তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ২৪

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ২৪
জেনিফা চৌধুরী

“ডিভোর্সি তকমাটা আমার গায়ে এখনো রয়েছে, মা। সমাজের মানুষ আমাকে ডিভোর্সি, চরিত্রহীন একজন মেয়ে বলে জানে। শুধুমাত্র তোমার ভুলের জন্য আজ আমি ডিভোর্সি। আমার কোনো রকম মতামত নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করোনি। নিজের জেদটা টিকিয়ে রাখার জন্য, আফুর প্রছন্দ করা ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলে। একবারও খোঁজ নেওনি ছেলেটা ভালো না-কি মন্দ। আজ আবার দ্বিতীয় বার সেই একই ভুল করতে চাইছো?”

বেলীর অসহায় কন্ঠের কথাগুলো শুনে, রিতার পা জোড়া থেমে গেলো। ঘুরে তাকালো মেয়ের দিকে, বিস্ফোরিত কন্ঠে বললো,
“আমার জন্য তুই ডিভোর্সি! কী বলছিস তুই? ”
বেলীর চোখের পানিগুলো গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো। চেঁচিয়ে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“হ্যাঁ, তোমার জন্য। একবারও আমার মতামত জিজ্ঞেস করোনি। নিজেরাই যা বুঝেছো, তাই করেছো। তোমাদের সম্মান করে আমি টুঁ শব্দ করিনি। আর তার পরিনতি কি হলো দেখলে? আমি ডিভোর্সি হলাম। আমাকে দেখলে এখন মানুষ ছি ছি করে। কতটা যন্ত্রণা নিয়ে আমি বেঁচে আছি, একবারও বুঝার চেষ্টা করোনি। না-কি বুঝেও বুঝতে চাইছো না,মা! ”

রিতার শরীর কাঁপছে। মেয়ের অশ্রুভর্তি চোখ দুটোর দিকে অবাক পানে তাকিয়ে। ভাবলো, সত্যিই তো ‘ তার প্রথমের ভুলের জন্য মেয়েটা আজ ডিভোর্সি ‘।সেদিন যদি রাফিনের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে বিয়েটা দিতো। তাহলে, আজ তার মেয়েটা ডিভোর্সি হতো না।

নিজের মায়ের পছন্দের ছেলে বলে, কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই মেয়েটার বিয়ে দিয়েছিলো। একবারও মেয়ের থেকে কোনো মতামত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। এবারও মেয়ের মতামত না নিয়েই, পাত্র দেখা শুরু করে দিয়েছে। কতটা বোকার মতো কাজ করেছে, ভাবতেই রিতার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। রিতাকে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, বেলী পুনরায় বলল,

“মা, আমি কী খুব বেশি হয়ে গেছি! বোঝা হয়ে গেছি? আমার মতামতের কী কোনো দাম নেই?”
বেলী ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। রিতার ভেতর অনুতাপের আগুন জ্বলছে। মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না। তখন দরজায় দাঁড়িয়ে মাকে কিছু বলতে পারেনি, বেলী। তাই রুমে ডেকে নিয়ে এসেছিলো। নীলাভ্র খুব শান্ত। কোনো শব্দ করেনি।

মুখের ভাবভঙ্গি বেশ নমনীয়। মেহমানদের সাথে বসে আলাপে মেতে উঠেছে। নীলাভ্রর হঠাৎ এমন আচরণে যে, ঝড়ের পূর্বাভাস তা বেলী জানে। তাই কষ্ট হলেও নিজের মাকে এমন শক্ত কথা শুনাতে হলো। রিতা এগিয়ে গেলো মেয়ের দিকে। কোনো শব্দ ছাড়াই দুই হাতে মেয়েকে বুকে আগলে নিলো। মেয়ের মাথায় হাত রাখলো। কান্নারত স্বরে বলতে লাগলো,

“আমাকে ক্ষমা করে দে, মা। আমি তোর মা হয়েও তোর কষ্টটা বুঝতে পারিনি। আমি প্রতি মুহূর্ত ভয়ে থাকি, তোকে নিয়ে। আমি আজ আছি, কাল তো নাও থাকতে পারি! আমার কিছু হয়ে গেলে তোর কি হবে? তোকে কে দেখবে? তুই একা একা কি করে বাঁচবি?

এইসব ভেবেই সব অতীত ভুলে নতুন করে তোর জন্য পাত্র দেখা শুরু করেছিলাম। একটা বিশ্বস্ত হাতে, তোর হাতটা উঠিয়ে দিতে পারলেই আমার শান্তি। কিন্তু, এত কিছুর মাঝে, একবারের জন্যও মাথায় আসেনি, মেয়েটার মতামত নেওয়া দরকার। আমি বুঝতে পারিনি রে, মা। আমাকে ক্ষমা করে দে। তুই আমার কাছে বোঝা না। তুই যে আমার রাজকন্যা। আমারে ক্ষমা করে দে, মা।”

বলে বেলীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিঃশব্দে কান্না করে উঠলো। এতক্ষণ মায়ের কোমল স্বর শুনে, বেলী নিজেকে সামলাতে পারলো না। হুঁহুঁ করে কান্নায় ভেঙে পড়লো। কান্না করতে করতেই বলল,

“আমি তোমাকে আঘাত করতে চাইনি, মা। আমি জানি তুমি যা করো, আমার ভালোর জন্য। কিন্ত মা, আমি অন্য কাউকে আর বিয়ে করতে পারব না। আমি নীলাভ্র ভাইকে ভালোবাসি। খুব ভালোবাসি। তুমি তো সব বুঝতে পারো। তাহলে এটা কেন বুঝতে চাইছো না? আমি নীলাভ্র ভাইকে ছাড়া ভালো থাকতে পারব না।”

রিতা খানিকক্ষণ চুপ থাকলো৷ উত্তর দিলো না। বেশ নমনীয় স্বরে বললো,
“আমি সব জানি, মা। সব বুঝি। কিন্তু বড় ভাবী যে, তোরে পছন্দ করে না। খারাপ ব্যবহার করে। কথা শুনায়। অপমান করে। এইসব জানা স্বত্তেও তার ছেলের হাতে তোকে তুলে দেই, কি করে?”
এতক্ষণে বেলী ওর মায়ের চিন্তার কারণ বুঝতে পারলো। মাকে স্বান্তনার স্বরে শুধালো,

“বড় মামি, এখনো সেই আগের মতোই আমাকে ভালোবাসে, মা। আমি তার চোখে আমার জন্য স্নেহ, মায়া, মমতা দেখেছি। কিন্তু, ওই যে আমি ডিভোর্সি। কোনো মা কী চাইবে তার ছেলে একটা ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়ে করুক? তাই না চাইতেও খারাপ ব্যবহার করে ফেলে। বড় মামির জায়গায় থাকলে তুমিও হয়তো একই কাজ করতে। কিন্তু আমার বিশ্বাস বড় মামি আমাকে ঠিক মেনে নিবে, দেখে নিও।”

রিতা বেলীকে ছেড়ে দিলো। আঁচল দিয়ে বেলীর চোখের পানিটুকু মুছিয়ে দিলো। খুব যত্ন করে বেলীর কপালে চুমু দিয়ে, বলল,
“আমার সেই ছোট্ট বেলী, আজ অনেক বড় হয়ে গেছে। আমি এক্ষুনি পাত্রপক্ষকে গিয়ে বারণ করে দিচ্ছি। তুই আর কাঁদবি না।”

বলে হালকা হেসে, আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে গেলো। বেলী একটু হেসে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো। আজ বুকের উপর থেকে অনেক বড় একটা বোঝা নেমে গেছে। ওয়াশরুমে ঢুকে চোখে-মুখে পানি দিলো। শাড়িটা বদলে একটা ধূসর রঙের থ্রি-পিস পড়ে নিলো। ওয়াশরুম থেকে এসে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়ালো।

নিজেকে পা থেকে মাথা অব্দি একবার পরখ করে নিলো। মায়ের কাছে কোনো সংকোচ ছাড়াই, নিজের ভালোবাসার কথা স্বীকার করেছে ভাবতেই খানিকটা লজ্জা পেলো। হুট করে অতীতের এক টুকরো স্মৃতি ভেসে উঠলো, চোখের পাতায়। যেদিন বেলী প্রথমবার নীলাভ্রর প্রেমে পড়েছিলো। ভালোবাসা নামক ম*রণব্যাধি অসুখে আক্রান্ত হয়েছিলো। চোখ বন্ধ করতেই সেই স্মৃতি টুকু স্পষ্ট হলো,

অতীত
তখন বেলী এস এস সি দিবে। একদিকে মাথায় পরিক্ষার চা’প, অন্যদিকে নীলাভ্রর পা’গলাটে ভালোবাসায় জীবন অতিষ্ঠ। বেলী যে নীলাভ্রকে পছন্দ করে না, ব্যাপারটা এমন না। কিন্তু, বেলী জানে, ওর মা কখনো এই সম্পর্ক মেনে নিবেনা। তাই যতটা পারে সবসময় নীলাভ্রকে এড়িয়ে চলে। সুযোগ পেলে খারাপ ব্যবহার করতেও পিছপা হয়না। পরিক্ষার আগের দিন, সন্ধ্যা থেকে অনেকক্ষণ যাবৎ বেলী বই নিয়ে বসে আছে। কিন্তু কিছুতেই পড়ায় মনোযোগ দিতে পারছে না। বারবার নীলাভ্রর চিন্তা মাথায় ঘুরঘুর করছে। মনে মনে বেশ বিরক্ত হলে। মিনমিনিয়ে বলে উঠলো,

“এই ছেলেটা আমাকে একটুও শান্তিতে থাকতে দিবেনা। পড়ার সময় এসেও ডিস্টার্ব করে। আশ্চর্য! ”
হুট করে মনে পড়লো। আজ সারাদিন নীলাভ্রকে দেখতে পায়নি। কোথায় গেছে ছেলেটা? কোনো সমস্যা হয়নি তো! কেমন যেনো চিন্তায় দম বন্ধ হয়ে আসতে শুরু করলো। ভাবলো বড় মামি বা অন্য কাউকে গিয়ে জিজ্ঞেস করবে। তাই উঠে দরজার সামনে গিয়ে হুট করে দাঁড়িয়ে পড়লো। নিজে নিজেই বলে উঠলো,

“কেউ কিছু সন্দেহ করলে, তখন কী হবে?”
এই ভেবে আবার পিছিয়ে আসলো। মনটাকে শক্ত করে আবার পড়ায় মনোযোগ দিলো। হাজার চেষ্টা করেও মন দিতে পারছে না। টেনশনে দাঁত দিয়ে নখ কা’টা শুরু করে দিলো। মুখটা ভয়ে চুপসে আছে। স্পষ্ট চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা যাচ্ছে। মনে পড়লো, সকালে নীলাভ্রর সাথে বেলীর ঝগড়া হয়েছিলো। তারপর থেকেই নীলাভ্রর দেখা নেই। কথাটা মনে উঠতেই, বেলী ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে গেলো। বুকের ভেতরটা ভয়ে মুচড়ে উঠলো। শক্ত করে চেয়ারের হাতল চে*পে ধরে, ভয়ার্ত স্বরে বলে উঠলো,

“আমার উপর রাগ করে, কোথাও চলে যায়নি তো?”
চোখের অশ্রুকণা গুলো গড়িয়ে পড়ার আগেই, তড়িঘড়ি করে মুছে নিলো। শক্ত কন্ঠে আবার বলল,
“আমি কেন কাঁদছি? আমি তো চাই নীলাভ্র ভাই, আমার থেকে দূরে থাকুক। তাহলে এখন কেন আমার কষ্ট হচ্ছে? আমার কেন ভয় হচ্ছে? সে যেখানে খুশি, সেখানে যাক। আমার কি? আমি আর ভাববো না তার কথা।”

বলে জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। বেলী নিজেও বুঝতে পারছেনা, ওর কেন এমন হচ্ছে। ও তো নীলাভ্রকে ভালোবাসেনা। তবুও কেন নীলাভ্রর অনুপস্থিতিতে এত কষ্ট হচ্ছে? কাঁধের উপর কারোর শীতল হাতের স্পর্শ পেতেই, বেলীর ধ্যান ফিরে আসলো। হকচকিয়ে উঠলো ভয়ে। তৎক্ষনাৎ পেছনে ঘুরতেই ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো। অবাক স্বরে বলে উঠলো,

“আপনি!”
এইটুকু বলে থামলো। বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটতে চাইছে না। চিন্তিত স্বরে পুনরায় শুধালো,
“আপনি সারাদিন কোথায় ছিলেন, নীলাভ্র ভাই? আমি কত চিন্তায় ছিলাম, জানেন? ভয়ে হাতপা জমে গেছিলো। কোনো খোঁজ নেই, খবর নেই। কোথায় ছিলেন আপনি?”

বেলীর চিন্তিত স্বরে কথাগুলো শুনে নীলাভ্রর মুখে হাসি ফুটলো। বেলী প্রশ্নত্তর চোখে তাকিয়ে আছে নীলাভ্রর দিকে। নীলাভ্রকে মুচকি মুচকি হাসতে দেখে, রেগে গিয়ে বলল,
“হাসছেন কেন? আমি আপনাকে কত গুলো প্রশ্ন করলাম, আর আপনি উত্তর না দিয়ে হাসছেন। আজব তো!”
নীলাভ্র এবার সশব্দে হেসে উঠলো। বেলীর গাল টেনে উঠলো। আচমকা ঘোর লাগা কন্ঠে বলে উঠলো,
“আই লাভ ইউ, বেলীপ্রিয়া।”

নীলাভ্রর কথায় বেলী, নির্বাক চোখে তাকিয়ে রইলো নীলাভ্রর দিকে। ছেলেটার চোখে অদ্ভুত মায়া রয়েছে। বেলীর হুট করে ইচ্ছে করলো, নীলাভ্রকে একটু জড়িয়ে ধরতে। ওর চোখে চোখ রেখে ভালোবাসায় সাড়া দিতে৷ কিন্তু যখনি পরিবারের চিন্তা মাথায় আসলো, তখনি শক্ত হয়ে গেলো। রাগান্বিত স্বরে বলে উঠলো,

“নীলাভ্র ভাই, আমাকে ভালোবাসবেন না । আপনার ভালোবাসায় আমি সাড়া দিতে পারব না। ভুলে যান। দূরে থাকুন। মঙ্গল হবে। এত বাধা স্বত্তেও কেনো ভালোবাসেন আমাকে?”
বেলী স্নিগ্ধ মুখশ্রীতে লেগে আছে অসহায়ত্ব। চোখ জোড়া অশ্রুসিক্ত। কন্ঠস্বরে বিষাদের সুর। তিরতির করে কাঁপছে ঠোঁট জোড়া। অনেকটা দহনে পুড়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে বললো বেলী। নীলাভ্র হাসলো। মুখের ভাবাবেগ পরিবর্তন হলো না। সোজাসাপ্টা উওর দিলো,

“ভালোবাসি বেলীপ্রিয়া”
উওর শুনে চমকালো বেলী। ভীষন চমকালো। নির্ভেজাল স্বীকারোক্তি ছেলেটার। প্রশান্তির হাওয়া বইতে লাগলো সর্বাঙ্গে। তৃপ্ত হলো চোখ জোড়া। মস্তিষ্ক জানান দিচ্ছে মন প্রেমে পড়েছে। ছন্নছাড়া, বে’হায়া মন প্রেমে পড়েছে। নীলাভ্র থামলো কিছুক্ষন। হুট করেই পুনরায় র্নিদ্ধিধায় শান্ত, শীতল কন্ঠে শুধালো

“মস্তিক জানান দিচ্ছে আমি ভয়ংকর, ম-রন ব্যাধি অসুখে আক্রান্ত হয়ে গেছি রে, বেলীফুল। মৃ*ত্যু ছাড়া এই অসুখ ভালো হবে না। ভালোবাসার অসুখ কখনো ভালো হয় না রে, বেলীফুল।”
মুখাবয়ব লজ্জাতে ভরে উঠলো বেলী’র। কি স্নিগ্ধ উওর। হৃদপিন্ড শান্ত করা উত্তর। নিস্পলক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে রইলো নীলাভ্রর দিকে। একেই বলে প্রেমের অসুখ। আর সেই ভ’য়ংকর অসুখেই আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে বেলী।

“একা একা মুচকি হাসছিস কেন? বিয়ের রঙ গায়ে লেগেছে বুঝি?”
হুট করে চেনা কন্ঠস্বর কানে আসতেই, বেলীর হুঁশ ফিরে এলো। অতীতের ভাবনায় ডুবে ছিলো এতক্ষণ। ইস, কি ভাবলো নীলাভ্র! আমতা আমতা করে উত্তর দিলো,

“ইয়ে মানে…।”
নীলাভ্র কপাল কুঁচকে এগিয়ে গেলো, বেলীর দিকে। বললো,
“মানে, কী? কার কথা ভাবছিলি?”
বেলী লজ্জায় নুয়ে গেলো। উত্তর দিলো,
“আপনার কথা।”

কথাটা বলেই বেলী লজ্জায় দুইহাতে মুখ ঢেকে নিলো। বেলীর লজ্জামাখা মুখটা দেখে নীলাভ্র হাসলো। দুই হাতে বেলীকে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। ঘোর লাগা কন্ঠে বললো,
“বিয়ের জন্য তৈরি হয়ে নে। এখন লজ্জা পেলে হবে না।”
বেলী সাথে সাথে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো,

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ২৩

“বিয়ে! কার বিয়ে?”
নীলাভ্র বেলীর চুলে মুখ গুঁজলো। অস্পষ্ট স্বরে বললো,
“নীলাভ্র আর বেলীপ্রিয়ার বিয়ে।”

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ২৫