আমার মেয়ে পর্ব ৪ || Khadija Akter

আমার মেয়ে পর্ব ৪
Khadija Akter

রাশেলের মুখের ভ্যাবাচ্যাকা ভাব দেখে মনে হচ্ছে,আমি তাকে এই মুহুর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কোনো প্রশ্ন করে ফেলেছি!
আমি রাশেলের মুখের পানে চেয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি তার উত্তর শোনার জন্য..।
–আসলে মা চাইছে না আমাদের বাচ্চাটা।
–আম্মা চাইছে না সেটা তো আমিও জানি।আমি তো তোমার মতামত জানতে চেয়েছি রাশেল?তোমার নিজস্ব রায় কি এই বাচ্চার ব্যাপারে?

–……………..
রাশেল অন্যদিক চেয়ে চুপ করে রইলো।আমি বেশ জোরেসোরে ঝাঁকি দিলাম তার হাতটা ধরে।
–কি হলো চুপ কেন?বলো?
–আম্মা যা বলবে আমারও সেটাই মতামত।
রাগে আমি এবার ওর হাতটা ছেড়ে দিলাম।শরীরটা জ্বলছে খুব।এতোবড় একজন লোক,বিয়ে করে ফেলেছে,২দিন পর বাচ্চার বাবা হবে সে কেনো এখনো মায়ের এমন ন্যাওটা হয়ে থাকবে। মাভক্তিরও তো একটা লিমিট থাকা দরকার।আমি দাঁত কিড়মিড়িয়ে বললাম,

–তাই বলে মা অন্যায় কিছু করতে বললে তুমিও তাতে সায় দিবে!মানে তোমরা ভাইয়েরা ভাইয়েরা এমন কেনো বলোতো?কেউ কোনো উচিত কথা বলতে পারো না কেন?
তোমার ভাইদের কথা নাহয় বাদই দিলাম,তারা পড়ালেখা করার সুযোগ পায়নি সারাজীবন ক্ষেত খামার নিয়েই পড়ে ছিল।তাই ,ভালোমন্দ বিচার করার ক্ষমতা হয়তো একটু কমই তাদের।
কিন্তু তুমি?তুমি তো যথেষ্ট শিক্ষিত,বুঝদার,ভালো ব্যাবসাও করো।ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায় বিচার করার ক্ষমতা আল্লাহ তোমায় দিয়েছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এখন তোমার আর তোমার ভাইদের মধ্যে তো কোনো তফাৎ রইলো না দেখছি।মুখ ফুটে একটা কথাও বলতে পারো না মায়ের সামনে,তোমাদের যত পুরুষত্ব সব স্ত্রীর সামনেই তাইনা?
–চুপ একদম চুপ।
আমার মা আমাদের ৫ ভাইকে খুব কষ্টে বড় করেছেন খেয়ে না খেয়ে।একা হাতে এতগুলো সন্তানকে মানুষ করার কষ্ট তুমি কি বুঝবা?বাবা থেকেও না থাকার মতো ছিলেন তখন।আর জীবনের একটা পর্যায়ে এসে তো বাবাও একদম বাচ্চার চেয়েও অবুঝের মতো হয়ে গিয়েছিলেন।
মা’র উপরে ছিল একদিকে মানসিক অন্যদিকে সামাজিক চাপ। তার উপর ছিল আর্থিক দুরাবস্থা।
আমি তখন খুব বড় না হলেও এতোটাও ছোট ছিলাম না যে মায়ের কষ্ট ভুলে যাব।সে কি দিন গেছে আমাদের কি বলবো আর তোমাকে রাকা!

শাকিলা আপার মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামী,৫ সন্তান ও ১ বউ নিয়ে আমার মা তখন কিভাবে কত কষ্ট কতে দিন গুজরান করেছিল তা আমার এখানে স্পষ্ট মনে আছে।
–ওয়েট,ওয়েট কার মৃত্যুর পর বললে?শাকিলা আপা?
শাকিলা আপাটা কে?আর কিভাবে মারা গেছে?আগে তো কারো মুখ থেকে এই নাম শুনিনি।
রাশেল আনমনে কথাগুলো বলে যাচ্ছিল,কথার মাঝখানে আমি কথা বলে উঠায় সে যেন এতোক্ষণে বাস্তবে ফিরে এলো।সচকিত হয়ে বললো,

–না,না কেউ না।এমনি মুখ ফসকে চলে এসেছে।
সাবধান এই নাম যেনো তুমি অন্য কারো সামনে উচ্চারণ করো না আবার।
আমার সামনে থাকলে রাশেলকে আরও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো।তাই হয়তো সে তড়িঘড়ি করে উঠে বাহিরে চলে গেল।
শাকিলা আপা কে?আমি উনার ব্যাপারে জানি না কেন!
আর রাশেল এই ব্যাপারে কিছু বলতেও বা চাইলো না কেনো?সে অন্য কাউকে এই ব্যাপারে বলতেও নিষেধ করলো!লুকানোর কি আছে এখানে?
মানুষ মাত্রই কৌতূহলী।
আমার কৌতূহলও উত্তরোত্তর বেড়েই চললো শাকিলা আপা সম্পর্কে জানার।
আর কৌতূহল দমন করতে না পেরে দুপুরের দিকে সেজো জা’কে একা পেয়ে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম,’কে এই শাকিলা আপা।”

সেজো জা’য়ের ভাবভঙ্গি দেখে মনে হলো,সেও কিছুই জানে না।আমার মুখ থেকেই প্রথম শুনলো এই নাম।
আমি সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা হতাশ হলেও পরক্ষণেই চিন্তা করলাম,আমার বড় জা তো এই সংসারে সবার প্রথমে পদার্পণ করেছেন।যদি কিছু বলতে পারেন তবে শুধু সেই বলতে পারবেন।
দুপুরে মেঝেতে পাটি বিছিয়ে সবাই যখন খেতে বসেছি,খাওয়ার সময়েও শাশুড়ী সেই একই কথা তুললেন আবার,

–ছোড বউমা,তোমার সিদ্ধান্ত কি তাহলে?
–কোন ব্যাপারে আম্মা?
–ন্যাকামি করো না।কোন ব্যাপারে বলছি তা তুমি বেশ ভালা কইরাই জানো।
–আম্মা,এক কথা আর কতবার বলবো?আমি তো আমার মতামত জানিয়েই দিয়েছি।না আমি আমার এই অনাগত বাচ্চাটার কোনো ক্ষতি করতে দিব কাউকে আর না আমি বাচ্চাটাকে জন্ম দিয়ে তারপর অন্য কারো হাতে তুলে দিব।
–আমি জানতাম,জানতাম যে এই মাইয়াডা চ্যাটাং চ্যাটাং মুখের উপরে উত্তর দিয়া দিব।আমি আর কারো লাইগা ভাবতে যামু না।সামনে আমি যা করমু তা শুধু চাইয়া চাইয়া দেখবি তুই মাইয়া।বহুত চেষ্টা করছি তোরে কথা শোনানোর কিন্তু তুই তো ২পাতা বই পইড়া সাপের পা দেইখা ফেলছোস।আমার কোনো কথাই শুনতাছোস না।তাইলে আমারও আর কিছু করার রইলো না।তোর কপালে দুর্দিন আসতাছে ছোড বউ এই বইলা রাখলাম।
শাশুড়ী আর ছোট বউমার কথোপকথনের দমকে দো-চালা খাবারের ঘরে সবারআঝে তখন পিনপতন নীরবতা নেমে এসেছে।কারো মুখে কোনো টু শব্দটি পর্যন্ত নেই।যে যার মতো করে চুপচাপ খেয়ে উঠে গেল।

বিকালে বড় জা’কে কাজের ছলে সবার কাছ থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে আনলাম।
তারপর কোনোরকম ভনিতা না করে জিজ্ঞেস করলাম শাকিলা আপার ব্যাপারে,উনি কে;আর আমাদের ফ্যামিলির সাথে কি সম্পর্ক?
বড় জা আমার মুখ থেকে শাকিলা নামটা শুনে বেশ আঁতকে উঠলো।নিজেই নিজের ঠোঁটে আঙুল চেঁপে ধরে ইশারায় আমাকে চুপ করতে বললেন।তারপর আমার হাত ধরে আমাকে টানতে টানতে নিয়ে গেলেন নিজের ঘরে।
তারপর দরজাটায় ছিটকিনি তুলে দিয়ে শঙ্কিত হয়ে প্রশ্ন করলেন,
–শাকিলার নাম কার কাছ থেইকা শুনছো গো রাকা?আইচ্ছা বাদ দেও,যার কাছ থেইকাই শুইনা থাকো,ভুইলা যাও।আমার কাছে কইছো তো কইছো তয় সাবধান দ্বিতীয় বার আর এই নাম লইয়ো না এই বাড়িত্তে।
–কিন্তু কেন ভাবী?আপনার দেবরও কিছু বলতে চাইলো না।আপনিও এরকম করছেন।কিছু তো একটা আছেই রহস্য।প্লিজ ভাবী পুরোটা না বললেও একটু তো বলেন।

অনেক না, না করার পর ভাবী একসময় রাজী হলেন বলতে কিন্তু শর্ত দিয়ে দিলেন,আজকের পর আর যেনো এই কথা না উঠাই কখনো।আমি রাজী হলাম।বড় ভাবী ফিসফিস করে বলতে শুরু করলেন,
–“আমাগো শাশুড়ীর কেনো মেয়ে বাচ্চাগো প্রতি এতো আক্রোশ জানোনি?তুমি ভাইবো না শুধু তোমার মেয়ে বাচ্চা নিয়াই আমাগো শাশুড়ীর এতো সমিস্যা।
মেয়ে সন্তান পেডে আসছিল বইলা আমার নিজেরও কিন্তু দুই দুইবার পেট ফালাইছে আমার শাশুড়ী নিজে।মেজো,সেজোরও বাচ্চা নষ্ট করাইছে কয়েকবার।
শুনো তাইলে এর আসল কাহিনী। শাকিলা ছিল আমার শাশুড়ীর একমাত্র মাইয়া।
তোমার বড় ভাসুরের জন্মের ৫ বছর পর শাকিলার জন্ম হয়।শাকিলা পরে পরপর ৪টা ছেলে সন্তান হয় উনার।একমাত্র মেয়ে হওয়ার কারণে স্বাভাবিক কারনেই আমার শ্বশুর-শাশুড়ী শাকিলাকে অনেক ভালোবাসতো।বিশেষ করে আমার শ্বশুরের চোখের মনি ছিল এই শাকিলা।

সেইসময় তাদের অবস্থা এহনকার মতো এতো ভালা ছিল না।খেয়ে পইরা কোনো রকমে দিন কাটতো বলা চলে।
আজ থেইকা ২১ বছর আগে,
যে বছর আমারে বিয়া কইরা এই সংসারে আনলো তোমার বড় ভাসুর,সেই বছর শাকিলা সবে ১৪তে পা রাখছে।ভালো-মন্দ বুঝবার বয়স তখনও অর হয় নাই।
ঠিক এই বয়সটাতেই শাকিলা একটা ভুল কইরা বসলো।
সে কি করলো জানো?
উত্তরবঙ্গ থেইকা পাশের এলাকায় কাজ করতে আসা একজন রাজমিস্ত্রী পোলার লগে প্রেম-পিরিতী কইরা পেড বাঁধায় ফেললো।এই খবর আমরা কেউই জানতাম না।এদিকে বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ করার পর ঐ রাজমিস্ত্রী পোলা শাকিলাকে কিছু না জানাইয়াই চইল্লা গেছিল।ঐ পোলার ঠিকানাওম,পরিচয় কিছুই জানতো না আমাগো শাকিলা।
একদিকে ঐ ছেলের চলে যাওয়া অন্যদিকে নিজের শরীরে কেমন কেমন পরিবর্তনে,শাকিলা প্রথমে অনেক ভয় পাইয়া মনমরা হইয়া গেছিল।

কিছুদিন পরে ঘনঘন বমি আর শাকিলার শরীরের কিছু পরিবর্তন দেইখা আমার শাশুড়ীর মনে কিছু সন্দেহ হয়।পরে আমার শাশুড়ী ওরে একলা ডাইকা নিয়া জিজ্ঞাসা করতেই,শাকিলা ঝরঝর কইরা কানতে কানতে সব বইলা দেয়।
এটা ব্যাপার নিয়া তখন আমাগো পরিবারে অনেক অনেক হাঙ্গামা হয়।
যাইহোক,নিজেগো মাইয়া ভুল যেহেতু কইরাই ফেলাইছে, মাইরা তো আর ফেলা যাইবো না।সবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,তাড়াতাড়ি এই বাচ্চা নষ্ট করতে হইবো,পাড়াপ্রতিবেশি টের পাওয়ার আগেই।
আর কাজটা যত আগে করা সম্ভব ততই ভালা।মান-সম্মানের ব্যাপার বইলা কথা।
আর সেই সময়ে মেয়েগো ইজ্জতের উপরে সামান্য দাগ লাগলেই,সেইটা নিয়া বিরাট কেলেঙ্কারি শুরু হইয়া যাইতো এলাকায়।সেই পরিবারকে একঘরেও করে দেওয়া হতো কখনো কখনো।
যাইহোক শাকিলা কোনোভাবে জানতে পাইরা গেছিল যে আমরা ওর পেটের বাচ্চাটারে মাইরা ফেলবার চিন্তা-ভাবনা করতাছি।

তারপর সেইদিনই সন্ধ্যাবেলায় অয় সরাসরি আমার শাশুড়ীর কাছে গিয়া কইলো,অয় বাচ্চাটা রাখতে চায়,নষ্ট করতে চায়না।
আমার শাশুড়ী সেদিন শাকিলাকে প্রচন্ড মারধোর করেন আর বলেন,”একে তো একটা কলঙ্ক পেটের মধ্যে লইয়া ঘুরতাছোস আবার কিনা এই পাপকে জন্মও দিতে চাইতাছোস!”আরও অনেক গালিগালাজ করলো আমাত শাশুড়ী শাকিলাকে।
সেদিন রাইতেই শাকিলা ঘর থেকে রাগ করে বেরিয়ে যায়।গিয়ে প্রতিবেশী এক ঘরে আশ্রয় নেয়।সেখানে এক প্রতিবেশীর কাছে এই নির্বোধ মেয়েটি কথায় কথায় সমস্ত ঘটনা খুলে বলে দেয়।এটাও বলে,সে বাচ্চাটি নষ্ট করতে চায় না বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে।
শাকিলার করা প্রথম ভুলটা আমরা হয়তো ধামাচাপা দিয়া দিতে পারতাম যেমনেই হোক।কিন্তু ও দ্বিতীয় যে ভুলটা করলো সেইটার জন্য চরম দুর্দিন চইলা আসলো আমাগো কপালে।
রাইতের মধ্যে আশেপাশে দশগ্রামে রটে যায় অমুক এলাকার অমুকের আবিয়াইত্তা মাইয়া আকাম কইরা পেট বাঁধাই ফেলছে!

সকাল হইতেই ঝাঁকে ঝাঁকে লোক আমাগো উঠানে আইসা হাজির হইতে লাগলো আমাগো মুখের উপরে থুতু ছিটানোর লাইগা।কেউ কেউ লাঠিসোটা নিয়া আইসা ঘরদোর ভাইঙ্গা ফেলতে চাইতাছে এইরকম অবস্থা।
সেদিন বিকালবেলাই শালিস বসলো গ্রামে,এই ঘটনার মীমাংসার লাইগা।হাজার হাজার মানুষ আসলো তামাশা দেখার লাইগা।
আগেই তো তোমারে কইলাম সেইসময় এইসব বিষয় নিয়া খুব কড়াকড়ি আইন ছিল সমাজে।এইরকম ঘটনা ঘটলে সমাজ থেইকা বিতাড়িত হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকতো না।
যাইহোক, সমাজের সবাই শলাপরামর্শ কইরা সিদ্ধান্ত নিল পরের দিন সূর্য উঠার আগেই যেনো আমাদের পরিবারকে এই গ্রাম তো কি আশেপাশের দশ-বিশ গ্রামের ত্রীসিমানায়ও যেনো দেখা না যায়।
আর শাকিলার এই অপরাধের জন্য শাকিলাকে একটা মোটা আমগাছের লগে বাইন্ধা ১০ঘা লাগানো হইলো।
শাকিলার মতো কলঙ্কিনি মাইয়া জন্ম দেবার অপরাধে আমার শ্বশুরকে মাথা ন্যাড়া করে মাথায় আলকাতরা আর মুখে কালি লাগিয়ে সারা গ্রাম ঘুরানো হলো।

আমার মেয়ে পর্ব ৩

সারাজীবন যে মানুষটা সম্মানের সাথে আয়-রোজগার করে সমাজে বাস করে গেল,সেই মানুষটাকেই একসময় এমন অপমানের মুখোমুখি হতে হবে তা হয়তো আমার শ্বশুর স্বপ্নেও ভাবেননি।
তিনি শোকে-দুঃখে,অপমানে একদম পাথর হয়ে গেলেন সেদিন থেকেই।
যদি এইটুকুতেই ঘটনা থেমে যেতো তবুও নাহয় হতো।তারপর তো ঘটলো আরেক কাহিনি ।
নিজের ভুলের জন্য নিজের বাবাকে,পরিবারকে এতো অকথ্য ভাষার গালিগালাজ, এতো অপমান,এতো অপদস্ত হতে দেখে শাকিলা সেই গ্লানি আর নিতে পারলো না।

সেই রাতেই অয় উঠানের কোনে বড় পেঁয়ারা গাছটার সাথে গলায় ফাঁস দেয়!
যা যা নেওয়ার মতো ছিল সব নিয়ে,ব্যাগট্যাগ গুছিয়ে ফজরের আযানের পরপরই আমরা সবাই বেরিয়ে আসি যার‍ যার ঘর থেকে।কই যাব,কই থাকবো, কি খাবো কিছুই জানি না তখন।শুধু এইটুক জানতাম,এইখানে আর আমাগো জায়গা নাই।আমাগো দেশান্তরি হইতে হইবো।
সবাই যার যার মতো বস্তা-বোচকা লইয়া বাহির হইয়া আসলেও শাকিলা আসলো না।আমার শাশুড়ী গজগজ করতে করতে শাকিলা ঘরের দিকে চলে গেল ওরে আনতে।আর এইদিকে আমি বোতলে কইরা পানি নেওয়ার লাইগা কলপাড়ে গেলাম।
কলপাড়ের পেঁয়ারা গাছটায় শাকিলার ঝুলন্ত লাশটি সবার প্রথমে আমিই দেখি!

আমার মেয়ে পর্ব ৫