প্রাণেশ্বরী পর্ব ২২

প্রাণেশ্বরী পর্ব ২২
Writer Asfiya Islam Jannat

“কিছু কি বলেছেন?”
প্রাণের মনোযোগ সামনে হওয়ায় ছন্দের কথা তার কর্ণকুহরে স্পষ্টভাবে পৌঁছায়নি। যার দরুণ প্রশ্নটি করে সে। ছন্দ তৎক্ষনাৎ নাকচ করে বললো, “না তো!”
প্রাণ আর প্রশ্ন করলো না। সামনে তাকিয়ে অপার্থিব দৃশ্যটি দৃষ্টিতে বন্দী করতে চাইলো। মৃদু কন্ঠে বললো, “আমার দেখা বেস্ট সানসেট এটা।”

ছন্দ হেসে বললো, “আমারও। তাই তো প্রত্যেকবার এর টানে চলে আসি এখানে।”
প্রাণ আশেপাশে একবার তাকালো, “কিন্তু এখানে কোন মানুষ নেই কেন?”
ছন্দ মাথার পিছনে হাত গলিয়ে বললো, “বিকেলের পর এখানে আর ভিজিটরস আসে না। যার জন্য কেউ জানেও না এখানের সানসেট ভিউ এত সুন্দর। জানলে এখানে দাঁড়ানোরও জায়গায় পেতান না। আর না শান্তিতে দৃশ্যটা উপভোগ করতে পারতেন।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ছন্দের কথায় যুক্তি খুঁজে পেল প্রাণ। এখানকার নীরবতা সাথে প্রকৃতির মোহমুগ্ধতা সংবলিত হয়েছে বিধায় এতটা মনে ধরেছে তার। অন্যথায় শত মানুষের ভিড়ে দুদণ্ড দাঁড়াতে পারতো না সে। অস্বস্তি,বিরক্তিতে আবৃত হতো। তবে একটা প্রশ্ন মস্তিষ্কে টনক নাড়তেই প্রাণ বলে উঠলো, “কিন্তু আপনি জানলেন কিভাবে?”
ছন্দ হেসে বললো, “হুট করেই।”
“মানে?”
“একবার একটা ম্যাচ হেরেছিলাম খুব বাজেভাবে। তাই মন ভালো করতে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। তবে কে জানতো সৈকতের পাড়ে বসে বসেই এমন এক মনভুলানো দৃশ্য আবিষ্কার করে ফেলবো?”
প্রাণ প্রশ্ন করে না আর। তার অজানা সব উত্তর জেনে নিয়েছে সে। অকস্মাৎ ছন্দ বলে উঠলো, “পানিতে পা ভিজাব আসেন।”
ছন্দের প্রস্তাবে প্রাণ সম্মতি জানাতেই দুইজন গিয়ে বসে পাড়ের দিকে।

আঁধার গভীর হয়ে এসেছে ইতোমধ্যে, কেওড়াবাগান জুড়ে পিনপতন নীরবতা। শীতল হাওয়ায় উড়ছে রমণীর ছোট ছোট চুলগুলো, মাঝে-সাঝে চোখের সামনে এসে বিরক্ত করার চেষ্টা করছে তাকে। কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছে প্রতিবার। কেন না রমণীটির সম্পূর্ণ ধ্যাণ যে অন্যদিকে, ঐশ্বরিক মায়ায় আচ্ছাদিত সৈকতের কলকাকলিতে। এ যেন তার কল্প রাজ্যের খুবই কাঙ্ক্ষিত এক জায়গায়, শত দেখেও তৃষ্ণা মিটবে না। অথচ তার পাশে বসে থাকা মানবটি প্রকৃতির অপরূপ লীলা উপেক্ষা করে দেখে চলেছে তাকে। অনুদ্ধত, মুগ্ধ দৃষ্টিতে। কিছুক্ষণ এভাবেই কেটে যাওয়ার পর মানবটি বলে উঠলো, “যাবেন না?”
ছন্দের প্রশ্নে প্রাণের ধ্যাণ ভাঙ্গে। সে পাশ ফিরে তাকায়, মন্থর কন্ঠে বললো, “আরেকটু থাকি?”

ছন্দ একবার সময়ের দিকে নজর বুলায়, রাত আটটা বাজে। জনমানবহীন সৈকতে তারা দুইজন শুধু, থাকাটা এখন একদম অনুচিত। তাই ছন্দ জোর দিয়ে বললো, “আটটা বেজে গিয়েছে, এখন না গেলে নৌকা চলে যাবে।”
প্রাণ বিমর্ষ কন্ঠে বললো, “অহ!”
ছন্দ হয়তো বুঝলো প্রাণের অনুভূতি, তাই বললো, “আপনি চাইলে আবার আরেকদিন আপনায় নিয়ে আসব কিন্তু আজ উঠতে হবে আমাদের।”

প্রাণ দ্বিরুক্তি করলো না৷ মাথা দুলিয়ে পানি থেকে পা উঠিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলো। মাটি পিচ্ছিল হওয়ায় পা ফসকে পড়ে যেতে নিলে ছন্দ তার হাত শক্ত ধরে ফেলে এবং নিজের দিকে টেনে আনে। মুহূর্তে দুইজনের দূরত্ব ঘুচে আসে, মুখ চলে আসে সন্নিকটে। দৃষ্টি বিনিময় হয় নিবিড়ভাবে। ছন্দ ঈষৎ হেসে বললো, “ধীরে-সুস্থে উঠুন।”
প্রাণ দ্রুত নিজেকে সামলে সরে আসে। ক্ষীণ কন্ঠে বললো, “সরি!”
ছন্দ কথা না বলে উঠে দাঁড়ায় এবং প্রাণের দিকে হাত এগিয়ে দিয়ে বললো, “আসুন!”
প্রাণ লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে ছন্দের হাত ধরে উঠে দাঁড়ালো। অতঃপর এগিয়ে গেল নৌকার দিকে।

গুলিয়াখালীর পাড়ে এসে নামতেই ছন্দ এদিক-সেদিক তাকিয়ে রিজার্ভ করা সিএনজিটি খুঁজতে থাকে। কোথাও সিএনজিটি দেখতে না পেয়ে কল দেয় সে। কিন্তু ফোন রিসিভ করে না কেউ। তিন-চারবার ফোন লাগাতেই ফোন সুইচড অফ বলা শুরু করে। ছন্দ ঘটনা বুঝতে পেরে মাটিতে পড়ে থাকা এক পাথরে লা’থি মা’রে৷ অস্ফুটস্বরে বলে উঠলো, “শি’ট ম্যান!”
প্রাণ সন্দিহান কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে?”
ছন্দ দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললো, “সিএনজিটা আমাদের রেখেই চলে গিয়েছে।”
প্রাণের দৃষ্টি বড় হয়ে আসে। স্বতঃস্ফূর্ত কন্ঠে বললো, “কিন্তু কেন?”
ছন্দ বললো, “তা আমি কিভাবে জানবো?”

প্রাণের কপালে ভাঁজ পড়ে। পুনরায় প্রশ্ন করে উঠলো, “যাব কিভাবে এখন? অন্য সিএনজি পাওয়া যাবে না?”
ছন্দ আশেপাশে তাকিয়ে বললো, “সম্ভব না। এভাবেই এখানে সন্ধ্যার আগে সিএনজি পাওয়া যায় না। আর এখন তো সিএনজি বা অন্য কোন ট্রান্সপোর্ট পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার।”
“এখন?”

“জানি নাহ! এই ঘটনা এড়ানোর জন্যই সিএনজি চালককে বেশি টাকা দিয়ে এখানে অপেক্ষা করতে বলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সে যে এমন বা’ট’পা’র বের হবে কে জানতো? আগে কখনো হয়নি এমন, তাই ভাবিনি এসবও হতে পারে।”
চিন্তাভাবনার মাঝে প্রাণ বো’কা মত একটি প্রশ্ন করে বসলো, “হেঁটে যাওয়া যাবে না?”
ছন্দ অপার বিস্ময় নিয়ে বললো, “আপনার কি মাথা খারাপ? কতখানি রাস্তা জানেন? হেঁটে গেলে দুইদিনেও পৌঁছাতে পারবো কি-না সন্দেহ। তার উপর সামনের এলাকাও নিরাপদ না।”
প্রাণ মৌন রইলো। বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে চারপাশ দেখতে থাকলো। এখানে থাকা-খাওয়ার মত কোন ব্যবস্থাই নেই, কিভাবে কি করবে তারা কে জানে? ছন্দ কতক্ষণ এদিক-সেদিক পায়চারী করতে থাকলো। প্রাণ তা দেখে বললো, “কাউকে ফোন করে বলা যায় না?”

ছন্দ পাশ ফিরে তাকালো, “কাকে করবো? আমার পুরো টিম আজ সকালেই ঢাকা চলে গিয়েছে, বাকি আছি শুধু আমি।”
প্রাণ ছোট করে বললো, “অহ।”
ছন্দ নিজেকে কোনরকম ধাতস্থ করে প্রাণকে বললো “আপনি এখানে দাঁড়ান। আমি দেখছি কিছু একটা ব্যবস্থা করা যায় কি-না।”
“আচ্ছা।”

ছন্দ এবার একটু এগিয়ে গিয়ে খোঁজ চালালো। এদিকে ছন্দ যেতেই প্রাণের চৈতি কথা মনে পড়লো। তাই সে বিলম্ব না করে তার সাথে কন্টাক্ট করার জন্য ফোনটা বের করলো। কিন্তু ভাগ্য খারাপ থাকলে যা হয়, ফোন অন করতে গিয়ে বুঝতে পারলো ফোন বন্ধ তার, চার্জ শেষ বোধহয়। প্রাণ বিতৃষ্ণায় ‘চ’ উচ্চারণ করার মত শব্দ করে উঠলো। এখন ছন্দ কিছু না করতে পারলে সারারাত হয়তো দাঁড়িয়েই পার করতে হবে তাদের।
কিয়ৎক্ষণ পর ছন্দের দেখা মিলে৷ প্রাণের নিকট আসতেই সে জিজ্ঞেস করলো, “কোন ব্যবস্থা হয়েছে কি?”
ছন্দ মাথা নেড়ে বললো, “আজকের রাতটা নৌকায় কাটাতে হবে আমাদের। আপাতত এই জোগাড়ই করতে পেরেছি আমি, এর বেশি কিছু সম্ভব না।”

প্রাণ কিছু বলতে চাচ্ছিল কিন্তু পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে মৌন থাকলো। ছন্দ জিজ্ঞেস করল, “তাহলে যাওয়া যাক?”
প্রাণ দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “হুম।”

নক্ষত্রবিহীন অম্বরের মধ্যস্থলে এক ফালি চাঁদ মিটিমিটি হাসছে যেন। চাঁদের সৌন্দর্য তুলতে সমুদ্র তুলে ধরে বাস্তব আয়না।আঁধারকে উজ্জীবিত করতে এক ঝাঁক জোনাকি ডানা পেলে উড়ছে ভাবলেশহীন। টিমটিম আলোয় জ্বলছে প্রকৃতি। নিস্তব্ধতা গলিয়ে দূর থেকে ভেসে আসা শিয়ালের ডাক আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার সুর। সাথে সৈকতের প্রবাহমান স্রোত তুলছে অন্য আরেক সুর। প্রাণ পা দুটো স্রোতস্বীনির বুকে ডুবিয়ে মোহগ্রস্ত দৃষ্টিতে আকাশ দেখছে। অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রীতিকর সব ঘটনার মাঝে এমন এক দৃষ্টিনন্দন, চিত্তাকর্ষক রাত উপহার পাবে তা সত্যি অকল্পনীয় ছিল।

দুরূহ হাসিটা আজ তার ঠোঁট কোণ থেকে সরতেই চাইছে না। বহুদিন পর, আনকোরা এক শান্তি অনুভব হচ্ছে বক্ষস্থলে। এখন লাগছে, যা হয়েছে ভালোই হয়েছে। অন্যথায় এই সুন্দর রাতটি দেখা থেকে বঞ্চিত হতো সে। কিন্তু অন্যদিকে, প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য পুনরায় উপেক্ষা করে মানবটি দেখে চলেছে প্রাণবন্ত রমণীটাকে। কারণবিহীন। সে নিজের মনকে তৃপ্ত করছে নাকি চোখকে জানা নেই। তবে প্রকৃতি তার এমন নিষ্ঠুর আচরণে অসহায়বোধ করলো। চিৎকার করে জিজ্ঞেস করে উঠলো, “কে বেশি সুন্দর?” মানবটি যদি সেই প্রশ্ন শুনতে পেত নিঃসন্দেহে বলে উঠতো মনোহারিণী কন্যাটির নাম।
কতক্ষণ এভাবে কেটে গেল জানা নেই কারো। তবে পাকস্থলী মোচড় দিয়ে উঠা মাত্র সকল ধ্যাণ কেটে গেল।

ছন্দ নিজের ব্যাগ থেকে শুকনো সব খাবার বের করে এগিয়ে গেল প্রাণের পাশে৷ ভাগ্যিস তখন সীতাকুণ্ড থেকে কিছু খাবার কিনে নিয়েছিল, নাহলে রাত বোধহয় না খেয়েই পার করতে হতো। দু’প্যাকেট চিপস ও বিস্কুট প্রাণের দিক এগিয়ে বললো, “আপাতত এর চেয়ে ভালো ডিনার এরেঞ্জ করা পসিবল না, তাই এগুলাই খেয়ে নিন। খিদা পেয়েছে নিশ্চয়ই।”

প্রাণ নীরবে নিয়ে নেয় সেসব। চিপসের প্যাকেট প্রথমে খুলে খেতে শুরু করে সে। তবে নয়ন জোড়া তার জোনাকি দেখতে ব্যস্ত৷ হঠাৎ মনের দুয়ারে কড়া নাড়ে কিছু স্মৃতি। তখন তার পাঁচ বছর, মায়ের সাথে কোন এক কাজে সিলেট গিয়েছিল সে। সেখানেই প্রথম জোনাকি দেখেছিল। কতটা না খুশি হয়েছিল সে জোনাকি দেখে। অতঃপর মায়ের নিকট জোনাকি ধরার সে কি বায়না। তার মাও প্রতিবারের মত তার বায়না পূরণ করতে একটা জোনাকি ধরে এনে তার হাতে দিল। কতটাই না খুশি হয়েছিল সে। মাকে বলেছিল সে বার বার আসতে চায় এখানে৷ মাও তার রাজি হয়েছিল। ওয়াদা করেছিল তাকে প্রত্যেক গ্রীষ্মে জোনাকি দেখাবে। কিন্তু তবুও এরপর আর কখনো তার জোনাকি দেখার সুযোগ হয়নি। হতোই বা কিভাবে? জীবন তো তখন তার বিষন্নতা,একাকিত্বের চাদরে জড়িয়ে পড়েছিল, হারিয়ে গিয়েছিল বায়না ধরার মানুষটি। বাহিরের জগৎ দেখার সময় ছিল বা কই?

সুন্দর মুহূর্তের মাঝে হঠাৎ তিক্ত,অপ্রিয় স্মৃতিগুলো হানা দিতেই হাসিটা মিলিয়ে যায় তার৷ নিজেকে সামলাতে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো সে। ছন্দের কাছ থেকে পানির বোতলটা নিয়ে এক ঢোকে খানিকটা পানি খেয়ে ফেললো সে। হঠাৎ করেই ছন্দ তার সামনে একটি জোনাকি এনে বলল, “হাতে দেন।”
প্রাণ বিস্ময়কর দৃষ্টিতে তাকালো। বললো, “এটা কখন ধরলেন আপনি?”
ছন্দ হেসে বললো, “যখন আপনি তাদের দেখতে ব্যস্ত ছিলেন, তখন। এখন জলদি নিন।”

প্রাণ ছন্দের দিক তাকিয়ে হাত উঠাতেই তার জোনাকিটা দিয়ে দেয়। সাথে সাথে প্রাণ আরেক হাত অন্য হাতটি ধরে নেয়, যাতে তা উড়ে না যায়৷ নিজের হাতের মুঠোয় কিছুক্ষণ রেখে, হাসি মুখে জোনাকিটিকে শূন্যে উড়িয়ে দিল সে। অতঃপর আকাশের পানে তাকিয়ে থেকে বলল, “আপনি আজ ফিরে গেলেন না কেন?”
ছন্দ ভাবান্তরহীন কন্ঠে বলল, “এখানে আসব বলে।”

প্রাণ যৎসামান্য সময় নিস্পন্দ থেকে বলল, “আমার মায়ায় পড়া কিন্তু বারণ, জানেন নিশ্চয়ই?”
ছন্দের ভ্রু কুঁচকে বলল, “আপনার মায়ায় পড়তে চাইছে কে? নট মি এট অল।”
প্রাণ উত্তর করলো না। কিয়ৎক্ষণ নীরব থেকে বলে উঠলো, “ধন্যবাদ!”
ছন্দের কপালে এবার ভাঁজ পড়লো “কিসের জন্য?”
“মায়াময় প্রকৃতির সাথে আমার পরিচয় করার জন্য।”
ছন্দ প্রত্যুত্তরে মিষ্টি হাসলো শুধু।

সকাল হতেই ছন্দের সিএনজির ব্যবস্থা করে ফেললো। ঘন্টার দুই-একের মাঝেই পৌঁছে গেল হোটেল। ছন্দের থেকে বিদায় নিয়ে প্রাণ নিজের রুমে ঢুকতেই চৈতিকে দেখতে পেল। চৈতি উঠে দাঁড়িয়েছে ইতোমধ্যে। প্রাণের সামনে দাঁড়িয়ে উদ্বিগ্ন কন্ঠে জিজ্ঞেস করে, “কাল সারারাত কোথায় ছিলেন আপনি ম্যাম? জানেন কতটা টেনশনে ছিলাম আমি? ফোনও অফ ছিল আপনার।”
“কাম ডাউন, চৈতি। ঠিক আছি আমি।”

প্রাণেশ্বরী পর্ব ২১

প্রাণ ঠিক দেখে চৈতি নিজেকে সামলে নেয়। অতঃপর বলে, “ছিলেন কোথায় আপনি? আরেকটু দেরি করলে হয়তো আমি ফিল্ম ক্রিউ মেম্বারদের জানাতাম সব। এভাবেই কাল রাতে যা ঘটেছে তারপর বেশ ভয়ে ছিলাম আমি।”
প্রাণ ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে, “কাল কি হয়েছে?”
চৈতি থেমে বলে, “জেসিকা সু’ই’সা’ই’ড করেছে, ম্যাম।”

প্রাণেশ্বরী পর্ব ২৩