ঝরা বকুলের গল্প পর্ব ৩

ঝরা বকুলের গল্প পর্ব ৩
মেহা মেহনাজ

সতীনের মুখ থেকে তার গর্ভবতী হওয়ার সংবাদটি বকুলকে এফোঁড়ওফোঁড় করে দিলো। বিষাক্ত কা*টার তীব্র ছোবল গুলো একটু পর পর হানা দিয়ে উঠল ওর ছোট্ট বুকখানায়। মনে হচ্ছে, দিন দুনিয়া, চারপাশ, পৃথিবী, পায়ের তলার উঠোন, মাথার উপরের আকাশ, চোখের সামনের সবকিছু ঘুরছে। পেটের ভেতর পাঁক দিয়ে উঠে পুনরায়। হড়বড় করে উঠোনেই মুখ ভর্তি বমি করে বসে সে।

অনেকটা দূরে দাঁড়ানো রুনু বেগম ঝাপি থেকে আধভেজা পাতা বের করে রোদে শুকানোর জন্য উঠোনে নেড়ে দিচ্ছিলেন। তিনি বকুলের এহেন অবস্থা দেখে দৌড়ে আসেন। ‘বকুল রে’ বলে জোরে ডেকে উঠলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে শাহজাদিও। মোরশেদ নেই। সে বাইরে বেরিয়েছে। রুনু বেগম জাপটে বকুলের শরীরটা নিজের শরীরের সাথে মিশিয়ে নিলেন। বকুল দেহের ভার ছেড়ে দিলো। কেমন ম*রার মতো গুঙিয়ে উঠল ও। রুনু বেগম মারাত্মক ভয় পেয়ে শাহজাদির দিকে তাকালে দেখলেন, শাহজাদি চোখমুখ কুঁচকে তাকিয়ে রয়েছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

গ্রামের নাম মনপুরা। মনপুরায় ভালো ডাক্তার বলতে হাবিব রহমানকেই চেনে সকলে। তিনি শহরের দিকে বসেন। তবে যখন, যেখান থেকেই জরুরি তলব আসে না কেন, তিনি ছুটে যেতে কার্পণ্য করেন না একটুও। সেই হাবিব রহমানকে ডাকা হয়েছে। মোরশেদ ডাকে হাবিব ভাই বলে।
হাবিব রহমান সাথে দু’জন নারী সেবিকা নিয়ে কীসব করে বাইরে বেরিয়ে এলেন যখন তখন রোদ পড়ে গেছে পশ্চিম দিকে। শীতের ম*রা বিকেল। হালকা হাওয়াতেও গায়ে কাঁপন ধরায়। আজ অন্যদিনের তুলনায় ঠান্ডা বেশি।
হাবিব রহমান ঠোঁট টিপে হাসেন,

“সুসংবাদ মিয়া। মিষ্টি খাওয়ান।”
মোরশেদের মুখটা মুহূর্তেই কালো হয়ে যায়।
“এর মানে…”
“আপনে বাপ হইতাছেন মিয়া। আপনের ঘর আলো কইরা নতুন মেহমান আইতেছে। এরচেয়ে বড় সুসংবাদ আর কি হইতে পারে? মিষ্টি না খাইয়া কিন্তু যাইতেছি না।”

হাবিব রহমান যতটা উল্লাস প্রকাশ করেন, মোরশেদের চোখেমুখে ততই অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। সে চোরা চোখে একবার শাহজাদিকে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করলেন। শাহজাদি বড় ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখাবয়ব বোঝা না গেলেও এহেন সংবাদে তার চেহারার অবস্থা কি রকম হতে পারে, ওইটুকু ধারণা করে নিতে বিন্দুমাত্র সময় লাগল না হাবিবের।

সন্ধ্যের পর বাড়িতে বড় ঝামেলা হলো। ন্যাকা কান্না, অভিযোগ করা, একের পর এক প্রশ্ন, ঘ্যানঘ্যানানি- মোরশেদ ত্যক্তবিরক্ত হয়ে কাপড় রাখার আলনা টা উলটে ফেলে দিলেন। রুনু বেগম ভয়ে কেঁপে উঠলেন। দাঁত কিড়মিড় করে শাহজাদিকে বললেন,
“তুমি ইট্টু চুপ থাকো নতুন বউ। পোলার আমার এমনেই মাথা খারাপ..”
শাহজাদি চুপ তো করলই না বরং আরও তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল যেন।

“ক্যান আম্মা? ক্যান চুপ করব? আপনের পোলায় আমার লগে সম্পর্ক করার সময়তো এডি কয় নাই! হেয় কইছিল, ওর নাকি বাচ্চাকাচ্চা হয় না। হইবোও না। ওরে তালাক দিয়া দিবো। নতুন কইরা সংসার গুছাইবো। বেডা মাইনষের জীবনে একখান সন্তান না থাকলে আর কি আছে জীবনে কন? এই ভাইবা আমি আগাইছি। রাজী হইছি। হের লগে বিয়া বইছি। এই বাড়িত আইছি। এখন আইয়া দেখি, সব কিছু মিছা! ওর বাচ্চা পেডে, এদিকে হেয় তালাকের কুনু জোগাড় করতাছে না। আমারে মিছা কতা কইয়া এতবড় সর্বনাশ টা করনের কি দরকার আছিলো কন?”

মোরশেদ ঘোড়ার মতো তেড়ে এলেন,
“আইজ পর্যন্ত আমার উপর দিয়া একটা কতা কওনের সাহস পায় নাই বকুলে, আর তুই একদিন আইয়াই আমার লগে তর্ক করোস! আমার দিকে আঙুল তুলোস!”
“আপনে আমারে মিছা কতা কইয়া ফুঁসলাইছেন। যা কইয়া আনছিলেন, তার উল্ডাটা দেখতাছি। আমি এইগুলা মাইনা নিমু না।”
“না নিলে বাইর হইয়া যা। আমার বাড়িত থেইকা এক্ষুনি চইলা যা..যা।”

শাহজাদি অগ্নি চোখে মোরশেদের দিকে তাকালে মোরশেদের মাথা খারাপ হয়ে গেল। সে কিছুতেই আর নিজের রাগ চেপে রাখতে পারল না। ছুটে এসে প্রায় গলা চেপে ধরে শাহজাদিকে কাত করে ফেলল। শাহজাদি ছটফটিয়ে উঠে। গলা দিয়ে তীব্র স্বরে ‘ওমা..ওমা’ বেরিয়ে যায়। রুনু বেগম বুঝে উঠতে পারেন না, কি করবেন! তিনি মোরশেদকে শাহজাদির থেকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলে মোরশেদ তাঁকে ধাক্কা মে*রে সরিয়ে দিলো। এক হাতে শাহজাদির চুল মুঠো করে ধরে,অন্য হাতে ওর দুই গাল চেপে সাপের মতো হিঁসহিঁস করে উঠে। শাহজাদি তবুও দমে না। তার নাসিকা পথ ভেদ করে ফোঁস ফোঁস আওয়াজে অগ্নি শ্বাস বেরিয়ে আসে।

টিনের ঘর। নিচটা মাটি দিয়ে করা। ওপর রুম থেকে স্পষ্ট সবকিছু শোনা যায়। বকুল এতক্ষণ যাবত শুয়ে শুয়ে সবকিছু শুনলেও এবার আর স্থির থাকতে পারল না। দুর্বল শরীরটাকে টেনে টেনে এগিয়ে এলো এ রুমে। ওকে ঢুকতে গেলে রুনু বেগম চোখ কপালে তুললেন। হৈ হৈ করে বলে উঠলেন,
“আহিস না, তুই গিয়া শুইয়া থাক। তোর শরীলডা..”
বকুল শ্বাশুড়ির মুখের কথা কেড়ে নেয়।
“আমি ঠিক আছি আম্মা।”

তারপর মোরশেদ এবং শাহজাদিকে উদ্দেশ্য করে অনুনয় কণ্ঠে বলল,
“আপনেরা এরম কইরেন না, আল্লাহর দোহাই লাগে মারামারি থামান। আমি চইলা যামু। আমারে নিয়ে এত সমিস্যা যহন, তহন আমার থাকনের কাম নাই।”
মোরশেদ খ্যাঁক করে চেঁচিয়ে উঠলেন,

“তোরে এইখানে কতা কইতে কইছি? তুই বা** পাকনামি না কইরা এইখান থেইকা যা।”
“আপনে উনারে ছাইড়া দেন। উনার কি দোষ? সতীনের সংসার কেউ করতে চায় না।”
“না চাইলে আইছে ক্যান? জাইনা আইছে না আমি বিয়াত্তা নাকি আবিয়াইত্তা? আর তুই করতাছোস না? তুই করলে ও পারবো না ক্যান সতীনের সংসার করতে?”
“কারণ সবাই তো আমি না!”

বকুলের কথায় ঠাট্টা ঝরে পড়ে। মোরশেদ বুঝলেন কি বুঝলেন না, কে জানে! তবে তিনি তৎক্ষনাৎ চুপ হয়ে গেলেন। কেমন নিসাড় চোখে বকুলের দিকে তাকালেন। বকুল দ্রুততার সঙ্গে নিজের চোখ মুছে নিলো। পুনরায় অনুরোধের সুরে বলল,
“আমি হাতজোড় করতেছি, আমারে নিয়ে নিজেগো মইধ্যে মারামারি কইরেন না। আমারে নিয়া কুনু সমিস্যা হবে না। যদি হয়, আমি চইল্যা যামু। আফু, আপনে হের লগে আর তর্ক কইরেন না দয়া কইরা।”
বকুল সত্যি সত্যি দুই হাত একত্র করে জোড় করল। মোরশেদ অবাক হয়ে চেয়ে রইলেন। কেমন একটা সূক্ষ্ম অনুভূতি বুক চিঁড়ে খাঁক করে দিচ্ছে। তিনি কি বকুলকে চিনতে পারেননি এতদিন?

শাহজাদি রাতে ভাত খেতে এলো না। নিজের ঘরে দুয়ার চাপিয়ে ম*রার মতো শুয়ে রইলো। অপরদিকে অসুস্থ শরীর নিয়েই শ্বাশুড়ির হাতে হাতে এই সেই কাজ এগিয়ে গুছিয়ে রাতের ভাতটাও রান্না করল বকুল। রুনু বেগম বারবার মানা করলেও সে শুনল না। মোরশেদ ঝগড়াঝাঁটির পর বেরিয়েছিল, সে আসার আগেই যেন সব কাজ শেষ হয়ে যায়- তাই এত তাড়া ওর। রুনু বেগম কাজের ফাঁকে কেমন চোখে তাকান, দেখেন, দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। তার মন বলছে, সেধে নিজের সংসারে বড় একটা আগুন লাগালো মোরশেদ। এমন আগুন, যার নেভানোর পানি নেই। সামনে কি অপেক্ষা করছে কে জানে।

সব গুছিয়ে যখন বকুল হাত-মুখ ধুয়ে আরেকবার বমি করে অস্থির, তখন মোরশেদ কলতলায় নেমেছেন পা ধৌত করার জন্য। বকুল এক হাতে কল চেপে ধরে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে, নিজেকে ধাতস্থ করার চেষ্টা করছে। এত বমি ভালো লাগছে না। শরীর নিতে পারছে না।
মোরশেদ অন্ধকারে ঝাপসা বকুল কে ডেকে উঠলেন,
“কেডায়? বকুলে?”
বকুল অস্পষ্টে উত্তর করে,
“হুঁ।”
“ওইনে কি করোস?”

মোরশেদ এগিয়ে যায়। বকুল উঠে সোজা হওয়ার চেষ্টা করে।
“হাত-মুখ ধুইতে আইছিলাম।”
“এই রাইতে?”
বকুল জবাব না দিয়ে মাথা দোলালো।
“ঠান্ডা লাগাইস না।”
বলতে বলতে কাছে এগোতেই হারিকেনের স্বল্প আলোয় মোরশেদ দেখলেন, কলপাড় বমিতে একাকার। বকুল খেয়াল করল। দ্রুত কলস থেকে পানি ঢেলে দিতেই মোরশেদ বলে উঠলেন,

“হুইয়া থাকা পারোস না? ম*রবি?”
বকুল জোর করে হাসে। তার কাছে উত্তর নেই।
“আয়, বাইরে আয়।”
মোরশেদ একটা হাত এগিয়ে দিলেন। বকুলের কেমন যেন লাগল। ইচ্ছে করল না তবুও নিশ্চল হাতটা মোরশেদের হাতের উপর রাখে।

“আস্তে আস্তে আয়। পড়িস না। সব ভেজা।”
“আপনে হাত-মুখ ধুইয়া খাইতে বন। আমি এডি পরিষ্কার কইরা আইতেছি।”
“তুই যা। আমি করতেছি। তুই খাইয়া শুইয়া পড়বি। থালাবাটি মায়ে গুছাইবো।”
“এডা কেমুন কতা? আপনে যান…”
“বেশি প্যাঁচাল পারোস দেইখাই ভালো লাগে না। আয়, এদিকে আয়।”
মোরশেদ বিরক্ত চোখেমুখে বকুল কে ধরে বাড়ির দরজায় নিয়ে এলেন। আদেশের স্বরে বললেন,
“খাইতে ব। আমি আইতেছি।”

বকুল নিচু কণ্ঠে বলে,
“আমার কেমুন যেন লাগে। খাইতে মন চায় না। সবেতে ঘেরান কয়। ভালো লাগে না। বমি আহে।”
মোরশেদ বুঝতে পারেন।
“অন্য কিছু খাবি?”
“না।”
“আচ্ছা।”
মোরশেদ জোর করলেন না।
“ঘরে গিয়া শুইয়া থাক যা।”
“আইচ্ছা।”
বকুল ধীর পায়ে মাটির ঢিবি ভেঙে উপরে উঠে। কয়েক কদম এগিয়ে আবার কি মনে করে যেন পেছন ফিরে তাকাল। মোরশেদ তখন শলার ঝাড়ু দিয়ে কলপাড় ঝাট দিচ্ছেন। বকুলের কেন যেন ভীষণ মন খারাপ হলো।

খেতে বসে মোরশেদ দেখলেন, তার প্রিয় পুইশাকের ঝোল করা হয়েছে চিংড়ি দিয়ে। দুপুরে এই পদ ছিল না। মোরশেদ আঙুল চেটে ভাত খেলেন।
“রানছে কেডায়?”
“বকুলে।”
রুনু বেগমের উত্তর শুনে মোরশেদ থমকে গেলেন। ক্ষণকাল চুপ করে থেকে কেমন অন্যমনস্ক গলায় বলে উঠলেন,
“ওরে দিয়া কাম করাইয়ো না মা। ওর শইলডা মেলা খারাপ। রাইতেও বমি করল দেখলাম।”
রুনু বেগম ঠেস মে*রে বললেন,

“ও ছাড়া আর কেডায় করব? আমি একলা এত কাম পারি?”
“ক্যা? আরেকটা আছে না। ওরে কও। উইড্যা আইছে সংসার করতে। তাইলে সংসার করাও। খালি খাওন আর হুইলেই তো সংসার অয় না।”
রুনু বেগম পাছে মুখে ভেংচি কা*টেন। ও যে কত সংসারী মেয়ে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মোরশেদ চুপচাপ খেতে লাগলেন। রুনু বেগম খানিকবাদে গলার স্বর যথেষ্ট চাপিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়লেন,
“বাপ, এইডা কি ঠিক কাম করলি? বকুল তো ভালাই আছিল।”

মোরশেদ নিজেও যে কথাটি ভাবেনি তা না। শাহজাদির সাথে শখের বশে,আবেগের চোটে একটা শারীরিক সম্পর্ক থেকে সম্পর্ক নামক শব্দে আঁটকে গিয়েছিল। সেই চাপে পড়ে বিয়েও করেছিল। কিন্তু এরপর কি করবে না করবে সে বিষয়ে ভাবা হয়নি। হুট করে শাহজাদি না এলে এখনও ওকে নিয়ে সংসার করার কথা ভাবতেন না তিনি। কিছু মেয়ে আছে,যারা প্রেমের জন্য শ্রেষ্ঠ, সংসার তাদের দ্বারা হয় না। শাহজাদি সেই ক্যাটাগরির মেয়ে।
“ওয় বেশি করলে ওরে ছাইড়্যা দিমু। কিন্তু আমি বকুলরে ছাড়ুম না।”

ছেলের মুখ থেকে এহেন কথা শুনে রুনু বেগমের মনের শান্তির ঢেউ বয়ে যায়। তিনি খুশিমনে আরেকটু শাঁক মোরশেদের পাতে তুলে দিলেন। ওদিকে দরজার আঁড়ালে আঁধারে দাঁড়িয়ে সব কথাই কানে ঢোকালো শাহজাদি। সব শুনে দাঁত কামড়ে জেদে ফেটে পড়ল সে। বড় রাগটা গিয়ে পড়ল মোরশেদের উপরে। বেচারা বকুলও তার এই অন্ধ রাগের খেলায় জড়িয়ে গেল।

রাতের বেলা বকুল তার পাশে নড়াচড়া অনুভব করতেই চোখ মেলে তাকাল। রুনু বেগম নন, মোরশেদ এসেছেন। বকুল হারিকেনের স্বল্প আলোয় তাঁকে দেখে প্রচুর অবাক হয়।
মোরশেদ মোটা কাঁথার তলে শুয়ে বকুলকে এক টানে নিজের বুকের মধ্যে নিয়ে নিলেন। ছোট, শুকনো বকুল কেমন গুটিয়ে গেল তৎক্ষনাৎ। মোরশেদ ওর চুল গুলোয় হাত বোলাতে বোলাতে ঘাড় থেকে নিচের দিকে নেমে গেল। বকুল কুঁকড়ে যায়। তার মন বুঝে গেছে, মোরশেদ কি চান!

ঝরা বকুলের গল্প পর্ব ২

সবাই ঘুমিয়ে গেলে, সব ঠান্ডা হলে, কুপি বাতি হাতে টিপটিপ পায়ে দরজা খুলে উঠোনে বেরিয়ে আসে এক জোড়া পা। অতি সন্তর্পণে এদিক ওদিক তাকিয়ে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলে বাড়ির ডান পাশের জঙ্গলে। সকাল বেলায় ওখানে ধুতরা ফুলের গাছ দেখেছিল ও। এই মুহূর্তে ওই ফুল গুলো ভীষণ প্রয়োজন!

ঝরা বকুলের গল্প পর্ব ৪