এই শহর আমার গল্প || Suraiya Aayat || SA Alhaj

এই শহর আমার পর্ব ১
Suraiya Aayat

” ওই যে ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে দেখছিস , ওই ছেলেটা জোশ না,মনে হচ্ছে এক্ষুনি গিয়ে জড়িয়ে ধরি ৷”
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটা মেয়ের মুখ থেকে স্পর্শকে উদ্দেশ্য করে বলা কথাটা যেন মোটেই সহ্য হলো না মুগ্ধতার ৷ এই মূহুর্তে মেয়েটার থেকে স্পর্শর প্রতি রাগটা বেশি হচ্ছে , কি দরকার ছিলো এত সুন্দর দেখতে হওয়ার , তাতে যে মেয়েগুলো ওর দিকে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে থাকে তা কি স্পর্শ বোঝেনা ৷ কিন্তু মেয়েটা হয়তো জানে না যে স্পর্শ নামক মনুষটার কেবল ওর আর তার ওপর সমস্ত অধিকার ও কেবল মুগ্ধতার ৷

মেয়েটাকে পাশ কাটিয়ে ছুটে গেল স্পর্শের কাছে, গিয়ে হুঠ করেই স্পর্শকে জাপটে ধরলো, হঠাৎ এমন কিছুতে স্পর্শ অবাক , মুগ্ধতা স্পর্শকে ছেড়ে ওর দুই গালে হাত রেখে স্পর্শের গালে বেশ শব্দ করেই একবার চুমু দিলো ৷ স্পর্শ আহাম্মকের মতো দাঁড়িয়ে আছে, মেয়েটা সত্তিই অনেক বোকামো করে মাঝে মাঝে ৷ মুগ্ধতার এমন কাজ দেখে স্পর্শর আর বুঝতে বকি রইলো না ব্যাপারটা ঠিক কি ৷ ঠিক কোন না কোন মেয়ে ওর দিকে বঁকা চোখে তাকিয়েছে আর মুগ্ধতা তাকে বোঝাতে চেয়েছে যে মানুষটা ওর , কারোর নজর তার ওপর পড়লে সে সহ্য করবে না ৷
স্পর্শর ওপর মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকা মেয়েটির শরীর জুড়ে যেন শিহরন বয়ে গেল,মেয়েটা কি আজব, এভাবে হুঠ করে একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে তার গালে কিস করবে ? মেয়েটা তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মধু বলে মেয়েটাকে ফিসফিসিয়ে বলল

” দেখ মেয়েটা কি অসভ্য , এভাবে একটা অপরিচিত ছেলেকে পাবলিক প্লেসে কিস করবে ? এবার দেখ মেয়েটা ঠিক একটা চড় খাবে ছেলেটার হাতে , শুধু দেখতে থাক ৷”
মেয়েটাকে অবাক করে নিতু বলে উঠলো

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” নাহ সেটা হচ্ছে না , এমনটা হওয়ার নই, ওটা ওর ই বয়ফ্রেন্ড, আর এটা নতুন না, কোন মেয়ে স্পর্শ ভাইয়ের দিকে তাকালে মুগ্ধতা সহ্য করে না ৷”
মেয়েটা অবাক হলো সাথে বিরক্ত ও হলো, ছেলেটাকে দেখে সিনিয়র মনে হচ্ছিল তাই নিতু ভেবেছিলো একটা সুযোগ নেবে কিন্তু তা আর হলো কই !
তবুও মনের ভিতর একটা আশা রখলো যে স্পর্শ হয়তো একটা হলেও চড় মারবে , কিন্তু নাহ, স্পর্শ কিছুই বলছে না ৷
মুগ্ধতা রাগী চোখে স্পর্শর দিকে তাকিয়ে আছে, স্পর্শ একবার মুগ্ধতার দিকে আর একবার নিতুর দিকে তাকাচ্ছে ৷
যুগ্ধতা স্পর্শ সাদা এপ্রোনটা দুহাত দিয়ে চেপে ধরে বলল

” নাও কিস মি ৷”
স্পর্শ যানে যে মুগ্ধতার জেদের সামনে ও কিছুই করতে পারবে না তাই বাধ্য ছেলের মতো মুগ্ধতার কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলো ৷ মুগ্ধতা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে একটা চোখ মারলো, ঠোঁটের ইশারায় বোঝালে স্পর্শ আমার ৷
মেয়েটা রেগে সেখান থেকে চলে গেল, মেয়েটা যেতেই মুগ্ধতা স্পর্শর হাত ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে কলেজ ক্যাম্পাসের এক ধারে নিয়ে গিয়ে স্পর্শর সাদা এপ্রোনের বামদিকে ঠোঁট বসিয়ে ওর হালকা গোলাপী লিপস্টিকের রঙটা সেখানে রাঙিয়ে দিলো ৷
স্পর্শর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলল

” এই লিপস্টিকটা চকলেট ফ্লেভারের,রোজ স্মেল নেবেন আর তারপর আমাকে কল করবেন আর আমাকে অনুভব করবেন ,বুঝেছেন”
মুগ্ধতাকে রাগাতে স্পর্শ বলল
” আর যদি না করি ৷”
মুগ্ধতা একটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে বললল
” তাহলে এই হার্ট সার্জেনের হার্টটা ছুরি দিয়ে পিসপিস করে কেটে সুন্দর করে সো পিসে সাজিয়ে রাখবো ৷ এন্ড আই মিন ইট ৷ ওকে ?”

স্পর্শ পেট ফাটা হাসি দিয়ে বলল
” রেগে গেলে তোমার ফেসটা পুরো টুইটুই মার্কা লাগে ইন ইউর ল্য৷ংগুয়েজ ৷”
মুগ্ধতার রাগ লাগছে ৷ সে জানে যে স্পর্শ তাকে রগাতে ভালোবাসে ৷
“? ৷”
“আপনি একটা কালো বান্দর ৷?”
” তুমিও তো পিংকি পিংকি টুইটুই নাগিন ৷”

মুগ্ধতা হাটতে শুরু করলো, স্পর্শ হেসে মুগ্ধতার পিছন. পিছন যেতে লাগলো, সামনেই নীতুকে দেখে চোখ মারলো ,মেয়েদের সাথে ছোট খাটো ফ্লার্ট করতে স্পর্শর জোশ লাগে ৷
নীতু স্পর্শর দিকে তাকিয়ে আছে, নিঘ্ঘাত আজ রাতে ওর ঘুম হবে না, ছেলেটা ওর ঘুম কেড়ে নিয়ে গেছে ৷ নীতু ওর বুকে হাত দিয়ে দেখল ওর হৃদস্পন্দন দ্রুত হারে বাড়ছে ৷
দৌড়ে ছুটে গেল মধুকে কথাটা বলতে ৷
গাড়িতে বসে আছে দুজন , স্পর্শ ড্রাইভ করছে আর মুগ্ধতা রাগী রাগী ফেস করে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে ৷
হঠাৎ মুগ্ধতা স্পর্শর দিকে তাকিয়ে সরু চোখে বলল

” নীতুর মধ্যে জোশ একটা ব্যাপার আছে তাইনা ৷’
নীতুর নাম শুনে স্পর্শ মনে মনে ভাবলো
” ইন্নালিল্লাহ, এই আফা খেপে গেছে আজকে , গাড়ি থেকে আমাকে ফেলে না দিলেই খুশি ? ৷”
” নীতু ! কে নীতু ? আমি তো কোন নীতুকে চিনি না !”
মুগ্ধতা রেগে গিয়ে স্পর্শর কলার ধরল, গাড়িটা ডিসব্যালেন্স. হতে যাবে তার আগে স্পর্শ গাড়ি থামিয়ে দিলো ৷
” আহ মুগ্ধ কি হচ্ছে এটা !” ( রাগী গলায়)
মুগ্ধতার চোখের কোনে জল চিকচিক করছে, স্পর্শ জেনেও কি অবুঝের মতো ব্যাবহার করে ! সে কি বোঝেনা যে তার কষ্ট হয় স্পর্শর দিকে অন্য কেউ তাকালে ৷
মুগ্ধতা গাড়ি থেকে নামতে গেলেই স্পর্শ জোরে বলল

” গাড়ি থেকে এক পা ও নামালে ফলাফল ভালো হবে না কিন্তু মুগ্ধতা !”
” মুগ্ধতা ” নামটা শুনে ওর রাগ হলো, স্পর্শ ওকে মুগ্ধ ডাকে বা মুগ্ধপরী আর মঝেমাঝে বিরক্ত হলে মুগ্ধতা ডাকে ৷
মুগ্ধতা রেগে গিয়ে নামতে গেলেই স্পর্শ হাত ধরে নিলো, একটানে নিজের কাছে এনে মুগ্ধতার চোখে চোখ রেখে বলল
” সবার সামনে তোমার পাগলামো সহ্য করলেও একাকী অবস্থায় এমন অবুঝের মতো ব্যাবহার করলে কিন্তু সহ্য করবো না আমি ৷ ভালো ভাবে বারন করেছি শুনবে নাহলে,,,,”

কথাটা বলে থেমে গেল স্পর্শ ৷
মুগ্ধতা হাত ঝটকা মেরে স্পর্শর থেকে সরে এলো ৷ ওর খুব কান্না পাচ্ছে কিন্তু ও কাদবে না, কান্না শব্দটা মুগ্ধতার সাথে বেমানান ৷
নিজেকে সামলে বাইরের দিকে তাকালো ৷
স্পর্শ আবার ড্রাইভ করতে শুরূ করলো , আসলো গাড়ির সামনে একটা রিকশা চলে এসেছিলো, আর একটু না থামালেই এক্সিডেন্ট হতে পারতো ৷ স্পর্শ খেয়াল করেছিলো কিন্তু মুগ্ধতা লক্ষ করেনি ৷
স্পর্শ ড্রাইভ করতে শুরু করলো ৷

হাতে গোনা 10 মিনিট পর মুগ্ধতার বাসার সামনে গাড়ি থামাতেই মুগ্ধতা নেমে হনহন করে চলে গেল, স্পর্শর দিকে তাকালো না, অন্যদিন স্পর্শ ভালোবাসার পরশ না আকলে মুগ্ধতা এক পাও নড়ে না, আর আজ মুগ্ধতা হনহনিয়ে চলে গেল যার অর্থ দিনশেষে ওকে টায়ার্ড শরীর নিয়ে একটা ভালোবাসার পরশ আকার জন্য আবার এই বাসাই ছুটে আসতে হবে ৷
কথাটা ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আবার গাড়িতে উঠতে গেলেই পিছন থেকে মুগ্ধতার মা অর্থাত স্পর্শ র মামী শিফা খান ডেকে উঠলেন
” স্পর্শ কি হয়েছে?মুগ্ধতা হনহনিয়ে রুমে ঢুকে দরজা দিলো, আওয়াজ ও আসছে রুমে ভাঙচুরের ৷’
স্পর্শ শ্বাস ফেলে বলল

” মামী একটু রাগ করেছে ও, রাতে মনে হচ্ছে আমাকে আবার এ বাসায় আসতে হবে , আমি এখন আসছি ,ওকে সামলে রাখো ততখন৷”
কথাটা বলে স্পর্শ গাড়ি নিয়ে চলে গেল ৷
শিফা খান উদাস হয়ে বাসায় ঢূকলেন, যে স্পর্শর কথা ছাড়া মুগ্ধতা আর কারোর কথা শোনে না , সেই স্পর্শই মাঝে মাঝে ওর প্রতি ফেড আপ হয়ে যাই ৷ না জানি ছেলেটা কোনদিন রাগ করে বলেই ফেলে আমি এই পাগলকে বিয়ে করতে পারবো না ৷

বেশ কিছুখন ভাঙচুর করে মুগ্ধতা হাত পা গুঠিয়ে বিছানায় বসে রইলো ৷ বাইরে দরজায় ওর আম্মু বারবার ধাক্কা দিচ্ছে দরজা খোলার জন্য ,কিন্তু ওউ যে ফারহাত খান মুগ্ধতা, এতো সহজে দরজা খুলবে না, দরকার হলে যতখন না স্পর্শ আসবে ততখন এভাবেই বসে থাকবে ৷
স্পর্শর বলা ” পাগলামি ” কথাটা ওর বড্ড গায়ে লেগেছে, যারা পাগল তারাই তো পাগলামি করে ,তাহলে স্পর্শ কি ইনডাইরেক্টলি ওকে পাগল বোঝাতে চাইলো ? এই কথাটা ভেবে ভাঙচুর করার জন্য জেদটা আরো বেড়ে যাচ্ছে ৷ রাগ সামলাতে না পেরে হাতের পাশে থাকা ফ্লাওয়ার ভাসটা দুরে টান মারলো একোরিয়ামে, একোরিয়ামটা ভেঙে গুলোগুড়ো হয়ে গেল, ওর শখের প্রিয় মাছগুলো মেঝেতে ছটফট করছে ৷
মুগ্ধতা একটা সময় ফুপিয়ে কেঁদেই ফেলল

” স্পর্শ কি বোঝেনা যে ও তাকে ঠিক কতোটা
ভালোবাসে ৷”
“তুই কি ঠিক বলছিস যে ওই হ্যান্ডসাম ছেলেটা ওই পাগল মেয়েটার বিএফ ৷ আমার এখনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, কীভাবে কি !”
রাস্তা দিয়ে হাটছে আর মধুকে এই কথাগুলো বলছে নীতু ৷
সন্ধ্যা 7.30টা বাজে এখন,নীতু আর মধু দুজন একটু শপিং এ গিয়েছিলো ৷ মধুর আর বুঝতে বাকি রইলো না যে নীতু স্পর্শর কথা ভেবে নিজেকে পাগল বানাচ্ছে ৷
মধু হঠাৎ থেমে গিয়ে বলল

” শোন স্পর্শ ভাইয়ের ক্রাশের অভাব নেই, ওনার পার্সোনালিটি টাই এতো জোশ, উনি আমাদের থেকে বয়সে 6 বছরের সিনিয়ার , 2 বছর আগে কলেজ পাস আউট করেছে ৷স্পর্শ ভাই ঢাকা মেডিকেলে টপ রেজাল্ট করেছিলেন সেই বার, তাই ওনার স্ট্যানডারড অনেক হাই, আর যদি বলিস মুগ্ধতার কথা তাহলে মুগ্ধতাও কিছু কম যাই না, ওর ক্লাসে পার্ফমেন্স দেখিস না কেমন ৷ শুধু মেয়েটা একটু পাগল পাগল, স্পর্শ ভাইকে কারোর সাথে দেখলে সহ্য করতে পারে না ৷ তোকে আমি সব বললাম দেখ তুই কি করবি ৷
হঠাৎ পাশ দিয়ে একটা বাইক যেতেই নীতু বলে উঠলো
” স্পর্শ? ৷”
মধু অবাক হয়ে তাকালো, হ্যাঁ সত্তিই তো স্পর্শ, এখন না জানি এই মেয়ে কি করে ৷

” মামী মুগ্ধ কোথায় ?’
” ও তো ওর ঘরে, এখনো বাইরে আসেনি, ওর বাপি ও বাড়ি নেই যে ওকে বোঝাবে,তাছাড়া রোজা ও বাসায় নেই,রোজা ওর আব্বুর বাসায় গেছে,কালকেই চলে আসবে ৷”
স্পর্শ আর কিছু না বলে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে লাগলো, মুগ্ধতার ঘরের একটা এক্সট্রা চাবি কারোর কাছে না থাকলে স্পর্শর কাছে থাকে ৷
স্পর্শ চাবি দিয়ে লক খুলে রুমে ঢুকলো ৷

গিয়ে দেখে মুগ্ধতা ঘুমাচ্ছে ৷ চোখের কাজল লেপটানো, ঠোঁটের গোলাপি লিপস্টিক ও হালকা হয়ে গেলে, চুলগুলে বিচ্ছিন্নভাবে ছড়ানো মুখের ওপর ৷
” স্পর্শ কানের পাশের চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে মুগ্ধতার কানের কাছে গিয়ে বলল
” এই মুগ্ধ, মুগ্ধ !”
মুগ্ধতা সাড়া দিচ্ছে না ৷

” মুগ্ধ এই, মুগ্ধপাখি ওঠো, তোমাকে মামী খেতে ডাকছে, তুমি কিছু খাওনি, আর রুমের এ কি অবস্থা করেছো তুমি, খালি পায়ে এক্ষুনি লাফালাফি শুরূ করলেই তো পা কেটে ফালাফালা হয়ে যাবে ৷ ওঠো ৷”
মুগ্ধতা উঠছে না দেখে স্পর্শ মুগ্ধতার কপালে ঠোঁট বুলিয়ে চলে যেতে নিলেই মুগ্ধতা স্পর্শর হাত ধরে আটকিয়ে বলল
” একবার বলুন না যে ” ভালোবাসি ৷”
স্পর্শ মুগ্ধতার কথা শুনে মুচকি হেসে মূগ্ধতার দিকে তাকালো, মুগ্ধতার নাকটা টেনে দিয়ে বলল
” না বললে কি ভালোবাসা হয় না ?”
” না হয় না ৷ আপনি বলুন আপনি আমাকে ভালোবাসেন কি না ৷”
” দেখো আমি অতোটা এক্সপ্রেসিভ নই তাই এইগুলো আমি কখনো কাউকে বলিনি আর বলতেও পারবো না ৷”
মুগ্ধতা স্পর্শর শার্ট খামচি দিয়ে বলল
” তারমানে আপনি আমকে ভালোবাসেন না তাইতো ?”
” না বললে যে ভালোবাসা যাইনা এটা কোন কথা না মুগ্ধ ,!’
” তাহলে বলছেন না কেন?”

মুগ্ধতার চোখের কোনে জল ৷ এর আগেও স্পর্শ কে জিজ্ঞাসা করেছে যে সে তাকে ভালোবাসে কি কিন্তু স্পর্শ কখনো বলেনি যে সে তাকে ভালোবাসে কিন্তু তার হাবভাবে সে বুঝিয়ে দেই যে সে তার মুগ্ধকে কতোটা চাই , এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও মুগ্ধতা জিজ্ঞাসা করেছে, স্পর্শ উত্তর দেইনি ৷
মুগ্ধতা স্পর্শকে ছেড়ে দিয়ে বলল
” বেরিয়ে যান এখান থেকে ৷”
স্পর্শ এক কথার মানুষ , ও বেরিয়ে গেল, সাথেসাথে মুগ্ধতা স্পর্শর ফোনে sms দিলো
” বলতে হবে না ভালোবাসি তবুও , একবার বললে হয়তো শান্তি পেতাম ৷ বাই দা ওয়ে 21 বার কল করেছি, রিসিভ করেননি ৷ জানি রাস্তায় নীতুকে নিয়ে অনেক ব্যাস্ত ছিলেন, সে খবর ও আমার কাছে আছে ৷ এখন আমার যা মন চাই আমি তাই করবো ৷ এন্ড আই মিন ইট ৷”

সত্তিই 21 টা কল, নীতুর প্যারায় পড়ে ও আসতেও 45 মিনিট লেট করে ফেলেছে , আর কলটাও ধরেনি , এখন ও জানে মুগ্ধতা কি করবে ৷ মূগ্ধতা এখন একটা ধারালো ব্লেড নেবে আর সেটা হাতের শিরা বরাবর ক্রমাগত চালাবে ৷
এটা নতুন কিছু না, এর আগেও 3 বর মুগ্ধতা এমনটা করে ফেলেছে, ওর হাতের একটা জায়গাজুড়ে কালচে দাগ পড়ে গেছে ব্যান্ডেজ করতে করতে ৷
স্পর্শ ছুটে গেল রূমে দেখল মুগ্ধতা রুমে নেই ৷ তাহলে কি ছাদ থেকে লাফ মারার প্ল্যান করছে ? স্পর্শ দৌড়ে গেল ৷

এই শহর আমার পর্ব ২