প্রাণেশ্বরী পর্ব ২৩

প্রাণেশ্বরী পর্ব ২৩
Writer Asfiya Islam Jannat

চৈতি থেমে বলে, “জেসিকা সু’ই’সা’ই’ড করেছে, ম্যাম।”
প্রাণ কম্পিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করে, “কখন? কিভাবে?”
চৈতি ধাতস্থ কন্ঠে বলে, “কাল রাতে! তার বাসা থেকেই পুলিশ তার লা’শ উদ্ধার করেছে।”

প্রাণ স্তব্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে চৈতির পাণে। বিষয়টা সে কোনভাবেই হজম করতে পারছে না। সর্বাঙ্গে তার বয়ে চলেছে হিম স্রোতের ধারা। শিউরে উঠছে সে ক্ষণে ক্ষণে। হাতের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যে। বল হারাচ্ছে মন-মস্তিকের। প্রাণের অবস্থা শোচনীয় হতে দেখে চৈতি দ্রুত এগিয়ে গিয়ে তাকে ধরে বিছানায় এনে বসায়। টেবিল থেকে এক গ্লাস পানি নিয়ে এগিয়ে দেয় তার দিকে। প্রাণ গ্লাসটা হাতে নিয়ে এক নিঃশ্বাসে সবটুকু পানি খেয়ে ফেললো। তারপর চৈতির দিক তাকিয়ে তার মোবাইলটি দিতে বলে। চৈতি নিজের ফোনটি এগিয়ে দিতেই প্রাণ নিউজফিড চেক করলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

জেসিকার আ’ত্ম’হ’ন’নে’র খবরটি আ’গু’নে ন্যায় ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নতুন করে হাজারো হেডলাইন তৈরি হচ্ছে তাকে নিয়ে। কয়েকটা পোস্টে তার মৃ’ত মুখশ্রীর ছবিও দিয়েছে৷ কি বি’ভ’ৎ’স এই না দেখাচ্ছে তাকে। চোখের নিচে জমে আছে গভীর কালি, ফ্যাকাশে মুখখানা শুকিয়ে শী’র্ণ, শরীরের হাড্ডি সব ফুটে উঠেছে, গলদেশের দিক গাঢ় কালচে দাগ। তাকে কোন মু’মূ’র্ষু রোগীর চেয়ে কম লাগছে না। বুঝাই যাচ্ছে, একদিনের সিদ্ধান্তেই এই পদক্ষেপ নেয়নি সে। কিন্তু তবুও কেউ করুণা, দুঃখ বা শোক প্রকাশ করছে না তার প্রতি। তার মৃ’ত্যুর খবরেও বি’ক্ষো’ভ’ই প্রকাশ করেছে সবাই। সকলের একই মন্তব্য, “এক পাপ থেকে বাঁচতে আরেক মহাপাপ করেছে সে। শেম অন হার।”

কেউ কেউ আবার বলছে, “যে কাজের জন্য মানুষের নিকট হতে অবজ্ঞা, লাঞ্ছনা,অপমান সহ্য করতে হয়, এমন কাজ করেছেই বা কেন? আর এখন এসব থেকে মুক্তি পেতে সহজ পথ বেছে নিল?” চারদিকে তাকে নিয়ে এমন হাজারো ঘৃণ্য মন্তব্য।
জেসিকার ছবিটি এপলক দেখার পরই প্রাণ দ্রুত দৃষ্টি সরিয়ে নিল। মোবাইলটা ছুঁড়ে বিছানার আরেকপ্রান্তে ফেলে দিল। মুহূর্তেই প্যানিক করতে শুরু করল। মৃ’ত্যু জিনিসটা সে সহজভাবে নিতে পারে না। তার কাছে মৃ’ত্যু মানে অভিশাপস্বরূপ। সহ্য করতে পারে না একদম এটা। আর যদি সে-টা হয় জানা-পরিচিত কারো তাহলে তো আরও না। ফোবিয়ার মত কাজ করে তার। অথচ মেয়েটা নিজের মৃ’ত্যুকেই ভয় পায় না। অদ্ভুত তাই না?

প্রাণকে প্যানিক করতে দেখে চৈতি দ্রুত তাকে শান্ত করার চেষ্টা করল। কিন্তু ব্যর্থ হলো। সাহাস্যের জন্য কাকে ডেকে আনবে বুঝে উঠতে পারলো না। উপরন্তু, রুম থেকে বের হওয়ার সাহসটা হলো না তার। সে বের হলে যদি প্রাণের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়, এই ভয়ে। সে ক্রমান্বয়ে প্রাণকে স্থির করার চেষ্টা করতে থাকলো। কিন্তু লাভ হলো না। প্রাণ ধীরে ধীরে অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করল। কোনভাবে সে সবকিছুর জন্য নিজেকে দায়ী মানছিল। নিতে পারছিল না সে বিষয়টা।যার ফলে রিয়্যাকশন বেশি দেখা দিচ্ছিল।

চৈতি জানে এখন প্রাণকে সামলাতে পারলে একমাত্র আশা বেগম পারবেন, তাই বিলম্ব না করে তাকেই কল লাগালো সে। কিন্তু আফসোস অপরপ্রান্তে কেউ ফোন রিসিভ করলো না। সে লাগাতার ফোন লাগিয়ে যায়, তবে কাজ হলো না। এমন সময় দরজা করাঘাত পড়ল, চৈতি আশার কিঞ্চিৎ আলো দেখতে পেয়ে দ্রুত ছুটে গেল দরজার নিকট। দরজা খুলতেই ছন্দ বলে উঠল, “আপনার ফো….”
ছন্দ পূর্ণ বাক্য শেষ করার পূর্বেই চৈতি ব্যগ্র কন্ঠে বলে, “ছন্দ স্যার! প্লিজ হ্যাল্প। ম্যামের কন্ডিশন অনেক সিরিয়াস। আপনি প্লিজ ভিতরে আসুন।”

ছন্দ বিহ্বলিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে তার?”
চৈতি তাড়া দিয়ে বলে, “প্রশ্ন পড়ে করবেন, আগে ভিতরে আসুন।”
ছন্দ দ্বিরুক্তি করলো না, ত্বরান্বিত গতিতে ঢুকে পড়লো ভিতরে৷ প্রাণকে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখে তার মনে পড়ে গেল সেই রাতের কথা। আশঙ্কা দেখা দিল মনের গহীন। সাথে অপ্রিয় এক ভয়। সে ত্বরিত বেগে এগিয়ে প্রাণের পাশে গিয়ে বসলো, প্রাণের গালে এক হাত দিয়ে চাপড় মেরে জিজ্ঞেস করতে থাকে “মিস. ল্যাভেন্ডার কি হয়েছে আপনার? আপনি এমন করছেন কেন?”

প্রাণ আনমনে বিরবির করতে থাকে। তবে প্রাণ কি বলছে তা স্পষ্টভাবে কিছুই বুঝতে পারলো না ছন্দ। তাই বার বার জিজ্ঞেস করতে থাকলো কি হয়েছে৷ অকস্মাৎ চৈতি বলে উঠল, “আপনি একটু ম্যামকে দেখুন স্যার। আমি এখনই আসছি।”
কথাটা বলেই চৈতি দৌড়ে বেরিয়ে গেল রুম থেকে। এদিকে ছন্দ ব্যস্ত হয়ে পড়ল প্রাণকে সামলাতে৷ শেষে কোনভাবেই প্রাণকে স্থির করতে না পেরে তাকে নিজের বক্ষঃস্থলের মাঝে চেপে ধরলো ছন্দ৷ কোমল, সন্তর্পণ হাতে প্রাণের মাথায় হাত গলিয়ে দিয়ে তাকে ক্ষান্ত করার প্রয়াস চালালো।

এই উপায়টা কাজেও দিল বোধহয়। প্রাণ ধীরে ধীরে অনুদ্ধত হতে শুরু করলো। এর মাঝেই চৈতি ফিরে এলো কিছু মেডিসিন নিয়ে। ছন্দের বক্ষপটে প্রাণকে স্থির হতে দেখে অবাক না হয়ে পারলো না। কেন না, আশা বেগম বাদে প্রাণকে এমতাবস্থায় সামলানো সকলের নিকট দুরূহ বিষয়বস্তু। অথচ এই অসাধ্যকে সাধ্য করে ছন্দ প্রাণকে সামলাতে সক্ষম হয়েছে। চৈতি কিছুক্ষণ বিস্ময়বিহ্বল হয়ে মূর্তির ন্যায় দাঁড়িয়ে থাকে। অতঃপর তার মস্তিষ্কের টনক নাড়তেই কথাবার্তা বিহীন ঔষধের পাতা থেকে দুটো টেবলেট বের করে জোর করে খায়িয়ে দিল প্রাণকে। কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানেই সে ছন্দের বুকেই নিস্তেজ হয়ে পড়লো। ছন্দ তা দেখে বলল, “কিসের ঔষধ দিলে তুমি তাকে? হঠাৎ তিনি এমন নিস্তেজ হয়ে পড়লেন কেন?”

চৈতি মাথা নিচু করে বলে, “আপনাকে বা কাউকে সে-টা জানানোর অনুমতি নেই আমার, স্যার। শুধু এতটুকু জানাতে পারি, ম্যামের ভালোর জন্যই ঔষধগুলো দেওয়া হয়েছে। আর ওটার ইফেক্টের কারণেই ম্যাম নিস্তেজ হয়ে পড়েছেন।”
ছন্দ তীর্যক দৃষ্টিতে তাকায়, “কিন্তু আমি জানতে চাই কিসের টেবলেট এগুলা। আর কেন দেওয়া হচ্ছে তাকে?”
চৈতি মাথা নিচু করে বলে, “সরি স্যার! বাট আই কান্ট।”
ছন্দ কিছু বলতে চাইছিল কিন্তু এর আগেই চৈতির ফোন বেজে ওঠলো৷ কল স্ক্রিনে ভাসলো আশা বেগমের নাম। চৈতি দ্রুত ফোন তুলল এবং কথা বলতে শুরু করল। কিয়ৎক্ষণের মাঝেই সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলল আশা বেগমের নিকট। অতঃপর ওপাশ থেকে তিনি কি বললেন শোনা গেল না তবে একটু পর চৈতি ফোনটা ছন্দের দিক এগিয়ে বলল, “আশা ম্যাম কথা বলতেন চান আপনার সাথে। নিন!”

ছন্দ জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকালো। একহাতে প্রাণকে সামলে অন্যহাতে ফোনটি কানে তুলে নিল সে। সালাম দিয়ে কথা বলা শুরু করলো। এরপর তাদের কি কথা হলো তা জানা গেল না, তবে ছন্দের অশান্ত মন শান্ত হলো। প্রশ্নের উত্তরও বোধহয় পেল। কথা শেষে ছন্দ ফোনটা চৈতিকে ফেরত দিয়ে দিল। পাল্টা কোন প্রশ্নই করলো না তাকে৷ সে আর কোনদিক না তাকিয়ে খুব সন্তপর্ণে প্রাণকে বিছানায় শুয়ে দিল। পকেট থেকে তার ফোনটি বের করে পাশে রেখে দিল।

কাল রাতে প্রাণই তার কাছে ফোনটা দিয়েছিল রাখতে, কিন্তু হোটেল এসে ফেরত নিতে ভুলে গিয়েছিল বোধহয়। তাই সে ফেরত দিতে এসেছিল, কিন্তু এখানে এসে এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে কে জানতো? ছন্দ প্রাণের দিকে নিষ্পলক,নিরাসক্ত নয়নে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। ঘুমন্ত তাকে কতটা না নিষ্পাপ লাগছে। দুনিয়ার সকল মায়ায় যেন এসে ভড় করেছে তার মুখখানিতে। হুট করেই তার মনের মাঝে সুপ্ত এক ইচ্ছা জায়গা নিল৷ বাস্তবে সেই ইচ্ছেটা পূরণ করার তীব্র আকাঙ্খাও জাগলো তবে নিজেকে সংবরণ করলো। পরমুহূর্তেই সে উঠে দাঁড়ালো। প্রাণের দিক তাকিয়ে দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস ফেলে বেরিয়ে গেল রুম থেকে।

প্রাণ ঢাকায় ফিরে এসেছে সপ্তাহ খানেক হতে চলল। সেদিন প্রাণের শরীর খারাপ ছিল বলে বিকেলের মধ্যেই রওনা দিয়ে ফেরত চলে আসে তারা। শুটিংয়ের কাজও শেষ হয়ে গিয়েছিল বিধায় কেউ তাদের ফেরা নিয়ে প্রশ্ন করেনি। ছন্দও তাদের সাথেই ফেরত চলে আসে। ফ্লাইট থেকে নামার আগ পর্যন্ত একসাথে থাকে তারা। পুরো পথ ছন্দ প্রাণের দিক খেয়াল রেখেছিল এমনকি চেয়েছিলও প্রাণকে বাসায় পৌঁছে দিতে। কিন্তু প্রাণের অসম্মতির জন্য পারে না। যার ফলে ফ্লাইট থেকে নামার পর দুইজন যে যার পথে চলে।

এদিকে, ‘সুখনীড় ভিলা’-তে ফেরত আসার পর প্রাণ বেশ চুপচাপ হয়ে যায়। কোন এক কারণে নিজের মনের মধ্যে গেঁথে নেয় তার জন্যই জেসিকার এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার জন্য, সে ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। এই সময়টা জুড়ে আশা বেগম খুব যত্নের সহিত প্রাণকে আগলে রাখে। তাকে একমূহুর্তের জন্য একা ছাড়েনি। বুঝায় তাকে জেসিকার মৃ’ত্যুর জন্য সে দায়ী না। মেন্টালি,ফিজিকালি ফুললি সাপোর্ট করেছে তাকে। হয়তো আশা বেগমের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে প্রাণ দ্রুত রিকোভার করে। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে আশা বেগমের বলায় আসল ঘটনা বুঝতে পারে।

সেসময় জেসিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত চরমভাবে অপদস্ত হচ্ছিল। তার বাবা-মাও তাকে একা ফেলে দিয়েছিল, ত্যাজ্য উপাধি দিয়ে। হাতে থাকা সব কাজ তার চলে যায়, ব্যান হয়ে যায় ইন্ডাস্ট্রি থেকে। তার নাম-খ্যাতি, ক্যারিয়ার, ফ্যামিলি,ফ্যান-ফলোয়ার সব নিমিষেই হারিয়ে যায়। যা সে মেনে নিতে পারেনি। প্রথম দিকে এসব নিয়ে অবাধ পাগলামি করলেও একসময় নীরব হয়ে যায় সে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে গৃহবন্দী করে ফেলে নিজেকে। ফ্রাস্ট্রেশন, ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি নামক ভ’য়ং’ক’র বস্তু বাসা বাঁধতে শুরু করে তার মাঝে। একাকিত্ব হ্রাস করে ফেলে তাকে পুরোপুরি।

কথায় আছে, যেমন কর্ম তেমন ফল। জেসিকাও ঠিক তার কর্মের ফল পাচ্ছিল। এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির জৌলুসে নিজের গা এভাবেই ভাসিয়ে ফেলেছিল যে, এখানে নিজের নাম,জোশ স্থাপন করতে বিপথে চলে গিয়েছিল। হাত ডুবিয়েছিল কাঁদায়। কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিল অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যেমন সাত-আসমানে উঠাতে জানে ঠিক তেমন করে নামাতেও জানে। সব সত্য প্রকাশ হওয়ার পর চারদিকে তাকে নিয়ে এত এত ট্রোল,সমালোচনা,উপহাস নিতে পারছিল না সে।

বিশেষ করে নেটিজেনদের মন্তব্যগুলো। নিজের অবনতি মেনে নিতে না পেতে একসময় মেন্টালি আনস্টেবল হয়ে পড়ে। আর সেই ঘোরের বসেই আ’ত্ম’হ’ন’নে’র পথটি বেছে নেয় সে। ঠিক কি পরিমাণ লাঞ্ছনা,অবজ্ঞা সহ্য করতে হলে মানুষ মুক্তির আশায় এমন একটি পথ বেছে নেয় তা হয়তো কল্পনারও উর্ধ্বে।তবে জেদিকা তার সু’ই’সা’ই’ড নোটে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়নি। সে সেচ্ছায় জী’ব’ন ত্যা’গ করছে বলেই জানিয়েছিল। সে সাথে, প্রাণের সাথে করা অন্যায়ের জন্য সকলের নিকট ক্ষমাও চেয়েছিল। তো এখানে কোথাও প্রাণের দোষ ছিল না। জেসিকার নিজের কর্মফল থেকে পালাতেই পুনরায় আরেক ভুলপথ অবলম্বন করে।
আশা বেগমের যুক্তিটা প্রাণ মেনে নেয়। অতঃপর ধীরে ধীরে নিজের ব্যস্ত জীবনে ফিরে আসতে শুরু করে।

তখন সাঁঝের সময়। অন্তরিক্ষ জুড়ে পাখিদের ছুটাছুটি। ব্যস্ত রাস্তায় হর্ণের বিকট ধ্বনির রে’ষা’রে’ষি। প্রাণ কাওরান বাজারের জ্যামে বিরক্তির সহিত বসে৷ ঘন্টা খানেক হতে নিল কিন্তু জ্যাম ছাড়ার কোন নাম গন্ধ নেই। কি এক অবস্থা! প্রাণ সময় কাটাতে ফোন হাতে নিতেই অপরিচিত এক নাম্বার থেকে মেসেজ আসে৷ সে মেসেজটি ওপেন করতেই দেখতে পায় তাতে লেখা,

প্রাণেশ্বরী পর্ব ২২

“প্রাণ, আমি নয়ন। জানি তুমি আমার সাথে কোনপ্রকার কথাবার্তা বলতে ইচ্ছুক না কিন্তু তাও বলছি সময় করে একটু মিট করতে পারবে? তোমার সাথে আমার গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আছে। প্লিজ না কর না। ইট ইজ মাই লাস্ট রিকুয়েষ্ট টু ইউ।”

প্রাণেশ্বরী পর্ব ২৪