অবাধ্য প্রেম দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ পর্ব ১০

অবাধ্য প্রেম দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ পর্ব ১০
নন্দিনী নীলা

ছোঁয়ার কথা মতই নিবিড় সব বন্দোবস্ত করেছে। কিন্তু তাই বলে কি তার বউকে সে নতুন শাড়ি কিনে দেবে না? শাড়ি ছাড়াই কি বিয়ে করবে আবিরকে নিয়ে শপিংমলে ছুটেছে। ফোন দিয়ে ইভা কেউ আসতে বলেছে। ফ্রেন্ড মহলের সবাই কে ফোন দিয়েছে। সবাইকে শপিং মলে আসতে বলেনি বাসায় আসার কথা বলেছে। এজন্য সবাই বাসায় চলে যাবে। নিবিড় ইভা কে নিয়ে নিজের পছন্দমত শাড়ি গহনা কিনেছে।

“দোস্ত তুই আজকে খুব খুশি তাই না?”ইভা নিবিড়ের হাত ধরে বলল।
নিবিড় বলল,”ভালোবাসাকে আজ আমি নিজের করতে পারবো। আমি যে কতটা খুশি সেটা প্রকাশ করতে পারবো না।”
ইভা বলল,” আফিয়া কে খবর দিছিস?”
” আকাশ কে বলেছি ও সবাইকে জানাবে।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আফিয়া কে জানাতে বারণ করে দিছি। ও ঝামেলা করতে পারি তোর জন্য এমনিতেই ডেস্পারেট।”
” যা খুশি কর ওকে আর আমি আমার বন্ধু মনে করি না।”

এদিকে আত্মীয়-স্বজন না জানলে ও নিবিড়ের বন্ধু সব এসে হাজির হয়েছে। রিসা এসে গাল ফুলিয়ে বসে আছে ও আফিয়া কে খুব ভালোবাসে ছোঁয়া কে বিয়ে করছে। তাই ওর ভালো লাগছে না। কিন্তু নাও করতে পারছে না। কারণ নিবিড় কে ছোঁয়া কে খুব ভালোবাসে। নিবিড় তো ছোঁয়া বলতে পাগল এখানে ও না করবে কিভাবে দুজনই তো ওর খুব প্রিয়।

তাছাড়া ওর কথাই বা শুনবে কে? হয়তো এইসব করতে গেলে উল্টা নিবিড় ওকে আফিয়ার মত বন্ধুত্ব থেকে বাদ দিয়ে দিবে!
কিন্তু ও সব সময় চেয়েছে, নিবিড় আর আফিয়ার মিল হোক দুই বন্ধু মিল হলে কতই না ভালো হতো। দুজনে কতটা সুখে থাকত! এখন একজন সুখী হলে আরেকজন তো কষ্ট পাচ্ছে।

রিসা এসে সোফায় বসে আছে গোমরা মুখ করে। আর সবাই আমার সাথে কথা বলছে। ভাবি ভাবি বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে। আশা তো সেই খুশি ছোটাছুটি করে এটা ওটা এনে দিচ্ছে নিবিড়ের বন্ধুদের হাতে। আশা খুশির মেইন কারণ হচ্ছে আমার আর নিবিড়ের বিয়ে।

ও খালি বলছে ভাইজান কি যে কষ্ট করছে? আপনি যখন চইলা গেছিলেন আপনি ফিরে এসেছেন। এখন ভাইজান সুখের মুখ দেখবো। কত যে আল্লাহর কাছে কইছি আপনারে জানি ভাইজান খুব তাড়াতাড়ি ফিরে পায়। আপনি আর ভাইজানরে কষ্ট দিয়েন না কি পাগলের নাগাল করছে। সবাই তো ভাইয়ারে পাগল পর্যন্ত ব‌ইলা গেছে। কেউ কাছে গেলেই এটা ওটা ছুড়ে মারছে আর বড় ম্যাডাম কাছে গেলে তো তার মাথা ফাটাইছে একবার কইরা।”

বলেই হাসলো আশা। মাহি রুমে বসে সাজুগুজু করছে। ও বলছে আমার ব্রো র বিয়ে অথচ আমি কিনা পার্লার থেকে সাজতে পারব না‌। অনুষ্ঠান কেন হবে না। এসব বলে চিল্লাচিল্লি করে নিজেই রুমে সাজতে গেছে আর নিবিড় বলে গেছে ওর জন্য নতুন পোশাক নিয়ে আসবে।

এদিক ছোট চাচি শুধু ঘুরা ঘুরি করছে আর ফোড়ন কাটছে। নিলাশা বেগম নিজের রুমে দরজা আটকে বসে আছে। অবশেষে আবির নিবিড় আর ইভা আপু আসল এসেই তো ইভা আপু আমাকে জড়িয়ে ধরল।
নিবিড় বন্ধুদের নিয়ে চলে গেল। আর আশার হাতে দিয়ে গেল মাহির জন্য আনা ড্রেস। আশা চলে গেল মাহি রুমে। রিসা, ইভা আমার সাথে গেস্ট রুমে চলে এলো।

এদিকে আফিয়া জানতে পেরেছে নিবিড় আজকে ছোয়াকে বিয়ে করবে আর মাত্র এক ঘণ্টা পর আটটায় বিয়ের কার্যক্রম শুরু হবে। এখন ঘড়িতে বাজে সাতটা। ও সাথে সাথে রিসাকে কল করলো ফোন কেটে দিচ্ছে। একে একে তৌহিদ আকাশ সবাই কে কল করছে? কেউ ফোন তুলছে না। এবারও নিবিড়কে কল করলো বিজি দেখাচ্ছে ব্লক করেছে ওর নাম্বার ও চিৎকার করে উঠল।

আফিয়া চিৎকারে আফিয়ার ছোট ভাই দৌড়ে আসল। আফিয়ার মা রান্না করছিল। আফিয়া রিসা’র ফোনে একটা মেসেজ পাঠিয়ে নিজের হাতের শিরা কেটে ফেলে ধারালো চাকু দিয়ে।রিসা ভয়ে ফোন অফ করে দিয়েছে কারণ নিবিড় যদি জানতে পারে ও আফিয়ার সাথে ও কথা বলছে এখানে বিয়ের কথা জানিয়ে দিয়েছি। তাহলে তো নিবিড় খুব খেপা খেপে যাবে এজন্য ভাবছে যে বাসায় গিয়ে কোন ভাবে আফিয়াকে সব জানাবে।

এদিকে আফিয়া রাগে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছে। রাগে ও ভয়াবহ কাজ করে বসল।ওর ছোট ভাই চিৎকার করে উঠল আপু বলে। নিচে থেকে ছেলে চিৎকার শুনে আফিয়ার মা দৌড়ে আসলো উপরে এসে দেখল ছেলের কিছু হয়নি হয়েছে মেয়ের। বাসায় ছেলে মানুষ বলতে কেউ নাই উনি মেয়ের অবস্থা দেখে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল।

ইভা আপু ব্যাগ থেকে লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়ি বের করল। শাড়িটা আমার কাঁধে ফেলে বলল,” বাহ ছোঁয়া তোমাকে খুব মানাবে শাড়িটা তে। নিবিড় নিজে পছন্দ করেছে সব আমি ওর পেছনে পেছনে ঘুরেছি খালি। আমাকে নিয়ে গেছিল চয়েজ করার জন্য কিন্তু ওখানে গিয়ে উল্টা হলো। ও আমাকে কিছু করতে দিল না।”

লাল দোপাট্টা করে মাথা ঘোমটা টেনে দিল। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছি।
তখনি নিবিড় আসল হাতে একটা বক্স নিয়ে। এসেই আমার দিকে তাকালো স্তব্ধ নয়নে। হাতের বক্স দিয়ে বলল গহনা আছে।

তখনি চেঁচামেচি করতে করতে এলো নিলাশা বেগম,,” এই ছোটলোকের বাচ্চা রে আমি আমার গহনা দিমু না।এই কুৎসিত মাইয়া রে এই গয়না পরলে জোকার লাগব।”
লজ্জায় অপমানে আমার চোখ ছলছল করে উঠল।

নিবিড় গহনার বক্স ছুঁয়ে মারল দরজার দিকে।নিলাশা বেগম চমকে পিছিয়ে গেল একটুর জন্য পায়ে লাগে নি।
” এই বা** গয়না আমার ব‌উয়ের লাগব না। আব্বু না দিলে কখনো আপনার গয়না আনতাম না। নিয়ে যান যেদিন নিজে রোজগার করব সেদিন আমার ব‌উ গয়না পরে সাজবে। তার আগে নয়।”

নিলাশা বেগম গয়নার বাক্স নিয়ে হনহনিয়ে চলে গেল। এই গহনা তার ও না নিবিড়ের ব‌উয়ের জন্য নিবিড় এর বাবা এনেছিল। কিন্তু উনি তো তা দিতে দেবে না ওই মেয়ে রে।
নিবিড় এগিয়ে এসে আমার দু গালে হাত রেখে চোখের পানি মুছে দিল। আমি অন্যদিকে চেয়ে বললাম,” আপনি বাইরে যান আমি রেডি হবো।”

নিবিড় লাজ লজ্জা ভুলে দুই বান্ধবীর সামনে আমার কপালে ওষ্ঠ ছুয়ে দিল। লজ্জায় আমার কান গরম হয়ে এলো। নিবিড় বেরিয়ে এলো।
ইভা আপু আমাকে লজ্জা দিতে লাগল‌। দুজনেই আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দিল। নিবিড় শাড়ি দোপাট্টা সাথে চুড়ি এনেছিল। তা দিয়ে আমাকে সাজিয়ে দিয়েছে।

গহনা বলতে ইভা আপু নিজের ব্যাগ থেকে একজোড়া কানের দুল বের করে আমার কানে পরিয়ে দিল। সোনালী কালার ঝুমকা। হাতে লাল রেশমি চুরি। এই চুড়ি নাকি নিবিড় শপিং মলের বাইরে থেকে কিনেছে। শাড়ি আর দোপাট্টা নিবিড় নিজের জমানো টাকা থেকে কিনেছে ওর চাইছে ওর বউ য়ের বিয়ের জিনিসও নিজের টাকাই কিনবে।

আমি নিজেকে আয়নায় দেখছি লাল শাড়ি টায় আমায় কিন্তু খারাপ লাগছে না। বরংচ একটু বেশি সুন্দর লাগছে। আমি কি প্রিয় মানুষের দেওয়া জিনিস পরে সুন্দরী হয়ে গেলাম? নিজেই মুগ্ধ হয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে আছি।
গহনা ছাড়াই যেন আমাকে সুন্দর লাগছে বেশি।

আয়নার নিজেকে ঘুরে ফিরে দেখছি তখনি আয়নায় নিজের পেছনে নিবিড় কে দেখে চমকে উঠি। নিবিড় একটা সাদা পাঞ্জাবি পড়ছে। শুভ্র রঙে নিবিড় কে খুব সিগ্ধ লাগছে। নিবিড় আয়নার মাঝেই আমার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে।
তুখড়দৃষ্টি ফেলে তাকিয়ে আছি দুজন দুজনের দিকে, ঘোরে লাগা চোখে তাকিয়ে আছি।

নিবিড় পকেটে থেকে কিছু বের করে আমার গলায় পরিয়ে দিতে লাগল। নিবিড় হাতের স্পর্শ আমার গলায় পরতেই আমি কেঁপে উঠলাম। চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছি। ঘাড়ে উষ্ণ স্পর্শ পরতেই শাড়ির আঁচল খামচে ধরি।
নিবিড় ফিসফিস করে বললো,” ছোঁয়া তাকাও।”
আমি তাকালাম গলায় চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম। বিস্মিত নয়নে তাকালাম নিবিড়ের চোখের দিকে।

” এটাতো আমার সেই লকেট।”
” হুম এতো দিন আমার কাছে ছিল। কম চেষ্টা
তো করোনি নেওয়ার জন্য। কিন্তু নিবিড় না চাইলে সেই জিনিস কারো নেওয়ার ক্ষমতা নাই। এতদিন এই লকেট আমি তুমি ভেবে বুকের কাছে রেখেছে এখন তুমি আছো তাই তোমার প্রিয় জিনিস দিয়ে দিলাম। আমার প্রিয় জিনিস আমি নিয়ে নিলাম।”

খুশিতে আমার চোখে জল ভরে উঠলো। আমি একটা ভয়ংকর কাজ করে বসলাম। লজ্জায় আমি অন্যদিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে কাঁপছি নিবিড় চোখ বন্ধ করে প্রেয়সীর আদর স্পর্শ অনুভব করল। গালে আপনা আপনি হাত চলে গেল।
তখনই বাইরে থেকে ইভা দের আওয়াজ শুনে নিবিড় বেরিয়ে গেল মাহির জন্য যেই গ্রাউন্ডটা এনেছে সেটাই পড়েছে।

মাহি এসেছে ছোঁয়ার কাছে সবাই মিলে ড্রয়িং রুমে আসলো নিবিড় বসে আছে আর বাপ চাচার সাথে। আমাকে আরেক পাশে বসানো হলো। বাসার সবাই উপস্থিত আছে শুধু নিলাশা বেগম নাই।
কাজী নিয়ে আসলো আবির কাজী আসতেই নিবিড় উঠে আমার পাশে এসে বসলো।

সবার অগোচরে নিবিড় আমার একটা হাত নিজের হাতে চেপে ধরে বসে আছে। আমি অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছি। বিয়ের সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে তখনই রিসা চিৎকার করে উঠলো। সবাই চমকে রিসার দিকে তাকালো নিবিড় বলল,, কি হয়েছে? চিৎকার করছিস কেন?

রিসা কিছু বলতে যাবে বলতে পারছে না কাঁপছে ধরধরিয়ে। তখনি কলিং বেল বেজে উঠলো।
আশা তো দৌড়ে গেল দরজা খুলতে চারজন পুলিশ ভেতরে এসে ঢুকলো‌। দুইজন মহিলা কনস্টেবল।

” এটা কি নিবিড় জুনায়েদ এর বাড়ি?”
রাফসান কাকা উঠে গেলেন কথাবার্তা তিনি বলতে লাগলেন। রাফসান কাকা যেহেতু আর্মি অফিসার তাই তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে উনাদের সাথে কথা বলতে লাগলেন। আর এটা বললেন ওনার এখানে কেন এসেছে? এদিকে আমি ভয় ঘামতে লাগলাম কপাল বেয়ে আমার ঘাম ঝরছে।

আমি নিচু স্বরে নিবিড় এর দিকে ঝুঁকে বললাম,”বিয়ে পড়াতে এত সময় নিচ্ছে কেন? আমি কিন্তু বলেছি নয়টার আগে বিয়ে পড়াতে দেখুন আর ১৫ মিনিট আছে!”
কথাটা শুনতেই নিবিড় সমস্ত ধ্যান চলে গেল ও কাজীর দিকে তাকিয়ে বলল,,”পাঁচ মিনিটের ভিতরে বিয়ে শেষ করুন!”
ওদিকে রাফসান কাকা পুলিশদের একটু দূরে নিয়ে কথা বলছে তিনি গম্ভীর মুখে কথা বলছে আমি একবার সেদিকে তাকাচ্ছে তো কাজীর দিকে তাকাচ্ছি। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে আসছে।

নিবিড় যে হাত ধরে ছিল সে-ই হাত দিয়ে নিবিড় এর হাতে জোরে চেপে ধরে বললাম,,”তাড়াতাড়ি করুন না।”
নিবিড় আমার দিকে তাকিয়ে চমকে গেল।”কি হয়েছে তোমার? এত ভয় পাচ্ছ কেন? শরীর খারাপ লাগছে এত ঘামছো কেন?”

“কিচ্ছু হয়নি আমার।”
একটা কাগজ এগিয়ে দিল প্রথমে নিবিড় সাইন করল সেই কাগজটা আমার দিকে দিতে আমি তাড়াতাড়ি কলমটা ধরে লিখতে যাব আমার হাতটা সম্ভব কাঁপছে। ঠোঁট দুটো জিভ দিয়ে ভিজিয়ে নিজেকে শান্ত করে লিখতে যাবো তখনই পুলিশ এদিকে এগিয়ে এসে বললেন,,” এখানে ছোঁয়া কে?”

ভয়ে কলমটা আমার হাত থেকে পড়ে গেল।
ইভা আপু আমাকে দেখিয়ে দিল তারপর বলল ,,” কি হয়েছে অফিসার কোন সমস্যা??”
নিবিড় ও অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। ও ভাবছে পুলিশগুলো ছোঁয়াকে কেন খুজতেছে! একবার আমার নাম ত একবার ছোঁয়ার নাম কি?

তখনই পুলিশ অফিসার শায়ের বলল,” উনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে।”
নিমিষেই পরিবেশ স্তব্ধ হয়ে গেল। সবাই অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে আছে পুলিশ শায়ের এর দিকে।
রিসা দৌড়ে এসে নিবিড় কে দেখালো আফিয়ার রক্ত মাখা হাত ও ছবি দেওয়ার আগে একটা মেসেজ দিয়েছে তাতে লেখা,,

” নিবিড় আমার না হোক ওকে আমি ওই ছোঁয়ার হতে দেব না‌। মরে যাব কিন্তু ওদের আলাদা করে যাব জন্মের মতো।”
ছোঁয়া নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে বলল,” আপনাকে আপন করা হলো। আমি মিসেস নিবিড় হতে পারলাম না। তার আগে আমার সময় শেষ হয়ে গেল। আপনার নামে কবুল না পরে আমি মরেও শান্তি পাব না। আমি আপনার হতে চাই আমাকে আপনার করে নিন। প্লিজ!”

নিবিড় দিশেহারা হয়ে গেছেন। মহিলা কনস্টেবল টেনে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে। তা দেখে নিবিড় চিৎকার চেঁচামেচি করছে। লাফালাফি করছে ওকে আঁটকে ধরে রাখছে আবির আকাশ। প্রিয় মানুষটাকে সারা জীবনের জন্য হারিয়ে ফেললাম। নিবিড়ের নামে আমার আর কবুল পড়া হবে না ভাবতেই বুকটা ফেটে যাচ্ছে। এই পুলিশগুলার একটু পর আসলে কি হতো?

অবাধ্য প্রেম দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ পর্ব ৯ শেষ অংশ

“এইজন্যই বলেছিলাম এই ছোটলোকের বাচ্চা কে বাসায় আনিস না! এই খুনি মেয়েটার জন্য কি না আমার ছেলে পাগলামি করেছে এতদিন। তাকে কিনা আবার বিয়ে করার জন্য নাচানাচি করেছে। ছিঃ লজ্জায় সমাজে মুখ দেখাবো কি করে?”নিলাশা বেগম নাক সিট কি বলল।

অবাধ্য প্রেম দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ পর্ব ১১