আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২৯ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২৯
Maishara Jahan

আমি সাওয়ার নিয়ে বের হয়ে, শুয়ে শুয়ে শুধু অয়ন এর কথা ভাবছি। ওর কথা ভাবতেই কেনো জানি ঠোঁটে নিজের অজান্তেই হাসি এসে পড়ে, আর চেহেরায় লজ্জার ছাপ। ভালোবেসে ফেলেনি তো আবার। আর যদিও ভেসে ফেলি তাও আমার খারাপ লাগবে না।
আমি বিকেলে অয়নের মামার বাড়ি গেলাম, সেখানে অয়ন আর প্রহর আমাকে দেখে তাড়াতাড়ি আসে। আমি তাদের দেখে একটা হাসি দিয়।

প্রহর,,,,,,, তুমি এখানে।
অয়ন,,,,,হয়তো আমাকে ধন্যবাদ বলতে এসেছো, তাই না।
আমি একটু মুখ বেকিয়ে বললাম,,,, হুহহ বয়েই গেছে আমার আপনাকে ধন্যবাদ বলতে।
অয়ন,,,,তাহলে এখানে কেনো এসেছো।
,,,,, আমি আমার ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে এসেছি।
প্রহর আর অয়ন এক সাথে বলে উঠে,,,,, ওহহ আমার সাথে দেখা করতে এসেছো।
আমি একটু কপাল কুঁচকিয়ে বললাম,,,,, আপনারা আমার ফ্রেন্ড হলেন কবে। আমি তো মেঘার সাথে দেখা করতে এসেছি।
[মেঘা অয়নের মামাতো বোন]

প্রহর,,,, মেঘা আপনার বন্ধু হয়, কোথায় আগে বলেন নি তো।
,,,, আমাদের কথায় বা হলো কয় দিন।
অয়ন,,,,, আপনি চাইলে প্রতিদিন বলতে পারেন।
তখনি মেঘা বেরিয়ে আসে, আমি দুজনের মাঝখান দিয়ে মেঘার কাছে চলে যায়।
,,,,কিরে মেঘা এখন তো দেখি ঘর থেকে বাহিরেই যাস না। হবু হাসবেন্ড মানা করেছে নাকি।
মেঘা একটু লজ্জা পেয়ে বলে,,,,,, দূররর ভাইয়ারা আছে এখানে কি বলিস।
,,,আরে বিয়ের কথা বলতে লজ্জা কিসের তোর ভাইয়ারা কি বিয়ে করবে না নাকি।
অয়ন আর প্রহর এসে বলে,,, ঠিক বলেছো, বিয়ে তো এক দিন না একদিন করায় লাগবে। এতে লজ্জার কি আছে।
আমি মেঘার হাত ধরে বলি,,, যারা বেশরম তাদের আবার লজ্জা আছে নাকি। চলরে মেঘা আমরা উপরে গিয়ে কথা বলি।
অয়ন,,,,আমিও আসি।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

প্রহর,,,,, আমিও আসছি,তুই গেলে আমি একা থেকে কি করবো।
অয়ন,,,,,বসে থাকবি।
প্রহর,,,, আমাকে যেতে না দিতে আমিও তোকে যেতে দিবো না।
,,,ও হ্যালো, আপনাদের কাওকেই আমি আমাদের সাথে যেতে দিবো না, এটা আমাদের ফ্রেন্ডের মধ্যেকার, আপনারা কি করবেন।
অয়ন,,,,,, তোমাদের সঙ্গ দিতে।
,,,লাগবে না আপনাদের সঙ্গ হুহহ,,চল মেঘা।
বলে আমি আর মেঘা চলে যায়। গিয়ে আমি মেঘাকে অয়নের বিষয়ে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করেছি। যতোটুকু যেনেছি ওর কোনো জিএফ ছিলো না। যাক শুনে ভালো লাগলো।
আমি মেঘাকে কোনো ভাবে বুঝিয়ে অয়নের রুমটা খুঁজতে থাকি৷ একটা রুমে উঁকি দিতেই, অয়ন পিছন থেকে আমার কানের কাছে এসে বলে,,,, আমাকে খুঁজছো।
আমি চমকে পিছনে তাকিয়ে বলি,,,,, আল্লাহ আপনি, এভাবে কেও কাওকে জিজ্ঞেস করে তাও আবার হঠাৎ করে।

,,,,,, আচ্ছা বললে না যে কাকে খুজছো, আমাকে।
,,,না, আমি আপনাকে কেনো খুঁজতে যাবো।
,,,, তাহলে আমার কেনো এমন মনে হচ্ছে।
,,,,সেটা আপনার মনকে জিজ্ঞেস করেন।
অয়ন আমার একটু কাছে এসে বলে,,, সেটাই তোহ করছি।
আমি একটু সরে গিয়ে বলি,,,, মানে,,
,,,মানে আমার মন তো আমার কাছেই নাই তো জিজ্ঞেস করবো কিভাবে। আমার মন তোহ তোমার কাছে। তাই তোমাকেই জিজ্ঞেস করলাম।

কেনো জানি এ কথা শুনে নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না, ঠোঁটে হাসিটা একটু বেশিই এসে পড়লো।
অয়নকে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে,আমি হাসিটা বন্ধ করে দিয়।
অয়ন আমার দিকে সন্দেহের দিকে তাকিয়ে বলে,,,প্রেমে পড়ে গেলে নাকি আমার।
আমি অস্থির হয়ে বললাম,,,, জ্বী না,,
যেতে নিয়ে পিছনে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে বলি,,,, পড়লে পড়তেও পারি, কোনো সমস্যা আছে।
অয়ন একটা বড় করে হাসি দিয়ে বলে,,,, একদমি না,, আমি তো চাই তুমি পড়ো।
তখনি প্রহর এসে বলে,, কি বলিস তুই,, মারু পড়ে গেলে ব্যাথ পাবে না। আর এটা তুই কেনো চাস অজব।
অয়ন,,,,, আরে এই পড়াতে কেও ব্যাথা পায় না। তুই বুঝবি না, তোর বুঝার বয়স হয় হয়নি।

আমি হেঁসে চলে গেলাম, প্রহর কিছু বুঝতে পারছে না। এভাবে অনেক দিন কেটে যায়। আমি অয়নের প্রেমে পড়ে যায়। অয়ন আমার মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। আমিও বলবো বলবো ভাবছি।
কিন্তু কিছু দিন ধরে অয়ন আমাকে ইগনর করে চলে। বেশি কথা বলে না। এড়িয়ে চলে। আমারো আর ভালো লাগছে না। আমি একদিন অয়নের পথ আটকিয়ে বলি,,, কি সমস্যাটা কি আপনার হুমম, আমাকে ইগনর কেনো করছেন৷ কিছু হয়েছে, হলে বলেন। আর বেশি কথাও বলছেন না।
অয়ন কিছু না বলে আমার সাইড কাটিয়ে চলে যেতে চাই, আমি অয়নের হাত ধরে বলি,,, কথা শেষ না করে যাবেন না। পিল্জ আমার প্রশ্নের উত্তর দিন।
অয়ন আমার হাত ছাড়িয়ে বলে,,, কি বলবো বলো, আমার বলার মতো কিছু নেয়।

আমি হালকা হেঁসে বলি,,,, ও আচ্ছা, এবার বুঝেছি, আপনি কেনো আমার প্রতি রেগে আছেন। আপনি যেটা শুনতে চান সেটা আমি আজি বলবো।
আমি কিছু শুনতে চাই না, বলে অয়ন চলে যেতে নেয়,আমি অয়নের হাত ধরে ফেলি। ধরে বলি,, আমিও আপনাকে ভালোবাসি, আই লাভ ইউ।
বলে লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেলি, অয়ন কিছু ক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। কিছু ক্ষন পর আমি অয়নের হাতটা একটু ঝাঁকিয়ে বলি,,, কিছু বলো না কেনো।
অয়ন তাড়াতাড়ি তার চোখ সরিয়ে আমার হাত এক ঝটকায় ছাড়িয়ে বলে,,,,, তোমাদের গ্রামের মেয়েদের এটাই সমস্যা, একটু হেঁসে কথা বললেই সংসার গড়ে ফেলে। একটু হেঁসে কথা কি বলেছি নিজেকে আমার লেভেলের ভাবতে শুরু করে দিয়েছো।
আমি অয়নের কথার কিছুই বুঝছি না। সব আমার কাছে এলোমেলো লাগছে, তাও আমি মুখে জোর করে হাসি এনে বললাম,,,,, মজা করছো, তাই না অয়ন। দেখো এই সময় মজা ঠিক হচ্ছে না।

অয়ন তুচ্ছ হাসি দিয়ে বলে,,,, ইয়াহ রাইট, এতো দিন আমি তোমার সাথে মজায় করেছি। এখানে থেকে থেকে ভোর হচ্ছিলাম তাই ভাবলাম তোমার সাথে ফান করা যাক। কাল আমি এখান থেকে চলে যাবো তাই আর এই নাটকের কোনো দরকার নেয়।
আমার চোখ দিয়ে কয়েক ফোঁটা নোনাপানি গড়িয়ে পড়ে। আমি শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করি,,, এতো দিন এতো ভালোবাসা সবি কি মিথ্যা ছিলো।
,,,কিসের ভালোবাসা, সব নাটক ছিলো, আর নিজেকে একবার দেখো আর আমাকে দেখো। এটা ভাবার আগে নিজের চেহেরাটা তো এক বার আয়নায় দেখতে।
নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলাম না, এবার রাগে দুঃখে বললাম ,,,, আপনি কি আমাকে নিজের খেলনা মনে করেছেন যে যখন খুশি খেলবেন।এতো দিন ভালোবাসি বলে বলে মাথা খারাপ করে দিয়েছেন। এখন আমি যখন বলছি যে, আমি আপনাকে ভালোবাসি তখনি পাল্টি নিচ্ছেন।

কি মনে কি করেন নিজেকে৷ ঠিক কথা আমারি বুঝা উচিত ছিলো, আপনার মতো ছেলেরা শুধু ধোঁকা দিতে পারে ভালোবাসতে পারে না। কোনো দিন ক্ষমা করবো না আপনাকে।আই হেট ইউ।
বলে কান্না করতে করতে চলে গেলো। আমি তাকিয়ে শুধু তাকিয়ে নীরের যাওয়া দেখছি। আর কিছুই আমার করার নেই। নিজেকে সামলানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কতোদিন এটা অপেক্ষায় ছিলাম, অবশেষে বললো কিন্তু আমার আর সেই খুশিটা রইলো না।
কারন আমি প্রহরকে বলার আগে প্রহর আমাকে বলে, সে নাকি নীরকে ভালো বাসে, তাহলে আমি কি করে সেখানে আসতে পারি। ওর ভালোবাসা আমি কেড়ে নিতে পাড়বো না। আমার কারনে প্রহরকে কষ্ট দিতে পারবো না।
আমি সেখান থেকে চলে যায়। বিদেশে চলে যাবো আমি। যাওয়ার আগে মামাকে বলে যায়, ওনি যেনো নীরের মা বাবার সাথে প্রহরের জন্য কথা বলে। মামাও তাই করে, তার মা বাবা রাজি হয়ে গেছে শুনেছি।
আমি যাওয়ার জন্য বেগ গুছাচ্ছি, প্রহর আমার রুমে এসে, আমার সামনে বসে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমি বেগের দিকে নজর দিয়ে বলি,,, হাসছিস কেনো।

প্রহর,,,,,, তোহহ কি করবো। মারু রাজি হয়ে গেছে। ভাবছি কিছু দিন পড়েই আমরা বিয়ে করে নিবো। কি বলিস অয়ন। মারু আমার হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যে।
আমি অন্য দিকে ফিরে হুমম বলি। চোখে পানি এসে গেছে। প্রহর দাঁড়িয়ে বলে,,,, কি চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করছিস নাকি।
আমি কিছুটা চমকে গিয়ে নিজের চোখ লুকানোর চেষ্টা করে বলি,,, মানে কি তোর কথার।
প্রহর আমার কাঁধে হাত রেখে বলে,, অনেক হয়েছে আর মিথ্যা বলার কোনো দরকার নেয়।মারু আমাকে সব বলে দিয়েছে।
আমি প্রহরের দিকে তাকিয়ে ওর হাত ধরে বলি,,, মানে কি বলেছে। প্রহর দেখ ওর কথা তুই সিরিয়াস ভাবে নিস না।
প্রহর আমার ছাড়িয়ে বলে,,, তুই মারুকে ভালোবাসতি, কিন্তু আমার কারনে মারুকে ছেড়ে দিতে চাইছিস।মারুও তোকে ভালোবাসে।আমার কারনে তুই নিজের ভালোবাসার ত্যাগ করছিস। যদি মারুর সাথে আমার বিয়ে হয়ে যেতো তাহলে নিজেকে কিভাবে ক্ষমা করতাম। আমি মারুর আগে তোকে ভালোবাসি। মারু তোর ছিলো আর চীরদিন তোর থাকবে।

,,,প্রহর বুঝার চেষ্টা কর।
,,,,তুই বুঝ,, যা মারুর রাগ ভাঙা। বিয়েটা আমার সাথে না তোর সাথে হবে। মারু বাগানে আছে, তাড়াতাড়ি যা।নাহলে দেড়ি হয়ে যাবে।
আমি প্রহরকে জরিয়ে ধরে বাগানের দিকে দৌড়ে যায়। নীর সেখানে মন খারাপ করে বসে আছে। আমি নীরের দিকে তাকায়। নীর আমার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে। আমি শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলাম,,,,,, কি বলেছো প্রহরকে তুমি।
নীর রাগে জোরে বলে,,,কি বলবো, যা সত্যি তাই বলেছি। আপনি যেমন আমার সাথে অভিনয় করেছেন ভালোবাসার। ঠিক তেমনি আপনার বন্ধুও আমার সাথে বিয়ের নাটক করতে এসেছে, এটাই বলেছি।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,,,, সরি,, আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি তোমার মনে কষ্ট দিয়েছি।
নীর রাগ দেখাতে গিয়ে হেঁসে দেয়, আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি। হাসি থামিয়ে বলে,,, আর রাগ দেখাতে পারবো না, প্রহর আমাকে সব বলেছে। আপনি আমাকেই ভালোবাসেন।

,,,আর তুমি।
নীর লজ্জা মাখ মুখে বলে,,, আমিও,,
অয়ন আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে। প্রহর দূর থেকে সব দেখছিলে। এভাবেই চলতে থাকে, লুকিয়ে দেখা করা, কথা বলা। বাইকে ঘুরতে যাওয়া।
ঐ দিন মেঘার গায়ের হলুদ ছিলো আর নীর হলুদ শাড়ী পড়েছিলো, আমি আর প্রহর হলুদ পায়জামা পাঞ্জাবি। আমি সবার ছবি তুলছিলাম। নীরের মাথার ফুল ছুটে যাচ্ছিলো প্রহর সেটা ঠিক করে দিচ্ছিলো, আমি সেটার ছবি তুলে নিয়।
এভাবেই অনেক মাস কেটে যায়। পড়ে সায়ন বড়ো একটা পার্টি রাখে, ভেবেছিলাম সেখানেই সবাইকে তোমার আর আমার বিয়ের কথা বলবো। বাকিটা তো জানায় আছে।

বর্তমানে,,,,,,
এসব বলে অয়ন উঠে আমাকে জরিয়ে ধরে বলে,,, আমাদের ভালোবাসা মনে নেয় তোমার। আমাদের সেই স্মৃতিময় মূহুর্ত।
আমি হালকা হেঁসে বলি,, কালকের কথা মনে না থাক, আজ তো আমি তোমার পাশে আছি। তোমাকে ভালোবাসি। অতীতের মূহুর্ত গুলো আমরা আবার কাটাবো এক সাথে। আর এগুলো কখনো ভুলবো না। আর ভুলে গেলেও আমাদের ভালোবাসা মনে করিয়ে দেওয়ার মতো আমাদের ভালোবাসার অংশ তো আমার মধ্যেই আছে।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২৮

এভাবেই কেটে যায় কয়েক মাস। আগের থেকে একটু মোটা হয়ে গেছি। পেটটাও বড় হয়ে গেছে৷ সবাইকে তেমনি ভাবে জ্বালাচ্ছি। গভীর রাত আর দিন নেই, যখন যেটা খেতে মন চাইছে, সবাইকে বাহিরে পাঠিয়ে দিচ্ছি আনার জন্য। সায়নের অবস্থাটা ঠিক বুঝা যাচ্ছে না। এই ভালো তো এই খারাপ। পাগলামোটা বেড়েছে মনে হয়।
এভাবেই আরো কয়েক মাস কেটে যায়।এখন আমার নয়মাস। পেটের কারনে নিজের পা দেখতে পারি না। নিচু হতে পারি না। আমি রুমে বসে আছি।অয়ন তখন বলে,,, নীর আমি একটা কাজে যাচ্ছি, খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবো, খুব সাবধানে থাকবে।
,,,,হুমম,,তুমিও সাবধানে যাবে কিন্তু।

অয়ন সন্ধ্যায় ফিরে আসে। এসে তার মাকে মারুর কথা জিজ্ঞেস করতেই একটা জোরে চিৎকার এর আওয়াজ শুনে অয়ন দৌড়ে উপরে যায়। গিয়ে দেখে মারু নীরে পরে আছে, নীচে রক্ত দিয়ে মেঝে ভেসে যাচ্ছে।
আর সাইডেই দাঁড়িয়ে আছে সায়ন, হাতে মোটা রোড নিয়ে, যেটা খাটে থাকে, মশারী টাঙানোর জন্য।

আগুনের তৃষ্ণা শেষ পর্ব