ফেরারি প্রেম পর্ব ৫৪

ফেরারি প্রেম পর্ব ৫৪
নিশাত জাহান নিশি

“ইশ! রাগলে তো তোমাকে আরও হট দেখায়! মনে জ্বালা ধরিয়ে দেয়। আর কত জ্বালাতে চাও আমাকে বলো?”
রূপলের ঠোঁট কাটা কথায় রাগ শান্ত হওয়ার বদলে রাগ যেন আরও তিনগুন বেড়ে গেল নীহারিকার! রি রি করে উঠল সে। ক্ষেপে ওঠে লেহেঙ্গার ওড়নাটা একটানে রূপলের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিলো। গটগট করে হেঁটে তেড়ে এলো রূপলের দিকে। কোল্ড ড্রিংকসে চুমুক দিয়ে রূপল ভ্রু নাচালো। ট্যারা চাহনিতে নীহারিকার দিকে তাকিয়ে রইল! মুহূর্তের মধ্যেই রূপলের মুখ থেকে নীহারিকা কোল্ড ড্রিংকসের গ্লাসটি কেড়ে নিয়ে এলো! দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলল,

“বেশ ভালোই ফ্লার্ট করা শিখে গেছেন তাইনা? আমার সাথেও ফ্লার্ট করছেন?”
মুহূর্তেই নীহারিকার কোমর জড়িয়ে ধরল রূপল। নীহারিকাকে তার গাঁয়ের সাথে পুরোপুরি মিশিয়ে নিলো। হেঁচকা টানের ফলে নীহারিকার হাতটা অবিলম্বেই ঢিলে হয়ে এলো। অমনি হাত থেকে কোল্ড ড্রিংকসের ট্রে-টি সশব্দে নিচে পরে গেল! গ্লাসগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। হতভম্ব দৃষ্টিতে নীহারিকা নিচে পরে থাকা ভাঙা গ্লাসগুলোর দিকে তাকিয়ে রইল। তখন কোমরে কিঞ্চিৎ ব্যথারও অনুভব হলো তার! রূপলের পাঁচ আঙুলের দাগ অতি নির্মমভাবে গেঁথে যাচ্ছিল তার কোমরে। সূক্ষ্ণ ব্যথায় নিঃশব্দে চোখ বুজে নিলো নীহারিকা। রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠে রূপল দাঁতে দাঁত চাপল! নীহারিকা গালে নাক ঘঁষে মন্থর গলায় বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“এবার নিজেকে আমার কাছ থেকে ছাড়িয়ে দেখাও! আমার ভালোবাসাও তোমার কাছে ফ্লার্ট মনে হয় তাইনা? আমার ভালোবাসাকে যতবার তুমি এইভাবে অপমান করবে ঠিক ততবারই আমি এইভাবে তোমাকে শাস্তি দিব!”
রূপলের শক্তি ও কথার দাপট বেশিক্ষণ টিকল না। পূর্বের তুলনায় আরও অধিক রুষ্ট হয়ে উঠল নীহারিকা। কোনো দিকে কালক্ষেপণ না করেই সে রূপলের নাক বরাবর জোরে এক কামড় বসিয়ে দিলো! সঙ্গে সঙ্গেই রূপল নীহারিকাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো। নাকে হাত ঠেকিয়ে সে উহ্ করে শব্দ করে তাজ্জব দৃষ্টিতে নীহারিকার দিকে তাকালো। দাঁতের দাগ বসে গেল রূপলের নাকে।কালসিটে দাগ পরে গেল। রূপলের ধরাশায়ী অবস্থা দেখে নীহারিকা মুখ টিপে হাসল। নাক ঘঁষে বুকের উপর হাত গুটালো। বেশ ভাব নিয়ে বলল,

“শাস্তি একে বলে বুঝেছেন? কোমর ধরে চাপাচাপি করা কখনও শাস্তি হতে পারেনা। শাস্তি হতে হয় এমন, যেমনটা এখন আমি আপনাকে দিলাম!”
এই বলে নীহারিকা হাসতে হাসতে জায়গা থেকে প্রস্থান নিলো। রূপলের মুখটা দেখার মত ছিল। দাঁতের কামড় খুব বিষাক্ত হয়। আর যদি তা নাকের হাড্ডিতে হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। ফর্সা মুখটা রূপলের ধীরে ধীরে লাল হয়ে এলো। ব্যথাটা সত্যিই তার রুহ তে গিয়ে লাগল! তাড়াহুড়ো করে পায়জামার পকেট থেকে ফোনটি বের করল রূপল। সেলফি ক্যামেরাটি তার মুখের সামনে ধরতেই মুখে তার হাত চলে গেল! দেখল নাকে নীহারিকার দাঁতের দাগ পরে গেছে! এই অবস্থায় কোথাও যেতে পারবেনা সে! প্রেস্টিজের দফারফা হয়ে যাবে তার। এসব ভাবতেই রাগে ফোঁস করে উঠল রূপল। তেঁতে ওঠে বলল,

“শাস্তি কাকে বলে তুমিও এবার টের পাবা ব’জ্জা’ত মেয়ে! আমাকে ঘাঁটানো তাইনা? জাস্ট সামনে পড়ো একবার। ব্যথা কাকে বলে তখন বুঝাব। বজ্জাতগিরি বের হয়ে যাবে তখন। রূপলের লেজে পা দিয়ে কাজটা মোটেও ভালো করোনি তুমি।”
কয়েক দফা রুদ্ধশ্বাস ফেলে রূপল নিজেকে সীমিত সময়ের জন্য স্থির করল। তিক্ত গলায় পুনরায় বলল,

“ধ্যাত! এই চেহারা সুরুত নিয়ে আমি বাইরে যাবটা কীভাবে? কী ভাববে সবাই আমাকে? মেয়েটার উদ্দেশ্যই যেন ছিল আমাকে কট খাওয়ানো! পাঁজি মেয়ে কোথাকার। সামান্য কোমড়ই তো ধরেছিলাম ভাই! এতে এত ক্ষেপে যাওয়ার কী আছে? আমি তো জানি তুমি সাহসী। এটা আবার বার বার প্রমাণ করা লাগে?”
জেদের চোটে রূপল হঠাৎই পিছু ঘুরতে খেয়াল করল মুখে আঙুল চেপে চুপটি করে দাড়িয়ে আছে হৃদি! রূপলের চোখে চোখ পরতেই সে পেটে হাত রেখে খিলখিলিয়ে হেসে উঠল! রূপলের নাকের দিকে আঙুল দ্বারা ইশারা করে বিদ্রুপের স্বরে বলল,

“হেহ্ হেহ্ হেহ্! রূপল বাবা লুজার! নীহা আন্টি উইনার। হেরো ভূত তুমি বাবা। নীহা আন্টি তোমার নাক কামড়ে দিয়েছে!”
অস্থির হয়ে উঠল রূপল! হঠকারিতায় মাথায় হাত চলে গেল তার। উদ্বিগ্ন গলায় বলল,
“আইলা! এই পাকা বুড়িটা কী এতক্ষণ এখানেই দাড়িয়ে ছিল? শেষ রূপল তুই শেষ। তোর প্রেস্টিজ আজ শেষ।”
ছুটে গেল রূপল হৃদির দিকে। হাঁটু মুড়ে বসে হৃদির মুখ চেপে ধরল সে। অধীর গলায় বলল,
“চুপ হৃদি চুপ। এসব কথা এভাবে বলতে নেই মা! বাচ্চাদের মুখে এসব পঁচা কথা মানায় না। লোকে তোমাকে পঁচা বলবে। এতক্ষণ তুমি যা দেখছ এবং শুনেছ সব ভুলে যাও। ইমেজিন করো যে এটা একটা কল্পনা ছিল!”

“উঁহু! আমি তো পঁচা না। পঁচা তো তুমি বাবা! পঁচা বলেই তো নীহা আন্টি তোমার নাকে কামড়ে দিয়েছে। আমি বাস্তবেই এসব দেখেছি! কল্পনা হতে যাবে কেন?”
কাঁদো কাঁদো মুখ হয়ে গেল রূপলের! অসহায় ভঙ্গিতে হাত জোর করে সে হৃদিকে বলল,
“আরে আমার মা চুপ কর প্লিজ! আমার প্রেস্টিজের বারোটা বাজাস না! আমি না তোর বাবা? বাবার মান ইজ্জত নিয়ে এভাবে খেলতে হয়? কী খাবি বল তুই? চকলেট, আইসক্রীম, চিপস? কোনটা?”
ভাবনায় পরে গেল হৃদি। বেশ ভেবেচিন্তে সে জ্ঞানী সুরে রূপলকে বলল,

“তুমি কী আমাকে এসবের লোভ দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে চাইছ বাবা? ভেবেছ আমি খাবারের লোভে সব ভুলে যাব?”
দাঁতে দাঁত চেপে রূপল হম্বিতম্বি হয়ে হৃদিকে তার কোলে তুলে নিলো। খিটখিটে মেজাজে বিড়বিড় করে বলল,
“পাকা বুড়ি হয়েছে একটা। ওর মত বয়সে থাকতে আমরা ললিচপ চুষতাম! নাক দিয়ে লেটা পড়ত তখন। সেই লেটা আবার হাত দিয়ে মুছে ফেলতাম! মায়ের আঁচল ধরে ধরে হাঁটতাম। উঠতে বলতে উঠতাম, বসতে বললে বসতাম, কোথাও যেতে বারণ করলে সেদিকে ফিরেও তাকাতাম না। বোকার হদ্দ ছিলাম! আর এই মেয়ে কী-না এই বয়সে এসে এত স্মার্ট? ক্লাস নিচ্ছে আমার?”

টিস্যু দ্বারা রূপল তার নাকটা চেপে ধরল! যেন কারো দৃষ্টি তার নাকের দিকে না পরে তাই। হৃদিকে কোলে নিয়ে সে সোজা স্টেজে চলে এলো। পিয়াসা ও নিহালকে তখন স্টেজে বসানো হলো। সবাই ব্যস্ত হয়ে গেল পিয়াসা ও নিহালের ছবি তোলার জন্য। তাদের এত সুন্দর মুহূর্তের ভিডিও করার জন্য। নিহাল যেন আজ কিছুতেই পিয়াসার থেকে চোখ সরাতে পারছেনা! নীল রঙের লেহেঙ্গাতে পিয়াসাকে নীলাঞ্জনা লাগছে। পিয়াসার লেহেঙ্গার সাথে ম্যাচ করে নিহালও পড়েছে আজ নীল পাঞ্জাবি। চোখ ধাঁধানো সুন্দর দেখাচ্ছে দুজনকে। এর ফাঁকে নাজনীন বেগম গেলেন পিয়াসার সাথে ছবি তুলতে। তখন পিয়াসা হঠাৎ তার মায়ের কানে বিড়বিড় করে বলল,

“ভাইয়াকে চোখে চোখে রাখো মা! ভাইয়ার হাবভাব ঠিক মনে হচ্ছেনা আমার!”
অমনি ভ্রু কুঁচকে নিলেন নাজনীন বেগম। চিন্তিত সুরে তিনি প্রশ্ন ছুড়লেন,
“মানে? কী বলতে চাইছিস তুই?”
“আমি কী বুঝাতে চাইছি বুঝতে পারছনা তুমি? ভাইয়ার পাঞ্জাবির দিকে খেয়াল করেছ? নীহারিকার লেহেঙ্গার সাথে ম্যাচ করে মেরুন কালার পাঞ্জাবি পরেছে ভাইয়া! কিছু আন্দাজ করতে পারছ?”
“হ্যাঁ তাই তো! আমিতো এই বিষয়টা খেয়ালও করিনি। তবে এর ফাঁকে আমি একটা মহান কাজ করেছি!”
“কী এমন মহান কাজ করে ফেললে তুমি শুনি?”

“রূপলের জন্য তোদের প্রতিবেশী একটা মেয়েকে পছন্দ করেছি আমি! আর সেই কথা নীহারিকাকে ও বলেছি! তখন তার মুখটা যা হয়েছিলনা! দেখার মত ছিল। তার মুখের দিকে তাকিয়ে পাশবিক আনন্দ পেয়েছি আমি!”
“এসব করে কোনো লাভ নেই মা! সুন্দর দেখতে একটা মেয়ে খুঁজে ভাইয়াকে ডিরেক্টলি বিয়ে দিয়ে দাও। তাছাড়া নীহারিকারও তো কয়েকদিন পরে বিয়ে! আপদটা যে কবে বিদায় হবে!”
এরমধ্যেই পিয়াসার হঠাৎ উজ্জ্বলের কথা মনে পরে গেল! এদিক ওদিক দৃষ্টি ফেলে দেখল উজ্জ্বল কোথায় নেই। পেরেশান হয়ে পিয়াসা পাশ ফিরে নিহালের দিকে তাকালো। নিহালের কানে ফিসফিসিয়ে বলল,

“এই? উজ্জ্বল কোথায়? তাকে তো কোথাও দেখতে পারছিনা। কোথায় গেল সে?”
এতক্ষণে টনক নড়ল নিহালের। অস্থির দৃষ্টিতে উজ্জ্বলকে এদিক ওদিক খুঁজতে লাগল সে। উত্তেজিত গলায় বলল,
“ঠিকই তো। উজ্জ্বল কোথায় গেল? অনেকক্ষণ যাবত তাকে দেখছিনা।”
ঠিক তখনই উজ্জ্বলের নাম্বার থেকে নিহালের নাম্বারে মেসেজ এলো! মেসেজটিতে লিখা ছিল,
“সরি নিহাল ভাইয়া। আপনাকে না বলেই বাড়ি ফিরে আসতে হলো। আসলে শরীরটা খুব খারাপ করছিল তো তাই বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো। প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড ওকে? আপনাদের নতুন জীবনের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল। সবসময় হাসিখুশি থাকুন আপনারা।”

মেসেজটি পড়ে নিহাল অধীর শ্বাস ফেলল। পিয়াসার দিকে তাকিয়ে হতাশ গলায় বলল,
“উজ্জ্বল বাড়ি চলে গেছে পিয়াসা! শরীর না-কী খারাপ করছিল তার।”
চিন্তায় ডুবে গেল পিয়াসা। সন্দেহপ্রবন হয়ে উঠল সে। কপাল কুঁচকে বিড়বিড় করে বলল,
“আসলেই কী উজ্জ্বল অসুস্থ হলো না-কী অন্য কোনো কাহিনী আছে এর মধ্যে?”

হৃদির মুখ বন্ধ করে রাখার জন্য রূপল তাকে চকোলেট, আইসক্রীম, চিপস সব খাওয়ালো! তবুও যেন কিছুতেই হৃদির মুখ বন্ধ করে রাখা যাচ্ছিলনা! রূপলের মুখে মাস্ক পরা দেখে শাকিল ও সজলের জিজ্ঞাসার যেন অন্ত নেই! তারা ক্ষণে ক্ষণে রূপলের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে ফিরে তাকাচ্ছে। রূপল বার বার তাদের চাহনি উপেক্ষা করে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে! কিছুতেই তাদের প্রশ্নের মুখে পরতে চাইছেনা সে। শাকিল তো এবার কৌতূহলী গলায় রূপলের দিকে প্রশ্ন ছুড়েই দিলো,
“ভাই? তুমি মেয়েদের মত মুখে এভাবে মাস্ক পরে রাখছ কেন? কী হইছে হঠাৎ বলো তো?”

শাকিলের করা প্রশ্নকে উপেক্ষা করতে চাইল রূপল। তাড়াহুড়ো করে সে পেছনের দিকে ফিরে গেল। জায়গা থেকে প্রস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। অমনি হৃদি রূপলের কোলে থেকে মুখ টিপে হাসতে হাসতে শাকিলকে বলল,
“রূপল বাবার নাকে একটা দুষ্টু ভীমরুল কামড় দিয়েছে শাকিল চাচ্চু!”
জিজ্ঞাসু হয়ে শাকিল বলল,

“কীহ্? ভীমরুল কোথা থেকে এলো?”
অমনি রূপল দিশা খুঁজে না পেয়ে হৃদির মুখ চেপে ধরল! দ্রুত পায়ে হেঁটে সে জায়গা থেকে প্রস্থান নিলো। যেতে যেতে দাঁতে দাঁত চেপে শাকিলকে বলল,
“একবার কামড় খেলে বুঝবি! এর আগে বুঝবিনা! বেছে বেছে ভীমরুলটার প্রেমেই পরতে হলো আমার!”
শাকিল ও সজলকে ধাঁধায় রেখে প্রস্থান নিলো রূপল। বেশ অনেকক্ষণ যাবত লামিয়া রূপলের পিছু নিচ্ছিল! রূপলের পিছু নিতে নিতে সে বাড়ির ভেতর ঢুকে গেল। হুট করে ছুটে এসে সে রূপলের মুখোমুখি দাঁড়ালো। মাথা নুইয়ে সে লাজুক ভাব নিলো। নেচে নেচে বলল,

“হায়। আমি লামিয়া।”
নির্বোধ ভাব নিলো রূপল। লামিয়ার দিকে সে উজবুক দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। রগচটা গলায় বলল,
“হ্যাঁ তো? আমি কী করব? আমি কী আপনার নাম জানতে চেয়েছি?”
রূপলের ত্যাড়া কথায় ঠোঁট উল্টে নিলো লামিয়া। ব্যথিত দৃষ্টিতে সে রূপলের দিকে তাকালো। অমনি নীহারিকা কোথা থেকে যেন ছুটে এসে লামিয়ার পাশে দাঁড়ালো! হাসি হাসি মুখে সে লামিয়ার পক্ষ নিয়ে রূপলকে বলল,

“জানতে চাননি তো কী হয়েছে? আপু আপনার সাথে পরিচিত হতে চায় দেট’স হোয়াই আপু তার নামটা আপনাকে জানালো। এখন যদি আপুর প্রতি আপনার কোনো ইন্টারেস্ট না থাকে সে অন্য ব্যাপার!”
নীহারিকা তার কথার মাধ্যমে লামিয়াকেও খোঁচা দিলো! উজবুক দৃষ্টিতে লামিয়া নীহারিকার দিকে তাকালো। বিড়বিড় করে বলল,

ফেরারি প্রেম পর্ব ৫৩

“নীহা কী আমার পক্ষ নিলো না-কী ইনডিরেক্টলি আমাকে অপমান করল? বোকা পেল নাকী নীহা আমাকে?”
ইতোমধ্যেই উত্তেজিত হয়ে রূপল হঠাৎ হৃদিকে নীহারিকার কোলে তুলে দিলো! লামিয়াকে বিদায় করতে চাইল সে! লামিয়ার উপস্থিতি তার কাছে বিষের মত লাগছে। হাঁসফাঁস করে রূপল তীক্ষ্ণ গলায় নীহারিকাকে বলল,
“নাও। তোমার দুষ্টু মেয়েকে সামলাও! সবসময় আমার ঘাঁড়েই মেয়েকে চাপিয়ে দিবেনা! মা হিসেবে তোমারও কিছু কর্তব্য আছে!”

ফেরারি প্রেম পর্ব ৫৫