আত্যাচারী বউ পর্ব ৩

আত্যাচারী বউ পর্ব ৩
লেখকঃখান বাহাদুর

ব্যাগ খুলতেই দেখলাম সেখানে কোন ফাইল নেই।
তারমানে আয়েশা ইচ্ছা করে ব্যাগে কোন ফাইল দেই নি। আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। এখন কি করবো? ঠিক এমন সময় আমার বন্ধুর নিহাল এসে উপস্থিত।
নিহালঃ দোস্ত মিটিং এ আসবি না।

আমিঃ আসলে দোস্ত আমি আমার ফাইলগুলো আনতে ভুলে গেছি।
নিহালঃ কি বলস এগুলো।
আমিঃ সত্যিই এখন খেয়াল করলাম যে আমি ফাইল আনতে ভুলে গেছি।
নিহালঃ আচ্ছা তুই আমার ফাইলগুলো নে।
আমিঃ এটা কেমনে সম্ভব আমি তোর প্রেজেন্টেশন গুলো কেমনে নিব।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

নিহালঃ বেশি বাড়াবাড়ি করবিনা তুই এগুলো নিয়ে যা। আমাদের দুজনের প্রেজেন্টেশন সেম ছিল।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে ফাইলগুলো নিলাম এবং খুব ভালোভাবে প্রেজেন্ট করতে পারলাম। যার ফলে প্রজেক্ট আমরাই পেলাম।
আমিঃ দোস্ত আমি অনেক খুশি কারণ আমরা প্রজেক্ট পেয়ে গেছি।
নিহালঃ এই কথায় কিন্তু ট্রিট হবে।
আমিঃ আচ্ছা ট্রিট দিবো।
আমাদের অফিস শেষ করে আমরা সবাই আমাদের আড্ডার স্থানে গেলাম। সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ সবাই মিলে আড্ডা দিলাম। তারপর বাসায় ফিরে এলাম।
আমি (মনে মনে) চিন্তা করতে লাগলাম কি অত্যাচারই করে বাবা, এই অত্যাচারী বউ এর অত্যাচার আর কত দিন সহ্য করতে হবে কে জানে।

এগুলো চিন্তা করতে করতে বাসায় চলে এলাম।
আয়েশাঃ এত সময় কেন লাগলো আপনার। অফিস তো অনেক আগে শেষ।
আমিঃ আপনাকে কৈফিয়ৎ দিতে হবে না আমার।
আয়েশাঃ কি বললি তুই আমাকে কৈফিয়ৎ দিবি না তো কাকে দিবি। তোর কি বউ আরো 4-5 টা আছে।
আমিঃ দেখুন আপনি আমার সাথে ভদ্রভাবে কথা বলুন। আমি আপনার সাথে ভদ্রভাবে কথা বলছি।
আয়েশাঃ তোর ভদ্রতার চৌদ্দ গুষ্টি কিলাই।

আমিঃ আপনি এখন আমার চৌদ্দগুষ্টি নিয়ে কথা বলবেন না কিন্তু। তাহলে কিন্তু অনেক খারাপ হবে।
আয়েশাঃ কি খারাপ হবে রে?
রাগী চেহারা নিয়ে আমার সামনে এগোচ্ছে আর আমি পিছনে যাচ্ছি। সিনেমায় দেখেছি নায়ক আগাই আর নায়িকা পিছাই কিন্তু এখানে উল্টা।

আয়েশা যতই আগাচ্ছে আমি ততই পিচাচ্ছি। একটু পরে যাওয়ার আর পথ নেই কারণ আমি দেয়ালের সাথে লেগে গেছি।
আমিঃ দেখুন আয়েশা আমি এখন অফিস থেকে আসছি। আমার ফ্রেশ হতে হবে।
আয়েশাঃ ঠিক আছে বাবু ফ্রেশ হবে তার আগে একটু মিষ্টিমুখ করাবো তোমাকে।
আমিঃ আমি মিষ্টি একটু কম হয় আপনি জানেন না।
আয়েশাঃ এই মিষ্টি ও মিষ্টি না এই মিষ্টি তো আমার ঠোঁটের মিষ্টি।
আমিঃ কি আপনার ঠোঁটে….

আত্যাচারী বউ পর্ব ২

পুরো কথা শেষ করতে পারলাম না কারণ, ইতিমধ্যে আয়েশা তার ঠোঁট আমার ঠোঁটের সাথে লাগিয়ে দিল কতক্ষণ ছিল যানি না কিন্তু যখনই আয়েশা ছাড়লো তখনই আমরা দুজনা হাপাচ্ছিলাম।
আমিঃ আপনার লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই?
আয়েশাঃ বাহ রে স্বামীর সামনে আবার কিসের লজ্জা।
ঠিক তখনই বেলের আওয়াজ হলো। আর দরজা খুলতে আমি যাকে দেখলাম তাকে দেখে আমি আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না।

আত্যাচারী বউ পর্ব ৪