চৈত্রিকা পর্ব ২০

চৈত্রিকা পর্ব ২০
বোরহানা আক্তার রেশমী

গভীর রাতে ঘুমন্ত পুরো জমিদার বাড়ি। আকাশে চিকন এক চাঁদ আর তারার মেলা। বাহিরে থেকে থেকে শিয়ালের হাক ভেসে আসছে। এই গভীর রাতেই চিত্র এসেছে অর্পিতার ঘরে। ভেবেছিলো ঘরের দরজা বন্ধ হবে কিন্তু তার ভাবনা ভুল করে ঘরের দরজা খোলায় পায় চিত্র। চিত্র বেশ খানিকটা অবাক হলেও আলগোছে ঘরে ঢোকে। বিছানায় অর্পিতা, অর্থিকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে নিঃশব্দে এসে মেঝেতে হাটু মুড়িয়ে বসে।

কাঁপা কাঁপা হাতে অর্পিতার ব্যান্ডেজ করা হাতটা ধরে কয়েকটা ফাঁকা ঢোক গিলে। ব্যান্ডেজ হওয়া হাতটা কিছুক্ষণ ছুঁয়ে দিয়ে তাকায় অর্পিতার মুখের দিকে। মেয়েটার চোখ মুখ ফোলা ফোলা। চোখের পাতা তখনো ভেজা। চিত্র ফের কাঁপা কাঁপা হাতে অর্পিতার চোখের পাতা ছুঁয়ে দেয়। বিড়বিড় করে বলে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘আমার অন্যায়ের শা’স্তি আমাকে না দিয়ে কেনো নিজেকে দিতে চাইলি অর্পি? আমি তো জানি আমি খুব বড় একটা অন্যায় করেছি। তুই আমাকে কেনো শা’স্তি দিলি না? তুই আমাকে দুই চারটা থা’প্প’ড় দিতি! মা’রতি, কা’টতি! তোর যা মন চায় করতি কিন্তু নিজেকে কেনো শা’স্তি দিলি? কতোটা কষ্ট পেয়েছিস তাই না!’
চিত্রর চোখ থেকে আপনা আপনি পানি গড়িয়ে পড়ে অর্পিতার হাতে। চিত্র হাতটা আগলে নিয়ে আলগোছে মাথা রাখে হাতের ওপর। কোনো রকম কান্না না আটকে ফের বলে,

‘আমি তোকে অনেক বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছি তাই না অর্পি? আমি তো তোকে পাবার লো’ভে অ’ন্ধ হয়ে গেছিলাম। ভুল ঠিক ভাবার বিন্দুমাত্র জ্ঞানও ছিলো না আমার। কিন্তু যদি জানতাম এই একটা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তুই কষ্ট পাবি তবে আমি হাসিমুখে তোকে অন্যের হতে দেখতাম। তোকে যে বড্ড ভালোবাসি অর্পি। সেই কবে থেকে! আবেগের রঙে ভাসতে শুরু করার পর থেকেই তো তোর প্রতি দুর্বলতা আমার। আমি তোকে অনেক বেশি কষ্ট দিয়েছি তাই না? আমি খুব খারাপ তাই না অর্পি? আমাকে আর একটাবার ভালোবেসে শুধরে নিবি অর্পি? আমি আর কখনো তোকে কষ্ট দেবো না। একদম পাক্কা প্রমিজ!’

চিত্র কাঁদছে তখনো। প্রত্যেকটা পুরুষই হয়তো একজন নারীর প্রতি দুর্বল। আত্মসম্মান, ব্যাক্তিত্ব সবার ক্ষেত্রে খাটলেও দিনশেষে সবাই একজনের কাছেই আবেগী হয়ে পড়ে। কিশোর বয়সের প্রেমের মতো জীবনটাকে আরো একবার রঙিন বসন্ত করে তোলে। চিত্র অর্পিতার হাতে পর পর দুটো চুমু দিয়ে বলে,

‘আমি জানি আমি ক্ষমার অযোগ্য তবুও আমি তোর কাছে আজীবন ক্ষমা চেয়ে যাবো। তুই আমার হবি কি না জানা নেই তবে আমার অন্যায়ের জন্য আমি তোর পা ধরেও ক্ষমা চাইতে রাজি। নিজেকে কখনো কষ্ট দিস না প্লিজ। আমার ওপরে যত রাগ, অভিমান, অভিযোগ সব আমার ওপরেই দেখাস তবুও নিজের ক্ষতি করিস নাহ। তুই না চাইলে আমি কখনো তোর সামনেও আসবো না তবুও তুই নিজের ক্ষতি করিস না অর্পি। আমি যে কতটুকু ভালোবাসি তোকে তা কখনোই মুখে প্রকাশ করতে পারবো না। তুই তো জানিস আমি ভীষণ এলোমেলো। আমি পারি না গুছিয়ে কিছু বলতে। তুই তো আমাকে সব সময় বুঝে নিতিস! আরো একবার বুঝে নে না অর্পি!’

চিত্র এরপর কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকে। তারপর চোখ মুছে উঠে অর্পিতার কপালে ছোট্ট করে চুমু দেয়। কোনো রকমে এলোমেলো পায়ে বের হয়ে যায় ঘর থেকে। চিত্র চলে যাওয়ার সাথে সাথেই চোখ মেলে তাকায় অর্পিতা। ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকানোর চেষ্টা করে। চোখের কোণা বেয়ে জল গড়ায়। কপালে হাত রেখে কান্না ভেজা কন্ঠে বলে,
‘শুধু বাহিরের ক্ষ’তটা দেখলে চিত্র ভাই? ভেতরটা যে একদম রক্তা’ক্ত হয়ে আছে এটা একবারও দেখলে না! আমার প্রতি এই অসীম ভালোবাসা যদি এতো সব ঘটনার আগে দেখাইতা আজ আমরা দুজনে হয়তো একে অন্যের সাথে আষ্টেপৃষ্টে থাকতাম।’

সকাল বেলায় অর্পিতাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবে প্রহর, শিমুল। শায়লা এসে কয়েকবার স্মরণ আর শিল্পার কথা জিজ্ঞেস করলে কেউ কিছু বলেনি৷ কাল যা হয়েছে তাতে কারোরই মন মেজাজ ভালো না তারওপর শিল্পার কু’কর্মের কথা স্বীকার করাতে মেজাজ আরো খারাপ হয়ে আছে। কিন্তু নিজের বোনের এমন বি’শ্বাস’ঘা’তকতা কি আদৌও শায়লা মেনে নিতে পারবে? এটা কি সম্ভব? পল্লবী নিজ মনেই ভাবছিলো আর কাজ করছিলো। নাসিমা, নীরা হাতে হাতে কাজ করছিলো দেখে চৈত্রিকা নিজেও তাড়াতাড়ি আসে। পল্লবীর সাথে কাজে হাত দিয়েছিলো তখন নীরা নিচু স্বরে বলে,

‘এতো দেড়ি করলে যে! বড় ভাইজান উঠেছে ঘুম থেকে?’
চৈত্রিকা না বোধক মাথা নাড়ায়। তারপর নিজের কাজে মন দেয়। পল্লবী চৈত্রিকার সাথে কথা বলে না ঠিকমতো তবে আজ চুপ করে থাকলো না। চৈত্রিকাকে ছোট করে বললো,
‘বড় বউ! শায়লা কয়েকবার শিল্পা আর স্মরণের খোঁজ করেছে। আমি কিন্তু কিছুই বলিনি। ভাবছি মেয়েটা কি আদৌও মানতে পারবে আপন বোনের বি’শ্বাস’ঘা’তকতা!’

চৈত্রিকা এক পলক পল্লবীর দিকে তাকালেও প্রথমেই কিছু বলে না। নিজ কাজে মন দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে, ‘মানতে না পারলেও মেনে নিতে হবে। সত্য তো সবসময় সত্যই হয়। মানতে পারলেও শিল্পা খালা দোষী আর মানতে না পারলেও শিল্পা খালা দোষী। আমি তো ভেবেছিলাম কাকিকে আপনি সবটা বলেছেন কিন্তু এখন তো উল্টো কথা বলছেন!’
পল্লবী মুখ দিয়ে ‘চ’ শব্দ উচ্চারণ করে বলে, ‘যত সহজ ভাবছো তত সহজ নাকি বড় বউ? শায়লা মানতে পারবে না এসব।’
‘কেনো মানতে পারবে না? যেখানে নিজের স্বা’র্থের জন্য একজন মা তার মেয়েকে মে’রে ফেলতে চায় সেখানে বোনের সাথে বোনের বিশ্বাস’ঘা’তকতাটুকু বড় কোনো বিষয় না। তাই কাকি ঠিক বুঝবে। আপনি বুঝিয়ে বলেন সবটা। আর না পারলে আমাকে বলবেন আমি বলে দিবো।’

চৈত্রিকার নিঃসঙ্কোচে এমন কথা শুনে নাসিমা চমকায়। ফ্যালফ্যাল করে কিছুক্ষণ নিজের মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে ফাঁকা ঢোক গিলে। মেয়েটা এখনই অতীত টানতে শুরু করেছে কেনো? চৈত্রিকা আড়চোখে সবটাই দেখে। এর মধ্যেই শায়লা আসে। চৈত্রিকার দিকে তাকিয়ে বলে,
‘প্রহর ঘুম থেকে ওঠেনি বড় বউ? কখন যাবে ডাক্তারের কাছে?’

চৈত্রিকা স্বভাব সূলভ স্বাভাবিক ভাবেই বলে, ‘তারা তো ডাক্তারের কাছে যাবে না কাকি। ডাক্তার কাকা নিজেই আসবে।’
শায়লা ছোট্ট করে ‘ওহ’ বলে। চৈত্রিকা কাজ শেষ করে হাত ধুয়ে আপনমনে নিজেদের ঘরের পথে আসে। উদ্দেশ্য প্রহরকে ডেকে দিয়ে অর্পিতার ঘরে যাবে তাকে খাওয়াতে। কিন্তু পথিমধ্যে নিজের শাড়ির আঁচলে টান পড়ায় থেমে যায়। হুট করে এমন হওয়ায় ভেতরে ভেতরে চমকালেও ওপরে নিজেকে স্বাভাবিক রাখে। বড় বড় শ্বাস নিয়ে পিছু ফিরে দেখে পিয়াস দাঁড়িয়ে আছে। হাতে তার আঁচলের একটা অংশ। রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে আসে। মনে মনে কঠিন এক সিদ্ধান্ত নেয়। পিয়াসের হাত থেকে শাড়ির আঁচল টেনে নিতে নিলে তা আরো শক্ত করে চেপে ধরে পিয়াস। মুখে শ’য়’তা’নী হাসি ঝুলিয়ে নিয়ে বেশ রসিয়ে রসিয়ে বলে,

‘বড় ভাবীজান মনে হয় অনেক ব্যস্ত!’
চৈত্রিকা নিজের শাড়ির আঁচল ছেড়ে দিয়ে ভালো মতো দাঁড়ায়। তারপর পিয়াসের চোখে চোখ রেখে বলে, ‘জ্বি দেবর ভাই। আমি আসলেই এখন খুব ব্যস্ত। শাড়ির আঁচল ছাড়ুন!’
পিয়াস ছাড়ে নাহ। উল্টো শাড়ির আঁচলে টান দেয়। চৈত্রিকা তাল সামলাতে না পেরে দু পা এগিয়ে যায় পিয়াসের দিকে। পিয়াস নিজের হাসি ধরে রেখে বলে,
‘এতো ব্যস্ততা থাকলে চলবে? নিচে তো সবাই ব্যস্ত। আপনি না হয় একটু ব্যস্ততা কাটিয়ে দেবরের দিকে নজর দিলেন! তাতে ক্ষ’তি কি?’

চৈত্রিকা হাত বগলদাবা করে দাঁড়ায়। নিজেই এগিয়ে ১ হাতের দূরত্ব রেখে দাঁড়ায়। কন্ঠ স্বরে তেজ ধরে রেখে বলে, ‘অবশ্যই। তবে আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন যে আমি আপনার বড় ভাবীজান। প্রহর রেনওয়াজের বউ।’
‘ভুলবো কেনো ভাবীজান? আমি তো জানি আপনি আমার বড় ভাইয়ের বউ। এজন্যই তো আসলাম আপনার কাছে অল্প কিছু শিখতে।’

কথাটুকু বলতে দেড়ি হলেও চৈত্রিকা থা’প্প’ড় মা’রতে এতটুকুও সময় বিলম্ব করেনি। গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়েই থা’প্প’ড়টা দিয়েছিলো আর এজন্যই পিয়াস দু পা সরে গেছে। চৈত্রিকা টান দিয়ে শাড়ির আঁচল ছাড়িয়ে নিয়ে নিজের গায়ে ভালোমতো জড়িয়ে নেয়। পিয়াস র’ক্তচক্ষু নিয়ে তাকায় তার দিকে৷ চৈত্রিকা হেঁসে বলে,
‘আমিও আপনাকে একটু শিক্ষা দিলাম দেবর ভাই। বড় ভাবীর আঁচলে টান দেওয়া কত বড় অ’ন্যায় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম। তা দেবর ভাই শিক্ষা কি হয়েছে নাকি আরো একটু লাগবে?’

পিয়াস রাগে কটমট করে ওঠে। আঙুল উচিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে, ‘কাজটা ভালো করলি না।’
চৈত্রিকা দ্বিগুণ রেগে এগোলো। পিয়াসের মতো আঙুল তুলে চোয়াল শক্ত করে বলে, ‘কাজটা শুধু ভালো না একদম মহৎ একটা কাজ করছি। তোর মতো জা’নো’য়া’রকে কেউ শিক্ষা দিতে পারে না তবে আমি একটু একটু করে দিবো। আমি মহুয়া না যে তোর মিষ্টি কথায় গলে যাবো! আমি চৈত্রিকা। আমাকে ছুঁতে আসলেও তোর হাত পু’ড়’বে। আর তোকে থা’প্প’ড় মা’রায় কি করে নিবি করে নে! তুই অন্যায় করছিস আমি শা’স্তি দিয়েছি এতে তোর বাপেরও ক্ষমতা নাই চৈত্রিকার একটা চুল বাঁকা করবে।’

চৈত্রিকার আগুন চোখে তাকিয়ে পিয়াসের গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। মেয়েটাকে যতটা সাদা সিধে ভেবেছিলো সে যে এতোটাও সাদাসিধা না তা হাড়ে হাড়ে বোঝা শেষ পিয়াসের। মনের মধ্যের জিদ মাথা চা’ড়া দিয়ে ওঠে। চৈত্রিকার আগুন চেহারার দিকে তাকিয়ে দুর থেকে হাসে প্রহর। হাতটা মুষ্টিবদ্ধ করে নিয়ে বিড়বিড় করে আওড়ায়,
‘চৈত্রিকা প্রহর রেনওয়াজ। একদম পার্ফেক্ট জীবনসঙ্গী।’

অর্থিকে আজ আর পড়াতে আসেনি নিবিড়। অর্পিতার বিষয়ে জানার পর আর কালকে অর্থির অভিমানের পর সে ভেবেছে অর্থিকে একটু হালকা হওয়ার সময় দিক। বেচারী অর্থি নিবিড়িরের ওপর ভীষণ করে অভিমান করেছে। নিবিড় আসেনি বলে সেও কিছু বলেনি৷ পল্লবীকে নিবিড় গতকালই বলে গেছে আজ আর পড়াতে আসবে না৷ অর্পিতা অসুস্থ বিধায় ঘর থেকে বের হচ্ছে না। চৈত্রিকা অর্পিতার সাথে আছে। এই ফাঁকে অর্থি বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। মন খারাপ নিয়ে চুপচাপ চলে এসেছে জমিদার বাড়ির বড় দীঘির সামনে।

সময়টা তখন সন্ধ্যার আগে। গোধূলি লগ্ন। আকাশের লাল আভার দিকে তাকিয়ে দু পা পানিতে ভিজিয়ে রেখেছে। রোদ নেই তবে আকাশের এই লালাভটা যেনো অর্থির মুখের ওপরেই পড়ছে। বোকা অর্থি অনেক অনেক চিন্তা ভাবনার মধ্যে ডুবে ছিলো। খেয়ালই করেনি তার মাষ্টারমশাই তার পাশে এসে বসেছে। নিবিড় অনেকটা সময় পরও অর্থির সাড়াশব্দ না পেয়ে নিজেই গলা পরিষ্কার করে। অর্থি চমকে তাকায়। নিবিড়কে দেখে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে তার মুখের দিকে। নিবিড় ঠোঁট কামড়ে হেঁসে বলে,

‘আমি কিন্তু তোমার স্বপ্ন না। আবার স্বপ্ন ভেবে ভুলভাল বকো না।’
অর্থি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়। নিবিড়ের মুখটা কালো হয়ে যায়। চোখ ছোট ছোট করে অর্থির মুখের দিকে তাকিয়ে বলে, ‘মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছো কেনো? কথা বলবে না?’
অর্থি জবাব দেয় না। নিবিড় দুটো জবা ফুল তুলে ধরে অর্থির সামনে। অর্থি একবার তাকিয়ে ফের নজর সরিয়ে নিয়ে বলে, ‘এগুলোর প্রয়োজন নেই মাষ্টারমশাই। আপনি আজ পড়াতে আসলেন না যে!’

নিবিড় বোঝে অর্থি তার ওপর অভিমান করে আছে। অসহায় চোখে তাাকিয়ে থাকে অর্থির মুখপানে। অর্থির সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই৷ নিবিড় কয়েকবার ফাঁকা ঢোক গিলে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,
‘দেখো অর্থি! আমি দুঃখিত। আমি কাল বুঝতে পারিনি। তাছাড়া তোমাকে তো আমি মা’রি না বলো! তুমি একেবারেই খুব ফাঁকি দিচ্ছো ইদানীং এর জন্যই রেগে কিছু না শুনে না বুঝে মে’রেছি। আমি তো তোমার ভালোর জন্যই…’
‘আমি কি আপনাকে কিছু বলেছি মাষ্টারমশাই? আপনি আমার মাষ্টারমশাই তাই আমাকে মা’রতেই পারেন। আর আপনি কাল থেকে পড়াতে আসবেন আমি ভালো মতো পড়া করে দিবো।’

চৈত্রিকা পর্ব ১৯

নিবিড়কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে যায় অর্থি। অর্থির হঠাৎ পরিবর্তন হজম হয় না নিবিড়ের। হজম করতে তার সময় লেগে যায় বেশ অনেকটা। অর্থির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে বিড়বিড় করে,
‘এটা কি সত্যিই অর্থি ছিলো! সেই অর্থি!’

চৈত্রিকা পর্ব ২১+২২