চৈত্রিকা পর্ব ৩

চৈত্রিকা পর্ব ৩
বোরহানা আক্তার রেশমী

সকাল সকাল আজম আলী জমিদার বাড়িতে হাজির হয়েছে। জমিদার গিন্নি পল্লবী তাকে ভদ্র ভাবে বসতে দিলেও মনে মনে সে ভীষণ চোটে আছে। এই গ্রামের সব থেকে চরিত্রহীন লোক হচ্ছে আজম আলী। যেকোনো মেয়ে থেকে মহিলা সবাই তার থেকে যথেষ্ট দুরত্ব বজায় রাখে। সেই লোককে নিজের বাড়িতে দেখে মাথায় আগুন জ্বলছে পল্লবীর৷ চয়ন রেনওয়াজের ওপর সে ভীষণ রকম ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। কোনো রকমে একজন দাসীকে দিয়ে টুকটাক নাস্তা পাঠিয়েছে সে। অথচ আজম আলী সেই দাসীর সাথেও অস’ভ্যতা করার চেষ্টা করে। দাসী এসে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ভাঙা ভাঙা ভাবে বলে,

‘গিন্নি মা দয়া করে আমাকে আর লোকটার ফরমায়েশ খাটতে কইবেন না৷’
পল্লবী ফোঁস করে ওঠে। দাসীকে যেতে বলে সে অন্দরমহলে যায়। নিজের রুমে বেশ আয়েশ করে তখনও শুয়ে ছিলো চয়ন রেনওয়াজ। পল্লবী কপট রাগ দেখিয়ে বলে,
‘আপনার কি খেয়ে কাজ নেই? ওই আজম আলীকে বাড়িতে ঢোকার অনুমতি কেনো দিয়েছেন?’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

চয়ন খানিকটা ভ্রু কুঁচকে তাকায়। বলে, ‘সে আবার কি করলো গিন্নি?’
‘আপনি জানেন না সে কি করেছে বা করতে পারে? যান তো! গিয়ে দেখুন ল’ম্প’টটা কি কাজে এসেছে! যা কাজ আছে সেড়ে দ্রুত বিদেয় করুন।’
পল্লবীর রাগ বুঝলো চয়ন। এমনিতে সহজে তার মুখের ওপর কোনো কথা বলে না তার গিন্নি কিন্তু আজম আলীকে দেখলেই রেগে যায়। চয়ন চুপচাপ দরজা দিয়ে বেড়োতে নিলে পল্লবী বেশ শান্ত কন্ঠে বলে,
‘আপনি কি সত্যি ওই চ’রিত্র’হীনটার ভাগ্নীকে আমার প্রহরের বউ করে আনবেন? ওর মতো ওর ভাগ্নীটার আবাার চরিত্রে দোষ নেই তো?’

চয়ন এবার বেশ গম্ভীর হলেন। কোনো জবাব না দিয়ে চুপচাপ গটগট শব্দ তুলে বের হয়ে গেলেন। পল্লবী ঘরে থাকা বিশাল আয়নাটার সামনে বসে। নিজেই নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে কিয়ৎক্ষণ হাসে।
চয়ন হলরুমে এসে আজম আলী কে বসে থাকতে দেখে তার পাশেই বসে। আজম আলী বেশ উশখুশ করছে। চয়ন তা খেয়াল করেও চুপচাপ বসে রইলেন। কতক্ষণে আজম আলী মুখ খোলে তার আশায় রইলেন তিনি। আজম আলী বেশ অনেকটা সময় নিয়ে বললো,

‘জমিদার সাহেব আমি জানি কাল আপনার সাথে এ নিয়ে আমার কথা হয়েছে তবুও আজ আরো একবার বলছি! দয়া করে বেয়াদবি মাফ করবেন। আপনারা কি সত্যিই চৈত্রিকাকে বাড়ির বউ করতে চান? মানে আরো একবার ভালো করে ভেবে দেখলে হতো না?’
চয়ন কোনো জবাব দেওয়ার আগেই ভেসে আসে কর্কশ, গম্ভীর এক পুরুষালী কন্ঠ, ‘ভেবে দেখার তো কিছু নেই আজম আলী। আর চৈত্রিকাকে বিয়ে করতে চাওয়ায় তোমার কেনো এতো সমস্যা হচ্ছে? তোমার কি এবার নিজের ভাগ্নীর দিকেও নজর পড়লো নাকি!’

এ কথায় বেশ ঘাবড়ে গেলেন আজম আলী। চয়নকে সে যতটা না ভয় পায় তার চেয়েও দ্বিগুণ বা কয়েকগুণ বেশি ভয় পান প্রহরকে। বার কয়েক ফাঁকা ঢোক গিলে আস্তে করে তাকায় প্রহরের দিকে। গায়ে একটা শুভ্র রঙের পাতলা শার্ট জড়িয়ে তার ওপরের বোতাম খোলা রেখেছে প্রহর। হাত দুটো গুজে রেখেছে প্যান্টের পকেটে। চুলগুলো এলোমেলো। ভ্রু জোড়া কুঁচকানো। ঠোঁটে লেগে আছে অদ্ভুত এক হাসি।

চেহারায় জমিদার জমিদার ভাবটা বেশ এটে সেটে রয়েছে। নিঃসন্দেহে জমিদারের বড় পুত্র সুদর্শন। এই সুদর্শন পুরুষের জন্য নারীরা যেমন মরিয়া হয়ে যায় ঠিক তেমনই এই সুদর্শন চেহারার পিছনের ভ’য়ং’কর রুপের কথা জানলে এই পুরুষের চেয়ে অন্তত ৫০ হাত দুরে থাকে। আজম আলীর কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম আর ভীতু মুখ দেখে বেশ মজা পায় প্রহর। নিজের মতো করে সোফায় গা এলিয়ে বসে পড়ে৷ তারপর বেশ ঠান্ডা স্বরে প্রশ্ন করে আজম আলীর উদ্দেশ্যে,

‘চৈত্রিকার সাথে আমার বিয়েতে ঠিক কি সমস্যা আজম আলী?’
আজম আলী আশ পাশ হাতড়েও কিছু বলার মতো পেলো না। মাথা নিচু করে বসে রইলো। রীতিমতো ঘাম ছুটে যাচ্ছে তার। প্রহর শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলো কিছু সময়। তারপর চোয়াল শক্ত করে বললো,

‘তোমাকে আমি কু’র’বা’নী দেওয়ার আগে ভালো হয়ে যাও আজম আলী। আমি যদি একবার তোমার মু’ন্ডু ধরি তবে তা মাথা থেকে আলাদাা করতে সময় নিবো না। চৈত্রিকার সাথে বিয়েটা আমার হবেই। আর তা আমি যখন বলবো তখনই। তাছাড়া আমার জানামতে চৈত্রিকার কোনো আপত্তি নেই এই বিয়েতে। অবশ্য থাকলেও তা আমি শুনতাম না। যায় হোক আজ বিকেলে চৈত্রিকার সাথে দেখা করবো আমি। কোনো রকম চালাকি করলে খুব একটা ভালো হবে না।’

আজম আলী প্রত্যেকটা বাক্যে কেঁপে উঠলেন। প্রহরের কন্ঠে কিছু একটা তো ছিলো যার কারণে আজম আলী ভয়ে রীতিমতো ঘেমে গোসল করে ফেলেছেন। চয়ন শুধু পুরোটা সময় ছেলের কথার দাপট দেখে গেলো। একদম যোগ্য জমিদারপুত্র। চয়ন মুচকি হাসে। মনে মনে নিজের শ’য়’তা’নী বুদ্ধির যোজন বিয়োজন করতে থাকে।

দুপাশে দুই বেনুনি ঝুলিয়ে নাচতে নাচতে বের হয়েছে চৈতালী। পড়ালেখা করতে তার ভাল্লাগে না তাই ঠিক করেছে এখন হিমানীর বাড়ি গিয়ে আড্ডা দিবে। ক’দিন পর তো বিয়েই হয়ে যাবে তখন তো আর তার সাথে কথাও হবে না। ভেবেই একটু পর পর ঠোঁট ফুলাচ্ছিলো চৈতালী। চৈতালী মুখ ফুলিয়ে যখন সামনে এগোতে ব্যস্ত তখনই দুর্ভাগ্যবশত সামনে পড়ে যায় নিবিড়। নিবিড়কে দেখে ফাঁকা ঢোক গিলে চৈতালী। চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করে। নিবিড় চোখ মুখ কুঁচকে গম্ভীর স্বরে বলে,

‘এই মেয়ে নেচে নেচে কোথায় যাচ্ছো? পড়ালেখা নেই? ওদিকে কি?’
‘আসলে মাষ্টারমশাই আমি তো একটু হিমানীর বাড়ি যাচ্ছি। ‘ও’ না ডেকেছে আমাকে!’
চৈতালী কথা বলার সময় বার বার চোখের পলক ফেলছিলো খেয়াল করে নিবিড় গাঢ় দৃষ্টিতে তাকায়। কন্ঠের গাম্ভীর্যতা ধরে রেখে বলে, ‘সারাদিন এসব করে বেড়ানো ছাড়া কোনো কাজ নেই? হিমানী তোমাকে ডেকেছে? মিথ্যা বলা শিখেছো খুব!’
চৈতালী চোখ পিটপিট করে তাকায়। এই মাষ্টারমশাই কেমনে বুঝে যায় যে সে মিথ্যা কথা বলছে! মাষ্টারমশাই কি ম্যাজিক জানে নাকি! চোখ চকচক করে ওঠে চৈতালীর। বেশ উৎফুল্ল স্বরে বললো,

‘মাষ্টারমশাই আপনি কি ম্যাজিক পারেন?’
নিবিড় কপালে ভাজ ফেলে তাকায়। তারপর চৈতালীর বিনুনি টেনে দিয়ে বলে, ‘বাড়ি যাও। সোজা পড়তে বসবে!’
‘সারাদিন কি কেউ পড়ে মাষ্টারমশাই?’
‘তুমি কি পড়তে বসেছিলে সারাদিনে একবারও? মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করলে তোমার আব্বাজান তোমাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।’

চৈতালী লাফিয়ে ওঠে। বিনুনি নাচাতে নাচাতে বেশ আনন্দের স্বরে বলে, ‘মাধ্যমিকে ফেল করলে আব্বাজান সত্যি আমার বিয়ে দিয়ে দিবে? তাহলে তো আর পড়তে হবে না তাই না!’
নিবিড়ের ইচ্ছে করলো নিজের কপাল নিজে চাপড়াতে। মনে মনে সে নিজের কপাল চাপড়েও নিলো তবে চৈতালীর সামনে চোখ রাঙিয়ে তাকালো৷ চৈতালী সে চোখে তাকিয়ে খানিকটা ঘাবড়ে পিছিয়ে যায়। ভীতু ভীতু চোখে তাকিয়ে বলে,
‘ওমন রা’ক্ষ’সের মতো তাকান কেনো? আমার বুঝি ভয় করে না! আমার তো ছোট্ট একটা হৃদয় ওমন করে তাকালে হৃদয়টা যদি ভয়ে ভেঙেই যায়!’

নিবিড়ের ভীষণ হাসি পেলো। তবে সে হাসলো না৷ নিজের শার্ট ঠিক করে নিয়ে বললো, ‘হিমানীদের বাড়ি যাচ্ছো তো! চলো আমিও বাড়ির দিকে যাচ্ছি।’
চৈতালী মাথা নাড়ালো। আগের মতোই বেনুনি নাচাতে নাচাতে নিজেও লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটা শুরু করেছে। পেছন থেকে নিবিড় বেশ গম্ভীর স্বরে বলে,
‘এই মেয়ে ভালো মতো হাঁটো। নেচে নেচে যাচ্ছো কেনো? স্বাভাবিক ভাবে হাঁটো!’
চৈতালী ভয়েই স্বাভাবিক হয়ে যায়। ঘাড় ফিরিয়ে নিবিড়ের দিকে চেয়ে দেখে নিবিড়ের দৃষ্টি তার দিকেই। চৈতালী ঠোঁট কামড়ে ফিসফিস করে বলে, ‘আপনি এতো সুন্দর কেনো মাষ্টারমশাই?’

বিকেলের দিকে মামীর হাতে হাতে কাজ করছিলো চৈত্রিকা। সাথীও আছে। মায়ের বাড়ি থেকে এসেই মুখটা ভার সনিয়া বেগমের। চৈত্রিকা বেশ কয়েকবার খেয়াল করেছে সনিয়া বেগমের অন্যমনষ্কতা। হঠাৎ মামীর মুখের এমন অবস্থা দেখে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে সে। গলাার স্বর নরম করে শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,
‘কিছু হয়েছে মামী?’

সনিয়া বেগম চৈত্রিকার মুখের দিকে তাকায়। বেশ গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে চৈত্রিকার মুখ। হাত বাড়িয়ে মুখে আলতো করে ছুঁয়ে দেয়। কাঁপা কাঁপা স্বরে বলে,
‘জীবনটা ন’র’ক কেনো করতে চাচ্ছিস মা?’
চৈত্রিকা বুঝলো, হাসলো তবে জবাব দিলো না। চুপচাপ নিজের কাজে মন দিলো। আজ প্রথমবারের মতো সে প্রহরের সামনে যাবে৷ সে এই সাক্ষাৎ টার জন্যই তো কতগুলো দিন ধরে অপেক্ষা করে যাচ্ছে। এবার তার অপেক্ষার শেষ। এই সাক্ষাৎ এর পর যে বিয়েটা খুব বেশি দেড়িতে হবে না এটা বেশ ভালো ভাবেই জানে চৈত্রিকা। চৈত্রিকার ভাবনার মাঝেই আজম আলী আসে। এসে রগচটা স্বরে বলে,

‘জমিদারের ব্যাটা আয়ছে। যান দেখা কইরা আসেন মহারানী!’
আজম আলীর কন্ঠ স্বরের এই রাগ, ক্ষোভ ঠিকই বুঝলো সবাই। তবে তাাতে কেউই বিশেষ পাত্তা দিলো না। চৈত্রিকা নিঃশব্দে ঠোঁট প্রসারিত করে হাসে। হাতটা পানিতে ধুয়ে উঠতেই সনিয়া বেগম বলে,
‘উল্টা পাল্টা কিছু বলিস না মা।’

চৈত্রিকা মাথা নাড়ায়। সাথী আসতে চাইলে সে আনেও না আর সনিয়া বেগমও আসতে দেয় না। চৈত্রিকা নিজের শাড়ির আঁচল ভালো মতো টেনে হেলেদুলে এসে দাঁড়ায় দিঘির সামনে। সেখানে প্রহর আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলো৷ ভীষণ সাধারণ একটা শার্ট পড়ে আছে। হাত দুটো প্যান্টের পকেটে গুজে রাখা। চৈত্রিকার উপস্থিতি টের পেয়ে পেছনে ঘুরে তাকায় প্রহর। কয়েক মুহুর্তের জন্য থমকে গেলেও নিজেকে স্বাভাবিক করে নেয়। চোখ নামিয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিজেকে শক্ত করতে থাকে। চৈত্রিকা আরো এক দফা হাসে। হাত বগলদাবা করে বলে,

‘কিছু বলবেন জমিদার সাহেব?’
প্রহর জবাব দেয় না। দৃষ্টি তীক্ষ্ণ করে কাঠকাঠ চেয়ে রয় চৈত্রিকার মুখ পানে। চৈত্রিকার দৃষ্টি শান্ত। মুখে গম্ভীরতা এঁটে প্রহর বেশ রয়ে সয়ে বলে, ‘তোমার কোনো আপত্তি আছে বিয়েতে?’
চৈত্রিকা এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে নিজেই প্রশ্ন করে, ‘আমাকে বিয়ে করতে চাওয়ার কারণ কি প্রহর সাহেব?’
প্রহর এবারে বাঁকা হাসে। দু কদম এগিয়ে চৈত্রিকার মুখোমুখি দাঁড়ায়। প্রহর এগোনোর পরও চৈত্রিকার কোনো হেলদোল নেই। সে কাঠকাঠ হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে নিজের জায়গায়। চৈত্রিকার কাজে মনে মনে শ’য়’তা’নী হাসি হাসে প্রহর। ফের নিজের জায়গায় সরে এসে বলে,

‘বাহ! তেজ আছে!’
চৈত্রিকা এবার হাসে। কন্ঠ আগের ন্যায় কঠিন রেখেই বলে, ‘আমার প্রশ্নের কিন্তু উত্তর দেননি!’
‘এক সাধারণ ঘরের মেয়ের কাছে জমিদার পুত্র প্রহর রেনওয়াজ কৈফিয়ত দিবে!’
‘যখন সাধারণ ঘরের মেয়েকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন তখন তার কাছে তো আপনার কৈফিয়ত দিতেই হবে। তাছাড়া যেখানে স্বার্থ ছাড়া জমিদারের বাড়ির কোনো পুরুষ এক পাও আগায় না সেখানে বিনাস্বার্থে এক চালচুলোহীন মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছে! এটা আবার মানতেও হবে?’

শেষের কথাটুকুতে স্পষ্ট তাচ্ছিল্য ফুটে উঠলো। প্রহর বিনিময়ে হাসে। কোনো প্রকার জবাব না দিয়ে উল্টো ঘুরে যেতে যেতে বলে, ‘যাক নামের মতো, তেজের মতো তবে বুদ্ধির প্রখরতাও আছে!’
চৈত্রিকা হাসে। প্রহরের যাওয়ার পানে তাকিয়ে ঠোটের কোণে কুটিল হাসি ঝুলায়। বিড়বিড় করে বলে, ‘আ’গুন নিয়ে খেলতে নেমেছেন জমিদার সাহেব এবার সে আ’গুনে যে আপনাকেই পু’ড়তে হবে। তিলে তিলে, একটু একটু করে কষ্ট দিয়ে আপনার সত্বা পু’ড়াবো। আপনার প্রতিটা শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়ে আপনাকে নিঃস্ব করে দিবো। জমিদারের পা’পের ঘড়া পূর্ণ হয়েছে। এবার শুধু শা’স্তির পালা। কথা দিলাম জমিদার সাহেব ভীষণ যত্ন করে একেকটা আ’ঘাত দিবো। কথা দিলাম!’

চৈত্রিকা পর্ব ২

(আসসালামু আলাইকুম। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটির প্রত্যেকটা চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনো চরিত্রকেই অযথা ভাববেন না। ধীরে ধীরে সবটা পরিষ্কার হবে। আর চৈতালী নামটা চৈত্রিকার সাথে কি গুলিয়ে ফেলছেন? মানে পড়তে বা বুঝতে কি সমস্যা হচ্ছে? নামটা কি পরিবর্তন করে দিবো?)

চৈত্রিকা পর্ব ৪