চৈত্রিকা পর্ব ৫

চৈত্রিকা পর্ব ৫
বোরহানা আক্তার রেশমী

চৈত্রিকা অর্থিকে দেখে চিনলো না। কিছুক্ষণ মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো। অর্থি তখনো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েই আছে৷ সে আম্মাজানের মুখে চৈত্রিকা রূপবতী শুনলেও বুঝতে পারেনি চৈত্রিকা আসলেই এতোটা রূপবতী! চৈত্রিকা অর্থির হাত সরিয়ে উঠে দাঁড়ায়। হাসার চেষ্টা করে বলে,
‘কিছু বলবে?’

অর্থি তখনো চোখে গোল গোল দেখছে। বেশ টেনে টেনে বলে, ‘আপনি আমার বড় ভাইজানের বউ হবেন? আপনি এতো সুন্দর কেন ভাবীজান?’
চৈত্রিকা থতমত খায়। বুঝতে পারে এই মেয়ে জমিদারের একমাত্র আদেরর কন্যা। মেয়েটার বোকা বোকা মুখ দেখে বেশ কিছুক্ষণ চৈত্রিকা তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলো। অর্থি চৈত্রিকার জবাব না পেয়ে ফের বলে,
‘আপনি না মহুয়া ভাবীর চেয়ে অনেক অনেক সুন্দর। আপনি এতো সুন্দর কেন ভাবীজান?’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

পরপর দুবার একই প্রশ্নে খানিকটা ইতস্তত বোধ করলো। তবে তা কাটিয়ে হাসার চেষ্টা করে অর্থির গাল টেনে বললো, ‘আল্লাহর সৃষ্টি তো তাই সুন্দর। তুমিও কম কি? ভীষণ সুন্দর তুমি৷ নাম কি তোমার?’
অর্থি চোখ বড় বড় করে বলে, ‘হায় আল্লাহ! আপনি আমার ভাইজানকে বিয়ে করবেন আর আমার নাম-ই জানেন না!’
‘নাহ। আসলে..ওভাবে তো জমিদার বাড়ির তেমন কাউকে চিনি না।’

চৈত্রিকার আমতা আমতা করায় অর্থি হাত টেনে ধরে। রোদ থেকে সরিয়ে গাছের ছায়ায় এনে দাঁড় করায়। নিবিড় তখনো সেখানে দাঁড়িয়েই আছে। সে দেখছে অর্থি কি করে! নিবিড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বেশ উৎফুল্ল স্বরে বলে,
‘মাষ্টারমশাই দেখেন আমার বড় ভাবীজান কি সুন্দর!’
চৈত্রিকা খানিকটা লজ্জা পায়। নিবিড় নিঃশব্দে হাসে। চৈত্রিকার দিকে দৃষ্টি দিয়ে অর্থিকে বলে, ‘তোমার ভাবীজান লজ্জা পাচ্ছে। আর বলো না!’

‘ওমা! ভাবীজান লজ্জা কেনো পাবে? সুন্দর বলেছি বলে!’
নিবিড় কপাল চাপড়ায়। এই বোকা মেয়ের আর জীবনেও জ্ঞান বুদ্ধি কিছু হবে না। আচ্ছা মেয়েটা এতো বোকা কেন? নিবিড় অর্থিকে ধমক লাগিয়ে উল্টো ঘুরে চলে যায়। যাওয়ার পথে পেছনে তাকিয়ে আরো একবার চোখ বুলায়। চোখে মুখে তার স্পষ্ট মুগ্ধতা। তবে এই মুগ্ধতা ঠিক কোন রমণীর জন্য তা বুঝে আসলো না।

সময় কেটেছে। আর মাত্র দুদিন বাদেই বিয়ে। এই ক’দিনে মাঝে মাঝেই অর্থি ছুটে আসতো চৈত্রিকার কাছে। এসে অবশ্য তেমন কোনো কথা বলতো না। শুধু চুপচাপ চৈত্রিকার দিকে তাকিয়ে থাকতো আর বলতো, ‘আপনি অনেক সুন্দর ভাবীজান। আপনাকে দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কেমন যেনো চেনা চেনা মনে হয় খুব!’

চৈত্রিকা সেই কথার পিঠে কোনো কথা বলেনা। মাঝে মাঝে মেয়েটার বোকামো আর কিছু কথাতে সে সত্যিই লজ্জা পেয়ে যায়। মেয়েটা যে একদম সহজ সরল তা আর বুঝতে বাকি নেই৷ একই গল্পের দুটি নারী দু রকম। একজন বোকা সোকা অন্যজন তেজী, সাহসী। যেনো এটাই আগুনের ফুল্কি। আজ চৈত্রিকা সাথীকে নিয়ে বের হয়েছে হাঁটতে। আর কিছুক্ষণ বাদেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে। অর্থি আজ সারাদিন আসেনি। চৈত্রিকারও মনটা ভীষণ বিষণ্ন। তাই তো মনটা ফুরফুরে করতে বের হয়েছে। মাথায় শাড়ির আঁচল টা ভালো মতো টেনে নিয়ে দুজনেই চুপচাপ হাটছে। পেছন থেকে গম্ভীর, পুরুষালী কন্ঠে কেউ ডেকে ওঠে,

‘এই মেয়ে! কোথায় যাচ্ছো তোমরা? আর তোমরা কারা?’
চৈত্রিকা আর সাথী পিছু ফিরে তাকায়। সামনে অপরিচিত গম্ভীর এক পুরুষকে দেখে চৈত্রিকা চোখ মুখ কুঁচকে তাকালেও ভীতু সাথী তার হাত আঁকড়ে ধরে। ভয়ে রীতিমতো কাঁপতে থাকে। চৈত্রিকা শক্ত করে হাত ধরে সাথীর। সাথী ফিসফিস করে বলে,
‘চৈত্র উনি জমিদারের মেজো পুত্র পিয়াস রেনওয়াজ। আব্বার মতোই এক লোকটারও চরিত্রের সমস্যা। খুব খারাপ একটা লোক এটা।’

চৈত্রিকা সামনে ফিরে তাকায়। পিয়াস তখনো তাদের দিকেই তাকিয়ে আছে। চৈত্রিকা ঠোঁট বাকিয়ে হাসে। মনে মনে আওড়ায়, ‘জমিদার বাড়ির ৪ নম্বর জা’নো’য়া’র।’
পিয়াস চৈত্রিকাকে দেখেই ফ্যালফ্যাল করে তাকায়। মেয়েটার মতো সুন্দরী হয়তো সে এ অব্দি কাউকেই দেখেনি। সম্মোহিত দৃষ্টিতেই সে এগোয় চৈত্রিকার কাছে। মাঝে ব্যবধান এক হাতের মতো রেখে দাঁড়ায়। কেমন কন্ঠে যেনো বলে,
‘এতো সুন্দর রমণী! কোথায় থেকে আসলে তুমি?’

চৈত্রিকা মনে মনে হাসে। সেই হাসি ঠোঁটের কোণেও ফুটিয়ে তোলে। বেশ স্বাভাবিক কন্ঠে বলে, ‘আমি আপনার হবু ভাবীজান হই দেবর সাহেব। ক’দিন পর আপনাদের বাড়িতেই তো থাকবো৷ সেখান থেকেই যাবো আসবো।’
পিয়াস চমকালো। অবাক চোখে চেয়ে রইলো চৈত্রিকার মুখপানে। কতক্ষণেই চোখে মুখে ক্রোধ জেগে উঠলো। চৈত্রিকা বা সাথীকে কিছু না বলেই সে গটগট করে জায়গা ত্যাগ করে। সাথী বেশ অবাক হয়ে চৈত্রিকার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,
‘কি হলো এটা?’

‘তেমন কিছু হয় নাই এখনো। তবে সামান্য পরিমাণ ঝামেলা হবে।’
চৈত্রিকার ঠোঁটের কোণের কু’টিল হাসির দিকে সাথী কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। তারপর চৈত্রিকার পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বলে, ‘তোর ঠোঁটের কোণে কু’টিল বা বাঁকা হাসি মানায় না চৈত্র। তোকে খিলখিল বা মুচকি হাসিতেই ভীষণ মানায়।’
চৈত্রিকা শুধু শুনলো তবে কোনো জবাব দিলো না। চুপচাপ হাঁটতে থাকলো সামনে। সে সময় রাস্তায় দেখা হয়ে যায় নিবিড়ের সাথে। চৈত্রিকা খানিকটা ইতস্তত করলেও পিছু ডাকে নিবিড়কে। নিবিড় এক পলক চৈত্রিকার দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নেয়। কাছে এসে বলে,

‘কিছু বলবেন?’
‘হ্যাঁ। আসলে আপনি তো অর্থির মাষ্টারমশাই! আপনি জানেন আজ কোথায় মেয়েটা? আসলো না তো!’
‘আমি ওকেই পড়াতে যাচ্ছি। কেনো আসেনি তা তো জানি না তবে ওকে বলবো আপনার কথা।’
চৈত্রিকা সম্মতি জানায়। নিবিড় চলে যায় নিজের রাস্তায়। চৈত্রিকা সেদিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। গুণগুণ করে দু লাইন গান গেয়ে উল্টো পথ ধরে।

গত আধাঘন্টা থেকে জমিদার বাড়ির হল রুমে চিৎকার চেঁচামেচি করছে পিয়াস। অহেতুক তার এই চেঁচানো কেউই তেমন গ্রাহ্য করছে না। নিবিড় এসেছে পড়াতে আর তখন থেকে সে রুমের মধ্যে বসে অর্থিকে পড়াচ্ছেই। অর্থি ভয়ে গুটিশুটি মে’রে বসে আছে। অর্থির এই ভীতু রুপ আর পিয়াসের চেঁচামেচিতে সে চৈত্রিকার কথাটা বলার সুযোগ পায়নি। বা ইচ্ছে হয়নি হয়তো। তবে অর্থির ভীত ভাব দেখে ভীষণ মায়া হলো নিবিড়ের। কন্ঠ স্বর নরম করে বললো,
‘পানি খাবে অর্থি? বেশি খারাপ লাগছে?’

অর্থি দুপাশে মাথা নাড়ায়। ফাঁকা ঢোক গিলে বলে, ‘মেজো ভাইজান আমাকে মা’রবে না তো মাষ্টারমশাই?’
‘নাহ। তোমাকে কেনো মা’রবে? তুমি তো কিছু করোনি। তুমি তো গুড গার্ল।’
নিবিড়ের নরম, আদুরে কন্ঠের কথা শুনে খানিকটা স্বস্তি পেলেও ভীষণ ভয়ও হচ্ছে। কোনোরকম ফাঁকি না দিয়ে সে পড়াতে মন দিলো। নিবিড় অঙ্ক কষতে দিয়ে দরজা ঠেলে বাহিরে আসে। উপর তলা থেকে নিচে তাকিয়ে দেখে পিয়াস চেঁচামেচি করছে। চয়ন, প্রহর, পল্লবী, পিয়াসের বউ নীরা সবাই হল রুমে।

পিয়াসের চেঁচামেচির একমাত্র কারণ ‘প্রহরের বিয়ে’। তাকে না জানিয়েই বড় ভাইয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলা হয়েছে বিষয়টা যে সে মানতে পারছে না এটা নিয়েই চেঁচামেচি। প্রহর বোধহয় জানতো এমন কিছুই হবে। তাই তার মধ্যে অদ্ভুত কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। বরং সে পিয়াসের দম দেখছে। ঠিক কতক্ষণ সে বড় ভাইয়ের সামনে চেঁচাতে পারে সেইটাই বসে বসে দেখছে। পিয়াস হাঁপিয়ে গিয়ে বড় বড় শ্বাস নেয়। পল্লবী একবার সেদিকে তাকিয়ে মেজো বউ নীরাকে উদ্দেশ্য করে বলে,

‘নীরা বউ যাও পানি আনো।’
নীরা নিঃশব্দে মাথা নাড়িয়ে রান্নাঘরের দিকে যায়। প্রহর হাই তুলতে তুলতে বলে, ‘তুই আর কিছু বলবি?’
তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে পিয়াস। তবে মুখে তা প্রকাশ করে না। চুপ করে বসে থাকে। প্রহর পিয়াসের কোনো উত্তর না পেয়ে নিজের মতো সিড়ির কাছে যেতেই পেছন থেকে পিয়াস বলে,
‘বড় ভাই বিয়েটা ভেঙে দেন। আমি চৈত্রিকাকে বিয়ে করতে চাই।’

কথাটা যেনো পুরো হল রুমেই বি’স্ফো’র’ণ ঘটালো। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে প্রহর পিয়াসের দিকে তাকিয়ে রইলো। দুতলা থেকে নিবিড়ও তাকিয়ে রইলো অবাক দৃষ্টিতে। সে সময়ই কিছু ভেঙে যাওয়ার শব্দে সেদিকে সবাই তাকায়। নীরা টলমল চোখে তাকিয়ে আছে পিয়াসের দিকে। তার হাতে থাকা পানির গ্লাসটা মেঝেতে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করে না পিয়াস। প্রহর যেমন শান্ত ভাবে সিড়ির কাছে গেছিলো ঠিক সেভাবেই শান্ত ভঙ্গিতে এগিয়ে আসে পিয়াসের কাছে।

তার মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই সে আদৌও রেগে গেছে নাকি সত্যিই শান্ত আছে! তবে পকেটে গুজে রাখা হাতটা ততক্ষণে মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেছে। পিয়াস একবার তাকায় প্রহরের দিকে। প্রহরের এতো শান্ত রুপ তার হজম হয় না। বেশ খানিকটা চমকালেও তা বাহিরে প্রকাশ করে না। চয়ন চুপচাপ উঠে আসে পিয়াসের কাছে। পুরো পরিবেশ এতোটাই শান্ত যেনো ঝড় আসার পূর্বক্ষণ। চয়ন এগিয়ে আসলেও কিছু বলেনি তবে প্রহর বেশ ঠান্ডা গলায় বললো,

‘যা বলেছিস তা ভুলে যা। ২য় বার কখনো এধরণের কথা তোর মুখে শুনলে তা তোর জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’
এবারে পিয়াস কিছু বলতে নিলে চয়ন চোখ গরম করে বলে, ‘নিজের সীমার মধ্যে থাকো পিয়াস! ভুলে যেও না প্রহর তোমার বড় ভাই। জমিদারী বংশের পুত্র তুমি। ২য় বিয়ে করতে চাইতেই পারো তা অস্বাভাবিক কিছু না কিন্তু নিজের বড় ভাইয়ের হবু স্ত্রীকে বিয়ে করতে চাওয়াটা অন্যায় এবং অপরাধ। তা তুমি নিজ দায়িত্বে শুধরে নাও নয়তো জমিদারী বংশের নিয়ম তোমার অজানা নয়।’

পিয়াস মুখে কিছু বললো না। ভেতরে ভেতরে ফুঁসে উঠলো। প্রহর চুপচাপ নিজ জায়গা ত্যাগ করে। চয়ন নিজেও বাড়ির বাহিরে চলে যায়। পল্লবী রেগে মেগে ছেলের সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
‘একটু তো লজ্জা কর! চরিত্রের তো ঠিক ঠিকানা নেই অন্তত নিজের ভাবীর দিকে নজর দিস না। নীরা বউ ঘরে যাও।’
নীরা নিঃশব্দে নিজের ঘরের দিকে যায়। আড়চোখে একবার তাকায় পিয়াসের দিকে। মানুষটাকে সে ভালোবেসেছিলো অথচ বিনিময়ে কষ্ট ছাড়া কিচ্ছুটি পায়নি। বিয়ের ৬ মাসের মাথাতেই বুঝে গেছিলো তার বোধহয় স্বামী নিজের হবে না। যার চরিত্রের ঠিক নেই, হাজার জায়গায় মুখ দিয়ে বেড়ানোর স্বভাব সে স্বামী তার কিভাবে হবে?

তবে ২য় বিয়ের কথা শুনে সে সত্যিই ভেতর থেকে অস্থির হয়ে পড়েছে। কোনো নারীই পারে না স্বামীর ভাগ দিতে তবে এখানে সে কিছু বলতেও পারবে না। আচ্ছা কে এই চৈত্রিকা? যাকে নিয়ে দুভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়ে গেলো? চৈত্রিকা কি সত্যিই এতোটা রূপবতী! না চাইতেও মনে মনে চৈত্রিকার প্রতি নীরার ক্ষোভ জন্মালো। নিজের মনে ভাবতে ভাবতেই সে চলে গেলো নিজের কক্ষে। পুরো ফাঁকা হল রুমে বসে রইলো পিয়াস।

হাতের তালুতে হাত ঘষতে ঘষতে মনে মনে হাজারটা গালি দিলো প্রহরকে। চোখে মুখে রাগ, ক্ষো’ভ স্পষ্ট। সে জানতোই না প্রহর আবার বিয়ে করছে। কিছুদিনের জন্য শহরে গেছিলো কিছু কাজের উদ্দেশ্যে সেখান থেকে ফিরেই তার প্রথম দেখা চৈত্রিকার সাথে। সেখান থেকেই এতোকিছু। চৈত্রিকাকে যতটা না মনে ধরেছে তার থেকেও বেশি হিং’সার, ক্ষো’ভের আগুন জ্ব’লছে ভেতরে। চোখে মুখে সেই ক্ষো’ভ ধরে রেখেই হিসহিসিয়ে বলে উঠলো,

চৈত্রিকা পর্ব ৪

‘আপনাকে আমি সুখে থাকতে দিবো না প্রহর রেনওয়াজ। আপনি জমিদারের বড় পুত্র হলে আমিও তারই বংশের, তারই রক্তের মেজো পুত্র। তার মতো শ’য়’তানী বুদ্ধিতেই মাথা ভরা। আপনাকে কিভাবে ধ্বং’স করতে হয় তা আমি দেখে নিবো। চৈত্রিকাই হবে আমার প্রথম গুটি। এবার ধ্বং’সের খেলা শুরু।’

চৈত্রিকা পর্ব ৬