এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৯

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৯
Fabiha bushra nimu

শীতের সকাল,মিষ্টি রোদ।রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ইফাদ।একটা চাকরি’র জন্য কোথায় কোথায় যাচ্ছে।সে,নিজেও জানে না।এই যুগে ইন্টার পাসের কি’ চাকরি বা’ আছে।তবু্-ও ছোটখাটো একটা কাজের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে ইফাদ।চৈতালি খেয়ে কলেজে চলে গেছে।রোকেয়া বেগম নিজের রুমে শুইয়ে আছেন।তানহা দুপুরের রান্নার জোগার করছিল।তখন-ই দরজার কলিং বেল বেজে উঠে।তানহা উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেয়।আবির’কে দেখে দরজা বন্ধ করে দিতে লাগলে।আবির বলে উঠলো’।

–আমি জানি তুই আমার ওপরে রাগ করে আছিস।তোর রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক।একবার আমার কথাটা তো’ শুনবি।তারপরে না হয়’।আমার ওপরে রাগ করবি।আমাকে ভেতরে আসতে দিবি।নাকি বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখবি।
–তুমি আমাদের বাসা চিনলে কিভাবে”?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

–বোনের শশুর বাড়ি ভাই হয়ে যদি,না চিনি।তাহলে কেমন ভাই আমি’।আমি ভেতরে আসার অনুমতি পাব।
তানহা সরে দাঁড়াল।আবির গিয়ে সোজা ড্রয়িং রুমে বিছানো পাটিতে বসে পড়লো’।
–মাটিতে বসলে কেনো’।উঠে দাঁড়াও।আমি চেয়ার নিয়ে আসছি।
–আমি কি’ অন্য কেউ।যে,আমাকে আলাদা করে চেয়ার দিতে হবে।আমার বোন যদি মাটিতে বসে কাজ করতে পারে।তাহলে আমি কেনো বোনের পাশে বসতে পারবো না।
তানহা কথা শুনলো না।রোকেয়া বেগমে’র রুমে গেলো’।

–আম্মা আবির ভাইয়া এসেছে।আপনি বাহিরে চলুন।বাসায় কেউ নেই।ভাইয়ার সাথে কেউ কথা না বললে,সে কি মনে করবে।
–বসতে দিয়েছো’।
–না ভাইয়া মাটিতে বসে পড়েছে।
–সে-কি কথা মা’।চেয়ার টেবিল নিয়ে যাও।আমি তোমাকে সাহায্য করছি।একটা চেয়ার আর ছোট একটা টেবিল ড্রয়িং রুমে নিয়ে গেলো দু’জন মিলে।

–বাবা তুমি মাটিতে বসেছো কেনো”?উঠে চেয়ারে বসো’।
–সমস্যা নেই।আপনারা তো’ আমার-ই আপনজন।আমার জন্য এত ব্যস্ত হতে হবে না।
–তা-কি করে হয় বাবা।তুমি মাটিতে বসে থাকলে আমার খারাপ লাগবে।তুমি চেয়ারে বসো।
আবির কথা না বাড়িয়ে উঠে চেয়ারে বসলো’।তানহা রান্না ঘরে চলে গেলো।একটু পরে নাশতা গিয়ে ফিরে এলো’।
–তানহা এসব করতে গেলি কেনো’?

–প্রথম আমার শশুর বাড়িতে আসলে।এতটুকু না করলে বাসায় গিয়ে বলবে।আমার শশুর বাড়ির লোকজন কিপ্টা।তোমাকে কিছু খেতে দেয় নাই।
–আমি কি’ খাওয়ার জন্য তোদের বাসায় আসছি।
–দু’জন মিলে কি শুরু করলে।আবির খেয়ে নাও বাবা।কথা বলো না।রোকেয়া বেগম আবির’কে পছন্দ করছে না।তা’ রোকেয়া বেগমে’র মুখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।কালকে সবকিছু শুনে প্রচুর রেগে গিয়েছিল রোকেয়া বেগম।তানহা কোনো রকম বুঝিয়ে সবকিছু শান্ত করেছে।জীবন অনেক অশান্তি বইয়ে বেড়িয়েছে তানহা।আর নতুন করে কোনো অশান্তি চায় না তানহা।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে যাচ্ছে।ইফাদ বা’ চৈতালি কেউ বাসায় ফিরে নাই।আবির বলেছিল বিকেল পর্যন্ত থাকবে।এখনো বসে আছে।রোকেয়া বেগমে’র সাথে গল্প করছে।আবিরে’র কথা রোকেয়া বেগম’কে মুগ্ধ করে তুলেছে।আবির এবার আমতা আমতা করে বলল’।

–আন্টি একটা কথা বলবো।যদি রাগ না করেন।
–কি কথা বাবা।
–আমি তানহা’র সাথে কিছু ব্যক্তিগত কথা বলতে চাই।আমি তানহাকে কিছুক্ষণের জন্য নিয়ে যেতে পারি।
–এটা কেমন করে সম্ভব বাবা।তানহা এখন আমাদের বাড়ির বউ।তাছাড়া তুমি কালকে ভরা রাস্তার মাঝে মেয়েটা’র গায়ে হাত তুলেছো।লোকে দেখলে কি’ বলবে।আমি যেতে দিতে পারবো না।ইফাদ-ও বাসায় নেই।ইফাদ জানলে খুব রাগ করবে।
–আন্টি আমি আপনার পায়ে পড়ি’।কথা দিচ্ছি।আপনাদের অসন্মান হবে,এমন কোনো কাজ করবো না।তানহার সাথে শুধু কয়টা কথা বলবো।

–এভাবে কারো পা’ ধরতে নেই।আল্লাহ ছাড়া কারো সামনে মাথা নত করতে নেই বাবা।
–আন্টি বেশি সময় না।আপনি আমাকে ত্রিশ মিনিট সময় দিন।
–আচ্ছা বেশ আমাদের বাসার সামনে যে,রেস্টুরেন্ট আছে।সেখানে গিয়ে কথা বলবে।আমি দাঁড়িয়ে থাকবো।
–আমি তানহার সাথে একা কথা বলতে চাই আন্টি।

–এভাবে বাড়ির বউকে অন্য ছেলের সাথে যেতে দিতে কোনো শাশুড়ী চাই বলো বাবা।
–আমার ওপরে বিশ্বাস রাখুন।আর কোনোদিন আসবো না।ত্রিশটা মিনিট সময় আমাকে দিন।
–আচ্ছা বেশ আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকবো।ত্রিশ মিনিট হলেই আমি তানহাকে নিয়ে চলে আসবো।
–আচ্ছা আন্টি চল তানহা বলেই আবির বাড়ির বাহিরে গিয়ে দাঁড়াল।তানহা অসহায় দৃষ্টিতে শাশুড়ীর দিকে তাকালো।
–আম্মা যাব।

–যাও।ভয় পেও না।আমি’ও যাচ্ছি তোমার সাথে।
–আম্মা উনি যদি জানতে পারে।খুব রাগ করবেন।
–আমি’ও ইফাদের কথা চিন্তা করছি।ইফাদ আসার আগে চলো।ঝামেলা যত তাড়াতাড়ি শেষ হবে।ততই ভালো।বলেই তানহাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল।তানহার ভেতরে কেমন জানি ভয় লাগছে।মার খাওয়ার ভয় নয়।ইফাদের ভয়।ইফাদ জানতে পারলে কি হবে।রোকেয়া বেগম রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।তানহা রাস্তা পার করে রেস্টুরেন্টের কাছে গেলো।তানহাকে দেখেই আবির বলল।

–তাড়াতাড়ি চল।সময় কম।কয়টা কথা বলেই চলে যাব।
–ভেতরে যাব না।যা’ বলার বাহিরে থেকেই বলো।
–সবাই তাকিয়ে আছে।এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে কথা বলা কেমন দেখায়।তানহা বাধ্য হয়ে,আবিরের সাথে গেলো।মুখোমুখি বসে আছে দু’জন।

–কি খাবি বল।
–আমি এখানে খেতে আসি নাই। কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো।
–এই বিয়েতে তুই সুখী আছিস তো’ তানহা।
–আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি।
–আমি তোকে ভালোবাসি তানহা।বড্ড বেশি ভালোবাসি রে’।সেই ছোট বেলা থেকে তোকে ভালোবাসি।তাহলে তুই আমাকে রেখে ইফাদ’কে কেনো বিয়ে করলি’ বল।
–আমি তোমাকে ভাইয়ের চোখে ছাড়া অন্য কোনো চোখে দেখি নাই।তুমি এসব কিভাবে ভাবতে পারো ভাইয়া।আমি এসব ভাবা তো’ দূর কল্পনা’ও করতে পারি না।

–আমি তোকে কেনো মেরেছি জানিস।মা’ বলেছে তুই রিলেশন করে বিয়ে করেছিস।আমি প্রথমে বিশ্বাস করি নাই।আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিল।কিন্তু একটা কথা যদি কারো মুখের সামনে বারবার বলা হয়।একটা সময় কথাটা মানুষ ঠিক বিশ্বাস করে নেয়।আমি’ও আম্মুর কথা বিশ্বাস করে নিয়ে ছিলাম।

–তোমার মা’ নিজে দেখেশুনে আমার বিয়ে দিয়েছে।তোমার মা’ আমার ওপরে যে,পরিমাণে অত্যাচার করতো।তোমার মনে হয়।আমি রিলেশন করবো।উনি আমাকে ঢাকঢোল পিটিয়ে তার সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে।
–তারমানে তুই নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করিস নাই।আম্মু ইচ্ছায় করেছিস।চল না তানহা আমরা দূরে কোথাও চলে যাই।এতটা দূরে চলে যাব।কেউ আমাদের খুঁজে পাবে না।তোর আর আমার ছোট একটা সংসার হবে।সেই সংসারে তুই আর আমি রাজত্ব করবো।

–এসব তুমি কি’ বলছো।তুমি জানো না আমার স্বামী আছে।আমি আমার স্বামীকে অনেক ভালোবাসি।আমার স্বামী ছাড়া অন্য কোনো ছেলেকে কল্পনা করতে পারি না ভাইয়া।তুমি অন্য কাউকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নাও।
আবির তানহার হাত ধরে বলল।
–এভাবে বলিস না তানহা।আমি নিঃস্ব হয়ে যাব।তোকে ছাড়া বেঁচে থাকা খুব কঠিন।আমি তোকে ছাড়া ভালো নেই।প্লিজ তুই ইফাদকে ডিভোর্স দিয়ে আমার কাছে চলে আয়।
তানহা ঝাড়ি দিয়ে হাত সরিয়ে নিল।

–এভাবে আমাকে যখন-তখন স্পর্শ করবে না।এমন অন্যায় আবদার-ও করবে না।তুমি চলে যাও।আর কখনো আমার সামনে আসবে না।ইফাদ জানলে অনেক রাগ করবে।আমি আমার স্বামীকে কষ্ট দিতে চাই না।
–তোকে গভীর ভাবে ছুঁইয়ে দেখার আপেক্ষ আমার সারাজীবন থেকে যাবে রে’ তানহা।তোকে গভীর ভাবে আলিঙ্গন করে হাউমাউ করে কান্না করতে ইচ্ছে করে।অন্তত আমার এই ইচ্ছেটা পূর্ণ করে দে’।

–ছিঃ তোমার মন মানসিকতা কতটা নিচু হয়ে গেছে আবির ভাইয়া।তুমি আর কখনো আমার সামনে আসবে না।
–আজ আমাকে ফিরিয়ে দিলি না।একদিন খুব আফসোস করবি।কথা দিলাম।তোর জীবন নরক করে তুলব।তুই আমার না হলে,আমি তোকে কারো হতে দিব না।

–আমার আল্লাহ আছেন।তোমার অসৎ মনের ইচ্ছে কখনো পূর্ণ হতে দিবে না।বলেই তানহা সামনের দিকে এগোতে লাগলো।তানহা বাহিরে এসে দেখলো তার শাশুড়ী নেই।আবির তানহার পেছনে এসে দাঁড়ালো।আবিরের মুখে হাসি।ইফাদ হাতে লাল রংয়ের একটা ব্যাগ নিয়ে আসছিল।আবির আর তানহাকে দেখে-ই মুখটা মলিন হয়ে গেলো।মলিন হেসে পাশ কাটিয়ে বাসার মধ্যে চলে গেলো।তানহা এক প্রকার দৌড়ে বাসার মধ্যে গেলো’।
চৈতালি পাইভেট শেষ করে বাসায় ফিরছিল।রাস্তার বিপরীত পাশে আবিরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দৌড়ে আবিরের কাছে আসলো’।

–স্যার আপনি আমাদের এই দিকে।
–দরকার ছিল তাই এসে ছিলাম।
–আজকে কলেজে আসেন নাই কেনো’?
–সব কৈফিয়ত তোমাকে দিবে হবে।বিরক্ত হয়ে বলল আবির।
–আমাদের বাসা থেকে ঘুরে যান।

–না অন্য দিন যাব।বলেই বাইক নিয়ে চলে গেলো।চৈতালি মন খারাপ করে বাসায় গেলো।আজকে আবিরকে কলেজে দেখতে না পেয়ে চৈতালির মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল।একটু দেখার জন্য চাতক পাখির মতো চেয়েছিল।এখন আবিরকে দেখে পেয়েছে।মনে অদ্ভুত এক শান্তি অনুভব করছে চৈতালি।গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে বাসায় গেলো।ইফাদ বাসায় এসে গোসল করতে গিয়েছে।তানহা ভয়ে ভয়ে বাসায় ফিরলো।তানহা আগে শাশুড়ীর রুমে গেলো।

–আম্মা আপনি চলে এসেছেন কেনো’?
–পায়ে ব্যথা করছিল মা’।ছেলেটা তো’ ভালোই বিশ মিনিটে কথা বলে শেষ করেছে।তোমাকে বাজে কিছু বলে নি’ তো আবার।দেখো মা’ তোমার ভাই জন্য আলাদা করে কথা বলতে দিয়েছি।আর কখনো দিব না।
তানহার মুখটা মলিন হয়ে গেলো।

–আপনি অনুমতি দিলে-ও আর যাব না মা’।মানুষ ভালো চোখে দেখে না।আবির ভাই তো’ আমার নিজের ভাই না।
–আমাকে একটু তেল গরম করে এনে দিবে মা’।
–একটু বসুন।আমি তেল গরম করে নিয়ে আসছি।
চৈতালি নিজের রুমে ব্যাগ রেখে তানহার রুমে আসলো।ইফাদ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাথায় চিরুনি করছে।চৈতালির চোখ যায়।বিছানায় পড়ে থাকা লাল ব্যাগ আর বেলি ভুলের দিকে।চৈতালির ফুলগুলো হাতে নিয়ে বলল।

–ভাইয়া এগুলো কার জন্য।
–তোর জন্য।
–আমার জন্য বুঝলাম।একটা আমার আরেকটা কার জন্য।তুমি তো’ দু’টো নিয়ে এসেছো।
–আরেকটা আম্মা জন্য।
–তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে।আম্মু এই বয়সে বেলি ফুলের মালা পড়ে ঘুরবে।সত্যি করে বলো কার জন্য নিয়ে এসেছিলে।

–তোর আর তানহার জন্য।ওর জন্য একটা ফোন নিয়ে এসেছি।ওকে দিয়ে দিস।
–তুমি নিয়ে এসেছো।তুমি দিও।তাহলে মনে মনে বউয়ের জন্য এতকিছু ভাবা হয়।
ইফাদ কোনো কথা বলল না একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল।
–আমার অনেক ক্ষুদা লেগেছে চৈতালি।আমার জন্য খাবার নিয়ে আয় যা’ তো’ বোন।
–ভাইয়া তোমার মন খারাপ কেনো’?কি হয়েছে এভাবে কথা বলছো কেনো।আমি ফুল নিয়েছি।তাই তুমি রাগ করেছো।আমি ফুল নিব না।তুমি ভাবিমনিকে-ই দিও।এই দেখো রেখে দিলাম।

–তুই আমার রাজকুমারী।তুই যদি আমার জীবনটা-ও নিয়ে নিস।তবু-ও আমি মন খারাপ করবো না।সারাদিন না খেয়ে আছি।তাই খারাপ লাগছে।
চৈতালি কথা বাড়ালো না।ভাইয়ের জন্য খাবার নিয়ে আসতে চলে গেলো’।
–ভাবি তুমি এখানে ভাইয়া এসেছে।দেখো নাই।ভাইয়া সারাদিন না খেয়ে আছে।
তানহার বুকের মধ্যে ধক করে উঠলো।ভয় লাগছে।আবার খারাপ-ও লাগছে।মানুষটা সকালে খেয়ে সারাদিনের জন্য বেড়িয়ে যায়।কি’ খায় না খায়।তানহা কখনো জানতে চায় নাই।

–আম্মাকে গরম তেল দিয়ে এখনই খাবার নিয়ে যাচ্ছি।
–তুমি আম্মুকে তেল দিয়ে আসো।আমি ভাইয়ার জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছি।তানহা গরম তেল দিয়ে ইফাদের রুমে আসলো।ইফাদ খাচ্ছে।চৈতালি ফুলের মালা নিয়ে নাড়াচাড়া করছে’।তানহাকে দেখেই চৈতালি বলল।
–ভাবি দাঁড়িয়ে আছো কেনো’।ভেতরে এসো’।
তানহা ভেতরে আসলে চৈতালি রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।ইফাদের খাবার শেষ হলে,সবকিছু বাহিরে নিয়ে যায়।রুমে এসে উসখুস করছে।তানহাকে উসখুস করতে দেখে ইফাদ বলল।

–কিছু বলবে’।
–আপনি রাগ করছেন।
–কেনো’?
–আমাকে আবির ভাইয়ার সাথে দেখে’।
–এখানে রাগ করার কি’ আছে।
–বুঝেছি আপনি অভিমান করেছেন।
ইফাদ শব্দ করে হেসে উঠলো।বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল।
–যেখানে অধিকার নিম্নতর।সেখানে অভিমান করাটা হস্যকর তানহা’।

তানহা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।বেলি ফুলের মালা।আর ফোনের ব্যাগটা তানহার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল।এগুলো তোমার জন্য।ইফাদ আর এক মুহুর্ত রুমে দাঁড়াল না।শীতের কাপড় পড়ে বাহিরে বেড়িয়ে গেলো।তানহা ইফাদের যাওয়ার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।ভেতর থেকে অদ্ভুত কষ্ট অনুভব করছে তানহা।

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৮

ইফাদ বাসায় আসার সময় চোখ যায় বেলি ফুলের মালার দিকে।একটা মেয়ে বেলি ফুলের মালা বিক্রি করছিল।ফুলগুলো দেখে ইফাদের কেনো জানি তানহার কথা মনে পড়ল।কিছু একটা ভেবে ফুলের মালা কিনল একটা।পরে চৈতালির কথা ভেবে দু’টো মালা কিনল।তানহার জন্য কেনা নতুন ফোন আর বেলি ফুলের মালা হাতে নিয়ে বাসায় ফিরছিল ইফাদ।আবির আর তানহা’কে একসাথে দেখে ইফাদে’র ফুরফুরে মনটা নিমিষেই মলিন হয়ে গেলো’।

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ১০