আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২৫ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২৫
Maishara Jahan

আমি সায়নের দিকে ডিব্বাটা এগিয়ে দিলাম। সায়ন সেখান থেকে একটা খোসা নিলো। প্রহর সায়নের দিকে তাকিয়ে বলে,,,, তুইও কি প্রেগন্যান্ট নাকি।
সায়ন খেতে খেতে বলে,,,, কোন বইয়ে লিখা আছে আচার শুধু প্রেগন্যান্ট মেয়েদের জন্য।
রিয়ান আমার পাশে এসে বসে। অয়ন আর প্রহর তীব্র নজরে তাকিয়ে আছে। রিয়ান আমার দিকে ফিরে বলে,,,, কতো দিন হলো আমরা এক সাথে বসে গল্প করি না। আগে তো অনেক রাত পর্যন্ত আমরা বসে বসে গল্প করতাম মনে আছে।

,,, থাকবে না কেনো, আমরা এক সাথে কতো মজা করতাম। আর রাতে সবাই মিলে ভুতের গল্প করতাম।
অয়ন একটু সামনে এসে বলে,,,, তোমরা রাত ভর কথা বলতে।
আমি অয়নের তাকানো দেখে হ্যাঁ, না কিছু বলতে পারছি না। কিন্তু রিয়ান সোজা সোজি হ্যাঁ বলে দেয়।
অয়ন এসে আমার পিছনে বসে, আমি একটু নড়েচড়ে বসি। প্রহর সামনের টেবিলে বসে বলে,,,,,, আর কি কি করতে শুনি।
রিয়ান,,,,,আরে আরো অনেক কিছু করতাম,যেমন এক সাথে ঘুরতে যেতাম, আড্ডা দিতাম, আমরা তো ভার্সিটির অনুষ্ঠানে এক সাথে ডান্স ও করেছি।

আমি রিয়ানকে থামিয়ে দিয়ে বলি,,,, রিয়ান অনেক ক্ষন হলো এসেছিস আমি তোর কফি এনে দেওয়ার জন্য বলছি।
রিয়ান,,,,,হুমমম
সায়ন,,,,, তোমরা কি প্রতি রাতেই ভুতের গল্প করতে নাকি।
রিয়ান,,,,আরে নাহহ,, কিছু দিন পর পর করতাম। রাতে ছাদে গিয়ে, অল্প আলোতে ভুতের গল্প বলার মজায় আলাদা।
প্রহর,,, আচ্ছা,, তাহলে আজ রাতে ছাদে গিয়েই গল্প করবো, দেখবো কতো সাহস আছে তোমার মনের ভিতরে। কি বলিস অয়ন।
অয়ন ও একটা ডেবিল হাসি দিয়ে বলে,,, হুমম ওকে।
দুজনকে দেখে মনে হচ্ছে, দুজনের মনে অবশ্যই কিছু না কিছু চলছে। আমিও আচার খেতে খেতে দুজনের দিকে তাকায়। দুজনের হাসি রহস্যময় লাগছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সায়ন,,,,বাহহ তাহলে আজ মজায় হবে দেখা যায়।
রিয়ান,,,,তাহলে কি আমি রাত হওয়া পর্যন্ত এখানে থাকবো, তাহলে তো মজায় হবে।
এমন সময় আলো দরজায় বেল বাঝায়। দরজা খুলতেই আলোর চেহেরা দেখে সায়ন দাঁড়িয়ে যায়। সায়নের ঠোঁটে হাসি চলে আসে। আলো সবাইকে হ্যালো বলে।
আমি আলোকে দেখে হাসি দিয়ে বললাম,,,এসো, এখানে বসো।
আলো এসে সায়নের সাইডে বসে। সায়ন আলোর দিকে ফিরে বলে,,, যানো আজ রাতে ছাদে বসে ভুতের গল্প করা হবে। তুমি চাইলে জয়ন করতে পারো।

প্রহর,,,,,সায়ন আলো চাইলে তো জয়ন করতে পারবে কিন্তু তুমি না। তুই চুপচাপ রুমে শুয়ে থাকবি। তোর রেস্টের প্রয়োজন।
আলো,,,,, সবার সাথে বিজি থাকলে সায়নের জন্য আরো ভালো,, তবে বেশি ক্ষন জাগার কথা আমিও বলবো না।
সায়ন,,,,,, ঠিক আছে গল্প তাড়াতাড়ি শুরু করবে তাহলেই তো হয়,, বাট যায় হোক আমি থাকবো।
আলো,,,,ঠিক আছে।
সায়ন,,,,,তুমিও থাকবে তো নাকি।
আলো কিছু ক্ষন ভেবে বলে,,,,, ঠিক আছে, আমিও থাকবো।

এটা শুনে সায়ন একটা হাসি দেয়। অয়ন সায়নের দিকে তাকিয়ে বলে,,,, আজ কাল একটু বেশিই হাসছিস।
রিয়ান,,,,,, হাসবে না তো কাঁদবে নাকি, আজব। মারু তুই বিয়ে করার জন্য আর লোক খুঁজে পেলি না।
অয়ন রিয়ানের দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে তার রাগটাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে। রিয়ান এদিকে কোনো পাত্তাই দেয় না।
আলো,,,,সায়ন চলো তোমার ঔষধ দেওয়ার সময় হয়ে গেছে।
সায়ন,,,,হুমম চলো,, দিয়ে দাও ইনজেকশন। তোমার কাছে ইনজেকশন ছাড়া আর কোনো মেডিসিন নেয় নাকি।
আলো,,,, আরে আমি কি করবো, যে রোগের যে মেডিসিন সেটাই তো দিবো।
আলো আর সায়ন রুমে যায় গিয়ে, সায়ন বসে আলো সায়নকে চেকাপ করে মেডিসিন দিয়ে দেয়।
আলো,,,, এখন কিছু ক্ষন শুয়ে থাকো।

সাশন বিছানায় শুয়ে আলোর দিকে তাকিয়ে বলে,,,, আলো অনেক দিন হলো গান শুনি না। একটা গান শুনাও না।
আলো,,,,,এখন।
,,,,হ্যাঁ,, তাছাড়া বিকেলে গান শুনলে খারাপ কি। অনেক দিকে হয়ে গেছে গান গায় না। আজ বড়ো ইচ্ছে করছে গান শুনতে, গিটারের ধুন শুনতে।
আলো মুচকি হেঁসে বলে,, ঠিক আছে, তবে আমার গান শুনে আবার আমার উপর হাসবে না কিন্তু।
বলে সায়নের গিটারটা নেয়, গিটারের সামনে দিয়া লিখা। আলো সেটা দেখে হাত দিয়ে ঢেকে ফেলে। সায়ন দেখে বলে,,,, নামটা ঢাকার দরকার নেয় কারন গিটারটাই দিয়েছে দিয়া। এটা দেখলেই আমার তার কথা মনে পড়ে যায়। তুমি শুধু গিটার বাঝাও অন্য কিছু ভাবার দরকার নেয়।

জানি না কেনো গিটারটার দিকে তাকিয়ে আমার মনে একটা অজানা কষ্ট হচ্ছে। মাঝে মাঝে দিয়ার নাম শুনলে বড্ড হিংসে হয়। সে দুনিয়াতে নেয় তাও তার ভালোবাসা এখনো সায়নের মনে গেঁথে আছে।
আমি সায়নের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে গিটার বাঝানো শুরু করি। আর বুঝেনা সে বুঝেনা গান গায়তে শুরু করে দিয়৷ আমি নিজেও জানি না, এই গানটা আমি কেনো গায়লাম। আমি গান গাচ্ছি, আর সায়ন আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
গানটা শেষ করে গিটারটা নিচে রেখে দিয়। সায়ন হেঁসে বলে,,,, তুমি ডক্টর কেনো হলে সিঙ্গার কেনো হলে না।

,,,,একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না, আমি এতোটাও সুন্দর গায় না।
,,,,হুমম,, কিন্তু মন মুগ্ধ করার মতো তো অবশ্যই গাও।
,,,,,, তাই,, আপনার ভালো লেগেছে।
,,,,,,, হুমম অনেক।
আমি শুধু হালকা হাসলাম কিছু বললাম না। সায়নের রুমে অনেক বই রাখা। আমি গিয়ে সেগুলো দেখতে থাকি আর বমি,,,,বই পড়তে এতো ভালো লাগে বুঝি।

সায়ন,,,,,, শুধু এডভান্সার স্টোরি পড়তে ভালো লাগে।
,,,ওহহহ,, আর আমার শুনতে ভালো লাগে। কেও যদি গল্প পড়ে শুনাতো তাহলে অনেক ভালো লাগতো।
,,,সোজা সোজি বললেই তো হয়, এটা গল্প পড়ে শুনাতে।
,,,,বুদ্ধিমানের জন্য ইংগিতই যথেষ্ট।
,,,,,হুমম,, তাহলে একটা বই আনো আমি পড়ে শুনায়।
আমি একটা বই বের করে নিয়ে যায়। সায়ন সেই বইটা নিয়ে পড়তে থাকে, আর আমি মনো যোগ দিয়ে শুনছি।মাঝে মাঝে পড়ার মাঝখানে একটু বিরক্ত ও করছি।

আমি আর রিয়ান বসে গল্প করছি। অয়ন মাঝখান থেকে উঠে বলে,,, এখন তোমার রেস্ট করা উচিত। পড়ে গল্প করো।
রিয়ান,,,,তাহলে আমি এখানে একা বসে বসে কি করবো।
অয়ন,,,, কেনো আমরা আছি না, আমাদের সাথে গল্প করো।
রিয়ান মুখ বেকিয়ে বলে,,,, হেহহ তোমরা সারা ক্ষণ মুখ ফুলিয়ে রাখো। মুখে একটু হাসিও নেয়। গল্প করবো কিভাবে।
প্রহর,,,,,মারু তোমার এখন আরাম করা দরকার।
মারু,,,, হুমম আমারো কেমন ঘুম ঘুম পাচ্ছে। আচ্ছা আমি একটু শুয়ে আসি,তোমরা কিন্তু রিয়ানের খেয়াল রাখবে। আর হ্যা ঝগড়া করার চেষ্টা একদমি করবে না।

প্রহর,,,,তোমার কি আমাদের ছোট বাচ্চা মনে হয় যে আমরা ঝগড়া করবো।
,, ছোট বাচ্চাও আপনাদের থেকে ভালো আছে।
বলে আমি সেখান থেকে চলে যায়। প্রহর রিয়ান এর সাথে এসে বসে, অয়ন রিয়ানের কাঁধে হাত রেখে বলে,, অনেক গল্প আছে না তোর মনে, তাহলে এখন গল্প করো করবি বল। আর আমি এটা বুঝি না মেয়েদের ছেলে বেস্ট ফ্রেন্ড থাকার কি দরকার।
রিয়ান,,,,কেনো জেলেসি ফিল করছো নাকি, অবশ্য আমার বউয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড ছেলে থাকলে আমিও জেলেসি ফিল করতাম। আচ্ছা আমি আমার কিছু ফানি গল্প শুনায় তোমাদের।

প্রায় অনেক ক্ষন হয়েছে আমি শুয়ে আছি। প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে।অয়ন এখনো আসলো না রুমে। আমার তো রিয়ানের জন্য ভয় হচ্ছে। আমি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে যায়। গিয়ে দেখি তিন জনে বেশ হেঁসে হেঁসে কথা বলছে। হাসির আওয়াজটা একটু বেশিই শুনা যাচ্ছে।
আমি তাদের সামনে গিয়ে বলি,,, কি ব্যাপার এতো হাসা হাসি কিসের জন্য হচ্ছে।
প্রহর,,,,,,রিয়ান প্রচুর ফানি কথা বলে।
অয়ন,,,,, আমরা এমনি আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ফানি গল্প বলছিলাম।
,,, ওহহ তাহলে তোমাদের বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।
অয়ন,,,, ভেবে দেখা যেতে পারে।
রিয়ান,,,,, আমিও ভেবে দেখতে পারি।

,,,আচ্ছা তোমরা ভাবা ভাবি করতে থাকো আমি তোমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসছি। সায়ন আর আলো তো হারিয়েই গেছে, ওদের ও ডাক দাও।
সবাই নিচে আসে। সবার জন্য হালকা নাস্তা রেডি করে টেবিলে রেখেছি। সবাই খাচ্ছে আর কথা হচ্ছে।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই সোফাস বসে কথা বলছি। প্রহরের ফোন আসায় সে একটু দূরে চলে যায় কথা বলার জন্য।
প্রহর,,,,হ্যালো, স্নেহা বলো কি বলবে।
স্নেহা,,,,, কত বার কল দিলাম ধরলে না যে।

,,,,,এখন তো ধরেছি বলো।
,,,,,, আমার সাথে রাগ করে আছো।
,,,,, না,, চিন্তায় আছি।
,,,কিসের চিন্তা।
,,,,,,দেখো স্নেহা আমি তোমাকে তোমার মতো করে ভালোবাসতে পারবো না৷ আমার মনে হয়না আমি কাওকে আর ভালোবাসতে পারবো।
,,,,,,আমার পুরোটা লাগবপ না, তোমার মনে একটু জায়গা দিলেই হবে।
,,,,এটা বলতেই ভালো লাগে স্নেহা, আর বাস্তবে সবাই পুরোটা চাই। তুমি এখন বুঝতে পারছো না কিন্তু এই কথাটাই তোমাকে পরে অনেক কষ্ট দিবে। যা আমি চাই না। ভালোবাসায় কষ্ট সবাই সহ্য করতে পারে না।
,,,,,আমাকে একটা সুযোগ দিয়ে তো দেখতে পারো। আমি জানি আমি তোমার মন একদিন না একদিন অবশ্যই জিতে নিবো।
,,,,,স্নেহা বুঝার চেষ্টা করো, আমি আর কাওকে ভালোবাসতে চাই না।

,,,,যে ভালোবাসা কোনোদিন তোমার হবে না তাকে মনে গেঁথে রাখাকে পাগলামো ছাড়া আর কিছু বলে না প্রহর।
,,,,,, ভালোবাসার মানে শুধু পাওয়ায় হয় না স্নেহা। তুমি কেনো বুঝতে পারছো না, আমি আর কাওকে ভালোবাসতে চাই না। আমাকে ভালোবাসলে শুধু কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পাবে না।
,,,,এই কষ্টের মাঝেও একটা আনন্দ আছে প্রহর।
,,,,,পিল্জ আমাকে ভালোবাসতে এসো না।
,,,,,, ভালো তো আর ইচ্ছে করে বাসা যায় না, আর আমি ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে কি করবো। ইচ্ছে করে তো আর করিনি।
,,,,তাহলে কষ্ট পাও, আমার আর কিছুই করার নেয়। বাই।
,,,,, এক মিনিট এক মিনিট, ফোন রাখার আগে তুমি এটা বলে যাও, তুমি কি এই মূহুর্তে আমাকে রিজেক্ট করলা।
প্রহার রাগী গলায় বলে,,,,,, হুমম।

,,,,, তুমি আমাকে রিজেক্ট করছো মানে, তুমি হেন্সাম বলে নিজেকে কি ভেবেছো, আমিও কম সুন্দর না। যানো আমার আগে পিছনে কতো ছেলে গুর গুর করে। কি ভাবোটা কি নিজেকে। সোজা সোজি কেও না করে। একদিন দেখবে তুমি আমাকে প্রপোজ করবে আর আমিও এভাবে সোজা সোজি না করে দিবো হুহহহ।
বলে ফোন রেখে দেয়, প্রহর অভাক হয়ে ভাবতে থাকে,,,, এটা মেয়ে নাকি এলিয়েন, মানে এ সময়ে এমন কথা কে বলে।
ঐদিকে স্নেহা কান্না করে নদী ভাসিয়ে দিচ্ছে, প্রহর স্নেহাকে আবার ফোন করে। স্নেহা ফোন উঠিয়ে জোরে বলে,,,,,, কিহহহহ
প্রহর চমকে গিয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে নাম্বার ঠিক আছে নাকি। দেখে আমার কানে ধরে বলে,,,আচ্ছা আমরা কি ফ্রেন্ড হয়ে থাকতে পারি না। আগে ফ্রেন্ড হয়ে দেখি।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২৪

,,,তোহহ আগে কি ছিলাম।
,,,,স্টুডেন্ট।
,,,,কিহহহ তুমি আমাকে স্টুডেন্ট ভাবতে। আচ্ছা যাই হোক। আগে স্টুডেন্ট ভাবতে, এখন ফ্রেন্ড কিছু দিন পরে গার্লফ্রেন্ড ও ভাবতে পারো তারপরে বউ। ওকে ওকে আমি রাজি ফ্রেন্ড হতে।
বলে খুশিতে কেটে দেয়, প্রহর কিছু বলার আগেই। প্রহর ফোনের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,,,,, পাগল একটা।
রাত ঠিক ১০ টার দিকে সবাই ছাদে গিয়ে গোল করে বসি। ছাদে লাইট গুলো নিবিয়ে দিয়ে কয়েকটা মম বাতি জ্বালানো হয়েছে। চারপাশে আবার বড় বড় গাছ, যে গুলো হাওয়াতে দুলতে আর গা ছম ছমে একটা আওয়াজ হচ্ছে। অলরেডি ভয় লাগা শুরু হয়ে গেছে।
আমি অয়নের সাথে একদম ঘেঁষে বসেছি তার এক বাহু জরিয়ে ধরে। আর আলো কিছুটা সামনে এগিয়ে এসে সায়নের দিকে চাপছে। সায়ন বুঝতে পেরে মুচকি হেঁসে তার কানের কাছে গিয়ে বলে,,,ভয় পেয়ো না, আমি আছি না কিছু হবে না।

আলো,,,,, আমি ভয় পায় না।
সায়ন,,,,,সে তো দেখায় যাচ্ছে।
প্রহর,,,,, কিসের ভুতের গল্প বলবে, একটুও ভয় হচ্ছে না।
অয়ন,,,,,,রাত ১/২ টার দিকে বসলে ঠিক হতো, কিন্তু সায়ন তো এতো রাত পর্যন্ত জেগে থাকা যাবে না।
সায়ন,,, জেগে থাকতে আমার কোনো সমস্যা নেয়।
আলো আর অয়ন ভাইয়া এক সাথে বলে উঠে,,,,,,, আমার আছে।
দুজনে যেভাবে মুখটা ভার করে বলে এর পরে আর কিছু বলার সাহস পায়নি সায়ন।
রিয়ান একটু অদ্ভুত কন্ঠে বলে,,, আমি আজ অনেক ভয়ানক ভয়ানক ভুতের গল্প বলবো।
আলো,,,,আপনি এভাবে কেনো বলছেন স্বাভাবিক কন্ঠে ও বলতে পারেন।
রিয়ান,,,তাহলে ভয় পাবে কিভাবে।
মারু,,,,,তুই এতো ভুতের গল্প পাস কোথায়।
রিয়ান,,,,,,, ভুত এফ এম এ।
প্রহর,,,,, শুরু করা যাক।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২৬