নেশাক্ত ভালোবাসা পর্ব ১১

নেশাক্ত ভালোবাসা পর্ব ১১
লেখিকাঃ Tamanna Islam

আব্রাহাম আইরাতকে গাড়িতে উঠিয়ে এক প্রকার জোর করেই নিয়ে যাচ্ছে। আব্রাহাম এক মনে ড্রাইভ করে যাচ্ছে। আইরাত একবার জানালা দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছে তো আরেকবার আব্রাহামের দিকে। কিন্তু আব্রাহাম সে একদম তার মতোই করে যাচ্ছে। আইরাত তার কাটা হাত টার দিকে তাকিয়ে আছে। আব্রাহাম যে এতো টা পাশান ভাবে আইরাতের হাত টা আজ কেটে দিবে তা সে ভাবেও নি।

এখনো অনেক ব্যাথা করছে। আইরাত এভাবে আর বসে থাকতে না পেরে আব্রাহাম কে বেশ কয়েক বার জিজ্ঞেস করে যে আমরা কোথায় যাচ্ছি। কিন্তু আব্রাহাম একদম চুপ। দেখতে দেখতে আব্রাহাম গাড়ি থামায় একদম জন-মানব শূন্য একটা জায়গায়। রাস্তা টা হাইওয়ে রোডের মতো। তবে এই সময়ে তেমন একটা গাড়ি ঘোড়াও নেই আর মানুষ, তো নেই বললেই চলে। রাস্তা গুলো কিছুটা আঁকাবাকা। আব্রাহাম গাড়ি থামায়। আইরাত এই জায়গা টা একদম চিনে না। জানালা দিলে কিছুটা উঁকি দিয়ে বাইরে দেখে তখনই আব্রাহাম বলে ওঠে…..

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আব্রাহাম;; নামো।
আইরাত;; এটা আমরা কোথায় আসলাম?
আব্রাহাম;; নামতে বলেছি নামো।
আইরাত বুঝলো যে আব্রাহাম কিছুটা হলেও রেগে আছে তাই এখন বারতি প্যাচাল পারলে হয়তো এই সাইকো তাকে গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলেই দিবে। এই ভেবেই আইরাত দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে পরে। আব্রাহাম গাড়ি টা একটা সাইড করে সেও নেমে পরে। ওপরের জেকেট টা খুলে গাড়িতেই রেখে আসে।
আইরাত;; এই জায়গা টা অনেক অদ্ভুত, আমি চিনি না। আর এখানে কেন আসলাম?
আব্রাহাম;; আসো।

আব্রাহাম আইরাতের হাত ধরে নিয়ে রোডের সাইডে গিয়ে দাড়ালো। রাস্তার সাইডে কিছু র‍্যালিং-এর মতো রয়েছে। আব্রাহাম আইরাতের হাত ধরে নিয়ে সেখানে দাড় করিয়ে দেয়।
আইরাত;; আমরা রাস্তার এতো কিণারে দাঁড়িয়ে আছি কেন?
আব্রাহাম;; নিচের দিকে তাকাও।
আইরাত;; মানে কি?

আব্রাহাম;; নিচে তাকাও।
আইরাত আব্রাহামের কথায় রাস্তার ওপর থেকে নিচে তাকায়। নিচে তাকিয়েই আইরাতের আত্মা শুকিয়ে যায়৷
আইরাত;; আম্মুউউউউউউউউউউ।
আসলে তারা অনেক উঁচু একটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। এখান থেকে নিচে তাকালে শুধু খাদ আর খাদ দেখা যায়। এই খাদে যদি কেউ একবার পরেছে তো তার আর রেহায় নেই। ইন ফ্যাক্ট খুজেই পাওয়া যাবে না। আর উচ্চতা দেখে আইরাতের ছোটবেলার সমস্যা আছে, অনেক ভয় পায়। আব্রাহাম তা হয়তো জানতো তাই তাকে এখানে আনা। তবে আইরাত ভয় পেয়ে চিল্লিয়ে ওঠে। রাস্তার সাইড থেকে আইরাত সরে আসতে চাইলে আব্রাহাম তার হাত চেপে ধরে ভাবলেশহীন ভাবে দাঁড়িয়েই থাকে।

আইরাত;; দেখুন প্লিজ, প্লিজ আমার হাত টা ছাড়ুন। আমি একটু পিছিয়ে দাড়াই। আমার খুব ভয় লাগে। আব্রাহাম প্লিজ হাত টা ছাড়ুন।
আব্রাহাম;; ভয় কে জয় করতে শেখো।
আইরাত;; আরে ধুরু রাখেন আপনার জয়। জীবন একটাই। মরলে শেষ সব। আপনি আমার হাত ছাড়ুন।
আব্রাহাম;; বড্ড বেশি চিল্লাও তুমি।
আইরাত;; আমি তো….
আব্রাহাম;; এই চুপ। নয়তো এখান থেকেই একদম নিচে ফেলে দেবো।
আইরাত এবার পারছে না কেদে দেয়। চোখ গুলো লাল হয়ে গেছে। আইরাতের হাইট থেকে ফোবিয়া আছে।
আব্রাহাম;; বসো।

আইরাত;; কোথায় বসবো? এখানে ময়লা।
আব্রাহাম;; শুনো এতো বেছে শুনে চললে কিছুই হয় না। ছোট বেলা কতো এমন ধুলাতে বসেছি। ঝেড়ে নিও পরে বসো এখন।
আব্রাহাম আরো একটু এগিয়ে গিয়ে হাইওয়ে-এর ওপর থেকে নিচে পা ঝুলিয়ে বসে পরে। আর আইরাতের হাত ধরে টেনে তাকেও বসিয়ে দেয়। আইরাত ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেছে। বারবার ঢোক গিলছে আর আব্রাহামের দিকে তাকাচ্ছে। কিন্তু আব্রাহাম তো আব্রাহাম ই। এখন আব্রাহাম আর আইরাত পা ঝুলিয়ে হাইওয়ে রোডের ওপর বসে আছে। আব্রাহাম তো সেই উপভোগ করছে তবে আইরাতের অবস্থা কাহিল।
আব্রাহাম;; আইরু।

আইরাত;; ইট”স্ আইরাত নট আইরু।
আব্রাহাম;; পেত্নী।
আইরাত;; কি?
আব্রাহাম;; আমাকে আর রাগিয়ে দিও না। কারণ আমি আমার রাগ আগে থেকেই কোন্ট্রল করতে পারি না আর রাগের মাথায় কি করে বসি তার খেয়াল থাকে না। তোমাকে হার্ট করি এন্ড দ্যান পরে নিজেই আরো হাজার গুণে বেশি হার্ট হই। সো প্লিজ।
আইরাত;; রাগ মানুষকে ধ্বংস করে দেয় জানেন তো। সর্বনাশ হয়ে যায়।
আব্রাহাম;; “” প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেইদিন চৈত্রমাস,, তোমার চোখে দেখেছিলাম আমি আমার সর্বনাশ

আইরাত;; সর্বনাশা জিনিস থেকে সবসময় দূরত্ব বজায় রাখতে হয়।
আব্রাহাম;; এমন সর্বনাশা জিনিস থেকে যদি আমার সর্বনাশ-ই হয়। তাহলে আমি রাজি।
আইরাত নিজের সামনে তাকিয়ে তাকিয়ে কথা গুলো বলছিলো। কিন্তু আব্রাহাম, তার স্থীর চোখ গুলো আইরাতের দিকে রেখেই কথা গুলো বলছিলো। আব্রাহামের এমন বেখেয়ালি কথায় আইরাত কপাল কুচকে তার দিকে তাকায়। আব্রাহামের এমন চাহনি তাকে বরাবরই অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। আইরাত কিছুটা গলা খাকাড়ি দিয়ে বলে ওঠে………

আইরাত;; আব.. আসলে, আসলে আমার কাজ আছে। ভার্সিটি নেই তাই হোটেলে যেতে হবে।
আব্রাহাম;; এই হাত নিয়ে তুমি হোটেলে যাবে..!
আইরাত;; উপায় নেই যেতেই হবে। আর সবটাই আপনার দোষ। আপনি আমার হাত কেটেছেন।
আব্রাহাম;; কাটতাম না যদি তুমি আমায় বাধ্য না করতে তো।
আইরাত;; হয়েছে আমি এখন উঠবো। এই উঁচু জায়গায় বেশি না আর মাত্র কয়েক মিনিট বসে থাকলে আমি এখানেই অজ্ঞান। আমি চলে যাব।

আব্রাহাম;; এই হাইওয়ে তে মাত্র আসলে। তাই এতো ভয় আর এতোক্ষণ যে আমার সাথে ছিলে ভয় লাগে না?
আইরাত;; কেন আপনি বাঘ না ভাল্লুক?
আব্রাহাম;; মানুষ।
আইরাত;; গুণধর মানুষ মশাই আমি কি আমার কাজে যেতে পারি এবার।
আব্রাহাম;; না।

আইরাত;; মানে কি। আমি কাজে যাবো না। আপনি হাত ছাড়ুন আমার। বাসায় যা কান্ড করে এসেছেন না আপনি এখন বাড়িতে গেলে আমার কি হাল হবে তাই ভেবে পাচ্ছি না। আমার চাচি আমায় আস্তো গিলে ফেলবে। আর চাচা যখন জিজ্ঞেস করবে যে আপনাকে আমি কীভাবে চিনি তখন কি জবাব দিবো আমি। শুনুন আপনি যে এত্তো ইজি ভাবে লাইফ লিড করেন তেমন ইজি সবার লাইফ না। সবকিছু এভাবে হাওয়ায় উড়িয়ে দিলে হয় না।
আব্রাহাম;; আমাকে সিরিয়াস হওয়া শেখাচ্ছো তুমি।

আইরাত;; না তা নয় শুধু বলছি একটু বুঝে শুনে কাজ করুন। আর এখন আমাকে যেতে দিন।
এই কথা বলেই চলে কিছুক্ষণ পিনপতন নীরবতা। তারই মাঝে হুট করেই আব্রাহাম বলে ওঠে….
আব্রাহাম;; আচ্ছা এখন যদি আমি তোমাকে এই উঁচু হাইওয়ে থেকে নিচে ধাক্কা মেরে ফেলেই দিই তো..!
আব্রাহামের এমন কথায় আইরাত চোখ বড়ো বড়ো করে তার দিকে তাকায়। আইরাতের এখন মন চাইছে যে আব্রাহাম কেই এখন পেছন দিক দিয়ে দেক এক ধাক্কা।
আইরাত;; কি বললেন আপনি?

আব্রাহাম;; বললাম জায়গা টা অনেক সুন্দর। তোমাকে নিয়ে প্রায়ই আসতে হবে এখানে।
আইরাত;; হ্যাঁ যেন হার্ট এ্যাটার্কে আমার অকাল মৃত্যু হয়।
আব্রাহাম আইরাতের এই বকবকানি আর শুনতে না পেরে এক সময় উঠেই গেলো। আইরাত উঠে এক হাত দিয়ে তার জামা ঝেড়ে নিলো। তারপর দুইজনেই উঠে সোজা গাড়িতে বসে পরে। আইরাত মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। আব্রাহাম তাকে বাকা চোখে দেখে। আইরাতের এই রাগি চেহারা টা অনেক প্রিয় তার।
আব্রাহাম;; কোথায় যাবে? বাসায় না বাড়িতে?

আইরাত;; বাসায় গেলে কপালে শনি আছে তো এখন বাড়ি আর না হোটেলে নিয়ে যান।
আব্রাহাম;; ওকে।
আব্রাহাম গাড়ি ঘুড়িয়ে সোজা হোটেলের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে গেতেই আইরাত নেমে পরে। আব্রাহাম তার চোখে থাকা গ্লাস টা খুলে আইরাতের দিকে তাকায়। কিন্তু আইরাত একবারের জন্যও আব্রাহামের দিকে তাকায় না সোজা এসে পরে। আর কি আব্রাহামও চলে যায় সেখান থেকে।
আইরাতের গেতেই অবনি তার কাছে যায়। আইরাত তেড়ে আসছে যেন এদিকেই।
অবনি;; কিরে এভাবে ষাড়ের মতো তেড়ে আসছিস কেন?
অবনির কথা শুনে আইরাত অবনির চুল টেনে ধরে।

আইরাত;; তুই ষাড় তোর জামাই ষাড় তোর শশুড়-শাশুরি, আন্ডাবাচ্চা সব ষাড় হারামি।
অবনি;; আরে হয়েছে কি এভাবে ক্ষেপে আছিস কেন?
আইরাত;; কিছু না।
এই বলেই আইরাত অবনির কাছ থেকে কিচেন এপ্রোন টা নিয়ে ভেতরে চলে যায়। এতোক্ষণে অবনি আইরাতের হাতের দিকে খেয়াল করে। হাত টা তার কাটা। আইরাত তো কিচেনে চলে গেছে পরে অবনিও দ্রুত তার পেছন পেছন যায়। গিয়েই আইরাতের হাত ধরে ফেলে।

অবনি;; কিরে তোর হাত, হাত এত্তো কি করে কাটলো? আর এভাবে কাজ করবি কীভাবে?
আইরাত;; আরে করে নিবো আর এটা আসলে পরে গিয়েছিলাম তো হাত কেতে গেছে তখন।
অবনি;; এটা পরে গিয়ে হাত কাটার মতো না। উলটো বুঝ দিস না আমায়। এই সত্যি বলতো তো তোর চাচি কি কিছু করেছে? (রেগে)
আইরাত;; আরে না রে, চাচি নিজেই ভয়ে শুকিয়ে গেছে।
অবনি;; মানে?
আইরাত;; না না কিছু না, আরে কাজ আছে। কাজে লেগে পর তো।

আইরাত ব্যাপার টা এড়িয়ে গিয়ে কাজে মনোযোগ দেয়। আস্তে আস্তে কাজ করছে হাতে অনেক ব্যাথা নিয়েই। শরীরও ভালো লাগছে না। হাত প্রচন্ড ব্যাথা করছে।
আইরাত গিয়ে একটা লোকের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে আসে। আবার ভেতরের দিকে যেতেই হঠাৎ আইরাতের মাথা টা চক্কর দিয়ে উঠে। আইরাত একটা কিছু ধরে কোন রকমে নিজেকে সামলে নেয়। আবার পরে যেতে ধরলে অবনি এসে দ্রুত আইরাতকে ধরে।
অবনি;; আইরু, হয়েছে কি? শরীর খারাপ লাগছে?
আইরাত;; হাত অনেক ব্যাথা করছে রে। হাত টা নড়াচড়াও করতে পারছি না।
অবনি;; এই তোর তো জ্বর এসে পরেছে ব্যাথায়।

আইরাত;; হুম।
অবনি;; শোন তুই বাড়ি যা। আমি আর সবাই আছি সামলে নিবো। তুই বাড়ি যা, আশরাফ চাচ্চু আউট অফ সিটি গিয়েছেন। হয়তো কিছুদিন পর আসবে কিন্তু আমি কথা বলে নিবো। তুই বাড়ি যা তো।
আইরাত;; তুই সিওর?
অবনি;; হান্ড্রেট পারসেন্ট। তুই যা।
আইরাত;; হুম।
আইরাত অর্ডারের সব কিছু অবনি কে বুঝিয়ে দিয়ে এসে পরে। সোজা বাড়ি চলে যায়। আইরাত বাড়ি গেলে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। তবুও বাড়ি যায়। বাড়ি গিয়েই দেখে তার চাচা ইকবাল দাঁড়িয়ে আছে পেছনে দুই হাত ভাজ করে।
আইরাত;; চাচ্চু।

ইকবাল;; হাত বেশি কেটেছে?
আইরাত;; না ঠিক আছি।
ইকবাল;; আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী ছিলো সে তাই না..!
আইরাত;; তুমি চেনো?
ইকবাল;; না, তবে এখন জানতে পেরেছি। পুলিশে কেস করতে গিয়েছিলান তবে গিয়ে দেখি পুলিশরাই আব্রাহাম চৌধুরীর কেনা গোলাম। ফিরে আসি বাসায়।
আইরাত;; চাচ্চু ছাড়ো তো, আমার ভালো লাগছে না রুমে গেলাম।
ইকবাল;; শোন তোর চাচি যদি কিছু বলে এড়িয়ে যা। আমি জানি তোর দোষ নেই। যা রুমে যা।
আইরাত;; আচ্ছা।

আইরাত সোজা নিজের ঘরে যায়। ওয়াসরুমে গিয়ে ইচ্ছে মতো পানির ছিটে দেয় চোখে মুখে। এক হাত দিয়ে কাজ করা যে কি পরিমান টাফ তা এখন আইরাত হারে হারে বুঝতে পারছে। রুমে এসেই গা এলিয়ে দেয়। মাথা ভার ভার লাগছে৷ এইটুকু সময়ে হাতের এত্তো ব্যাথা যে ব্যাথায় জ্বর অব্দি এসে গেছে। আইরাত শুয়ে পরে।

নেশাক্ত ভালোবাসা পর্ব ১০

আব্রাহাম বিকেলের দিকে হোটেলে যায় কিন্তু সেখানে গিয়ে আইরাত কে পায় না। অবনির কাছ থেকে জানতে পারে আইরাতের শরীর ভালো ছিলো না তাই বাড়ি চলে যায়। আব্রাহাম ব্যাপার টা বুঝতে পেরে চলে যায়। আর অন্যদিকে আইরাতের জ্বর থামার নাম নেই। সেই যে এসে রুমে গিয়ে শুয়েছিলো আর নিচেও নামে নি। বেলা এগারো-বারো টার দিকে আব্রাহাম আইরাতকে হোটেলে ড্রপ করেছিলো আর দেখা হয় নি। আইরাতকে দেখতে না পেরে তো আব্রাহামের অবস্থা নাজেহাল এবার আব্রাহামের নিজের ওপরই রাগ লাগছে। আব্রাহাম আর থাকতে না পেরে বাইক নিয়ে আইরাতের বাড়ির সামনে চলে যায়। আব্রাহাম তাকিয়ে দেখে বেশ বড়োসড়ো গেট টা। এখন তাকে এই বাড়ির ভেতরে যেতে হলে এই বড়ো গেট আর তারপর আইরাতের রুমের করিডর ডিঙিয়ে তারপর রুমে যেতে হবে।

আব্রাহাম;; আর কি কি যে করতে হবে এই মেয়ের পাল্লায় পরে৷
আর কি যেই ভাবনা সেই কাজ। আব্রাহাম দেওয়াল টপকিয়ে ভেতরে চলে যায়। খুব কষ্টে করিডরের এক এক জায়গায় হাত দিয়ে উঠে পরে। দরজা তো খোলা যাবে না কারণ তা ভেতর দিয়ে লাগানো তাহলে ভেতরে যাবে কীভাবে। ভাবতে ভাবতেই আব্রাহাম তাকিয়ে দেখে রুমের জানালা খোলা। আর কি হয়েই গেলো। জানাকার পর্দা সরিয়ে রুমের ভেতরে চলে গেলো। গিয়েই দেখে রুমে কেউ নেই।

তবে ভেতরে ওয়াসরুম থেকে পানির আওয়াজ আসছে। আব্রাহাম বুঝলো যে আইরাত ওয়াসরুমে। আব্রাহাম বাকা হেসে পুরো রুম টা ঘুড়ে ঘুড়ে দেখতে লাগলো। কারণ যখন আইরাতের হাত কেটেছিলো তখন ভালো ভাবে রুমটা দেখতে পারে নি। এবার দেখছে। আব্রাহাম ঘুড়তে ঘুড়তেই দেখে যে আইরাতের একটা ছবি টেবিলের ওপর ফ্রেমে রয়েছে। আব্রাহাম তা হাতে তুলে নিয়ে দেখতে থাকে। আর তখনই আইরাত ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে বাইরে আসে। সামনে তাকাতেই দেখে আব্রাহাম। আইরাত জোরকা ঝটকা খায়। হাত দিয়ে দুই চোখ ভালোভাবে কচলিয়ে আবার সামনে তাকায় কিন্তু এবার দেখে যে সেখানে আব্রাহাম নেই। তাহলে কি ভুল দেখলো আইরাত……!!

নেশাক্ত ভালোবাসা পর্ব ১২