তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ২৮,২৯ || suraiya Aayat

তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ২৮,২৯
suraiya Aayat

থমথমে মুখ নিয়ে নূরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে আয়াশ, নুরের গলা শুকিয়ে কাঠ যেন কোন মরুভুমিতে এসে পড়েছে ৷ নূরের আলাভোলা মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের হাতের দিকে তাকালো আয়াশ, মেহেন্দিটা সারা রাত শুকিয়ে গাঢ় বাদামী বর্ন ধারন করেছে, দেখে মনে হচ্ছে 10 দিনের আগে এই রঙ ফিকে হবে না ৷ আয়াশ এবার একবার নুরের দিকে আর একবার নিজের হাতের দিকে তাকালো, মেয়েটা আয়াশের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাব ভঙ্গি অনুভব করার চেষ্টা করছে ৷ আয়াশ এবার গলা খাকিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনই নূর প্যা করে কেঁদে ফেলল,,,, গলা ছেড়ে কাঁদতে আরম্ভ করলো
” আ্যএএএএএএএ আ্যএএএএএএএ ”

আয়াশ একটু ঘাবড়ে গেল,,নূর রিতীমতো গালে হাত রেখে কাঁদছে যেন যে কেউ ভাববে যে কেউ ওকে থাপ্পড় মেরেছে ৷ আয়াশ নূরকে কিছু বলতে যাবে তার আগে নুর বাচ্চাদের মতো কান্না করে বলল
” আ্যএএএএএ আমি কিছু করিনি ৷ আ্যএএএএএএ !”
নূরের চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে আর এক দিকে ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদছে ৷ আয়াশ একটু গম্ভীর কন্ঠে বলল
” গাল থেকে হাত নামাও ৷”

নূর মাথা নাড়িয়ে গালে হাত রেখে কাঁদতে লাগলো যার অর্থ ও গাল থেকে হাত নামাবে না ৷আয়াশ একটু নড়চড়ে বসলো
” কি হলো আফু সোনা , গাল থেকে হাত নামাও বলছি , আমি কি তোমাকে মেরেছি নাকি যে গালে হাত দিয়ে আছো ?”
নূর তবুও কেঁদেই চলেই , আয়াশ এবার একটা গগনবিরাদী ধমক দিয়ে বলল
” এই মেয়ে চুপ ৷”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

নূর সেই ধমক শুনে চুপ করবে কি, কাঁদতে কাঁদতে আর ভয়ে হুড়মুড় করে পিছেয়ে গেল ৷ কান্নার তীব্রতা বাঁড়তে লাগলো নুরের আর তার সাথে আয়াশের বিরক্তির পরিমানটাও ৷ আয়াশ এবার খাট থেকে নেমে রুম থেকে বেরিয়ে গেল, নূর কাঁদছে আর একটু একটু করে উঁকি মারছে ৷ হঠাৎ আয়াশ একটা ছোট কাঁচা গাছের ডাল নিয়ে রুমে ঢুকলো ৷ লাঠিটাকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে হাতের কাছে সহজে কিছু না পাওয়ার দরুন ওদের ব্যালকনিতে যে গালের ডালটা এসে পড়ে সেটাই ভেঙে নিয়ে এসেছে ৷ লাঠি আনতে দেখে নূরের কান্নার সুরের পরিবর্তন হলো আর বিছানা থেকে ভয়ে হুড়মুড় করে উঠে দাঁড়িয়ে বলল

” ও মা গো ,মেরে আমার চামড়া গুটিয়ে ফেলল রে ৷ ও মা গো !”
আয়াশ লাঠিটা নিয়ে রুমে ঢুকে একপ্রকার ভ্যাবা চ্যাকা খেলো,মহা মুশকিল হলো এই মেয়েকে নিয়ে ৷
আয়াশ তবুও নুরের এমন পাগলামিতে কান না দিয়ে লাঠি উচিয়ে বলল
” এই মেয়ে চুপ, একদম চুপ ৷ আর একটাও আওয়াজ আসলে তোমার শরীর থেকে ছাল চামড়া এক করে দেবো ৷”
নূর কথাটা শুনে ভয়ে ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়লো ৷ আয়াশ লাঠি নিয়ে গিয়ে নুরের পাশে বসে নুরের হাত ধরে হেচকা টেনে নিজের কাছে এনে বলল

” কাঁদছো কেন? আমি তোমাকে মেরেছি নাকি বকেছি কোনটা ?”
নূর আয়াশের চোখের দিকে তাকালো, তার চোখের দৃষ্টি স্থির তাহলে কি নূর খামোখা ভয় পাচ্ছে ! কথাগুলো নিজের মনে ভেবে নূর ফুপিয়ে উঠলো
” আমি সরি ! আমি সত্যিই সরি ! আমি ইচ্ছা করে এমন করিনি বিশ্বাস করুন ৷”
নূরের অবস্থা আগের তুলনায় স্বাভাবিক দেখে আয়াশ আরো স্বাভাবিক করানোর জন্য নূরের চোখের জলটা আলতো করে মুছে বলল
” এই ইংরেজিটা কোথা থেকে শিখলে? আমি সরি ! আই এম সরি শুনেছি কিন্তু আমি সরি ? হোয়াট !”
নূর ভয়ে ভুলভাল ইংরেজি বলার দরুন নিজেকে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা ভাবছে ৷ তারপর কান্নার রেশে কাঁপছে কাঁপতে বলল
” সরি ভয়ে বলে ফেলেছি ৷”

কথাটা বলা মাত্রই আয়াশ নূরেকে টেনে ওর কোলে বসালো আচমকায় ,নূর ওর শার্টটা হেচকা মেরে ধরতেই একটা বোতাম ছিঁড়ে গেল শার্ট থেকে ৷ আয়াশ সেদিক খেয়াল করে তারপর দ্রুত নূরে মনোযোগী হলো ৷
” আমার হাতে এটা কি লিখেছো ?”
এই কথাটার ভয় ই নূর পাচ্ছিল, তৎক্ষণাৎ চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে নিলো যেন ও চোখ বন্ধ করে নিলে আয়াশ আর ওকে দেখতে পাবে না ৷
আয়াশ হঠাৎ নূরের দিকে ঝুকে নূরের ঠোঁটে আলতো করে কামড়ে নিতেই নুর তাড়াতাড়ি করে চোখ খুললো ভয়ে ৷ আয়াশ মুচকি হেসে বলল

” বলো !”
নূর কাঁপা কাঁপা গলায় বলল
” ভুল করে ঘুমের ঘোরে লিখে ফেলেছি বিশ্বাস করুন ৷”
আয়াশ এবার ওর একটা হাত নুরের গলা বেয়ে মুখের কাছে নিয়ে যেতেই নূর জড়োসড়ো হয়ে গেল ভয়ে আর আবেগে ৷ আয়াশ আঙুল দিয়ে নূরের ঠোঁটে স্লাইড করতে করতে বলল
” বলল আফু সোনা কি জন্য এমন লিখেছো ?”
নূর এবার অনেক সাহস নিয়ে বলল
” যদি না বলি ?”
আয়াশ একটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে বলল

” কালকে সারাদিন যেই গার্লফ্রেন্ড এর কাছে ছিলাম আজকে রাতটা তারসাথে কাটাবো ৷ ওকে?”
কথাটা বলে চোখ টিপ মারলো ,হঠাৎ নূর রাগী ভঙ্গিমায় আয়াশের গলায় কামড়ে ধরলো, হঠাৎ এমন হওয়াতে আয়াশ বেশ চমকে গেল ৷ নূর আয়াশের গলা থেকে সরে এসে বলল
” এই কথা আর একবার বললে আপনাকে আর বাঁচিয়ে রাখবো না আমি, ফরমালিন দিয়ে সো পিস করে রাখবো তারপর আপনি সবসময় আমার চোখের সামনে থাকবেন , ওয়াও নাইস না ? আমি জানি আমার প্ল্যান সবসময় জোশ ই হয় ৷”
আয়াশ ভ্রু কুঁচকে বলল

” এটা তো আমার থেকে কপি করেছো তাহলে তোমার প্ল্যান হলো কি করে ?
নূর রেগে বলল
” আপনি তো ফরমালিন এর কথা উল্লেখ করেননি কিন্তু আমি করেছি তাই দুটো কথায় আলাদা বুঝেছেন? হোয়াটএভার !”
” আবার কপি করলে !”
নূর রাগী চোখে তাকালো,নূর রেগে আছে দেখে আয়াশ আরো রাগিয়ে নূরের কাছ থেকে সত্যিটা আদায় করার জন্য বলল
” কামড়ালেই হবে ! আমার মন তো সামিয়ার কাছে ৷”
কথাটা শোনা মাত্রই সুর আলতো করে আয়াশের গালে চড় মেরে বলল

” এই আমি তোর বউ না ? আমাকে রেখে তুই পরকীয়া করিস ? আমি ঠিক জানতাম তোর মাঝে নিশ্চয়ই কোন গন্ডগোল আছে নাহলে তুই তো এরকম করিস না ৷তোকে আমি শেষ করে ফেলবো অন্য মেয়ের দিকে তাকালে ৷ আর এই হাতের মেহেন্দি 10 দিনের আগে উঠলে তোর খবর আছে ৷ মেহেন্দি উঠবে আবার লিখে দিবো বুঝছোস ?”

আয়াশের গাল দুটো টিপে কথাগুলো বলল নূর, নূরের মাঝে এতো সাহস দেখে আয়াশ অবাক , আসলেই কি এটা ওর নূর যে সবসময় আয়াশকে ভয় পেয়ে চলে, আয়াশের পানিশমেন্ট গুলোর থেকে পালিয়ে বেড়ায় আর আজ সে নিজের জায়গাটুকু বজায় রাখার জন্য এতোকিছু বলে ফেলল আয়াশকে ‌ ৷ আয়াশ অবাক,নূর ওর মনের কথাগুলো রাগ আকারে প্রকাশ করছে কিন্তু এখনো আসল কথাটা আয়াশের জানা বাকি তাই নূরের এই ব্যাবহারে ওকে চমকালে হবে না নূরকে আরোও উত্তেজিত করে তুলতে হবে যাতে নূর বলে যে নূর ওকে ভালোবাসে ৷
আয়াশ নূরের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলল

” আফু সোনা মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ , এটা কি ধরনের কথা বলার ধরন হু ?”
নূর রেগে বলল
” আপনি পরকীয়া করলে দোষ না আর আমি তুই করে বললেই দোষ ? আমার মতো একটা মাসুম বউ থাকতে আপনার আর কিসের অভাব ! অন্য ছেলেরা কি সুন্দর সারাদিন বউ বউ করে আর আপনি ! শুনুন ওই সামিয়া টামিয়ার নাম যদি আপনার মনের মাঝে আর থাকে তাহলে আপনার কলিজা কেটে আপনার হাতে ধরিয়ে দেবো বলে রাখলাম !”
আয়াশ হঠাৎ প্রশ্ন করলো

” আচ্ছা তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না তাহলে তোমার এতো কি !”
” হু বাসিনা তো , বাসবোই বা কেন? পরকীয়া করলে তাকে ভালোবাসা যাই নাকি তাই ? যাই বলুন না কেন আপনাকে যেন অন্য কোন মেয়ের দিকে কখনো চোখ তুলে তাকাতেও না দেখি বুঝেছেন?”
” আচ্ছা তুমি আমার বউ তো ?”
নূর আয়াশের কলার ধরে টেনে নিজের কাছে এনে বলল
” কেন বোন লাগি?”
আয়াশ মুচকি হেসে বলল
” আচ্ছা তোমাকে কিছু প্রশ্ন করি শুধু হ্যাঁ অথবা না উত্তর দেবে কেমন? তারপর বলবো তুমি আমার কি হও ওকে?”
নূর বাঁকা চোখে তাকিয়ে বলল
” ওকে ?”

1.” আমি তোমার হাজবেন্ড ! আমাকে ভয় পাও?”
নূর মাথা নাড়িয়ে বলল ” হ্যাঁ !”
2.” আমার বাবাকে ভয় পাও ?”
নূর মাথা নাড়িয়ে বলল ” না”
3.” ইফা ভলো ?”
নূর মাথা নাড়িয়ে বলল “হ্যাঁ ৷”
4.তোমার ভাবী মায়া খারাপ ?
নূর মাথা নাড়িয়ে বলল” না ৷”
5. তোমার বাবা তোমাকে খুব ভালোবাসে ?”
নূর মাথা নাড়িয়ে বলল ” হ্যাঁ ৷”
6. তুমি আমাকে ভালোবাসো ?
নূর এবার ও মাথা নাড়িয়ে বলল “না ৷”
আসলে সিকোয়েন্স বরাবর হ্যাঁ না বলতে বলতে এটার উত্তর ও না বলে ফেলেছে ৷
নূরের মাথা নাড়ানোর সাথে সাথে আয়াশ বলল

“সামিয়া আমি শুধুই তোমার আমার বউ আমাকে ভালোবাসেনা ৷ হাই মেরি ফুটি কিসমত !”
আয়াশ নূরকে বিছানায় বসিয়ে টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুম যেতে নিলেই হঠাৎ নূর পিছন থেকে হালকা ধীমে কন্ঠে বলল
” যদি বলি ভালোবাসি !”
কথাটা শুনে আয়াশ পিছু ঘুরলো না, ঠাই দাঁড়িয়ে রইলো ৷ নূর ধীর পায়ে আয়াশের কাছে গেল, তারপর সামনে থেকে আয়াশকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো ৷ নূর ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর আয়াশের বুকের মাঝে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে এক সমুদ্র ভালোবাসা নুরের কাছে এনে হাজির করে দিই, আয়াশের হৃদস্পন্দন বাড়ছে আর ততোই বেড়ে চলেছে নূরের ফুঁপিয়ে কান্নার মাত্রা ৷ হঠাৎ নূর বলে উঠলো

” আপনি কিছু বোঝেন না ? সব কি আমাকেই বলে দিতে হবে সবসময় ?”
আয়াশ কিছু বলল না,চুপকরে নূরের অনুভূতি গুলো শুনছে, ভীষন ইচ্ছা করছে নুরকে আঁকড়ে ধরতে কিন্তু ও ধরবে না তাহলে ও দূর্বল হয়ে পড়বে , আর নূরের বলা ভালোবাসি কথাটা ওর মনোবল বাড়ানোর জন্যই যথেষ্ট ৷
নূর একহাত দিয়ে চোখের জলটা মুখে আবার আয়াশকে জড়িয়ে ধরে কাঁদেতে কাঁদতে বলল

” আমি কখনো ভাবিনি আপনার মতো একটা ডেভিল পার্সোনালিটির মানুষকে আমি কখনো ভালোবাসবো, কিন্তু কি করবো বলুন ভালোবাসতে অমি অপারক আবার ঘৃনা নিয়ে দূরে ঠেলেও দিতে পারিনা কারন আমি পারবোনা ৷ আপনি প্লিজ আমার সামনে অন্য কারোর নাম নিবেন না আমার সহ্য হয় না ! আপনি আমাকে ভালোবাসেন কি তা আমি জানি তা কেবল আমার মাঝেই গোপন থাক কিন্তু আপনি যদি আমি ব্যাতিত সত্যিই কখনো কোন পরনারীতে আকৃষ্ট হন সেদিন প্লিজ আমাকে জানে মেরে দিবেন নাহলে আমি নিজেই,,,”

কথাটা শোনামাত্রই আয়াশ নূরকে সরিয়ে ওকে বিছানায় ফেলে ওর হাত দুটো শক্ত করে চেপে ধরলো তারপর নূরের গাল দুটো ধরে নূরের ঠোঁট জোড়া আঁকড়ে ধরলো, আজ কেমন অদ্ভুত নেশা কাজ করছে , আয়াশের সেই তুমি নামক নেশা যার দরুন নুরকে এতো কাছে পাওয়া ৷ আয়াশ নুরের ঠোঁটে আলতো করে কামড় দিয়ে সরে আসতে নিলেই নুর আয়াশের শার্ট ধরে কাছে টেনে বলল
” আমার ভালোবাসাটাকে দুর্বলতা ভাববেন না, ভালোবাসা কোন ছিনিমিনি খেলা নয় , আমাকে ভালোবাসার দায়িত্বটা আপনার আর সেই দায়িত্বটা ভালো ভাবে পালন করবেন ! আইদার আই উইল কিল ইউ ৷”

তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ২৭

কথাটা বলে আয়াশকে সরিয়ে চলে যেতে নিলেই আয়াশ ওকে টেনে পুনরায় বিছানায় ফেলে বলল
” আমার কাছে ভালোবাসার নিয়মটা অন্য ! আর পাঁচ জনের মতো রোমান্টিক কথা আমি বলতে পারি না, স্বাভাবিক মানুষরা যেভাবে ঠোঁটে ঠোঁট ছোয়ায় আমি তেমন পারি না, রোমান্টিক দৃষ্টি তো আমার ডিক্সনারিতেই নেই, আর বাকি রইলো ভালোবাসি শব্দটা শোনার অপেক্ষা তাইতো !

তোমাকে ভালোবাসি কি তা জানি না হয়তো বলতে চাইছি না তবে এটুকু জানি যে তুমি আমার এমন একটি নেশা যে নেশা কেটে গেলে এই আয়াশ নামক ডেভিল মানুষটার আর কোন অস্তিত্ব থাকবে না ! আমার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তোমাকে বা আমাকে কাউকেই পারফেক্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই ! শুধু চাই একটু ডেভিলনেস যা সহ্য করার ক্ষমতা তোমার. থাকলেই চলবে ! আর রইলো ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ! মৃত্যুর আগে অবধি তো তোমাকে ছাড়ছি না তাই সেসব কথা ভুলে যাও আফু সোনা ৷
কথাটা বলে ওয়াশরুমে ঢুকলো, দরজা দেওয়ার আগে বলল

” তুমিই আমর প্রিয় নেশা যার ঘোর না কখনো কাটবে না কখনো কমবে আর না আমি কখনো কমতে দেবো, কজ আই এম আ ডেভিল ওনলি ফর ইউ !”
নূর মুচকি হাসলো আজ সাহস নিয়ে অনেক কিছু বলে ফেলেছে তার জন্য ভীষন পরিমান লজ্জা লাগছে ওর ৷

তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ৩০