অবশেষে তোমাকে পাওয়া গল্পের লিংক || লেখিকা:- তারা ইসলাম

অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ১
লেখিকা:- তারা ইসলাম

বান্ধুবির বিয়েতে এসে যে নিজের বিয়ে হয়ে যাবে তা আমি কল্পনাতেও ভাবি’নি।আর বিয়ে হয়েছে হয়েছে একদম বান্ধুবির ভাইয়ের সাথে।যাকে আমি য*মে*র মতো ভয় পাই।যাকে দেখলেই আমার হার্ট দ্রুতগতিতে চলে।যার এক ধমকে আমি জ্ঞান হারায়।তাকেই কিনা বিয়ে করতে হয়েছে ভেবেই আমার জ্ঞান হারাবার উপক্রম।এসব ভেবেই নিজের প্রতি দয়া হলো আহারে অকালেই মনে হয় আমি কবরবাসী হয়ে যাবো।ভাবতে ভাবতে চোখে পানি এসে গেলো।মনে মনে নিজেকে কয়েকটা গা*লি দিলাম কেন আসলাম নিজ বেষ্টুর বিয়েতে।এর চাইতে ভালো হতো যদি জ্ঞান হারিয়ে পরে থাকতাম।

~ অতীত ~
আমি নূর জামান,এবার অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাএী।
ছোট বেলা থেকেই আমি একটু বেশি দুষ্টুমি করি লাফালাফি বেশি করি অবশ্য এর জন্য আম্মুর কম বকা+মা’র খাইনি তাও আমি এমন।কিন্তু আমি অতিরিক্ত ভিতু কিছু হলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।আমার বাবা লেয়ান জামান একজন বিজনেসম্যানের পাশাপাশি ডাক্তার।উনার নিজের একটা হাসপাতালও আছে।বাবা আমাকে ভীষণ ভালোবাসেন তবে আম্মু না দেখে মতো প্রায় আমার আবদার পূরণ করেন।কিন্তু উনি আম্মুকে ভীষণ ভয় করেন।আর আম্মু যা বলেন তাই করেন।
আর আম্মু রেহেলা খান উনি একজন ব্যবসায়ী উনি শাড়ি গহনা ইত্যাদি নিয়ে ব্যসবা করেন।আর আমার ছোট ভাই লিয়ন জামান এবার ক্লাস নাইনে পড়ছে।এই হলো আমার পরিবার।কিন্তু ছোট ভাইয়া হওয়ার পর থেকে আম্মু আমার সাথে অদ্ভুত আচরণ করেন।যেমন আমার দিকে উনার কোনো খেয়াল থাকে না আমি বেঁ’চে আছি কি ম*রে গেছি তাতে উনার কিছু যায় আসে না।প্রথম প্রথম আমি এইগুলা নিয়ে বেশ মানসিক চাপে ছিলাম কিন্তু পরে পরে সব মানিয়ে নিলাম।ভেবে নিলাম আম্মু এমনই শুধু লিয়ন ছেলে বলে একটু বেশি ভালোবাসেন।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আর আমার স্কুল লাইফ থেকে একটাই বেষ্ট ফ্রেন্ড মারিয়া মির্জা নাম যেমন সুন্দর দেখতে তার থেকেও বেশি সুন্দর।তার পরিবারটা যেন পরিবার না একটা রাজনৈতিক পরিবার।তার দাদা থেকে শুরু করে তার ভাই পর্যন্ত রাজনৈতি করে।আর মারিয়ার বাবা রহিম মির্জা আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান।অনেকটা আমার বাবার বন্ধু আমাদের হাসপাতাল খুলার সময় উনিও সেখানে ছিলেন।আর তারপর থেকে আমার বাবার সাথে উনার একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়।তার দাদি রানি মির্জা এক নম্বরের কু*ট*না’মি মহিলা আমি তাদের বাড়িতে গেলেই আমাকে চোখ বড় বড় করে দেখবে।এই মহিলাটা এক্কিবারে ব*দ আমার জীবনটা উনিই তেজপাতা করে দিয়েছেন।মারিয়ার মা সৌখানি মেনহা উনার মতো মানুষ হয়না।একটা মানুষ এত সহজ-সরল কিভাবে হয়।উনাকে আমার সব চাইতে বেশি ভালো লাগে।উনি আমাকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসেন।

তার দুটো বড় ভাই আছে।বড় ভাইয়ের নাম মাহিন মির্জা যে বিয়ে করেছে বছর-তিনেক আগে।আর সেও পলিটিক্স নিয়ে আছে আর পাশাপাশি ব্যবসা ও করে।তাদের পরিবার যেমন বড় তাদের ব্যবসাও তত বড়।তার একটা ছোট ছেলেও আছে।উনার ওয়াইফের নাম তানিয়া চৌধুরি দেখতে যেমন সুন্দর তার থেকে ও বেশি সুন্দর উনার ব্যবহার বেশ মিশুক একজন মেয়ে।

আর মারিয়ার মেজো ভাই হলো রুদ্র মির্জা এই নামটা শুনলেই আমার বুক কাঁপে।উনাকে দেখতে অনেকটা তুর্কির হিরো মুরাতের মতো।যখন আমি উনাকে প্রথম দেখেছিলাম কতই না ক্রাশ খেয়েছিলাম এক-প্রকার উনার প্রেমে পাগল ছিলাম।কিন্তু একবার উনার রাম-ধমক খেয়ে আমি জ্ঞান হারিয়েছিলাম।দোষ একটাই আমি কেন উনার রুমে গিয়েছিলাম।উনার পছন্দ না উনার রুমে কোনো মেয়ে যাক।আমার মাঝে মাঝে মনে হয় উনার মেয়েতে এলার্জি আছে নাহলে মেয়ে দেখলে কেউ এমন করে নাকি?উনি অন্তত্য বাজে ব্যবহার করতেন আমার সাথে।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বাজে ব্যবহার কমিয়ে দেন।ভালো ব্যবহার না করলেও এখন খারাপ ব্যবহার করেন না।উনি পলিটিক্স করলে ও আর কি করেন সেটা কেউ জানে না।তবে একবার উনার রুমের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেছিলাম উনার হাতে পি*স্ত*ল যেটা দেখে সেদিন আমি কাঁপতে ছিলাম থরথর করে।আমার একটা অসুখ হলো আমি ভয় পেলেই জ্ঞান হারায় সেদিনও তা হয়েছিলো।আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।কিন্তু যখন জ্ঞান ফিরলো তখন বুঝতে পারলাম আমি উনার রুমে।আমি সেটা দেখেই তাড়াহুড়া করে উঠে বসেছিলাম।তার সাথেই সাথেই উনি কোথা থেকে এসে আমার মাথায় পি*স্ত*ল টেকে রেগে বললেন- যদি এই খবরটা বাহিরে যায় তাহলে সেদিন তোমার শেষ দিন!বলে রাখলাম।

“উনার এমন ধমকানোতে প্রায় আমি জ্ঞান হারাচ্ছিলাম কিন্তু তখনই উনি আমার মুখে পানি ছুড়ে মেরে বললেন- তোমার তো জ্ঞান হারাবার ব্যামো আছে তাই জ্ঞান হারাবার আগেই বলছি খবরটা যেন বাহিরে না যায়।
“ব্যস সেদিন থেকেই আমি উনাকে য*মে*র মতো ভয় পাই।উনার থেকে দূরে দূরে থাকি।
“মারিয়ার বিয়ে এত তাড়াতাড়ি দেওয়ার কারণ তার সেফটি।বিয়েটা হচ্ছে তার নিজ চাচাতো ভাইয়ের(আমান মির্জা)সাথে যে একজন পুলিশ।অবশ্য এই বিয়েতে মারিয়া ভীষণ খুশি।কারণ ছোট বেলা থেকেই সে আমান ভাইয়াকে ভালোবাসতো।
“মারিয়ার বিয়ে ছিলো আজ আমি বাবা আর আম্মু ছোট ভাইয়াকে নিয়ে এসেছিলাম।কারণ উনাদের সাথে আমাদের সম্পর্কটা বেশ ঘনিষ্ট।তাই উনারা নিজে গিয়ে আমার পরিবারকে দাওয়াত করে এসেছেন।তাই উনারা বাধ্য হয়ে এসেছেন।
“আমি মারিয়ার কানে কানে বলছিলাম- মারুরে তোর একটা ও সুন্দর ভালো দেবর কাজিন নেই কেন?আমার মনে হয় আমার সিঙ্গেলই ম’র’তে হবে।বলেই কাঁদো কাঁদো চেহেরা করলাম।

“আমার কথা শুনে মারিয়া বললো- আছে সবাই অন্যদিকে মেজো ভাইয়া সবাইকে এখানে আসতে মানা করেছে।কারণ মেয়েদের যেনো কোনো অসুধিবা না-হয় তাই।
“আমি ভেংচি কাটলাম আর বললাম- তোর ভাইয়ার জন্য মনে হয় আমার সিঙ্গেল ম’র’তে হবে।বিয়েতে আসছি কই একটা ছেলে পটিয়ে প্রেম করবো তা-না তোর ভাইয়া এক গা*ধা উনার কাজ গুলাও গা*ধা’র মতো বলতেই~পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো- কে গা*ধা
“আমি পিছনে ফিরে দেখলাম- রুদ্র মির্জা উনাকে দেখেই হাত-পা আমার কাঁপতে লাগলো জ্ঞান হারাবো হারাবো লাগছিলো তখন মারিয়া আমাকে শক্ত করে ধরে রাখলো আর বললো- নূর জানু প্লিজ জ্ঞান হারিয়ে আমার বিয়েটা নষ্ট করিস না।
“আমি ওকে বললাম- মারু আমাকে আরও শক্ত করে ধর আমার মাথা ঘুরাচ্ছে তোর ভাই সব কথা শুনে’নিতো।
“তারপর রুদ্র মির্জা কিছু বলতে যাবে তার আগেই উনার ডাকলো পরলো।উনি আমার দিকে কঠোর দৃষ্টিতে তাকিয়ে চলে গেলেন।আর আমিও জ্ঞান হারাতে হারাতে বেঁচে গেলাম।

“বিয়ে পড়ানো শুরু হবে কিছুক্ষণ পর আমি এদিক ওদিক হাটছিলাম আম্মু বাবা ভাই মারিয়ার আম্মু আর আব্বুর সাথেই আছেন।
মারিয়াদের বাড়িটা চারতলা তার চাচারাও থাকে সেখানে তার চার চাচা বাড়িটাও বিশাল বড়।তারা তৃতীয়তলায় থাকে সেখানে প্রায় ৭-৮টা রুম বিশাল বড় এক একটা ফ্ল্যাট।আমি হাটতে হাটতে রুদ্র মির্জার রুম পার করতেই কেউ আমার হাত ধরে টান দিলো।আমি প্রথমে ভয়ে চমকে উঠলাম।যখন দেখলাম আমার হাত ধরা ব্যক্তি রুদ্র মির্জা তখন আমার জ্ঞান হারাবার উপক্রম।জ্ঞান হারাবো হারাবো ভাব আসতেই উনি আমাকে ঝাঁকিয়ে রেগে চিল্লিয়ে বললেন- খবরদার জ্ঞান হারাবে না বলে দিলাম।আর আমাকে কি বললে তখন আমি গা*ধা তাইনা পি*স্ত*ল দিয়ে ঠু’কে দি?

“জ্ঞান হারাবে না বললেও আমার মাথা ঘুরতে লাগলো ভয়ে সারা-শরীর কাঁপতে লাগলো।আর অবশেষে জ্ঞান হারিয়ে উনার বুকেই ঢলে পরলাম।ব্যস সে মুহুর্তেই রুমে এলো উনার দাদি আমাকে উনার বুকে দেখে উনি চিল্লিয়ে সারা-বাড়ি মাথায় করলেন।এক-প্রকার সবাই উনার রুমে চলে আসলেন।আমার পরিবার আর তার পরিবারের সবাই বাড়ি ভর্তি মানুষ কি একটা বাজে পরিবেশ হয়ে গেলো চোখের পলকে।উনার দাদি অনেকটা নাটকবাজ মহিলাদের মতো। কিন্তু তখনও আমি উনার বুকে ঢলে পরে আছি।আর উনি আমাকে এক হাতে ধরে রেখেছেন।আমার পরিবার আর তাদের পরিবারের সবাই স্তব্ধ।কারোর মুখে কোনো কথা নেই।তারপর মারিয়া আমার জ্ঞান ফেরায়।জ্ঞান ফেরার পর সব ঘটনা শুনে আমি কাদঁতে লাগলাম।সারা বাড়ির মানুষ ছিঃ ছিঃ করতে শুরু করে দিলো।আমি আর উনি অনেক বুঝিয়েছিলাম আসল ঘটনা কি কিন্তু কেউ বিশ্বাস করতেছিলো না।সবাই আমাকে আর উনাকে নিয়ে কটুতা কথা বলতে লাগলেন।তারপর মারিয়ার বাবা উনার সম্মানের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন আমাদের দুইজনের আজকেই বিবাহ দিয়ে দিবেন।আমার বাবা-মার সাথে কথা বলে+বাকি সবার সাথে কথা বলে নিলেন।তারপর সবাই রাজি হওয়ায় মায়িরার সাথে সাথে আমার ও বিয়েটা হয়ে গেলো।যদি অন্য কারোর সাথে হতো আমি মেনে নিতাম এত কষ্ট পেতাম না।কিন্তু আমার বিয়ে রুদ্র মির্জার সাথে হয়েছে ভাবতেই আমার হাত-পা কাঁপছে।

~ বর্তমান ~
“আমার আম্মু আমাকে বাসায় আর রাখবেন না বলেই মারিয়াদের বাসায় রেখে চলে গেছেন।যাওয়ার সময় একবারো আমার দিকে ফিরে পর্যন্ত তাকালেন না।এমন কি বাবাও আমাকে নিয়ে গেলেন না আর আমার ছোট ভাই সে-তো আম্মু যা বলে তাই করে।উনাদের এহেন আচরণে আমি থমকে গেলাম আমার দুনিয়া অন্ধকার মনে হলো।কিন্তু যাওয়ার সময় বাবার চোখ ছলছল করছিলো ওই চোখ দ্বারা উনি আমাকে ক্ষমা করে দিস মা বুঝিয়েছিলো।কিন্তু আমার অভিমান হলো মনে মনে ভেবে নিলাম মা’রা যাবো দরকার হলে তাও সে বাড়িতে প্রবেশ করবো না।

“মারিয়ার বিদায়ের সময় সে আমাকে জড়িয়ে ধরে প্রচুর কান্না করলো।আর যেতে যেতে বাড়ির সবাইকে বলে দিলো- আমার জানু যদি কষ্ট পাই তাহলে ঘরে আ*গু*ন লাগিয়ে দিবো আমি।আমি তো এখানেই আছি খবরদার আমার বেষ্টুকে কেউ কটু কথা বলবে না।তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললো- বিয়ে যখন হয়ে গেছে তখন তুই এখানেই থাকবি।তারপর আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বললো- তুই তো মায়ের ভালোবাসা পাসনি এখন নাহয় আমার মায়ের ভালোবাসার ছায়াতলে থাকবি(মারিয়া আমার ব্যাপারে সব যানে)উনি তোকে ভীষণ ভালোবাসে।আর ভাইয়াকে ভয় পাবি না একদম।ভাইয়া একটু রাগি হলে ও অনেক ভালো।এখন আমার ভাইয়ার দায়িত্ব তোর।আমি এখানেই আছি দ্বিতীয়তলায় তাই যখন প্রয়োজন পরবে আমাকে ডেকে নিবি।
“ওর কথা শুনে আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম- এই দুনিয়াতে শুধু তুই আছিস আমার সত্যিকারের আপন বলতে কেউ।নাহলে যেখানে নিজের র*ক্তে*র মানুষ গুলা আমাকে পর করে চলে গেলো সেখানে তুই আমাকে আগলে নিয়েছিস।তোর মতো বেষ্টু আল্লাহ সবাইকে দিক।

~ এরপর আমরা অনেকক্ষণ কথা বললাম।তারপর তারা সবাই মারিয়াকে নিয়ে নিচের ফ্ল্যাটে চলে গেলেন।কারণ দ্বিতীয়তলায় আমান ভাইয়ারা থাকেন।

“আমি রুদ্র মির্জার বিছানাতে বসে বসে মুখে হাত দিয়ে কান্না করছি।কারণ উনার আম্মু মানে শাশুড়ি মা বলেছেন আজ থেকে নাকি আমাকে এখানেই থাকতে হবে।এটা শুনার পর আমার কলিজা বের হয়ে আসার উপক্রম।উনি এখনো রুমে আসেন’নি তার আগেই আমি কাঁদতে কাঁদতে শহীদ হয়ে যাচ্ছি।
“দরজা বন্ধ করার শব্দে আমি চমকে সেদিকে তাকালাম দেখলাম উনি গম্ভীর চেহেরা করে আমার দিকে না তাকিয়ে আলমারি থেকে জামা-কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলেন।
“আমি এখনো কান্না করে যাচ্ছি উনি কিছুক্ষণ পর ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আমাকে ধমকে উঠে বললেন- কান্না বন্ধ করো।
“উনার ধমকানোতে আমি ভয়ে আরও মুখ চেপে ধরে কেঁদে উঠলাম।আমার এভাবে কাদঁতে দেখে উনি রেগে ড্রয়ার থেকে পি*স্ত*ল বের করে আমার মাথায় ঠা*ক করে বললেন- ঠু*কে দি……..

(আবারও নতুন গল্প দিয়ে দিলাম আপনাদের জন্য।এই গল্পটা আমি একটু ভিন্ন ভাবে লিখতে চাই।আর হ্যা আগেই বলে দিচ্ছি নায়কের চরিএ টা অন্য-রকম হবে।আপনাদের হয়তো পছন্দ নাও হতে পারে তবে পড়তে পড়তে ইনশা-আল্লাহ ভালো লাগলেও লাগতে পারে।এই গল্পটা আমি অনেক ভেবে চিন্তেই লিখবো তাই প্রতিদিন দুটো করে পর্ব দিতে না পারলেও বেশ বড় করে পর্ব দিবো।আর নায়কার চরিএ কিংবা তার অসুখটা ন্যাকা ন্যাকা লাগতে পারে।কিছু করার নেই গল্পের জন্যই নায়কার এইরকম চরিএ)
(আপনাদের জন্য নায়ক-নায়িকার নাম বদলে দিয়েছি)

অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ২