তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ২ পর্ব ১৪ || Suraiya Aayat

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ২ পর্ব ১৪
Suraiya Aayat

কোনরকম বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আরু বাসায় সামনে এলো , শরীরটা ইতিমধ্যে ঠান্ডায় কাঁপছে তার উপরে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের ঝলকানিতে চমকে উঠছে ও ৷ বারবার চোখের সামনে একটাই দৃশ্য ভেসে উঠছে , আর আরিশের স্পর্শগুলো কে বারবার অনুভব করার চেষ্টা করছে ৷ মুহূর্তগুলোকে বারবার স্মৃতিচারণ করতেও যেন আজ ওর মাঝে বিরক্তি কাজ করছে না ৷ কেন এ অদ্ভুত অনুভূতি ও নিজেও জানেনা ৷ এই প্রথম কোন পুরুষের ছোঁয়া পেয়েছিল তাও আবার এতটা গভীর ভাবে পাবে তা ভাবেনি ৷ মাথায় হাজারো সমস্ত চিন্তাভাবনা করছে আর বারবার মনের মাঝে উদয় হচ্ছে অদ্ভুত এক অনুভূতি আরিসের প্রতি , যা আগে কখনো হয়নি ৷

__” এর কারণ কি ? তাহলে কি আমি ওনাকে,,,,,,”
পর মুহূর্তে আবার আরু নিজের মনে মনে বলতে লাগল,,,,,,
__” না না , আমি এসব কি বলছি , ইউ আর স্টুপিড আরু ৷”
কথাটা কে বারবার উপেক্ষা করার চেষ্টা করছে ৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোলার জন্য আরু আর দেরি না করে কাঁপা কাঁপা হাতে কলিং বেলটা বাজালো….
চটজলদি করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আরুর আম্মু দরজাটা খুলে দিল…..
দরজা খুলতেই ঝাঁজালো কন্ঠে উনি গর্জে উঠলেন,,,

__” তুই এভাবে ভিজলি কেন ? এত বৃষ্টির মধ্যে আর একা একাই বা এলি কেন, যদি রাস্তায় কোন বিপদ-আপদ হতো তাহলে কি হতো ? আর এত রাত্রে তোর যে জ্বর কাশি হবে তার কি কোন খেয়াল আছে! এমনিতে তোর জ্বর হলে সে তো আর ভালোবেসে ফিরে যেতে চায় না তাতো জানি তার পরেও কেন এরকম বাচ্চাগুলো করিস !”
আরু দু হাত দিয়ে নিজের সারা শরীরটাকে ঢাকার চেষ্টা করছে আর ঠান্ডায় থরথর করে কাঁপছে , ভেজা চুলগুলো থেকে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে আর বেশিরভাগ জলটাই শরীর শুষে নিয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমছে….
আরু কাঁপতে কাঁপতে বলল,,,,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

__” তুমি কি আমাকে ঢুকতে দেবে না কি এভাবেই কথা শোনাবে কোনটা ?”
উনি বুঝলেন যে কিছু বলে আর লাভ নেই এর থেকে বরং এর পর আরুর যে অনাগত জ্বর কাশি আসছে তার সাথে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হওয়াই ভালো , তাই উনি আর কিছু না বলে দরজার সামনে থেকে সরে দাঁড়ালেন ৷ উনি সরে আসতেই আরু চম্পট দৌড় দিল , দৌড়ে দৌড়ে রুমে গিয়ে দরজা আটকে থিতু হলো ৷
আরূর মা দরজা দিয়ে গজগজ করতে করতে বললেন,,,,,,,,

__” যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই মেয়েকে আমি আরিশের হাতে তুলে দিতে চাই এইভাবে আর কতদিন চোখে চোখে রাখব বলো তো ! বিয়ে করলে তখন পরিবর্তন আসবে আর ঠিক হয়ে যাবে সব, এভাবে চিন্তায় চিন্তায় তো শেষ হয়ে যাচ্ছি ৷”
আরমান সাহেব গালে হাত রেখে চিন্তার সুরে বললেন,,,,,
__” মেয়েটা বড্ড চঞ্চল , এভাবে সামলানো যায় না ৷ আমার এখন তাই মনে হচ্ছে , আরিশকে কথাটা জানাতে হবে ৷ তাছাড়া আরিস নিজেও এখন যথেষ্ট ম্যাচিওর , আশা করি ওর কোন আপত্তি থাকবেনা ৷ আর যদি আরিশ এখন বিয়ে না করতে চাই তাহলে তো অন্য কোথাও আরু মায়ের বিয়ে,,,,,,”

__” না না এটা তুমি কি বলছো, আমাদের দুই পরিবারেই কত ইচ্ছা বল তো যে ওদের দুজেন চারহাত এক করে দেবো ৷ আর তুমি সেখানে অন্য কোথাও,,,,, না না এমনটা বলো না , পারলে আমারা কয়দিন অপেক্ষা করব আরিশের জন্য তারপর না হয় বিয়ে দেবো ৷”
__” এরকম বলে নিজের মনকে সান্তনা দিবে ঠিক আছে তা বলে নিজের মেয়েটার চঞ্চলতা কিভাবে কামাবে ? কতদিন আর এভাবে চিন্তায় চিন্তায় সারা রাত জাগবে বল ৷”
আরূর মা চুপ হয়ে গেলেন, সত্যিই ওনার কথাটা গ্রহণযোগ্য একেবারে ফেলে দেবার মত নয় , তাছাড়া মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে বর্তমানে যথেষ্ট ত্রুটি আছে সমাজে, আর আরূ যখন-তখন রাতবিরেতে একা একাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় , মেয়েটাকে নিয়ে চিন্তাভাবনার আর শেষ নেই…..

তাড়াতাড়ি করে ওয়াশরুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে এসে একটা প্লাজো আর একটা টপ পরে ব্ল্যাঙ্কেট এর মধ্যে ঢুকে গেল আরূ ৷ চুলগুলো এখনো ভিজে , মাথাটাও ধরেছে বেশ , এখন একটু কফি হলে মন্দ হতো না তবে এখন কফি খেতে গেলেই শুনতে হবে ওর মায়ের কাছে হাজারো বকুনি সেই কারণে সেই কথাটা দ্বিতীয়বার ভেবে দেখছে না আরূ…..
তখনই দরজায় নক করার শব্দ শুনে আরুর টনক নড়লো ৷

__” কিরে দরজা বন্ধ করে কি শুয়ে পরেছিস নাকি ? ওষুধ খাসনি তুই এখনো , রাত্রে আবার জ্বর হবে তখন কি হবে ! আর আজকে আমি তোর সাথে ঘুমাবো ৷”
আরু রুম থেকে চেঁচিয়ে বলল,,,,,,
__” না তোমাকে শুতে হবে না , আর আমি একদম ঠিক আছি তুমি যাও তো , আমার এখন ঘুম পাচ্ছে ৷”
আরুর মা অনেক জোর করা সত্ত্বেও আরু ওনাকে রুমে আসতে দেননি,ওনার নিজের রুমে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তারপর গুটি গুটি হয়ে শুয়ে পড়ল আরু ৷
ঘড়ির কাটা স্থান পরিবর্তন করার সাথে সাথে যেমন সময়টা এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি আরুর শরীরের তাপমাত্রাটাও ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে ৷
চোখ দুটো ছোট হয়ে আসছে , মাঝেমাঝেই চোখের কোনে দিয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে ,গলাটা ধরে আসছে বেশ……
কিছুক্ষণের মধ্যেই আরূ জ্ঞান হারালো……

রাত আড়াইটা,,,,,
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে-থাকা অন্ধকারে মানুষের ছায়ামূর্তিটা রুমের ভিতরে প্রবেশ করল নির্দ্বিধায় যেন এই সময়টায় তার খুবই প্রয়োজন, সেই যে আরুর এ রোগের ঔষধ ৷
ধীর পায়ে এগিয়ে বিছানায় আরূর পাশে বসলো….
ঘরের ভেতর জ্বলতে থাকা লাল রঙের ডিম লাইটের আলোটা আরুর মুখের উপর সামান্য পড়তেই মুখটা বেশ স্পষ্ট বোঝ না গেলেও সামনের মানুষটির যেন আরূকে বুঝে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না, এই অন্ধকারের মাঝেও আরু তার কাছে দৃশ্যমান বলেই মনে হচ্ছে ৷

তার ঠান্ডা শীতল হাত দুটো ধীরে ধীরে আলতো করে আরুর গলায় স্পর্শ করতেই আরূ সামান্য কেঁপে উঠল শিহরণে….
পরম আবেশে গলায় হাতদুটো রেখে আরূর কাছে এগিয়ে গেল, আরূর মুখের কাছে নিজের মুখটা নিয়ে গিয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সে , তার গরম নিশ্বাসগুলো আরূর মুখের উপর পড়ছে, মাঝে মাঝে তা চোখের দু পাতার উপর পরতেই চোখ দুটো হালকা কেঁপে কেঁপে উঠছে…..
ধীরে ধীরে তার নিজের ঠোঁট জোড়া দিয়ে আরূর ঠোঁটজোড়া কে দখল করে নিল , পরম আবেশে জড়িয়ে রেখেছে ঠোঁটজোড়া , দেখে মনে হচ্ছে যেন পুরনো সব ভালোবাসা আজ আরূকে ফিরিয়ে দিচ্ছে….
আজ তার একাকি ভালবাসার উষ্ণ ছোঁয়ায় শিহরন বইছে আরুর সমগ্র শরীর জুড়ে…..

বেশ কিছুক্ষণ পর আরূকে ছেড়ে দিয়ে নিজের বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে আরুর ঠোটজোড়া আলতো করে মুছে দিল ৷ পকেট থেকে ইনজেকশনের সিরিঞ্জটা বর করে তা আরুর হাতে পুষ করে দিল ৷ এই মুহূর্তে আরূ জেগে থাকলে হয়তো সারা বাড়ি মাথায় করে বেড়াতো , ইনজেকশন জিনিসটাকে খুব ভয় পায় ও…..
আরূর দিকে বেশ অনেকক্ষণ ধরে এক দৃষ্টিতে চেয়ে রইল , আরূর মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে আরুর থুতনীতে থাকা হালকা কালো তিলটাতে (যেটা খুব কাছ থেকে গভীরভাবে দেখলেই বোঝা যাবে) নিজের ঠোট ছোঁয়ালো ৷ ঘুমন্ত আরূর বেশ কয়েকটা ছবি তুলে নিয়ে ছবিগুলো দেখে মুচকি হেসতে লাগলো ৷
আরুর কানের কাছে নিজের মুখটা নিয়ে গিয়ে বলল ,,,,,,,
__” ভালোবাসি আরুপাখি ৷”
কথাটা বলে বেরিয়ে গেল রুম থেকে ৷

সকালের প্রথম সূর্যের আলোটা আরুর মুখের ওপর এসে পড়তেই চোখের পাতা দুটো তার উত্তাপ হয়তো আর সহ্য না করতে পারলো না, চোখ দুটো খুলে শান্ত দৄষ্টিতে তাকালো আরু…..
কাল সারারাত বৃষ্টি হওয়ার পর বাইরের সমস্ত টা ঝলমলে আর প্রানবন্ত ৷ সূর্যটাকে আজকে দেখে মনে হচ্ছে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে নতুন করে ৷ গাছপালাগুলো নিজেদের আগেকার সেই প্রাকৃতিক মহিমা খুঁজে পেয়েছে ৷ শীতের দিনের ঘাসের ওপরে জমে থাকা শিশির সঙ্গে বৃষ্টির ফোঁটাগুলোও আজ ভিড় জমিয়েছে অজানা এই উদ্দেশ্যে ৷ বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা মাটিতে পড়তেই মাটির অদ্ভুদ যে ঘ্রান সৄষ্টি হয় তা সময়ের সাথে মিলিয়ে গিয়ে কর্দমাক্ত মাটির নিজস্ব ঘ্রানটাকে নতুন করে সৃষ্টি করেছে….

প্রকৃতিটা কতই অদ্ভুত তাই না কখনো রোদ কখনো বৃষ্টি আবার কখনো বা ঘন কুয়াশা….
কথাগুলো মনে আসতেই আরূ মুচকি হেসে উঠলো ৷ প্রকৃতির আসল রূপটা ভালোভাবে উপলবদ্ধি করতে পারছে ও ৷
কালকে রাতের জ্বর জ্বর ভাব টা ও আর নেই, মাথা ব্যাথাও কমে গেছে , অনেক ফুরফুরা লাগছে এখন নিজেকে ৷
রাতে ও নিজে ওষুধ খাইনি কখন জ্ঞান হারিয়েছে তার নিজেরও জানা নেই তবুও কি করে এতটা সুস্থ হল ও তা নিজেও জানেনা ৷ অসুস্থতা ব্যাপারটা নিয়ে আর বেশি কিছু ভাবতে চাইনা তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা নিজের মন থেকে ঝেড়ে ফেলে ধীর পায়ে ব্যালকনির দিকে হেটে গেল….

বেলকুনিতে ফুলগাছের টবগুলোতে জল জমে আছে , গোলাপ ফুলের পাপড়ি গুলোতে ফোঁটা ফোঁটা জলবিন্দু দেখা দিচ্ছে আর ফুলের মাঝে জমে থাকা জলে ফুলের রেণু গুলো ভেসে উঠছে ৷ জলটাই হাত দিতেই সমস্ত রেনূ ওর হাতে এসে ভিড় জমাচ্ছে , ব্যপারটাই আরূ আনন্দ পাচ্ছে বেশ ৷
বেলকনি রেলিং ধরে চোখ বন্ধ করে দীর্ঘ শ্বাস নিতেই অদ্ভুত এক প্রশান্তি অনুভব করছে আরু ৷ আজ হয়তো প্রথম এমন একটা দিন যেদিন ও নিজে তাড়াতাড়ি উঠেছে আর প্রকৃতির যে আসল সৌন্দর্য সেটাকে উপভোগ করছে….
কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে প্রকৃতিতে মনোনিবেশ করতেই চোখে ভেসে উঠল কালকের বর্ষনের সেই রাতের কথা ৷ কথটা মনে পরে গেল , আরে তার সাথে আরিশের সেই উষ্ণ ছোঁয়া আর তার অল্প বকুনি ৷
তাড়াতাড়ি করে চোখ দুটো খুলে ফেললো আরূ ৷

__” আমার এমনটা হচ্ছে কেন? বারবার উনার কথায় কেন মনে পড়ছে ? সেই ভাবনা থেকে বের হওয়ার উপায় কি?”
__”ভালোবাসা ভালোবাসা…..”
কথাটা শুনতেই আরূ অবাক হয়ে পিছন দিকে ঘুরল , তাকিয়ে দেখল ইনু ওর দিকে তাকিয়ে ঘাড়টা এপাশ ওপাশ করছে….
আরু মুচকি হেসেই ইনুর কাছে গেল….
ইনু হলো আরূর পোষা তোতা পাখি , যাকে আরূ বেশ কয়দিন হলো ওর বাড়িতে এনেছে, এই কয়দিনে ইনুর সাথে ওর ফ্রেন্ডশিপ টা খুব ভালো হয়েছে ৷ একটা মানুষ আর জন্তুর মধ্যে এতটা ভালো সম্পর্ক হতে পারে সেটা আরু জোরে আর আরিশকে দেখে বুঝেছিলো ৷ কুকুরকে ও প্রচন্ড ভয় পায় তাই তাকে পোষ মানানোর কথা দ্বিতীয়বারের ভাবেনি, তাই আরিশের বাড়ি থেকে ফেরার পরই সেদিনই ওর বাবাকে বলে তোতা পাখি টা নিয়েছিল মার্কেট থেকে ৷ পাখিটা আগে থেকেই প্রচন্ড কথা বলে ৷ অবসর সময়ে আরু ওর সাথে কথা বলে সময় পার করে ৷ দিন শেষে নিজের জমিয়ে রাখা সমস্ত অভিযোগের কথাটুকূ ইনুকে জানায়….

__” তুই এটা কি বলছিস, আর ভালোবাসা মানে তুই কি বুঝিস?”
ইনু ঘাড় ঘুরিয়ে এ দিক ওদিক তাকিয়ে আবার একই কথা বলল,,,,,
__” ভালোবাসা ভালোবাসা….”
__” সত্যিই কি তাই ! যদি এমনটাই হয় তাহলে আমি কেন সেটা বুঝতে পারছি না , আর এই অদ্ভুত অনুভূতি মানে কি? আমি কি তাতেই আসক্ত……”
কথাটা ইনুকে বলে মেঝেতে বসে পড়ল, দেওয়ালের সাথে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে সেখানেই বসে রইল,, কতটা সময় যে ওভাবেই আরু পার করলো তা ও জানে না ৷
এক সপ্তাহ পর,,,,,,

এই এক সপ্তাহ ধরে আরুর চোখে বারবার ভেসে উঠেছে আরিশের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ৷ কিভাবে ঝগড়া থেকে শুরু হয় ওদের আলাপ আর আজ অদ্ভুত এক নেশায় আসক্ত ও নিজেই ৷ সেই রাতের পর থেকে আর ওর পক্ষে সম্ভব হয়নি না আরিস এর স্পর্শগুলো কে উপেক্ষা করার , আর না পেরেছে নিজের মনে আরিশের উপস্থিতিকে অগ্রাহ্য করতে , তবে এই অদ্ভুত আসক্তির মূল কারণটা কি তা ও বুঝেও বুঝতে চাইছে না ৷ হঠাৎ করে কিছুক্ষন কাটানো সময়ের ভিত্তিতে কি একটা মানুষের অনুভূতিগুলো এভাবে পাল্টানো সম্ভব ! আরূ যেনো বুঝেও কিছু বুঝতে চাইছে না ৷
এতদিন ভার্সিটি বন্ধ ছিল আর আরিশদের এক্সাম চলছিল ,আজকে আরিশের শেষ exam ৷
আরুর খুব ইচ্ছা হচ্ছিল একবার আরিশকে কল করে জানার যে কেন এমন হচ্ছে ওর , চাইলেও কেন সবটা ভুলতে পারছে না

কললিস্টের একেবারে শেষে থাকা আরিশের নাম্বারটাকে টেনে এনে কল লিস্টে সবার উপরে এনেছে বাকি সব কলের হিসট্রি ডিলিট করে, তাতে যেন নিজের অজান্তেই অদ্ভুত এক প্রশান্তি অনুভব করছে ও ৷
বারবার ইচ্ছা জাগছিল যে একবার কল করে আরিশের কাছে ওর কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর জানতে কিন্ত ও তো চাইলেও তা পারবে না কারন এটা খুব আশ্চর্যনীয় লাগবে আরিশের কাছে , আর তাছাড়া ওর যেমনটা অনুভুতি হচ্ছে আরিশের তো তেমনটা অনুভুতি নাও হতে পারে,,,, এগুলো ভেবেই নিজেকে শান্ত রেখৈছে আরু ৷
তবে এই অদ্ভুত অনুভূতি যার ব্যাখ্যা ওর কাছে নেই তা আরিশের কাছে আছে ৷ তাহলে তার উত্তর কি একমাত্র আরিসই দিতে পারবে ?

কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই নিচে ব্রেকফাস্ট করার জন্য চলে গেল আরু…..
ডাইনিং টেবিলে বসতেই ওর আব্বু আর মায়ের কিছু কথা কানে পৌছোল ৷
__” আমরা কিন্তু বিকাল বেলায় ফিরে চলে আসবো,আরিশ যদি রাজি না হয় তাহলে তো আমাদের আর কিছু করার নেই ৷”
__” তুমি হাল ছাড়ছো কেন আমার মনে হয় না যে না আরিশ বাবা না করবে , আমার এইটুকু বিশ্বাস আছে৷”
__” দেখো কি হয় ৷ আল্লাহ যা চান তাই হবে তা তো আমরা চাওলেও খন্ডাতে পারবো না ৷”
ওদের কথার কোন হাতামাথা কোন কিছুই বুঝতে পারছেনা আরু ,তাই না বুঝতে পেরে জিজ্ঞাসা করে উঠলো,,,,,
__” তোমরা কিসের কথা বলছো বাপি?”
আরমান সাহেব সামান্য নিশ্চুপ হয়ে বললেন,,,,,

__” সেটা না হয় পরেই জানতে পারবে, সবাই যখন জানবে তুমিও তখন জানবে ৷”
__” তবুও আমাকে এখন বললে সমস্যা কোথায়?”
আরমান সাহেব এবার রেগে গিয়ে বললেন ,,,,,,
__” সব সময় ফাইজলামি ভালো লাগে না আরু ৷”
আরূ ওর বাবার কথা শুনে ভয় পেয়ে গেল ৷ আরমান সাহেব সাধারণত কখনো ওর সাথে রেগে কথা বলেন না, নিশ্চয়ই উনি খুব চিন্তিত সেই কারণেই ওর সাথে এমন ব্যবহারটা করল , ঐরকমটা নিজেকে বোঝালো আরু ৷
__” আহা তুমি ওকে বকছো কেন ! ওকে বকলেই কি সব ঠিক হবে, দেখোই না আগে কি হয় ৷”
আরু চুপ করে খেতে শুরু করল , পুনরায় কথা বলার সাহস পেলো না আর তবে মনে মনে কিঞ্চিত খারাপ লাগাটাও কাজ করছে ওর….

ব্রেকফাস্ট শেষে আরূ যখন নিজের রুমে যেতে গেল তখন কিছু একটা ভেবে থেমে গেল ৷
__” আম্মু তোমরা কি কোথাও যাবে?”
__” আমি একটু পর তোর অনিকা আন্টির বাড়িতে যাব ৷”
__” তোমার কি সব সময় যাওয়া লাগে আন্টির বাড়ি ?”
__” শুধু আমি একা না তুই ও যাবি মানে আমরা সবাই যাচ্ছি , আর যাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ , আর তাছাড়া আজকে আরিশের লাস্ট এক্সাম তাই ও. আজকে বাসায় আসবে ,আর তোর আণ্টি দাওয়াত দিয়েছে ৷”
আরু আর কিছু বলল না চুপচাপ নিজের রুমে গেল ৷ আজকে ওউ যাবে আরিশদের বাড়িতে, এটাই ওর কাছে একমাত্র সুযোগ নিজের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর জানার, তার ফলাফল পজেটিভ আর নেগেটিভ যেটাই হোক না কেনো ৷ তবে উত্তরটা জানা ওর খুবই প্রয়োজনীয় ৷

সানার রুমে বসে আছে আরু অনেকক্ষণ ধরে , আজকে ভিষন শান্ত হয়ে বসে আছে অন্য দিনের তুলনায় ৷ আসার সময় সানার সাথে একবার দেখা হয়েছিল , তখন সানা নিচে ওর আম্মুর হাতে হাতে কাজ করে দিচ্ছিল তাই আরূ ওকে আর ডেকে বিরক্ত করে নি ৷ চুপচাপ সানার রুমে এসে বসে আছে…..
আরুর খুব ইচ্ছা করছে এখন আরিসের রুমে ঢুকে সমগ্র রুমটা আরেকবার দেখতে যদিওবা চাইলেও সেটা সম্ভব নয়….
যতক্ষণ না সানা আসছে ততক্ষণ ওর সেখানে চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই ৷ আরু বসে বসে বোর হচ্ছে তাই ফোনটা অন করে ফেসবুকে লগ ইন করতে সার্চ লিস্টে গিয়ে প্রথমে থাকা নামটা ক্লিক করতেই একাউন্ট টা চলে এলো ৷
[ আবরার আরিশ খান ]
[নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি]
[ফলোড বাই 15000 পিপল]
[হবি : সিঙ্গিং ]

প্রোফাইল পিকচারের লাস্ট আপডেট আছে 24 শে নভেম্বর , মানে এক্সামের বেশ কয়েক দিন আগেই ৷আর তাতে মেয়েদের হাজার হাজার লাইকস আর কমেন্টস, বেশিরভাগ মেয়েরাই হল ওর ভার্সিটির মেয়ে, তাদের কমেন্ট গুলো পড়লে ওর নিজের খুব বিরক্তি লাগে, সব কটাই বাবু , সোনা, জান ছাড়া কথা নেই ৷
__” একটা মানুষকে এতটা সুন্দর কেন হতে হয় ! আর এই মেয়েগুলোও কেমন গায়ে পড়া টাইপের ৷ সুন্দর ছেলে দেখতে আর হুশ থাকে না….”

তাড়াতাড়ি করে ফেসবুক থেকে বেরিয়ে আসল ও ৷ এই এক সপ্তাহে আরিশের প্রোফাইল টা যে কতোবার সার্চ করেছে তা ওর নিজেও জানা নেই ৷ বলতে গেলে আরিসের প্রোফাইলের A টু Z সমস্তটাই ওর মুখস্থ হয়ে গেছে প্রায়….
ঘড়ির দিকে তাকালো আরূ ৷ দেড়টা বাজে , একটাই সবার এক্সাম শেষ হয়ে যাওয়ার কথা আর ভার্সিটি থেকে ওদের বাড়ি আসতে সময় লাগে আধঘণ্টা মতো তাই আর এক্ষুনি যে আরিশের পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সেটা বুঝতে পারছে আরু ৷ কিন্ত কিভাবে আরিস এর মুখোমুখি হবে সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না….
সানা একটা ট্রে তে করে 2 গ্লাস কোলড্রিংস এনে বেডের উপর রাখলো , আর হাতে একটা গ্লাস ধরিয়ে দিয়ে নিজে একটা গ্লাস হাতে নিলো …..
সানা লক্ষ করল আরু আজকে চুপচাপ ৷ আরুর নীরবতা টা যেন ও আজ মানতে পারছে না ৷ না পেরে সানা বলে উঠলো,,,,,,

___” একটা কথা কি জানিস তো তোকে চুপচাপ থাকলে একদম সটুপিড লাগে ৷”
কথাটা শুনতেই আরু একটু থতমত খেয়ে গেল , সত্যিই আজকাল ওর নিজেকেই খুব অবাক লাগছে, গোটা এক সপ্তাহ ধরেই যেন এক অন্য আরু কে দেখছে আর চিনছেও, যার সঙ্গে আগে নিজের কখনো মিল পাইনি….
__” এমনি তেই ভালো লাগছে না….”
__” ভাইয়ার আজকে এক্সাম শেষ , আজকে ও বাড়ি ফিরবে ৷”
আরিশ কে নিয়ে কথা উঠতেই আরু সুযোগ পেয়ে গেল ওর প্রশ্নটা করার তাই আর বেশী জটিলতার সৃষ্টি না করে সানাকে বলে উঠল,,,,,,,

__” আরিশ ভাইয়াদের তো এতখনে exam শেষ !”
__” হ্যাঁ , বাট ভাইয়ার ফিরতে লেট হবে ৷”
আরু সানার কথার পরিপেক্ষিতে কিছু বলল না আর ,চুপচাপ শুনে গেল ৷
সানা ফোনটা হাতে নিয়ে একটা ছবি বার করে আরুকে দেখালো ৷
__”আপুটা কত সুন্দর তাই না !”
ছবিটা দেখে আরু চমকে গিয়ে বললো,,,,,
__” এই আপুটা কে?”
__” ভাই আজকে এই আপুটাকে দেখতে গেছে , ওর বেশ পছন্দ হয়েছে তাই আমাকে পিকটা পাঠালো ৷ আমাকেও জিজ্ঞাসা করছে পছন্দ কিনা ৷ আমার তো দারুণ লেগেছে কি সুন্দর পুতুলের মতো ৷ মাশাআল্লাহ ৷”
কথাটা শুনতেই আরূর বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো,,,, কিন্তু কিন্তু করে কথটা ঘুরিয়ে বলল,,,,,
__” আরিশ ভাইয়া বিয়ে করছেন জানাসনি তো?”
সানা মুচকি হেসে বলল,,,,,

__” প্রান্ত থেকে ভাইয়ার সাথে আপুটার বিয়ে হবে তাই পছন্দ করতে গেছে ৷”
আরু মুচকি হেসে বললো,,,,,
__” সত্যিই খূব সুন্দর, আরিশ ভাইয়ার চয়েজ আছে ৷”
আরু একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিল, কিছুক্ষণের জন্য কথাটা শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিল ও ৷

বেশ অনেক্ষণ হলো আরিশ বাড়ি ফিরেছে ৷ নিচে এখন সবাই গল্প-গুজবে ব্যস্ত, সানাও নিচে রয়েছে শুধুমাএ আরিশ আর আরু উপরে রয়েছে ৷ কিছুক্ষণ পরেই হয়তো ওরা বাড়ি ফিরে যাবে তাই আরু আর বেশী দেরী করলো না , দেরি করলে আরিশের থেকে নিজের প্রশ্নের উত্তরটা জানতে পারবে না তাই জন্য আর এক মূহূর্তও দেরি না করে আরিশের রুমের দিকে পা বাড়ালো…..

কোনরকম আরিসের পারমিশন না নিয়ে ওর রুমে ঢুকে পড়ল আরু ৷ বিছানার উপর বসে টাওয়াল দিয়ে মাথাটা মুচছে আরিশ ,ভেজা মুখে বিন্দু বিন্দু জল জমে আছে , মাথার চুল গুলো থেকে টপটপ করে জল ঝরে পড়ছে মাঝে মাঝে , গায়ে সাদা রংয়ের shirt টা যেন আরিশের সৌন্দর্যটাকে দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে…..
আরু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে আরিশের সামনে,
আরিশ অবাক হয়ে ভ্রু কুঁচকে বললো,,,, ,
__” কারোর রুমে ঢোকার আগে পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না বুঝি ? হোয়াট এভার ! তা আপনি কিছু বলবেন?”
আরু কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,,,,

__”আমি আপনার কাছে একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে এসেছি , উত্তরটা পেলেই চলে যাব ,তাই আপনিও বেশি জটিলতা সৃষ্টি না করে সরাসরি উত্তরটা দিলে খুশি হয় ৷”
তোয়ালেটা বিছানার উপর রেখে আরিস কয়েক কদম এ গিয়ে আরুর কাছে চলে এল ৷
__” তা কি প্রশ্ন আপনার শুনি ? যদি জানি তাহলে নিশ্চয়ই উওর দেবো ৷”
প্রশ্নটা আরু করবে কিন্তু এখন ওর ভয়ে হাত-পা কাঁপছে , যতটা সাহস নিয়ে এসেছিল ততটা সাহসের এক বিন্দু মাত্রও নেই আর , কিভাবে বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না , চুপচাপ ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷
আরিশ হালকা স্বরে বলল,,
__” কি হলো বলুন কি প্রশ্ন আছে আপনার ?”
__” ……”
__” কি হলো বলুন ৷”
__”…..”
__” যদি কিছু না বলার থাকে তাহলে প্লিজ আপনি এখন আসতে পারেন ৷”

__” আমার আপনার প্রতি এক অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে সেই রাতের পর থেকে , আপনার স্পর্শ গুলো আমি কোনোভাবেই ভুলতে পারছিনা, না ভুলতে পারছি আপনার সাথে কাটানো সেই মুহূর্তগুলো, বারবার সেই স্মৃতিগুলো ভেসে উঠছে আর অদ্ভুত এক অনুভূতি কাজ করছে আপনার প্রতি তবে সে অনুভুতির কারণটা আমি জানিনা তাই আপনি যদি জানেন আমার এ অনুভুতির কারন তাহলে বলেন কারন আমি আর এভাবে এই দোটানা নিয়ে সময় পার করতে পারছি না, কষ্টকর হয়ে উঠছে দিন দিন ৷ “(চোখ বন্ধ করে)
আরিশ পকেটে হাত দিয়ে বলল,,,,,,
__” তা ঠিক কেমন অনুভূতি মিস আপনার আমার প্রতি?”
আরূ আগের মত চোখ বন্ধ করে রেখে বলল,,,,,
__” সেটা ঠিক কেমন অনুভূতি আর কি কারণে সেই অনুভূতি তা জানলে আমি কি আপনার কাছে আসতাম আর না আপনার কাছে তার উত্তর চাইতাম…!”

__” ওহ আচ্ছা, তা আপনি চোখটা না খুললে আমি তার উত্তরটা দেবো কিভাবে !”
__’ না আমি চোখ বন্ধ করেই থাকবো, খুলবো না, আপনি তাড়াতাড়ি বলুন , আমি উত্তরটা নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি ৷”
আরিশ এবার এক ঝটকায় আরুর কোমরটা জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে আরূ কে মিশিয়ে নিল….
আরু আচমকাই আর ভয়ে চোখটা খুলে ফেলল , আরিশের এখন ওর উপর নজর স্থির, আর আরুর ও ৷ আরুর সমগ্র শরীর জুড়ে যেন অদ্ভুত শিহরণ বয়ে যাচ্ছে , আর ঠিক তেমনটাই অনুভূতি হচ্ছে যেমনটা এইকদিন হয়ে এসেছে…..
আরিশ ওর বাম হাতটা আস্তে আস্তে আরূর গলায় স্পর্শ করতেই আরূ শক্ত করে আরিশের shirt টা খামচে ধরল ৷ হার্ট বিট টাও ক্রমশ বাড়ছে, ঠোটজোড়া কাপছে আর শরীরটাও যেনো ক্রমশ ঝিমিয়ে আসছে ৷
আরিশ আরুর কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,,,, __” এমনটাই অনুভূতি কি যেমনটা এখন হচ্ছে ৷”
আরু চুপ করে আছে , কিছু বলছে না ৷

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ২ পর্ব ১৩

__” আমি যদি এখন আমার ঠোট দিয়ে আলতো করে আপনার কম্পমান ঠোঁট দুটোকে স্পর্শ করি তাহলে কি আমাতেই হারিয়ে ফেলবেন নিজেকে ? ”
কথাটা শুনে আরু আরিশকে দূরে সরিয়ে দিল,মনে মনে লজ্জা পাচ্ছে খুব আরিশের কথা শুনে তবুও এখন তা আরিশের সামনে প্রকাশ করবে না ৷
__’ কি বলছেন এগুলো আপনি?”
আরিশ ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে বলল,,,,,,
__” যেমনটা আপনি আপনার ফিলিংস এর বর্ণনা দিলেন আমিও ঠিক তেমনি প্রাক্টিক্যালি সব কিছু করে দেখালাম, কেন বুঝতে পারেন নি ? এবার কি থিওরিটিক্যালি বুঝিয়ে দিতে হবে ?”
আরু দূরে সরে গিয়ে এক পা এক পা করে পিছিয়ে যেতে যেতে বললল,,,,,,
__” এই আপনি নামটা মি ঃ অভদ্রটা খুব বাজে, খুবই বাজে , আর লুচু প্রকৄতির মানুষ ৷”
কথাটা বলে তাড়াতাড়ি করে বেরিয়ে গেল আরু…..
আরিশ একটা টেডি স্মাইল দিল তারপর আলতো করে হাত দিয়ে চুল গুলো ঝেড়ে নিয়ে তোয়ালেটা নিয়ে ব্যালকনিতে চলে গেল…….

আরু দৌড়ে গিয়ে সানার রুমের দরজা লক করে দরজায় মাথা দিয়ে বসে পড়ল,,,,,,
__” এটা কি আমার মিঃ অভদ্র নামক আসক্তি, যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাএ উপায়ই ” উনি সম্মোধনকারী ব্যাক্তিটি ৷” আমি কি ওনাতেই আসক্ত হয়ে পড়েছি ?
তাহলে কি #তোমার_নেশায়_আসক্ত ৷”

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ২ পর্ব ১৫