চৈত্রিকা পর্ব ২

চৈত্রিকা পর্ব ২
বোরহানা আক্তার রেশমী

পড়ার রুমে চেয়ারে বসে বসে কলম চিবুচ্ছে চৈতালী। বার কয়েক আড়চোখে তাকিয়েছে তার মাষ্টারমশাই নিবিড়ের দিকে। নিজের খাতার দিকে তাকিয়ে বিরক্ত হলো সে। কলম রেখে উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বললো,
‘মাষ্টারমশাই একটা কথা বলি?’
নিবিড় গম্ভীর স্বরে বললেন, ‘আগে যা করতে দিয়েছি তা করো!’
‘আগে কথাটা বলি!’
‘নাহ।’

চৈতালী ঠোঁট উল্টায়। গাল ফুলিয়ে দুগালে হাত রেখে নিজের অঙ্ক খাতার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ফের চকচকে চোখ নিয়ে বললো, ‘মাষ্টারমশাই জানেন আমার সই হিমানীর ক’দিন পর বিয়ে। ওর বাবা ওর জন্য কতো কতো জিনিস কিনে এনেছে৷ ইসস কি সুন্দর বেনারসি, গহণা। আচ্ছা মাষ্টারমশাই ওর বিয়ে উপলক্ষে আমাকে ছুটি দিবেন না?’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

নিবিড় এবার চোখ মুখ কুঁচকে তাকায় চৈতালীর দিকে। এ মেয়েটা পড়ালেখায় এতো ফাঁকিবাজ কেনো সে ভেবে পায় না! আচ্ছা জমিদার বাড়ির মেয়ের মাথায় এতোই গোবর পড়া কেনো? হবে না! পড়ে কম সারাদিন লাফানো, ঝাঁপানো আর বকবক নিয়েই ব্যস্ত থাকে। নিবিড় না পারে দু ঘা লাগাতে আর না পারে এসব সইতে। নেহাৎ ই জমিদারের মেয়ে বলে সে বাধ্য হয়েই পড়াচ্ছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে একবার চৈতালীর খাতার দিকে তাকিয়ে বলে,

‘তুমি অঙ্কটা শেষ করবে নাকি আমি তোমার মেজো ভাইকে ডাকবো?’
চৈতালী ফট করে খাতায় মন দেয়। মেজো ভাইকে সে প্রচন্ড ভয় পায়। এর আগে দুবার চৈতালীকে থা’প্প’ড় মে’রেছিলো। মাঝে মাঝে চৈতালী এর ওর বিয়ে দেখে আর আফসোসের সুরে বলে, ‘ইশশ এরা সবাই বিয়ে করে পড়ালেখা থেকে কি সুন্দর ছুটি পেয়ে গেছে। কবে যে আব্বাজান আমার বিয়েটা দিবে!’

নিবিড় চুপচাপ চৈতালীর অঙ্ক খাতার দিকে তাকিয়ে থাকে। সামনে মেয়েটার এসএসসি পরীক্ষা অথচ পড়াশোনায় পুরোটাই ডাব্বা। চয়ন রেনওয়াজের ৩ পুত্রের পর এই একটি মাত্রই কন্যা। সবচেয়ে আদরের। মেয়েটা ভীষণ বোকাসোকা। সারাদিন বাচ্চাদের মতো লাফানো আর অতিরিক্ত কথা বলা ছাড়া কিছু পারে না। চয়ন রেনওয়াজ মাঝে মাঝে ভীষন চিন্তায় পড়ে যায়। এই তো কিছুদিন আগে টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে।

অনেকে ১/২ সাবজেক্টে ফেল করলেও চৈতালী ফেল করেছে পুরো ৫ টা সাবজেক্টে। অদ্ভুত ভাবে তার মধ্যে বাংলাও আছে৷ অঙ্কে পুরো ১০০ এর মধ্যে ইয়া বড় গোল্লা নিয়ে বসে আছে৷ যেখানে চয়নের বড় ছেলে প্রহর আর ছোট ছেলে চিত্র পড়ালেখায় সবসময় প্রথম সেখানে চৈতালীর এহেন রেজাল্ট দেখে পুরো বাড়ি হতাশ। মেজো ছেলে পিয়াস এইচএসসি পরীক্ষার পর পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিলো তবুও তো তার রেজাল্ট এতো খারাপ না। এসব ভাবলেই চয়ন শুধু হতাশার শ্বাস ফেলে৷ আদরের একমাত্র মেয়ে হওয়ায় সে কিছু বলেও না।

চৈতালীর গোবর পড়া মাথার জন্য তার কোনো শিক্ষকও টিকে না। সবাই জমিদারের কাছে ভয়ে ভয়ে হলেও বলে দেয় এই মেয়েকে তারা পড়াবে না। শেষমেশ সে এই গ্রামে ছেলেমেয়েদের পড়ায় নিবিড়কে ধরে এনেছে মেয়েটার মাথার গোবর থেকে সার উৎপাদনের জন্য৷ তবে মনে হয় না এ কাজ নিবিড়ের দ্বারা হবে বলে! নিবিড় যখন নিজের ভাবনায় ব্যস্ত তখন চৈতালী কলমের গুতো দেয় তাকে। অন্যমনষ্ক হওয়ায় খানিকটা চমকায় নিবিড়। পরক্ষণেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
‘কি হয়েছে তোমার? আমি কিন্তু সত্যি সত্যি তোমার মেজো ভাইকে ডেকে আনবো।’

চৈতালী চোখের পাতা বার কয়েক ঝাপটিয়ে ভীত স্বরে বলে, ‘আপনি সবসময় এমন করেন কেনো মাষ্টারমশাই? একটাই তো কথা বলবো। এতে মেজো ভাইকে কেনো ডাকবেন?’
‘যা বলবে তাড়াতাড়ি বলে অঙ্কে মন দাও নয়তো এবার পিঠে লাঠির বা’রি পড়বে।’
‘কিছুদিন পর হয়তো বড় ভাইজানের বিয়ে। তখনও কি আমাকে ছুটি দিবেন না মাষ্টারমশাই?’
নিবিড় অবাক হয়ে বলে, ‘তোমার বড় ভাইয়ের বিয়ে?’

চৈতালীর চোখ চকচক করে ওঠে। মাথা কিছুটা নিবিড়ের দিকে এগিয়ে ফিসফিস করে বলে, ‘হ্যাঁ। আমি লুকিয়ে লুকিয়ে শুনেছি আম্মাজানের কথা। হয়তো এমাসেই ভাইজানের বিয়ে।’
‘কার সাথে বিয়ে?’
চৈতালী মন খারাপ করে বলে, ‘সে তো জানি না। তবে ভাবীজান নাকি অনেক রুপবতী। একদম চন্দ্রের মতো। কিন্তু আমার মহুয়া ভাবীই বেষ্ট ছিলো৷ কেনো যে সে চলে গেলো!’

চৈত্রিকা আর সাথী ফাঁকা ঢোক গিলে ধীরে সুস্থে পিছনে ফিরে তাকায়। একটা ছোট ছেলেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হাফ ছেড়ে বাঁচে। ছেলেটা তখনো তাদের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চৈত্রিকা আর সাথীর কোনো উত্তর না পেয়ে সে এগিয়ে আসে। মাথা উঁচিয়ে দুজনকে দেখে বেশ ভাবুক স্বরে বলে,
‘মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা কেনো? এখানে কি করছিলে তোমরা?’
চৈত্রিকা খানিকটা হাসে। বাচ্চা ছেলেটার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, ‘এমনিতেই এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম গো।’
‘তাহলে এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো? জানো না এখানে জমিদাররা থাকে।’

‘হ্যাঁ আসলে আমার বোনের ভীষণ পানি পিপাসা পেয়েছিলো তাই দাঁড়িয়ে গেছি। আমরা এক্ষুণি চলে যাবো। তুমি যাবে?’
পিচ্চিটা কিছুক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ঠোঁট প্রশস্ত করে হাসে। চৈত্রিকা আর সাথীর সাথে পা মিলিয়ে সেও হাঁটতে হাঁটতে বলে, ‘তোমরা পানি খেয়েছো নাকি এনে দেবো?’
‘নাহ নাহ খেয়েছি। তুমি এখানেই থাকো?’
‘হ্যাঁ আমার মা জমিদারের বাড়িতে কাজ করে।’

চৈত্রিকা ‘ওহ’ বলে। পিচ্চি ছেলেটার সাথে কতক্ষণ এটা ওটা নিয়ে কথা বলে। জানতে পারে ছেলেটার নাম আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাহ খুব সহজেই মিশে গেলো চৈত্রিকার সাথে। চৈত্রিকার মুখের কাপড় দেখে ওদিকে আঙুল তুলে বলে,
‘তোমরা এমন মুখে কাপড় বেধেছো কেনো?’
‘আব..আসলে হয়েছে কি! আমাদের বাড়ির নিয়ম এটা।’
আব্দুল্লাহ ঠোঁটের কোণে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ভেবে বলে, ‘ওহ আচ্ছা।’

সাথী, চৈত্রিকা, আব্দুল্লাহ এগোতে এগোতে গল্প করে। একপর্যায়ে চৈত্রিকা হাসতে হাসতে বেশ কৌশলে জিজ্ঞেস করে প্রহরের কথা। আব্দুল্লাহ ফাঁকা ঢোক গিলে মুখটা শুকনো করে ফেলে। বেশ মিনমিনে স্বরে বলে,
‘ওই জমিদারপুত্রের কথা আমাকে বলিও না। আমি কিছু জানি না।’
বলেই চৈত্রিকার হাত ছেড়ে ছুটে পালায়। চৈত্রিকা কপালে ভাজ ফেলে সেদিকে তাকিয়ে থাকে। সাথী ভীত দৃষ্টিতে তাকায়। আতঙ্কিত স্বরে বলে, ‘আব্দুল্লাহ ভয় পেয়েছে বলে মনে হলো না!’

চৈত্রিকা মাথা নাড়ায়। ভীতু বোনটির হাত শক্ত করে চেপে ধরে। তারপর নিজেদের বাড়ির দিকে হাঁটা লাগায়। চৈত্রিকাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দুর থেকে হাসে কেউ। চৈত্রিকারা চোখের আড়াল হতেই তার অবয়বও মিলিয়ে যায় ক্ষণ মুহুর্তেই।

চারদিকে অন্ধকারে ছেয়ে আছে। ঝিঝিপোকার শব্দ আর থেকে থেকে শেয়ালের ডাক ভেসে আসছে দুর থেকে। সবকিছু উপেক্ষা করে এই রাতের অন্ধকারেই চৈত্রিকা বসে আছে দীঘির পাড়। আঁচল মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। চাঁদের আলো সরাসরি তার মুখে আছড়ে পড়ছে। এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে পানির দিকে। আশে পাশে কি হচ্ছে তার বিন্দুমাত্রও ভ্রুক্ষেপ নেই। স্বচ্ছ জলে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখে হাসে। বিড়বিড় করে বলে,

‘চন্দ্র!’
সে সময় ধীর পায়ে এগিয়ে আসে সাথী। মেয়েটা তুলনার চেয়ে একটু বেশিই ভীতু। বার কয়েক ঢোক গিলে বলে, ‘এই চৈত্র তুই রাতের বেলা এখানে কি করিস? আব্বা জানলে কি হবে!’
চৈত্রিকা জবাব না দিয়ে হাসে। শান্ত চোখে তাকায় সাথীর দিকে৷ সাথী চমকে ওঠে। ভীত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে নিজের শাড়ি আঁকড়ে ধরে। চৈত্রিকা স্বাভাবিক ভাবেই বলে,
‘এখানে বোস! গল্প করি।’

সাথী কোনোরকমে ভাঙা ভাঙা ভাবে বলে, ‘ন-নাহ। তুই বাড়ির মধ্যে আয়।’
চৈত্রিকা মুখ ফিরিয়ে নেয়। চোখে মুখে ভেসে ওঠে ভ’য়ং’কর রাগ। নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে দু পা এগিয়ে রাতের বেলাতেই চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে নেয়। তারপর পানির দিকে নিজের কাঁপা কাঁপা প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে শান্ত কন্ঠে বলে,
‘বি’শ্বাসঘাতকার শাস্তি কি সাথী?’

সাথী চমকায়। দ্রুত পায়ে চৈত্রিকার কাছে এসে তার হাত চেপে ধরে। হাত ধরে টেনে তুলতে তুলতে বলে, ‘রাতের বেলাতে একা একা চলে আসিস তোর ভয় করে না?’
‘সে রাতের পর আমার ভেতরে আর ভয় বলে কোনো বস্তু নেই।’

সাথী আর জবাব দেয় না। টেনে নিয়ে কোনো রকমে বাড়ির ভেতরে ঢোকে। সবাই ঘুমে ব্যস্ত। রাতের বেলাতে চৈত্রিকাকে দেখতে মাঝে মাঝে খুব ভয় লাগে সাথীর। অন্যদিন সাথীর মা যায় চৈত্রিকার কাছে তবে আজ তার মা নেই। সাথী চৈত্রিকাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে দরজা আটকে দেয়। চৈত্রিকা কোনো শব্দ না করে শুয়ে পড়ে৷ সাথী তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। চোখ বন্ধ করে নেয় চৈত্রিকা। চোখের সামনে ভেসে ওঠে রক্তমাখা বাবার মুখ। বার বার বলছে, ‘পালিয়ে যা চৈত্র।’
ধপ করে চোখ মেলে। সাথীকে বলে, ‘তুই ঘুমিয়ে পড়। আমি একাই ঘুমিয়ে যাবো।’
সাথী দীর্ঘশ্বাস ফেলে পাশে শুয়ে পড়ে৷ দুজনের মাঝে অনেকক্ষণ নীরবতার পর সাথী মিনমিন করে বলে, ‘তুই কি সত্যিই বিয়েটা করবি চৈত্র? ভেবে দেখেছিস এসবের পর কি হতে পারে!’

‘ভেবেছি। আর এসবের পর ধীরে ধীরে পাপমুক্ত হবে। জমিদারের পাপের বোঝা একটু বেশিই হয়ে গেছে।’
চৈত্রিকার নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নেওয়া দেখে বেশ অবাক হয় সাথী। কিছু বলতে নিবে তার আগেই দরজায় খট খট শব্দ হয়। সাথী ভয়ে আঁকড়ে ধরে চৈত্রিকার হাত। চৈত্রিকা একবার সাথীর দিকে তাকিয়ে আরেকবার তাকায় দরজার দিকে। পর পর দুবার দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হওয়ার পর একাই থেমে যায়। সাথী ভয়ে ভয়ে বলে,

‘আব্বা আসলো নাকি চৈত্র?’
‘তোর আব্বা এখনো এতো কু’লা’ঙ্গা’র হয়নি যে মেয়ের ঘরে আসবে কু’ক’র্ম করতে।’
সাথীর মুখটা শুকিয়ে যায়। তবে আঁকড়ে ধরে থাকা হাতটা নরম হয় না। চৈত্রিকা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সাথীর হাত ছাড়াতে নিলে সেই হাত আরো শক্ত করে ধরে সাথী। মাথা নাড়িয়ে বোঝায় ‘নাহ’। তবে সে বারণ শোনে না চৈত্রিকা। ধীর স্বরে আশ্বস্ত করে বলে,

“ভয় পাস না। আমি আছি তো!’
তবুও সাথী ছাড়তে চায় না। চৈত্রিকা জোড় করে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে ঘরের কোণা থেকে রাম দা তুলে নেয়। ধীর পায়ে এগিয়ে আস্তে ধীরে দরজা খুলে দেখে ওপাশে কেউ নেই। ভ্রু কুঁচকে আশে পাশে তাকিয়ে জায়গাটা পরখ করে নিয়ে নিচে তাকাতেই চোখে পড়ে একটুকরো সাদা কাগজ। চৈত্রিকা দা হাতে নিয়ে সাবধানে কাগজ তুলে নিয়ে দরজা আটকায়। বিছানায় এসে আলগোছে কাগজটা খুলতেই চোখে পড়ে বড় বড় অক্ষরে লিখা,

‘সাবধান। কাল প্রহর রেনওয়াজ তোমার সাথে দেখা করতে আসবে।’
চৈত্রিকা ঠোঁট বাকিয়ে হাসে। সাথী উঁকি দিয়ে লিখাটা পড়ে বেশ চমকায়। উত্তেজনা, ভয়ে হালকা জোড়ে বলে ফেলে, ‘প্রহর রেনওয়াজ আসবে মানে কি? উনি কেনো আসবে?’
চৈত্রিকা সাথে সাথে সাথীর মুখ আটকে ধরে। চোখ রাঙিয়ে বলে, ‘তোর বাপ রে জানাচ্ছিস চিল্লাইয়া চিল্লাইয়া?’
সাথী শান্ত হয়। বেশ শান্ত স্বভাব নিয়েই বলে, ‘তোকে এই কাগজ দিয়ে গেলো কে? আর সে জানলো কেমনে কাল প্রহর রেনওয়াজ আসবে?’

চৈত্রিকা পর্ব ১

‘ঘুমা। অনেক রাত হয়ে গেছে।’
সাথী বুঝলো চৈত্রিকা বিষয়টা এড়িয়ে গেলো। কে ওকে খবর দিলো! কে পেছন থেকে সাহায্য করছে ওকে! মাথায় হাজারটা প্রশ্ন নিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়। চৈত্রিকা কাগজ টা হাতে নিয়ে অদ্ভুত স্বরে বলে,
‘তবে প্রথমবারের মতো কোনো এক প’শু’র মুখোমুখি হবো।’

চৈত্রিকা পর্ব ৩