অন্তর্লীন প্রণয় পর্ব ২৮

অন্তর্লীন প্রণয় পর্ব ২৮
সাদিয়া মেহরুজ দোলা

পৌষের প্রথমাংশ! আগের বছর গুলো হতে এ বছর শীত যেনো একটু বেশিই। কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে পশ্চিমে লালাভ সূর্য ডুবোডুবো প্রায়। মোটা একটা শাল গায়ে জরীয়ে নিয়ে আয়ন্তিকা বারান্দায় দাঁড়িয়ে। অহর্নিশ তার কাজে ব্যাস্ত। দুপুর হতে সেই যে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে দিন দুনিয়া ভুলে। কারো দিকে তাকানোর তার সময় নেই। অভিমান, রাগ চেপে নিয়ে আয়ন্তিকা বারান্দায় এসে থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে। অহর্নিশ আঁড়চোখে দেখেছিলো একবার আয়ন্তিকা কে। তবে সে অসহায়! কাজ ছেড়ে ওঠার বিন্দুমাত্র সময় নেই তার হাতে।
পরিশেষে আরো দুই ঘন্টা পর অহর্নিশ ল্যাপটপ ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। সোজা বেলকনিতে এসে আয়ন্তিকা কে পেছন হতে আলত করে জরীয়ে ধরে তার কাঁধে থুতনি স্থাপন করে নিয়ে বলল,

‘ রাগ করেছো চাঁদ? ‘
‘ চাঁদ ‘ নামে অহর্নিশ আয়ন্তিকা তখন ডাকে যখন আয়ন্তিকা তার ওপর ভিষণ ক্ষেপে থাকে। রাগ গলাতে তখন অহর্নিশ এই নামে ডাকে তাকে। এবং তার খানিক বাদেই আয়ন্তিকা গলে পানি হয়ে অহর্নিশ এর সাথে স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু আজ! ১০, ১৫ মিনিট পার হয়ে যাওয়ার পরও আয়ন্তিকা তার দিকে ঘুরে পর্যন্ত তাকালো না। অহর্নিশ তপ্তশ্বাস ফেলে আয়ন্তিকা কে ছেড়ে আয়ন্তির পাশাপাশি দাঁড়ায়। নম্র কন্ঠে বলে,
‘ আমার কাজগুলোই এমন আয়ন্তিকা। আমি চাইলেও তোমায় পূর্ণরূপে সময় দিতে পারিনা। বাধ্য আমি! হাত, পা শিকল দিয়ে বাঁধা আমার। এতো বড় দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি, ঠিকঠাক ভাবে সেই দায়িত্ব পালন না করলে তো দিনশেষে তোমাকেই সবাই ইনসাল্ট করবে না? আমি তো ইনসাল্ট হবোই সাথে তোমাকেও তারা আঘাত করে কথা বলবে। ওটা তো আমি সহ্য করতে পারবো না। ‘

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আয়ন্তিকার পর্বতসম অভিমান একটুখানি গলে পানি হলো বোধহয় অহর্নিশ নম্র, যৌক্তিক কথা শ্রবণ করে। সে একটু নড়েচড়ে দাঁড়িয়ে নতজানু হয়ে বলল,
‘ আমি তো বলিনি আপনি আমায় সারাক্ষণ টাইম দিন। শুধু বলেছি এক ঘন্টা পাশে থাকলেও হবে। আপনি তো এখন আমার পাশে আধাঘন্টাও ঠিকমতো থাকেন না। ‘
‘ এখন কাজের চাপটা একটু বেশিই..! তাই এমন হচ্ছে। আমায় একটু সময় দাও। সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে তোমায় কোলে করেই সারাদিন চুমু খাবো প্রমিস! ‘

অহর্নিশ রসিকথা মিশ্রিত কন্ঠ। আয়ন্তিকা অহর্নিশের কথার পরিপ্রেক্ষিতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয়। ফিচেল হাসে অহর্নিশ তা দেখে! হুটহাট আয়ন্তিকার এমন তীক্ষ্ণ, রাগী দৃষ্টি তার কাছে বেশ লাগে। অহর্নিশ এগিয়ে গিয়ে আয়ন্তিকার একহাত টেনে ধরে ঠেসে নিজের ওষ্ঠাধর স্পর্শ করায়! পরিশেষে হাত টাকে শক্ত ভাবে আঁকড়ে নিয়ে বলল,
‘ বাহিরে যাবে?’
‘ এই শীতে? ‘
‘ হু! আমরা তো আর সিঙ্গেল কাপল না যে বাহিরে গেলে শীতে কাঁপাকাপিঁ করবো। আমরা ম্যারিড! একই শালের নিচে দু’জনের উষ্ণতা আমাদের শীত আভাসটা কাটিয়ে দিবে। ‘

অহর্নিশ দুষ্টু হাসে। আয়ন্তিকা লজ্জায় লাল, নীল হয়ে পিছন ফিরে তাকায়। ইশ! এই লোকটা কি কখনোই মানুষ হবেনা? এতো লজ্জা কেনো দেয় সে লাজুকলতা কে? অহর্নিশ বড় কোনো শাস্তি পাওয়া উচিত এই কর্মের পরিপ্রেক্ষিতে! ভিষণ লজ্জায় কুকরে দেয়ার অপরাধে অহর্নিশ কে অবশ্যই শাস্তি দেয়া উচিত। বিশেষ ধরনের শাস্তি!
অহর্নিশ আশপাশ তাকিয়ে নিয়ে বলল,
‘ জলদি চেঞ্জ করে আসো আয়ন্তিকা। আমরা বাহিরে যাচ্ছি এটা ফাইনাল! ‘

আয়ন্তিকার ইচ্ছে হলো সে ‘ না ‘ বলবে। তবে পরবর্তীতে নিজের ঘোরতর ইচ্ছেটাকে দমন করতে না পেরে সে রাজি হয়ে বাহিরে যেতে। বেশ কয়েক দিন হলো বাহিরে যাওয়া হয়না অহর্নিশের সাথে। বাহিরে যাওয়া বলতে কলেজ যাওয়া – আসা! ব্যাচে যাওয়া এতটুকুই।
রুমে সে তৈরি হয়ে পরিপাটি হয়ে নেয় আয়ন্তিকা। অহর্নিশ নিজেও পাশের রুমে গিয়ে চটজলদি তৈরি হয়ে নেয়। গাড়িতে বসার পর ক্ষন মাঝে অহর্নিশ চট করে আয়ন্তিকার গালে চিমটি বসিয়ে দিয়ে বলল,

‘কারো নজর না লাগুক ফুহ্! ‘
রক্তিম চোখে আয়ন্তিকা দৃষ্টি দেয়ার মধ্যিখানে এক পর্যায়ে সে অহর্নিশের করা কর্ম রিপিট করে। তবে সে চিমটিটা বেশ জোরেসোরে দিয়ে উঁচু গলায় বলল,
‘ নজর না লাগুক ফুহ্! থুহ্! ‘
অহর্নিশ শব্দ করে হেঁসে দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দেয়। একান্ত কিছু মূর্হত অনুভব করার জন্য তারা পারি দেয় তাদের পছন্দসই কোনো এক স্থানে। নিভৃত হতে অনুভব করার প্রয়াসে দিন দুনিয়া ক্ষনিকের জন্য ভুলে যায় দুজন কপোত – কপোতী!

বছর খানেক পর!
ভারী শরীর নিয়ে উঠে বসার প্রয়াস চালায় আয়ন্তিকা। তবে সে বুঝি ব্যার্থ! পেটে বাবু আসার পরপরই অনেকটা মোটা হয়ে গিয়েছে সে। অহনা পাশে থাকায় সে উঠতে সাহায্য করে আয়ন্তিকা কে। পরিশেষে অহনা নিজ স্থানে বসার পর বলল,
‘ ভাবা যায়! আমাদের সেই ছোট্ট আয়ন্তি কতো বড় হয়ে গেছে। তার পেটে এখন দুই দুটো বাবু। এতো বড় হলি কবে বল তো?এইতো ক’দিন আগেই তো মনে হয় তোর ১৮ তম জন্মদিন আমরা পালন করলাম। তোকে কেক দিয়ে ভুত বানিয়ে দিলো অহর্নিশ। ভার্সিটি ওঠার পর যদিও তোর মধ্যে অনেক ম্যাচিউর ভাবটা এসেছে। তবুও বিশ্বাসই হয়না আমার। ‘

আয়ন্তিকা একগাল হাসে! ভীতু সেই ছোট্ট ১৫ বছরের আয়ন্তিকা এখন ১৯ বছরের একজন তরুণী। কিছুদিন পরই সে মা হয়ে যাবে দুজন নব্য শিশুর। আয়ন্তিকা মুখশ্রীতে এখন আর বাচ্চাটে ভাবটা অতোটা নেই। তবে আছে পরিশিষ্ট! আগের মতোই আচরণ করেনা সে। সবার কাছে এ যেনো নতুন এক আয়ন্তিকা। কিন্তু অহর্নিশের নিকটে সে সেই আগেরই আয়ন্তিকা হয়ে যায় দিনশেষে!
আয়ন্তিকা বালিশে ঠেস দিয়ে বসে বলল,

‘ আমারও বিশ্বাস হয়না আম্মু। আমার পেটে যে দু’টো বাচ্চা আছে তা একদমই মানতে ইচ্ছে হয়না। কিন্তু তারা দুজন যখন পেটের ভিতর মারামারি শুরু করে তখন ফিল করি আমিও মা হতে যাচ্ছি। ‘
‘ অহর্নিশ টাকে ধরে কয়টা থাপ্পড় মারা উচিত ছিলো রে আয়ু! ১৮ বছর হওয়ার পরই সে উঠে পড়ে লেগেছে বাচ্চার জন্য। ফাজিল! ‘
তাদের কথার মাঝে পিছন হতে কেও ভরাট কন্ঠে বলল,
‘ তুমি কি আমায় সত্যিই মারবে মা?’

আয়ন্তিকা, অহনা পিছন দিকে দৃষ্টি দিয়ে দেখে অহর্নিশ কে। গাল ভর্তি দাঁড়ি, আগের থেকে আরেকটু সুদর্শন হয়ে গিয়েছে বলে মনে হয় আয়ন্তিকার নিকট। অহনা তেজি কন্ঠে বলল,
‘ অবশ্যই। এইযে যারা আসছে তাদেরকে তুই দেখে রাখবি। ভুলেও যেনো আয়ন্তিকার ওপর বাচ্চাদের দিয়ে দিব্যি টইটই করবি না। ‘
‘ বাচ্চাদের আমিই দেখে রাখবো মা। ওদের আগে আসতে দাও। তারপর দেখবে একজন পার্ফেক্ট বাবা কাকে বলে?’

অহনা, অহর্নিশ দুজনের মধ্যে কথা বলা শুরু করলো। আয়ন্তিকা মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখে মা, ছেলেকে! সময়ের ব্যাবধানে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে তাদের সম্পর্ক। আর পাঁচটা সাধারণ মা, ছেলের মতোই তাদের সম্পর্ক এখন। তবে যদি ভিন্নতা ধরা হয় তাহলে তাদের দু’জনের ভালোবাসা টা বেশ গাঢ় হিসেবে দেখা যায়। অহর্নিশ এখন মা বলতে যেমন পাগল তেমনি অহনা আগের মতোই ছেলে বলতে পাগল। এখানে কিছুটা ক্রেডিট অবশ্য আয়ন্তিকা কে না দিলেই নয়!

অহনা আর কিছুক্ষন কথা বলে বেড়িয়ে যায় কেবিন থেকে। অহর্নিশ নিজের হাতে থাকা জিনিসপত্র রেখে এগিয়ে আসে আয়ন্তিকার নিকট। এসে পাশে বসে স্বভাবগত মতে আয়ন্তিকার এক হাত টেনে ধরে সে আলত চুমু খায়। অতঃপর শীতল কন্ঠে বলল,
‘ ভয় পাচ্ছো আয়ন্তিকা? ‘
আয়ন্তিকা ভ্রুকুটি কিঞ্চিত কুঁচকে নিয়ে বলল,
‘ ভয় কেনো পাবো?’
‘ আজ তোমার ডেলিভারি। আমাদের বাচ্চার আসবে পৃথিবীতে। এসময় প্রায় সবাই-ই তো একটু ভয় পায়। ‘
‘ ভয় আমি মোটেও পাচ্ছিনা অহর্নিশ। বরং আপনি যে ভয়ে কুপোকাত তা আপনার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

অহর্নিশ শুকনো ঢোক গিলে। সে আসলেই প্রচন্ড ভয় পাচ্ছে। আয়ন্তিকার প্রেগন্যান্সিতে কিছু জটিলতা থাকার কারণে সিজার করতে হচ্ছে। অহর্নিশের ভয় এখানেই। বোকার মতো তার সব চিন্তাধারা। পেট কাটলে তার আয়ন্তিকা ঠিক কতোটা ব্যাথা পাবে?পেট কাটলে কেও বেঁচে থাকে?এসব ভিত্তিহীন চিন্তা করে সে ভিতরে ভিতরে প্রায় চুপসে গিয়েছে। অতিরিক্ত চিন্তায় তার মাথার ভেতর থেকে আউট হয়ে গিয়েছে সব কিছু! একজন শিক্ষিত মানুষ হয়েও সে এসব চিন্তাধারা করছে তা শুনে অয়ন হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাওয়ার অবস্থা।
অহর্নিশ কে ঘামতে দেখে আয়ন্তিকা ব্যাতিব্যস্ত হয়ে বলল,

‘ ঘামছেন কেনো আপনি?ঠিক আছেন তো?’
অহর্নিশ নিজেকে ধাতস্থ করে বলল,
‘ ঠিক আছি। তুমি শান্ত থাকো তো একটু। চুপচাপ বসে থাকো। হাঁটবে? ‘
‘ উঁহু! ‘
অহর্নিশ আয়ন্তিকার হাত শক্ত করে ধরে চুপ করে বসে থাকে। মৌনতা পালন করা যদিও এ মূর্হতে তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না তবুও চেষ্টা করে নিজেকে স্থির রাখার। সে এমন ব্যাকুল হয়ে গেলে কিভাবে চলে?

ওটির সামনে অস্থিরতম রূপে পায়চারি করছে অহর্নিশ। তার পাশেই সিটে বসে হাই তুলছে অয়ন। কয়েকবার সে অহর্নিশ কে টেনে এনে বসিয়ে রাখার চেষ্টা করার পর অহর্নিশ তাকে রাম ধমক দিয়েছে। যার ফলস্বরূপ সে এই চেষ্টা আর দ্বিতীয়বার করেনি। অহর্নিশের বর্তমান অবস্থা এমন সে ওটির দরজা ভেঙে ভেতরে যেতে পারলে তবে বুঝি আসতো শান্তি!
অয়ন উঠে দাঁড়িয়ে অহর্নিশের পাশে এসে দাঁড়ায়। বিরক্তি নিয়ে সে বলল,

অন্তর্লীন প্রণয় পর্ব ২৭

‘ ভাই থাম! আর কত হাঁটাহাটিঁ করবি?একটু বস! ভাবীর কিছু হবেনা। চিল! সারার সময় আমি কতো কান্নাকাটি করছিলাম মনে আছে?মানে হুদ্দাই করলাম! সারা একদম ঠিক ছিলো আল্লাহর রহমতে। তুই বসে আল্লাহকে ডাক। জীবনে তো নামাজ ঠিকমতো পরোস নাই। এ সময় নামাজ পড়তে পারলে কাজে লাগতো। যাইহোক..! ‘
অয়নের কথা শেষেই অহর্নিশ চট করে বলল,
‘ দোস্ত আমি নামাজ পড়বো। তুই আমাকে একটা জায়নামাজ এনে দে! জলদি যা! ‘
অয়ন ম্লান হেঁসে বলল, ‘ আচ্ছা ওয়েট কর। আনতেছি। ‘

খানিক বাদে অয়ন জায়নামাজ আর টুপি নিয়ে আসে। অহর্নিশ ওযু করে এসে নামাজের নিয়ম জেনে নামাজ পড়া আরম্ভ করে। নামাজ শেষে দীর্ঘ সময় নিয়ে মোনাজাত করে সে আসে ওটির সামনে। নির্দিষ্ট সময় পর বাচ্চার কান্নার আওয়াজ কানে আসতেই অহর্নিশ অয়নের একহাত শক্ত করে চেপে ধরে। ক্ষনিক পর দুজন নার্স টাওয়ালে করে দুটো বাবু নিয়ে এসে হাজির হয় অহর্নিশের সামনে। হাসিমুখে তাদের মধ্য হতে একজন বলল,
‘ অভিনন্দন স্যার। আপনার এক ছেলে এবং এক মেয়ে হয়েছে। কোলে নিন! ‘

অহর্নিশ স্তব্ধ! থমকানো দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতকের দিকে। দু’টো বাচ্চা অহর্নিশের দিকে পিটপিট করে তাকিয়ে আলত করে হাত নাড়ছে। অয়ন হেঁসে বলল,
‘ এমপি সাহেব কংগ্রাচুলেশনস! কোলে নে বাবুদের।’
অহর্নিশ কাঁপা হাতে সর্বপ্রথম তার মেয়েকে কোলে নিয়ে চুমু খায়। কানের পাশে কাঁপা কন্ঠে আজান দেয়। অয়ন নেয় ছেলেকে! পরবর্তীতে অহর্নিশ নার্সকে বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
‘ আমার ওয়াইফ?’

‘সুস্থ আছে স্যার। বেডে দেয়া হবে। দেখা করতে পারবেন কয়েক ঘন্টা পর। ‘
অহর্নিশ এবার ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে কানের পাশে আজান দেয়। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে সে ছেলের দিকে। বাবা হওয়ার এতো প্রশান্তি? অহর্নিশের মনে হলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ সুখী মূর্হতে সে বসবাস করছে। সে সবচেয়ে সুখী ব্যাক্তি এই দুনিয়ার। পিতৃত্বের এতো সুখানুভূতি তা আজ হারে হারে অনুভব করছে অহর্নিশ।

অন্তর্লীন প্রণয় পর্ব ২৯