আত্যাচারী বউ পর্ব ৪

আত্যাচারী বউ পর্ব ৪
লেখকঃখান বাহাদুর

দরজা খুলতেই আমি দেখলাম সেখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃ কি কিছু বলবেন?
পুলিশঃ আসলে আমরা এখান থেকে খবর পেয়েছি যে, কোন আয়েশা চৌধুরী নামে একটি মেয়ের স্বামী অপহরণ হয়েছে।
আমিঃ আপনারা কি বলছেন?

পুলিশঃ আসলে আমরা এখান থেকে খবর পেয়েছি।
আমিঃ আপনারা নিশ্চয় কোন ভুল খবর পেয়েছেন কারাণ আয়েশা চৌধুরীর হাজবেন্ড আমি আর আমার কিছু হয়নি।
পুলিশঃ তাহলে আমাদের ইনফরমেশন ভুল। আমরা আপনাকে ডিস্টার্ব করার জন্য দুঃখিত।
এই কথা বলে তারা সেখান থেকে চলে গেল।
আমিঃ আয়েশা আপনার কি মাথা খারাপ?
আয়েশাঃ আমার মাথা খারাপ হতে যাবে কেন।
আমিঃ আপনি নিশ্চয়ই মেন্টাল।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আয়েশাঃ দেখুন আজেবাজে কথা বলবেন না আপনার অফিস টাইম অনেক আগে ছিল কিন্তু আপনি আসছিলেন না তাই আমি ওদেরকে কল দিয়েছিলাম।
রাগ আর থামিয়ে রাখতে পারলাম না দিলাম জরে দুটি চড়।
আমিঃ আপনি আসলে এগুলোর যোগ্য আপনার এসব অত্যাচার আর সহ্য হয় না।
আয়েশা কিছু না বলে কাঁদতে কাঁদতে সেখান থেকে চলে গেল।।
একটু পরে আম্মু আব্বু বাসায় আসলো।
আম্মুঃ কি হয়েছে তুই কি বৌমাকে মেরেছিস নাকি? বোমা কানছে কেন?
আমিঃ জানিনা তোমার বৌমা কেন কাঁদছে। জানতে ও চাই না।

আম্মুঃ এগুলো কি উল্টা পাল্টা কি কথা বলছিস। বউমা জেদল ধরেছে যে সে আর এখানে থাকবে না।
আমিঃ যে চলে যেতে চায় তাকে একটা আটকালে কেন। সে চলে যাক।
আম্মুঃ তোকে নিয়ে না আর আমি পারছি না।
একটু পরে আয়েশা রুমে আসলো।
আশাঃ আমি আর ডিস্টার্ব করবো না। আমি চলে যাচ্ছি।
আমি কিছু না বলে আমার অফিসের কাজে মনোযোগ দিলাম।
আমি (মনে মনে) যে মেয়ে বিয়ের দুই তিন দিনের মাথায় বলতে পারে যে সে চলে যাবে। সে মেয়েকে কি আর ভালো করে বিশ্বাস করা যায়।
একটু পরে খেয়াল করলাম আয়েশা ব্যাগ গোছাচ্ছে।
আয়েশাঃ দেখুন আমি কিন্তু সত্যিকারে চলে যাচ্ছি।
আমিঃ ঠিক আছে জান বাপের বাড়ি যেতে কারো থেকে পারমিশন নিতে হয় না।
আয়েশাঃ আমি বাপের বাড়ি যাচ্ছি না। আমি একেবারে চলে যাচ্ছি।
আমিঃ ধূর আর ভাল্লাগেনা।

এ কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম। সোজা চলে গেলাম বন্ধু নিহালের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে মনে করলাম মনের কষ্ট একটু কম হবে কিন্তু মনে কষ্ট আরো বেড়ে গেল। আমি আয়েশা কে যেন ভুলতে পারছিনা। দুই দিনে এ মেয়েটাকে এতো আপন করে ফেললাম তাই। কারণ আয়েশা দেখতে অনেক সুন্দর। শুধু সুন্দর না তার প্রত্যেকটা কাজ তার প্রত্যেকটা কাজের ধরন আমাকে তার মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে আয়েশাকে সরি বলবো।
বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসায় গিয়ে দেখলাম আম্মু আব্বু দুজনেই মন খারাপ করে সোফায় বসে আছে।

আমিঃ আম্মু আয়েশা কই?
আম্মুঃ সে চলে গিয়েছে।
আমিঃ মানে কোথায় গিয়েছে বাপের বাড়ি না।
আম্মুঃ তোর কি মাথা নষ্ট আয়েশা আমার বউমা একেবারের জন্য অস্ট্রেলিয়া চলে যাচ্ছে আজকে। সে আমাকে বিয়ের দিনই বলেছিল তুই যদি থাকে মারিস সে চলে যাবে অস্ট্রেলিয়া।

আমিঃ এগুলো কি বলছেন আমি জানি আপনি দুষ্টুমি করছেন সত্যি করে বলুন আয়েশা কোথায়?
আব্বুঃ তোর কি মাথা খারাপ তোকে বলা হল না সে চলে যাবে তাও তুই আটকালি না। (খুব রেগে গিয়ে এই কথাটি বলল)
তারপর তারা তাদের রুমে চলে গেল। এদিকে আমি খবর নিয়ে জানতে পারলাম যে 7 টার দিকে আয়েশার ফ্লাইট। এখন 6:50 তার মানে আমার হাতে আর দশ মিনিট সময় আছে। আমি একটি গাড়ি নিয়ে সোজা এয়ারপোর্টে পৌছালাম। সেখানে গিয়ে কিছু লোক থেকে খবর নিলাম যে প্লেন বাংলাদেশ টু অস্ট্রেলিয়া যাওয়া প্লেন ছেড়ে দিয়েছে নাকি।

আত্যাচারী বউ পর্ব ৩

আমি এক লোককে উদ্দেশ্য করে,
আমিঃ ভাইজান বাংলাদেশ ট্য অস্ট্রেলিয়া বিমান কি ছেড়ে দিয়েছে?
লোকটিঃ হ্যাঁ ভাই!
আমিঃ কিহ!!!!!

আত্যাচারী বউ শেষ পর্ব