বেলা শেষে পর্ব ৪

বেলা শেষে পর্ব ৪
মেঘাদ্রিতা মেঘা

_সরুন বলছি,সরুন।
ছাড়ুন আমাকে।
আদ্র ভাইয়া অনুদ্রিতার চোখে চোখ রেখে বলে,
_ধরেই যখন ফেলেছি,
সহজে ছাড়ছিনা।
সরি বলো,

_সরি?
কিসের সরি?.
_আমার সাথে যে রুড বিহেইভ করেছো সেই জন্য।
_ইশ আমার বয়েই গেছে।
_ছাড়ুন আমাকে নয়তো আমি চিৎকার দিবো কিন্তু।
_আদ্রিতা,কে এসেছে মামণি।
_আম্মু দেখোনা,আসো এখানে।
আদ্র দ্রুত অনুদ্রিতাকে ছেড়ে দেয়।
আর বলে,তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
আসলে আদ্রিতা,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ভাইয়া কথা সম্পূর্ণ করার আগেই আব্বুর ২য় স্ত্রী চলে আসেন।
_তুমি?তুমি আবার এসেছো?
_জ্বী আসসালামু আলাইকুম।
_কি জন্য এসেছো?
_আমার একটু ফুফার সাথে কথা ছিলো।
_কি কথা শুনি,

_ফুফা কি অফিস থেকে বাসায় ফিরেছেন?কখন ফিরবেন?তাকেই বলবো।
_আব্বুর শরীর টা ভালো না,তাই আজ তাড়াতাড়ি চলে এসেছেন।
আমি আব্বুকে ডেকে দিচ্ছি।
কথা বলে দ্রুত চলে যাবেন।
_দেখা যাক,তুমি ডাকো আগে।
অনুদ্রিতা আব্বুকে ডেকে দেয়,
আব্বু এসে দেখেন আদ্র ভাইয়া এসেছে।
আদ্র ভাইয়াকে দেখেই আব্বু বলেন,

_কেমন আছো আদ্র?
_আসসালামু আলাইকুম ফুফা,আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
শুনলাম আপনার শরীর টা নাকি ভালোনা,
_ওই তো বয়স হচ্ছে এখন একটু এরকম হবেই।
তা তুমি কি মনে করে এলে?

তোমার ফুফু পাঠিয়েছে?
কোন লাভ হবেনা,ও যে অন্যায় করেছে ওর মাফ নেই।
_না ফুফা,আমি ওই জন্য আসিনি।
আপনাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আমি আসতে চাইনা।
আপনাদের যা ভালো মনে হয় করুন।
আমি তো এসেছি আমার দরকারে।
_কি দরকার বলো,

আসলে ফুফা আমি একটা চাকুরীর পরীক্ষা দিবো,আর তার জন্য আমাকে কিছু দিন কোচিং করতে হবে।
কোচিং সেন্টার টা আপনাদের বাসা থেকে কাছে।
সেই জন্য চাচ্ছিলাম আমি কিছু দিন এখানে থাকতে।
যদি আপনি অনুমতি দেন তবেই।
তবে আমার উপকার হতো।
_এ আবার বলতে হয় নাকি,
দোষ তোমার ফুফু করেছে।
তুমি বা ভাই ভাবীতো করো নি যে আমি তোমাদের সাথেও বাজে ব্যবহার করবো।
সম্পর্ক নষ্ট করে দিবো।

থেকে যাও,তোমার যত দিন ইচ্ছা তত দিন।
যখন ইচ্ছে তোমরা আসবে,থাকবে বেড়াবে।
নিজের বাড়ী মনে করে।
কোন সংকোচ করবেনা কেমন?
তোমার কিছু দরকার হলে আদ্রিতাকে বলো কেমন?
তাছাড়া কাজের মহিলাও আছে তাকেও বলতে পারো।
_অনেক ধন্যবাদ ফুফা।

আমি তাহলে কোন রুমটাতে থাকবো?
_আদ্রিতা, আমাদের গেস্ট রুম টা দেখিয়ে দাও তো ওকে।
_আব্বু আমিইই?
_তোমার দেখাতে হবেনা মামণি,আমি নিয়ে যাচ্ছি।
আদ্র ভাইয়া যে ওই বাসায় থাকবে,আব্বুর ২য় স্ত্রীর তা পছন্দ না হলেও না করতে পারেন না।
কারণ আব্বুর চোখে তাহলে সে খারাপ হয়ে যাবেন।
তিনি গিয়ে আদ্র ভাইয়াকে গেস্ট রুম দেখিয়ে দেন।

_তোমার যখন যা প্রয়োজন হয় তুমি আমাদের কাজের মহিলাকে বলবে।
আর ইমারজেন্সি কিছু প্রয়োজন হলে আমাকে ডাকবে।
আদ্রিতাকে ভুলেও ডাকবেনা।ওর সাথে কোন কথা বলারও চেষ্টা করবেনা।
তোমাদের মত ইয়াং ছেলেদের দিয়ে কোন বিশ্বাস নেই।
_কি বলছেন আপনি?আদ্রিতা আমার ফুফাতো বোন।
ছোট থেকে দেখে আসছি।

ওর সাথে কথা বলবোনা?
_ফুফাতো বোন,কিন্তু আপন না।
পালিত।
তাছাড়া এখন তো তোমার ফুফুও এ বাড়ীতে নেই।
তাই আদ্রিতা এখন শুধু আমার মেয়ে।
আমারই ওকে দেখে শুনে রাখতে হবে।

তাই যা বললাম,মনে রেখো।
_দেখা যাবে।আপনি এখন আসুন।
আমি ফ্রেশ হবো।
_হ্যাঁ যাচ্ছি।
আব্বুর ২য় স্ত্রী চলে যান।
আদ্র ভাইয়া আমাকে ফোন দেন।

_হ্যাঁ ভাইয়া বলো,কি অবস্থা?
আদ্রিতারে বাসায় তো এসে গেছি।
ফুফা থাকতেও অনুমতি দিয়েছেন।
কিন্তু ওই মহিলা তো সাফ সাফ না করে দিয়ে গেলো আমি যেন আদ্রিতা মানে অনুদ্রিতার সাথে কোন কথা না বলি।
আমার মত ইয়াং ছেড়েদের সে নাকি বিশ্বাস করেনা।
কিন্তু আমিতো জানি,এখানে ঘাপলা আছে।

_আরে বুঝোনা সে ভাবতেছে তোমার সাথে যদি অনুদ্রিতা মিলে যায়,সেতো জানে ওটা আমি।
আর তারপর যদি তোমরা মিলে কোন প্ল্যান করো।
আম্মুকে বাসায় নিয়ে যাও।
ওই মহিলা কম চালাক না বুঝছো?
নইলে আমার আব্বুকে এভাবে ফাঁ সি য়ে বিয়ে করে?
চালাক বলেই পেরেছে।
আচ্ছা অনুদ্রিতার কেমন ব্যবহার দেখলে?

_আরে আমি ওকে কিছু বলতে যাবো তোদের ব্যাপারে, আর তখনই ও আম্মু আম্মু করতে লাগলো।
আর মহিলা এসে হাজির।
তোর বোন তো আমাকে সহ্যই করতে পারেনা।
আর কি জানি,ওকে আমার তেমন সুবিধারও মনে হচ্ছেনা।
আমার তো মনে হচ্ছে আমাদের চেয়ে আরো বড় কোন প্ল্যান করে ও বাসায় ঢুকেছে।
_ধুর কি যে বলো।

ও আমাকে খুঁজতেই বাসায় এসেছে।
আর কি প্ল্যান করে আসবে?
তুমি একটু বেশিই ভাবছো।
_নারে আমার মনে হয়না আমি বেশি ভাবছি।
_তাহলে এখন কি করতে চাইছো?
_আমি চাইছি ওকে আপাতত কিছুই বলবোনা।
আগে ওর ভাবসাব বুঝার চেষ্টা করি।
তারপর দেখি শেষ পর্যন্ত জল কোথায় গড়ায়।

_আচ্ছা ভাইয়া,তোমার যা ভালো মনে হয় তাই করো।
_আচ্ছা ফুফুকে তাহলে চিন্তা করতে না করিস।
বলিস ফুফা আমার সাথে কোন রকম খারাপ ব্যবহার করেন নি।
বরং বলেছেন আমি যেন নিজের বাড়ী মনে করেই থাকি।
তোকে অবশ্য বিয়ে করলে নিজের বাড়ীই তো হয়ে যেতো।
ওই যে মানুষ করেনা,

মামাতো ফুফাতো,চাচাতো চাচাতো,খালাতো খালাতো।
হয় তো এমন বিয়ে।
অন্তত এই বিশাল বাড়ীর অর্ধেক মালিক তো হতে পারতাম।
করবি নাকি আমাকে বিয়ে?
_ভাইয়া তুমি না।
লোভী একটা।

আম্মুকে বলে দিবো কিন্তু।
যাও তোমার নিজের কাজে মন দাও,যে কাজের জন্য গিয়েছো তুমি।
_আচ্ছা রাখছি,
তবে তুই চাইলে কিন্তু পারিস এ বাড়ীর মালিক আমায় বানাতে।
ভেবে দেখিস।
_হি হি হি বুঝেছি তোমার মামার হাতের মা*র খাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে।
দাঁড়াও মামাকে বলে আসছি।

_ওই না না,রাখছি রাখছি।
আদ্র ভাইয়া ফ্রেশ হয়ে নেয়।
কাজের মহিলা ভাইয়ার জন্য নাস্তা নিয়ে যায়।
ভাইয়া ভাবছে কিভাবে অনুদ্রিতার মনের খবর জানতে পারবে।
আর কিভাবেই বা আমাদের প্ল্যান সাক্সেস হবে।
ভাইয়া নাস্তা করে ছাদে যায়।

গিয়ে দেখে একটা মেয়ে ফুল ধরে ছবি তুলছে।
আদ্র ভাইয়াকে দেখে তার হাত থেকে ফোন টাই পড়ে যায়।
হা করে তাকিয়ে থাকে সে আদ্র ভাইয়ার দিকে।
_ও হ্যালো,আপনার ফোন।
_ওহ সরি।
কে আপনি?
_আমি আদ্র,আদ্রিতার মামাতো ভাই।
আপনি?

_আমি অধরা,এটা আমার দুলাভাই এর বাসা।
_ওহ আপনি তাহলে আমার ফুফুর সতীনের বোন?
_এভাবে বলছেন কেন?আপনি আমাকে অধরা বলে ডাকবেন।
_আমার তো মনে হয় আপনি আমার দুই চার বছরের বড় হবেন।
_দুই চার বছর আজ কাল কোন ব্যাপার না।
দেখোনি প্রিয়াংকা চোপড়ার বর প্রিয়াংকা চোপড়ার থেকে ১০ বছরের ছোট।
ওহ যা তোমাকে তুমি বলে ফেল্লাম।

_আমি কি বললাম,আর আপনি কি বলছেন?
মাথায় কি কোন সমস্যা আছে নাকি আপনার?
_আরে নাহ।সমস্যা কেন থাকবে?
তুমি আমাকে অধরা বলে ডাকবে।
আর তুমি করে বলবে।

_কেন?
_কারণ তোমাকে আমার ভালো লেগেছে।
_মানে?
_হুম।
_কিন্তু সম্পর্কে তো আপনি আমার আন্টি হন।
_রাখো তোমার আন্টি।
আপন আন্টি তো আর না।
কোথাকার তালতো আন্টি।

_নাহ আপনার মাথায় আসলেই কোন সমস্যা আছে, আমি যাইইই
এই বলে আদ্র ভাইয়া দৌড়ে সিড়ি দিয়ে নামতে যায় আর অনুদ্রিতার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতে লাগে।
সেই সময় অনুদ্রিতা আদ্র ভাইয়ার হাত ধরে ফেলে।
আর বলে,ইচ্ছে তো করছে ছেড়ে দেই।
কিন্তু গেস্ট দের আমরা অসম্মান করিনা।
তাই ছাড়লাম না।
এরপর থেকে দেখেশুনে চলবেন,
আপনাকে ধরার জন্য সব সময় আমি তো থাকবোনা।

_কেন থাকবেনা?
থেকো,আমার পাশে পাশেই থেকো।
শত হলেও মামাতো ভাই আমি তোমার।
আমার খেয়াল রাখা তোমার দায়িত্ব নাগিন।
_ছেড়ে দেবো হাত?
_মন চাইলে দাও।
সিনেমায় নায়ক নায়িকাকে এভাবে বাঁচায়।
আর বাস্তবে নায়িকা নায়ককে বাঁচাচ্ছে।
সো সুইট।

_আপনি আসলে একটা পা গল।
যান তো এখান থেকে।
এই বলে অনুদ্রিতা আদ্র ভাইয়ার হাত ছেড়ে ছাদে চলে যায়।
আদ্র ভাইয়াও অনুদ্রিতা ছাদে যায় বলে আবার ছাদে যায়।
আদ্র ভাইয়া যাবার পর আবারো অধরা আন্টি ভাইয়ার কাছে আসে।
এবার আদ্র ভাইয়া অনুদ্রিতার পেছনে গিয়ে বলে,
আমাকে বাঁচাও।
এই মহিলা আমাকে জ্বালিয়ে মারছে।

_কি আমি মহিলা?
_না সরি আন্টি।
_হা হা হা
_অধরা তুমি হাসছো?
_আন্টিই তো লাগেন আপনি আন্টি।
আন্টি বললে সমস্যা কি?
_তোমার আন্টি হই ঠিক আছে।
কিন্তু ও আমাকে অধরা বলে ডাকবে।
আমি ওকে অনুমতি দিয়েছি।

_হি হি হি তাই নাকি?
তাহলে ডাকুন আন্টিকে অধরায়ায়া বলে।
আমি নিচে যাই।
কাবাব মে হাড্ডি হবার ইচ্ছে নাই।
এই বলে অনুদ্রিতা নিচে নেমে যায়।
আদ্র ভাইয়াও অধরার পেছন পেছন নিচে নামতে থাকে,আর বলে তোমার সাথে আমার একটু কথা ছিলো।
_কিন্তু আপনার সাথে আমার কোন কথা নেই।
_কেন নেই?

ফুফার যেখানে আমার সাথে কোন সমস্যা নেই।সেখানে তোমার কি সমস্যা?
_আমার অনেক সমস্যা।
_কি সমস্যা সেটাই তো জানতে চাচ্ছি।
আদ্রিতা,
তুমি ওই ছেলের সাথে কি করো?
এদিকে এসো আমার কাছে এসো।
_আম্মু আমি একটু ছাদে গিয়েছিলাম।
সেও গিয়েছিলো।
এই আরকি।

_তোমাকে যেন ওই ছেলের আশেপাশে আমি আর না দেখি।
_আমারো কোন ইচ্ছে নেই আম্মু।
_তাহলে যাও তোমার রুমে যাও।
অনুদ্রিতা অনুদ্রিতার রুমে চলে যায়।
আদ্র ভাইয়াও আদ্র ভাইয়ার রুমে চলে যায়।
রাতে আব্বু আদ্র ভাইয়াকে খেতে ডাকেন।
তারা সবাই মিলে এক সাথে খাওয়াদাওয়া করেন।
আব্বু আদ্র ভাইয়াকে বলেন,

_কোন সমস্যা হচ্ছে নাতো আদ্র?
_না ফুফা,কোন সমস্যা হচ্ছেনা।
_কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাবে।
_আমি একটা কথা বলতে চাইছিলাম,
_জ্বী আম্মা বলেন।
_আমি আবার লুকায় লুকায় কোন কথা বলতে পারিনা,তাই সামনাসামনি বলছি। বলছিলাম কি,এমন ইয়াং একটা ছেলেকে কি বাসায় রাখা ঠিক?
যেখানে তোমার নিজের একটা মেয়ে আছে বাসায়।

_ছি!আম্মা এসব কি বলছেন আপনি?
আপনি ভুলে যাবেন না আদ্র আর আদ্রিতা মামাতো ভাই বোন।
আমি যেন ২য় বার এ নিয়ে কোন কথা না শুনি।
মেজাজ টাই খারাপ করে দিলো।
এ কথা বলে আব্বু উঠে চলে যান।
আদ্র ভাইয়াও উঠে তার রুমে চলে যায়।
রাতে সবাই ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়ে।
আদ্র ভাইয়ার রুম আর আব্বুর ২য় স্ত্রীর মায়ের রুম পাশাপাশি।
আদ্র ভাইয়া পানি আনতে নিচে নামতে যায় আর পাশের রুম থেকে শুনতে পায়,

_মা তুমি এসব কি বললে?
যেখানে আমি নিজে চুপ করে আছি যাতে উনার চোখে খারাপ না হই।
আর তুমি কিনা সবার সামনে,
পাগল হয়ে গেছো নাকি?
নাকি জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পেয়েছে?
_সবই ঠিক আছে আমার।
তুই কি বুঝতে পারছিস না এই ছেলে নিশ্চিত কোন বুদ্ধি খাটিয়ে এসেছে?
আদ্রিতার আব্বা বোকা বলে সব বিশ্বাস করেছে।

_আমি সবই বুঝেছি।কিন্তু আমি কিছু বলে আদ্রিতার আব্বুর চোখে খারাপ হতে চাইনি।
তাছাড়া আমি ওই ছেলেকে আর আদ্রিতাকেও দুজন দুজনের সাথে কথা বলতে না করে দিয়েছি।
আর আমি তো চোখে চোখেও রাখছি।
ওই ছেলে একা কিছুই করতে পারবেনা।
আদ্রিতা সাথ না দিলে।
আর আদ্রিতা এখন আমি বলতে ফিদা।

_ওই মেয়ের হাবভাব ও আমার ভালো লাগছেনা।
আগেতো তোকে দেখতেই পারতোনা।
যেই না ওর মা চলে গেলো তোকে ছাড়া কিচ্ছু বুঝেনা।
_আরে বুঝোনা,আপন মা তো ছিলোনা ওর।
ওর এক মা হলেই হলো।
ওর দরকার আশ্রয়।বাড়ী।
তাই আরকি।

_আর তুই যেভাবে ওকে কোলে তুলে নাচতেছিস,আমিও তো তোর ভাবমতি কিছুই বুঝতে পারছিনা।
_আরে মা আমি ওকে আমার বশে আনছি।
অর্ধেক বাড়ী ওর নামে শুনোনি তুমি?
আমিতো ওর আব্বুর সাথেও এমন ভাব করি,যেন তাকে ছাড়া কিচ্ছু বুঝিনা।
কত ভালবাসি আমি তাকে।
কিন্তু সত্যি কি তাই?

আমার না দরকার মেয়েকে আর না দরকার মেয়ের বাবাকে।
আমার তো দরকার টাকা,আর সম্পত্তি।
যেদিন পেয়ে যাবো।
সেদিন এই দুটোকে ধাক্কা মেরে বাড়ী থেকে বের করে দিবো।
আর এ বাড়ী হবে আমার।

_শুধু স্বপ্নই দেখিস না।
প্ল্যান মত কাজও করিস।
_করছি মা।তুমি কোন ঝামেলা সৃষ্টি করোনা।
এত কষ্ট করে সব আয়ত্তে আনছি।
_আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি আর কিছু করবোনা।
_আমি যাচ্ছি তাহলে।
_যা।

আদ্র ভাইয়া সব শুনে পানি আনতে চলে যায়।
কিন্তু গিয়ে দেখে অমুদ্রিতা ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে।
আর বলছে,

_আপনি কোন চিন্তা করবেন না।
আপনি যেইভাবে বলেছেন।
আমি ঠিক সেই ভাবেই কাজ করছি।
আমরা আমাদের উদ্দেশ্যে সফল হবোই ইনশাআল্লাহ।
আদ্র ভাইয়া অবাক হয়ে যায় অনুদ্রিতার কথা শুনে।

বেলা শেষে পর্ব ৩

আর ভাবতে থাকে,অনুদ্রিতা কার সাথে কথা বলছিলো।
তাহলে কি অনুদ্রিতা কোন প্ল্যান নিয়ে এ বাসায় ঢুকেছে?
আর ফোনের ওই প্রান্তের বিগ প্ল্যানার টা কে?

বেলা শেষে শেষ পর্ব