প্রণয়ের জলসাঘরে পর্ব ১৬

প্রণয়ের জলসাঘরে পর্ব ১৬
রেহানা পুতুল

আয়মান ও পিয়াসা বেহুঁশের মতো দৌড়ে আসল। মরিয়ম ও আসল পিছন দিয়ে। নামাজ শেষে আয়মানের মা ছুটে এলো প্রবল উৎকন্ঠা নিয়ে।
আলিশা জোরে জোরে দম ফেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু তার দম আটকে আটকে যাচ্ছে৷ এই শীতেও দরদর করে ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছে। তাকে বেশ অস্বাভাবিক লাগছে।
আয়মান পিয়াসাকে আদেশ দিল,

তুমি ওকে নিয়ে নিচে আসো। আমি সিএনজি ঠিক করে গেটে আনছি। লেট করা যাবেনা।
আমিও যাব বলে আয়মানের মা তড়িঘড়ি করে বোরকা পরে নিল। আলিশাকে ধরে আস্তে করে নিচে নামালো। নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেল তৎক্ষনাৎ। ভর্তি করা হলো জরুরী ভাবে। পরিক্ষা নিরিক্ষার পর ডাক্তার রিপোর্ট দেখে জানালো,
দুঃশ্চিন্তার কিছুই নেই। পেশেন্ট দীর্ঘসময় অভুক্ত ছিল মনে হয়। তাই গ্যাস্টিকের পেইন ছিল এটা। আর অতিরিক্ত টেনশনের জন্য প্রেসার হাই হয়ে গিয়েছে। মেডিসিন দিয়ে দিচ্ছি। ঠিক হয়ে যাবে। ঘাবড়ানোর কিছুই নেই।
পরেরদিন বিকেলে আলিশাকে রিলিজ নিয়ে বাসায় চলে এলো ।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আয়মানের মা মেয়েকে খুব করে বকলেন। আয়মান ও শাসালো ধমক দিয়ে। বলল,তোর আবার কিসের টেনশন আমি বুঝিনা? খাবি দাবি ফূর্তি করবি। পড়াশোনা করবি এইতো।
ওরা চলে গেলে আলিশা পিয়াসার হাত ধরে মিনতি স্বরে বলল,

আপু, শুভ স্যারকে দেখতে পেলেই আমি বেশী ভালো থাকব। ভাইয়াকে বল আমি অন্য কারো কাছে অংক ভালো বুঝবোনা।
আচ্ছা বি কুল আলিশা। এনি হাউ আমি এটা করবই। ওয়েট, বলে পিয়াসা অন্য বারান্দায় চলে গেল। তার ফোনের রিসিভ নাম্বার থেকে শুভ’র নাম্বার বের করল।
ফোন দিতেই রিসিভ হলো ওপাশে। পিয়াসা সালাম দিয়ে কুশলাদি বিনিময় করল শুভ’র সাথে।
বলল, আমার কিছু জরুরি কথা ছিল শুভ ভাই।

ফোনের বিপরীত পাশে শুভ উচ্ছল হাসি দিল। ভাবল পিয়াসা নিজেই তার সাথে বিয়েতে রাজি।
পিয়াসা, নিজের বিয়ে ঠিক হলো সে বিষয়ে বিস্তারিত জানালো শুভকে । আলিশার বিষয়েও সব খোলাসা করে জানালো। এবং পরে অনুরোধ করে বলল, প্লিইইজ শুভ ভাই আলিশার প্রতি একটু মনোযোগী হউন। ঠকবেন না বরং জিতেই যাবেন । আমার উপর ভরসা রাখুন।

এরপর পিয়াসা আয়মানকে নিজের মতো করে বুঝিয়ে রাজী করাল শুভকে আবার রাখার জন্য। কিন্তু নিজে যে আলিশার জন্য আগেই কথা বলে নিল। তা আয়মানের কাছে গোপন রাখল আলিশার কথা ভেবেই। অনুরোধ করলো, স্যার আপনি শুভ ভাইকে ফোন দিয়ে আসতে বলুন।

আয়মান বলল, যেখানে সে না করে দিল। আমিও মেনে নিলাম। এখন আবার পড়াতে বললে কেমন দেখায়।
কিসের কেমন দেখাবে? বলবেন আলিশা তোমার কাছেই অংক ভালো বোঝে। শুভ ভাই আপনার কাছে বলেই পড়া ছেড়েছে। কারণ তাকে আপনিই ঠিক করেছেন। তাই আপনি না বললেতো আর সে আসবেনা।
আচ্ছা বলছি। পিয়াসা চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই, পিয়াসা বলে ডাক দিল আয়মান।
কেমন লাগছে তোমার ?

বুঝিনি। কি কেমন লাগছে স্যার?
এই যে দুদিন পরে বধু সাজবে। সেই অনুভূতি জানতে চাচ্ছি।
এটা জানা কি খুব জরুরী?
হ্যাঁ জরুরী। জীবনের এমন
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলো মানুষকে আনন্দ দেয়। পরিপূর্ণতা দান করে । কন্ঠে শীতলতা এনে বলল আয়মান।
হুম বুঝলাম।
তাহলে বল প্লিজ।

অনুভূতি মিশ্র এলোমেলো। এই বলেই পুলকিত হাসি ছড়িয়ে পিয়াসা চলে গেল।
আয়মান মনে মনে বলছে,
” তুমি ছিলে মেঘে ঢাকা চাঁদ
এ বুকে ছিল বড় সাধ।
একবার তোমাকে দেখার
একবার তোমাকে পাওয়ার। ”

আয়মান শুভকে ফোন দিয়ে বলার পর সে আলিশাকে পড়াতে আসল বিকেলে। আজ আলিশা একদম চুপ। জমে আছে বরফের মতো। পড়ার প্রসঙ্গ বাদে অতিরিক্ত কোন কথাই বলছেনা শুভ স্যারের সাথে। সে বুঝতে চায় শুভ স্যার তার প্রতি কতটা আন্তরিক। আবার লজ্জাও লাগছে শুভ স্যারের চোখাচোখি হতে। লেখিকা রেহানা পুতুল এর সাথে যুক্ত হউন দারুণ স্বাদের গল্প পেতে হলে।

শুভ অবাক হলো আলিশার নিরবতা দেখে। ভাবল যে মেয়ে আমাকে গোপনে ভালোবাসে। আমার অনুপস্থিতিতে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে গেল। সেই মেয়ে আমাকে সামনে পেয়ে এত শান্ত দিঘির জল হয়ে আছে কিভাবে। সত্যিই সেলুকাস কি বিচিত্র!
শুভ আলিশার খাতায় অংকের নিচে শুধু লিখল,
কেমন আছ তুমি এখন ?

এর বেশীকিছু লিখা তার হাত দিয়ে বের হলনা। শুভ মনে করে মার্জিত শালীন আচরণের মাঝে অন্যরকম সৌন্দর্য আছে। যেমনি আছে লজ্জার ও সুমিষ্ট সৌন্দর্য।
আলিশা উৎফুল্ল হয়ে গেল মনে মনে। এ বাক্যটির অপেক্ষায় ছিল এতক্ষণ। একরাশ ভালোলাগা তার মনে দোল দিয়ে গেল। ভালোবাসা বুঝি এমনি। সামান্য সাধারণ একটি বাক্যও ঝিমিয়ে পড়া অন্তরকে উজ্জীবিত করে তুলতে পারে। অসাধারণ সুখ দিতে পারে।প্রশান্তি এনে দিতে পারে দুর্নিবার।

রিপ্লায় দিল। আলহামদুলিল্লাহ স্যার। এখন বেশী ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
হুম আমিও ভালো আছি। নিজের প্রতি যত্ন নিবে। নিজের জীবন নিয়ে তামাসা করার অধিকার কাউকেই স্রস্টা দেননি।
আলিশা চেয়েছিল স্যার তাকে জিজ্ঞেস করুক এখন বেশী ভালো থাকার কারণ? তার প্রতিত্তোর সে আগেই তৈরি করে রেখেছে ফুলদানিতে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার ফুলের ন্যায়। মনটা কিঞ্চিৎ ভার হয়ে গেল আলিশার। কিন্তু তা শুভকে টের পেতে দিলনা।

আচ্ছা স্যার মনে থাকবে। অংক করতে করতে সম্মতি জানাল আলিশা।
মাঝখানের যে কয়দিন পড়া গ্যাপ গিয়েছে। তা ফিলাপ করার জন্য শুভ এই সপ্তাহে পরপর তিনদিন এসেছে। তার একান্ত ইচ্ছে ছিল পিয়াসাকে বিয়ে করার। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি বলে মনে ছোট্ট একটা ধাক্কা খেল। তা সামলিয়ে স্বাভাবিক হতে একটু সময় লেগে যাচ্ছে। তাই আলিশার প্রতি আলাদা কোন অনুভূতিই কাজ করছেনা শুভ’র মনে।

পড়ার ফাঁকে ফাঁকে কলম দেওয়া নেওয়ার সময় আলিশা ও শুভ’র আঙ্গুলের টুকটাক ঠোকাঠুকি হয়। আলিঙ্গনও হয় উষ্ণতার। শুভ প্রশ্রয় দেয়না নিজের অনুভবকে। কিন্তু আলিশা গোপনে অস্থির হয়ে উঠে। শুভ ‘র বলিষ্ঠ আঙ্গুলের তাপ বয়ে যায় তার কোমল হৃদয়ের সমস্ত অলিগলিতে।
আড়চোখে শুভকে দেখে। চোখে মুখে থাকে দুষ্ট মিষ্ট ভাব। তার মাঝে ফিরে এসেছে আগের ন্যায় অস্থিরতা। যেন চঞ্চল চড়ুই।

আজ আলিশা ধৈর্য হারা হয়ে গিয়েছে। মনে মনে বলল, এটা কোন কথা। রোবট নাকি। ইনিয়ে বিনিয়েতো কতভাবেই বোঝালাম ভালোলাগে। ভালোবাসি। প্রণয় অনুভব করি। কিন্তু নিজের থেকে কোন রেসপন্স দিচ্ছেনা কেন। মন চায় হাতুড়ি দিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দিই। অংকের করা শেষ হলে নিচে দিয়ে আলিশা লিখল,
স্যার আপনার প্রিয় দুইটি যেকোন বাংলা গানের কলি লিখেনতো।

শুভ মুখে বলল , এমন করলে তুমি অংকে খারাপ করবে। স্টপ ইট আলিশা।
আলিশা গোমড়া মুখে গাল ফুলিয়ে উত্তর দিল, ভুল স্যার ভুল। এসব দুষ্টমি করতে পারলেই আমার অংকের রেজাল্ট ও ভালো হবে। আমিও ভালো থাকব খুব।

মন ভালো না থাকলে কোন কিছুতেই মন বসানো যায়না। যে যেভাবে ভালো থাকতে চায়, তাকে সেভাবেই থাকতে দেওয়া মানুষ হিসেবে আপনার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
শুভ কি আর করবে। সায়সারা হয়ে খাতা টেনে নিজের সামনে আনল। লিখল,
১/ ” অলির ও কথা শুনে বকুল হাসে… কই তাহার মতো তুমি আমার কথা শুনে হাসোনাতো।”
২/” ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে

আমার নামটি লিখো..তোমার
মনের মন্দিরে।
আমার পরানে যে গান বাজিছে
তাহার তালটি শিখো– তোমার
চরণও মঞ্জীরে..।
ধরিয়া রাখিয়ো সোহাগে আদরে
আমার মুখর পাখি– তোমার
প্রাসাদপ্রাঙ্গণে।

আমার মনের মোহের মাধুরী
মাখিয়া রাখিয়া দিয়ো– তোমার অঙ্গসৌরভে।”
খাতাটি আলিশার দিলে ঠেলে দিয়েই শুভ উঠে চলে গেল। আলিশা কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলনা।
মাঝ রাতে শুভ’র ফোনে মেসেজ এলো।
শুভ মেসেজ পড়ল,

“স্যার অজস্র ধন্যবাদ। এত চমৎকার গান শেয়ার করার জন্য। আমার ও ভীষণ প্রিয় এ দুটো গান। পনেরোবার করে ত্রিশবার শুনা হয়ে গিয়েছে স্যার। তবুও এ ভালোলাগা ফুরাবার নয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো কি স্যার জানেন। আমার দুচোখে গড়িয়ে বিরতিহীনভাবে অশ্রুরা গড়িয়ে পড়ছে।
আমার কল্পলোকে কেবলই মনে হচ্ছে কোন এক নির্জনতার রাত্রিতে কুঞ্জ ছায়ায় বসে আপনিই আমাকে এই গান দুটো গেয়ে শোনাচ্ছেন। আরও অনেক কিছুই মনে হচ্ছে স্যার। তবে বলা যাবেনা। বাই। আমাদের দেখা হবে। আপনার অনুরাগী আলিশা। ”

নির্জন নিশুতি রাত। ধরনীর বুকে জেগে আছে কত জোড়া জোড়া নিদ্রাবিহীন আঁখি। কত রঙিন স্বপ্নে বিভোর সেই আঁখিগুলো। তন্দ্রাঘোরে ডুবেও তারা সুখবোধ করে সেই স্বপ্নের মায়াজালে আটকে গিয়ে।
শুভ নামের একটি যুবকের মুঠোফোনে বার্তা হয়ে এলো আলিশা নামের এক অষ্টাদশী তরুণীর অব্যক্ত প্রণয়গাঁথা। যুবক মন খানিক পুলকিত ও রোমাঞ্চিত অনুভব করা অবাঞ্চনীয় নয়। বরং এটাই যুক্তিসংগত। শুভ’র মনজমিনে উল্কার মতো খসে পড়ল আলিশা নামের মেয়েটি। এই প্রথম অসীম ভালোলাগা কাজ করলো তার প্রতি। এই প্রথম তাকে নিয়ে অতল ভাবনায় ডুব দিলো শুভ। ঠিক করলো তবে বুঝতে দেওয়া যাবেনা। প্রশ্রয় দেয়াও যাবেনা আলিশাকে। নয়তো পরিক্ষা খারাপ হতে পারে।

শুভ পড়াতে এলে আয়মানের মা তার সামনে এলো দেখা করতে । আলিশার পড়াশোনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলল,
আন্টি ও মনে হয় মাঝে মাঝে অমনোযোগী হয়ে যায়।
তুমি একটু বাকি বিষয়গুলোর ব্যাপারে ওর থেকে খোঁজ খবর নিও বাবা। তার পর আয়মানের বিয়ের কার্ড দিয়ে দাওয়াত দিল। বলল গায়ে হলুদেও এসো । তোমার এলাকার মেয়ের বিয়ে কিন্তু।
আন্টি অবশ্যই আসব। একদম মিস হবেনা।

শুভ যে পিয়াসাকে বিয়ে করতে উম্মুখ ছিল। এটা আলিশা ও তার মা জানেনা। কিছু কিছু বিষয় সবার জানাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং জেনে গেলে পরবর্তী জীবনে তা হিতে বিপরীত কিছু ঘটার সম্ভাবনা প্রবল থাকে।
আয়মানের মা চলে গেলে আলিশা আহ্লাদী স্বরে জিজ্ঞেস করল,

আমি কোন বিষয়ে অমনোযোগী? আপনি যে আম্মুর কাছে নালিশ দিলেন আমার নামে?
তুমি একটা বিষয় ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন বিষয়ে মনোযোগী একবার বলতো? সিরিয়াস মুডে জিজ্ঞেস করলো শুভ।
আমি কোন বিষয়ে মনোযোগী?

তা তুমিই আমার চেয়ে ভালো জানো।
নাহ! যেহেতু আপনি বলছেন। তার মানে আপনি ও জানেন আমার এই বিষয়টা। বলেন?
টপিক চেঞ্জ আলিশা অংক করো বলছি।
নাহ করবোনা এটার উত্তর না দিলে । আগে খাতায় লিখে দেন। দেন অংক করছি। অধিকারসুলভ ভঙ্গিতে বলল আলিশা।
এই একরোখা মেয়েকে নিয়ে আর পারা যায়না। শুভ খাতা টেনে লিখল,
তুমি প্রেমের বিষয়ে খুব মনোযোগী।
আলিশা গোপনে কেঁপে উঠলো। লিখল,

কিভাবে মনে হলো স্যার ?
কেন রাতে কার মোবাইলে প্রেমের প্যারাগ্রাফ দিয়েছ জাননা?
আলিশা ভীষণ লজ্জা পেয়ে গেল। স্যার সরাসরি এভাবে বলতে পারলো। হঠাৎ করে বাসায় বিদ্যুৎ চলে গেল অন্ধকার হয়ে গেল। আলিশা উঠে যাচ্ছে চার্জের লাইট আনতে। চেয়ারের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতে লাগলে শুভ আলিশার কোমরে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে ফেলে। আলিশা হাত ছাড়িয়ে সরে যায়। শুভও অস্বস্তিবোধ করে চেয়ার ছেড়ে উঠে চলে যায়।
আজ পিয়াসার গায়ে হলুদ। বাসা জুড়ে সাজ সাজ রব। নিকটস্থ আত্মীয়দের উপস্থিতি পুরো বাসাকে মুখরিত করে তুলেছে। ডাইনিং টেবিল সরিয়ে গায়ে হলুদের স্টেজ করা হয়েছে। আয়োজন চলছে ঘরোয়াভাবে৷

প্রণয়ের জলসাঘরে পর্ব ১৫

আলিশা ঠিক করেছে আজ শুভ স্যারকে সরাসরি বলবে
‘ ভালবাসি স্যার ‘ আপনার জন্য সাজিয়েছি প্রণয়ের জলসাঘর। আপনার মতো কারো জন্য অপেক্ষার সীমানায় দাঁড়িয়ে প্রতিক্ষার প্রহর গুনব অনন্তকাল। যে কালের কোন শেষ নেই। কিন্তু সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। শুভ স্যার কেন এখনো আসছেনা।

প্রণয়ের জলসাঘরে পর্ব ১৭