তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ১৯ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ১৯
Suraiya Aayat

নিচে সবাই আনন্দে ব্যস্ত কারণ সানা বিয়েতে রাজি হয়ে গেছে , এখন সব কথা হওয়া বাকি ৷ সেই নিয়ে সবকিছু আলোচনা করছে সবাই , আরূও সেখানে বসেছিল সকলের মাঝে কিন্তু কোন একটা দরকারে রুমে আসতেই দেখল ফোনটা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে,,,,,
আরূ ফোনটা হাতে নিতেই দেখল স্ক্রিনে বাপি শব্দ টা ভেসে উঠেছে ৷ শব্দ টা দেখতেই বুকের মধ্যে কেমন একটা করে উঠলো, তার বাবার কথা মনে পড়লেই খালি মাথায় আসে আরিশ এর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যথা ৷ ও এত সবকিছু সইবে কি করে!
আর বেশি কিছু না ভেবে আরূ ফোনটা তুললো৷

আরমান সাহেব : আরূ মা কাজ কতদূর?
আরুশি একটা দীর্ঘশ্বাস নিল নিয়ে বলতে লাগলো: আমি করছি, তুমি চিন্তা করো না , তুমি জেলে না গেলেইতো হল !
কথাটা খানিকটা অভিমান করেই বললো আরু কিন্তু সে অভিমান আরমান সাহেব যে কখনোই বুঝবেন না সেটা আরুর কাছে অজানা ৷
আরমান সাহেব ::কথাটা জানতেই কি পরিমান যে খুশি হয়েছে ছেলেটা তা কি করে তোকে বলি রে , খুবই খুশি হয়েছে আর তার সঙ্গে ওর বাড়ির সকলেই ৷ তবে এবার আর কোন ভুল ত্রুটি চায় না আমি , অভ্র নিজেও চায়না আর কোন সমস্যা হোক তাই আমি ঠিক করেছি আরিশ তোকে ফিরিয়ে দিলেই অভ্র আর তোকে ইজিপ্টে পাঠিয়ে দেব ৷আর অভ্র ও তাই চাই৷ নিজের সঙ্গে তোকে নিয়ে চলে যাবে তারপর নাহয় তোরা ওখানে গিয়ে বিয়ে করিস, আমি এখানে অন্তত আর কোন ঝামেলা চাই না , এখানে থাকলে বলা যায় না ওই ছেলে আবার কখন কি করে বসে ৷

আরূর চোখের কোনে জল জমে এসেছে ৷ কোন বাবা নিজের কথা ভেবে নিজের মেয়ের সম্পর্কের বলিদান দেওয়ার জন্য এতটা উঠেপড়ে লাগবে সেটা ও এই প্রথম দেখলো ৷
এতদিন জানতো যে বাবারা সন্তানের জন্য বলে আত্মবলিদান দেন কিন্তু আরমান সাহেব এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ বিপরীত , পৃথিবীতে কত প্রকারের মানুষ হয় সেটাই এখন বোঝার চেষ্টা করছে আরু ৷
আরূ:তুমি চিন্তা করো না বাপি , আমি থাকতে তোমার কখনো কোনো ক্ষতি হতে দেব না এটুকু জেনে রেখো৷ (মনে মনে) তুমি আমাকে ভাল না বাসলেও আমি যে তোমাকে ভালোবাসি তাই জন্যই তো নিজের প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা শুনেও একবারও পিছু ফিরে তাকাই নি ,শুধু তোমার কথা ভেবে ৷

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আরমান সাহেব : আচ্ছা এখন আমি রাখছি শরীরটা খুব একটা ভালো লাগছে না, বলে উনি ফোনটা রেখে দিলেন ৷
মনে আজ কষ্টের দীর্ঘ মেঘ জমে আছে ৷অভিমান হলেও নিজের মনটাকে কোনক্রমে সান্তনা দেওয়া যায় কিন্তু কষ্ট নির্মূল করা ততটাও সোজা নয় যতটা কষ্ট পেয়ে তার সাথে চলা ৷ কষ্ট দেওয়ার অধিকারটা সকলেরই নিয়ে রাখে কিন্তু তা নির্মূল করার দায়িত্বটা কেউ গ্রহণ করে না….
চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে আরূ, চাঁদটাও মেঘে ঢেকে গেছে, চারিদিকে ঘন অন্ধকার ৷ সুইমিং পুলের ধারে লাইটা যেন সারা বাড়িটাকে আলোকিত করার চেষ্টা করছে কিন্তু চাঁদের আলো দ্বারা যতটা আলোকিত করা সম্ভব তা কি একটা সোডিয়ামের বাতি দ্বারা সম্ভব ? হয়তোবা নয় !

মেঘের গুরুগুরু শব্দ শোনা যাচ্ছে ,হয়তো ঝমঝমিয়েই বৃষ্টি নামবে ৷ আজ কাল বৃষ্টিটাও বড়ো অনিশ্চিত ,সবসময় নিজের ভাবনায় চলে তাই হয়তো হঠাৎ বর্ষণেই সমস্ত কিছুকে ভিজিয়ে দিয়েছে যায় ৷
হঠাৎ কাঁধে গরম নিশ্বাস পড়তেই আরুর মনে কষ্টটা আরো যেন দ্বিগুন হয়ে উঠল কারন এই মানুষটাকে ঘিরেই তো সব ,মানুষটার সঙ্গেই যদি আর না থাকতে পারে তাহলে সব অনুভূতিই মূল্যহীন ৷
আরিশ ::কি করছো এখানে আরূপাখি?
আরোশী:
আরিশ আরুর কাঁধে একটা গভীর ভাবে কিস করে ঠোঁট বুলাতে লাগল ৷
আরিশ : এখনই বৃষ্টি নামবে আরুপাখি ঘরে চলো৷
আরুশি আগের মতই স্হির শুধু চলমান তার চোখের নোনা জলগুলি যা ক্রমাগত চিবুক বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে….
আরিশ :আরুপাখি ৷
আরুশি আবার আগের মতোই স্থির কোন কথা ওর কানে যাচ্ছেনা ,ও এখন আপন খেয়ালেই ব্যস্ত , আর ভাবনার মানুষটি হলো আরিশ ৷
আরুশি কোন রেসপন্স করছে না দেখে আরিস এবার আরুশি গলায় জোরে কামড়ে দিল ৷
আরু মুখে আওয়াজ না করলেও গোটা শরীরটা কেপে উঠলো যেন ৷ আজ নিজের আবেগ প্রকাশে ও যেন ব্যর্থ বলে ওর মনে হচ্ছে নিজেকে ৷
আরিস এবার আরুশিকে কোলে নিয়ে রুমের ভিতরে চলে গেলো৷
(বাকিটা বুঝে নিন আপনাদের নিজেদের দায়িত্বে ?৷)

আজকে ওরা কলেজে এসেছে তিনজনেই….
সানা :ভাইয়া হানিমুন তো করে এলি তা আজকে যে এক্সামের রুটিনটা দেবে তা সব ঠিকঠাক হবে তো?
আরিশ কিছু বলল না পরিবর্তে মুচকি একটা হাসি দিল ৷
আরিশ এর এই হাসি বোঝার ক্ষমতা এখনো কারোরই হয়ে ওঠেনি ৷ওর করা প্রতিটা জিনিসের একটা গভীর অর্থ আছে….
কালকে আরিশের ভালোবাসা পাওয়ার পর আর ততটাও মন খারাপ নেই আরুর ৷ এখন বেশ ভালই লাগছে….
আরো কিছু গল্প করতে করতে ওরা ভার্সিটিতে পৌছে গেল….
আরুশি আর সানা দাঁড়িয়ে আছে ততক্ষণ আরিশ গাড়ি পার্ক করতে গেছে…..
সানা আর আরু দুজনেই দাঁড়িয়ে আছি হঠাৎ দূরে অভ্রকে দেখে আরুর ভয়ে হাত-পা কাঁপতে শুরু করল কারণ এই মুহূর্তে আরিশ যদি ওকে দেখে তাহলে আরিশ আরুকে ভুল বুঝবে , আর তার থেকে বড় কথা হলো একটা বড়সড় সিনক্রিয়েট হবে কলেজের মাঝখানে, আর অবশেষে মার খেয়ে বাড়ি ফিরতে হবে অভ্রকে, আর এসবের কোনটাই আরু চায়না….
কিন্তু ভাগ্যক্রমে আরিশ আসার আগেই অভ্র সেখান থেকে চলে গেছে তা দেখে আরু অনেক স্বস্তি পেল৷ আর অভ্র ও আরিশের হাতে দ্বিতীয়বার মার খেতে চাইনা কারণ ও জানে যে আরু কাজটা সামলাতে পারবে তাই এত বড় রিস্ক নেওয়ার কোন দরকার নেই….

পরের সপ্তাহ থেকে এক্সাম হওয়ার জন্য ভার্সিটিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে যে আজ class হওয়ার পর যত দিন না পরীক্ষা শেষ হচ্ছে ততদিন ভার্সিটি বন্ধ থাকবে , আরু আর সানা তো খুশিতে লাফালাফি শুরূ করে দিয়েছে ৷
পড়াশোনাতে দুজনেই ফাঁকিবাজ, আরূ একটু আধটু ফাঁকিবাজি করলেও সানা ফাঁকিবাজিতে টপার ৷
আরিশ আর সানা দুই ভাইবোন তবে দুজনে সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের ৷ এদিকে আরিশ ইউনিভার্সিটির টপার আর সেখানে সানা একটু ভালো নাম্বার পেলেই খুশি….

কলেজের sir রাও মাঝে মাঝে বিশ্বাস করে উঠতে পারেন না যে আরিশ আর সানা দুই ভাই বোন….
আরিশের উপর অনেক প্রেসার ভার্সিটি থেকে তাই এই 1 সপ্তাহ টানা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে ওকে৷
লাঞ্চ টাইমে একটু সময় বার করে আরিশ, সানা আর আরু এক সঙ্গে ক্যান্টিনে গেল , সব নোটস কালেক্ট করতে গিয়েও হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে আরিশ ৷ একসপ্তাহের জমে থাকা নোটস ওকে কাভার করতে হবে….

ক্যান্টিনে খেতে এসেছে ওরা আর এদিকে একতাড়া নোটস নিয়ে বসে আছে আরিশ আর তা দেখে সানা আর আরু দুজন দুজনের দিকে তাকাতাকি করছে, ব্যাপারটা যেন একটু অবিশ্বাস্য৷ কই ওরা তো কখনো এরকম করে না? ৷
আরোশী মনে-মনে : বাবা এত পড়ুকে ছেলে আমার জামাই! আগে কখনো দেখিনি কাউকে এমন পড়তে , ভাইয়াকে দেখেছি তবে এতো নয় ৷ এখন যা দেখছি মনে তো হচ্ছে আমাকে আর মনেই নেই ওনার?৷
শর্ট টাইম ,অল্প কিছুই খেয়ে তাড়াতাড়ি চলে যাবে তাই নিজের জন্য এক প্লেট ফ্রাইড রাইস আর আর চিলি চিকেন অর্ডার করেছে আরিশ , আর আরু ও সানা নিজেদের জন্য অল্প কিছু অর্ডার করেছে….

সানা খাওয়া শুরু করে দিয়েছে তবে আরূ এখনো খাওয়া শুরু করতে পারছে না কারণ আরিশ সেই থেকে নোটস এর মধ্যে মুখ গুঁজে বসে আছে সামনে যে খাবারটা রয়েছে তার দিকে একবারও ফিরে তাকায়নি , না পেরে আরূ বলে উঠলো ,,,,,,,
আরু: আপনার খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন ৷
আরিশ: তুমি খাওয়া শুরু করো আরূপাখি আমি একটু পরেই খাচ্ছি…
আরু বুঝতে পারল যে এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আজকে আর আরিশ এর খাওয়া হবে না তাই না পেরে একলোকমা ভাত আরিশের মুখের সামনে ধরল ৷
আরিশ মুচকি হেসে খেয়ে নিল….
এতক্ষণ এটার জন্যই অপেক্ষা করছিলো আরিশ, যে কখন আরুশি ওকে খাইয়ে দেবে ৷
আরিশ খাচ্ছে আর মুচকি মুচকি হাসছে মাঝে মাঝে আরূর হাতে কামড়েও নিচ্ছে কিন্তু আরূ কিছু বলতেও পারছেনা….
আরিশ এর সঙ্গে সঙ্গে আরু নিজেও খাচ্ছে কারণ এরপর ওর নিজের ক্লাস আছে আর লেট হয়ে গেলেই সমস্যা ৷

ভার্সিটি থেকে বাড়ি আসার পর আরিশ সেই যে পড়তে বসেছে তারপর এখনও রুম থেকে বের হয়নি, আরূ রুমে ছিলো তবে আরিশকে একভাবে একই জায়গায় বসে থাকতে দেখে ওর নিজেরই বিরক্তি লাগছে তাই নিঃশব্দে সেখান থেকে উঠে আসলো আর সানার রুমে গেল….
সানা রুমে ঢুকতেই সামান্য একটু চিল্লাপাল্লার আওয়াজ শুনেই ব্যাপারটা কি তা দেখার জন্য রুমে যেতে দেখল সানা ফোনে কথা বলছে মাঝে মাঝে ঝগড়া করছে কখনো কখনো আবার হেসেও ফেলছে, বুঝতে বাকি রইলো না যে আরাভের সাথেই কথা বলছে….

আরুশি যেতেই সানা ফোনটা কেটে দিলো৷
আরূ:ওহহহহো আমার ননদিনিও তাহলে লজ্জা পায়৷ তা সব ঠিক হয়ে গেছে তো?
সানা : আরে বলিস না আর ,ওনার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল আমার , আর কি সমস্ত উল্টো-পাল্টা বলেছে তার জন্যই তো!(লজ্জা পেয়ে)
আরু সানাকে জড়িয়ে ধরে একটা গভীর নিঃশ্বাস নিল ,,,,,,,, একটা শান্তির নিশ্বাস , প্রিয় মানুষদের খুশি থাকতে দেখে ভালোলাগার অনুভূতি ৷
অবশেষে সানাও সুখী হবে এটা ভাবতেই মনটা আনন্দে ভরে যাচ্ছে আর ওর…..

আরু মনে করলো সানা আর আরাভকে একান্তে কিছু সময় দেওয়া উচিত তাই ও আরো কিছু কথা বলা সানার রূম থেকে বেরিয়ে গেল , গিয়ে ছাদে চলে গেল৷
ছাদে গিয়ে মনে পড়ল আরাভদের বাড়ির ছাদে সেই সুন্দর দৃশ্য যেখানে আরিস এর বুকে প্রশান্তির একটা জায়গা পেয়েছিল আরূ ৷ এক ঝাঁক পায়রা গুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে গিয়েছিল আর চারিদিকে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটা মুহূর্ত ছিল…..
সমস্ত কিছু ভাবছে আরূ হঠাৎ ওর ফোনে ফোন এল, তাকিয়ে দেখতেই চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ল,,,,, আহান ফোন করেছে…..

বহুদিন আহানের সঙ্গে যোগাযোগ নেই আরুর ৷ ভয়ে ফোন দিয়ে উঠতে পারিনি যদি ওর ভাইয়া কষ্ট পায় সেই কারণে…..
ফোনটা ধরতে ডুকরে কেঁদে উঠল আরু,,,,
বোনের কান্নার আওয়াজ শুনে কেদে ফেলল আহান৷ উভয় দিক থেকে দুই ভাই-বোনের কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে আর চলছে চরম নীরবতা ৷
আরু কাঁদতে কাঁদতে বলল :কেমন আছিস ভাইয়া?
আহান নিজেকে সামলে নিয়ে : তোকে ছাড়া কিভাবে ভালো থাকি বল !
কথাটা শুনতেই আরুর কান্নার বেগ যেন আরো বেড়ে গেল….
আহান: আমি এসব কি শুনছি আরূ? তুই নাকি আবার অভ্রকে বিয়ে করতে যাচ্ছিস !
আরুশি কাঁদতে কাঁদতে : আমি ওনাকে খুব ভালোবাসি ভাইয়া আমি ওনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না ৷
আহান :কাকে ?অভ্র কে?

তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ১৮

আরোশী : না ভাইয়া আরিশ কে ছাড়া ৷
আহান : তাহলে তুই এরকম করছিস কেন?
আরোশী : বাপির কথা ভেবে ভাইয়া , ওরা নাকি বাপের বিরুদ্ধে স্টেপ নেবে আর তোর বিরূদ্ধেও ৷
আহান: তাই বলে তুই নিজের ঘর সংসার ছেড়ে এত বড় আত্মবলিদান দিবি?
আরুশি: ভালোবেসে বিয়ে টা না করলেও এখন আমি ওনাকে ভালবাসতে শুরু করেছি কিন্তু আমি যে আর পিছিয়ে আসতে পারবো না , বাপির দেওয়া কথা যে আমাকে রাখতেই হবে….
আরুর কথা শোনার পর আহান ওকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করল কিন্তু আহানের কোন কথাই যেন আরুর কানে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে না ৷

অবশেষে বিরক্তি হয়ে আহান ফোনটা কেটে দিল ৷
আরু ওখানে বসেই চোখের জল ফেলেছে নিঃশব্দে , যেন কেউ ওর কান্নার আওয়াজ শুনতে না পাই ৷
এগুলোই একটা মেয়ের জীবন, শত কষ্ট হলেও পরিবারের কথা ভেবে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়তে পিছপা হয় না , আর সেখানেই তাদেরকে শুনতে হয় “বেইমান” নামক শব্দটি ৷

তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ২০