বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ৪০

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ৪০
লেখিকা: অনিমা কোতয়াল

ক্লাসরুমে বসে অনিমা, অরুমিতা আর তীব্র তিনজনই ঝিমুচ্ছে। এক বেঞ্চেই তিনজন বসেছে। তিনজনই নিজেদের ডানগালে হাত দিয়ে রেখেছে। ক্লাসে একদমই মনোযোগ নেই ওদের। চেষ্টা করেও মনোযোগ দিতে পারছেনা। আজকের লেকচারটাই এরকম, ঘুম পাওয়ার মতো। ক্লাসের প্রায় সবারই একই অবস্থা। শুধু ফার্স্ট বেঞ্চার রাই একটু মনোযোগী আছে। বাকি সবাই জোর করে বসে আছে এই টাইপ।

মনে মনে তারা যেন একটাই কথা আওরাচ্ছে, ব্যাটা তোর ঘ্যানঘ্যানানি শেষ করে বিদায় হ। অনিমা এমনিতেও খুব বেশি এটেনটিভ ছাত্রী না। মার্কস মোটামুটি ভালো থাকলেও বইয়ে মুখ গুঁজে রাখা মানুষদের দলে ও মোটেও পরে না। এরজন্যে আদ্রিয়ানের বকাও খেয়েছে এই কয়েকমাসে। তীব্র আর অরুমিতা অনেকটা এই টাইপেরই। অনিমা গালে হাত রেখেই হতাশ কন্ঠে অরুমিতাকে বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” কীরে তুই এভাবে সেন্টি খেয়ে আছিস কেন?”
অরুমিতা ওভাবে বসে ঠোঁট একটু ফুলিয়ে উদাসীন গলায় বলল,
” এইসব লেকচার শুনে যে কেউ সেন্টি খেয়ে যাবে।”
অনিমা চোখের পলক ধীর গতিতে একবার ফেলে বলল,
” কারেক্ট! এই লেজ ছাড়া বান্দর তোর কী হয়েছে?”
তীব্র প্রচন্ড দুঃখী দুঃখী কন্ঠে বলল,

” স্নেহার সাথে আবার ব্রেকআপ হয়েছে। এখন আবার রাত জেগে মশার কামড় খেতে হবে। কোন দুঃখে যে ঐ মেয়ের প্রেমে পরেছিলাম, আল্লাহ জানেন। নিজের কপাল নিজেরই পেটাতে ইচ্ছা করে।”
অনিমা আর অরুমিতা ফিক করে হেসে দিল। প্রফেসর গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন,
” সাইলেন্স!”

ওরা দুজনেই থেমে গেল। প্রচন্ড হাসি পেলেও হাসিটাকে চেপে রাখল ওরা। বন্ধুর দুঃখে হাসাটা মোটেও শোভনীয় নয়। দুঃখ পেতে হবে এখন। তাই মুখে সিরিয়াস ভাব এনে অনিমা বলল,
” ভাই, এবার কী নিয়ে?”
তীব্র অসহায় চোখে একবার অরুমিতা একবার স্নেহার দিকে তাকিয়ে হতাশ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল,
” কথায় কথায় বলে ফেলেছি যে বলিউড এক্ট্রেস কৃতি সানন কে হটপ্যান্টে সেই হট লাগে।”
অরুমিতা একটু ভাবুক হয়ে বলল,
” হটপ্যান্টেতো হটই লাগবে। তারপর?”

” তারপর আর কী? ব্রিটিশ স্টাইলে কতগুলো গালি শুনিয়ে ‘ব্রেকআপ’ বলে ফোন রেখে দিল। আর তোলে নি।”
কথাটা মুখ ফুলিয়ে বলল তীব্র। অরুমিতা আর অনিমা জোরেই হেসে দিল। সে কী হাসি! ফলসরূপ যা হওয়ার তাই হল। তিনজনকেই সসম্মানে ক্লাস থেকে বেড় করে দেওয়া হল। কিন্তু এতে ওদের ভাবান্তর হল না। বাইরে বেড়িয়ে অাবারও দমফাটা হাসি শুরু করল। তীব্র বিরক্ত হয়ে বলল,
” আমি এদিকে ফেঁসে আছি আর তোরা হাসছিস? তোরা বন্ধু না-কি শত্রু?”
ওরা এবার অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে নিল। অনিমা তীব্রর হাত ধরে বলল,

” আচ্ছা ভাই, দুঃখ পাসনা। চল ক্যান্টিনে চল।”
ক্যান্টিনে গিয়ে দেখল স্নেহা ক্যান্টিনে বসে আছে। ওর ডিপার্টমেন্টের ক্লাস আগেই শেষ তাই। অনিমা বলল,
” গাধা, গার্লফ্রেন্ডকে কেউ এসব বলে? যা গিয়ে মানা এবার।”
তীব্র ভীত মুখ করে বলল,
” ঐ যে সসের বতোল দেখতে পাচ্ছিস? ওটাই আমার মাথায় ফাটাবে ও, শিওর।”
অনিমা বিরক্তি নিয়ে বলল,
” এই সাহস নিয়ে প্রেম কর তুমি? দড়ি এনে দেই? কচু গাছের নিচে গিয়ে ঝুলে পর।”
অরুমিতা হেসে বলল,

” হ্যাঁ হ্যাঁ আমাদের অনিমাতো খুব সাহসী প্রেমিকা। তাইতো আদ্রিয়ান ভাইয়া এক ধমক দিলে উনি খরগোশ ছানার মত গুটিয়ে যান।”
অনিমা একটু থতমত খেয়ে গেল। তারপর ইতস্তত করে বলল,
” আমি কী ওনার সাথে প্রেম করেছি না-কি?”
” থাক বইন। লজ্জা পেতে হবেনা। এই গাধা যা গিয়ে ওর মান ভাঙা।”
তীব্রকে স্নেহার কাছে পাঠিয়ে অনিমা আর অরুমিতা পাশের একটা টেবিলে বসে পরল। অরুমিতা বসতেই অনিমা চোখ ছোট ছোট করে বলল,

” তোর কী খবর বলত? কদিন যাবত দেখছি মুড অফ?”
অরুমিতা একটু হেসে বলল,
” তেমন কিছু না, এমনিই।”
” শিওর?”
” হুম।”
এদিকে তীব্র স্নেহার মান ভাঙানোর জন্যে এটা ওটা বলছে। স্নেহা শুধু অন্যদিকে ঘুরে মেনুকার্ড দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলছে। তীব্র বারবার সেদিকে গিয়ে কার্ড নামিয়ে আবার কথা বলতে চাইছে। একপর্যায়ে স্নেহা রেগে সসের বোতল ছুড়ে মারতে গেলে তীব্র হেসে বলল,
” আরে আমিতো মজা করে বলেছি। কৃতি সাননকে আমার মোটেও পছন্দ না। হটপ্যান্টে বিচ্ছিরি লাগে। কী লম্বা লম্বা পা। ইশ!”

” ওও তুই লম্বা লম্বা পাও খেয়াল করেছিস? শালা, তোর নজরই খারাপ।”
” আরে নারে বাবা। আমার এতো লম্বা মেয়ে ভালোলাগেনা। আমারতো বেটে মেয়ে পছন্দ। তোর মত।”
স্নেহা রেগে বলল,
” আমি বেটে?”
তীব্র থতমত খেয়ে গিয়ে বলল,
” আমি সেটা বলতে চাইনি। আসলে, আই মিন টু সে আমার শুধু তোকেই পছন্দ। অন্যসব মেয়ের দিকে তাকাতেও ইচ্ছা করেনা।”
স্নেহা নিচু কন্ঠে বলল,
” সত্যি তো?”
” আমার শশুরের কসম।”

স্নেহা অন্যমনষ্ক থাকায় কথাটা ধরতে পারল না। তীব্র হাফ ছেড়ে বাঁচল যাক এই কথাটা অন্তত ধরে নি। স্নেহা নিচু কন্ঠে বলল,
” সরি এক্সেপ্ট করব যদি স্ট্রবেরি ফ্লেবারের আইসক্রিম খাওয়াস।”
” এক্ষুনি আনছি।”
বলে দ্রুত তীব্র আইসক্রিম আনতে গেল। স্নেহা সেদিকে তাকিয়ে মিটমিটিয়ে হাসছে।

এদিকে অনিমাদের এক ক্লাস সিনিয়র একটা মেয়ে এসে বসেছে অনিমাদের পাশে। বসেই প্যাচাল শুরু করেছে। একের পর এক প্রশ্ন করছে। আদ্রিয়ান কখন ওঠে? কী করে? কী খায়? কিভাবে চলে? সব। একবারতো বলেই ফেলেছে যে, ইশ!অনিমা তোমার জায়গায় আমি হলে কী ভালো হতো। ভাবলেই গা শিওরে উঠছে। অনিমার তখন ইচ্ছে করছিল ঐ মেয়ের মাথা ফাটিয়ে দিতে। বেয়াদব মেয়ে! ওর সামনে ওরই বরের সাথে সংসার করার স্বপ্ন দেখছে। লুচু মহিলা কোথাকার। রাগে গা জ্বলে যাচ্ছিল অনির। কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে চুপচাপ দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করেছে।

ভার্সিটি থেকে বেড় হয়ে আদ্রিয়ানকে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হয়ে গেল অনিমা। ড্রাইভার না পাঠিয়ে আদ্রিয়ান নিজে কেন এসছে আজ? আদ্রিয়ান আপাতত সেলফি আর অটোগ্রাফ দিতে ব্যস্ত। একটা লাল টি-শার্ট আর কালো জিন্স পরে আছে, চোখে সানগ্লাস। অনিমার দিকে চোখ পরতেই আদ্রিয়ান নিজের সানগ্লাস খুলে ফেলল। তারপর গার্ডদের ইশারা করতেই ওনারা সবাইকে অনেক কষ্টে সরিয়ে দিল। অনিমা হালকা দৌড়েই আদ্রিয়ানের কাছে গিয়ে বলল,

” আজ আপনি এলেন যে?”
” বলছি, আগে গাড়িতেতো ওঠো।”
অরুমিতা আর স্নেহা হেসে ফেলে একসঙ্গে বলল,
” এইযে জিজু, শুধু বউকে নিয়েই ঘুরবেন না-কি? মাঝেমাঝে শ্যালিকাদের নিয়েও একটু-আধটু ঘুরতে পারেন?”
আদ্রিয়ান হেসে বলল,

” অবশ্যই ঘুরব। হক আছে তোমাদের। আফটার অল, শালী আধি ঘরওয়ালী।”
বলে আদ্রিয়ান চোখ টিপ মারল। ওরা সবাই হেসে দিল। কিছুক্ষণ হাসিমজা করে অরুমিতা, তীব্র আর স্নেহাকে বিদায় দিয়ে অনিমা গাড়িতে উঠে বসল। আদ্রিয়ানও গাড়িতে উঠল। কিছু না বলে সিটবেল্ট না বেঁধেই গাড়ি স্টার্ট করল। এরপর খানিকটা এগিয়ে গিয়ে আদ্রিয়ান গাড়ি থামাল। অনিমা অবাক হল এমন জায়গায় থামানোতে। ও অবাক কন্ঠেই বলল,

” এখানে থামালেন যে?”
আদ্রিয়ান অনিমার প্রশ্নে পাত্তা না দিয়ে বলল,
” তোমার ঐ ক্রাশ টিচার। সে আজ তুমি যে কর্ণারে বসে ছিলে সেদিকে এরকম অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। হুয়াই?”
অনিমা অবাক হয়ে গেল। ও নিজেই তো জানতোনা এটা। অথচ এই ছেলের কাছে খবর চলে গেছে? বাহ! তবুও ও অবাক হয়েই বলল,

” মানে?”
” মানে, টিচার মানুষ চোখ থাকবে হোয়াইট বোর্ড আর বইয়ে। মাঝেমাঝে ফন্টে। একটা কর্ণারে এভাবে তাকাবে কেন?”
অনিমা বিরক্তি নিয়ে বলল,
” সেটা ওনাকেই জিজ্ঞেস করুন গিয়ে।”
আদ্রিয়ান গম্ভীর কন্ঠে বলল,
” প্রথম ক্লাসে আজকেও আবার দুষ্টুমি করেছিলে আর সসম্মানে বিতাড়িত হয়েছ তাইতো?”
অনিমা মাথা নিচু করে হাত কচলাতে কচলাতে বলল,
” ঐ আরকি। আজকের ফার্স্ট ক্লাসটা প্রচন্ড বোরিং ছিলো তাই__”
” আপনার কাছে ইন্টারেস্টিং কোন ক্লাসটা লাগে?”
হঠাৎ কিছু একটা মনে হতেই অনিমা বলল,

” বাই দা ওয়ে আপনি কীভাবে এসব জানলে?”
আদ্রিয়ান এবার অনিমার দিকে একটুখানি ঝুঁকে ওর কোমর ধরে কাছে এনে বলল,
” আদ্রিয়ানের দৃষ্টি সবসময় অনির ওপরেই থাকে।”
কথাটা আদ্রিয়ান এমনভাবে বলল যে অনিমা আপনাআপনি একটা শুকনো ঢোক গিলে ফেলল। তারপর কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলল,
” আপনি আসলেই বড্ড বেশি ভয়ংকর মানুষ, রকস্টার সাহেব।”
আদ্রিয়ান মুচকি হেসে অনিমার নাকে নাক ঘষে দিয়ে বলল,

” তাই?”
অনিমা চোখ বন্ধ রেখে বলল,
” হুম।”
আদ্রিয়ান অনিমার কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলল,
” তোমার জন্যে শুধু ভয়ংকর কেন? তারচেয়েও বেশিকিছু হতে পারি জানপাখি। তুমি শুধুই আমার। তোমার সবকিছুতে শুধুমাত্র আমার অধিকার আছে। তোমার হাসি, কথা বলা, তোমার সবকিছুতে আমি মুগ্ধ হব অন্যকেউ না। এই অধিকার শুধু আমার। বুঝলে?”
অনিমা কোন উত্তর দিলোনা। চোখ নামিয়ে রাখল। এখন বেশ লজ্জা লাগছে ওর আদ্রিয়ানের কথায়। আদ্রিয়ান অনিমার কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ে সিটবেল্ট বেঁধে দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বলল,

” তোমাদের ছুটিতো পরে গেছে! তাই আজ বাড়ি যাবো আমরা।”
” আপনাদের বাড়ি? মানে বাবা আর মামনীর কাছে?”
” হুম।”
” কিন্তু জামাকাপড়?”
” আমি সব প্যাকিং করে নিয়ে এসছি।”
” জাবিন?”
” আজ ওর একটু কাজ আছে। কাল অভ্র নিয়ে আসবে।”
” ওহ।”

” জি হ্যাঁ। আপনার বাবা আর মামনীর সাথে দেখা করিয়েই দেই। একয়েকদিনে তো ফোনে ফোনে কথা বলেই ওনাদের মনজয় করে ফেলেছ। এখন ফোন করলেই সবার আগে জিজ্ঞেস করে, ‘আমার মামনী কেমন আছে?’ এখন নিয়ে যাই সামনাসামনি। দেখি কত ভাব তোমাদের।”
অনিমা হাসল। সত্যিই ফোনে ফোনেই আদ্রিয়ানের বাবা মায়ের সাথে ওর বেশ ভাব হয়ে গেছে। খুব ভালো ওনারা। অনিমাকে সহজেই আপন করে নিয়েছে। রিমা আবরারের তো অনিমার সাথে দিনে দুবার কথা না বললে হয়ই না। অনিমা ফোনেই অনেকটা বুঝে গেছে ওনারা কেমন। অনিমা মুচকি হেসে বলল,

” আপনি খুব লাকি। এমন বাবা-মা পেয়েছেন।”
আদ্রিয়ান বলল,
” আই নো। কিন্তু ওনারা এখন থেকে তোমারও বাবা-মামনী। সো সেই এঙ্গেল থেকে তুমিও ভীষণ লাকি। এন্ড ইউ নো হোয়াট জানপাখি? আমি আরেক দিক দিয়েও লাকি। এইযে, তোমার মত বউ পেয়েছি। এটাও ভাগ্যের বিষয়।”

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ৩৯

অনিমা মাথা নিচু করে লাজুক হেসে আদ্রিয়ানের দিকে তাকাল। বাইরে থেকে আসা বাতাসে আদ্রিয়ানের কপালে পরে থাকা সিল্কি চুলগুলো দুলছে হালকা, লাল টিশার্ট ফর্সা শরীরে ফুটে উঠেছে। লাল জামা পরাতে বেবি পিংক সরু ঠোঁটটাতেও একেবারেই হালকা লালচে ভাব আসছে। ভ্রু জোড়া কোণাকুণিভাবে বাঁকিয়ে আশেপাশে গাড়ি লক্ষ্য করে করে সাবধানে স্মুথলি ড্রাইভ করছে। এভাবে ভ্রু বাঁকাতে অনিমা কাউকে তেমন দেখেনি বললেই চলে। কী অদ্ভুত স্টাইল ভ্রু বাঁকানোর।

কেমন কোণাকুণি এঙ্গেলে বাঁকায়। সবাই পারেও না এটা। কিন্তু এটা ওর কিউটনেস আরও বাড়িয়ে দেয়।লোকটা দেখতে শুধু সুন্দর নয়, তার মন, কথা বলার ধরণ, সবটা তার মতই সুন্দর। খুব ইচ্ছে করছে বলতে যে, আপনার মত স্বামী পাওয়া যে কতবড় সৌভাগ্যের ব্যাপার, সেটা আপনি জানেনই না। কিন্তু লজ্জার কারণে বলতে পারছেনা। হঠাৎ রিকের কথা মাথায় আসতেই অনিমা চিন্তিত হল। অনিমাকে হঠাৎ এরকম গোমড়া মুখে দেখে আদ্রিয়ান বলল,

” কী ভাবছ?”
অনিমা খানিকটা ইতস্তত করে বলল,
” আপনার খালাতো ভাইর আসার কথা ছিলোনা? কিন্তু আমরাতো বাড়ি যাচ্ছি। তাহলে__”
আদ্রিয়ান হেসে বলল,
” এই কথা? ও ঐ বাড়িতেই আসবে। আমি বলে দিয়েছি ওকে আমাদের ঐ বাড়িতে আসছে। চিন্তা করোনা।”
অনিমা আর কিছু বলল না। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইল। রিক আবার ঐ বাড়ি এসে কোন ঝামেলা করবে না-তো? যদিও ওর পাশে আদ্রিয়ান আছে। কিন্তু ঐ লোকগুলোকে ও ভরসা করতে পারেনা। ঐ লোকগুলো প্রয়োজনে কতটা হিংস্র হতে পারে ও তো তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ৪১