অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ২৮

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ২৮
সাবরিন জাহান

আয়ান মুচকি হেসে এগিয়ে গিয়ে আয়ুশীকে জড়িয়ে ধরতে চাইলে কয়েক পা পিছিয়ে যায় ও! আয়ান ভ্রু কুঁচকে বললো,”কি হলো?”
“এত সহজ নাকি?এত সুন্দর করে প্রপোজ করলাম,রিপ্লাই না দিয়ে জড়িয়ে ধরতে চাইছেন?এই আপনার ম্যানার্স,স্যার!ছি ছি…”
আয়ান কোমরে হাত রেখে বলল,”তখন ছাদে আমিও বলেছিলাম!”

“তাতে কি?এখন তো সব নতুন!”
“তো কি করতে হবে শুনি?”
“সুন্দর করে রিপ্লাই করবেন!পছন্দ না হলে সব ক্যান্সেল!”
“কোন কুক্ষণে যে তোমার প্রেমে পড়েছিলাম,আল্লাহ জানে!”
“বুঝাতে কি চান?”
“কিছু না!”
একটু ভেবে বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“ভালোবাসি বললাম আমি…
করলাম সবই কবুল…
আমি শুধু তোমারই রবো!
করলাম মিষ্টি এই ভুল…!
হাতে হাত রাখতে পারো!
সন্ধি আঙ্গুলে আঙ্গুল!
ভালোবাসা বাড়াতে আরো..
হৃদয় ভীষণ ব্যাকুল!”

আয়ুশী মিষ্টি হেসে আয়ানকে জড়িয়ে ধরলো।ফোনের ওপাশ থেকে খট করে কল কেঁটে দিলো ডেইজি! আয়ান ওকে না বলে চলে গেলো কেনো জানতেই ফোন দিয়েছিল ও!শুরু থেকে হওয়া সবটা শুনে ওর রাগে গা জ্ব’লছে….
“না না আয়ান!আমি এবার তোমাকে হারাতে দিতে পারি না! ইহরার জন্য প্রথমে তোমাকে স্যাক্রিফাইস করেছি!এখন ভাগ্য যখন দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছে,তার মানে ভাগ্যও চায় তুমি আমার হও!তোমার জন্য বাঙালির মত চালচলন করি,আর তুমি অন্য কারোর হবে!এটা তো আমি মানবো না!তোমার লাইফে শুধু আমি থাকবো!আর কেউ না!”

জমজমাট বিয়ের আয়োজনে মেতে উঠেছে আয়ানদের বাড়ি!মাঝে রয়েছে ইহরা, আয়ান আর আয়ুশীর খুনসুটি মুহুর্ত!সব দেখে নাহারের চোখে পানি এলো। ইহরা হয়তো বেশি দূরে যাচ্ছে না,কিন্তু তাও..আগের মত তো এই বাড়িতে থাকবে না!
“ও মামনি!”
ইহরাকে দেখে তড়িঘড়ি চোখ মুছলেন উনি!
“কাঁদছো কেনো?”
“মেয়ের বিয়েতে সব মা ই একটু কাঁদে পাগলী!”

“আমি কি দূরে কোথাও যাচ্ছি নাকি? এখান থেকে এখানে!যখন ডাকবে,ছুটে চলে আসবো!”
“হয়েছে সংসার ফেলে ছোটাছুটি করা লাগবে না তোমার!কয়েকদিন পর তো আয়ুও চলে যাবে!”
“আয়ুকে রেখে দিলেই পারো!”
“তা হয় নাকি?সব মেয়েদেরই বিয়ে করে পরের বাড়ি যেতে হয়!”
“বিয়ে করবে তো ঠিকই,কিন্তু পরের বাড়ি যাবে না!”
“তো কি ঘর জামাই আনবো?”

“উফফ মামনি!ঘরে বিয়ে উপযুক্ত ছেলে থাকতে ঘর জামাই আনবে কেনো?”
নাহার একটু ভাবলেন,তারপর বললেন…
“না বাবা,আবার আয়ুশীও তোমার মত পরিস্থিতিতে পড়ুক আমি চাই না!এসব বাদ মানে বাদ!”
বলেই রান্নাঘরে চলে গেলেন! ইহরা আফসোসের সুরে বলল,
“যাক বাবা,এবার তো কেস জন্ডিস হয়ে গেলো!কি হবে এবার?”
“ইহরা আপু!”
আয়ুশীর ডাকে ওর দিকে তাকালো ইহরা!
“হুমম বলো!”

“আমার অভিযোগ আছে!”
ইহরা কোমরে দুই হাত রেখে বলল,”আবার?”
“আরে স্যারকে নিয়ে নয়!”
“তাহলে?”
“উনাকে নিয়ে!”,ডেইজিকে ইশারা করে বললো ও!
“ডেইজি?ডেইজি আপু কি করলো?”
“ওই ডা’ইনি আপু স্যারের পিছে পিছে ঘুর ঘুর করে শুধু!”

“তোমার ভুল হচ্ছে আয়ু, ও তো জাস্ট বেস্ট ফ্রেন্ড ওর!আসলে অনেক বছরের ফ্রেন্ডশিপ তো,তাই একটু ক্লোজ!এতে জেলাস হওয়ার কিছু নেই বোনু!আচ্ছা আমি যাই,পার্লারের লোক এসে গেছে!”
“আরে আপু পুরোটা তো শুনো!”
ইহরা না শুনে চলে গেলো!আয়ুশী গাল ফুলিয়ে তাকিয়ে রইলো ডেইজির দিকে!এই ডেইজি যে ওকে কি কি বলেছে, তা তো কেউ জানে না আর!হুট করেই কেউ কানে ফুঁ দেয়ায় চমকে উঠলো আয়ুশী। আয়ানকে দেখে মুখের আরো বারোটা বাজলো!আর সবাই বাদ,একটা ছেলে হয়েকি ও বুঝতে পারে না?কোন মেয়ে ওকে কি চোখে দেখে?

“কি ব্যাপার,মিস ঝামেলা?আবার কোন ঝামেলা করার প্ল্যানিং করছো?”
“হ্যাঁ,আমি তো খালি ঝামেলাই করি!ঝামেলার দিন জন্ম নিয়েছিলাম কিনা!”
“আরে আরে,কি হয়েছে?এভাবে ক্ষেপে যাচ্ছো কেনো?”
“ডা’ইনি এসেছে, ডা’ইনি!তাই…”
বলে রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলো।
“এই রূপকথার ডা’ইনি বাস্তবে এসে কি ভর করলো ওর উপর?ভাবার বিষয় তো!”
বলেই ভাবুক ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইলো!

রান্নার কাজ দেখতে রান্নাঘরে এসেছিলেন নাহার!এসেই চমকে গেলেন!আয়ানের বিদেশি বন্ধুটা বাঙালি মেয়ের মত শাড়ি পড়েছে।আঁচলটা কোমরে গুঁজে রান্নার সব কাজ দেখছে ও!নাহার সন্তুষ্ট হলেন! আজকালকার যুগে বিদেশে বড় হওয়া মেয়েটা এত নিখুত বাঙালি সংস্কার বজায় রেখেছে ভাবতেই ভালো লাগছে উনার!
“আরে আরে মা!তুমি এত কষ্ট করছো কেনো?মেহমানদের দিয়ে কাজ করালে আমাদের ভালো লাগবে নাকি?”
“আন্টি,মেহমান বলছেন কেনো?আমিও তো আপনার মেয়েরই মত!”
“ভারী মিষ্টি তুমি!তোমার নামটা যেনো কি?”

“ডেইজি!”
“ফুলের নাম,দেখতেও ফুলের মত!”
ডেইজি কিছুটা লজ্জা পেলো!
“তাও,এভাবে এত কাজ করলে হবে?তোমার বন্ধুর বিয়ে,মজা করবে না?”
“বোনেরও তো বিয়ে!কাজ তো করাই যায়..আর তাছাড়াও কে বলতে পারে!ভবিষ্যতে আমার উপরেই এসব কাজের দায় পড়ে?”
নাহার কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসলেন!ডেইজির থুতনি ধরে জিজ্ঞেস করলেন!
“ভবিষ্যৎ বলতে কি বুঝালে?”

ডেইজি লজ্জায় মাথা নিচু করলো!
“হয়েছে হয়েছে,আর লজ্জা পেতে হবে না!এই বিয়েটা হোক,তারপর ঐ বাঁ’দরেরও ব্যাবস্থা হবে!এবার যাও যাও…এখানে তোমার কোনো কাজ নেই!রেডি হও..”
বলেই ঠেলে পাঠিয়ে দিলেন!ডেইজি হেসে সামনে এগিয়ে যেতেই দেখলো আয়ুশী মুখ ভার করে দাড়িয়ে আছে!নাহার আর ওর সব কথাই শুনেছে ও!ডেইজি বাঁকা হেসে ওর কাছে গেলো!

“হেই..!”
একটু ভেবে বললো,”আতুশি?”
আয়ুশী চোখ বন্ধ করে লম্বা নিঃশ্বাস নিয়ে বললো,”আয়ুশী!”
“হোয়াটেভার!আসলে বাংলাটা খুব একটা রপ্ত হয়নি এখনও!বাট হয়ে যাবে,এখানেই তো থাকবো!তাই না?”
আয়ুশী রাগী দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে উপরে চলে গেলো।ডেইজি আফসোসের সুরে বলল,”সরি হায়ুশি!না আতুশি.. যাই হোক..সরি গো!আমি একবার মহান হয়েছি!এবার আর হচ্ছি না!”

সন্ধ্যা নেমে আসছে!এই সময় ছাদে আসাটা ঠিক না!মুরব্বিদের ভাষ্যমতে এই সময়টায় জ্বীনরা থাকে!অবশ্য আয়ুশী নিজেও মানে!কিন্তু মন খারাপ হলেই আকাশটাই ওর দুঃখ বিলানোর জায়গা হয়!আকাশের দিকে তাকিয়ে দুঃখগুলো বলতে ভালো লাগে ওর! মন ও হালকা হয়!ডেইজি আর নাহারের কথা শুনে এটা বুঝেছে,নাহার ডেইজিকে ভীষণ পছন্দ করেছে!

আচ্ছা এবারও কি আয়ান নাহারের জন্য ডেইজিকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাবে?ছেড়ে দিবে ওর হাত?আগেরবারের মত এবারও কি মায়ের মুখের হাসিটা বজায় রাখতে রাজি হবে? হ্যাঁ, ও নিজেও চায় নাহার সবসময় হাসুক!যেই মানুষটা তার নিজের সন্তান না হওয়া সত্বেও এত ভালোবাসা দিয়েছেন,সেই মানুষটার হাসি কেনো কেড়ে নিবে ওরা?কিন্তু ওর কি হবে?আবারও কি সেই পুর্বের যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে?ভাবতেই চোখের কোণে জল চলে আসলো!কষ্টের জন্য না!ভালোবাসার মানুষকে হারাবার ভয়ে!

“তো মহারানী এখানে!আর আমি সারা বাড়ি খুঁজছি!”
আয়ানের গলা শুনে তাড়াতাড়ি ওর আড়ালে জমে থাকা জল মুছে ফেললো!কিন্তু আয়ানের থেকে আড়াল করতে পারলো না! আয়ান ওকে নিজের দিকে ঘুরালো!
“কি হয়েছে আমার মহারানীর?”
“কিছু না!”
“আমার দিকে তাকিয়ে বলো!”
আয়ুশী তাকালো না!
“আয়ুশী তাকাতে বলেছি!”

আয়ুশী আয়ানের দিকে তাকাতেই চোখ থেকে কয়েকফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো! আয়ুশীর দুই গালে হাত দিয়ে আয়ান বিচলিত হয়ে বললো,”কি হয়েছে আয়ুশী?কেউ কিছু বলেছে?কোনো সমস্যা হয়েছে?কাঁদছো কেনো?”
আয়ুশী চোখ নামিয়ে বললো,”আম্মু আব্বুকে মিস করছিলাম!”

“আয়ুশী,আমি তোমাকে অল্পদিনে হলেও এইটুকু চিনেছি তুমি কারো চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যে কথা বলতে পারো না।সো প্লিজ!মিথ্যে বলা বন্ধ করো!আর সত্য বলে থাকলে আমার দিকে তাকিয়ে আবার উত্তর দেও!”
আয়ুশী আয়ানের চোখের দিকে তাকালো!হুট করেই বলে বসলো,
“ছোট আম্মু যদি এবারও কাউকে বিয়ে করতে বলে,আপনি কি রাজি হয়ে যাবেন?ছেড়ে চলে যাবেন আমায়?”
আয়ুশীর প্রশ্নে অবাক হলো আয়ান!

“এসব কি বলছো তুমি?”
“উত্তর দিন না!”
“হারানোর ভয় পাচ্ছো?”
আয়ুশী চোখ সরিয়ে নিলো!
“আবার চোখ ঘুরিয়ে নেয়!”
আয়ুশী আবারও আয়ানের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,”আপনাকে পেয়ে আবার হারানোর ভয়টা আমার একটু বেশি ই মিষ্টার খারুশ!মানতে পারবো না আমি!একদম না….না পেয়ে যদি হারাতাম তাও মানতে পারতাম!কিন্তু পেয়ে হারানোর যন্ত্রণা যে খুব বেশি!অনেকটাই বেশি!”

আয়ুশীর কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে বললো,”একবার যখন সুযোগ পেয়েছি,ভালোবাসাকে কাছে রাখার..সহজে ছাড়বো না!আর সেদিনের পর এটা বুঝেছি,মায়ের হাসি সেটাতেই,যেটাতে আমরা খুশি!তাই কখনো এমন হলেও,মাকে বললে সে ঠিক বুঝবে!”
আয়ুশী মৃদু হাসলো!
“এবার যাওয়া যাক?বিয়ে শুরু হবে,অথচ আপনার সাজার খবর নেই!জলদি তৈরি হন মিস ঝামেলা!”
আয়ুশী হেসে নিচে গেলো।তার পিছু পিছুই আয়ান নেমে এলো!

বধূ বেশে লাল বেনারসিতে অপূর্ব লাগছে ইহরাকে! ইহরাকে দেখে আয়ুশী নিজেই তব্দা খেয়ে বসে আছে। চোখই সরাতে পারছে না!
“ইহরাপু!আমি ক্রাশিত তোমার উপরে!”
“থ্যাংকস,বাট আমি বেলুন না যে তোমার পাম শুনে ফুলবো!”
“আরে পাম না,পাম না!সিরিয়াসলি..ডাক্তার একদম চোখ সরাতে পারবে না দেখো!”

ইহরা লাজুক হাসলো!তখনই এলো ডেইজি!ডেইজিকে দেখে আয়ুশীর মুখ গম্ভীর হয়ে গেলো।জলপাই কালারের লেহেঙ্গা ,সাথে হালকা সাজে বেশ মনকাড়া লাগছে ডেইজিকে!অপরদিকে আয়ুশী মিষ্টি কালারের লেহেঙ্গা পড়েছে! ওকেও ভালো লাগছে,কিন্তু ওর মনে হচ্ছে ডেইজিকে বেশি ভালো লাগছে!
“আরে ইহরা,তোমাকে অপরূপা লাগছে!”
“থ্যাংকস আপু!”

“আর তুমি,কি যেনো! হায়ু…না না,আতু!উফফ মনে করতে পারছি না! ওহ হ্যাঁ, হাতুশি..তোমাকেও দারুন লাগছে!”
আয়ুশীর চোখ ছানাবড়া! আতুশি, হায়ুশি তাও মানা গেছে!একটু একটু তো মিল ছিল!এখন পুরোই হাতুশি বানিয়ে দিলো।আয়ুশীর এমন নাম শুনে ইহরা ঠোঁট চেপে হাসতে লাগলো!আয়ুশী দম ফেলে বললো,”না জানি কোনদিন,হাতুড়ি বানিয়ে ফেলেন!ভেবেই মাথা ঘুরাচ্ছে আমার!”
এবার ইহরা জোড়ে হেসে দিলো!
“আসলে..”,আয়ুশী ডেইজিকে থামিয়ে বললো..

“হ্যাঁ, হ্যাঁ!জানি!বাংলা অত রপ্ত হয়নি! আস্তে আস্তে শিখে যাবে!…এখানেই তো থাকবেন!”
ইহরা অবাক হয়ে বললো,”এখানে থাকবে মানে?ডেইজি আপু,তুমি বাংলাদেশ সেটেল হবে?”
ডেইজির কিছু বলার আগে নিচে শুনা গেল ,বরযাত্রী এসে গেছে!আয়ুশী লেহেঙ্গা সামান্য উচু করে দৌড়ে চলে গেলো! শালীকা হিসেবে কিছু পাওনা আছে তো ওর!গেট ধরে টাকা পেয়ে খুশি মনে ফাহিনকে স্টেজে বসালো ও!!
“এই ডাক্তার, ইহরাপুকে না যা লাগছে দেখতে!আমি তো মেয়ে হয়েই ক্রাশ খেয়েছি!”

“তো মিস রোগী!ছবি টবি আছে কি?”
“আছে!কিন্তু আপনাকে কেনো দেখাবো?”
“আমার যে তর সইছে না!”
“অপেক্ষা করুন ডাক্তার!এভাবে দেখলে মজাটাই চলে যাবে!”
বলেই নিচে নেমে এলো।
“ফাহিনকে কি পরামর্শ দিচ্ছিলেন শুনি?”

আয়ানের কথা শুনে মুচকি হেসে বললো,”বললাম,বিয়েটা ভেঙ্গে আমাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে!”
“মজা নেও?”
“মজা কই নিলাম!আপনি যা জেলাস ফাহিন ভাইয়াকে নিয়ে!”
“আমি মোটেও জেলাস না!”
“আপনি জেলাস!শুধু ডাক্তার না,অন্য ছেলেদের নিয়েও!”
“বলছে তোমাকে?”

আয়ুশী গালে হাত দিয়ে বললো,”দেখুন,ওই ছেলেটা আমার দিকে কিভাবে তাকিয়ে আছে!”
আয়ান আয়ুশীর দৃষ্টি অনুসারে তাকাতেই দেখলো আসলেই একটা ছেলে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।রাগী দৃষ্টিতে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আয়ুশীর হাত ধরে ছেলেটার আড়ালে দাড়ালো!আয়ুশী ঠোঁট চেপে হাসি আটকাতে চেষ্টা করলো!
“কি?এভাবে হাসো কেনো?”

“না,আপনি মোটেও জেলাস না!”
আয়ান চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে হুট করেই বলে উঠলো,”ডেইজিকে বেশ সুন্দর লাগছে তাই না?”
“জানে মে’রে দিবো!”
“কাকে?আমাকে?”

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ২৭

“আপনাকে না,ডেইজিকে!আসছে পর থেকে আপনার দিকে নজর দিচ্ছে!আমার রাগ উঠলে কিন্তু সিড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবো ওকে বলে দিলাম!”
বলেই হন হন করে চলে গেলো। আয়ান হেসে বললো,”পা’গলী একটা!”
আড়াল থেকে ডেইজি এইসব শুনে বললো,”সেই সুযোগ তুমি পাবে না!তার আগেই আয়ান আমার হবে!দেখে নিও,মিস যাই হোক!”

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ২৯