আমার গল্পে তুমি পর্ব ২৮+২৯+৩০

আমার গল্পে তুমি পর্ব ২৮+২৯+৩০
সুমাইয়া সুলতানা সুমী

পরদিন ইয়ানা অফিসে গেলে সবাই ওর দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে ছিলো আর মেয়েগুলো তো আরো বেশি করে তাকিয়ে ছিলো কেননা কালকে আর্দ্র যে কাজটা করেছে সেটা দেখে অফিসের মেয়েগুলোর তো চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম ওরা সবাই ইয়ানার উপর সেই ক্ষেপে আছে, ইয়ানা একবার সবার দিকে দেখে নিজের ডেস্কে চলে গেলো,, ব্যাপারটা কি সবাই আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেনো যেনো মনে হচ্ছে আমি বড় কোনো ভুল করে ফেলেছি,, ইয়ানার ভাবনার মাঝেই ওর ডেস্কে কয়েকটা মেয়ে আসলো,

এই তুমি কি মনে করো নিজেকে হুম?? ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেতে চাইছো?? একদম সেই চেষ্টা করবা না বুঝলে??
মানে কি বলছেন আপনারা এসব আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা,।
কচি খুকি তুমি কিছুই বোঝো না, তুমি কি ভেবেছো কালকে আর্দ্র স্যার তোমায় কোলে নিয়েছিলো বলে এটা ভেবো না যে ওনি তোমায় পছন্দ করে,, আর্দ্র স্যার কোনো মেয়ের দিকে তাকায় না ইভেন কোনো মেয়েকে পাত্তাই দেয় না,, আর শোনো একদম আর্দ্র স্যারকে হাত করার চেষ্টা করবেনা ওকে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

মেয়েগুলোর কথা শুনে ইয়ানার তো হেবি রাগ হচ্ছে এই মেয়েগুলো কি ভেবেছে আমি ওদের আর্দ্র স্যারের পিছনে ঘুরি? এই শুনেন আপনারা আর্দ্র স্যার বলতে পাগল হতে পারেন কিন্তু আমি নয় আর হ্যাঁ কালকে আমি একটা প্রবলেমে পড়েছিলাম তাই ওনি আমায় হেল্প করেছে তবে সেটা আমি করতে বলিনি ওনি নিজের ইচ্ছেই আমায় কোলে নিয়েছিলো ওকে।
সে যায় বলো আমাদের বিশ্বাস হয় না, তুমি নিশ্চয়ই এমন কিছু করেছিলে যে আর্দ্র স্যার তোমায় কোলে নিতে বাধ্য হয়েছিলো, তবে এখন থেকে আর্দ্র স্যার এর থেকে দূরে থাকবে বুঝেছো,, এই চলো সবাই।

ইয়ানার কেনো যেনো ভীষণ রাগ হচ্ছে, মেয়ে গুলোর কত বড় সাহস ওকে বলছে ওর বরের থেকে দূরে থাকতে মন চাইছিলো এখনি বলে দিই যে তোমাদের আর্দ্র স্যার আমার বর হয় কিন্তু নাহ এটা অফিস এখানে প্যারসোনাল জিনিস আনার কোনো মানেই হয় না।
মিস ইয়ানা এখনি আমার কেবিনে একটু আসুন, কালকে যে ফাইলটা আপনাকে দিয়ে ছিলাম সেটা নিয়ে।
ওকে স্যার আসছি,, ফোনটা রেখে ডেস্ক এর উপর থেকে ফাইলটা নিয়ে ওনার কেবিনে নক করলাম,, মে আই কামিং স্যার??
ইয়েস,,,

এই নিন আপনার ফাইল, ঠাস করে ফাইলটা টেবিলের উপর রেখে।, কি ব্যাপার বলো তো এতো রেগে আছো কেনো?? আর বাই দ্যা ওয়ে তুমি এখনো ঠিক আছো, না মানে একটু আগে দেখলাম সবাই তোমার ডেস্কে যেভাবে গেলো আমি তো ভেবেছি তুমি এতোক্ষণ কান্না কাটি শুরু করে দিয়েছো।
মানে??
মানেটা খুব সহজ তুমি ওদের সবার ক্রাশ আর্দ্র চৌধুরীর কোলে উঠেছো ওদের তো রাগ হবেই,, আর আমি আসোলে কাউকে পাত্তা দিই না বুঝেছো সে যেই হোক না কেনো, তোমাকে কালকে কোলে নিয়েছি এটা তোমার ভাগ্য এই আর্দ্র চৌধুরীর কোনো মেয়ের প্রতি ইন্টারেস্ট নেই,, দাও ফাইটা দাও।

ওনার নিজের প্রতি ওনার এতো অহংকার এতো আ্যাটিটিউড,, ওনার এই ভাব যদি আমি না ছুটাই তবে আমার নাম ও ইয়ানা নয় শুধু আজকে একবার বাড়িতে জান তারপর দেখবো আপনার এই অহংকার, আ্যাটিটিউড কোথায় যায়,।
বিকেলের দিকে অফিস শেষে ইয়ানা বাড়ি চলে গেলো আর যাওয়ার আগে শপিং মল থেকে ওর প্লান অনুযায়ী জিনিসপত্র কিনে নিয়ে গেলো,, আজকে বুঝবে মিস্টার আর্দ্র প্লেন কত উপর দিয়ে যায়। অফিস শেষে সন্ধ্যার একটু পর আর্দ্র আর অনিক বাসায় চলে গেলো,,

সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে আর্দ্র একবার চারপাশে দেখে নিলো ইয়ানাকে কোথাও দেখতে পেলো না তারপর পরশের রুমে উঁকি দিয়ে দেখল ওখানেও নেই তাহলে গেলো কথায় মেয়েটা, এসব ভাবনার মাঝেই আর্দ্র নিজের রুমে চলে আসলো তারপর সামনে দিকে তাকিয়েই ওর চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেলো যেনো এখনি কোটোর থেকে বেরিয়ে আসবে কেননা সামনে ইয়ানা দাঁড়িয়ে আছে আর ইয়ানার পরনে পাতলা একটা শাড়ি যেটা সামনে দিয়ে একদম গুছিয়ে নিয়েছে যার দরুন ইয়ানার ফর্সা পেট আর নাভি দেখা যাচ্ছে, আর হাতা কাটা ব্লাউজ পড়েছে পিছনে পিঠ পুরোটাই দেখা যাচ্ছে শুধু দুটো হুক দিয়ে ব্লাউজ টা আটকানো আছে,,

আর ইয়ানার ফর্সা পিঠ পুরোটাই বিদ্যমান ,, ইয়ানাকে এই সাজে দেখে আর্দ্রর হালুয়া টাইট, কেনো যেনো অনেক গরম লাগছে হাত দিয়ে গলার টাই টা ঢিলে করে উপর থেকে কোর্টের বোতাম খুলে শার্টের উপরের দুটো বোতাম খুলে নিলো আর্দ্র কেননা ইয়ানাকে অনেক বেশিই আবেদনময়ী লাগছে,, ইয়ানা আস্তে করে কমর দুলিয়ে হেঁটে আর্দ্রর কাছে গিয়ে আলত সরে বলল,, দিন?
ক,,,কি দেবো,, ইয়ানার এভাবে কাছে আসায় আর্দ্র শুকনো একটা ঢোক গিলল তারপর বলল।
কি আবার আপনার ব্যাগটা দিন আর গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসুন যান.

আর্দ্র যেনো পুরাই রোবট হয়ে গেছে মাথা কাজ করছে না কেমন হাং হয়ে গেছে, ইয়ানার কথামতো আর্দ্র ব্যাগটা ইয়ানার হাতে দিয়ে ওর দিকে তাকিয়েই ওয়াশরুমের দিকে গেলে আর গিয়েই ওয়াশরুমের দরজার সাথে টকাস করে একটা ধাক্কা খেলো,, আউচ,, আর্দ্র সামনে তাকিয়ে দেখলো দরজা তারাতাড়ি করে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে গেলো,, ওদিকে আর্দ্রর এমন অবস্থা দেখে ইয়ানা তো হাসতে হাসতে শেষ , খুব তো অফিসে বলেছিলো ওনার নাকি কোনো মেয়ের উপর ইন্টারেস্ট নেই কত্ত বিশ্বাস নিজের উপর এখন কি হলো, দিয়েছি মাথা খারাপ করে এখন দেখি মিস্টার আর্দ্র আপনি কি করেন। আজকে যদি আপনার ইজ্জত হরণ না করি তবে আমার নামও ইয়ানা নয়।

ওদিকে আর্দ্র দরজার সাথে হেলান দিয়ে বুকের বাঁ পাশে হাত রেখে জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে বলল, এটা কি দেখলাম আমি এ তো দেখি পুরাই আগুন সুন্দরী, এই জন্যই হয়ত বলে ঘরের বউ এর সাথে কোনো পাঙ্গা নিতে হয় না নয়ত অকালে ফেঁসে যেতে হয়,, না না আর্দ্র এভাবে হেরে গেলে চলবে না ফোকাস, ফোকাস নিজেকে কন্ট্রোল কর তুই দেখিয়ে দে যে তুই ও আর্দ্র চৌধুরী এভাবে কোনো মেয়েকে দেখে গলে গেলে চলবে না, কিন্তু আসলেই ইয়ানাকে সেই লাগতেছিলো, আর্দ্রর ভাবনার মাঝেই ইয়ানা ওকে ডাকলো,, শুনুন না যলদি আসুন আমিতো অপেক্ষা করছি না কি।

আবার ডাকতেছে কারে, সুন্দরী বউ এর এই রূপে দেখলে আমি কেনো বড় বড় মহা পুরুষ রাও গলে যাবে,, নিজেকে অনেক ভাবে বুঝিয়ে আর্দ্র চোখে মুখে পানি পানি দিয়ে নিজেকে শক্ত করে গম্ভীর মুখ করে বাইরে বেরোলো,, কিন্তু ইয়ানাকে আবার এই রূপে দেখে ও ভিতরে ভিতরে আইসক্রিম এর মতো গলে গলে পড়ছে, ইয়ানা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কিছু একটা করেছে যার দরুন ওর ফর্সা খোলা পিঠটা দেখা যাচ্ছে, আর্দ্র যেনো একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছে আলতো পায়ে ইয়ানার কাছে গেলো পিছন থেকে একদম ইয়ানার গায়ের সাথে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে নিজের মুখটা ইয়ানার ঘাড়ের কাছে নিয়ে জোরে একটা শ্বাস নিলো,, কি সুন্দর একটা ঘ্রাণ, আর্দ্রর ঠোঁট টা যখনি ইয়ানা পিঠে লাগবে লাগবে ভাব তখনি ফট করে ইয়ানা ঘুরে গেলো ওমনি আর্দ্র সটান করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো যেনো স্কুলের পিটিতে দাঁড়িয়েছে একটু নড়লেই স্যার মারবে।

একি আপনি এখানে কি করছেন?? আর আমার এতো কাছে এসেছেন কেনো? কি চাই।
ক,,কই কিছুতো না আমি আসলে দেখছিলাম তুমি কি পারফিউম লাগিয়েছো আসলে স্মেইল টা অনেক সুন্দর , কোন ব্রান্ড??
হ্যাঁ??
ব,,বলছি কোন ব্রান্ড, নাম কি??
হুম কোন ব্রান্ড, আসলে কি বলুন তো আমি কোনো পারফিউম লাগায়ইনি তাহলে আপনি স্মেইল পেলেন কীভাবে??
এইরে ধরা পড়ে গেলাম নাকি,, না আসোলে আমি সুন্দর একটা স্মেইল পেলাম তো তাই ভেবেছি তুমি হয়ত কোনো পারফিউম লাগিয়েছো,, কন্ট্রোল আর্দ্র কন্ট্রোল।

একি আপনি এমন ভাবে ঘামছেন কেনো? আর কি সব বিরবির করছেন, এসিটা কি একটু বারিয়ে দেবো??
এখন আমি যেটা করবো তার জন্য আমার কিন্তু কোনো দোষ নেই সব দোষ তোমার আমি কিছু জানি না।
মানে আপনি কি,,,, ইয়ানা আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই আর্দ্র ইয়ানার খোলা কমরে ওর হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো তারপর ইয়ানার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলো,,

মানে আপনি কি,,,, ইয়ানা আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই আর্দ্র ইয়ানার খোলা কমরে ওর হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো তারপর ইয়ানার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলো,,প্রায় অনেক সময় পর আর্দ্র ইয়ানার ঠোঁট ছেড়ে কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে নেশা ভরা কন্ঠে বলল,, এর পর থেকে এই রূপে আমার সামনে আসার আগে ভেবে চিন্তে আসবে কেননা প্রতিবার তো আর তোমায় ছেড়ে দেবো না,, ইয়ানা কিছু বলতে পরছে না চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে একটু আগে কি হলো ওর মাথায় ঢুকছে না, ও ভাবতেও পারেনি যে আর্দ্র এমনটা করবে তখনি ওর কিছু একটা মনে হতে আর্দ্রর কাছ থেকে সরে এসে হাতের তালু দিয়ে ঠোঁট টা মুছে বলল,,

অফিসে কে যেনো বলেছিলো যে তার নাকি কোনো মেয়ের প্রতি ইন্টারেস্ট নেই আবার সে নাকি কোনো মেয়েকে পাত্তা দেয় না তার নিজের উপর তার অগাত বিশ্বাস আছে, তাহলে এখন এটা কি হলো??
আর্দ্র নিজেকে ঠিক করে বলল,, হ্যাঁ তো? আমি এখনো বলছি আমার কোনো মেয়ের প্রতি ইন্টারেস্ট নেই এখন যা কিছু হলো সব কিছুর জন্য তুমি দায়ি,, এই রকম হট লুকে যদি আমি আসতাম তাহলে তুমি ও আমার মতো ভুল করে ফেলতে ওকে।
কিহ? আপনি কেনো এসব পড়তে যাবেন আর আপনাকে এই শাড়ি পড়লে ভালোই লাগবে তবে ব্লাউজ টা হবে না আপনার যে বডি বাইনা দিয়ে ব্লাউজ বানানো লাগবে।

হোয়াট আমি কেনো এসব পড়তে যাবো, আর ইউ লস্ট ইউর মাইন্ড??
বারে আপনিই তো এখনি বললেন যে আপনিও যদি এই লুকে আসেন তো আমিও এমন ভুল করে বসবো, তাই জন্যই তো বললাম, তবে আপনি শাড়িটা নিতে পারেন ব্লাউজ টা হবে না।
আরে আমি তো,,ওকে বাদ দাও তোমার ওই মোটা মাথায় আমার কথা ঢুকবে না, এই জন্যই তো আমি তোমায় ইডিয়ট বলি৷ হোয়াট এভার আমি নিচে যাচ্ছি তোমারও যদি ক্ষিদে পাই তাহলে আসতে পারো, আর হ্যাঁ এই ড্রেসে বেশিক্ষণ থেকো না তাহলে কিন্তু আমি ভুলে যাবো যে তুমি অসুস্থ,,,মজা করে কথাটা বলে বাঁকা হেসে আর্দ্র বেরিয়ে গেলো।

আর্দ্র কি বলেছে সেটা বোধগম্য হতেই ইয়ানা চোখ মুখ কুঁচকে বলল,, ছিঃছিঃ কি সব বলে গেলো লোকটা লজ্জা সরম সব ব্যাংকে রেখে আসছে নাকি,,তারপর ইয়ানাও ড্রেস চেঞ্জ করে নরমাল একটা শাড়ি পড়ে নিচে গেলো দেখল অলরেডি সবাই টেবিলে বসে গেছে তবে অন্তরা আপু নেই ওনি ওনার রুমেই আছে এই অবস্থায় বেশি উপর নীচ না করাই ভালো ,,, আজকে বিকেলেই আকাশ ভাইয়া এসেছে ওনিও ডাইনিং টেবিলেই বসে আছে পরশের পাশের চেয়ারে,, আমাকে দেখেই ওনি বলল,, আরে পরশের কিউটিপাই আর আমার সুইট ভাবি ভালো আছেন??

জি ভাইয়া,, আর আপনি আমায় অনিক ভাইয়ার মতো তুমি করেই বলতে পারেন কেননা আমি আপনার ছোট।
ওকে, এখন তাহলে তুমিও বসে পড়ো,, আর্দ্রর মা আর বাবা আগেই খেয়ে উপরে ওনাদের রুমে চলে গেছে বর্তমানে টেবিলে পরশ অনিক আর্দ্র ইয়ানা আর আকাশ আছে সবাই খাওয়াই ব্যাস্ত তখনি পরশ ফট করে বলল,, আরে চাচ্চু তুমি ঠোঁটে লাল লাল ওটা কি নিয়েছো?? এটা তো আমাদের স্কুলের মিসরা নেয় তুমি ও ওদের কাছ থেকে এনে নিয়েছো??

পরশের কথায় সবাই খাওয়া ছেড়ে আর্দ্রর দিকে তাকালো দেখলো সত্যি আর্দ্রর ঠোঁটে লিপস্টিক লেগে আছে এতোক্ষণ কেউ খেয়াল করেনি, ইয়ানা তো একবার তাকিয়ে আর তাকায়নি ওর লজ্জায় জান যায় যায় অবস্থা এখন সবাই কি ভাববে। অনিক আর্দ্র কে একটা গুঁতা দিয়ে বলল,, বলো না চাচ্চু তোমার ঠোঁটে মেয়েদের লিপস্টিক কেনো,কেউ কি তোমায় কিসিমিসি দিয়েছে নাকি,? কি বলো আকাশ, অনিক চোখ মেরে বলল।
হ্যাঁ হ্যাঁ বলো আর্দ্র ভাইয়া তোমার ঠোঁটে লিপস্টিক কেনো? আজকাল কি তুমিও ইয়ানার থেকে লিপস্টিক শেয়ার করো হুমম বলো বলো।

আর্দ্র তো পড়ে গেছে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে তবুও মুখে রাগ এনে বলল, খাওয়ার সময় এতো কথা কিসের হুমম, আর কি কখন থেকে লিপস্টিক লিপস্টিক করছিস সবাই, কেনো ভাইয়া তোর বউ নেই তুই বুঝি তোর বউকে কিসিমিসি করিস না। আর বাচ্চার সামনে এসব কি ধরনের মজা।
পাপ্পা কিসিমিসি কি??

এই রে হয়ে গেলো, কিছু না আব্বা, তোমার তো খাওয়া শেষ তুমি যাও দাদুর কাছে যাও, এখানে থেকে আমার ইজ্জত এর বারোটা বাজাও না আমি তো ভুলেই গিছিলাম তোমার চাচ্চু একটা জিনিস আর তুমিও সেই লেভেলেরই।
ইয়ানা তো লজ্জায় মরি মরি অবস্থা এখানে দেখছি কারো কোনো লজ্জা নেই ছোট বাচ্চার সামনে কি সব কথা বলছে এদের সাথে আমার আর খাওয়া হবে না, তাই কোনো রকমে বললাম৷ আ,আামার খাওয়া শেষ, ভাইয়া আমি পরশকে নিয়ে যাচ্ছি এসো চাম্প।
তোমরাও না খাওয়ার সময় শুধু কথা বলো তোমাদের জন্য মাঝখান থেকে পরশের কিউটিপাই আর আমার সুইট ভাবির খাওয়াই হলো না,, তা আর্দ্র ভাইয়া কিসিমিসি কি গো??

আকাশের কথায় আর্দ্র আকাশের দিকে এমন ভাবে তাকালো যে আকাশ এর গলা শুকিয়ে কাট হয়ে গেছে,, না থাক আমি না হয় বিয়ের পরই বউ এর থেকে শুনে নিবো কিসিমিসি কি, দুলাভাই না মানে অনিক ভাইয়া ডালের বাটিটা দাও তো ডাল খাবো হে হে হে।

ওফ ওনারদের জন্য তখন ভালো করে খেতেই পারিনি এখন আবার পেটের মধ্যে গুড়গুড় করছে যেনো খিদের চোটে ইঁদুর গুলো সব যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে,, ইয়ানার ভাবনার মাঝেই আর্দ্র প্লেটে করে খাবার নিয়ে রুমে আসলো,, এই যে মিসেস ইডিয়ট খাবারটা খেয়ে নিন তখন তো লজ্জায় লাল নীল গোলাপি হয়ে না খেয়েই চলে আসলেন।
খাবারটা দিলেই তো হয় সাথে এতো কথা বলার কি দরকার বুঝিনা,, আমি খাবো না।
সত্যি তো??
হুম।

ওকে তাহলে আমি খাবারটা নিচে রেখে আসি তুমি শুয়ে পড়ো ওকে, এই বলে আর্দ্র বেরিয়ে যেতে গেলো,, কি খারাপ লোক একবার বললাম আর ওমনি নিয়ে যাচ্ছে আর দু একবার জিগাস করলে কি হতো, মনে মনে বলল ইয়ানা।
শুনুন কাউকে একবার কিছু জিগাস করলে কুকুর কাঁমড়ায় আপনি আমায় আবার জিগাস করেন যে আমি খাবো কি না তাহলে আপনাকে আর কুকুর কাঁমড়াবে না। ইয়ানার কথায় আর্দ্র নিজের বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে কপাল চুলকে বাঁকা হেসে বিরবির করে বলল ড্রামা কুইন,, । তো মিসেস ইয়ানা আপনি কি খাবারটা খাবেন নাকি আমি রেখে আসবো।
ওকে আপনি যখন এতোবার করে বলছেন তখন খাওয়াই যায় আমি আবার কারো কথা ফেলতে পারি না, দেন প্লেটটা, আর আমি কিন্তু নিজে থেকে খাচ্ছি না আপনি এতোবার করে বললেন তাই খাচ্ছি ওকে।
হুম সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি আমি তো আর অন্ধ নই।

সকালে,,,,
আকাশ সকাল সকাল বেরিয়ে যাচ্ছে কেননা ওর আবার ভার্সিটিতে কাজ আছে যদিও আজকে শুক্রবার ভেবেছিলো আজকের দিনটা মজা করে এবাড়িতে সবার সাথে কাটাবে কিন্তু তা আর হলো না ফোন আাসায় এখন বেরিয়ে যাচ্ছে ,, তাই অন্তরা কে বলে চলে যাচ্ছে, রাতেই অবশ্য সবাইকে বলছি যে সকালে চলে যাবে। ,, আজকে বন্ধের দিন বিধায় কেউ এখনো উঠেনি শুধু আর্দ্র উঠে জগিং এ গেছে আর ইয়ানা রান্নাঘরে, তখনি কলিং বেল বেজে উঠল,,, সুইট ভাবি তোমায় কষ্ট করে আসতে হবে না আমিই খুলে দিচ্ছি, আকাশ দরজা খুলে দেখলো রোজা দাঁড়িয়ে আছে রোজাকে ভালো করে চেনে না শুধু আর্দ্র আর ইয়ানার বিয়ের দিন দেখেছিলো তাও ভাল মনে নেই।

বাবা আজকাল দেখি দিনের বেলায় ও চাঁদ উঠে,, সকাল সকাল চাঁদ মুখ দেখলাম আজকে সারাদিন মনে হয় খুব ভালো যাবে।
আকাশের কথায় রোজা ভেবাচেকা খেয়ে গেলো, চেনা নাই জানা নাই হঠাৎ করে যদি কোনো অচেনা ছেলে এভাবে বলে তাহলে অবাক হওয়ারি কথা তবুও রোজা কোনো রকমে ভাঙ্গা ভাঙ্গা সরে বলল,, ব,বলছি যে ব,,বাসা
বাসা খুঁজছেন আপনি?? এতো সকালে কেউ বাসা খুঁজতে আসে নাকি, আর এখানে আসার সময় দেখেননি গেটে বড় বড় অক্ষরে নাম লিখা আছে , এটা একটা বাড়ি এখানে বাসা পাবেন না।
কিন্তু,,,,

কি কিন্তু কিন্তু করছেন বলছি তো এখানে কেউ বাসা ভাড়া দেয় না তবে আপনি চাইলে আমি আপনাকে সাহায্য করতেই পারি।
রোজা পড়েছে বিপদে এমনিতেই একটা ঝামেলা হয়ে গেছে তার জন্য ইয়ানার কাছে এসেছে তারমধ্য এই লোকটা সেই কখন থেকে পাগলের মতো বকবক করেই যাচ্ছে কি যে করি,,, আকাশের কারো সাথে কথা বলা দেখে ইয়ানা রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে এসো দরজার দিকে গেলো একি রোজা তুই এখানে??

ইয়ানা অবশেষে তোকে পেলাম এই তারছেঁড়া লোকটার জন্য তো আমি ভিতরেই ঢুকতে পারছিলাম না।
কিহ? আমি তারছেঁড়া? সুইট ভাবি এটা কে হুম এতো বড় সাহস আমাকে বলে আমি নাকি পাগল, এতো বড় সত্যি কথা ওনি জানলো কীভাবে,, না মানে ওনি কে?? হে হে।
আকাশ ভাইয়া ওর কথা আপনার হয়ত মনে নেই ও হলো আমার বান্ধবী রোজা,, তা রোজা তুই হঠাৎ এখানে তাও আবার এতো সকালে সব ঠিক আছে তো?? আম্মু কেমন আছে? আম্মুর কিছু হয়নি তো??

না না তেমন কিছু না তুই এতো উত্তেজিত হস না আন্টি ভালো আছে, আসলে আমি না বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি।
কিহ কিন্তু কেনো? আচ্ছা তুই আগে ভিতরে আয় তারপর সব কিছু শুনবো।
ইয়ানার রুমে বিছানার উপর মাথা নিচু করো বসে আছে রোজা, আকাশ তখনি চলে গেছে ওর কাজ আছে তাই আর দেরি করেনি, ইয়ানার রোজার মাথায় হাত দিয়ে চুলে বিলি কাটতে কাটতে বলল, আচ্ছা এখন তো বল কী হয়েছে?? দেখ তুই না বললে আমি জানবো কীভাবে, বল আমায় কি হয়েছে, আর বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিস কেনো আন্টি আংকেল কিছু বলেছে??

ইয়ানা তুই তো জানিস আমি এখনি বিয়ে করতে চাইনা, তোর মনে নেই আমরা কি বলতাম , বলতাম যে আগের নিজের পায়ে দাঁড়াবো তারপর বিয়ে করবো,, কিন্তু বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে তাও আবার এমন লোকের সাথে যার কিনা বয়স অনেক,, আচ্ছা বয়স হলে সম্যসা ছিলো না কিন্তু ওনি বলেছেন যে বিয়ের পর নাকি মেয়েদের বাড়ি থেকে বেরোনো নিষেধ আর চাকরি তো করাই যাবে না, আমি তবুও ওনাকে বুঝাতে গিছিলাম কিন্তু ওনি আমার গায়ে হাত তুলেছে বলেছে মেয়েদের বেশি কথা বলতে হয় না সব সময় পায়ের কাছে থাকতে হয়, এটা কেমন কথা বল,,

আমি বাবা মা কে সব কিছু বলেছি কিন্তু ওরা আমার কথা বুঝতেই চাচ্ছে না জানি না ওই লোকটা কি এমন বলেছে যে বাবা তো আজকে রাতেই বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই কোনো রকমে পালিয়ে এসেছি।
বলিস কি লোকটার কত বড় সাহস এভাবে ওনি তোর গায়ে হাত তুলতে পারেননা আর আমি এটা ভেবে অবাক হচ্ছি যে আংকেল এর মতো মানুষ কীভাবে ওই লোকটার সাথে তোর বিয়ে দিতে চাইছে,, আচ্ছা তুই চিন্তা করিস না আমি দেখছি কি করা যায় আগে মিস্টার আর্দ্র আসুক তারপর দেখি ওনি কি বলে, আর এভাবে কাঁদিস না তো ভালো লাগছে না।

ইয়ানাদের কথার মাঝেই আর্দ্র রুমে আসলো গা একদম ঘেমে গেছে রুমে এসে রোজা কে দেখে বলল,, আরে রোজা তুমি এতো সকাল সকাল কি ব্যাপার কোনো সম্যসা??
ওহ আপনি চলে এসেছেন, শুনুন আপনার সাথে আমার কথা আছে একটু এদিকে আসুন।
কি ব্যাপার সকাল সকাল চিপায় যেতে বলছো মতলব কি তোমার বলতো,, কালকের মতো কিছু দেখাবে নাকি,, মজা করে বলল আর্দ্র।
ছিঃ আপনার চিন্তা ভাবনার দেখছি দিন দিন অধঃপতন ঘটছে, আমার খেয়ে দেয়ে কাজ নেই আপনাকে চিপায় ডাকতে যাবো,, ওসব বাদ দেন আসল কথা শুনুন।
হুম বলো,, সিরিয়াস মুখ করে বলল আর্দ্র।

তারপর ইয়ানা আর্দ্র কে রোজার বিষয় টা সবটা খুলে বলল সবটা শুনে আর্দ্র এক হাত কমরে আর অন্য হাতের বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে নিজের থুতনিতে চুলকাতে চুলকাতে বলল,, হুমম আচ্ছা তুমি সরো আমি দেখছি ব্যাপারটা, আর্দ্র রোজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো আর্দ্র কে দেখে রোজা বিছানা থেকে ওঠে দাঁড়ালো৷,, রোজা আমার না কোনো ছোট বোন নেই আমার ছোট বেলা থেকেই খুব ইচ্ছে ছিলো যাতে আমার একটা ছোট্ট বোন থাকে যাকে আমি কাঁধে নিয়ে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াবো তাই আম্মু কে বলছিলাম কিন্তু আম্মুর অপারেশন করা ছিলো তাই আমার সেই আশাটা পূরণ হলো না, কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে আল্লাহ তোমার মাধ্যমে আমার সেই আশাটা পূরণ করেছে, তুমি চাইলে এখানেই আমার ছোট বোন হয়ে থাকতে পারো আর আমিও চাই যাতে তুমি পড়াশুনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াও,, আর তুমি আর ইয়ানা তো একি সাথে পড়তে তারমানে ইয়ানার মতো তোমারও অর্নাস শেষ, কালকে তোমার সব সার্টিফিকেট সহ সব দরকারি কাগজ পএ নিয়ে ইয়ানার সাথে অফিসে এসো কাল তোমার ইন্টারভিউ আছে।

আর্দ্রর কথা শুনে ইয়ানা তো হা করে আর্দ্রর দিকে তাকিয়ে আছে, এই গম্ভীর লোকটাও এতো সুন্দর করে কথা বলতে পারে ওর জানাই ছিলো না ,, রোজা আর্দ্রর দিকে তাকিয়ে ভাইয়া বলে কেঁদে ফেলল আর্দ্র আলতো করে রোজার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,, আরে আমার মিষ্টি বোনটি এভাবে কান্না করে না,, ইয়ানা ওকে আমাদের গেস্ট রুমটা দেখিয়ে দাও আজ থেকে আমার বোন আমাদের সাথেই থাকবে, আচ্ছা আমি তাহলে ফ্রেশ হয়ে আসছি, আর এই যে ম্যাম মুখটা বন্ধ করুন নয়ত মশা মাছিসহ বাকি সব পোকা মাঁকর তোমার মুখের মধ্যে চলে যাবে, আর আমি অনেক ভালো বর বলো বউকে মারি না কিন্তু আদরও করতে পারছি না,, কথাগুলো বলে বাঁকা হেসে ওয়াশরুমে চলে গেলো,, এদিকে আর্দ্রর কথা শুনে ইয়ানা তো অবাক এর উপর অবাক হচ্ছে হঠাৎ করে ওনি এতো ভালো হয়ে গেলো কীভাবে।

দুপুরের দিকে সবাই ডয়িং বসে গল্প করছে রোজাও আছে, সবাই ওকে ভালোবেসে ওখানে থাকতে বলেছে রোজাও ইয়ানার মতে অন্তরাকে আপু বলে ডাকে বাড়ির সবাই রোজাকে পছন্দ করে,, ইয়ানা কেবলি গোসল সেরে টাওয়াল গায়ে দিয়ে রুমে আসলো নিজের জামা কাপড় সহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে আর্দ্র এখন রুমে নেই তাই নিচিন্তে রুমে আসল, রুমের দরজা টাও ভিড়ানো আছে, রুমে এসেই ইয়ানার টাওয়াল এর গিট্টিটা ঢিলা হয়ে গেলো তাই টাওয়াল টা খুলে আবার সুন্দর মতো পড়ে নিলো তারপর বিছানা থেকে কাপড় সহ সবকিছু হাতে নিয়ে কেবলি আবার ওয়াশরুমে যাবে তখনি পিছন ঘুরে দেখল আর্দ্র হা করে চোখ দুটো বড় বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,, আর্দ্র কে দেখে ইয়ানা একবার নিজের দিকে তাকালো তারপর আর্দ্রর দিকে তাকালো একটু আগের করা কাজটা মনে করেই ইয়ানা জোরে সরে একটা চিৎকার দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।

ইয়ানার চিৎকারে আর্দ্রর হুশ ফিরল নিজের হাত দিয়ে দু কান চেপে ধরে একটু আগের ঘটনা মনে করে বাঁকা হাসল,,, ইয়ানা তড়িঘড়ি করে সব কিছু পড়ে এসে রাগে রাগে সোজা আর্দ্রর দিকে গেলো তারপর ওর সামনে দাঁড়িয়ে বলল,, এই খারাপ লোক একটা কারো রুমে আসতে গেলে নক করে আসতে হয় জানেন না??
আরে কুল কুল এতো রেগে যাচ্ছো কেনো? আর অন্য কোনো লোকতো আর দাখেনি তোমার নিজের বর ই তো সবকিছু দেখেছে,, তবে যাই বলো কাপড় পরেও তোমাকে হেব্বি লাগে আর আজকে তো কাপড় ছাড়া একদম,,,,,

ছিঃ মুখের কি ভাষা আমি আপানার নামে পুলিশে কমপ্লেন করব,, আর্দ্রর মুখ চেপে বলল।
তা পুলিশের কাছে গিয়ে কি বলবে হুম? বলবে যে তোমার বর তোমার সব কিছু দেখে ফেলেছে, তোমার কথা শুনে পুলিশ তোমায় সোজা গারদে নয় একেবারে পাগলা গারদে পাঠিয়ে দেবে,,, ইয়ানার হাত মুখ থেকে সরিয়ে বলল।
আপনাকে তো আমি,,,,
কি করবে আবার সবকিছু দেখাবে নাকি?? আমি কিন্তু অলওয়েজ রেডি।
ইয়ানা আর কিছু না বলে রেগে মেগে ওখান থেকে নিচে চলে গেলো তারপর রাগে রাগে গিয়ে রোজার পাশে গিয়ে সটান করে বসে পড়ল।, কিরে কি হয়েছে এমন রেগে আছিস কেনো কি হয়েছে??
আরে ওনার কত বড় সাহস ওনি আজকে আমার,,, ইস কি বলছিলাম আমি রোজাকে ইয়ানা তোর কি রাগে সব বুদ্ধি লোপ পেয়েছে নাকি।

কি হলো চুপ করে গেলি কেনো আর্দ্র ভাইয়া কি করেছে??
কিছু না,,, তখনি আর্দ্র এসে ইয়ানার মুখোমুখি সোফায় গিয়ে বসল আর ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বাঁকা একটা হাসি দিলো তারপর টি টেবিল থেকে কফি হাতে নিয়ে ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বলল,, উফফ অনেক হট।
কিহ??,, (অনিক)
আব,,আরে কফিটা অনেক হট মানে গরম।
ওহ তাই বল,,ইয়ানা রাগি চোখে আর্দ্রর দিকে তাকালো,, আচ্ছা ইয়ানা তুই একটু বস আমি ওয়াশরুম থেকে আসছি এই বলে রোজা ওঠে উপরে চলে গেলো রোজার পিছু পিছু আকাশও উঠে চলে গেলো আকাশ একটু আগেই এসেছে।
এই যে মিস আপনার কাছে ভালোবাসা আছে??
কিহ??

আরে আমি জিগাস করছি আপনার কাছে ভালো বাসা আছে?? মানে আমার এক বন্ধু ভালো বাসার খোঁজ করছিলো তাই জিগাস করলাম আর কি।
আপনার কি আমাকে দেখে মন হচ্ছে যে আমি বাসা খুঁজে দিই,, রেগে বলল রোজা।
আরে রাগ করছেন কেনো এতো রাগ করলে শরীল খারাপ করবে।
সেটা আপনাকে বুঝতে হবে না,, এই বলে রোজা চলে গেলো,,, ইস একেবারে ধানি লংকা।

আমার গল্পে তুমি পর্ব ৩১+৩২+৩৩