তুমি নামক প্রাপ্তি পর্ব ২৯ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

তুমি নামক প্রাপ্তি পর্ব ২৯
Suraiya Aayat

আরিশের সাদা শার্টে রক্তের ছড়াছড়ি ৷ আরু মঝে মাঝেই জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলছে আর ততোবারই আরিশের হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়ার উপক্রম ৷ আরুর হাতের আঙুল গুলো মাঝে মাঝেই কাঁপছে, চোখ বন্ধ করে রেখেও আরিশকে অনুভুত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, যেকোনো সময় যদি এ চোখ চিরকালের মতো বন্ধ হয়ে যাই ! এ হৃদস্পন্দনের গতি প্রকৃতি যদি থেমে যাই ! এই শিরা উপশিরা দিয়ে যদি রক্ত চলাচল আর না থাকে ! তাই প্রিয় মনুষটাকে শেষ মূহুর্তে ছুঁয়ে দেখতে, তাকে অনুভব করতে ক্ষতি নেই ৷

আরুর আঙুল কাঁপছে , আরিশ অনুভব করতে পারছে তা ৷ একরাশ অসম্ভব ব্যাথা যন্ত্রনা গ্রাস করছে আরুর শরীরকে ৷ আরিশ আরুর আঙুল গুলো নিজের আঙুলের মাঝে নিয়ে মুঠিবদ্ধ করে নিলো, ভীষনভাবে চেষ্টা করছে আরুকে সাহস দেওয়ার যে তার আরুপাখির কিছু হবে না ৷ আরিশ আরুর হাতটা ওর বুকে চেপে ধরেছে ৷আরিশ এর চোখে যেন শ্রাবনের বৃষ্টির ধারা বইছে, কি অসম্ভব বুক চিনচিনে ব্যাথা অনুভব করছে বুকের বা পাশে , মনে হচ্ছে যেন আরুর প্রানটা আরুর শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে ওর প্রানটাও বেরিয়ে যাবে টেনে হিছড়ে ৷
আরিশ আরুকে ভরসা দেওয়ার জন্য বললো

” এই আরুপাখি এমন করছো কেন তুমি, এই দেখো আমি চলে এসেছি, তুমি চোখ না খুললেও ঠিক আমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করছো আমি জানি ৷ তুমিই না আর্শিয়ানকে বলেছিলে যে আমি তোমার সাথে থাকলে তুমি সিকিওর ফিল করো, তোমার হৃদস্পন্দন দ্বিগুন হয়, অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করে, তাহলে সেগুলোকে এখন কেন অনুভব করছো না বলো ৷ তোমাকে আমার থেকে কেউ কেড়ে নিবে দেখো, তুমি শুধু আমার ছিলে আর আছো, আর আমার প্রান থাকতে থাকবে ৷

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কথাগুলো ঠিক কতোটা আরুর কানে গেল আরিশ জানে না কিন্তু হঠাৎ বিভৎস ভঙ্গিতে আফসানা বেগমের মুখ থেকে আওয়াজ বেরিয়ে আসলো ৷ মিনহাজ সাহেবের বন্দুকের গুলি আফসানা বেগমের শরীরে আষ্টেপৃষ্টে গেঁথে গেছে ৷ তীব্র আওয়াজে আরুর নিথর শরীরটা যেন অদ্ভুতভাবে কেঁপে উঠলো ৷
আরিশ নিষ্পলক ভাবে মিনহাজ সাহেবের দিকে তাকিয়ে আছেন, কখনো হয়তো আরিশ কল্পনাও করেনি যে মিনহাজ সাহেব আফসানা বেগমকে গুলি করবেন ৷ কত রাত মিনহাজ সাহেব জোছনা রাতের সাথে তাল মিলিয়ে আফসানা বেগমের নামে দুঃখবিলাস করেছে সেটা আরিশ জানে ৷ কতোবার বলেছেন যে স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাই ৷আজ উনি নিজেই ওনার স্ত্রীর প্রতি তীব্র ঘৃনায় গুলি করতে বাধ্য হলেন ৷
হাতের বন্দুকটা দূরে ছুড়ে ফেলে পাশে দাড়িয়ে থাকা পুলিশদের বললেন

” ওনাকে নিয়ে যান ৷ আর বেঁচে থাকলে এমন দূরে কোথাও পাঠাবেন যেন কখনো কারোর জীবন ক্ষতি না করার চেষ্টা করে ৷”
ওনার আদেশে পুলিশরা আফসানা বেগমকে নিয়ে যেতে লাগলেন ৷ গায়ের সেই মদের বিশ্রি গন্ধের সাথে উগ্র পোশাকে ভেজা রক্তের ভয়ার্ত আভা সমগ্র মানুষটাকে এক উগ্র ব্যাক্তিত্বের সন্ধানী বলে জানান দিচ্ছে ৷
বন্দুকের সেই ছোট্ট গুলিটা হয়তো ওনাকে থামিয়ে দেবেন আর কখনো উগ্র ভঙ্গিতে একরাশ টাকার লালশা ওনার পিশাচ মনটাকে জাগ্রত করবে না ৷

আরুর একহাত আরিশ আর অপর হাত আরমান সাহেব ধরে আছেন ৷ প্রতিটা মেয়ের জীবনে তার বাবা এবং স্বামী এই দুটি পুরুষ চরিত্র হলো তাদের জীবনের সবচেয়ে স্পেশাল ব্যক্তিত্ব ৷ বাবার কাছে তার সব মেয়েই হয় তার রাজকন্যা আর তার স্বামীর মনে সে রাজরানীর আসন অধিকার করে থাকে ৷ তেমনি আরুর পরিস্থিতিটাও আজ তেমনটাই জানান দিচ্ছে কিন্তু এই অদ্ভুত রকম সুখ অনুভব করার জন্য আরুর মাঝে পর্যাপ্ত শক্তি বা জ্ঞান টুকু নেই ৷

ওটি রূমের লাল বাতিটা অনেকক্ষন যাবৎ জ্বলছে , আরিশ ফ্লোরে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে , চোখের পলক পড়ছেনা ৷ ছোট আর্শিয়ান গুটিগুটি পায়ে হাটতে হাটতে আরিশের সামনে এসে দাঁড়ালো, মিহির আর্শিয়ানের এক হাত ধরে আছে ৷ আর্শিয়ানের মাথায় সাদা ব্যান্ডেজ, মুখের কিছু জায়গায় মলম দেওয়া, আর একটা হাতের কনুই এর জায়গায় 4 টে সেলাই দেওয়া ৷ আর্শিয়ান কোনরকমে হাটতে হাটতে গিয়ে আরিশের পাশে মেঝেতে গিয়ে আরিশের পাশে শুয়ে পড়লো ৷ আরিশ নিষ্পলকভাবে আর্শিয়ানের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ৷ আর্শিয়ান খানিকটা কষ্টে ওর ছোট ছোট হাতটা আরিশের গালে রেখে আধো আধো গলায় বলল

” Hey champ don’t cry, my superwomen and ur arupakhi will be fine….”
কথাটা বলে একটু জোরে শ্বাস নিল আর্শিয়ান ৷ আরিশের গালে হাত বুলাতে বুলাতে বলল
” তোমার আরুপাখি যে সেই ছোট্ট পাখি যে চাইলেও উড়তে পালবে না, ডানা ঝাপটিয়ে উড়তে পালবে না ৷ আমাল মাম্মাম ইজ এ গুড গার্ল ৷ ”
ছেলের এমন আবেগি কথা শুনে আরিশের ছোখ ভরে এলো, এই মূহুর্তে আর্শিয়ানের মুখটা ঝাপসা দেখছে, কষ্টে চোখের নোনাজল আর বাঁধ মানতে চাইছে না ৷ ছোট্ট বাচ্চাটাও তার মায়ের মতো কতো আবেগি, এত অল্প বয়সেও কতো কিছু বুঝতে শিখেছে , কঠিন মূহুর্তে নিজেকে কিভাবে শক্ত থাকতে হয় তা আর্শিয়ান আরিশকে শেখাচ্ছে ৷
দূর থেকে মিহির সবটা দেখছে, মিহির ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলল ৷ এইভাবে এতোটা ভয়াবহ দিনের কথা কেউ কল্পনাই করেনি ৷ কেত এত দুঃখ ? কেন এত কষ্ট?

মিহির সেখান থেকে চলে গেল, এখন নিজেকে সামলানো প্রয়োজন ৷
আরিশ উঠে বসে আর্শিয়ানকে কোলের মধ্যে জাপটে বসে রইলো,পাশে কারোর উপস্থিতি অনুভব করতে খুব একটা কষ্ট হলো না, মিনহাজ সাহেব এসেছেন ৷
হঠাৎ উনি বলতে শুরু করলেন
” আফসানা এমন ছিলো না, টাকার নেশা আর সময়ের বশবর্তী হয়ে পরিস্থিতি ওকে এমনটা বানিয়েছে ৷”
কথাটা বলে একটা দীর্ঘশ্বাস নিলেন ৷

” প্রতিটা মানুষের খারাপ হওয়ার পিছনে একটা কারন থাকে তেমনি ও নিজের সন্তানকে এই খারাপ সমাজ থেকে বাঁচাতে নিজেকে সমাজের কাছে নীচে নামিয়েছে ৷ তবে তার চিন্তাধারাটা ভুল ছিলো ৷ নিজের মেয়ের কারনে পতিতা ডাকটা শুনতে হয়েছে বলে মেয়ের প্রতি তার আক্রশ আর ক্ষোভ প্রকাশ করা নিত্য৷ন্তই বোকামো ৷ চাইলেও সবটা ও ভালো ভাবে সমাধান করতে পারতো কিন্তু সে করেনি কারন সে সুস্হ মস্তিষ্কের মানুষ নই, তার কিছু অস্বাভাবিকতা ছিলো যা কখনো কারোর চোখে পড়েনি ৷ আরমান ওকে বিয়ে করার পর সে আফসানা কে নিজের বশবর্তী রখার জন্য দীর্ঘ 5 বছর একধরনের ড্রাগস জাতীয় কিছু প্রতিনিয়ত আফসানা কে দিতেন যেটা আফসানা কখনোই জানতো না আর সেটুকু সময়ের মাঝে অলরেডি আফসানার আরুর প্রতি ঘৃনা চলে আসে, তখন আমার আরু মা নিত্য৷ন্তই পিচ্চি একটা মেয়ে ছিলো , যদিও জানি না যে আফসানা ড্রাগস না নিলেও ঠাক কেমন আচরন করতো ৷ তবুও সবটা ভুল ছিলো ৷ এতোদূর না আসলেও পারতো ৷”

আরিশ আর্শিয়ানের দিকে তাকিয়ে দেখল আর্শিয়ান ঘুমাচ্ছে ৷ দেওয়ালের সাথে মাথা ঠেকিয়ে বলল
” ওনার পোষ্টমরটেম রিপোর্ট এ ধরা পড়েছে তাইনা !”
” হমম ৷”
কথাটা বলে মিনহাজ সাহেব থেমে গেলেন ৷
মানসিক বিপর্যয় মানুষের মনটাকে পিশাচে পরিনত করে ৷ তাই সবাই মানসিক ভাবে সুস্হ থাকার চেষ্টা করুন ৷ কোন মান অভিমান নিজের মধ্যে চেপে না রেখে যার প্রতি সেই মান অভিমান তার কাছে ব্যাক্ত করুন এতে মানসিক ভাবে একপ্রকার প্রশান্তি মিলবে, আর সম্পর্কের টানাপোড়েন নামক জিনিসটা কখনো বাধা হয়ে আসবে না ৷ সময় থাকতে সকলে সতর্ক হন ৷ আপনজনের গুরুত্ব বুঝতে শিখুন ৷
~লেখিকার গল্পের মাধ্যমে এই ছোট্ট ম্যাসেজ~

o bou..
tumi amai ki valobaso na
o bou..
kano amar kache aso na (2)
cholo jogra maramari vhule jai taratari
itna gussa que
tumi keno eto boka sajo
amai ektu bojho sono na
i love u..
o bou..
tumi amai ki valobaso na
o bou..
kano amar kache aso na
jani bhul bujhe tumi vebhe boso
bujhi lokhta boroi kharap
tobu jene rakho ar sune rakho
ar lokhta tumi sobar
o bou..
tumi amai ki valobaso na
o bou..
kano amar kache aso na???…

গিটারটা হাত থেকে নামিয়ে আর্শিয়ানের দিকে চোখ টিপ মারলো আরিশ ৷ অতঃপর আরুকে ইরিটেট করতে সক্ষম হয়েছে , এরপর যে আরু ঝটাঝট একটা চিরকুট লিখে আরিশের দিকে ছুড়ে মারবে সে ব্যাপারে আরিশ আর আর্শিয়ান দুজনেই বেশ নিশ্চিত ৷ আর হলো ও তাই, আরু ঝটাঝট খাতায় কিছু একটা লিখে আরিশের দিকে ছুড়ে মেরে ব্যালকনিতে গেল ৷
আরিশ আর আর্শিয়ান অধীর আগ্রহ নিয়ে আরুর চিরকুটটা খুললো ৷ রোজ আরু যা লিখল আজ ও তাই লিখলো ৷
” উইইইমা নট সো টুইটুই ৷”

লেখাটা দেখে আরু আর আর্শিয়ান হো হো করে হাসতে শুরু করলো ৷ হেসে মেঝেতে গড়াগড়ি দেওয়ার উপক্রম ৷ আরুর বলা এই ” উইইমা নট সো টুইটুই ” শব্দটাই যেন আরিশ আর আর্শিয়ান চরম বিনোদন পাই ৷
কোনরকম হাসি থামিয়ে আরিশ আর্শিয়ানকে বলল
” হেই চ্যাম্প তোমার মাম্মামকে গিয়ে বলো যে তার ওষুধ খাওয়ার সময় হয়ে গেছে ৷”

আরিশের কথাটা শুনে আর্শিয়ান দৌড়ে আরুর কাছে ছুটে গেল ৷ গিয়ে আরুর হাত ধরে বললো
” এই যে মাম্মাম অতঃপর আরিশের আরুপাখি আপনার সোয়ামি আপনাকে ঔষধ সেবন করিবার তরে ডাকিতেছে ৷”
কথাটা বলে আর্শিয়ান হাসতে শুরু করলো ৷ আর্শিয়ান আরুকে এগুলো ইরিটেট করার জন্য বলে ৷
দিনের বেঝিরভাগ সময় আরিশ আর আর্শিয়ান আরুকে বিরক্ত করে তাতে করে যদি মুখ থেকে কথা বার হয় একটাও তাহলে তাতেই ওদের সাকসেস ৷ আরু মাথায় চোট পাওয়ার দরুন ওর স্মৃতিশক্তি হারিয়েছে ৷ সে নিয়ে আরিশ সহ সকলের কাছে কলিজা কাঁপানো এক ঘটনা ৷ আর্শিয়ানকেও চিনতে পারে না আরু ৷ এমনকি কাউকেই না ‌ ৷ প্রথম প্রথম আরু চুপচাপ আর মন মারা হয়ে থাকতো তাই আরিশ ভাবতো যে মানসিক দোটানায় আরু কাউকে চিনতে না পারছে না, আর তাই হয়তো আরু কারোর সাথে কথা বলে না, কিন্তু পরে ডক্টর দেখানোর পর ,আরো অনেক চেকাপের পর বুঝতে পারে আরু বাকশক্তি হারিয়েছে ৷

ডক্টর বলেছে যতটা সম্ভব আরূকে সময় দিতে আর আরূর সাথে বেশি বেশী সময় কাটাতে ৷তাই আরিশ এখন 10 ঘন্টার অফিসের ডিউটি 6 ঘন্টা করেই চলে আসে,তাচাড়া এখন আর্শিয়ানকে আর আরুকেও সময় দিতে হয় ৷
আরূর সাথে অনেক ঠান্ডা মাথায় আর শান্ত ভঙ্গিতে কথা বলতে বলেছে ডক্টর ৷ কিন্ত তবুও লাভ হয়নি,তাই আরিশ আর আর্শিয়ান আরূকে বিরক্ত করে যাতে মিরাক্কেল হয়ে যদি আরূ কখনো কথা বলে তবে ! যদিও এমনটা হওয়ার চান্স 30%, তবুও আশা করতে ক্ষতি কি !

তুমি নামক প্রাপ্তি পর্ব ২৮

আরূ আর্শিয়ানের দিকে বাকা চোখে তাকিয়ে ঈশারা করে আর্শিয়ানকে রূমের দিকে যেতে বলল,মানে ওউ যাচ্ছে৷
আরিশ ঔষুধের পাতা হাতে নিয়ে বসে আছে ,আরূ এসেই আরিশের হাত থেকে ঔষুধটা খপ করে কেড়ে নিয়ে নিজে খেয়ে নিল ৷ পাশে থাকা কাগজে কিছু একটা লিখে আরিশ এর হাতে দিয়ে রূম থেকে বেরিয়ে গেল ৷
আরূর পিছেপিছে আর্শিয়ান ও গেল ৷আরিশ চিরকুট টা,খুলে দেখল তাতে লেখা

“আপনি কি জানেন যে আপনি বড্ড ইরিটেটিং ! সবসময় আমাকে এত বিরক্ত করেন কেন বলুন তো,আমি আর কতোবার বলবো আমি আপনাদের কাউকে চিনি না,আপনারা জোর জবরদস্তি আটকে রেখেছেন আমাকে ৷ আপনার বাসায় সবাই উইমা কি সুপার টুইটুই বাট আপনি নট ৷?,আমার থেকে দূরে দূরে থাকবেন, আর আজকে রাতে যদি আমার পেটে সুড়সুড়ি দিয়েছেন কি তো আপনাকে গনধোলাই দিয়ে টুইটুই বানাবো, মুখের জোর না থাকলেও হাতের জোর কিন্তু আমার আছে হাহ!?”

চিঠিটা দেখে আরিশ মুচকি হাসতে লাগলো ৷ লেখাটা নিয়ে ফাইলে রেখে দিলো ৷ ওর বিশ্বাস একদিন নিশ্চই আরূর স্মৃতি ফিরে আসবে আর আরূ কথাও বলবে সেদিন আরিশ আরুর এই সমস্ত পাগলামো আরূকে দেখাবে ৷?

তুমি নামক প্রাপ্তি পর্ব ৩০