ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ১৩

ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ১৩
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ

নোমান বারণ করা সত্ত্বেও ছেলেটি অনবরত তানিশার ছবি তুলতেই আছে এবং নোমানকে দেখিয়ে দেখিয়ে আরো বিভিন্ন এংগেলে ছবি তুলতে থাকলো।নোমান তা দেখে হঠাৎ রাগ করে ছেলেটির হাত থেকে ক্যামেরা টা নিয়ে মাটির সাথে দিলো এক আছাড়,মুহুর্তের মধ্যে ক্যামেরা টি ভেংগে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো।তা দেখে ছেলেটি নোমানকে ধাক্কা দিয়ে বললো,
তোর এতো বড় সাহস?আমার ক্যামেরা ভেংগে ফেললি কেনো?

নোমান তখন নিজেও ছেলেটিকে ধাক্কা দিয়ে বললো, ভেংগেছি বেশ করেছি।তা তুই আমার গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কোথায় পেলি?মুহুর্তের মধ্যে দুইজনে মারাত্নক রকমের ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দিলো।এক পর্যায়ে যখন তারা মারামারির পর্যায়ে যেতে ধরলো তখন তানিশার দুলাভাই সোহান নিজে এসে ক্যামেরাওয়ালা ছেলেটির উপর চোখ রাঙিয়ে বললো,সিফাত কি হচ্ছে এসব?মারামারি বন্ধ করো।
সিফাত তখন বললো,দেখো না ভাইয়া ছেলেটা কই থেকে এসে হঠাৎ আমার ক্যামেরা ভেংগে ফেললো।তারপর আবার ধাক্কাও দিচ্ছে।সোহান তখন
নোমানকে বললো,কে তুমি?কেনো ওর ক্যামেরা ভেংগে ফেললে?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

নোমান কোনো উত্তর দিলো না।সে সেখান থেকে চলে যেতে ধরলো।কিন্তু সিফাত হঠাৎ নোমানের ফতুয়া টেনে ধরে বললো, এই আগেই কই যাচ্ছিস?আমার ক্যামেরা আগে ফেরত দে।
নোমান তখন চোখ রাঙ্গিয়ে সিফাতের হাত ঝাটকা দিয়ে ফেলে দিয়ে বললো,গায়ে হাত দিস কেনো?শুধু একটা নয়,দরকার হলে হাজারটা ক্যামেরা কিনে দেবো,ভালো করে ভদ্রতার সহিত কথা বল।
সিফাত তখন বললো, আমি কি তোর থেকে ভিক্ষা চাচ্ছি নাকি?আমার জিনিস আমি ফেরত চাচ্ছি।তোর হাজারটা ক্যামেরা আমি নিতে যাবো কেনো?

যে ছেলেটি তানিশার ছবি তুলছিলো সে আসলে তানিশার দুলাভাই সোহানের ছোট ভাই সিফাত।যে একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। যেহেতু নিজের ভাই এর হলুদ অনুষ্ঠান সেজন্য আজকের প্রোগ্রামের জন্য সিফাত নিজেই ফটোগ্রাফির কাজটা করছে।কিন্তু সিফাত যখন বার বার তানিশার দিকে ফোকাস করছিলো নোমানের তা কিছুতেই সহ্য হচ্ছিলো না।রাগে তার পুরো শরীর গরম হয়ে গেলো।তার ইচ্ছে করছিলো এখনি এই মুহুর্তে ছেলেটাকে মাটির সাথে পুঁতে ফেলতে।তার তানিশার দিকে নজর দেওয়ার সাহস সে কই পেলো?
নোমান অবশ্য অনেকবার সিফাতকে বারণ করেছিলো কিন্তু সিফাত কিছুতেই শুনছিলো না।সে উলটো ঘাড় ত্যাড়ামি করছিলো নোমানের সাথে।

এক এক করে সবাই এগিয়ে আসলো নোমানের কাছে।কেউই বুঝতে পারছিলো না আসলে হয়েছিলো টা কি?তবে নোমান কেনো ভাংলো ক্যামেরাটি এ নিয়ে সবার বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি হলো।
এবার আমান আর তন্নিও এগিয়ে আসলো।আর নোমানের এমন রাগান্বিত চেহারা দেখে আমান বললো,নোমান?থাম এবার।গেস্টের বাসায় এসে এটা কি ধরনের বেয়াদবি?ওনার ক্যামেরা কেনো ভেংগে ফেললি?
নোমান তার ভাই এর প্রশ্নের কোনো উত্তর দিলো না।চুপচাপ সেখান থেকে চলে গেলো।

সিফাত তখন বললো এই কই যাচ্ছিস?আমার ক্যামেরা দিয়ে যা।সিফাতের কথা শুনে সোহান বললো,চুপ থাক এখন।আমি কিনে দেবো ক্যামেরা।তবুও গোলোযোগ করিস না।ওকে যেতে দে।
সিফাত তা শুনে বললো, তুমি কিনে দেবে কেনো?যে ভেংগেছে সেই কিনে দেবে।
আমান তখন কিছু টাকা বের করে দিয়ে বললো,এই নাও টাকা।তোমার ক্যামেরা কিনে নিও।তবুও চুপচাপ থাকো।
সোহান তখন আমানকে বললো, কে তুমি?তুমি টাকা দিলে কেনো?

আমান তখন তার নিজের পরিচয় দিতে লাগলো।তা দেখে এতোক্ষণে তানিশা এগিয়ে আসলো।আর তার দুলাভাই এর সাথে আমানের আর তন্নির আরো ভালোভাবে পরিচয় করে দিলো।সোহানের সাথে আমানের যখন ভালোভাবে পরিচয় হয়ে গেলো তখন আমান বললো,
আমি নোমানের বড় ভাই।ওর আসলে মাথায় একটু সমস্যা আছে।এমনিতেই মাঝে মাঝে মাথা গরম করে ফেলে।কিছু মনে করবেন না ওর ব্যাবহারে।সোহান তখন বললো আমার ভাইটাও এমন।কিছু নাই বুঝতেই উল্টাপাল্টা করে বসে।আসলে আজকালকার ইয়ং জেনারেশনের ছেলেরা এমনই।কই সবাই মিলেমিশে অনুষ্ঠান উপভোগ করবে তা না করে হুদাই গন্ডগোল করে।এদের মধ্যে ছাড় দেওয়ার কোনো মন মানসিকতাই নেই।

এদিকে নোমান রুমে গিয়ে তার ব্যাগ প্যাক করতে লাগলো।সে সিদ্ধান্ত নিলো এক্ষুনি চলে যাবে।আর এক মুহুর্তও থাকবে না সে।তার কিছুই ভালো লাগছে না।হঠাৎ তানিশা এলো সেখানে।নোমানকে ব্যাগ প্যাক করা দেখে বললো,
এই কি করছেন আপনি?এতো রাতে কই যাচ্ছেন আবার?
নোমান তানিশার কন্ঠ শুনে পিছন ফিরে তাকালো।আর তার ব্যাগ রেখে দিয়ে তানিশার কাছে চলে গেলো।তারপর হঠাৎ তানিশার হাতটি জোরে করে টিপে ধরে বললো, তুমি কিছু বললে না কেনো?কেনো বললে না?
তানিশা তোতলাতে তোতলাতে বললো,কি বলবো?

নোমান তা শুনে ধমক দিয়ে বললো, কি বলবে মানে?ছেলেটা যে তোমার ছবি তুলছে তুমি বারণ করবে না?
তানিশা নোমানের দিকে ভালো করে তাকালো।মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে যেনো আগুন ঝরছে।চশমার সাদা গ্লাস ভেদ করেও দেখা যাচ্ছে সে আগুন।তানিশা তখন বললো,আপনি এতো রাগ করছেন কেনো?ও ছবি তুললে আপনার প্রবলেম কি?
নোমান সেই কথা শুনে চিৎকার করে বললো হ্যাঁ আছে প্রবলেম।আমার চোখের সামনে অন্য কেউ তোমাকে এভাবে দেখবে তা আমার কিছুতেই সহ্য হবে না।চোখ দুটি একদম উপড়ে ফেলবো তার।

তানিশা তখন বললো কেনো?কেনো উঁপড়ে ফেলবেন?আমি আপনার কে হই?আমার উপর আপনার কিসের এতো অধিকার?
নোমান সেই কথা শুনে বললো,আছে অধিকার।তোমার উপর আমার অধিকার সবচেয়ে বেশি।কারণ আমি তোমাকে ভা,,,।এই বলে নোমান থেমে গেলো।আর তানিশার হাত ছেড়ে দিলো।
তানিশা তখন বললো,থেমে গেলেন কেনো?বলেন?কি বলতে চাইছিলেন আপনি?
–কিছু না।তুমি চলে যাও এখন।

তানিশা তখন বললো ওকে যাচ্ছি।বাট একটা কথা শুনে রাখুন অযথা আমার উপর অধিকার দেখাবেন না।কারণ আপনি আমার কেউ হন না।আপনি কিন্তু আজকাল আমার যখন তখন হাত ধরছেন,আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করছেন।আমার এসব ভালো লাগে না।এই বলে তানিশাও চলে যেতে ধরলো।
হঠাৎ নোমান তানিশার হাত ধরে টেনে তার বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো। এমন ভাবে জড়িয়ে ধরলো যে তানিশা নড়াচড়া করতেও পারছিলো না।

তানিশা তা দেখে বললো,এই?এই আপনি কি করছেন?কেউ দেখলে কি হবে?ছাড়ুন আমাকে।
নোমান তবুও ছাড়লো না তানিশাকে।
সে আরো শক্ত করে তার বুকের সাথে মিশে নিলো তানিশাকে।আর বললো,
তানিশা আমি আর পারতিছি না এই ব্যাথা সহ্য করতে।কেমন যেনো অসহায় লাগছে নিজেকে।আমি মনে হয় তোমাকে ভালোবেসে ফেলছি।তোমাকে একদিন না দেখলে ভীষণ কষ্ট হয় এখন। ইচ্ছে করছে তোমাকে সারাজীবনের জন্য আমার কাছে রেখে দেই।।আই লাভ ইউ সো মাচ বেবি।প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না।
নোমান মনে হয় এতো দিনে একটু হালকা হলো।মনের ভিতর জমানো কথা বলতে না পেরে অসহ্য এক ব্যাথায় ছটফট করছিলো এতোদিন।আজ কে তানিশাকে সবকিছু বলতে পেরে মনে হলো বুকের উপর থেকে শক্ত একটা পাথর নেমে রাখলো কেউ।

তানিশা নোমানের কথা শুনে তো একদম স্তব্ধ হয়ে রইলো।তার কথা বলার কোনো শক্তিই মনে হয় নাই।বোবার মতো চুপচাপ থাকলো সে।তার তো আজ খুশি হওয়ার কথা।আনন্দে খুশিতে নাচানাচি করার কথা। কারণ সে যে অনেক আগেই তার মন নোমানকে দিয়ে বসে আছে।যেদিন প্রথম দেখেছিলো নোমানকে সেদিনই তার চোখ আঁটকে গিয়েছিলো তার মায়ায়।সে কিছুতেই বের হতে পারে নি সে মায়া থেকে।কিন্তু নোমান যদি কখনো প্রকাশ না করতো তার না বলা মনের কথা চিরদিন মনের মধ্যেই রয়ে যেতো।

কিন্তু হঠাৎ নোমান তানিশাকে ছেড়ে দিলো।আর সাথে সাথে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।কারণ সে এতোক্ষণ যে ঘোরের মধ্যে ছিলো।অতিরিক্ত আবেগ আর উত্তেজনার বসে সে যে তানিশাকে সব সত্য কথা বলে দিয়েছে ভাবতেই তার ভীষণ লজ্জা লাগছে।নোমান এখন তার এই মুখখানা কেমনে দেখাবে তানিশাকে সেই চিন্তায় সে শেষ হয়ে যাচ্ছিলো।
অন্যদিকে তানিশা নোমানের মুখে ভালোবাসার কথা শুনে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলো না।তার ইচ্ছা করছিলো পাখির মতো উড়ে বেড়াতে।তানিশা সেজন্য দৌঁড়ে তন্নির কাছে ছুটে গেলো।কারণ আজ সে তন্নিকে তার মনের কথা জানাবেই জানাবে।এতোদিন সে যেহেতু একতরফা ভাবেই ভালোবেসে এসেছে সেজন্য জানায় নি তন্নিকে কিছু।কিন্তু আজ তো নোমান সবকিছু ক্লিয়ার করেই দিলো।সেজন্য আজ আর কোনো বাধা নেই বলতে।কিন্তু এতো মানুষ জনের মধ্যে সে কি করে বলবে এজন্য আর বললো না।এ নিয়ে নিরিবিলি কথা বলবে সে।

হলুদের প্রোগ্রাম শেষ হলো অনেক রাতে।ভীষণ গরমের মধ্যে ভারী লেহেঙ্গা পড়ে তার শরীর একদম ভিজে একাকার।সেজন্য তানিশা ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে ঢুকলো।তারপর গোসল করে টাওয়াল টা দিয়ে চুলগুলো ঝাড়তে ঝাড়তে বের হলো।হঠাৎ তার রুমে নোমান প্রবেশ করলো।আর রুমে ঢুকেই সে দরজা লাগিয়ে দিলো।নোমানকে এতো রাতে রুমে দেখে তানিশার ভীষণ ভয় হতে লাগলো।নোমান আবার কেনো এসেছে এতোরাতে?
কারণ যেকোন মুহুর্তে তন্নি রুমে ঢুকবে।কারণ সে অন্য আরেকটা ওয়াশরুমে ফ্রেশ হচ্ছে।
তানিশা তাড়াতাড়ি করে ওড়না টা গায়ে জড়িয়ে বললো,আপনি আমার রুমে?আর দরজা লাগালেন কেনো?
নোমান সেই কথা শুনে তানিশার একদম কাছে এসে বললো,তোমার উত্তর এখনো পাই নি।এজন্য মন টা ভীষণ ছটফট করছিলো।

তানিশা সেই কথা শুনে বললো, প্লিজ রুম থেকে বের হয়ে যান এখন।কেউ দেখলে খুব খারাপ হবে কিন্তু।
–আগে বলো।তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
আমার প্রতি তোমার ফিলিংস কেমন জানতে চাই আমি।
তানিশা তখন বললো কাল বলবো।প্লিজ এখন যান।
হঠাৎ তন্নি দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বললো,তানিশা দরজাটা খোল।
তানিশা পড়ে গেলো মহাবিপদের মধ্যে।এখন কি করবে সে?
অন্যদিকে নোমানের মনে বিন্দুমাত্র ভয়ভীতি নেই।সে তানিশার মুখ থেকে শুনবে তবেই যাবে।তানিশাও নাছোড়বান্দা। সে এতো সহজে কিছুতেই বলবে না।

তানিশা সেজন্য নোমানের হাত ধরে টেনে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলো।তারপর ছিটকিনি লাগিয়ে দিয়ে দরজা খুলে দিলো।
তন্নি রুমে ঢুকেই বললো,দরজা লাগিয়ে দিছিস কেনো?
এদিকে আমান আবার তানিশার রুমে এলো নোমানের খোঁজে।এতোরাতে নোমান আবার কই গেলো?
আমান তানিশার রুম চেক করেই চলে গেলো।সে বেশি দেরী করলো না।হঠাৎ নোমান ওয়াশরুমের ভিতর থেকে থাপড়াতে লাগলো।তানিশা অনেক আগেই শুনতে পেয়েছে।সেজন্য তানিশা ওয়াশরুমের দরজার সিটকিনি টা খুলে দিয়েই তন্নিকে সাথে করে নিয়ে জোর করেই বের হয়ে গেলো রুম থেকে।

তন্নি কিছু বুঝতে পারলো না।সে তখন বললো,কি রে এভাবে হঠাৎ এখানে আনলি কেনো?
তানিশা তখন তন্নির হাত ধরে বললো, তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।সেজন্য নিয়ে আসলাম এখানে।
–ও তাই?তা কি কথা?
তানিশা বুঝতে পারছে না কিভাবে শুরু করবে সে?সে আমতা আমতা করতে লাগলো।
তন্নি তখন তানিশার মুখখানা উপরে তুলে বললো,বুঝতে পেরেছি,প্রেমে পড়েছিস।
তানিশা ভীষণ অবাক হলো।তন্নি কিরে বুঝলো?তাহলে কি সে সবকিছু জানে?সেজন্য তানিশা বললো,তুই কি করে বুঝলি?
–কারণ আমি যখন প্রেমে পড়েছিলাম ঠিক এমনটাই করেছিলাম।মুখখানা ঠিক তোর মতই হয়েছিলো।পুরো শরীরে ঠিক এমনটাই উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিলো।

তানিশা তন্নির কথা শুনে বললো, বেঈমান,যা তোর সাথে কথা নাই।তুই প্রেমে পড়েছিস আর আমি জানি না।
তন্নি তখন বললো,জানাবো জানাবো করে আর সময় হয় নি।আমি না ভীষণ ভয়ের মধ্যে ছিলাম।যদি আবার সে রাজি না থাকে।কারণ একতরফা ভালোবাসাগুলো সবসময় পূর্ণতা পায় না।কিন্তু এখন আমার সব ভয় দূর হয়ে গেছে।তার সাথে আমার বিয়েও ঠিক হইছে।আমি যে কি খুশি হইছি তোকে সেটা বলে বোঝাতে পারবো না।কবে যে আমাদের দুইজনের ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে সেই অপেক্ষায় আছি।

তানিশা অনেক বেশি এক্সসাইটেড ছিলো তন্নির ভালোবাসার গল্প শোনার জন্য।সে তন্নির মুখে তার প্রেম ভালোবাসার কাহিনি শোনার জন্য অস্থির হয়ে থাকলো।সে আজ শুনবেই শুনবেই।
অন্যদিকে তন্নিও এক্সসাইটেড তানিশার ভালোবাসার মানুষের নাম শোনার জন্য।দুই বান্ধুবি কিছুক্ষন ভালোবাসা নিয়ে গবেষণা করতে লাগলো।

ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ১২

তাদের মতে, ভালোবাসা হলো,দুইজন মানুষের মনের গভীরতম ভাব।দুইজনের মনের ভাষাই যখন এক হয়ে যায় তখন সেটাই হলো ভালোবাসা।ভালোবাসার মানুষ কে এক নজর দেখলেই শান্তি পাওয়া যায়।মনের মধ্যে অন্যরকম এক ফিলিংস আসে।আর সে যদি একটু স্পর্শ করে তাহলে মনে হয় সারাজীবনের জন্য তার মাঝে হারিয়ে যাই।এ যে এক অন্য রকম ফিলিংস।যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ১৪