞেস করেছিলাম আমি? খাওনি কেনো এখনো? এতো অনিয়ম করে চলো কেনো?অসুস্থ হয়ে পড়লে কে দেখবে?’
আয়ন্তিকা হুট করে ভাবান্তর ছাড়া বলল,
-‘ কেনো আপনি! আপনি দেখবেন। ‘

কথা সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়ন্তিকা তার ওষ্ঠ যুগল চেপে ধরে। চোখ বড়সড় করে সে নতজানু হয় তৎক্ষনাৎ। কি বলল মাত্র সে? এটাই বা কেনো বলল মুখ ফস্কে? শুষ্ক চাহনিতে আয়ন্তিকা মাথা উঁচু করে নিয়ে অহর্নিশের দিকে অস্থিরতা পূর্ণ চাহনি দেয়। লাজুকলতা চাহনি নয়ন যুগলে চকচক করছে তার। অহর্নিশ তা বুঝতে পেরে নিজের স্বাভাবিকতা পূর্ণ রেশ বজায় রাখে। ভারী কন্ঠ বলল,
-‘ ডাইনিং এ এসো জলদি! এক মিনিট লেট হলে এসে কোলে তুলে নিয়ে যাবো। ‘

অহর্নিশ রুম হতে বেড়িয়ে যায়। অধরের কোণে মিহি হাসি। শীতলতা পূর্ণ হৃদয়। আয়ন্তিকার প্রতেকটা কর্ম তার কাছে মধুর লাগে। দিনকে দিন সে বেহায়া, বিলজ্জহীন হয়ে উঠছে আয়ন্তিকার জন্যেই। নিজ শক্ত, কঠোর মনটা আজ গলে যাওয়ার পথে। ধীর পানে হয়ে উঠছে তার হৃদয় শীতল, মাধুরতা পূর্ণ। অহর্নিশ বিড়বিড় করে বলল,
-‘ ইউ আর এ ম্যাজিকাল গার্ল আয়ন্তিকা! দিনকে দিন আমায় পরিবর্তন করে দিচ্ছো। নতুন অনুভূতি, নতুন ভালোলাগা, নতুন আসক্তির সাথে পরিচয় করে তুমি আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছো। এর জন্য তোমায় শাস্তি পেতে হবে। আরনাফ আহমেদ অহর্নিশের প্রেমময় শান্তি তোমায় পেতেই হবে।

আয়ন্তিকা নিজেকে প্রায় দুই মিনিট নিয়ে ধাতস্থ করে ডাইনিং রুমে যায়। তখনি তার দৃষ্টি আঁটকে যায় অহর্নিশের প্রতি। অহর্নিশ ডাইনিং টেবিলে বসে ফোনের মাঝে মগ্ন! চুল দিয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে কালো রঙের টিশার্টে। যার ফলে কাঁধ এবং চিবুকের টিশার্টের খানিক একাংশ সিক্ত রূপে রূপান্তর হয়েছে। আয়ন্তি সামনের দিকে পা এগোয়। অহর্নিশের পাশের চেয়ার টেনে বসে পড়ে।ইচ্ছে হলো অহর্নিশ বলতে ‘ মাথা মুছে নিন ‘ কিন্তু তা আর হলো না সংকোচ এর কারণে।

কারো অবস্থান উপলব্ধি করে অহর্নিশ ফোন হতে মাথা তুলে। আয়ন্তিকা কে দেখে ফের মাথা নুইয়ে দৃষ্টি দেয় ফোনে! সাফিয়ার প্রেরণকৃত ম্যাসেজটি দেখছিলো সে। এই ম্যাসেজের স্বস্তা হুমকি তার কাছে তুচ্ছ মাত্র। ম্যাসেজটা কোথা হতে এসেছে তা জানার প্রয়াস চালাচ্ছিলো, কিন্তু ব্যার্থ অহর্নিশ! সকালে যে আয়ন্তিকা এই ম্যাসেজটি দেখেছিলো তা শতভাগ নিশ্চিত অহর্নিশ। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে আয়ন্তিকা কেনো তাকে কিছু বলল না তা তাকে বড্ড ভাবিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আয়ন্তি তাকে ফোন এগিয়ে দিয়েছিলো। অহর্নিশ চিন্তিত হয় খানিক। আজ রাতে সে বাসায় থাকবে না। বাহির যেতে হবে! সেখানে আয়ন্তিকা কে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। একা থাকাকালীন সাফিয়া কিছু অঘটন না ঘটিয়ে ফেলে আয়ন্তিকার সাথে। কারণ তার আপাতত জানা নেই সাফিয়া কই লুকিয়ে আছে। ওকে খোঁজার ও সময় নেই অহর্নিশের হাতে।

তপ্তশ্বাস ফেলে ভাতের প্লেটটাকে টেনে নিজের সামনে আনে অহর্নিশ। ভাত মাখিয়ে আয়ন্তিকার মুখের সামনে তুলে ধরতেই প্রশ্নবিদ্ধ চাহনিতে তাকায় আয়ন্তিকা। তা দেখে মৃদু কন্ঠ অহর্নিশ বলল,
-‘ জলদি খাওয়া শেষ করো। আমার হাত থেকেই খেতে হবে তোমায়। সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়ার শাস্তি এটা। ‘
আয়ন্তিকা কেঁপে উঠে। মিইয়ে যাওয়া কন্ঠে বলল,
-‘ আর এমন হবেনা প্রমিস। আমি নিজ হাতে খাই প্লিজ?’

-‘ না! আমার হাত থেকেই খেতে হবে তোমায়। বেশি ত্যাড়ামো করো না। থাপ্পড় লাগাবো কানের নিচে। ‘
আয়ন্তিকা কাঁদো চেহারা বানিয়ে চুপচাপ খাওয়ার পর্ব সমাপ্ত করে। অহর্নিশের হাতে খেতে তার নূনতম ইচ্ছে নেই। তবুও কোনোরকম খাবার গিলছে শুধু। অহর্নিশ তা দেখে মনে মনে হাসে! তার শান্তি লাগছে বড্ড বেশি প্রশান্তি এসে ঠেকছে মনে।

খাওয়ার পর্ব চুকিয়ে অহর্নিশ আয়ন্তিকা কে মুখ ধুতে বলে নিজের রুমে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে যায়। তা দেখে আয়ন্তিকা ভ্রুকুটি কুঁচকে নেয়। অহর্নিশের এভাবে চলে যাওয়া তার নিকট স্বাভাবিক লাগলো না। তাই সে মুখ ধুয়ে নিয়ে অহর্নিশের রুমে যায়। আয়ন্তিকা দেখে অহর্নিশ বিছানায় কেমন ছটফট করছে। ভীতি নিয়ে দ্রুতপায়ে এগিয়ে যায় আয়ন্তি। অস্থির কন্ঠে বলল,
-‘ ঠিক আছেন আপনি? এমন করছেন কেন?’
আয়ন্তিকার কন্ঠে অহর্নিশ নিজেকে নরমাল করার চেষ্টা করে। হুট করেই তার মাথা ব্যাথা শুরু হয়েছে। যা প্রতি মূর্হতে অসহনীয় পর্যায়ে যাচ্ছে। অহর্নিশ ব্যাথাতুর কন্ঠে বলল,

-‘ মাথা ব্যাথা করছে! ‘
অহর্নিশ চোখ বন্ধ করে নেয়। আয়ন্তিকা কিছু ভেবে নিয়ে তোয়ালে হাতে করে অহর্নিশের মাথার কাছে বসে। সিক্ত চুলগুলোকে আস্তেধীরে মুছে দেয়ার চেষ্টা করে। কার্য সমাপ্ত হতে আয়ন্তি উঠতে নিলে তৎক্ষনাৎ অহর্নিশ এসে তার পায়ের ওপর মাথা রেখে দুহাত দিয়ে পা জরীয়ে ধরে। অতঃপর আড়ষ্ট কন্ঠে বলে,
-‘ একটু মাথা চেপে দাও না আয়ন্তিকা। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে আমার। ‘
আয়ন্তিকা বাকরুদ্ধ! মুখে কিছু বলল না। বিমূঢ় হয়ে চেয়ে রইল শুধু। একবার মনে করলো অহর্নিশ কে ধাক্কা মেরে সরিয়ে চলে যাবে রুম হতে কিন্তু পরবর্তী তে দায়িত্বের খাতিরে আলত করে হাত রাখে মাথায়। ঘন, কালো চুলগুলোকে আস্তেধীরে টেনে দেয়। অহর্নিশ চোখ বন্ধ করেই মৃদু হাসে!

সারারাত নির্ঘুম কাটিয়ে সকাল হতেই জমিদার বাড়িতে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে নুহিদ। নাহিয়ার সামনে বসে সে ঢগঢগ করে পানি খেয়ে গলা সিক্ত করে। নুহিদের এ অবস্থা দেখে নাহিয়া ভ্রুকুটি কুঁচকে নিয়ে বলল,
‘ তোর এই অবস্থা ক্যান? কি হইছে?সকাল সকাল এহানে আইছস যে। ‘
‘ আপা তোমার সাথে জরুরি কথা আছে। ‘
‘ কি জরুরি কথা? ক!’

‘ আপা তুমি কইছিলা আয়ন্তিকার বাচ্চার ১৮ বছর হইলে তুমি সম্পত্তি পাবা। কিন্তু আপা তুমি অতদিন বাচবা? এসব ছাইরা দেও আপা। আমার সাথে দুবাই চলো। অনেক ভালো রাখমু তোমারে। ‘
‘ আয়ন্তির বাচ্চার ১৮ বছর হইলে আমি বাঁচুম না জানি। কিন্তু তোরা তো বাঁচবি। তোরা পাইলেই হইল, আমার লাগবোনা! আর চাইলেও এসব ছাড়ন যাইব না। ‘
বোনের কথায় চোখ ভরে আসে নুহিদের। কিন্তু শেষোক্ত কথাটা শুনে সে প্রশ্নাত্মক চাহনি দিয়ে বলল,

‘ মানে? ‘
‘ মানে হইতাছে এই সম্পত্তির জন্য অনেক কিছু করছি আমি। উজমারে মারছি! উজমা হইতাছে আমাগো বাসায় যে থাহে। এতিম মাইয়াডা। ও। ওরে মারতে হইছে। উজমা সব জাইনা গেছিলো গা। অহর্নিশ রে বলতে গিয়া ভয়ে অজ্ঞান হইয়া যায় অয়। অহর্নিশ উজমারে ধরলে তা দেখে ফেলে আয়ন্তিকা। ভুল বুঝে তখন অহর্নিশ রে। তারপর ভবিষ্যতে আর জানি কিছু না জানে কেও তাই শাফিরে দিয়া উজমার কিডন্যাপ করাইয়া মাইরা ফেলাই। তারপর… ‘
নুহিদ চমকে বলল,
‘ তারপর? তারপর কি আপা?’

‘ তারপর আমি আর্নিয়ারে আমার সাথে যুক্ত করি। অর ব্রেনওয়াশ করে বলি আমারে সার্পোট দিলে অরেও সম্পত্তি দিমু। এরজন্য আর্নিয়াও অন্ধ হইয়া আমার লগে কাজ করে। কারণ উসমান অর নামে অল্প সম্পত্তি দিছিল। আর্নিয়া এসবে জরিত তা একদিন কা আফিমা জাইনা যায়। তারপরই তো অগো ছাড়াছাড়ি হয়! আফিম তালাক দেয় আর্নিয়া রে। তবুও আর্নিয়া আমার লগে কাজ করে। অহর্নিশের সাথে আয়ন্তিকার বিয়া দেয়ার সব পদ্ধতি ওই বলছে। ‘

সবকিছু শুনে নুহিদ বিস্মিত! এতকিছু হয়ে গিয়েছে, তা কল্পনা করতে পারেনি সে। সামান্য এক সম্পত্তির কারণে একজনের প্রাণ গেলো, একজনের সংসার নষ্ট হলো। আরেকদিকে আরো দু’জনের প্রাণ ঝুঁকি। লোভ মানুষকে কোথায় নিয়ে ঠেকায়!

পর্দার আড়াল হতে সরে যায় অয়ন এবং অহর্নিশ। নাহিয়া এবং নুহিদের সম্পূর্ণ কথোপকথন তারা দুজন শুনেছে। আগে থেকেই প্লান করা ছিলো এখানে আসবে তারা। আসার সাথে সাথেই যে এত তাড়াতাড়ি সব সত্য তাদের সামনে উপস্থাপিত হবে ভাবেনি কেও। অয়ন মাথায় হাত দিয়ে কন্ঠের খাদ নামিয়ে বলল,
‘ ভাইরে ভাই! এটা তোর দাদী নাকি কুটনার ভান্ডার? এত প্যাচ এই বুড়ির মধ্যে আল্লাহ! এই বুড়ির এক পা তো কবরে অলরেডি তাও এতো শয়তানি যায় না মাথা থেকে। এরে আমার গলা চেপে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করতাসে দোস্ত। বাপড়ে! কি বুড়ির বুড়ি এইটা। মাবুদ, রহম করো! ভাই জলদি এই চিপা থেকে বের হ। আমার মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালা লাগবে। আগুন বের হইতেছে মাথা থেকে। ‘

অন্তর্লীন প্রণয় পর্ব ১৩

অহর্নিশ অয়নের কথা কর্ণপাত করলো না ঠিক মতন। চোয়াল শক্ত করে সে মাটির দিকে তাকিয়ে আছে। তার দাদীর মাঝে এতোটা খারাপ দিক রয়েছে তা জানা ছিলো না। কিন্তু তার বোন? আর্নিয়া! সে কেনো গেলো এর মাঝে? ব্রেনওয়াশ করেছে বলে কি সব ভুলবে? আর্নিয়ার হিতাহিত জ্ঞান কি লোপ পেয়েছে?
বোনের জন্য কষ্ট লাগে অহর্নিশের। রুষ্ঠ কন্ঠে সে বিড়বিড় করে বলল,
‘ নাহিয়া আহমেদ, আপনাকে যদি জ্যান্ত কবর না দিয়েছি তাহলে আমার নাম অহর্নিশ না। সব কিছুর শাস্তি আপনাকে কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে! ‘

ভাইব্রেশনে থাকা ফোন হটাৎ করে কেঁপে ওঠাতে হুঁশ ফিরে অহর্নিশের। পকেট হতে ফোন বের করার পর দেখে স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করছে ‘ Nahid ‘ নামটি। এই সময়ে নাহিদের কল দেখে ভ্রুকুটি কুঁচকে নেয় সে। পরবর্তীতে আয়ন্তিকার কথা মাথায় আসতেই সে ফোন রিসিভ করে চটজলদি। অতঃপর ওপাশ নাহিদ ভীতি কন্ঠে বলল,
‘ অহর্নিশ ভাই, সর্বনাশ হয়ে গেছে! সাফিয়া আপনার বাসায় ঢুকে গেছে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে।

ভাবি বাসায় একা তো ভাই! সাফিয়ার হাতে ছুড়ি ছিলো একটা। একটু আগে ভাবীর চিৎকার শুনছি অনেক জোড়ে। তারপর আর কোনো সারা শব্দ পাইনি। বাসার ভেতরে যেতে নিছিলাম দরজা বন্ধ। দরজা ভাঙতে নিলে দারোয়ার চোর ভেবে মাইর দিয়ে বের করে দিছে। আপনি তাড়াতাড়ি আসেন ভাই! ভাবী খুব বিপদে আছে। ‘

অন্তর্লীন প্রণয় পর্ব ১৫