একথোকা কৃষ্ণচূড়া এবং আপনি বোনাস পর্ব 

একথোকা কৃষ্ণচূড়া এবং আপনি বোনাস পর্ব 
সাদিয়া জাহান উম্মি

‘ এখনো রাগ কমেনি?’ অর্থ’র কথায় প্রাহি আরো শক্ত করে চোখ বুজে ফেললো।
আজ সারাদিনে ও অর্থ’র ধারকাছেও আসেনি।হয় হেমন্ত নয়তো হিয়ার সাথেই থেকেছে।কিন্তু রাতে কি আর দূরে থাকা যায়?সেই অর্থ’র কাছেই ওর আসতে হলো।প্রাহি রুমে এসে চুপচাপ সুয়ে পরেছে বিছানায়।কিন্তু লোকটার বুকের উষ্ণতা না পেলে কি ঘুম আসে ওর?উহু একটুও নাহ।কিন্তু কিছু করার নেই।তার যে অভিমান হয়েছে ভীষন।

লোকটা ওর অভিমান ভাঙ্গাতেও আসেনি একবার।সুন্দরভাবে একটু কথা বললেই তো প্রাহির অভিমান ভেঙ্গে যেতো।ঠিক তখনি উপরিউক্ত কথাটা বলে উঠে অর্থ।প্রাহি থম মেরে বসে আছে।কোন কথা বলবে না ও লোকটার সাথে।অর্থ মুচঁকি হেসে প্রাহিকে পিছন হতে ঝাপ্টে ধরলো।আকস্মিক শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে কেঁপে উঠলো প্রাহির শরীর।ওর পেটের উপরে রাখা অর্থ’র হাত খামছে ধরলো।অর্থ প্রাহির কানে ঠোঁট ছোয়ালো আলতোভাবে।ভীতর শুদ্ধ কেঁপে উঠলো ওর এরূপ ছোঁয়ায়।অর্থ ওর কানের কাছেই ফিসফিসিয়ে বলে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘ এতো বেশি রাগ করে লাভ নেই।যতোক্ষন মুখ ফুলিয়ে রাখবে আমি কিন্তু ততোক্ষন চুমু খাবো তোমায়।’
আতকে উঠে প্রাহি।দ্রুত অর্থ’র দিকে ফিরে অর্থ’র বুকে মুখ গুজে দিলো।অস্পষ্ট স্বরে বললো,
‘ খুব খারাপ আপনি।খুব খারাপ।’
অর্থ হেসে প্রাহিকে জড়িয়ে নিলো নিজের সাথে।আদুরে কন্ঠে বললো,
‘ তোমারই তো।’
কথটা কর্ণপাত হতেই প্রাহির ঠোঁটের কোণেও মুচঁকি হাসি ফুটে উঠে।

ইন্ডিয়ার মুম্বাই শহরের এক নামি দামি রেস্টুরেন্টে মুখোমুখি হয়ে বসে আছে ইলফা আর জয়।ইলফা জয়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়লো,
‘ আমাকে এতো তাড়াহুড়োয় ইন্ডিয়া আসার জন্যে কেন বললেন মিঃ জয়? আমাকে দিয়ে আপনার কি কাজ?আর আমার সম্পর্কে এতোসব ডিটেইল্স পেলেন কিভাবে আপনি?’
জয় শয়তানি হাসি দিলো।আয়েশি ভঙ্গিতে বললো,
‘ তোমার ঠিকানা যোগার করা আমার বা’হাতের কাজ। আর রইলো তোমাকে ইন্ডিয়ায় আসার জন্যে বলার কারন।তার একমাত্র কারন হলো প্রাহি আর অর্থকে আলাদা করা যেকোন ভাবে।’
ইলফা চক্ষু কপালে উঠে গেলো।পরপর সরাসরি নাকচ করে বলে,
‘ অসম্ভব।এতো চেষ্টা করেছি আমি।কিন্তু ওদের ওদের আলাদা করে পসিবল না।’
‘ তোমার অর্থ’কে চাই?’
ইলফা তাচ্ছিল্য হাসলো,

‘ হাহ্! ওই গুমড়োমুখোকে কে চায় আমি?এই ইলফা?হাহ্ আমার তো শুধু ওর সম্পত্তি আর টাকা পয়সা চাই।ওকে বিয়ে করে শুধু বিয়েটা করতে পারলেই হতো ও ওর মতো থাকতো আর আমি ওর টাকা পয়সা নিয়ে আমার মতো মজমাস্তি করতাম।কিন্তু বাস্টার্ডটার পেছনে বিগত কয়েকবছর যাবত ঘুরেছি।এতো এতো ভাবে সিডিউস করার চেষ্টা করেছি।কিন্তু এই ছেলে আমার দিকে ফিরেও তাকাতো নাহ।’
জয় চিন্তায় পরে গেলো পরক্ষনে কিছু একটা ভেবে বাঁকা হেসে বললো,
‘ প্রাহির মা হাসপাতালে ভর্তি।তুমি গিয়ে যেকোনভাবে শুধু প্রাহির মা’কে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলবে।এর পরে আমরা কি করবো তা নিশ্চয়ই তোমাকে বোঝাতে হবে না?’
ইলফা মুখশ্রী চকচক করে উঠলো।পরক্ষনে ভ্রু-কুচকে জয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,

‘ কিন্তু তুমি আমাকেই কেন এইসব করাচ্ছো?তুমি নিজে কেন বাংলাদেশ যাচ্ছো না?’
জয় দাঁতে দাত চেপে বললো,
‘ ওই অর্থ’র বাচ্চা আমাকে ধরার জন্যে ওর গার্ডসদের পাহারা হিসেবে রেখেছে সবখানে।আমি চেয়েও যেতে পারছি নাহ।’
‘ ভয় পায় অর্থকে?ভীতু একটা!’
জয় হিংশ্র চোখে তাকালো।ইলফা ওই চোখ দেখে ভয় পেয়ে গেলো।তুতলিয়ে বলে,
‘ আমি রাজি।আমি রাজি।শুধু আমার সাথে অর্থ’র বিয়ে হলেই হলো।’
জয় বাঁকা হাসলো ইলফার এতো ভয় পাওয়া দেখে।
______________পরেরদিন সন্ধ্যে
‘ শুনছেন?’
‘ হুম বলো!’ প্রাহির কথায় জবাব দেয় অর্থ।
প্রাহি অস্থির কন্ঠে বলে,

‘ আপনার ব্যস্ততার কারনে আর মা আর কাকা অসুস্থ থাকার কারনে আম্মুকে দেখতে যেতে পারলাম না আজ।আম্মুকে দেখার জন্যে মনটা কেমন জানি করছে।’
প্রাহির কথায় মন খারাপের আভাষ পেয়ে অর্থ প্রাহিকে আদুরেভাবে নিজের বুকে টেনে নিলো।ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
‘ আমি বলেছিলাম তোমাকে তুমি গিয়ে দেখে আসো।কিন্তু গেলে না।এখন মন খারাপ করছো কেন?’
প্রাহি ধীর কন্ঠে বললো,
‘ যেতেই তো নিয়েছিলাম এর মাঝে মা’র বুকে ব্যাথাটা বেরে যায়।তাই আর যাওয়া হয়নি!’
প্রাহি কপালে চুমু খেয়ে বলে,

‘ চিন্তা করো না।সব ঠিক আছে ওকে।আমি আম্মু’র কেভিনের সাথে চারজন গার্ড্স রেখেছি
আর পার্মানেন্ট নার্স ডাক্তার তো আছেই।সমস্যা হলে উনারা আমাকে ফোন করবেন।’
প্রাহি মাথা নাড়ালো।অর্থ’র বুকে চুপটি করে পরে রইলো।কেমন যেন করছে প্রাহির মনটা।কিছু একটা খারাপ হতে চলেছে ওর মনটা বারবার কু ডাকছে।প্রাহি মনে মনে শুধু আল্লাহ্কে স্মরন করতে লাগলো।এখন তিনিই ওর এই চিন্তা কমানোর মালিক।

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।কেমন হয়েছে জানাবেন।
আজ একজনের কমেন্ট দেখে অনেক খারাপ লাগলো।গল্পটাতে নাকি কোন রষকষ নেই।আমি দুঃখিত খুব আমি আপনাদের মনমতো গল্পটা দিতে পারলাম নাহ।ক্ষমা করবেন আমায়।আপনাদের নিরাশ করার জন্যে।

‘ এখনো রাগ কমেনি?’ অর্থ’র কথায় প্রাহি আরো শক্ত করে চোখ বুজে ফেললো।
আজ সারাদিনে ও অর্থ’র ধারকাছেও আসেনি।হয় হেমন্ত নয়তো হিয়ার সাথেই থেকেছে।কিন্তু রাতে কি আর দূরে থাকা যায়?সেই অর্থ’র কাছেই ওর আসতে হলো।প্রাহি রুমে এসে চুপচাপ সুয়ে পরেছে বিছানায়।কিন্তু লোকটার বুকের উষ্ণতা না পেলে কি ঘুম আসে ওর?উহু একটুও নাহ।কিন্তু কিছু করার নেই।তার যে অভিমান হয়েছে ভীষন।

লোকটা ওর অভিমান ভাঙ্গাতেও আসেনি একবার।সুন্দরভাবে একটু কথা বললেই তো প্রাহির অভিমান ভেঙ্গে যেতো।ঠিক তখনি উপরিউক্ত কথাটা বলে উঠে অর্থ।প্রাহি থম মেরে বসে আছে।কোন কথা বলবে না ও লোকটার সাথে।অর্থ মুচঁকি হেসে প্রাহিকে পিছন হতে ঝাপ্টে ধরলো।আকস্মিক শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে কেঁপে উঠলো প্রাহির শরীর।ওর পেটের উপরে রাখা অর্থ’র হাত খামছে ধরলো।অর্থ প্রাহির কানে ঠোঁট ছোয়ালো আলতোভাবে।ভীতর শুদ্ধ কেঁপে উঠলো ওর এরূপ ছোঁয়ায়।অর্থ ওর কানের কাছেই ফিসফিসিয়ে বলে,

‘ এতো বেশি রাগ করে লাভ নেই।যতোক্ষন মুখ ফুলিয়ে রাখবে আমি কিন্তু ততোক্ষন চুমু খাবো তোমায়।’
আতকে উঠে প্রাহি।দ্রুত অর্থ’র দিকে ফিরে অর্থ’র বুকে মুখ গুজে দিলো।অস্পষ্ট স্বরে বললো,
‘ খুব খারাপ আপনি।খুব খারাপ।’
অর্থ হেসে প্রাহিকে জড়িয়ে নিলো নিজের সাথে।আদুরে কন্ঠে বললো,
‘ তোমারই তো।’
কথটা কর্ণপাত হতেই প্রাহির ঠোঁটের কোণেও মুচঁকি হাসি ফুটে উঠে।

ইন্ডিয়ার মুম্বাই শহরের এক নামি দামি রেস্টুরেন্টে মুখোমুখি হয়ে বসে আছে ইলফা আর জয়।ইলফা জয়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়লো,
‘ আমাকে এতো তাড়াহুড়োয় ইন্ডিয়া আসার জন্যে কেন বললেন মিঃ জয়? আমাকে দিয়ে আপনার কি কাজ?আর আমার সম্পর্কে এতোসব ডিটেইল্স পেলেন কিভাবে আপনি?’
জয় শয়তানি হাসি দিলো।আয়েশি ভঙ্গিতে বললো,
‘ তোমার ঠিকানা যোগার করা আমার বা’হাতের কাজ। আর রইলো তোমাকে ইন্ডিয়ায় আসার জন্যে বলার কারন।তার একমাত্র কারন হলো প্রাহি আর অর্থকে আলাদা করা যেকোন ভাবে।’
ইলফা চক্ষু কপালে উঠে গেলো।পরপর সরাসরি নাকচ করে বলে,
‘ অসম্ভব।এতো চেষ্টা করেছি আমি।কিন্তু ওদের ওদের আলাদা করে পসিবল না।’
‘ তোমার অর্থ’কে চাই?’
ইলফা তাচ্ছিল্য হাসলো,

‘ হাহ্! ওই গুমড়োমুখোকে কে চায় আমি?এই ইলফা?হাহ্ আমার তো শুধু ওর সম্পত্তি আর টাকা পয়সা চাই।ওকে বিয়ে করে শুধু বিয়েটা করতে পারলেই হতো ও ওর মতো থাকতো আর আমি ওর টাকা পয়সা নিয়ে আমার মতো মজমাস্তি করতাম।কিন্তু বাস্টার্ডটার পেছনে বিগত কয়েকবছর যাবত ঘুরেছি।এতো এতো ভাবে সিডিউস করার চেষ্টা করেছি।কিন্তু এই ছেলে আমার দিকে ফিরেও তাকাতো নাহ।’
জয় চিন্তায় পরে গেলো পরক্ষনে কিছু একটা ভেবে বাঁকা হেসে বললো,
‘ প্রাহির মা হাসপাতালে ভর্তি।তুমি গিয়ে যেকোনভাবে শুধু প্রাহির মা’কে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলবে।এর পরে আমরা কি করবো তা নিশ্চয়ই তোমাকে বোঝাতে হবে না?’
ইলফা মুখশ্রী চকচক করে উঠলো।পরক্ষনে ভ্রু-কুচকে জয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,

‘ কিন্তু তুমি আমাকেই কেন এইসব করাচ্ছো?তুমি নিজে কেন বাংলাদেশ যাচ্ছো না?’
জয় দাঁতে দাত চেপে বললো,
‘ ওই অর্থ’র বাচ্চা আমাকে ধরার জন্যে ওর গার্ডসদের পাহারা হিসেবে রেখেছে সবখানে।আমি চেয়েও যেতে পারছি নাহ।’
‘ ভয় পায় অর্থকে?ভীতু একটা!’
জয় হিংশ্র চোখে তাকালো।ইলফা ওই চোখ দেখে ভয় পেয়ে গেলো।তুতলিয়ে বলে,
‘ আমি রাজি।আমি রাজি।শুধু আমার সাথে অর্থ’র বিয়ে হলেই হলো।’
জয় বাঁকা হাসলো ইলফার এতো ভয় পাওয়া দেখে।
______________পরেরদিন সন্ধ্যে
‘ শুনছেন?’
‘ হুম বলো!’ প্রাহির কথায় জবাব দেয় অর্থ।
প্রাহি অস্থির কন্ঠে বলে,

‘ আপনার ব্যস্ততার কারনে আর মা আর কাকা অসুস্থ থাকার কারনে আম্মুকে দেখতে যেতে পারলাম না আজ।আম্মুকে দেখার জন্যে মনটা কেমন জানি করছে।’
প্রাহির কথায় মন খারাপের আভাষ পেয়ে অর্থ প্রাহিকে আদুরেভাবে নিজের বুকে টেনে নিলো।ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
‘ আমি বলেছিলাম তোমাকে তুমি গিয়ে দেখে আসো।কিন্তু গেলে না।এখন মন খারাপ করছো কেন?’
প্রাহি ধীর কন্ঠে বললো,
‘ যেতেই তো নিয়েছিলাম এর মাঝে মা’র বুকে ব্যাথাটা বেরে যায়।তাই আর যাওয়া হয়নি!’
প্রাহি কপালে চুমু খেয়ে বলে,

‘ চিন্তা করো না।সব ঠিক আছে ওকে।আমি আম্মু’র কেভিনের সাথে চারজন গার্ড্স রেখেছি
আর পার্মানেন্ট নার্স ডাক্তার তো আছেই।সমস্যা হলে উনারা আমাকে ফোন করবেন।’
প্রাহি মাথা নাড়ালো।অর্থ’র বুকে চুপটি করে পরে রইলো।কেমন যেন করছে প্রাহির মনটা।কিছু একটা খারাপ হতে চলেছে ওর মনটা বারবার কু ডাকছে।প্রাহি মনে মনে শুধু আল্লাহ্কে স্মরন করতে লাগলো।এখন তিনিই ওর এই চিন্তা কমানোর মালিক।

একথোকা কৃষ্ণচূড়া এবং আপনি পর্ব ২০

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।কেমন হয়েছে জানাবেন।
আজ একজনের কমেন্ট দেখে অনেক খারাপ লাগলো।গল্পটাতে নাকি কোন রষকষ নেই।আমি দুঃখিত খুব আমি আপনাদের মনমতো গল্পটা দিতে পারলাম নাহ।ক্ষমা করবেন আমায়।আপনাদের নিরাশ করার জন্যে।

একথোকা কৃষ্ণচূড়া এবং আপনি পর্ব ২১