প্রণয় বিরহ শেষ পর্ব 

প্রণয় বিরহ শেষ পর্ব 
অর্ষা আওরাত

জুঁই রুম থেকে বেরিয়ে যাবার আগ মুহুর্তে প্রিমা জুঁইয়ের মুখ চেপে ধরে ঘটনাটি আকস্মিক হওয়ায় জুঁই কিছু করতে পারেনি। প্রিমা জুঁইকে ধরে রেখে বলে,
–“বললাম না জুঁই নিজেকে অতো চা’লা’ক মেয়ে ভেবে ভুল করো না। তুমি কি ভাবছো যেখানে আমি তোমার ফোন রেকর্ডের কথা জানতে পেরেছি সেখানে এখনো পর্যন্ত তোমার ফোনে এই রের্কডিং টা আছে!”
-প্রিমার কথা শুনে হুঁশ ফিরলো! নিজের সর্ব*শ*ক্তি দ্বারা প্রিমাকে আঘাত করে সঙ্গে সঙ্গে ফোনটা চেক করবে তখনি কর্নকুহুরে প্রবেশ করলো প্রিমার কথা!
–“চেক করে লাভ নেই আমি সেটা ডিলিট করে দিয়েছি জুঁই! তুমি যখন নিচে তোমার বিয়ে নিয়ে আলোচনায় মত্ত ছিলে ঠিক তখনি আমি আমার কাজটা সেড়ে ফেলেছি। তাই এখন হাজার খুঁজলেও তুমি কিছুই প্রমান করতে পারবে না।”

-ওনার কথার পারে কথা বলবো ঠিক সেই মুহুর্তেই নিচে ঝেঠুর চেঁ*চামে*চির আওয়াজ শোনা গেলো! আমি আর সেহেরিশ হন্তদন্ত হয়ে নিচে গেলাম কি হয়েছে দেখতে। গিয়েই দেখতে পেলাম প্রিমা এই ভর দুপুরবেলা রেডি হয়ে নিচে দাঁড়িয়ে আছে সকলের সামনে! তাও যদি উনার ড্রেস আপে কোনো শালীনতা থাকতো। সে ওসব টা*ই’ট ফি*টিং টপ্স পড়েই বেরোচ্ছে। ঝেঠু প্রিমাকে বোধহয় কিছু বলবে সেরকমই ভাব। ইহাদ ভাইয়াও দেখলাম নিচে নেমে এসেছে। ইহাদ ভাইয়া নিচে আসতেই ঝেঠু খবরের কাগজটা ছুঁ*ড়ে মারলেন উনার দিকে! ঝেঠুর এমন ব্যবহারে ইহাদ ভাইয়া হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে! ইহাদ ভাইয়া কিছু বলবে ঠিক তার আগেই ঠা’সঠা’স করে পরপর কতোগুলো থা*প্প*ড় মেরে দম নিলো ঝেঠু! উপস্থিত সকলে সেই দৃশ্য খুব ভালো করেই অবলোকন করছে। কারো সাহসে কুলচ্ছে না ঝেঠুকে কিছু বলার কারন ঝেঠুর মুখ চোখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে উনি প্রচুর রে*গে আছে! ইহাদ ভাইয়া করুন দৃষ্টি মেলে ক্ষীন কন্ঠস্বরে বলে ওঠলো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-“বাবা কি হয়েছে বলো? তুমি হঠাৎই আমাকে এভাবে মা*র*ছো কেনো সকলের সামনে?”
ইহাদ ভাইয়ার কথা শুনে ঝেঠুর ভ্রু জোড়া কিঞ্চিৎ পরিমান বাঁকিয়ে রা*গা*ন্বিত কন্ঠস্বরে বলে ওঠলো,
–“খবরের কাগজটি কি এমনি এমনি তোমার মুখে ছুঁ*ড়ে মেরেছি! পৃষ্ঠা উল্টিয়ে কষ্ট করতে হবে না তোমায় প্রথম পৃষ্ঠার হেডলাইনে বড়ো বড়ো করে লিখা আছে সেটা এবার পড়ে এই বাড়ির সকলকে শোনাও।”
-ঝেঠুর কথা শুনে ইহাদ ভাইয়া মাটি থেকে কাগজটি তুলে নিলো। সকলের চোখে মুখে ভয়ের ছাঁপ বিদ্যমান! কেউই বুঝতে পারছে না ঝেঠুর এভাবে রে*গে যাওয়ার কারনটি ঠিক কি? ইহাদ ভাইয়া কোনো কিছু না বলেই খবরের কাগজটিতে চোখ বোলাতেই ওনার গাল বেয়ে অশ্রু কনা চুইয়ে পড়তে লাগলো! এটা উপস্থিত সকলেরই দৃষ্টিগোচর হয়েছে বিধায় সকলের মনে এখন নতুন প্রশ্নের আর্বিভাব ইহাদ কেনো কাঁদছে? তাও আবার সকলের সামনে! ইহাদ ভাইয়ার সামনেই প্রিমা দাঁড়িয়ে ছিলো সে হয়তো সবটা আগ থেকেই বুঝতে পেরেছিলো যার দরুন সে ইহাদ ভাইয়ার কাছে গিয়ে বললো,

–“আরে ইহাদ তুমি এতো টেনশন নিচ্ছো কেনো? এটা ২০২২ সাল আধুনিক যুগ বুঝতে পেরেছো? এখানে এখন এসব কিছুই নরমাল বরং এসব কিছু না হওয়াটাই অম্বাভাবিক। যুগ বদলেছে দিনও বদলেছে তাই আমাদের সবার উচিত পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো।”
প্রিমার কথা শেষ না হতেই ইহাদ ভাইয়া বেশ জোরে কষিয়ে প্রিমার গালে একটা থা*প্প*ড় মারলো! থা*প্প*ড়টা এতোটাই জোরে ছিলো যে প্রিমা দাঁড়ানো থেকে বসে পড়েছে! প্রিমা গালে হাত দিয়ে বিস্ময় নিয়ে ইহাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে! প্রিমা ইহাদকে বললো –“তুমি আমার গায়ে হাত তুললে! কেনো?”
ইহাদ ভাইয়া প্রিমার কাছে গিয়ে বললো,

–“আধুনিকতা মানেই যে তোমার মতন এভাবে উশৃংখল ভাবে চলাফেরা করা, অ*শা*লীন ড্রেস পড়া, বড়োদের মুখে মুখে ত*র্ক করা,কোনো দায়িত্ব পালন না করা এসবের কোনো কিছুই কিন্তু আধুনিকতা নয়! আজকে তোমার জন্য আমার বাবা আমারে থা*প্প*ড় মেরেছে! তোমার জন্য পুরো পরিবারের কাছে আমি অস*ম্মা*নিতো হয়েছি শুধুমাত্র তোমার জন্য এই সবকিছু হয়েছে। বাবা কেনো আমাকে মেরেছে সেটা উপস্থিত কেউ না জানলেও তুমি তো জানতে কিন্তু তুমি কি বললে? এগুলো আধুনিকতা! এগুলো আধুনিকতা নয় এগুলো হলো তোমার মু*র্খা*মি সবটাই! আর কান খুলে শুনে রাখো একটা কথা আমি আর কিছুদিন দেখবো এর ভিতরে যদি নিজেকে পরিবর্তন করতে না পারো তো ডি*র্বো*সের জন্য প্রিপেয়ার হও।”
ঝেঠিমার নির্দেশে আমি ফ্লোর থেকে খবরের কাগজটি উঠিয়ে হেডলাইনটি পড়তে লাগলাম,
–“দিনের পর দিন যুব*স*মাজ ধ্বং*সে*র দিকে এগিয়ে যাচ্ছে! এবং তাতে ছেলে মেয়ে উভয়েই সমানতালে মিশছে। মেয়েরাও এখন উ*শৃং*খল ভাবে চলাফেরা করছে যার প্রমান ছবিতে নীল রঙের শ*র্ট ড্রেস পড়ে থাকা মেয়েটিকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে!”
তারপর আর কিছু লিখা নেই হেডলাইনে। প্রথম পৃষ্ঠায়ই প্রিমার গুণগান এভাবে ফলাও করে লেখা ছিলো ছবিসহ। সেই কারনেই ঝেঠু এতোটা রেগে গেছে আর ইহাদ ভাইয়াও প্রিমাকে থা*প্প*ড় মেরেছে! আমার মুখ থেকে এসব শুনে সবাই বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে! ঝেঠিমা আ*ক্ষে*পের স্বরে বলে ওঠলো,

–” বিয়ের আগেই আমরা বলেছিলাম ইহাদকে কিন্তু ও শুনেনি বলেছে বিয়ের পর সবটা ঠিক হবে। কিন্তু ঠিক হবার বদলে সবকিছু দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে! শেষ মেশ ওদের দু’জন কে আলাদা হতেই হবে দেখছি এছাড়া আর কোনো উপায় খোলা রাখছে না প্রিমা! আমাদের বাড়ির মান সম্মান সব ধুলোয় মিশেদিলো এক নিমিষে! এখন ইহাদের বাবা রাস্তায় বেরোলেই মানুষ আঙুল তুলে বলবে উনার পুত্রবধূর ছবি পত্রিকায় বেরোয় তাও বি*শ্রী ভাবে!”
আমি রুম থেকে গিয়ে ঝেঠুকে আবারো ডেকে আনলাম আর সকলে একত্রে জড়ো করে বলতে লাগলাম,
–“আরো কিছু সত্যি যে তোমাদের সকলের জানার বাকি আছে শুনবে না সেসবকিছু?”
আমার কথা শুনে সকলে উদগ্রীব হয়ে মবটা জানার জন্য। আমি আমার রুমে গিয়ে একটা ফোন নিয়ে এসে সেটার অডিও রের্কডিং সবটা দেখালাম সবাইকে। আর সেই অডিওটা ছিলো প্রিমার সেদিন কার বলা সব কথা! সবাই অডিওটা শুনে বিস্ময় নিয়ে প্রিমার দিকে তাকিয়ে আছে! আর প্রিমার মুখে দেখে আমার হাসি পাচ্ছে! ঘেমেনেয়ে একেকার হয়ে গেছে। আমি সকলকে বলতে লাগলাম,

-“সন্দেহ সেই প্রথম থেকেই ছিলো তাই এই প্রমান! একটু আগ অব্দিও প্রিমা আমার মুখ চেপে ধরেছিলো যাতে আমি সত্যি টা কাউকে বলতে না পারি ফোন থেকোও সব ডিলিট করে দিয়েছিলো। কিন্তু সেহেরিশ আমাকে সেদিন একটা ফোন গিফট করে এবং আমি তাতে সব রেখেছিলাম বলে এখনো অব্দি এইসব গুলো রয়েছে! আর তোমাদের সকলের সামনে এই প্রিমার মুখশো টেনে আনতে পারলাম!”
আমার কথা শেষে সেহেরিশ একটি ভিডিও অন করলো যাতে দেখা যাচ্ছে তানভীর আর প্রিমার তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্ত! খেয়াল করে দেখলাম সবাই একের পর এক বিস্ময় নিয়ে সবটা দেখে যাচ্ছে! সেহেরিশ বলে ওঠলো,

–“এই ভিডিওটা দেখে নিশ্চই আর কিছু বলার নেই কারো? এবার পানির মতন পরিষ্কার না সবটা?”
–“কিন্তু আপনি এতোকিছু কি করে করলেন?
-“তোমার মতনও এই প্রিমাকে আমার শুরু থেকেই সন্দেহ হচ্ছিলো আর সেই সুত্র ধরেই এতোকিছু।”
আমাদের সব প্রমান দেখানোর পর প্রিমা কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো,
“সবকিছু আমাকে ফাসানোর চক্রান্ত ইহাদ। তুমি কিছু বিশ্বাস করো না। জুঁই আমাকে পছন্দ করে না বলে ওর স্বামী আর ও মিলে আমার বিরুদ্ধে এসব বলছে!”

-সেহরিশ বলে ওঠলো,
-“এখনো পুরোটা বলিনিই! আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না তানভীর মানে আপনার প্রথম স্বামী! আর সেই সব প্রমান হিসাবে আছে এই যে আপনাদের বিয়ের সার্টিফিকেট আর বিয়ের ছবি! আর হ্যাঁ সবাই শুনুন এটা প্রিমা বা কেউই জানে না তারা লুকিয়ে বিয়ে করেছিলো আর ইহাদকে টার্গেট করেছিলো যাতে সব সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে তারা অনায়াসে সারাজীবন সুখী থাকতে পারবে!”
-সেহেরিশ এর কথা শেষ হতেই পরপর কতোগুলো থাপ্পড় পড়ে প্রিমার গালে! যার টাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পড়ে যায় ধাক্কা খেয়ে। ইহাদ প্রিমার চুলের মুঠি ধরে রেখেছে। ব্যাথায় প্রিমা আর্তনাদ করে চিৎকার করে ওঠছে বারবার! ইহাদ ভাইয়া তাকে জোর গলায় ধরমকাতে লাগরো,
“সম্পত্তির জন্য এসব করছিস না তুই! দেখ আর কিছু সময়ের ভিতরেই কি পরিস্থিতি হয়। জেলে যাবি তুই গারদে বসে সম্পত্তি ভোগ করবি তুই আর তোর স্বামী মিলে! মরন হয় কেন তোর মতন মেয়েদের? তোর জন্য আমার জীবনটা পুরো শেষ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র তোরই জন্য।”

“তাকে আর কিছু বলো না ইহাদ। আমি এখানে আসার আগে অলরেডি পুলিশ ইর্নফম করে দিয়েছি যাতে সব তাদের কুকর্মের শাস্তি পায়!”
সেহেরিশ এর পুরো কথা শেষ হতে না হতেই পুলিশ এসে হাজির! পুলিশ প্রিমাকে এরেস্ট করবে ঠিক তখুনি জেঠিমা বলে ওঠলো,
-“এই অসভ্য, বেয়াদপ মেয়েকে আমি আগে দু’টো থাপ্পড় মারি তারপর নিয়ে।”
-এই বলে ঝেঠিমা ঠাটিয়ে চড় মেরে ইচ্ছে মতন কতোগুলো কথা শুনিয়ে দেয়। শুধু ঝেঠিমা নয় বাড়ির সবাই তাকে কথক শুনিয়ে দেয়। তারপর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। সবশেষে সে তার সাজা ভোগ করুক। বাড়ির সবাই চলে যায় ইহাদকে বুঝিয়ে। সবার নিজ নিজ রুমে।
-“জুঁইফুল চলো? এবার আমরা দু’জন মিলে এক হই?”
-আমি তার কথায় মুচকি হেসে তার বুকে মাথা রেখে সম্মতি জানিয়ে দিই।

কিছুদিন পর বৃষ্টি আপুরও বিয়ে হয়ে যায়। সে এখন সুখেই সংসার করছে। আর পাত্র নয়ন ভাইয়াই ছিলো আপু যাকে ভালোবাসতো সবাই চমকে দেবার জন্য এরকমটা করেছিলো। আর সবচেয়ে হতাশাজনক ব্যাপার ছিলো ইহাদ ভাইয়া সেদিনের পর অন্য জায়গায় চলে যায় কাজের জন্য। বাড়িতেও যোগাযোগ রাখে না। হয়তো প্রিমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসতো তাই এরকম টা। কিন্তু দিনশেষে যেখানে প্রনয়ের বিরহে বিলীন ছিলাম আমি সেই জায়গাটা ইহাদ ভাইয়ার হলো। হয়তো ভুল বোঝার কারনে। আর প্রিমাও তার কৃতকর্মের শাস্তি পেয়েছে। সবশেষে সবার জীবন সময়ের সাথে সাথে চলে যাচ্ছে শুধু ইহাদ ভাইয়া একা রয়ে গিয়েছেন! তার প্রনয় যাকে ঘিরে ছিলো সেই তাকে প্রণয়ের বিরহে বিলীন করে দিয়েছে।

প্রণয় বিরহ পর্ব ২৬

বিঃদ্রঃ সমাপ্ত মন মতন হয়নি তাই না? হ্যাঁ এটা আমিও জানি বেশ ভালো করেই। আশা ছিলো আরো পর্ব বাড়বে সামনে রহস্য থাকবে কিন্তু আমাকে নিয় যা পরিস্থিতি হয়েছে তাতে আর গল্পটা কন্টিনিউ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়! শেষ পার্টও দিতাম না কিন্তু কিছু পাঠকদের অনুরোধে দিয়েছি তাই মানিয়ে নিবেন। আর হ্যাঁ আমাকে নিয়ে যা হয়েছে তা তো কম বেশিই সবাই জানেন? আর না জানলেও আমার পেজের পোস্টটা পড়ুন ক্লিয়ার হবেন। এই লাস্ট পর্ব দিয়ে আমি বিদায় নিবো লিখালিখি জগৎ থেকে পুরোপুরি ভাবে। কেউ আবার হেসে উড়িয়ে দিবেন না যে আবার সে ফিরে আসবে। আমি না আর ফিরে আসবো আর না আমাকে নিয়ে বিদ্রুপ করার মতন আমাকে খুঁজে পাবেন। লিখালিখি টা মানসিক শান্তির জন্য এই এতো অপমান বা বিদ্রুপ নিয়ে কন্টিনিউ করা সম্ভব নয় তাই আমি নিজেই চলে যাচ্ছি। পেজটা আর আইডিটা কালকের ভিতরেই ডিজেবল করে দিবো তখন ভাববেন এই কথাগুলো কি আমার এমনিই বলা ছিলো নাকি সত্যিই! পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ যারা আমার পাশে ছিলেন এতোদিন। আপনাদের জন্যই কোনোমতে এই গল্পটা শেষ করা। তবে এই গল্পটি বা আমার কোনো গল্প যদি কোথাও দেখতে পান বিনীত অনুরোধ রইলো তাদেরকে একটু ডিলিট করতে বলবেন। আমি চাই আমার অস্তিত্ব পুরপুরি ভাবে মুছে যাক। কোনো গল্পও যাতে না থাকে। এটা নিয়ে আমি বিকালে পোস্ট দিয়ে দিবো যাতে সকলে দেখতে পারেন।