বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৩১

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৩১
লেখিকা: তানজিল মীম

ঘাবড়ানো মুখ নিয়ে তাকিয়ে আছে শুভ রিনির মুখের দিকে। বুকের ভিতর এক অজানা ভয় কাজ করছে তার ভিতর, না জানি সত্যি রিনি তাঁর কথা শুনে ফেললো নাকি। শুভকে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবারো বলে উঠল রিনি,
‘ আপনি কি এইমাত্র আমার নাম নিয়ে কিছু বলেছেন?’
রিনির কথা শুনে হাল্কা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠল শুভ,

‘ না হ্যাঁ না আসলে, না কিছু বলি নি শুধু বলেছি আকাশটা খুব সুন্দর আজকের তাই না রিনি।’
‘ ওহ, না আমি জানো অন্যকিছু শুনলাম এনিভে এখন আমায় যেতে হবে।’
‘ ওহ ওকে।’
‘ আপনি যাবেন না?’
‘ হুম যাবো আপনি যান?’
‘ ওকে বাই এন্ড থ্যাংক ইউ ফর ইয়োর এডভাইস।’
‘ ইট’স ওঁকে।’
উওরে রিনি আর কিছু না বলে চলে যায় তাঁর গাড়ির কাছে। তারপর গাড়ির ভিতর ঢুকে সিটব্লেট লাগিয়ে হাত নাড়িয়ে আর একবার শুভকে বাই জানিয়ে চলে যায় সে।’
শুভ কিছুক্ষন রিনির যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে আবার দৃষ্টি রাখে আকাশ পথে। তারপর জোরে এক নিশ্বাস ফেলে প্রচন্ড ভয় পেয়েছিল সে। না জানি তাঁর কথাটা শুনলে রিনি কি করতো?’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

পরেরদিন সকালে মাকে বিদায় জানিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বের হয় আহি। যাওয়ার আগে একবার সে তাকিয়ে ছিল তিন’তলায় ওঠা সিঁড়ির দিকে। আজ প্রায় চারদিন হয়ে গেল আহি একবারও দেখতে পায় নি নীরবকে। সেই ছাঁদে বসে যে নীরবের সাথে কথা হয়েছিল তাঁর সাথে তারপর আর দেখা হয়নি। তবে আহি বেশ বুঝতে পেরেছে অথৈ চলে যাওয়ার জন্যই নীরব ভাইয়া আপসেট। কারন সেদিন আন্টি বলে ছিল নীরব ভাইয়া নাকি দু’দিন যাবৎ রুম থেকেই বের হয় না। এই মুহূর্তে আহি আর নীরবের মনের অবস্থাটা হয়তো সেইম। আর বেশি ভাবলো না আহি নীরবের কথা ভাবলেই একটা অস্থিরতা আর খারাপ লাগা কাজ করে তার ভিতর। আহি জোরে শ্বাস ফেলে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলো এমন সময় হুট করে তাঁর সামনে চলে আসলো নীরব। ধাপ করে আচমকা নীরবকে দেখে চমকে উঠলো আহি সাথে বুকের ভিতর ধুকপুকানি বেড়ে গেল তার। আহি তাকালো নীরবের মুখের দিকে। একদমই অন্যমনস্ক আর অগোছালো লাগছে নীরবকে আহি বেশ বুঝতে পেরেছে নীরবের এমন অবস্থা কেন। আহি হাল্কা হেঁসে বললো নীরবকে,

‘ কেমন আছো ভাইয়া?’
‘ হুম ভালো তুই?’
‘ হুম ভালো তোমায় তো দেখাই যায় না সারাদিন থাকো কোথায়?’
আহির কথা শুনে হাল্কা হেঁসে বললো নীরব,
‘ আর বলিস না পড়াশোনার জন্য রুম থেকে বের হওয়াই হয় না।’
আহি নীরবের কথার ধরন দেখে বেশ বুঝতে পেরেছে নীরব মিথ্যে কথা বলছে। আহি হাল্কা হেঁসে বললো নীরবকে,
‘ ওহ তা এখন যাচ্ছো কোথাও নাকি ফিরছো?’
‘ দুটোই, আমার বহুবছর পুরনো এক বন্ধুর কাজিনের বিয়ে সেখানে যাবো আর কি?’
‘ ওহ?’
‘ হুম তবে যেতে চাই নি বুঝলি কিন্তু বন্ধুর জোরাজোরিতে যাওয়া লাগছে।’
‘ যাও কিছুদিন অন্য জায়গা থেকে ঘুরে আসলে তোমার মনটা ভালো থাকবে?’

আহির কথা শুনে নীরব বুঝতে পেরেছে আহি কিসের ইংগিত দিচ্ছে তাকে। নীরব ছলছল চোখে তাকালো আহির চোখের দিকে। আহি তক্ষৎনাত তাঁর দৃষ্টি সরিয়ে ফেললো নীরবের ওপর থেকে। তারপর নীরবের দিকে আর না তাকিয়েই চটজলদি বলে উঠল আহি,
‘ আমায় যেতে হবে ভাইয়া আর তুমিও যাও বাই?’
বলেই একপ্রকার দৌড়ে চলে আসলো আহি। হয়তো আর বেশিক্ষণ নীরবের সামনে থাকলেই তাঁর চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়াটা নীরব দেখে ফেলতো।’
অন্যদিকে নীরব ঠিকই বুঝতে পেরেছে আহি কেন এইভাবে চলে গেল। আহির জন্য প্রচন্ড খারাপ লাগছে নীরবের। সাথে নিজের জন্যও দু’দিন আগেই অথৈর এক ক্লাসমেটের কাছ থেকে নীরব জানতে পেরেছে অথৈ ভার্সিটি ছেড়ে চলে গেছে। অথৈ চলে গেছে এটা জানার পর থেকেই খুব বাজে সময় যাচ্ছে তাঁর, সাথে আহির জন্য খারাপ লাগছে। হয়তো আহিকে কষ্ট দেওয়ার জন্যই তাঁকেও কষ্ট পেতে হচ্ছে। কিন্তু সেই বা কি করতো সে তো আহিকে ভালোবাসে না। কখনো সেই নজরে ভাবেও নি আহিকে নিয়ে। ছোট্ট দীর্ঘ শ্বাস ফেললো নীরব তাঁরপর চটজলদি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো সে।’

মনখারাপ নিয়েই আস্তে আস্তে হাঁটছে আহি। চোখের কোনে পানি ভড় করেছে তাঁর। ভীষণ জোরে কান্না পাচ্ছে আহির। কিন্তু এই মুহূর্তে রাস্তার মাঝখানে বসে কান্না করাটা মোটেও পসিবল নয়। এই মুহূর্তে আহির মাথায় একটা কথাই আসছে,
ভালোবাসা মানুষকে যতটা না আনন্দ দেয় তাঁর থেকেও বেশি কষ্ট দেয়। এতদিন নীরবকে দেখলেই এক অদ্ভুত অনুভূতি হতো আহির সাথে অসম্ভব ভালো লাগা। কিন্তু আজ এই নীরবকে দেখলে যন্ত্রণা ছাড়া আর কিছুই হয় না আহির। চোখের কোনে পানিটা মুছে যেতে নিলো আহি। এমন সময় হুট করেই তাঁর সামনে এসে থামলো একটা গাড়ি। হুট করে এমনটা হওয়াতে প্রচন্ড ঘাবড়ে যায় আহি। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে আস্তে আস্তে তাকায় সে গাড়ির দিকে।
আহিকে গাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে আদ্রিয়ানও তাঁর গাড়ির জানালাটা খুলে ফেললো। গাড়ির কালো জানালাটা যেতেই ভিতরে আদ্রিয়ানকে দেখে অবাক হয়ে বললো আহি,

‘ আপনি?’
‘ হুম আমি। গাড়িতে বসো আমি তোমায় পৌঁছে দেই ভার্সিটি যাবে তো?’
‘ হুম ভার্সিটিই যাবো কিন্তু, আপনার গাড়ি লাগবে না আমি একাই যেতে পারবো।’
‘ তুমি এত কথা বলো কেন, বলো তো গাড়িতে বসতে বলেছি সো গাড়িতে বসো।’
‘ কিন্তু?’
‘ কোনো কিন্তু নেই কুইকলি আসো?’
আদ্রিয়ানের কথা শুনে কিছুটা বাধ্য হয়েই আহি বসলো আদ্রিয়ানের গাড়িতে। আহি বসতেই আদ্রিয়ান বলে উঠল,
‘ সিটবেল্ট লাগিয়ে নেও?’
আদ্রিয়ানের কথা শুনে আহিও হাল্কা চমকে উঠে বললো,
‘ হুম।’
তারপর তাড়াতাড়ি সিটবেল্ট লাগিয়ে নিলো সে। আহি সিটবেল্ট লাগানো শেষ হতেই আদ্রিয়ান তাঁর গাড়ি স্টার্ট দিলো। কিছুদূর এগোতেই আদ্রিয়ান বলে উঠল,
‘ এবার বলো কাঁদছিলে কেন?’
আদ্রিয়ানের কথা শুনে আহি অবাক হয়ে পাল্টা কিছু বলতে যাবে তাঁর আগেই আদ্রিয়ান বলে উঠল,
‘ আমি দেখেছি তাই নো এক্সকিউজ, কাঁদছিলে কেন শুধু সেটা বলো?’
‘ আসলে?’
‘ নীরবের সাথে দেখা হয়েছিল নাকি?’

এবার যেন আদ্রিয়ানের কথা শুনে অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে যায় আহি। আহি অবাক হয়েই বলে উঠল,
‘ আপনি কি করে বুঝলেন?’
‘ জাস্ট গেস করেছি, দেখা হয়েছিল নীরবের সাথে?’
উওরে উপর নীচ করে মাথা নাড়ায় আহি। আহির মাথা নাড়ানো দেখে আদ্রিয়ান এক নিশ্বাস ফেলে বললো,
‘ সত্যি বলতে কি এইসব ভালোবাসা টালোবাসার উপর বিন্দুমাত্র ধারনা নেই আমার। কিন্তু তারপরও কিছু কথা বলতে চাই তোমায়। দেখো সবার জন্য সবাই জন্মায় নায়। সবার প্রতি সবার ফিলিংসও হয় না। আমি যদি এই মুহূর্তে নীরবকে দোষ দেই তাহলে সেটা সম্পূর্ণই ভুল হবে। কারন ওর কোনো দোষ নেই তুমি ছোট বেলা থেকে নীরবকে যে নজরে দেখেছো ও তোমাকে সেই নজরে কখনোই দেখে নি। আগেই তো বলেছি সবার জন্য সবার ফিলিংস হয় না। নীরব ভালোবাসে অন্য আরেকজনকে, তাই অকারণে এইসব ভালোবাসা নিয়ে সময় নষ্ট করো না সাথে মনখারাপও কর না। তোমার জন্য কেউ না কেউ আছে যে তোমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে। হতে পারে তুমি এখন নীরবকে যতটা ভালোবাসো তাঁর থেকেও অন্যকেউ তোমায় বেশি ভালোবাসবে। তাই মন খারাপ করো না দেখবে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। ভুলে যাও নীরবকে, চেষ্টা করো ভুলে যাওয়ার দেখবে সব ঠিক গেছে।’

আদ্রিয়ানে কথাগুলো সব ভালো মতো শুনলেও শেষের লাইনটা শুনে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আহির। কি করে সে ভুলে যাবে নীরবকে। তার একটু একটু করে গড়ে ওঠা অনুভূতিগুলো কি এইভাবে ভুলে যাওয়া যাবে। আহি না চাইতেও তাঁর চোখ দিয়ে আপনাআপনি পানি গড়িয়ে পড়লো। আহিকে কাঁদতে দেখে আদ্রিয়ান আহির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ আরে আরে কাঁদছো কেন?’
উওরে কিছু বললো না আহি। আহিকে চুপ থাকতে দেখে আদ্রিয়ান তাঁর গাড়ি থামালো তারপর আহির দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে বললো,
‘ তুমি কাঁদছো কেন? আমি কাঁদার মতো কিছু বলেছি তোমায় আমি জানি তুমি নীরবকে অনেক ভালোবাসো কিন্তু ও তো তোমায় ভালোবাসে না। তাই এক্ষেত্রে ভুলে যাওয়াই ঠিক হবে তাই না।’
‘ আপনি এভাবে বলবেন না প্লিজ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।’
বলতে বলতে হেঁচকি উঠে যায় আহির। আহির কাজে আদ্রিয়ান আহির দু’গাল চেপে ধরে বললো,
‘ ঠিক আছে আমি আর কিছু বলবো না তুমি প্লিজ কেঁদো না। তোমায় বলেছিলাম না তুমি কাঁদলে তোমায় ভালো লাগে না।’
বলেই আহির চোখের পানি মুছে দিলো আদ্রিয়ান। আদ্রিয়ানের কাজে আহি শুধু কান্নাভেঁজা চোখ নিয়ে তাকিয়ে রইলো আদ্রিয়ানের মুখের দিকে।’
আদ্রিয়ান আহির চোখের পানি মুছে দিয়ে চটজলদি আবারো গাড়ি স্টার্ট দিলো।’

আহিদের ভার্সিটির সামনে এসে গাড়ি থামালো আদ্রিয়ান। ভার্সিটি চলে আসাতে আহিও নামতে নিলো গাড়ি থেকে। হঠাৎই আদ্রিয়ান বলে উঠল,
‘ তুমি হসপিটাল থেকে কয়টায় বের হও?’
হুট করেই আদ্রিয়ানের মুখে এমন কথা শুনে গাড়ির দরজা খুলতে নিয়েও থেমে যায় আহি। আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলে সে,
‘ মানে?’
‘ এখানে আবার মানে কিসের বলেছি হসপিটাল থেকে কয়টায় বের হও তুমি?’
‘ এই সাড়ে সাতটা থেকে আটটার ভিতর কেন বলুন তো?’
‘ ওঁকে সাড়ে সাতটার সময় আমি তোমার জন্য হসপিটালের বাহিরে অপেক্ষা করবো?’
‘ কেন বলুন তো?’
‘ সেটা না হয় তখন বলবো এখন যাও না হলে তোমার লেট হয়ে যাবে।’
উওরে আহি আর কিছু বলতে পারলো না গাড়ি থেকে নেমে যায় সে। আহি নামতেই আদ্রিয়ানও আর বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে চলে যায়।’
কিছু কাজের জন্য এদিকটায় এসেছিল আদ্রিয়ান। কিন্তু হঠাৎই আহিকে এদিকে আসতে দেখে সাথে ওর চোখে দেখে বেশ বুঝতে পেরেছে আদ্রিয়ান আহি কোনো কারনে আপসেট। তাই তো গাড়ি থামিয়ে আহিকে গাড়িতে উঠানো। নীরবের বিষয়টা জাস্ট গেস করেই বলেছিল আদ্রিয়ান। তবে নীরব কানেক্টেট কোনো বিষয় নিয়েই কাঁদছিল আহি। এটা বেশ বুঝতে পেরেছিল আদ্রিয়ান। আর বেশি কিছু ভাবলো না আদ্রিয়ান চটজলদি গাড়ি নিয়ে এগোতে লাগলো সে।’

দুপুরের কড়া রোদ্দুরে পেরিয়ে ছাউনি ভরা গাছেদের ভিঁড়ের ভিতর দিয়ে হাঁটছে অথৈ। কাল সন্ধ্যা রাতের দিক দিয়ে তাঁর কাকিমার বাড়ি এসে পৌঁছেছে তাঁরা। পুরো সকালটা ঘুমিয়েই কাটিয়েছে অথৈ।’
আর বর্তমানে অথৈ সেই রাস্তাটা দিয়েই যাচ্ছে যেখান থেকে প্রথম তাঁর অনুভূতি ঘেরা চশমা পড়া ছেলেটিকে দেখেছিল সে। গ্রীন কালার জর্জেট থ্রি-পিচ, খোলা চুল, হাতে হাল্কা পাতলা কিছু চুড়ি সাথে চোখে চশমা পড়ে এগোচ্ছে অথৈ। আজও সে সেই টংয়ের দোকানের উদ্দেশ্যে হাঁটছে কিছু লজেন্স কেনার জন্য। আশেপাশের পরিবেশ তাঁকে বার বার সেই ছেলেটাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। যদিও এগুলো এগুলো নতুন কিছু নয় অথৈ যতবারই এখানে আসে ততবারই সেই ছেলেটাকে মনে পড়ে তাঁর। সেই রাস্তা, সেই ফুলগাছ, সেই বাতাস, সেই নদীর তীর। সবকিছুই প্রায় একিরকমই আছে। অথৈ ছোট্ট শ্বাস ফেলে এগিয়ে গেল দোকানটার দিকে। কিন্তু আজও তাঁর ভাগ্য খারাপ কারন দোকানটা বন্ধ। অথৈ বেশ হতাশ হয়ে বললো,

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৩০

‘ আজকেও বন্ধ। ধুর এই দোকানটা অলওয়েজ বন্ধই থাকে নাকি যখনই একা আসি তখনই বন্ধ ধুর ফালতু।’
বলেই বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে উল্টোদিক ঘুরে আবারও হাঁটা দিলো অথৈ। এমন সময় আচমকা একটা জোরে বাতাস আসলো। বাতাসটা এতটাই তীব্র ছিল যে অথৈর চোখে কিছু ধুলো ঢুকে যায়। চোখে কিছু যেতেই অথৈ তাঁর চোখের চশমাটা খুলে চোখ ডলতে লাগলো। এরই মাঝে তাঁর উল্টোদিক দিয়ে সাইকেলের বেল বাজার শব্দ আসলো। অথৈ বেশ হতাশ হয়ে আস্তে আস্তে চোখ খুলে সামনে তাকালো। কেউ একজন সাইকেল চালিয়ে তাঁর দিকেই আসছে। চোখে ধুলো পড়ায় ঠিকভাবে ছেলেটির চেহারারা দেখতে পারছে না অথৈ। পর পর কয়েকবার পলক ফেলে চোখের চশমাটা পড়ে আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকাতে লাগলো অথৈ। এবার সব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে সে। অথৈ ধীরে ধীরে তাকাতে লাগলো সামনের ছেলেটির মুখের দিকে। ছেলেটির ফেস দেখেই থমকে গেল অথৈ।’

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৩২