অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ৩

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ৩
সাবরিন জাহান

“জানিস আজকে বেলাল স্যারের ছেলে ক্লাস করাবে! “,বেশ আগ্রহ নিয়ে বলল সীমা।
“কিভাবে জানলি? “(ইভা)
“সকালে অনেকে বলাবলি করছিল যে দিন বেড রেস্টে আছে ওই কয়দিন তার ছেলে ক্লাস করাবে…শুনেছি তার ছেলে নাকি খুব কিউট!”,বলেই গালে হাত দিয়ে আনমনা হয়ে বসে রইলো সীমা।
ইভা বিরক্তির সহিত তাকালো, মূলত সীমার এইরকম বিহেভিয়ার ওর একদম পছন্দ না।পাশে আয়ুশীকে আনমনে বসে থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকে এলো ওর!আর দিনের তুলনায় আজ একটু বেশিই চুপচাপ ও!

” কি হয়েছে আয়ু?”,চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো ইভা।
ইভার কথায় সীমাও তাকালো আয়ুশীর দিকে।এখন মূলত বেলাল স্যারেরই ক্লাস।বাট উনার ছেলে নিবে তাই হয়তো গুছিয়ে আসতে দেরি হচ্ছে।তাই ওরাও বকবক করছে।কিন্তু আয়ুশী নিশ্চুপ!আয়ুশীর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে কালকের কান্ড!মায়ের বুঝানোর পর কিছুটা অ’প’রা’ধবোধ কাজ করছে!যদিও ওই লোকটিরও দোষ আছে..কিন্তু তাও!ভুল তো তারই প্রথমে ছিলো।এখন সরি না বলা অবদি মন শান্ত হবে না!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আয়ু!”, বেশ খানিকটা চিল্লিয়ে বলল সীমা!
আয়ুশী একটু কেঁপে উঠলো।
” হু?কি হয়েছে?”
“তোর কি হয়েছে?কখন থেকে ডাকছি!উত্তর দিচ্ছিস না…কি ভাবছিস?”(ইভা)
আয়ুশী কিছু বলবে তার আগেই একজন সিনিয়র টিচার আসলো, সাথে এক সুদর্শন যুবক!যার ফেস দেখা মাত্রই ওদের তিনজনের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।আয়ুশী নিজের ভ্রম ভেবে আবারও চোখ কচলে সামনে তাকালো।না ভুল দেখছে না ও!মুখ থেকে আনমনেই বের হলো,” মিষ্টার খা’রু’শ !”

সিনিয়র টিচার সবাইকে বললো,এক মাসের জন্য স্যারের ছেলে ক্লাস নিবে।যেহেতু তিনি বেড রেস্টে এবং ওদেরও সামনে পরীক্ষা তাই এই ব্যবস্থা! আরও কিছু লেকচার দিয়ে চলে গেলো।যুবকটি মাউথ স্পিকারের সামনে গিয়ে,”ডিয়ার স্টুডেন্ট,আই এম আয়ান মাহতাব!তোমাদের সাময়িক কেমিস্ট্রি লেকচারার!”

আয়ুশী এখনও শকে!সবাইকে যে বসতে বলা হলো তাতে ওর ধ্যান নেই!সীমা আর ইভা দুইজন দুদিক দিয়ে টেনে ওকে বসালো।আপাতত উনার নজরে পড়তে চায় না!যেহেতু এমনেই আজ লেট তাই আয়ান টুকটাক আলোচনা করে সবার সাথে পরিচিত হচ্ছে….সবাই একে একে নিজের নাম বলছে। আয়ুশীদের বেঞ্চে আসতেই,সীমা নিজের নাম বললো।এরপর আয়ুশী দাড়াতেই আয়ান চমকালেও প্রকাশ করলো না।আয়ুশীর গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না।ভয়ে হৃদস্পন্দন মনে হয় এক সেকেন্ডে ডাবল ডাবল বিট হচ্ছে!

“এক্সকিউজ মি!এভাবে থম মে’রে থাকলে আর সবার ইন্ট্রোডাকশন নিবো কিভাবে?”, বেশ বিরক্ত নিয়ে বললো আয়ান!
এবার আয়ুশী নিজের নাম বলতে নিবে তার আগেই টাইম শেষ হয়ে গেলো।
” ওকে স্টুডেন্টস! টাইমস আপ..এমনেও সবার নাম আমার মনে তো আর থাকবে না!তাই এতটুকুই আজকে।কালকে থেকে ক্লাস হবে।”
বলেই বেরিয়ে গেলো।ব্রেক টাইমের আগ অবদি আয়ুশী শকের মাঝেই ছিলো।ব্রেক টাইমে তিনজন ক্যান্টিনের উদ্দেশ্য বের হলো!

“ভাই রে ভাই,উনি বেলাল স্যারের ছেলে?দেখে তো শান্ত মনে হলো।তাহলে ওইদিন আয়ুশীকে চ’র মারলো কেনো?”(সীমা)
“আচ্ছা স্বাভাবিক ভাবে ধর তোকে এখন কেও এসে বললো যে তুই ওদের বাড়ির কাজের লোক। এখন তোর রিয়াকশন কেমন হবে?” (ইভা)
“মানে কি?আমাকে দেখে কাজের লোক লাগে নাকি?” (সীমা চটে গিয়ে বললো)
“তাহলে স্যারকে কোনদিক দিয়ে ফল বিক্রেতা লাগছিলো?”(ইভা)
সীমা ভাবুক ভঙ্গিতে বললো,” যুক্তি আছে!”

“আর যাদের শান্ত লাগে দেখতে তাদের রাগ বেশি হয়!আর রাগ করে কোনো ছেলে তো চ’র মারার বদলে চুমু দিবে না তাই না?তাছাড়াও অনেকের ধৈর্য্য কম!তাই হয়তো এমনটা করলো!”(ইভা)
সীমা দুষ্টু হেসে বললো,” চু’মু দিলে ব্যাপারটা জোস হতো!”
থেমে গেলো আয়ুশী!রাগী চোখে সীমার দিকে তাকাতেই সীমা মেকি হেসে বললো,”মজা করছিলাম!”
“তোর এই কচুর মজার জন্য আমার ওই অবস্থা হয়েছিলো!না তুই ডেয়ার দিতি।না কিছু হতো….!”
বলেই হাঁটতে লাগলো।

“আরে আয়ু দাড়া!” (ইভা)
“এই দেখ দেখ!”, সীমা উৎসাহ নিয়ে বললো।
আয়ুশী আর ইভা ভ্রু কুঁচকে তাকালো।
” স্যারের নাম আর আয়ুশীর নামে কত মিল!”(সীমা)
আয়ুশী বিরক্তিতে ঘুরে হাঁটতে লাগলো। মূলত সীমার এই ফা’ল’তু মজা ওর ভালো লাগছে না!ব্যাগ হাতড়ে পানির বোতল বের করে হাঁটতে হাঁটতেই পানি পান করতে লাগলো ও।আজকে আর ক্লাস করার ইচ্ছা নেই!তাই ব্যাগ নিয়েই এসেছে!
ইভা এবার ধমক দিয়ে বললো,”তুই চুপ করবি?”

সীমা থামলো না।
“আরে দেখ না,আয়ুশী আর আয়ান!শর্ট কাটে…আয়ু!”
শেষের কথাটা বেশ জোড়ে বলায় বাঁধলো আরেক বিপত্তি!ওই মুহুর্তে আয়ান বের হচ্ছিলো আরেক ক্লাস থেকে।সীমার আয়ু বলে ডাকায় ভ্রু কুঁচকে ওদের দিকে ঘুরে তাকালো ও!কেওই প্রস্তুত ছিলো এই মুমেন্টের জন্য।আয়ুশী মুখের পানি গিলতেও ভুলে গেলো।তিনজনই ভয়ে দাড়িয়ে রইলো।
আয়ান গম্ভীর গলায় বললো,”আয়ু বলে কে ডাকলো?”
বলতে দেরি কিন্তু আঙ্গুল তুলে সীমাকে দেখাতে ওদের দেরি হলো না!সীমা বেচারি কাঁদো কাঁদো ফেস করে তাকিয়ে রইলো।

“টিচারদের সাথে কি রকম বিহেভ করতে হয় জানো না?”
সীমা আমতা আমতা আমতা করে বললো,”স্যার আসলে..”
“এখন স্যার বলছো,তখন আমার নাম ধরে ডাকলে কেনো?”
সীমা তড়িঘড়ি করে আয়ুশীকে দেখিয়ে বললো,”স্যার আমি ওকে ডাকছিলাম…ওর নাম আয়ুশী আফরোজ!আমরা শর্ট কাটে আয়ু বলে ডাকি!আপনাকে কেনো নাম ধরে বলতে যাবো!ছি ছি…”
আয়ান একবার সীমা তো একবার আয়ুশীর দিকে তাকালো…অতঃপর আয়ুশীকে উদ্দেশ্য করে বললো,”বাচ্চাদের মতো গাল ফুলিয়ে মুখে পানি নিয়ে বসে আছো কেনো?”

চটপট পানি গিলে ফেললো আয়ুশী!আয়ান কিছু না বলেই হাঁটতে লাগলো আবার।আয়ুশীর মনে হলো এখনই উনাকে সরি বলে ফেলা দরকার।স্যার বলে ডেকেই একটু এগিয়ে যেতে কলার খোসায় পা পড়ায় আবার পা পিছলে গেলো।নিজেকে সামলাতে গিয়ে বোতল সামলাতে পারলো না ও!ওই মুহুর্তেই আয়ান আয়ুশীর ডাকে ঘুরে দাড়িয়েছিলো।পাশের ওয়াল ধরে আয়ুশী পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচলেও,বোতলের পানি সব ছিটকে সব আয়ানের শরীরে পড়লো।আয়ান কি রিয়াকশন করবে বুঝতে পারলো না!এদিকে আয়ুশীর মুখে কান্না কান্না ভাব!এবার আয়ান রেগে উঠলো।আশেপাশের সবাই ওর দিকে তাকিয়ে।ও বুঝতে পারলো না যখনই মেয়েটা আসে তখনই ওকে হ্যারেজ কেনো করে।বেশ ধমকে বলে উঠলো,”ইডিয়েট!এটা কি করলে?”

আয়ুশী কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো, “সরি, স্যার!ওই পা পিছলে…”
আর কিছু বলার আগেই আয়ান ধমকে বললো,”জাস্ট কিপ ইউর মাউথ শাট!”
আয়ুশী চুপ করে গেলো।আয়ান রে’গে নিজের কেবিনের দিকে গেলো।আয়ুশী লম্বা শ্বাস নিলো।বুঝে উঠতে পারলো না,সব সময় এই লোকটা থাকলেই ও উলোটপালোট কাজ কেনো করে..সীমা আর ইভাকে নিয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে বসে পড়লো ও!যা চায় তার উল্টো হওয়া এত জরুরি কেনো?মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো ও।
“হ্যালো মিস মিনি পান্ডা!”,বলেই ওর সামনে সেদিনের ডাক্তার লোকটি বসলো।
আয়ুশী অবাক হয়ে বললো,” আরে আপনি?”

“ওহ চিনেছো তাহলে!কেমন আছো?পায়ের ব্যাথা আছে না গেছে?”
“ব্যাথা নেই কিন্তু আপনি এখানে?”
“একজনের সাথে দেখা করতে এসেছি!”
সীমা লাফিয়ে বলে উঠলো,”জিএফ নিশ্চয়ই? ”
লোকটি হেসে বললো,”আরে না!”
“তাহলে কার সাথে?” (আয়ুশী)
“আপনার!” (লোকটি)

আয়ুশী ভ্রু কুঁচকে তাকালো। লোকটি আবারও হেসে বললো,”মজা করছিলাম।আমার এক ফ্রেন্ড।এখানেই আছে…ওর সাথেই দেখা করতে এসেছি!তো তোমরা কোন ইয়ারের স্টুডেন্ট? ”
“প্রথম বর্ষ !”(ইভা)
“ওহ আচ্ছা ,এখন আসি!কাজ আছে কিছু!”
বলেই উঠে যেতে লাগলো।আয়ুশী খেয়াল করলো লোকটি তার ফোন ফেলে গেছে!
“শুনছেন?”

লোকটি নিরুত্তর!
“আরে মিস্টার ডাক্তার!”
এবার লোকটি ঘুরে তাকালো!
“আমাকে ডাকছেন?”
“আপনার ফোন!”
“ওহ ধন্যবাদ!কিন্তু আমার নাম তো ডাক্তার না!”
“নাম না জানলে ডাক্তার কে ডাক্তার বলেই সম্বোধন করা উচিত!”
লোকটি হেসে বললো,”এতক্ষণ এত কথা বললাম,অথচ নামটাই বলা হলো না!আর না জানা হলো!আমি ফাহিন ইসলাম!আর আপনারা?”

“আমি আয়ুশী!ও সীমা আর ও ইভা!আর আমরা আপনার ছোট!তুমি করেই বলতে পারেন!”
“আচ্ছা বেশ!আজকে লেট হয়ে যাচ্ছে।পরে কখনো দেখা হলে জমিয়ে আড্ডা দিবো!”
আয়ুশী সম্মতি জানালো। ফাহিন বেরিয়ে গেলো!ভার্সিটির গেটে দাঁড়িয়ে ফোন করলো।
“কই তুই?ক্যান্টিনে কখন থেকে বসে ছিলাম,আসার নাম নেই তোর!আমার কাজ আছে ভাই!জলদি গেটের কাছে আয়।আঙ্কেলের রিপোর্ট গুলো দিয়েই চলে যাবো!”
বলেই ফোন কেঁটে দিলো।কিছুক্ষণ বাদেই আয়ান এলো।
“সরি ইয়ার,একটু ঝামেলায় পড়েছিলাম!”
“রাখ তোর সরি!নে রিপোর্ট গুলো…”
ফাহিন রিপোর্ট গুলো হাতে দিয়ে কিছুক্ষণ আলাপ করে চলে গেলো।…

ভার্সিটি থেকে এসে ক্লান্ত শরীর বিছানায় এলিয়ে দিল আয়ান!মেজাজ প্রচুর খারাপ বর্তমানে!আয়ুশী মেয়েটির উপর চরম বিরক্ত সে!তার উপর আজকে এমন কাণ্ড!আশেপাশের লোক কি ভাবলো ওকে?বরাবরই আত্মসম্মান মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ ও!এভাবে গন সম্মুখে হ্যারাসমেন্ট হতে কার ভালো লাগে।ছেলের জন্য লেবুর শরবত নিয়ে এলেন নাহার!ছেলেকে এমন বিরক্ত হতে দেখে চিন্তিত হলেন!

“আয়ান?”
“হুমম…”
“কি হয়েছে তোমার?”
“ভালো লাগছে না মা!”
নাহার শরবতের গ্লাস টা পাশে রেখে ছেলের কাছে বসলেন!মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,”আমি তো জানতাম আমার ছেলে কিছু নিয়ে চিন্তিত হলে আগে আমায় বলে!”
“চিন্তিত না মা,বিরক্ত আমি!”

“কেনো?ক্লাসে কোনো ঝামেলা হয়েছে?”
“ঝামেলা নিজেই ক্লাসের বাইরে চলে এসেছে!”
নাহার বুঝলেন না কিছুই। আয়ান তা বুঝতে পেরে শুরু থেকে বললো।
“কেউ ভুল বুঝে তোমাকে ফল বিক্রেতা ভেবেছে ,এই জন্য তুমি তার গায়ে হাত দিবে?”
“ভুল বুঝে হলে আমি এমনটা করতাম না কখনোই মা!কিন্তু মেয়েটার চোখ মুখেই স্পষ্ট ছিল সে জেনে শুনে আমাকে ওসব বলেছে!”

“আচ্ছা মানলাম ,কিন্তু তাই বলে অপরিচিত এক মেয়ের গায়ে হাত দিবে তুমি?এই বুঝি আমার শিক্ষা?”
আয়ান উঠে বসলো।মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,”তুমি তো জানো মা,রাগলে আমার মাথা ঠিক থাকে না…আর প্রসঙ্গ যখন আত্মসম্মান তখন আরো বেশি এমন করি!”
বলেই নেমে টাওয়াল হাতে নিল।
“ফল বিক্রেতারা কি মানুষ না?”
নাহারের কড়া গলায় ঘুরে তাকালো ও।
“আমি সেটা কখন বললাম?”
“তাহলে আত্মসম্মান এর কি হলো?ফল বিক্রেতা হলেই কি মানুষের কাছে তুমি ছোট হয়ে যাবে?”

“আমি সেটা বলিনি মা!”
“তুমি এটাই বুঝাচ্ছো!”
আয়ান চুপ রইলো।
“মেয়েটির ভুল ছিল,মানলাম!কিন্তু অপরিচিত মেয়ের গায়ে হাত তুলে তুমি কতটা ঠিক কাজ করেছো?”
আয়ান নিশ্চুপ!
“তোমাকে আমি এই শিক্ষা দেই নি আয়ান! হ্যাঁ,রাগ উঠেছিল!তুমি ওকে কড়া কথা বলতে, বকতে বা বুঝাতে!হাত তুলার অপিনিয়ন টা কতটা যুক্তি সম্মত?”

“আই এম সরি মা! একচুয়ালি বাবার এ’ক্সি’ডে’ন্ট নিয়ে টেন্সড ছিলাম!তাই তখন একটু বেশি ই ওভার রিয়েক্ট করে ফেলেছি!”
“সরি আমাকে না বলে ওই মেয়েকে বলবে,সাথে এটাও বলবে এরকম যেনো আর না করে!”
“এখন আবার ওকে কেন সরি বলবো!আমি পারবো না”
“আয়ান!”

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ২

“চেষ্টা করবো!”
বলেই ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো।নাহার দীর্ঘশ্বাস ফেললেন!এই ছেলে যে সরি বলবে না ঢের বুঝতে পেরেছেন!বেচারি মেয়েটা !কে জানে কি ভেবেছে!হয়তো এটাই ভেবেছে মায়ের আদুরে দুলাল,তাই এমন কাজ!ভেবেই আবারও দীর্ঘশ্বাস নিলেন…

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ৪