তুমি নামক প্রাপ্তি পর্ব ১৯ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

তুমি নামক প্রাপ্তি পর্ব ১৯
Suraiya Aayat

আর্শিয়ান আবিরের সাথে একটু বাইরে গেছে শপিং করতে , আরু যদিও বা আর্শিয়ান কে পাঠাতে চাই নি ৷ কয়েকদিন আগের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মনে পড়লেই বারবার কেঁপে কেঁপে ওঠে আরু , এখন খুব সহজেই কাউকে বিশ্বাস করতে যেন খুব কষ্ট হয় ৷ মানুষ কতটা খারাপ হলে একটা বাচ্চা ছেলের সাথে এতটা খারাপ কাজ করতে উদ্যত হতে পারে সেটার জলন্ত প্রমান কিছুদিন আগের ঘটনা ৷

প্রায় চার দিন হয়ে গেল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে ৷ আরুর জানামতে পুলিশ অপরাধীকে ধরতে পেরেছে কিন্তু অপরাধী এখনো কোনো কিছুই স্বীকার করেনি, এমনটাই আরু জানে আর তার সাথে সবাইকেই এটা জানানো হয়েছে, তাতে আর যাই হোক আরমান সাহেবর রাতের ঘুম হারাম হয়নি ৷

এতকিছুর পর এখন আর আরুর মধ্যে আসল সত্তটা জানার মতো তৃষ্ণা টুকু নেই বললেই চলে ৷ এই সমস্ত কাজ যে করেছে সে যে আরুর শুভাকাক্ষী হবে না এটা ভেবেই নিজেকে দমিয়ে নিয়েছে ৷ নতুন ভাবে আঘাত পেলে যেন বড্ড কষ্ট পাবে ৷ হতেও পারে যে ওর খুব কাছের কেউ ই এমনটা করেছে ৷কথাগুলো আরু আন্দাজ করতে পারে এখন বেশ ,তাই অতিরিক্ত সতর্কতার খাতিরে ফ্লাটের অন্যসব মহিলাদের থেকে খানিকটা দূরত্ব বজায় করেই থাকে , কাউকে যেন আর আগের মতো চোখ বুজে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় না , এমনকি আবিরকে অব্দি সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ রাখতে একটি বারের জন্যও পিছুপা হয়নি ৷ আশেপাশে এত সব মুখোশধারী মানুষদের মধ্যে সবার আসল রূপটা চিনে নেওয়ার কাজটা বড্ড কষ্টকর ,.

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কে কখন কোথা থেকে আঘাত হানে বোঝাই মুশকিল তাই আবিরকেও এই তালিকার মাঝে রাখাই ভালো ৷ তবুও কখনো যেন আরুর আবির নামক মানুষটার ওপর খারাপ ভাবনা আসেনি ৷ যতবারই বিপদে পড়েছে আবির আরুকে ততবারই সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে , কখনো খারাপ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাইনি , এসব ছাড়াও আরু আবিরের আর কোন খারাপ দিক আরু লক্ষ্য করেনি , কিন্তু মাঝে মাঝে আবির ওর ব্যক্তিগত জীবনে খানিকটা হলেও অধিকার খাটাতে চায় সেই জিনিসটা একদম পছন্দ নয় আরুর ৷ মাঝে মাঝে আবিরের কথা ভাবলে আরুর মনে হয় যে আবিরকে যেন কেউ আরুকে সাহায্য করার জন্যই পাঠিয়েছে,যদিও এর সত্ততা সম্পর্কে আরুর ধারনা ক্ষীন ৷

আবিরের সাথে আর্শিয়ানকে পাঠানোর কোন ইচ্ছা ছিল না তবুও আবির অনেক জোর করছিল আর্শিয়ানকে নিয়ে যাবে বলে ৷ তাছাড়া আর্শিয়ান যেন আবিরের সাথে বন্ধুর মতো মিশে গেছে সেও যাওয়ার জন্য জেদ করে বসতেই আরুও আর মানা করতে পারলো না ৷ আবির আর আর্শিয়ান বেরিয়েছে প্রায় কুড়ি মিনিট হলো ,এরমধ্যে তিনবারের মতো আবিরকে কল করা হয়ে গেছে ৷ প্রতি 7 থেকে 8 মিনিট অন্তর অন্তর ফোন করছে আর্শিয়ান ঠিক আছে তো এই কথাটা জানতে ৷
আর আরুর কথার উত্তরে প্রতিবারই আবির মুচকি হেসে অত্যন্ত সাবলীল ভাবেই বলেছে

” আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না!”
” আমাকে দেখে কি আপনার চোর-ডাকাত মনে হয়? আচ্ছা সে না হয় হল, যদি তেমনটাই হয়ে থাকে তাহলে আমাকেও কেটে পদ্মায় ভাসাবেন কেমন !”
আবিরের বলা লাস্ট কথাটা শুনতেই আরু খানিকটা ইতস্তত বোধ করে লজ্জা পেল, হয়তো একটু বেশিই চিন্তা করে ফেলছে আর্শিয়ানকে নিয়ে আর সেই জন্যই বারবার আবিরের দিকে সন্দেহের তির ছুড়ে দেওয়াই আবির বাধ্য হয়ে এ কথা বলেছে ৷

আবির রিকশা করে আসলো, আরশিয়ানের হাত ধরে রিক্সা থেকে নেমে ভাড়াটা দিয়ে এদিক ওদিক তাকালো হয়তো কারো আসার অপেক্ষা করছে ৷ আরশিয়ানের হাতটা ধরে আছে আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে ৷
রাস্তায় কত লোকজন ,খোলা যানজট , দোকানপাট ,উচ্চ বিল্ডিং ,ফ্ল্যাট, হাজারো মানুষের কোলাহল এর পরিপূর্ণ ঢাকা শহর ৷
আবির হাত ঘড়ির দিকে তাকালো , নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছে গেছে তাই ও খানিকটা সময় অপেক্ষা করলেও সেটায় খুব একটা ক্ষতি হয়ে যাবে না ৷ হঠাৎ করে হাতে প্রচন্ড রকম ঝাড়ি খেতেই আবির দেখল আরশিয়ান ওর হাত ছেড়ে সামনের দিকে দৌড়াচ্ছে ৷ আবির ও আর্শিয়ানকে বাধা দিল না কারণ সে জানে কি জন্য আর্শিয়ান দৌড়ে গিয়েছে

দূরের কালো গাড়িটার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটার দিকে ছুটে যেতেই মানুষটা আর্শিয়ানকে কোলে তুলে নিয়ে জড়িয়ে ধরলো , আর্শিয়ান ও তার গলা জড়িয়ে ধরে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে , এতটা দৌড়ে আসতে গিয়ে খানিকটা হলেও হৃদস্পন্দনের গতির হারটা বেড়ে গেছে, আর যাকে জড়িয়ে রয়েছে তার হৃদস্পন্দনটাও বেড়ে গেছে, নিজের ছেলেকে কাছে পাওয়ার খুশিতে ৷

আরিশ আর্শিয়ান কে জড়িয়ে ধরে আছে ,গায়ে রয়েছে হলুদ রঙের একটা পাঞ্জাবি ,তাতে আর্শিয়ানের জুতোয় বিদ্যমান ধুলোগুলো খানিকটা হলেও বিক্ষিপ্তভাবে লেগে গেছে যার ফলে হলুদ পাঞ্জাবিটায় সাদা সাদা ছোপ দেখা যাচ্ছে ৷
আর্শিয়ান কে জড়িয়ে ধরে আছে আরিশ, অনেকক্ষণ হলো দুজন একই অবস্থায় রয়েছে ,হঠাৎ আরিশ বলে উঠলো
” আমার চ্যাম্পটা দেখছি একটা সুপারম্যান, কেমন করে তার বাবার কাছে চলে এলো দৌড়ে ৷”
আরিসের কথা শুনে আর্শিয়ান দু হাত দিয়ে আরিশেরর গলাটা জড়িয়ে ধরে আরিশের মুখোমুখি হয়ে বলল
” আই এম নট সুপারম্যান , আই এম ছোট আরিশ ইউ নো ? ৷”

কথাটা বলে খিলখিল করে হাসতে লাগলো আর্শিয়ান ৷ আর্শিয়ানের ছোট্ট ছোট্ট আঙুলের ফাঁক দিয়ে তার এলোমেলো দাঁতগুলো দেখা যাচ্ছে , সেগুলো এমনি এমনি আর এলোমেলো হয়নি অতিরিক্ত চকলেট খাওয়ার ফলে দাঁতে পোকা ধরেছে ৷ এই মুহূর্তে আর্শিয়ানের এই হাসিটা ফ্রেমবন্দি করে রাখতে পারতো তাহলে হয়তো মন্দ হতো না ৷
আর্শিয়ান কে নিয়ে ধীর পায়ে হাটতে হাটতে গিয়ে আবিরের সামনে গিয়ে বলল
” আমার ছেলের দাঁতে পোকা লাগার সমস্ত দায়ভার কিন্তু আপনার মিস্টার আবির ৷”
আবির আরিশের কথা শুনে খানিকটা ভ্রু কুঁচকে বললো

” একদম আমাকে ব্লেম করবেন না , ছেলেকে চকলেট কিনে দেওয়ার জন্য মাসে মাসে হাজার হাজার টাকা গুলো কে পাঠায়? সেগুলো যে মিস্টার আরিশ পাঠায় সেটা কি কেউ জানে !”
কথাটা শুনে আরিশ হেসে ফেলল ৷
আবিরের কপাল থেকে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে, টানা রোদের মধ্যে এতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ছিল তা আবিরের চোখ মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ৷ আবিরের এই অবস্থা দেখে আরিশ বলে উঠলো

” এম আই ভেরি লেট ?”
” নাহ,আপনি ঠিক টাইম এর মধ্যে এসেছেন আমি খানিকটা আগে চলে এসেছি ৷”
আরিশ মুচকি হেসে আর্শিয়ানের চুল গুলো উস্কখুস্ক করে দিয়ে বলল
” সমস্যা নাই, চলুন কফিশপের ভিতরে গিয়ে বসি বাইরে প্রচন্ড গরম ৷”
” হ্যাঁ চলুন ৷”

ভ্যাপসা গরমের মাঝে আরিশ নিজের আর আবিরের জন্য কোল্ড কফি অর্ডার দিয়েছে, আর আরিশ আর্শিয়ানের জন্য আইসক্রিম অর্ডার দিয়েছে ৷
এখানে আসার পরপরই আরিশের কানে একরাশ অভিযোগ উঠে এসেছে আর্শিয়ানের কাছ থেকে ৷
আর্শিয়ান আদো আদো কন্ঠে বলল
” জানো তো পাপ মাম্মাম আমাকে একদম আইসক্রিম খেতে দেয় না , যালা আইতক্রিম খায় তালা নাকি ব্যাডবয় হয়ে যায় ৷ তুমি বলো আমি কি ব্যাড বয়?”
আরিস ওর পকেট থেকে সানগ্লাস টা নিয়ে আর্শিয়ানের চোখে পরিয়ে দিয়ে বলল

” একদম নয় ৷”
চশমাটা পরে আর্শিয়ান খানিকটা দাবাং ভঙ্গিতে বলল ” এই আরিশ তোর বউকে বলে দিবি সে যেন আমাকে বেশি বেশি করে চকলেট আইসক্রিম দেয় ৷”?”
কথাটা শুনে আরিশ আর আবির হো হো করে হেসে দিলো ৷ আবির আর্শিয়ানকে আগে কখনো এতো প্রাণ খুলে কথা বলতে দেখিনি , হয়তো আরু যেমন করে ওকে যে পরিবেশের সাথে মানাতে শিখিয়েছে সেইভাবে হয়তো আর্শিয়ান ও মুখ বুজে মেনে নিয়েছে ,কখনো মায়ের কথার অন্নথা করেনি ৷ বাবার সাথে সময় কাটাতেই হয়তো সেই বন্দী জীবনের খোলস থেকে বেরিয়ে এসেছে আরশিয়ান ৷ যতই হোক বাচ্চাদের মন যেমনটা শেখানো হয় তারা তেমনটাই শিখে ৷ তেমনি আরশিয়ানের ক্ষেত্রেও তার হয়তো অন্যথা হয়নি ৷আর্শিয়ানকে যে আরু অত্যন্ত শ্রদ্ধা-নিষ্টা আর জ্ঞান এর সাথে বড়ো করে তুলছে তাতে কোন সন্দেহ নেই ৷ আবির মাঝে মাঝে আরুর মুগ্ধ হয় ৷

আর্শিয়ান আরিশের ফোন নিয়ে আরিশ আর আরুর সমস্ত ছবি দেখছে আর মাঝে মাঝে একটা দুটো ছবি দেখে খিলখিল করে হেসে উঠছে ৷ আর্শিয়ানের থেকে আরিশ চোখ সরিয়ে নিয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে বলল
” শোনো আবির আমরা কিন্তু আমাদের লক্ষ্যে স্থির , খুব তাড়াতাড়ি আশা করা যাই যে সব শেষ হবে ৷”
আবির একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে টেবিলের ওপরে মাথা রেখে বলল
“সবকিছু তাড়াতাড়ি শেষ করুন স্যার এখনো যে আমার বিয়ে করা বাকি ৷”

আবিরের কথা শুনে আরিশ একটু উচ্চস্বরে হাসলো ৷ সত্যিই ওদের জন্য আবিরের বিয়েটা আটকে রয়েছে সেই দেড় বছর ধরে ৷ বেচারা বিয়ে করবে বলেও করতে পারছেন না , এ নিয়ে ওর বাগদত্তার সাথে অনেক ঝামেলা হয়েছে কিন্তু আবির প্রতিজ্ঞা করেছে যে যতদি না সমস্ত জটিলতার শেষ হবে ততদিন সে এই কাজেই মন দেবে, এখন যখন কাজগুলো সমস্ত শেষের পথে তখন যেন আর তর সইছে না ৷
আরিশ এবার একটু রসিকতা করে বললো
“বিয়ে করার খুব তাড়া দেখছি ৷”
আবির টেবিল থেকে মাথা তুলে আরিশের দিকে তাঁকিয়ে বললো
” আমাকে আর উত্তক্ত করবেন না স্যার, আপনি না হয় বিবাহিত পুরুষ আপনি আর কি বুঝবেন আমার কষ্টটা ৷ সেই এক বছর ধরে এই বিষয়টা নিয়ে রিঙ্কির সাথে আমার প্রায় ঝামেলা লেগেই থাকে, কি আর করার ৷”
আরিশ আবিরকে আশ্বস্ত করে বলল
“চিন্তা নেই, তাড়াতাড়ি সব ঠিক হয়ে যাবে আর বেশিদিন নেই , তাছাড়া তুমি যেভাবে আমাকে প্রথম থেকেই সাহায্য করে এসেছে আমি তোমাকে কিভাবে থ্যাংকস বলবো সেটা আমার জানা নেই ৷ তোমার বিয়ের পুরো খরচ কিন্তু আমার ৷”
আবির মুচকি হাসছে , আরিশের দিকে তাকিয়ে বলল ” স্যার আপনি কি করে পারেন ম্যাডামকে ছেড়ে থাকতে! এত বছর আপনি সত্যিই অনেক ধৈর্য নিয়ে আছেন , যারা এভাবে সমাজের প্রতিটা মেয়ের ক্ষতি করছে ,তাদেরকে তাদের পরিবার থেকে কেড়ে নিচ্ছে প্রত্যেকের শাস্তি হবে একদিন ৷”

আরিশ আবিরের কথার পরিবর্তে মুচকি হাসলো , এগুলো খুব কষ্ট দেয় আরআশকে, প্রিয়জনের থেকে দূরে থাকার ব্যাথাটা অনেক ৷ মাঝে মাঝে এটা ভেবে খুব অবাক হয় যে ছোট্ট আরশিয়ান আরুকে এখনো কিছুই জানায়নি, ছেলেটা আরিশকে কতটা ভালোবাসে, যেই ভালোবাসা দেখলে আরিশ এর বাঁচার ইচ্ছাটা যেন আরো দ্বিগুন হয়ে যায় ৷
যেদিন আরিশ আর্শিয়ান কে বলেছিল যে সে ওর পাপা সেদিন আরিশয়ান আরিশকে জড়িয়ে ধরে খুব কান্না করেছিল , আরিশও সেদিন কেঁদেছিল ছেলেকে জড়িয়ে ধরে ৷

তুমি নামক প্রাপ্তি পর্ব ১৮

সেদিন আরশিয়ান কেবল আরুর হয়ে আরিশের অভিযোগ করেছিল যে সে এত কষ্ট কেন দেয় আরুকে ৷
আর্শিয়ানের ছোট মনে জমে থাকা এত বড়ো প্রশ্নটার উত্তর দেওয়ার কোন ক্ষমতাই সেদিন আরিশের ছিল না ৷
আবিরের কথায় আরিশের ঘোর ভাঙলো ৷
” স্যার ম্যাডাম কিন্তু আগের থেকে আরও বেশি বিচক্ষণ হয়ে গেছেন, সহজে আর কাউকে বিশ্বাস করে না ৷ কারো সাথে ভলোভাবে আর মেশেন না ৷”
আরিশ একটু হেসে বলল
” ম্যাডাম কিন্তু তার সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ তোমাকেও বাদ দেননি ৷’
কথাটা শুনে আবির ও হেসে ফেললো ৷

আর্শিয়ান বাড়িতে নেই, কেমন একা একা লাগছে, অফিসে ছুটির খাতায় বাড়তি একটা দিন নষ্ট হলো ৷
একটু ভেবে সানাকে একটা কল করলো, ওর থেকে ওই বাড়ির খবরাখবর নেবে,এতক্ষন ধরে এটাই ভাবছিলো যে ওর হয়তো এতোটা বেপাত্তা না হয়ে একটু সতর্ক হওয়া ভালো ৷আর নিহানের কথাটাও সানাকে জানাবে ও ৷
ফোন করতেই কিছুটা দেরিতে হলেও সানা ফোন ধরলো ৷ আরুর কল দেখে মনের মাঝে একরাশ সাহস পেলো ৷ এই কদিন এই বাসায় যা হচ্ছে সেই কথা নিজের মনের মাঝে পাথরের মতো চাপিয়ে রাখা ওর পক্ষে সম্ভব না, আহানকেও কিছু বলতে পারছে না, আজ আরুকে ও সবটা বলবে তাতে যদি আরুকে খানিকটা হলেও সতর্ক করা যাই ৷

তুমি নামক প্রাপ্তি পর্ব ২০