বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ২৬

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ২৬
লেখিকা: অনিমা কোতয়াল

আদ্রিয়ানের বাড়ির পৌছাতে পৌছতে রাত হয়ে গেল। ড্রয়িং রুমে এসেই অনির পা থেমে গেল। অনিমাকে থামতে দেখে অভ্র থেমে গেল। অনিমা অভ্রর দিকে তাকি ঠোঁট কামড়ে কিছ একটা ভেবে বলল,
” এদিকে শুনুন!”
অভ্রও এগিয়ে এসে অনিমার মত ফিসফিস করে বলল,
” বলুন ম্যাম।”
” আপনার স্যার কী জানেন যে আমি কেন রেগে ছিলাম বা চলে গেছিলাম।”
অভ্র মাথা নাড়িয়ে বলল,

” উমহুম! স্যার জানেনা। ইভেন আমাকেও জানতে বলেছে। কিন্তু আমি নিজেও এখনও ক্লিয়ার না। আপনি রাগ কেন করেছিলেন? মূল কারণ কী ছিল?”
অনিমা একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলল,
” জানতে হবেনা। আর হ্যাঁ খবরদার আপনার স্যারকে এইসব স্মৃতি আপুর ব্যাপারের কথাগুলো কিচ্ছু বলবেন না। মনে থাকবে?”
” হুঁ মনে থাকবে।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

বলে এগুতে নিলেই দেখল যে জাবিন ট্রেতে কিছু একটা নিয়ে ওপরের দিকে যাচ্ছে। অনিমাকে দেখে থেমে গেল জাবিন। ট্রে টা রেখে দৌড়ে এসে অনিমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
” তুমি এখান থেকে চলে কেন গেছিলে অনিপু? জানো ভাইয়া কাল থেকে কত জ্বর? একন যদিও একটুখানি কমেছে। মাঝেমাঝেই তোমার নাম করে যাচ্ছে। এভাবে চলে যায় কেউ।”
অনিমা জাবিনকে ছাড়িয়ে এক কান ধরে কিউট করে বলল,

” সরি। ভুল হয়ে গেছে। আর কক্ষণো যাবোনা।”
” প্রমিস?”
” পাক্কা প্রমিস।”
” ভাইয়ার জন্যে রাতের খাবার নিয়ে যাচ্ছিলাম। চলো। তুমিই খাইয়ে দিও।”
অনিমার কেমন যেন গিল্টি ফিলিং হচ্ছে আদ্রিয়ানের কাছে যেতে। তাই বলল,
” তোমার ভাইয়া কী জেগে আছেন?”
জাবিন মুখ ছোট করে বলল,
” না, এখনতো তাকাতেও পারছেনা ঠিক করে।”
” আচ্ছা চল।”

এরপর তিনজনই আদ্রিয়ানের রুমে গেল। আদ্রিয়ান আসলে চোখ খুলতে পারছেনা ক্লান্তিতে, জ্বরের ঘোরে হুসও নেই ওর। অনিমা আদ্রিয়ানের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। আদ্রিয়ান কেঁপে উঠল, যেন ওর স্নায়ু অনিমার উপস্থিতি বুঝতে পারছে। আদ্রিয়ানের রুমে কিছুক্ষণ থেকে অভ্র আর জাবিন বেড়িয়ে এলো অনিমাকে রেখে। বেড়োনোর সময় জাবিন অভ্রকে ডাকতেই অভ্র ভ্রু কুচকে পেছনে তাকিয়ে বলল,
” কিছু বলবে?”

আসলে অভ্র এখন জাবিনকে এখন তুমি করে বলে। সেদিন কথার ছলে আপনি করে বলছিল বলে জাবিন মুখ ফুলিয়ে বলেছিল, ‘দেখুন আপনি কিন্তু আমার অনেক বড়। তাই এসব আপনি টাপনি বলবেন না প্লিজ। নিজেকে আশি বছরের বুড়ি মনে হয়।’ জাবিনের কথায় সেদিন হেসেছিল। ঐদিনি প্রথম জাবিনের কোন আচরণ মনে ধরেছিল ওর। গাল ফোলালে মেয়েটাকে বড্ড কিউট লাগে। জাবিন এগিয়ে এসে বলল,

” থ্যাংকস।”
অভ্র ভ্রু কুচকে রেখেও হেসে বলল,
” কেন?”
” ভাবীকে ফিরিয়ে আনার জন্যে।”
” স্যার বায়োলজিক্যালি আপনার ভাই হতে পারে। কিন্তু রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও আমার কাছে ভাইয়ের চেয়ে কোন অংশে কম না।”
বলে একটু হেসে অভ্র চলে গেল। জাবিন অভ্রর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল। নাহ, যতটা মুডি ভেবেছিল ততোটা না।

অনিমা আদ্রিয়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর কাঁদছে। চোখ ভিজে উঠেছে ওর। আদ্রিয়ানের মাথায় বারবার জ্বরপট্টি দিয়ে দিচ্ছে। জ্বরটা হঠাৎ আবার বেড়ে গেছে। আদ্রিয়ানকে খাইয়ে, ঔষধ খাইয়ে অনিমা আর রুম থেকে বেড় হয়নি। জাবিন এসে পোশাক দিয়ে গেছে ও আদ্রিয়ানেল ওয়াসরুমেই চেঞ্জ করেছে। আদ্রিয়ান বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। আদ্রিয়ানের এরকম অবস্থা মেনে নিতে পারছেনা অনিমা। নিজেকে দায়ী মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে সবটা ওর জন্যেই হয়েছে। সবটাই।

জাবিন অভ্র মাঝেমাঝে এসে দেখে গেছে। ওরা থাকতে চেয়েছিল অনিমাই জোর করে ঘুমোতে পাঠিয়ে দিয়েছে। ও বারবার জ্বরপট্টি দিচ্ছে, হাত পা ঘষে দিচ্ছে আর আল্লাহর নাম নিচ্ছে শুধু। আদ্রিয়ান সত্যিই মাঝেমাঝে বিড়বিড় করে অনিমার নাম নিয়েছে। রাত আড়াইটায় আদ্রিয়ানের জ্বর সম্পূর্ণ ছেড়ে গেল। ঘাম বেড়ায়েছে প্রচুর। অনিমা সুন্দর করে ঘাম মুছে নিয়ে ফ্লোরে বসে আদ্রিয়ানের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে খাটের ওপর মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পরেছে।

ফার্মহাউজে রুমের ফ্লোরের এক কোণে পরে ড্রিংক করে যাচ্ছে রিক। প্রচন্ড নেশা হয়ে গেছে তবুও করছে। নিজের ইচ্ছেতে কিছুই করতে পারছেনা ও। কেন? এতো কষ্ট করে ডক্টর হয়েও জয়েন করতে পারছেনা ওর বাবার জন্যে। যেই মেয়েটাকে সবটা দিয়ে ভালোবাসতো সেই ওকে ঠকিয়ে চলে গেল। আচ্ছা এটাকে ঠকানো বলে? মেয়েটাতো কখনও বলেনি ভালোবাসে ওকে। তাতে কী? তবুও এটাকে ঠকানোই বলে। মামাতো বলেছে এটাকে ঠকানো বলে।

ও তো জানতো রিক ওকে ভালোবাসে। তাহলে কীকরে পারল অন্যকারো হাত ধরে পালিয়ে যেতে। এতোটাই স্বার্থপর ঐ মেয়েটা? অকৃজ্ঞ! নেশাক্ত অবস্থাতেই গ্যালারিতে ছবি ঘাটতে ঘাটতে ওর আর অনিমা একটা ছবি পেল। দুজনেই একটা বেঞ্চে বসে আইসক্রিম খাচ্ছে। অনিমা আইসক্রিম খাচ্ছে আর রিক ওর ওড়নার কোণ হাতে নিয়ে কিছু একটা করছে। আসলে অনিমাকে ভার্সিটি থেকে নিয়ে আসার পথে অনিমা রিকের কাছে বায়না করে আইসক্রিম খাবে। রিক কখনও অনিমার কথা ফেলেনা তাই ওকে নিয়ে আইসক্রিম খেতে যায়। আইসক্রিম খেতে খেতে একটা বেঞ্চে গিয়ে বসেছিল দুজনেই।

দুজনেই খেতে খেতে গল্প করছিল। রিক কথা বলছিল কম আর অনিমাকেই দেখছিল বেশি। কিন্তু হঠাৎ করে অনিমার আইসক্রিম থেকে কিছু অংশ পরে যায়। রিক তাই ওড়নার ঐ অংশটা তুলে পরিস্কার করে দিচ্ছিল। যদিও অনিমার সেদিকে মোটেও খেয়াল ছিলোনা। খেয়াল করল অবশ্যই অপ্রস্তুত হয়ে যেত। কারণ রিকের সাথে ওর মোটামুটি ভালো বন্ধুত্বের বন্ডিং থাকলেও যথেষ্ট ডিসটেন্স মেইনটেন করে চলত। সেটাই রিকের বেশি ভালো লাগত। আর ছবিটা ওদের ড্রাইভার না বলেই তুলেছে।

পরে রিককে দেখিয়েছে। ছবিটা দেখে রিক এতোই খুশি হয়েছিল যে ড্রাইভারকে পাঁচ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়েছিল তখনই। ছবিটা দেখতে দেখতে অজান্তেই হেসে ফেলেল রিক। কত মিষ্টি একটা সম্পর্ক ছিল ওদের। দুপক্ষ থেকে ভালোবাসা না থাক বন্ধুত্ব তো ছিল। কিন্তু হঠাৎ কী কারণে এই সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে গেল সেটা আজও রহস্য ওর কাছে। আর যখন ওর মনে পরল ওর নীলপরী ওর কাছে নেই এমনিতেই চোখ ভিজে আসতে চাইল। বোতলে একটা লম্বা চুমুক দিয়ে বলল,

” কেন করলে এরকম? এভাবে চলে গেলে কেন? একবারও আমার কথা ভাবোনি। ইউ বিট্রেট মি। ইয়েস ইউ বিট্রেট ভি। তোমাকে ছেড়ে দেবনা আমি। ইউ আর ওনলি মাইন। ওনলি মাইন।”
এসব বিড়বিড় করতে করতেই ফ্লোরেই ঘুমের মধ্যে তলিয়ে গেল রিক।

অনিমা লম্বা এক শাওয়ার নিয়ে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুচছে। নিজেই নিজেকে আয়নায় দেখে ব্লাস করছে আর মুচকি হাসছে। সকালে ঘুমন্ত অবস্থাতেই আদ্রিয়ানকে রেখে রুমে এসছিল। পরে যখন খেয়াল করল যে আদ্রিয়ান জেগে গেছে তখন নিজের হাতে কফি করে নিয়ে গেছে আদ্রিয়ানের জন্যে। কতদিন পর আবার কফি বানালো আদ্রিয়ানের জন্যে।তবে আদ্রিয়ানের সামনে যায়নি। আদ্রিয়ানের ওয়াশরুমে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে কাপটা রেখে এসছে সাথে একটা চিরকুট।

যেটাতে লেখা ছিল, “রকস্টার সাহেব! আমার ওপর রাগ করে কফি ফেলে দিলে কিন্তু আমি ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদে দেব। মারাত্মক কান্না। পরে সেই কান্নার দায় কিন্তু আপনাকে নিতে হবে। তাই ভদ্র ছেলের মত কফিটা খেয়ে নেবেন। পরে না হয় মগটা ভেঙ্গে আমার ওপর রাগ মেটাবেন।” আসলে চড়টা মারার পর থেকেই কেমন একটা গিল্টি ফিলিং হচ্ছে ওর। তাছাড়াও কত ভিসবিহেভ করেছে তাই এখন আদ্রিয়ানকে ফেস করতে কেমন লাগছে।

তারওপর আদ্রিয়ান নামক ঐ মানুষটা ওকে ভালোবাসে? আদ্রিয়ান শুধুমাত্র ওর। ওর? ভাবতেই ওর শিরা উপশিরা অবধি শিহরিত হয়ে যাচ্ছে। এতো ভালোলাগার অনুভূতি এর আগে কোনদিন পায়নি ও। কেমন লাগছে নিজেই জানেনা। আদ্রিয়ানের সামনে দাঁড়াতেই লজ্জা করবে। আচ্ছা চিঠিটা পড়ে আদ্রিয়ানের রিঅ্যাকশনটা কীকরম হয়েছে? চুল মুছে খাটে বসতেই আদ্রিয়ানের কিনে দেওয়া একটা টেডি দেখতে পেল। টেডিটা হাতে নিয়ে একটা চুমু দিল অনিমা। তারপর নিজে নিজেই ওটা হাতে নিয়ে হাটতে হাটতে গুনগুনিয়ে গাইল,

ঝিরি ঝিরি স্বপ্ন ঝরে,
দুটি চোখের সিমানায়
চুপি চুপি কানে কানে,
কেউ আমাকে ডেকে যায়
মন হারানোর এ সময়,
পাখা মেলে.. না জানি যাবো কোথায়
তেরে রারা রুরু, মন উড়ু উড়ু
প্রেম হলো শুরু মনে হয়,
তেরে রারা রুরু, মন উড়ু উড়ু
প্রেম হলো শুরু মনে হয়।

কাশির আওয়াজে চমকে তাকিয়ে চমকে পেছনে দেখে জাবিন দাঁড়িয়ে আছে। জাবিন মেকী হেসে ভ্রু নাচিয়ে বলল,
” এতো প্রেম কীসের শুনি? হুম?”
অনিমা কিছু না বলে মাথা নিচু করে হাসল। জাবিন বলল,
” থাক আর লজ্জা পেতে হবেনা। খেতে যাবেনা? ভাইয়া কিন্তু খুঁজছে। চল!!”
” না প্লিজ। আমি পরে খেয়ে নেব। এখন নিচে যাবোনা।”
” ওহ হো। চোখে চোখে এতো কথা মুখে কেন বলোনা? কেন বলোনা?”
” যাও তো!”

অনিমা হাসতে হাসতে জাবিনকে ঠেলে বার করে দরজাটা লাগিয়ে দিল। সারাদিন অনিমা আদ্রিয়ানের সামনে যায়নি শুনু পালিয়ে বেড়িয়েছে। আদ্রিয়ান কয়েকবার খুঁজেছিল অনিমা শুধু লুকিয়ে পরেছে। অদ্ভুতভাবে ভীষণ লজ্জা লাগছে আজ ওর। পরতেই চায়না আদ্রিয়ানের সামনে। বিকেলে জাবিনের রুম থেকে নিজের রুমে এসে আরেকবার শাওয়ার নিল। ভীষণ গরম তাই। হুট করেই কালো রঙের শাড়ি পরল ও। কেন জানি ইচ্ছে হল। বাইরে এসে টি-টেবিলে চোখ পরতেই একটা কাগজ চোখে পরল। ভ্রু কুচকে কাগজটা খুলে দেখল সুন্দর করে লেখা আছে,

” এইযে মায়াবিনী? আর কত পালাবে হুম? সেইতো আমার কাছে আসতেই হবে। যত দেরীতে আসবে শাস্তি তত বেশি পেতে হবে। তাড়াতাড়ি চলে এসো শ্যামবতী। তোমাকে ছাড়া একেকটা মুহূর্তও একেকটা যুগ মনে হচ্ছে। আর পুড়িয়ে না। জ্বলে পুরে ছাই হয়ে যাবো তো।”
মুচকি হেসে চিঠিটায় ঠোঁট ছোঁয়ালো অনিমা।সবকিছুই অদ্ভুত ভালোলাগছে ওর। কেমন স্বর্গ স্বর্গ ফিলিং। উফফ! এতো ভালোলাগা কেন?

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ২৫

অনিমা ওরকম ভেজা চুলেই বাইরে এলো সারাবাড়ি খুঁজেও আদ্রিয়ানকে পেল না। মনটা কেমন করছে। বাড়িতে কী নেই আদ্রিয়ান। হঠাৎ ছাদের কথা মনে পরতেই ছাদে চলে গেল অনিমা। কিন্তু ওখানেও কাউকে পেলোনা। তাই মন খারাপ করে ফিরে আসতে নিলেই কেউ হ্যাচকা টান দিয়ে ওকে নিজের দিকে টেনে নিল। অনিমা প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেও পরে তাকিয়ে দেখল এটা আদ্রিয়ান। ও লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলল। আদ্রিয়ান একহাত অনিমার কোমড়ে রেখে অপরহাত দিয়ে কপালের ভেজা চুল সরিয়ে বলল,

” তো ম্যাডাম! আজ সারাদিন এভাবে পালিয়ে বেড়ালেন। এর শাস্তি এখন কী পেতে চান? হুম?”
অনিমা লাজুক হেসে মাথা নুইয়ে নিল। ওর বলতে ইচ্ছে হচ্ছে ‘আপনার দেওয়া সব শাস্তিই আমার কাছে চরম সুখের প্রাপ্তি’। আদ্রিয়ান অনিমাকে আরেকটু কাছে টেনে বলল,

” তোমার এই লাজুক হাসিটা দেখতে মনটা কতোটা ব্যাকুল হয়ে ছিল জানো? জানো তোমার গলার স্বর, এই গালের টোলটা, তোমার বাচ্চামো সবটা কতটা মিস করেছি? আর এভাবে শাড়ি পরে ভেজা চুলে যে আমায় এলোমেলো করে দিলে তার দায় কে নেবে হুম? জানো এই সাজ, লজ্জা মাখা লালচে গাল সব মিলিয়ে কেমন লাগছে তোমাকে? একদম খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে..। এই লজ্জা পেলে?”
অনিমা কিছু বলছেনা চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে আছে। তাই আদ্রিয়ান অনিমার ভেজা চুলে নাক ডুবিয়ে বলল,

” এই জানপাখি! কথা বল!”
জানপাখি শব্দটা অনিমার হৃদপিণ্ডে প্রচন্ড জোরে ধাক্কা দিল। পুরো শরীর কেঁপে উঠল। যেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে গেল নামটা সবটাই যেন এলোমেলো হয়ে গেল। ওর হৃদস্পন্দন যেন আজ সব সীমা পেড়িয়ে ফেলবে। এ কেমন অনুভূতি? এই অনুভূতির নাম কী?

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ২৭