তুমি হৃদয়ে লুকানো প্রেম পর্ব ৫০

তুমি হৃদয়ে লুকানো প্রেম পর্ব ৫০
তাহিরাহ্ ইরাজ

” আজ রাতে সবাই ঘুমানোর পর রুফটপে চলে আসবি। একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই সোজা তুলে নিয়ে যাবো। বুঝেছিস? ”
ক্ষুদ্র যান্ত্রিক পর্দায় ভাসমান একান্ত জনের প্রেরিত বার্তা। হতবিহ্বল দুয়া! এটা কি ছিল? অনুরোধ, ইচ্ছে নাকি সোজা হু.মকি? বোধগম্য হলো না। পা!গলাটে লোকটার কাণ্ডে না হেসে পারলো না দুয়া। অধরে ফুটে উঠলো তৃপ্তিকর আভা। আস্তে করে মোবাইলটি রেখে দিলো বিছানার এক ধারে। অগ্রসর হলো সমতল আরশির সম্মুখে।

আঁধার রজনী। রিসোর্টের জনশূন্য এক স্থানে বৃক্ষে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে তৃষা। কানে গুঁজে রাখা ইয়ারফোন। নিমীলিত আঁখি পল্লব। কর্ণ কুহরে প্রবেশ করছে অরিজিৎ সিংয়ের হৃদয়ছোঁয়া গান। হিমেল পবনে শিরশির করে উঠছে কায়া। স্বল্প দাঁড়িয়ে লোমকূপ। পবনের তালে তালে নৃত্যরত উন্মুক্ত কেশ। আছড়ে পড়ছে চোখেমুখে। তবুও মেয়েটি সরালো না। হলো না বিরক্ত। সে মনপ্রাণ এক করে এই পরিবেশটি উপভোগ করে চলেছে। রোমাঞ্চিত হচ্ছে তনুমন। হঠাৎই কর্ণ কুহরে পৌঁছালো পুরুষালি ভারিক্কি স্বরে গানের লিরিক্স,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘ মুসকুরানে কি ভাজাহ্ তুম হো ‘
ইয়ারফোনের সুর ভেদ করে সে স্বর কর্ণে নাড়া দিলো। তড়িৎ আঁখি মেলে তাকালো তৃষা। এমন রোমাঞ্চকর পরিবেশে পুরুষালি স্বরে প্রেমের গান। হৃদয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলো। নাম না জানা অনুভূতিতে ছেয়ে যেতে লাগলো অন্তর। তৃষা সোজা হয়ে দাঁড়ালো। তাকাতে লাগলো আশপাশে। কিন্তু কারোর দেখা মিললো না। জনশূন্য চারিপাশ। বরঞ্চ শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে পৌঁছালো,

‘ গুণগুণানে কি ভাজাহ্ তুম হো ‘
সম্মোহিত হয়ে পড়ছে কোমল হৃদয়। ছটফটানি অনুভূত হচ্ছে হৃদয়কাড়া স্বরে। আস্তে ধীরে কান হতে ইয়ারফোন খুলে ফেলল মেয়েটি। শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে নে শা ধরিয়ে দিতে লাগলো,
‘ মুসকুরানে কি ভাজাহ্ তুম হো
গুণগুণানে কি ভাজাহ্ তুম হো ‘

হঠাৎ করেই ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সজাগ হয়ে উঠলো। জানান দিতে লাগলো কারোর উপস্থিতি। আশপাশেই রয়েছে কেউ। মুখের ওপর পড়ে থাকা এলোকেশ হাতের স্পর্শে গুছিয়ে পিছু ঘুরে তাকালো তৃষা।
‘ জিয়া যায়ে না যায়ে না যায়ে না
ও রে প্রিয়া রে
জিয়া যায়ে না যায়ে না যায়ে না
ও রে প্রিয়া রে ‘

তৃষা উত্তর দক্ষিণ পুবে বারংবার তাকাতে লাগলো। খোঁজ করে চললো এমন সম্মোহনী সুরের উৎস। কিন্তু পেলো না। পাবে কি করে? সুরের উৎস যে লুকায়িত তার অবস্থান হতে চার বৃক্ষ পরে পঞ্চমতম বৃক্ষের অন্তরালে। বৃক্ষ সনে দেহ এলিয়ে দাঁড়ানো নিশাদ। বদ্ধ তার অক্ষি জোড়া। বাঁ পা জমিন ছুঁয়ে, ডান পা তুলে ভাঁজ করা বৃক্ষের সনে। কণ্ঠে একরাশ আকুলতা, প্রেম মিশ্রিত করে গাইতে লাগলো,

‘ ও রে লামহা তু কাহি মাত যা ‘
কেঁপে উঠলো তৃষার অন্তর। মন বললো আসলেই থেমে যাক সময়। অব্যাহত থাকুক এ রোমাঞ্চকর মুহূর্ত।
‘ হো সাকে তো উমার্ ভার থাম যা ‘
বদ্ধ দুজনার আঁখি পল্লব। অনুভব করে চলেছে প্রতিটি শব্দমালা, সুরের কলতান, আবেগের সর্বোচ্চ স্তর।
‘ জিয়া যায়ে না যায়ে না যায়ে না
ও রে প্রিয়া রে
জিয়া যায়ে না যায়ে না যায়ে না
ও রে প্রিয়া রে, ও রে প্রিয়া রে… ‘

সম্মোহনী মুহূর্ত দীর্ঘস্থায়ী হলো না। সহসা থেমে গেল প্রেমাদ্র সুরের কলতান। মিলিয়ে গেল মধুরতম শব্দমালা। অস্থির হয়ে আঁখি পল্লব মেলে তাকালো তৃষা। ছটফট করে আশপাশে তাকাতে লাগলো। কিন্তু কাউকে পেল না। তবে হঠাৎ দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো এক বৃক্ষতলে। কিছু রয়েছে সেথায়। কৌতূহল বশত ধীরপায়ে সেথায় অগ্রসর হলো তৃষা। নিচু হয়ে সে জিনিসটি হাতে নিলো। একগুচ্ছ বুনোফুল। অসাধারণ দেখতে! তার অন্যতম প্রিয় ফুলের গুচ্ছ। সঙ্গে ছোট্ট সফেদ চিরকুট। যাতে কৃষ্ণবর্ণ অক্ষরে লেখা,

‘ ফর ওয়ান অফ দ্যা মোস্ট বিউটিফুল ওম্যেন আই হ্যাভ সিন ‘
হৃদয় ছুঁতে সক্ষম হলো এ আয়োজন। আর’ক্ত আভা ছড়িয়ে পড়লো মুখখানিতে। কি মনে হতেই পিছু ঘুরে তাকালো তৃষা। চক্ষুতারায় দৃশ্যমান হলো এক মানবের প্রস্থান। অজান্তেই প্রসারিত হলো অধর কোল।

ডিনারের আয়োজন করা হয়েছে রিসোর্টের ফুড এরিয়ায়। সেথায় উপস্থিত আগত সকলে। ভোজন পর্ব চলমান। টুকটাক কথাবার্তার ফাঁকে ভোজন চলতে লাগলো। সকলের পূর্বে ভোজন সম্পন্ন হলো তূর্ণ’র। সে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। সেথা হতে প্রস্থানের পূর্বে নয়নে মিলিত হলো আকাঙ্ক্ষিত নয়নের। সকলের অলক্ষ্যে চোখ টিপে দিলো তূর্ণ। হকচকিয়ে যাওয়া রমণীর হাল দেখে বক্র হেসে সেথা হতে প্রস্থান করলো মানুষটি। লালাভ রঙে রঙিন হলো মেয়েটির কপোলদ্বয়।

ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে দশের ঘরে। বিছানায় শুয়ে অন্যমনস্ক তৃষা। বারবার চোখের পর্দায় ভেসে উঠছে ঘন্টা কয়েক পূর্বের সে-ই রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে হৃদস্পন্দনের গতি। র’ক্তিম হলো দু কপোল। কর্ণ কুহরে এখনো শ্রবণ হচ্ছে সে সুরের কলতান। একদিকে তৃষা রোমাঞ্চিত মুহুর্তে মগ্ন। অন্যদিকে তার শয্যা সঙ্গিনী বারবার উশখুশ করছে। ঘড়ির কাঁটায় চোখ বুলাচ্ছে। সাড়ে দশটার বেশি বাজে। মানুষটি নিশ্চয়ই তার অপেক্ষায়। একাকী সময় কাটাচ্ছে। উফ্ এই তৃষাটার আজ হয়েছে টা কি? ঘুমাচ্ছে না কেন? কোন ধ্যানে মগ্ন? কেটে গেল আরো কতক্ষন। শেষমেষ বিরক্ত হয়ে ডেকে উঠলো,

” তৃষা। ”
হকচকিয়ে গেল তৃষা। কেটে গেল ঘোর। কোনোমতে নিজেকে সামলিয়ে বললো,
” হাঁ বল। ”
” কি এত ভাবছিস বল তো? ”
” ক্ কিছু না তো। ” আমতা আমতা করছে মেয়েটা।
” আসলেই কিছু নয়? নাকি সামথিং সামথিং? হুঁ? ” ভ্রু নাচিয়ে প্রশ্ন করলো দুয়া।
তৃষা তৎক্ষণাৎ আপত্তি জানালো।
” এই না না। নাথিং। এমনিই ভাবছিলাম। ও ই প্ প্লান করছিলাম। ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা। কত্ত প্লানিং। বুঝতেই পারছিস? ”

দুয়া সরু চোখে তাকিয়ে ইতিবাচক মাথা নাড়ল।
” হুঁ বুঝলাম। এবার ভাবাভাবি বন্ধ করে চোখ বন্ধ কর। কত রাত হয়েছে দেখেছিস? ঘুমাতে হবে না? ”
” মাত্র এগারোটা বাজে। এত তাড়াতাড়ি ঘুমাবো? ”
” জানু এটা ঢাকা নয়। গাজীপুর। গ্রামীণ ভাইবস্ আছে। দেখলি না নয়টা বাজতে না বাজতেই চারদিকে নিস্তব্ধতা? এখানের সাথে ঢাকার তুলনা দিয়ে লাভ নেই। তারচেয়ে বরং ঘুমা। সকাল সকাল উঠতে হবে। ”

তৃষা হাই তুলে সম্মতি পোষণ করলো। হাত বাড়িয়ে পাশের ল্যাম্প বন্ধ করে দিলো। আঁধারে নিমজ্জিত হলো কক্ষ। আস্তে ধীরে নিদ্রায় তলিয়ে গেল তৃষা। ধীরজ গতিতে ওর দিকে আধশোয়া হয়ে কাত হলো দুয়া। মেয়েটি ঘুমিয়েছে কিনা তা নিরীক্ষা করতে মুখের সামনে হাতের আঙুল নাচাতে লাগলো। কোনোরূপ সাড়া না পেয়ে নিশ্চিত হলো তৃষা ঘুমিয়ে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো দুয়া। অতঃপর কোনোরূপ বিলম্ব না করে সাবধানতা অবলম্বন করে বিছানা ত্যাগ করে উঠে দাঁড়ালো। দেহের উর্ধাংশ ওড়নায় আবৃত করে দরজার পানে অগ্রসর হতে লাগলো। নিঃশব্দে দ্বার উন্মুক্ত করে বের হলো। অতঃপর দ্বার ভিড়িয়ে দিয়ে সেথা হতে প্রস্থান করলো। গন্তব্য ছাদ।

এতরাতে একাকী রিসোর্টে হেঁটে বেড়াচ্ছে দুয়া। স্বাভাবিক ভাবেই ভীতি কাজ করতে। ছমছম করছে কায়া। দোয়া দরুদ পাঠ করতে করতে সাবধানে ছাদে যাওয়ার সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে লাগলো মেয়েটি। অনবরত নড়ে চলেছে ওষ্ঠ।‌ পাঠ করছে দোয়া। একসময় ছাদে পৌঁছে গেল। ছাদের দ্বার অর্ধ উন্মুক্ত। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ছাদে প্রবেশ করলো দুয়া। একরাশ হিমেল হাওয়া ছুঁয়ে গেল কায়া।

শীতলতা জেঁকে ধরলো আষ্টেপৃষ্ঠে। শিরশিরানি অনুভূত হতে লাগলো। দুয়া ভালোমতো ওড়না জড়িয়ে আশপাশে তাকাতে লাগলো। তৃষ্ণার্ত নয়ন জোড়া খুঁজে চলেছে একান্ত জনকে। কিন্তু এ কি? কোথাও কেউ নেই। মুহুর্তের মধ্যেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লো অন্তঃস্থল। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। দাঁড়িয়ে গেল লোমকূপের আস্তরণ। ভীত নয়নে আশপাশে তাকাতে লাগলো মেয়েটি। আকস্মিক ভ!য়ঙ্কর এক আ:ক্রমণ! সিঁড়ি ঘরের দেয়ালে সেঁটে গেল কোমল কায়া। দু’টো হাত লেপ্টে দেয়ালে। আবদ্ধ পুরুষালি হাতের মাঝে। বুজে গেল নেত্র পল্লব। ধক ধক করে চলেছে হৃৎপিণ্ডের আনাচে কানাচে। ভয়ে জীর্ণশীর্ণ দশা।

” এতক্ষণে আসার সময় হলো? আমাকে মশা বাহিনীর হাতে শহীদ করার পরিকল্পনা ছিল বুঝি? এখন ডেড বডি দেখতে আগমন? ”
সহসা চক্ষু মেলে তাকালো দুয়া। আতঙ্ক প্রকাশ পেলো চোখেমুখে। তাতেই তৃপ্ত হলো মানুষটির অন্তঃপুর। মেয়েটি ছলছল নয়নে তাকিয়ে। ভেজা কণ্ঠে বলে উঠলো,

” তুমি আমাকে এতটা খারাপ ভাবো? এসব বাজে কথা কি করে উচ্চারণ করলে? বুকের ভেতর একটুও কেঁপে উঠলো না? ”
তূর্ণ বিমোহিত নয়নে তাকিয়ে। নিঃশব্দে উপভোগ করে চলেছে মুহুর্তটি।
” ক’দিন পর আমাদের জীবনের স্মরণীয় অধ্যায়। আর তুমি কিনা ম*রাধরা যা নয় তাই বলছো? এতটাই
নি!ষ্ঠুর তুমি? একটিবারের জন্যও ভাবলে না তোমার কথায় বিপরীতে থাকা মানুষটির কেমন লাগবে? ”
কপোল ছুঁয়ে গড়িয়ে পড়লো অশ্রু কণা। এবার মনোক্ষুণ্ন হলো মানুষটির। সে নীরবে আরো এগিয়ে এলো। ওষ্ঠ পরশে মুছে দিলো অশ্রু কণা। মৃদু স্বরে বললো,

” তূর্ণ সরি। এবারের মতো ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার মাইরা কি করবে না ক্ষমা? ”
” নাহ্। ”
বাঁ পাশে মুখ ফিরিয়ে নিলো অভিমানিনী রমণী। তাতে আরো একবার আকর্ষিত হলো প্রেমিক চিত্ত! বিমোহিত হলো সে পুনরায়। মুচকি হেসে আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়ালো। ওষ্ঠ চেপে বসলো ডান কপোলের কোমল ত্বকে। শিউরে উঠলো মেয়েটি। খামচে ধরলো দেয়ালে সেঁটে থাকা স্বামীর হাত। কর্ণ কুহরে উষ্ণ শ্বাসের বহরে কম্পিত হলো গাত্র। শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে পৌঁছালো সম্মোহনী স্বর,

” অভিমানিনী কন্যার অভিমানেও মুগ্ধতা
স্বার্থক হয়ে ওঠে আমার নয়ন জোড়া
প্রেমে পড়ি আরো একবার শতবার
তুমি যে হৃদয়ে লুকানো প্রেম আমার ”

দিবাবসুর দীপ্তিতে আলোকিত ধরনী। সারাহ্ রিসোর্টে সাজ সাজ রব। ওয়েডিং প্লানারের নির্দেশিকা মোতাবেক কাজে লেগে পড়েছে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ। ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের। নিজাম সাহেব, সাজ্জাদ সাহেব এবং জাবির এসবের তদারকি করছে। নাজমুল সাহেব ব্যস্ত ভিন্ন কর্মে।
ওদিকে রিসোর্টের একাংশে আড্ডা চলছে। পুষ্পি, বিন্দু, তৃষা সুরে সুরে গাইছে,
” মেরে ইয়ার কি শাদি হ্যায়… ”

লাজে রাঙা মেয়েটি উপভোগ করছে বন্ধুদের খুনসুটি। তৃষা ভাবির বাহুতে ধাক্কা মে রে হাসাহাসি করছে। হঠাৎ কিছুটা দূরে দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো। নিশাদ রাজীবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে বলতে আসছিল। হঠাৎ দু’জনের চোখে চোখ পড়লো। মুহুর্তের মধ্যেই চোখ টিপে দিলো নিশাদ। হতবিহ্বল রমণীর হেঁচকি উঠে গেল‌। বন্ধুরা ব্যস্ত হয়ে পড়লো ওকে নিয়ে। তা লক্ষ্য করে বক্র হেসে সেথা হতে প্রস্থান করলো নিশাদ।

নিজের বিয়ে তাতে কি হয়েছে? পূর্বের ন্যায় দায়িত্ব পালনে লিপ্ত তূর্ণ। বন্ধুরা তো এই নিয়ে কম খুনসুটি করছে না।
” কি মাম্মাহ্! নিজের বিয়ার ডেকোরেশন নিজেই করবা নি? ” শুধালো টগর।
নিশাদ বললো, ” আরে বুঝিস না? পারফেক্ট সাহেব নিজের বিয়েতেও অল পারফেক্ট চান। তাই তো নিজের হাতেই সবটা তদারকি করছেন। ”
মনিকা ও দিবা হেসে উঠলো। তূর্ণ সেসবে পাত্তা না দিয়ে নিজ কর্মে লিপ্ত অবস্থায় জবাব দিলো,

তুমি হৃদয়ে লুকানো প্রেম পর্ব ৪৯

” এতদিন আত্মীয়দের বিয়েতে খাটাখাটুনি করে সবটা পারফেক্ট করার চেষ্টা করলাম। সেখানে আজ নিজের বিয়েতে মিনিমাম চেষ্টাটুকু করবো না? ”
রাজীব দু হাতের ভঙ্গিমায় অসীম শ্রদ্ধা নিবেদন করে বললো, ” নিশ্চয়ই করবেন জাহাপনা। ”
হেসে উঠলো বন্ধুমহল। একদিকে হাসিঠাট্টা খুনসুটি। আরেকদিকে রাতের আঁধারে রিসোর্টে চলছে ভিন্ন আয়োজন।

তুমি হৃদয়ে লুকানো প্রেম পর্ব ৫১