প্রেমের রঙ পর্ব ১২

প্রেমের রঙ পর্ব ১২
মোহনা হক

‘ইজহান পদ্মের এই সুন্দর মুহুর্ত ভুলবার নয়। পদ্ম বেচারি তো দম খিঁচে দাঁড়িয়ে আছে। ইজহান পদ্মের থেকে তেমন কোনো সাড়া পেলো না। ইজহান সরে এলো পদ্মের কাছ থেকে। বেশ দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়েছে। পদ্ম বে’ক্ক’লের মতো তাকিয়ে আছে। বুকে দু’হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে ইজহান। পদ্ম ভ্যা’ব’লার মতো ইজহানকে দেখছে।’

‘ইজহান গম্ভীর কণ্ঠে বললো-‘
“তুমি এভাবে সেজেছো কেনো?”
‘পদ্ম অবাক হলো।’
“আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই আমি সেজেছি।”
‘ইজহান বিরবির করে বললো-‘
“নিজে তো নিজ ইচ্ছায় সেজেছে। আর এইদিকে আমি ম’রে যাচ্ছি।”
‘পদ্ম বুঝলো না ইজহানের কথা। ভ্রু কুচকে ইজহানের দিকে তাকিয়ে বললো-‘
“কিছু বলেছেন?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘ইজহান মাথা নাড়লো।’
“না। ”
‘পদ্ম শাড়ির আচঁল মোচড়াতে মোচড়াতে বললো-‘
“আমাকে কেমন লাগছে বলেন নি তো।”
‘ইজহান আবারও গম্ভীর কণ্ঠে বললো-‘
“ভালো লাগছে।”
‘কথাটা পদ্মের হজম হলো না।’
“শুধু কি ভালো লাগছে?”
‘ইজহান চোখ বন্ধ করে আবার খুললো।’

“তুমি কি চাও আমি কিছু করি?”
‘পদ্ম কিছু বলতে যাবে তার আগে ইজহানের ফোনে কল আসলো। পদ্মের দিকে তাকিয়েই কল টা রিসিভ করলো। মেধা কল দিয়েছে।’
‘কল রিসিভ করতেই মেধা বললো-‘
“কি রে তোর পেয়ারি বউয়ের তো আজ জন্মদিন।”
‘ইজহান বিরক্ত কন্ঠে বললো-‘
“কি জন্যে কল করেছিস বল।”

‘মেধার মনক্ষুন্ন হলো।’
“কি হয়েছে বল তো?”
“কিছু হয়নি আমি ফোনটা এখন রাখছি পরে কথা বলবো। আমি সময় করে ফোন দিবো। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাঘাত ঘটিয়ে দিয়েছিস।”
‘ইজহান ফোন টা কেটে দিলো। তারপর আবার পদ্মকে জিগ্যেস করলো।’
“হ্যাঁ বলো কি বলতে নিয়েছিলে।”
‘পদ্ম মাথা নাড়লো দু’দিকে।’
“না।”

‘ইজহান পদ্মের সামনে এসে দাঁড়ালো। পদ্ম সাথে সাথে মাথা নিচু করে ফেলেছে। ইজহান পদ্মের মাথা উঠিয়ে বললো-‘
“বলতে বলেছি।”
“আমাকে একটু হাঁটতে নিয়ে যাবেন বাহিরে?”
‘ইজহান ভ্রু কুচকে তাকায় পদ্মের দিকে।’
“কেনো হাঁটতে যাবে?”
‘পদ্ম অন্য দিকে ঘুরে বললো-‘
“আপনি তো আমাকে আমার জন্মদিনের উপহার দিবেন না জানি। তাই হাঁটতে চেয়েছি।”

‘ইজহান তার ওয়ালেট প্যান্টের পকেটে ঢুকালো। তারপর পদ্মের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ওর হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে বাহিরে।’
‘রুম চাবি দিয়ে লক করতে করতে ইজহান বললো-‘
“তোমাকে সব গিফট একসাথে দিবো।”
‘পদ্ম চোখ তুলে তাকায় ইজহানের দিকে।’

‘পদ্ম আর ইজহান হাঁটতে থাকে। দু’জন মিলে হাজার কথা বলছে। আর সময় হলে শুধু পদ্ম কথা বলতো আজ ইজহান ও বলছে। পদ্ম মুচকি মুচকি হাসছে কারণ ইজহানের উন্নতি দেখে। ইজহান পদ্মের কাঁধ জড়িয়ে হাঁটতে লাগলো। জিনিস টা ইজহানের ভালো লাগে। পদ্ম শাড়ি পড়ে হাঁটছে তাই ইজহান সেই ভাবেই পদ্মে সাথে তাল মিলালো। ইজহান আর পদ্মের এসব কাহিনী শানায়া খুব খেয়াল করেছে। রাগে ক্ষোভে তার যেনো বিষের মতো লাগছে।

একটু আগেই তো ইজহান তাকে অপমান করেছে আর এখন ঠিকই বউয়ের সাথে পিরিত দেখাচ্ছে যতোসব ঢং মনে হচ্ছে তার কাছে।মনটা চাচ্ছে দু’জন গিয়ে অনেক কথা শোনাতে। শানায়া এর প্রতিশোধ কালই তুলবে। রাগে ফোসফাস করতে করতে রুমে চলে আসলো।’
‘হঠাৎ ইজহান পদ্মের সাথে রায়হান আহমেদের দেখা হয়ে গেলো। তিনি ইজহানকে দেখে বললেন-‘
“কি ইজহান তোমরা এখানে কি করছো?”

‘ইজহানের যেনো কারেন্টের শক্ লাগলো।’
“ম্যাডামের ইচ্ছে হয়েছে তাই বাহিরে হাঁটছি একটু।”
‘রায়হান আহমেদ একটু মজা নেওয়ার জন্য বললেম-‘
“ওহ বুঝেছি এখন যদি আমরা একটু ডাকতাম ইজহান আসো আড্ডা দিই তখন তো আসতে না।”
‘ইজহান মনে মনে বিরবির করলো-‘
“তোমরা আর বউ কি এক হলো নাকি আশ্চর্য।”
‘তবে মুখে প্রকাশ করলো।’
“ওইযে তখন বলেছিলেন এসেছিলাম তো।”

‘রায়হান আহমেদ ইজহানের কাঁধে হাত চেপে বললো-‘
“আচ্ছা তোমরা থাকো আমি আসছি।”
‘ইজহান হাসলো। আর মনে মনে বললো ‘তুমি গেলেই বাঁচি।’ সব সময়ই পিছনে পড়ে থাকে দু মিনিট ও শান্তি দেয় না আর হসপিটালে থাকলে তো কথাই নেই। ইজহান বিরক্তিকর নিঃশ্বাস ফেললো।’
‘পদ্ম ইজহানের সোজাসুজি দাঁড়িয়ে বললো-‘
“ওনি এমন বললেন কেনো?”

“এমনি করেন সব সময় মেইবি আমি বিয়ে করেছি সহ্য হচ্ছে না তার। ”
‘ইজহান আর পদ্ম আবারও হাঁটা শুরু করলো। এক জায়গায় মনে হয় একশো বার হাঁটা শেষ তাদের। এক গন্ডিই বারবার হাঁটছে। শেষে ইজহান বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল তাই পদ্ম কে নিয়ে রুমে চলে এসেছে। পদ্ম চাচ্ছিলো না আসার জন্য জোর করে নিয়ে এসেছে।’
‘রুমে এসে এখন পদ্ম ঘাপটি মেরে বসে আছে। ইজহান পদ্মকে দেখলো। ইজহান কিন্তু পদ্মের সামনেই দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু তাতে পদ্মের কোনো হেলদোল নেই।’
‘ইজহান পদ্মের হাতটা টেনে দাঁড় করালো।’

“কি হয়েছে তোমার?”
‘পদ্ম ইজহানের হাত ছেড়ে দিলো।’
“কিছু হয়নি।”
‘এবার ইজহান পদ্মের কোমড় জড়িয়ে ধরলো। পদ্মকে একটু কাছে টেনে বললো-‘
“কি হয়েছে পদ্মফুলের?”
‘পদ্ম মুখটা ফিরিয়ে নিয়েছে।’
“কিছু হয়নি।”
‘পদ্মকে ইজহান আরেকটু কাছে টেনে বললো-‘
“কি হয়েছে বলবে তো।”

‘পদ্ম আর সহ্য করতে না পেরে চোখ বন্ধ করে ফেললো-‘
” আমি কি সব সময় বাহিরে যাওয়ার জন্য বায়না করি বলুন? আপনি চলে আসলেন কেনো?আমার এখন ভালো লাগছে না।”
‘ইজহানের গাল এবার পদ্মের গাল স্পর্শ করলো।’
“ঘড়িতে প্রায় সাড়ে ১১টা বাজতে চললো। তুমি একটা মেয়ে মানুষ যদিও আমি ছিলাম তাই বলে তো আর রিস্ক নেওয়া যাবে না তাইনা! আর পাহাড়ি এলাকায় এতো রাতে বাহিরে থাকে ঠিক নয় পদ্মফুল।”
‘পদ্ম নুয়ে গেলো ইজহানের কথায়। ইজহানের থেকে নিজের গালটা সরিয়ে আনে।’

‘পদ্ম ইজহানের সেই খোঁচা খোঁচা দাড়িতে হাত দিলো।’
“আপনার এই দাড়ি গুলো খুব পঁচা আমার গালে একদম ঢুকে যায়।”
‘ইজহান হাসলো মেয়েটার কথা শুনে।’
“ওরাও আমার মতো তোমাকে আদর করতে চায়।”
‘পদ্ম বুঝলো না।’
“বুঝিনি আমি।”
‘ইজহান পদ্মের সামনে থাকা চুলগুলো কানের পিছনে গুঁজে দিতে দিতে বললো-‘
“আমি যেমন তোমাকে আদর করি ওরা ঠিক তেমন আদর করতে চায় তোমাকে।”

‘পদ্ম বোঁকা ভাবে বললো-‘
“এ দাড়ি গুলো তো গালে ঢুকে যায়। আর আমারও সুরসুরী লাগে।”
‘ইজহান হেসে দিলো।’
“তাই!”
“হু।”
‘ইজহান পদ্মের হাতটা পিছন দিকে নিয়ে তার একটা হাত দ্বারা আবব্ধ করে ফেললো। আর এক হাত দিয়ে পদ্মের মুখে হাত বুলাতে লাগলো।’

“আমার একটা অনুমতি চাই পদ্ম।”
‘পদ্ম অবাক হলো। হঠাৎ ইজহান কি বলছে এসব? সে বুঝে উঠতে পারলো না।’
‘পদ্ম ইজহান কে বললো-‘
“কিসের অনুমতি?”
‘ইজহান কথা ঘুরানোর জন্য বললো-‘
“আগে অনুমতি দাও।”
‘পদ্ম হেসে বললো-‘
“দিলাম অনুমতি।”

‘ইজহান ভ্রু কুচকে তাকায় পদ্মের দিকে।’
“সত্যি তো? পরে কিন্তু আবার রাগ করা বা লজ্জা পাওয়া যাবে না।”
‘পদ্ম না বুঝে মাথা নাড়লো। ইজহান হাসলো পদ্মের কান্ড দেখে।’

‘পরক্ষণেই ইজহান পদ্মের ওষ্ঠ তার ওষ্ঠের সাথে মিলিয়ে দিলো। সাথে পদ্মের শরীর কেঁপে উঠলো। ইজহানের সেই অসহায় চুল গুলো কে চেপে ধরলো। তাও ইজহানের কোনো হেলদোল নেই। আবার কিছু মুহুর্ত বাদেই ইজহান পদ্ম কে ছেড়ে দিলো। পদ্ম তো তখন না বুঝে মাথা নাড়িয়েছিলো এখন তো সে লজ্জা ম’রে যাচ্ছে এমন অবস্থা। মাথা তুলে তাকাতে পারছে না ইজহানের দিকে। মুখ টা খিঁচে রাখলো। মনে হচ্ছে সে এখনই শেষ হয়ে যাবে। পদ্ম এদিক ও যেতে পারছে না ওদিক ও না। ইশ একবার যদি ইজহানের মুখটা দেখা যেতো। সেও কি পদ্মের মতো লজ্জা পাচ্ছে?
‘ইজহান পদ্মকে স্বাভাবিক করতে বললো-‘

“পদ্ম তাড়াতাড়ি জড়িয়ে ধরো আমাকে। তুমি তো লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছো।”
‘পদ্ম তার সব লজ্জা বিসর্জন দিতে ইজহানকে শক্তপোক্ত ভাবে জড়িয়ে ধরলো। ইজহান হাসছে। পদ্মের মাথায় চুমু একে দিলো। আর পদ্ম যেভাবে ইজহানকে জড়িয়ে ধরেছে যেনো শত কোটি বছর পার হয়ে গেলেও ইজহান পদ্মকে ছাড়বে না। পদ্মের প্রতি হাজার হাজার অনুভূতি এসে ইজহানের মনে হানা দিলো। কেনো এই বাচ্চা মেয়ে কেই তার এতো পছন্দ। উফ ইজহান এবার তুই শেষ,এই বাচ্চা মেয়ের প্রেমে পড়ে। তখন যদি পদ্মকে না বিয়ে করতো তাহলে আজ এই সুন্দর একটা মোমেন্ট তার কি দেখা হতো? কি যে শান্তি লাগছে।’

‘সকাল ৯টা।’
‘ইজহানের চোখে ঘুম নেই মুলত সেই ঘুম উড়ে গিয়েছে। তবে সে বিছানা ছাড়তে পারছে না। তার ম্যাডাম তাকে ছাড়ছে না। নিশ্চিন্তে তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে। ইজহান এভাবে শুয়ে থাকতে থাকতে প্রায় একঘন্টা সময় হয়ে গিয়েছে। সে উঠলো পদ্মকে ছেড়ে। পদ্মের অগোছালো শাড়ি ঠিক করে দিয়ে ফ্রেশ হতে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে পদ্মকে ডাকলো। কিন্তু তার উঠার নাম গন্ধ নেই। সে আরও মুখে বালিস চেপে ধরে ঘুমাচ্ছে।’

‘ইজহান এবার পদ্মের সামনে জোরে বললো-‘
“ওঠো পদ্ম বেলা ১২টা বাজতে চললো।”
‘পদ্ম তড়িঘড়ি করে উঠে। চোখ মুখ ডলতে শুরু করে। বেশ কিছু সময় পর পদ্ম স্থির হয়ে বসে। ইজহান পদ্মের হাতটা টেনে বললো-‘
“যাও ফ্রেশ হয়ে আসো। নাস্তা করতে হবে আমরা এখানেই নাস্তা করবো আজ। ”

‘পদ্ম মাথা নাড়িয়ে ফ্রেশ হতে গেলো। মুখ ধুয়ে পানিও মুছেনি আবার এসে বসেছে বেডে। ইজহান নাস্তা নিয়ে আসলো রুমে। পদ্মের মুখের পানি নিজের হাত দ্বারা মুছে দিলো।’
‘তারপর দু’জনে নাস্তাটা সেরে নিলো। আজ পদ্মের মুখ বন্ধ কথা বলছে না সে মাথা টা ভার হয়ে আসছে। আজ সাজেকের ৩য় দিন। সবাই আজ ও ঘুরতে বের হবে। কিন্তু আজ নাকি পদ্মের মন চাচ্ছেনা ঘুরতে যাওয়ার জন্য। ইজহান একটু নিচে গিয়েছিলো। এই মুহুর্তে শানায়া ইজহান আর পদ্মের রুমে আসলো।’

‘দরজা খোলাই ছিলো যার কারণে শানায়া খুব সহজে ঢুকে যেতে পারলো। পদ্ম বসে ছিলো হঠাৎ তাকে দেখে অবাক হয়।’
‘শানায়া পদ্মের মুখ চেপে ধরলো।’
“বে’য়া’দ’ব মেয়ে। ”

‘পদ্ম অবাক হয়ে গিয়েছে আগাগোড়া কিছু মাথায় ঢুকছে না। কি হচ্ছে তার সাথে। পদ্ম কে শাড়ি পড়া দেখে আরও রাগ হয় শানায়ার। বেডের পাশের টেবিলটা তে একটা কাঁচের গ্লাস ছিলো সেটার পশ্চাৎ দিয়ে পদ্মের থুতনিতে বা’রি দেয়। যার কারণে পদ্মের পুরো শরীর কেঁপে উঠে। চোখগুলো বুজে আসছে। না চাইতেও চোখ দিয়ে হাজার অশ্রু ঝড়ে পড়ে।’

“এগুলো যেনো ইজহান না জানে তাহলে তোমার সাথে খুব খারাপ হবে। তোমার জন্য ইজহান আমাকে প্রতিনিয়ত অপমান করেছে। সে আমাকে পাত্তা দেয়নি। ভুলেও যদি বলেছো এসব তাহলে তুমি ভাবতেও পারছো না কি হবে তোমার সাথে ।”
‘ব্যাস এটুকু বলেই শানায়া চলে গেলো। এইদিকে ব্যাথায় পদ্ম কাতরাচ্ছে। দ্রুত ঘটে যাওয়া ঘটনা শ্রবণ করতে তার ভিষণ কষ্ট হলো। পারছে না ব্যাথা সহ্য করছে। পদ্ম দু’হাত মুখে ধরে কান্না করছে।’

‘ইজহান আসলো কিছুক্ষণ পর। পদ্মকে রুমে দেখলো না। ওয়াশরুমে পানির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ইজহান টোকা দিলো। সাথে সাথে দরজা খুলে পদ্ম বের হলো। ইজহান পদ্মকে দেখে থমকে রইলো। যে জায়গায় শানায়া গ্লাস দিয়ে বা’রি মেরেছিলো, সেই জায়গা কেমন লাল হয়ে আছে। ইজহান ও বুঝতে পারলো না পদ্মের থুতনিতে কি হয়েছে।’

প্রেমের রঙ পর্ব ১১

‘পদ্ম ইজহান কে জড়িয়ে ধরে অজস্র অশ্রু ফেলছে। ইজহান বুঝলো না ওই ক্ষতটা কিভাবে হয়েছে, আর পদ্মের এভাবে পাগল হয়ে কান্নার কারণ।’
‘পদ্ম কান্না রত গলায় বললো-‘
“আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলুন। আমি এখানে আর থাকবো না।”

প্রেমের রঙ পর্ব ১৩