প্রেমের রঙ পর্ব ১১

প্রেমের রঙ পর্ব ১১
মোহনা হক

‘সকাল ৯টা।’
‘সবাই একসাথে নাস্তা করছে আর আড্ডা দিচ্ছে। সাজেকের দ্বিতীয় দিন আজ। সবার মতামত নিয়ে ঠিক করেছে আজ একটা জায়গায় ঘুরতে যাবে তারা। সবাই সবার সাথে কথা বলছে শুধু পদ্ম আর শানায়া চুপ করে আছে। পদ্ম তো এমনিতেই অপরিচিত লোকজনের সামনে কম্ফোর্ট ফিল করে না,আবার সে কথা বলবে?তাই পদ্ম চুপচাপ করে খাচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পর পর ইজহানের দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে।

ইজহান হাসলে যে তার সেই সুন্দর দাঁতটা দেখা যায়। উফফ কি সুন্দর লাগছে এই মানুষ টা কে। পদ্ম মুচকি মুচকি হাসছে। এই জিনিস টা শানায়া বেশ খেয়াল করলো। তার যেনো শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দিলো। পদ্মকে তার ভালো লাগছে না মোটেই। আবার কেমন করে ইজহানের দিকে তাকিয়ে হাসছে। শানায়া রাগে ক্ষোভে চোখ বন্ধ করে রেখেছে।’
‘ইজহান হসপিটালের সিআই রাসেদুল ইসলাম পাশের চেয়ারে বসেছিলো। তিনি ইজহানকে ইশারা করলেন, একটু ইজহানের কানটা তার মুখের কাছে আনতে। গো’প’ন কথা বলবেন। ইজহান ও তাই করলো।’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“তোমার ম্যাডামের বয়স কতো ইজহান?”
‘ইজহান ঢোক গিললো। একটু পানি খেয়ে গলাটা ভিজিয়ে নিলো। রাসেদুল ইসলাম সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইজহানের দিকে।’
“স্যার ম্যাডামের বয়স পনেরো।”
‘রাসেদুল ইসলামের চোখ বড় হয়ে আছে। ইজহান এতো বড় ছেলে হয়ে এতো কম বয়সী মেয়ে কে বিয়ে করেছে। কিন্তু কেনো?’

“তুমি এতো বড় দা’ম’ড়া ছেলে হয়ে এতো কম বয়সী মেয়ে কে বিয়ে করেছো কেনো? আর তুমি শিক্ষিত ছেলে, শিক্ষিত হয়েও অশিক্ষিতদের মতো কাজ করেছো। তোমার নামে তো বাল্য বিবাহের মামলা দেওয়া দরকার।”
‘হসপিটালের সব ডক্টরদের থেকে বেশি রাসেদুল ইসলাম ইজহানকেই স্নেহ করেন। ইজহানের প্রতি আলাদা একটা মায়া আছে বলতে গেলে। আবার নানা রকম কথাও বলে ইজহান কে। ইজহান সব খুলে বললো রাসেদুল ইসলাম কে।’

‘রাসেদুল ইসলাম সবটা শুনে ইজহান কে বললো-‘
“ওহ তাহলে তোমার কোনো দোষ নেই।’
‘ইজহান অসহায় চোখে মাথা নাড়লো।’
‘রাসেদুল ইসলাম খেতে খেতে বললো-‘
” তোমার ম্যাডাম কিন্তু ভালোই সুন্দর আছে।”
‘ইজহান পদ্মের দিকে তাকালো। পদ্ম নিঃশব্দে
খাচ্ছে। ইজহান পদ্মকে দেখে হেসে দিলো।’

‘সব ডক্টরের ওয়াইফরা ঠিক করলো তারা একটু সাজবে কারণ এতো সুন্দর একটা জায়গায় ঘুরতে যাবে একটু না সাজলে নাকি ভালো দেখাবে না।তাই সবাই আবার হোটেলে আসলো। পদ্ম কালো রঙের সুতির মধ্যে একটা কুর্তি পড়েছে, যেগুলো ইজহান সাজেকে আসার আগে কিনে দিয়েছে।

পদ্ম চুল বাঁধতেই ইজহান বললো আজ যেনো চুলগুলো খোলা রাখে। তাই আর চুল বাঁধলো না। তবে মাথা মাঝ বরাবর সিঁতি করে কয়েকটা ক্লিপের সাহায্যে দু’পাশের সামনে চুলগুলো বেঁধে নিলো। সামনে দিয়ে কয়েকটা চুল বের করেছে আর পিছন দিয়ে চুল খোলা। মুখে পাউডার মেখে চোখে কাজল দিলো হালকা করে। আর সামন্য লিপস্টিক দিলো। পদ্মের সাজ শেষ। ইজহান ও পদ্মের সাথে ম্যাচ করে আজ কালো শার্ট পড়েছে। দু’জনেই রেডি এবার বেরোবে তারা।’

‘সবাই ঠিক করলো কংলাক পাড়া যাবে। সেখানের পাহাড়ে উঠবে। সবাই রওনা হলো কংলাক পাড়ার উদ্দেশ্যে। পদ্ম তো স্তম্ভিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের উপর। সে নিজের হাঁটার দিকে না দেখে চারপাশ দেখতে ব্যস্ত। ইজহান অনেক বার ডাক দিয়েছে পদ্ম কে ঠিকমতো হাঁটতে। পদ্ম ক্লান্ত কংলাক পাড়া হাঁটতে হাঁটতে। হঠাৎ সে দাঁড়িয়ে গেলো। যেহেতু ইজহানের হাত ধরে হাঁটছিলো পদ্ম। সেহেতু ইজহান খুব ভালো করেই বুঝলো পদ্ম দাঁড়িয়ে আছে।’

‘ইজহান পদ্মের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো-‘
“দাঁড়ালে কেনো?”
‘পদ্ম হাপাচ্ছে।’
“আমি আর পারছি না হাঁটতে?”
“কোলে নিবো?”
‘পদ্ম চোখ বড় বড় করে ইজহানের দিকে তাকিয়ে আছে।’
“না না দরকার নেই। একটু জিরিয়ে নিই তারপর আবার হাঁটতে পারবো।”

‘ইজহান দাঁড়ালো কিছুক্ষণ পদ্মের জন্য। তারপর ৫ মিনিট জিরিয়ে আবার হাঁটা শুরু করলো। তারা হাঁটতে হাঁটতে প্রায় হাজাছড়া ঝর্ণার কাছে চলে এলো। সবার মন চাচ্ছিলো গোসল করার জন্য কিন্তু কেউ এটা পরিকল্পনা করে আসেনি তাই পারলো না গোসল করতে। সেই ১০টার দিকে বের হয়েছে সবাই, বিকেল ৩টা হোটেলে আসলো। মাঝে একটা ছোট্টখাট্টো রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেয়ে নিলো।

ইজহান রুমে এসেই বেডে চিত হয়ে শুয়ে গেলো।’
‘পদ্ম আয়নার সামনে গিয়ে মাথার ক্লিপ গুলো খুলছে।’
“আজ কিন্তু আমাকে জোর করবেন না ঘুমানোর জন্য।”
‘ইজহান বিরক্ত হলো।’
“কাল তো বলেছিলে ঘুমাবে না পরে কে নাক ডেকে ঘুমিয়েছে?”
“আমি নাক ডাকি না বাজে বকবেন না কিন্তু।”

“তোমার ইচ্ছে, তুমি ঘুমালে ঘুমাও আর না ঘুমালে নাই। আমি ঘুমাচ্ছি। তবে রুমের বাহিরে যাবে না কিন্তু।”
‘পদ্ম মাথা নেড়ে বললো-‘
“আচ্ছা।”

‘ব্যাস ইজহান গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। পদ্ম ভালো করে ইজহান কে দেখলো। পদ্ম ইজহানের নাকের সামনে তার হাতটা নিলো ঘন নিঃশ্বাস আসছে তার মানে সে এখন গভীর ঘুমে আছে।’
‘পদ্ম মেধার কাছে ভিডিও কল দিলো। তাড়াতাড়ি ফোনটা নিয়ে ব্যালকনিতে গেলো।’
“কি ব্যাপার সুন্দরী?তোমাদের হানিমুন কেমন কাটছে?”
‘পদ্ম অবাক হয়ে গিয়েছে।’

“না আপু ওনি তো এসেছেন গেট টুগেদারে।”
“তো কি এখন হানিমুন হতে পারে না।”
‘পদ্ম মাথা নাড়লো। মেধা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। ‘
“আচ্ছা কি জন্যে কল দিয়েছো?”
“আজ আমার জন্মদিন।”
‘মেধা শেষের কথা না শুনেই অনেক জোরে বললো-‘
“শুভ জন্মদিন পদ্ম।”
‘পদ্ম মুখ চেপে ধরলো নিজের।’

“আপু আস্তে বলুন ওনি ঘুমাচ্ছেন।”
‘মেধা হেসে উঠলো।’
“বাব্বাহ্ তা পদ্ম তোমার ওনি কি জানে আজ তোমার জন্মদিন?”
‘পদ্ম মুখটা ফ্যাকাসে করে বললো-‘
“না আপু ওনি জানেন না।”
“তুমি বলো নি?”
‘পদ্ম নিচু কন্ঠে বললো-‘
“না আপু।”

“এই যা বলো নি কেনো? ইজহান কি জানে নাকি? তুমি বলবা না?”
“আমার লজ্জা লাগে।”
“ওরে আমার লজ্জাবতী ইজহানের বউ রে। শুনো এতো লজ্জা পেলে কি ভবিষ্যতে চলবে বলো?”
“আপু এসব বললে আমার আরও লজ্জা লাগে।”
“থাক আর লজ্জা পেতে হবে না। এখন কি করতে চাচ্ছো?”
“কি আর করবো?”
‘পদ্ম মন মরা হয়ে বললো।’
“তোমার যে আজ জন্মদিন তুমি তো আজ শাড়ি পড়তে পারো। শাড়ি পড়ে ইজহানের সাথে বসে বসে সুন্দর মুহুর্ত কাটাবে বা বলবে চলুন বাহির থেকে হেঁটে আসি।”

“কিন্তু আপু।”
‘আবারও মেধা পদ্মের কথা শেষ না হতেই বললো-‘
“কিন্তু কেনো, কেনো করছো? তুমি মেয়ে বড়োই নিরামিষ।”
‘পদ্ম হেসে দিলো।’
“আচ্ছা ঠিক আছে শাড়ি পড়বো। তারপর?”
“আরে তারপরও আমাকে বলতে হবে?”
‘পদ্ম একটু সুর টেনে বললো-‘
“আপুউউউউউ।”

“আচ্ছা বলছি। তুমি একেবারে এমন মোহনীয় ভাবে সেজে থাকবে যাতে ইজহান তোমার প্রেমে পড়ে তার পা ভেঙ্গে যায়।”
‘পদ্ম হাসছে মেধার কথা শুনে। মেধা পদ্মকে সব বুঝিয়ে দিয়েছে। কিভাবে কি করতে হবে। পদ্ম আসার সময় একটা সাদা জামদানী শাড়ি এনেছিলো। যেটা বিয়ের সময় দিয়েছে তাকে। সাদার সাথে লাল জামদানী শাড়ি ও দিয়েছিলো। কিন্তু পদ্ম এই সাদাটাই আনলো। কারণ সাদা রঙ টা সব সময়ই তার ভালো লাগে। সে ভেবে রেখেছে সন্ধ্যার পর সাজবে।’
‘সন্ধ্যা ৭টা।’

‘ইজহানের ঘুম ভাঙলো পদ্মের ডাকে। চশমা টা পড়ে পদ্মের দিকে তাকালো। পদ্ম ওর ফোন টা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।’
“আপনার কল এসেছিলো আমি ধরিনি।”
‘পদ্মের হাত থেকে ফোনটা নিলো। রায়হান আহমেদ কল দিয়েছেন। এই লোক মনেহয় ইজহান কে শান্তি দিবে না। ইজহান কল ব্যাক করলো।’
‘সাথে সাথে রায়হান আহমেদ কল রিসিভ করলো।’
“কি মিয়া আপনি তো দেখছি বিয়ে করে একেবারে বদলে গেলেন, রুম থেকে বের হতে চান না, আড্ডা দিতে চান না। কি হয়েছে বলুন তো?”

‘ইজহান বিরক্ত হলো কারণ একে তো কল দিয়েছে তারপর আবার এসব কথা বলছে।’
“আরে ভাই আমি ঘুমাচ্ছিলাম আপনাদের মতো তো আর এতো এনার্জি নেই আমার।”
“আচ্ছা যাই হোক শুনুন আমরা সবাই চা খাচ্ছি আপনি চাইলে আসতে পারেন।”
“আসছি আমি।”

‘বলেই ইজহান কল টা কেটে দিলো। ইজহান ফ্রেশ হয়ে এসে পদ্মকে বললো তার সাথে যাওয়ার জন্য কিন্তু পদ্ম রাজি হলো না। ইজহান যাওয়ার সময় ও পদ্মকে বললো সে একা থাকতে পারবে কিনা। পদ্ম বললো সে পারবে৷ এক প্রকার ধাক্কাতে ধাক্কাতে ইজহান কে পাঠালো পদ্ম। ইজহান যাওয়া পর জোরে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।’
‘ইজহান কে আসতে দেখেই রায়হান আহমেদ বলে উঠলেন।’

“ইজহান এখন নতুন নতুন বিয়ে করেছে সে কি আর আমাদের কাছে থাকতে চাইবে?”
‘ইজহান বুঝেছে এই রায়াহান আহমেদ নিশ্চয়ই কথা টা খোঁচা দিয়ে বলেছেন। মাথা টা ঠান্ডা করে বসলো চেয়ারে। সবাই ইজহান কে দেখে মুচকি মুচকি হাসছে।’
‘ইজহান বিরক্তি সুরে বললো-‘

“শুনুন কেউ বাজে কথা বলবেন না আমি ঘুমাচ্ছিলাম আর ম্যাডাম সজাগ ছিলো আশা করছি আপনারা আর আমাকে এসব নিয়ে কিছু বলবেন না।”
‘সবাই হেসে উঠলো ইজহানের কথা শুনে। শানায়া চুপ করে শুধু তাকিয়ে আছে ইজহানের দিকে বাব্বাহ বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই বউ কে ম্যাডাম ডাকছে যত্তসব ফালতু কথাবার্তা।’

‘সবাই আড্ডায় মেতে উঠেছে। হাসি ঠাট্টা করছে। ইজহান খুব মনোযোগ দিয়ে সবার কথা শুনছে। এমন অবস্থায় পদ্মের বাসা থেকে কল আসলো। ইজহান সব উদ্দেশ্যে বললো ‘তার একটা কল এসেছে সে কথা বলে আসছে।’
‘ইজহান কল রিসিভ করেতেই পুষ্প বললো-‘

“শুভ জন্মদিন আপু। আজ তোমার জন্মদিন কিন্তু তুমি আমাদের সাথে নেই। এই প্রথম জন্মদিনে তুমি আমাদের থেকে আলাদা আছো।”
‘ইজহান থমকে আছে আজ পদ্মের জন্মদিন ইশশ কেনো যে একবারও পদ্মের জন্মদিনের কথা জিগ্যেস করলো ধুর।’
‘ও পাশ থেকে কথা শোনা যাচ্ছেনা দেখে পুষ্প আবারও বললো-‘
“হ্যালো।”
‘ইজহানের ধ্যান ভাঙলো। নিজেকে সংযত করে বললো-‘
“কি অবস্থা শালী সাহেবা।”

‘ইজহানের কন্ঠ শুনে পুষ্প ফ্যাকাসে কন্ঠে বললো-‘
“ওহ আপনি? আমি আরও ভাবলাম আমার আপু। কিন্তু আপনার সাথে আমি কথা বলবো না আমি যখন ঢাকা গিয়েছিলাম আপনি আমাকে ঘুরতে নিয়ে যান নি। হুহ কল রাখছি।”
‘পুষ্প ধুপ কল রেখে দিলো। ইজহান মনে মনে বলছে ‘বাবাগো মেয়ের কি তেজ।’ ইজহান সবার কাছে গেলো আবার।’
“আমি যাচ্ছি হ্যাঁ আপনারা আড্ডা দিন।”
‘রায়হান আহমেদ বললো-‘

“আচ্ছা যান।”
‘শানায়াও উঠে গেলো তার নাকি কাজ আছে। ইজহান একবার শানায়ার দিকে তাকালো। ইজহান হাঁটা ধরলো হোটেলের উদ্দেশ্যে। শানায়াও পিছু পিছু আসছে।’
‘হোটেলে ঢুকে যাওয়ার পর শানায়া হঠাৎ ইজহানকে ডাক দিলো। ইজহান থামলো। পিছনে তাকিয়ে দেখে শানায়া।’
‘শানায়া দৌড়ে আসলো ইজহানের কাছে।’
“আপনি এতো তাড়াতাড়ি হাঁটেন কেনো বাপরে আমি তো পারিই না।”
‘ইজহান তার পকেটে একটা হাত গুঁজে দাঁড়ালো।’

“কি জন্যে ডেকেছিলেন?”
“ও মা ডাকতে পারি না বুঝি?”
“জ্বী না একদমই ডাকতে পারেন না। আপনি তো জানেন আমি বিবাহিত পুরুষ এখন সো এভাবে এক ডাকা ভালো নয়।”
‘শানায়া ইজহানের হাত ধরলো। ইজহান তৎক্ষনাত হাতটা ঝেড়ে তার হাত থাকা পানির বোতল থেকে পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিলো। যে হাতটি শানায়া ধরেছিলো। শানায়া অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। ইজহান এমনটা করবে ভাবেও নি।’

‘ইজহান রক্তিম চোখে শানায়ার দিকে তাকালো। মেজাজটাই গরম হয়ে গেলো। ইজহান বিরবির করে বললো’চরিএহীন মেয়ে একটা।’ তারপর আবার পা চালিয়ে চলে গেলো। আর এইদিকে শানায়া রাগে সে নিজেই নিজের চুল টানছে। আবারও ইজহান তাকে অপমান করলো।’

‘ইজহান রুমে আসলো। রুমের লাইট অফ। বাহিরের আলো ভিতরে এসে পৌঁছেছে। তাও ইজহান লাইট জ্বালালো। তার কাছে ভুতুড়ে পরিবেশ মনে হয়েছিলো।’
‘ইজহান সামনে তাকাতেই দেখে পদ্ম দাঁড়িয়ে আছে। উফ পদ্মকে শাড়ি পড়া অবস্থায় দেখে ইজহানের মনে এক প্রেম নামক বাতাস বসে গেলো। কি স্নিগ্ধ পরী লাগছে পদ্মকে। শুভ্র শাড়িটার মতোই শুভ্র লাগছে তার পিচ্চি বউকে।’
‘ইজহান পদ্মের গাল ছুঁয়ে বললো-‘

প্রেমের রঙ পর্ব ১০

“শুভ ১৬ তম জন্মদিন পদ্মফুল।”
‘পদ্ম স্মিত হাসি দিলো।’
“ধন্যবাদ ডাক্তার সাহেব।”
‘ইজহান পদ্মকে উল্টো ঘুরিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। পদ্মের ঘাড়ে তার ওষ্ঠ মিলিয়ে দিলো। পদ্ম বারংবার কেঁপে উঠছে। শক্ত করে শাড়িটা ধরে রাখলো। ইজহানের সেই বেহা’য়া দাড়ি গুলোও পদ্মকে ছাড়ছে না একটু একটু করে তারাও স্পর্শ করছে শুভ্র শাড়ি পরিহিত সেই ছোট্ট মেয়েটাকে।

প্রেমের রঙ পর্ব ১২