আমার আছে জল পর্ব ১৩

আমার আছে জল পর্ব ১৩
মাহিমা রেহমান

অকস্মাৎ শিথিকে কোলে তুলে নিল নুসাইব।চকিতে চোখ বড় বড় করে তাকালো শিথি।বিচলিত কণ্ঠে বলে উঠল,
-“স্যার করছেন কি?আমি একদম ঠিক আছি। হাঁটতে পারবো আমি, সমস্যা নেই।প্লিজ নিচে নামিয়ে দিন আমাকে।”
চোখ গরম করে শিথির দিকে তাকাল নুসাইব।ভীত হলো শিথির অন্তঃকরণ।চুপ হয়ে গেল।পুনরায় বলে উঠল,
-“স্যার প্লিজ আমাকে নিচে নামান।আমার খুব অসস্তি হচ্ছে।প্লিজ স্যার,,সত্যি বলছি আমি হাঁটতে পারবো।কোনো সমস্যা হবে না আমার।”

শিথির বলা কথা গুলোকে তেমন গুরুত্ব দিল না নুসাইব।চোয়াল শক্ত করে সম্মুখে তাকিয়ে হাঁটতে লাগল।অসস্তিতে ঘামতে লাগল শিথি।
গাড়ির কাছে এসে আলগোছে শিথিকে পিছনের সিটে বসিয়ে দিল।ড্রাইভারকে বলল গাড়ি স্টার্ট দিতে। শিথি-নুসাইবের যাওয়ার পানে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল তাহসিন।হঠাৎ বক্ষঃস্থলে চিন চিন ব্যথা অনুভব করল।সে কি তাহলে একেবারের জন্য শিথিকে হারিয়ে ফেলল?নতুন করে শিথির জীবনে আগমন ঘটল কি তাহলে নুসাইবের?নুসাইব কি শিথির জীবনে পুনরায় আলো নিয়ে এলো?অস্থির হয়ে পড়ল তাহসিন।ভয় হানা দিল তার চিত্তপটে।তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে ললাটে জমে থাকা স্বেদ জল টুকু মুছে নিল সে।না! নাহ,, শিথিকে অন্যকারো হতে দেওয়া যাবে না।কাল বিলম্ব না করে গাড়ি নিয়ে সেও ছুটল নুসাইবের পিছন পিছন।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

গাড়ি এসে থামলো সিটি হসপিটালের সমীপে।গাড়ি থেকে নেমে পুনরায় শিথিকে কোলে তুলে নিল নুসাইব।অস্থির কণ্ঠে শিথি এবার বলে উঠল,
-“স্যার প্লিজ,এত গুলো মানুষের সামনে অন্তত আমাকে এভাবে কোলে নিয়েন না।আমার বেশ লজ্জা লাগছে।”
শিথির মুখপানে এবার ফিরে তাকাল নুসাইব।শিথির দৃষ্টিতে এসে ধরা দিল রক্তবর্ণ ধারণ করা দুটি চোখ। কেঁপে উঠল শিথির অন্তঃকরণ।আর কোনো বাক্য উচ্চারণ করবার সহজ জোগাতে পড়ল না সে।

একজন মহিলা ডাক্তার চেকআপ করছে শিথিকে।পা দেখতে দেখতে সে হঠাৎ করে পা মোচড় দিল। বিভৎস এক চিৎকার দিয়ে উঠল শিথি।ঘাবড়ে গেল নুসাইব।দ্রুত পায়ে শিথির সান্নিধ্যে এসে দাঁড়াল।অস্থির কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে উঠল,
-“ঠিক আছেন আপনি?খুব কি ব্যাথা লেগেছে।”
শিথি দুদিকে মাথা নেড়ে ‘না বোধক’ বোঝালো।
অকস্মাৎ ডক্টর নুসাইবের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করে উঠল,

-“আপনার ওয়াইফ বুঝি?”
হকচকিয়ে উঠল নুসাইব।আঁখি জোড়া ঘুরিয়ে নির্নিমেষ শিথির দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,
-“নাথিং, কিছুই হয় না সে আমার।”
কথাটা বলে গটগট পায়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল নুসাইব। ঘাবড়ে গেল শিথি!নুসাইব কি রাগ করল নাকি?ডক্টররা আজকাল না জেনে না বুঝে পেশেন্টদের কি উল্টোপাল্টা প্রশ্নই না করে?

তখনই হুড়মুড়িয়ে হসপিটালে ঢুকল তাহসিন।রিসেপশনের মেয়ের থেকে রুম নম্বর জেনে ছুটল সেদিক।হুট করে প্রবেশ করল কেবিনে।করো আসার আভাস পেয়ে দরজার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকাল ডক্টর, সাথে শিথি ও।তাহসানকে এখানে দেখে রেগে গেল শিথি।কিছু বলতে নিবে তার পূর্বেই তাহসিন ডক্টরকে জিজ্ঞেস করে উঠল,
-“ডক্টর শিথির কি হয়েছে?ঠিক আছে তো ও?”
ডক্টর শিথির উদ্দেশ্যে তাহসিনকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে উঠল,
“উনি কি হন আপনার?ফ্যামিলির কেউ?”
সত্বর তাহসিন বলে উঠল,

-“আমার ওয়াইফ সে।আমি ওর হাসবেন্ড।”
রাগে লালবর্ণ ধারণ করল শিথির চোখমুখ।নিজেকে সংগত করে অকপট স্বরে ডক্টরের উদ্দেশ্যে বলে উঠল,
-” ছিলাম,,বর্তমানে উনি আমার কেউ না।”
কথাটুকু বলে মুখ ঘুরিয়ে নিল শিথি।
মাথাচাড়া দিয়ে উঠল তাহসিনের।আসলেই তো,, তাঁরা তো এখন আর স্বামী-স্ত্রী নেই।কোনো অধিকার নেই শিথির উপর এখন তার।

কেবল মাত্র তার নিজের দোষেই শিথিকে হারিয়েছে সে।দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করল তাহসিন।
ভ্রু কুঁচকে তাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে রইল ডক্টর।করো কথারই আগা-মাথা কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।তাই এসব বিষয় নিয়ে আর চিন্তা না করে শিথির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-“তো মিস. শিথি আপনার পায়ে তেমন কিছুই হয়নি।কেবল একটু মচকে গেছে।কিছুদিন একটু বেড রেস্টে থাকলে আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।আর এখানে আমি কিছু মেডিসিন লিখে দিয়েছি।যদি ও দরকার নেই তেমন।কিন্তু মি. আরহিয়ান নুসাইব চৌধুরী যেভাবে আসার পর থেকে থ্রেট দিয়ে যাচ্ছে,,যে করেই হোক আপনাকে দুদিনের মধ্যে সুস্থ করতে হবে।তাই আশা করছি এই ঔষুধ গুলো খেলে আপনি দুদিনের মধ্যেই ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবেন।”
সহসা রুমে প্রবেশ করল নুসাইব।তাহসিনকে কেবিনে দেখে কিছুটা ভ্রু কুঁচকে গেল তার।তাহসিনের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করে উঠল,

-“কি ব্যাপার নি. তাহসিন আপনি এখানে কি করছেন? আই মিন আপনি এখানে?আপনার কোনো রিলেটিভের কি কিছু হয়েছে?যে হসপিটালে এলেন?”
অসস্তিতে পড়ে গেল তাহসিন। ইতস্তত বোধ করে বলে উঠল,
-“আসলে মিস. শিথিতো আমার সামনেই পড়ে গিয়ে ব্যথা পেল।তাই আমি ও ওনার কন্ডিশন জানতেই এখানে এসেছি।”

আজ প্রায় দুদিন পর অফিসে পা রাখল শিথি।এই দুদিন শিথিকে পাক্কা রেস্টে থাকতে বলেছে নুসাইব।এমন কি এই দুদিন শানকে ও পড়াতে যেতে পারেনি। কীভাবেই বা যাবে?এই ভাঙ্গা পা নিয়ে।অবশ্য এ নিয়ে তেমন কোনো সমস্যাই হবে না। কারণ শানের মাকে সকল ঘটনা আগেই খুলে বলেছে শিথি।আর এতেই তিনি উল্টো পড়তে আসার জন্য নিষেধ করে দিয়েছে।এসব ভাবতে ভাবতে ভিতরের দিকে পা বাড়াল শিথি।সর্বপ্রথম সে গেল নিজের কেবিনে।প্রয়োজনীয় কিছু ফাইল হাতে নিয়ে সে ছুটল নুসাইবের রুমের দিকে।একবার নক করে যখন কোনো সাড়া পেল না তখন পুনরায় নক করে উঠল।সহসা ভিতর থেকে গম্ভীর কন্ঠে কেউ বলে উঠল,

-“কাম ইন।”
ভিতরে প্রবেশ করল শিথি।দেখতে পেল চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা লাগিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে কাজে ব্যস্ত নুসাইব।দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ শিথি।অফিস শুরুই তো হলো কেবল। আর এরই মধ্যে এই লোক ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়েছে।মানুষ এতো ও কাজ পাগল হয়??,
আকস্মাৎ শিথির দিকে চোখ তুলে তাকাল নুসাইব।তীর্যক চাহনি নিক্ষেপ করে সূক্ষ্ম কণ্ঠে বলে উঠল,
-“তা অফিসে এলেন যে..এই দুদিন যখন আসেননি,,আর কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে একবারেই আসতেন।”
অবাক হয়ে গেল শিথি।বলছে কি এই লোক?নিজেই ছুটি দিয়ে আবার নিজেই কেমন কথা শুনাচ্ছে! বিস্মিত কণ্ঠে শিথি বলে উঠল,

-“স্যার আপনিই না আমাকে আসতে নিষেধ করলেন?”
দৃঢ় কন্ঠে নুসাইব বলে উঠল,
-“স্কিপ ইট।নিন এই ফাইলগুলো চেক করে নিয়ে আসুন।”

নিজের কেবিনে বসে সেই তখন থেকে কাজ করে চলছে শিথি।আকস্মাৎ শিথিকে ডেকে পাঠাল নুসাইব।রুমে ঢুকতেই মুখোমুখি হলো তাহসিনের।বিরক্তিতে মুখ কুঁচকে গেল শিথির।না জানি তাকে এই তাহসিনের মুখ আর কত কাল ধরে দেখে যেতে হয়? তাহসিনকে পাশ কাটিয়ে নুসাইবের দিকে এগিয়ে গেল শিথি।গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
-“ডেকেছিলেন স্যার?”
শিথির দিকে গভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে নুসাইব বলে উঠল,

-“আপনি নিজ হাতে আমার জন্য এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে আসুন।আর হ্যা! মি. তাহসিনের জন্য ও কফি আনতে ভুলবেন না কিন্তু। তবে সেটা বানিয়ে নিয়ে আসবেন অফিসের কোনো স্টাফদের হাতে।”
বেশ হাসি পেল শিথির।নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বেরিয়ে গেল কফি আনবার উদ্দেশ্যে।রেগে গেল তাহসিন।নুসাইবের জন্য কফি কেনো বানাতে যাবে শিথি?বরং শিথির তার জন্য কেবল কফি বানানো উচিত।নুসাইবের হাবভাব মোটেও সুবিধার লাগছে না তাহসিনের কাছে।সে একবার নিজের ভুলের জন্য শিথিকে হারিয়েছে।না নাহ! আর কোনো প্রকার রিস্ক নেওয়া যাবে না।খুব শীগ্রই সে শিথিকে নিজের করে ছাড়বে।তার জন্য তাকে যাই করতে হোক না কেনো?সে তাই করবে।এখন কেবল সময়ের অপেক্ষায়।

কফি হাতে কেবল নুসাইবের রুমে প্রবেশ করবে শিথি,,সহসা তাকে হেচকা টানে একটা খালি রুমের ভিতর নিয়ে এলো তাহসিন।ততক্ষণে কফির কাপ দুটোর অবস্থান হয়েছে ফ্লোরে।আকস্মাৎ এমন হওয়ায় ঘাবড়ে গেল শিথি।চোখ তুলে তাহসিনকে দেখতে পেয়ে,,আগুন ফুলকির মত ক্রোধ অনুভব করল শিথি নিজের মধ্যে।চিৎকার করে বলে উঠল,
-“কি করতে চাইছো তুমি?কি কারণে আমার পিছু ছাড়ছ না?আর কি চাই তোমার আমার কাছে?কেনো বারবার আমাকে এভাবে বিরক্ত করে যাচ্ছো?সমস্যা কি?”
থমথম কণ্ঠে তাহসিন বলে উঠল,

-“কিছু কথা বলতে চাই।”
বিরক্ত হলো শিথি।প্রচুর রাগ মিশ্রিত কণ্ঠে বলে উঠল,
-“বল তাড়াতাড়ি। বলে বিদেয় হও।”
থমথমে কণ্ঠে তাহসিন পুনরায় বলে উঠল,
-“নিজের বাড়ি ফিরে চলো শিথি।এভাবে একা একটা মেয়ে হয়ে তুমি এই ঢাকা শহরে টিকে থাকতে পারবে না।তার চেয়ে বরং বাড়ি ফিরে চলো।এইসাথে একই ছাদের নিচে মিলেমিশে থাকি আমরা তিনজন কেমন?দরকার পড়লে আমি রিমিকে বোঝানো। ও নিশ্চয়ই আমার কথা রাখবে।প্লিজ শিথি ফিরে চলো।”
রাগে বিভৎস হয়ে পড়ল শিথি।চিৎকার করে বলে উঠল,

-“তুমি কি আসলেই পাগল-টাগল হয়ে গেছো?নাকি মাথায় কোনো প্রকার সমস্যা দেখা দিয়েছে তোমার?আর নিজের বাড়ি বলতে কি বোঝাতে চাচ্ছো তুমি?ভুলে কি গেলে তুমি নিজে আমার কাছে মুক্তি চেয়েছো।তুমি নিজেই আমাকে তোমার লাইফ থেকে বিতাড়িত করেছিলে।নিজেই এসে বলেছিলে,,তুমি নাকি রিমির কাছে সকল প্রকার শান্তি পাও।যা আমার কাছে কোনোদিন পাওনি।

তাহলে আজ কোন মুখে বলছো ফিরে যেতে!লজ্জা করছে না এসব বলতে?আর যে যতই সতী সাবিত্রি হোক না কেনো?একজন স্ত্রী কোনদিনও তার স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে একই ছাদের নিচে থাকতে পারবে না কোনোদিন ও।তাই তোমার এসব বেহুদা কথা বার্তা শেষ হলে,,নিজের মুখ নিয়ে বিদেয় হও এবার।আর প্লিজ(হাত জোড় করে)আমার পিছু ছারো।”
কথাটুকু বলে হনহন করে তাহসিনকে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গেল শিথি।

আজ মঙ্গলবার।সকাল এখন আটটা বেজে বিশ মিনিট।শানকে পড়ানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ল শিথি।রিকশা এসে থামলে,, ভাড়া মিটিয়ে ভিতরে প্রবেশ করল।শিথিকে দেখে তার কাছে দৌড়ে এলো শান। এ কদিনে শিথির সহিত বেশ ভাব হয়েছে শানের।চপলা কণ্ঠে শান শিথির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,
-“ম্যাম ম্যাম আপনি কি জানেন?আজকে দা গ্ৰেট শানের বার্থডে।আজকে কিন্তু সন্ধ্যায় আপনি সুন্দর করে সেজে এসে শানের বার্থডে পার্টিতে জয়েন করবেন কেমন?”
শিথি শানের সমীপে হাঁটু গেড়ে বসে আলগোছে শানের চিবুক স্পর্শ করে জিজ্ঞেস করে উঠল,
-“তাই বুঝি?”

শান মাথা নেরে সায় জানিয়ে শিথিকে টেনে নিয়ে গিয়ে সোফায় বসিয়ে দিল।আর দৌড়ে গেল মায়ের কাছে।একটু পর শানের মা এসে, হাসিমুখে শিথির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,
-“এখন তোমার শরীরটা কেমন?”
শিথি হাসিমুখে বলে উঠল,
-“আলহামদুলিল্লাহ, আগের থেকে বেশ আছি এখন।”
শানের মা পুনরায় বলে উঠল,
-“তাহলে ঠিক আছে।আচ্ছা আজ কিন্তু তাহলে সন্ধ্যায় আসতে হচ্ছে,, শানের বার্থডে উপলক্ষে ছোট্ট একটা পার্টির অ্যারেনজমেন্ট করা হয়েছে।”

বিপদে পড়ে গেল শিথি, এখন কি বলবে সে? ইতস্তত বোধ করে বলে উঠল,
-“একচুয়ালি আমার অফিসই শেষ হতে হতে একদম সন্ধ্যা হয়ে যায়।তার উপর এখানে আসতে আরো লেট হবে। এমন কি পরবর্তীতে ফিরতে আমার বেশ লেট হয়ে যাবে তাই বলছিলাম কি…।
টলটল করে উঠল শানের চোখজোড়া। কেঁদে দিবে দিবে অবস্থা।ক্রন্দন সুরে শান বলে উঠল,
-“ম্যাম শানের বার্থডে তে সবাইকে আসতে হবে।আপনাকে ও।”

কথাটুকু বলে দৌড়ে কোথাও একটা চলে গেল শান।শানের মা এবার শিথির দিকে তাকাল।বিনয় সহিত বলে উঠল,
-“প্লিজ ম্যাম চলে আসবেন।আপনাকে সহিসালামত আপনার ঠিকানায় পাঠানোর দায়িত্ব আমার।”
শিথি আর না করতে পড়ল না মাথা নেড়ে সায় জানাল।আকস্মাৎ কেউ এসে একপ্রকার ঝাপটে ধরল শিথিকে। হচকিয়ে উঠল সে।শিথিকে ছেড়ে চিন্তিত মুখ করে রিধি বেগম বলে উঠলেন,
-“কেমন আছো? বৌমা থুক্কু থুক্কু মা!অনেকদিন পরে দেখলাম তোমাকে?শুনেছি তুমি নাকি অসুস্থ ছিলে? তা এখন কেমন আছো?

ভ্রু কুঁচকে নিল শিথি।উনি প্রায় সময়ই শিথিকে বৌমা বলে ফেলে। এ নিয়ে বেশ অসস্তিতে পড়তে হয় শিথির।পুনরায় রিধি বেগমের কথা কর্ণপাত হতেই হাসিমুখে জবাব দিল,
-“এখন বেশ আছি অ্যান্টি।”
রিধি বেগম এবার গদগদে কণ্ঠে বলে উঠলেন,

আমার আছে জল পর্ব ১২

আণ্টি কিরে মেয়ে?শাশুড়ি মা হই।ইয়ে মানে মা মা হই।এখন থেকে মা বলে ডাকবে কেমন।আর শোন এই যে এটা ধর,,এটা আমার আর শানের পক্ষ থেকে তোমার জন্য শানের বার্থডে গিফট।এখানে যা যা আছে সব কিছু পড়ে একদম রেডি হয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসবে কিন্তু।”

আমার আছে জল পর্ব ১৪