ভালোবাসার ফোড়ন গল্পের লিংক || লেখনিতে : মিমি মুসকান

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ১
লেখনিতে : মিমি মুসকান

বিয়ের সাজে খাটের এক কোণে গুটিসুটি মেরে বসে আছি আমি, আর দেখে যাচ্ছি আমার সামনে চেয়ারে বসে থাকা লোক’টার দিকে। লোকটা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর সিগারেট খাচ্ছে। আমি এতো ভয়ের মধ্যেও গুনে দেখলাম উনি এই ২০ মিনিটে ৮ সিগারেট খেয়ে ফেলেছে, এবার ৯ নাম্বার টা মুখে দিয়েছে। এতোক্ষণ যে বিয়ে বাড়ি বিয়ের সাজে সেজে ওঠেছিল এখন তা নিস্তব্ধ হয়ে আছে। খানিকক্ষণ আগেও দরজার বাইরে থেকে আমার মামী’র আওয়াজ শুনতে পারছিলাম কিন্তু এখন আর পাচ্ছি না। বোধহয় উনার লোকগুলো মামা আর মামী কে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছেন।

হ্যাঁ লোকটা কে আমি চিনি, উনার নাম আহিয়ান চৌধুরী। দেশের একজন বড় বিজনেসম্যান কবীর চৌধুরী’র ছোট ছেলে। কিন্তু আমি এটাই বুঝে ওঠতে পারছি না উনি আমাকে এভাবে এখানে কেন আটকে রেখেছেন? কি চাইছেন উনি? উনাকে দেখে ভয়ে আমার মুখ থেকে কোনো কথাই আসছে না।
কিছুক্ষণ আগে…

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

বিয়ের আসরে বসে ছিলাম। আজ আমার বিয়ে কিন্তু বিয়েটা আমার অমতে দেওয়া হচ্ছিল। তবুও ভাগ্যের এই পরিহাস কে মেনে নিয়েছিলাম কারন একটাই আমি অনাথ।‌‌ আর আমার মতো অনাথ মেয়ে’টা এতো দিন আমার মামা মামী বড় করেছে আর এখন এই বোঝা কে সরানোর জন্য তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠেছে, তাই তো আমার থেকে বয়সে ৩ গুন বড় একজন লোকের সাথে টাকার লোভে আমার বিয়ে ঠিক করেন। আমি না চেয়েও বিয়েতে রাজি হয়ে গেলাম। ভাগ্যের হাতে সবকিছু ছেড়ে দিলাম।

কবুল বলতে যাবো ঠিক তখন’ই কতো গুলো কালো রঙের গাড়ি এসে থামে। সবাই অবাক! আর অবাক হবার’ই কথা কারন হলো আমাদের মতো বাড়িতে এতো দামি গাড়ি এসে থামল কেন? এর মানেই কিছু গন্ডগোল আছে? সবাই সমালোচনা করতে ব্যস্ত হয়ে গেল।

গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নামল, সকলের পোশাক এক। মনে হচ্ছে তারা গার্ড। তারা গাড়ির দরজা খুললে একটা লোক বের হন। তিনি হাঁটতে হাঁটতে আমার সামনে এসে দাঁড়ান,আমি রীতিমতোতাকে দেখে চোখ কপালে তুলে গেল কারন এটা আহিয়ান ছিলেন। উনি আমার অবাকের সীমা পার করে দিলেন যখন সবার সামনে আমার বাহু ধরে বিয়ের আসর থেকে নামিয়ে দিলেন। আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম। বোঝার চেষ্টা করতে লাগলাম আমার ভাগ্য আমাকে নতুন কি দেখায়।

এভাবে সকলের সামনে আমার বাহু ধরে নামানোতে আমার মামা এসে উনা’র কাছে যেতে নিলে গার্ড’রা আমার মামা কে আটকে দেন। সকলের সামনে আমাকে টেনে নিয়ে আসেন আমার ঘরে। আমার কোনো চিৎকার’ই হয়তো উনার কানে পৌঁছায় নি নয়তোবা উনি কানে তুলেন নি।

ঘরে এসে আমাকে বিছানায় ছুড়ে মেরে দরজা আটকে দিলেন। উনার এমন কাজে আমার ভয়ে আমার শরীর শিউরে উঠলো। কি করতে যাচ্ছেন তিনি। ভয়ে আমি বিছানায় এক কোনে হাত পা গুটিয়ে বসে পরলাম। কিন্তু উনি আমার ভাবনা’র ছেদ ঘটিয়ে উনি একটা চেয়ার টেনে বসে পরলেন আমার সামনে। তারপর এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে পকেট থেকে একটা সিগারেট বের পরে তাতে আগুন ধরিয়ে দিলেন। আমি উনাকে দেখেই যাচ্ছি।
ভয় হচ্ছে খুব! হবার’ই কথা, উনি যে আমার ওপর তার ঝাল মিটাচ্ছেন এটা আমি এখন বুঝেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো কোনো খারাপ মতলব আছে উনার। কিন্তু এতোক্ষণে যখন আমার কাছে আসে নি তারমানে উনি শুধু আমায় কলঙ্কিনী করতে চায় তাই এমন’টা করছে। একটা চড়ের বদলা এভাবে নেবে ভাবতে পারি নি। কিন্তু আমি তো উনার কাছে ক্ষমা চেয়েছি তারপরও এতো রাগ দেখাচ্ছেন উনি। কিন্তু আমাকেও তো কম অপমান করেন নি উনি। তাহলে এতো কিসের অহংকার উনার।

যাহ এতোকিছুর মধ্যে নিজের পরিচয় টা দেওয়া হয় নি। এতো কিছু বলে ফেললাম আর এটাই বলিনি। তাহলে কি করে হবে.. আমি নিহারিকা নিহা। অর্নাসের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। প্রথমেই বলেছি আমি অনাথ। ছোটবেলায় কার এক্সিডেন্ট এ মা বাবা দুজনেই মারা যান। আত্নীয়- স্বজন বলতে শুধু দাদি আর মামা মামী ছিলেন। কিন্তু আমার দাদি ও আমাকে ধোঁকা দেন তাই শেষমেষ মামা মামী দের কাছে চলে আসি। আমার একটা মামাতো ভাই ও আছে। ও খুব ছোট। ৭ বছর বয়স ওর। নাম হলো শুভ। এই পৃথিবীতে আমাকে শুধু ও’ই ভালোবাসে।
আমার ঘোর কাটল যখন দেখলাম উনি আমার কাছে আসছেন। আমি শুকনো ঢোক গিলে পিছনে যেতে লাগলাম। উনি আমার দিকেই আগাচ্ছেন।ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।ভয়ে এখন গলা দিয়ে আওয়াজ বেরুচ্ছে না।‌ উনি খাটের এক পাশে আমি খাটের অন্যপাশে। উনি আমার হাত ধরে নিজের দিকে টানতে লাগলেন। এবার আমি কান্না করে দিলাম। উনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন।

আমি নিঃশব্দে কাঁদছি, উনি হুট করেই খাটের এপাশে চলে এসে আমার বাহু ধরলেন। ভয়ে আমি লাফিয়ে উঠলাম। অনেক ছাড়বার চেস্টা করছি কিন্তু পারছি না। উনার কাছ থেকে সিগারেটের বিছরি গন্ধ আমার নাকে আসছে। অনেক ছোটাছুটি করছি আমি। কিন্তু উনি ছাড়ছেন না। আমার হাত দুটো ধরে নিজের কাছে আনলেন। এখন আরো বেশি করে বাজে গন্ধ’টা পাচ্ছি। খুব কাঁদছি আমি। আমি উনার কাছে কাকুতি মিনতি করেই যাচ্ছি কিন্তু উনা আমায় ধারছেন না। উনার এক হাত আমার দিকে বাড়ালেন আমি ‌ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেই। হঠাৎ করেই ঠোঁটে কিছু’র অনুভব করি। সাথে সাথে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি উনি রুমাল দিয়ে আমার ঠোঁটের লিপস্টিক মুছছে। আমি আকস্মিক ভাবে তাকিয়ে দেখছি।

এই লিপস্টিক মুছার জন্য উনি এরকম করছেন! ব্যাপার টা কেমন কেমন লাগছে। কিন্তু এ্যা মা উনি লিপস্টিক মুছছে কোথায়? উনি তো আমার পুরো মুখে লিপস্টিক ভরিয়ে দিচ্ছেন। বিয়ের জন্য পার্লারে সাজাতে যায়নি সত্যি বলতে কখনো পার্লারে যায়নি। টিউশনি’র টাকায় পড়াশুনা করতাম বলে খুব হিসাব করে চলতে হতো। তাই আজও নিজেই ঘরে সেজেছিলাম। কম দামির সব জিনিসপত্র দিয়ে। যার কারনে উনি লিপস্টিক মুছছে যাওয়ায় তা সহজেই উঠে গেল।

উনি আমাকে জোকার বানিয়েছে বুঝতে পারছি। কিন্তু উনি হুট করেই যখন আমার চুলে হাত দেন আমি কেঁপে উঠি। আমার খোঁপায় বাধা চুলগুলো উনি ছেড়ে দেন শুধু তাই নয় আমাকে অগোছালো করে দেন। যেখানে আমি খুব পরিপাটি ছিলাম সেখানে উনি এক ঝটকায় আমার সাজ নষ্ট করে দেয়। তারপর আমাকে আবার বিছানায় ছুড়ে মারে। এক মূহুর্ত না দেরি না করে হন হন করে বেরিয়ে যায় রুম‌ থেকে। আমি বিছানা থেকে ওঠে কাঁদতে থাকে। জানি এতো কিছুর পর আমার বিয়েটা আর হবে না ভেঙ্গে যাবে। আমার মান সম্মান সব যাবে শুধু তাই নয় মামী’র হাতে অনেক অত্যাচার ও সহ্য করতে হবে।

উনি বের হবার সাথে সাথে মামা আর মামী সহ কিছু মেহমান রুমের ভেতরে আসলেন। আমার এমন অবস্থায় দেখে তারা নানান কথা বলতে লাগলেন। আমার মামা আর মামী রাগে ফুঁসছে। আমি গুটিয়ে কান্না করছি। সবার কথা কানে আসছে। বরযাত্রী নাকি চলে গেছে মূলত উনাদের নাকি বের করে দেওয়া হয়েছে।সবাই বলাবলি করছে,

– কি মেয়েরা বাবা জন্মের পর মা বাবা খেলো আর এখন যারা আশ্রয় দিলো তাদের মাথা নিচু করে দিলো।
– বরযাত্রী দের যেভাবে বের করে দেওয়া হয়েছে মনে হচ্ছে না এই বিয়েটা আর হবে।
– এই বিয়ে কেনো আর কোথায়ও বিয়ে হবে না এই মেয়ের।
– এমন মুখপোড়া মেয়ে দেখি নি বাপু!
– নিশ্চয়ই ওই ছেলের সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো নাহলে ওই ছেলে এতো সাহস পায় কিভাবে?
– আরে দেখো ওই ছেলের কোনো দোষ’ই নেই। সব দোষ এই মেয়ে’র!
.
খুব খারাপ লাগছিলো সবার এরকম কথা শুনে। ইচ্ছে করছিলো এখন’ই মরে যেতে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকলাম আমি। শুভ দৌড়ে এসে আমার কাছে বসল। চোখের জল মুছিয়ে বলতে লাগল,
– আপ্পি তুমি কাঁদছো কেন? তুমি কেঁদো না কাঁদলে তোমাকে একদম ভালো লাগে না।
এতো মানুষের কথার মধ্যে একমাত্র ওর কথায় বেঁচে থাকার আশ্বাস পেলাম। হুট করেই মামী এসে আমার বাহু ধরে নিচে নামালেন। রাগি গলায় বলতে লাগলেন,

– কিরে মুখপুড়ি, বলছিস না কেন? কার সাথে কি করেছিস? এখন চুপ কেন? মান সম্মান তো সব খেলি আর কি খাবি। জন্মের পর মা বাবা খেলি, তারপর খেলি দাদি কে, আর এখন আমাদের খেতে এসেছিস? মুখপুড়ি, অলক্ষী, অনামুখো। ( চুলের মুঠি ধরে ) কার সাথে রাত কাটিয়েছিস, কে এই ছেলে বলছিস না কেন?
– মামী আমার লাগছে ( ব্যাথায় কুঁকড়ে ওঠে )
– হ্যাঁ এখন তো লাগবেই। এরকম নোংরা কাজ করার আগে মনে ছিলো না এইসব।
– মামী বিশ্বাস করো আমি কিছু করিনি। ( কাঁদতে কাঁদতে )
– আবার মুখে মুখে তর্ক করছিস। তোকে তো আমি…( হাত তুলতে লাগল )

– ( ভয়ে আমি চোখ বন্ধ করে নিলাম। কিন্তু আমার গালে যখন চড় পরলো না তখন আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি কেউ একজন মামী’র হাত ধরে আছে। আমি তাকে একটু দেখার চেষ্টা করলাম। একটা মেয়ে, দেখতে বেশ সুন্দরী। পোশাক – আশাক দেখে মনে হচ্ছে খুব বড় লোক। মামী রাগে ফুঁসছে, চোখ দুটি রাগে লাল হয়ে আছে )
– কে রে তুই? সাহস কি করে হয় আমার হাত ধরার?
– ( অচেনা মেয়ে ) আমি কে সেটা না জানলেও হবে কিন্তু আপনার সাহস হয় কিভাবে উনার গায়ে হাত তোলার।
– কেন রে কি লাগে ও তোর? এতো দরদ দেখাচ্ছিস কেন তুই? তোকে হাত করল কিভাবে এই অনামুখি?( হাত নামিয়ে )

– ( অচেনা মেয়ে ) ভদ্র ভাবে কথা বলুন! চৌধুরী বাড়ির বউ ও।
– চৌধুরী বাড়ির বউ! ( চমকে উঠে )
( উপস্থিত সবাই বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকাল তাকাল আর আমি বাকরুদ্ধ হয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। কি বলছে ও? )
– হ্যাঁ চৌধুরী বাড়ির বউ , মানে কবীর চৌধুরী’র পুত্রবধূ আর আহিয়ান চৌধুরী’র স্ত্রী।
– ( আমার অবাকের সীমা এবার চরম পর্যায়ে পৌঁছাল। আমি কবে আহিয়ান কে বিয়ে করলাম। কিছু বলতে যাবো তারমধ্যে মামী বলে উঠল..)
– তুমি কে?

– ( অচেনা মেয়ে ) কবীর চৌধুরী’র বড় মেয়ে, আয়ানা চৌধুরী!
– ( তার মানে এটা আহিয়ান’র বড় বোন। হ্যাঁ উনার একটা বড় বোন আছে শুনেছিলাম কিন্তু উনাকে এমন পরিস্থিতিতে এভাবে দেখবো ভাবিনি। তাই উনাকে বললাম ) আপনি এইসব কি বলছেন? আমি কবে আহিয়ান কে বিয়ে করলাম!
– বিয়ে করোনি তো করবে আজ’কে ( মুচকি হেসে আমার দিকে তাকিয়ে )
– ( ধপাশ করে বিছানায় বসে পরলাম ) কিহহহ?
– হ্যাঁ!

– ( আমি অবাক হয়ে আয়ানা’র দিকে তাকিয়ে আছি। কি বলছে কি মেয়েটা। পাগল টাগল হয়ে গেল নাকি। আমার মতো একটা মেয়ে’র সাথে নিজের ভাইয়ের বিয়ে দিবে সে।‌ কিছু’ই মাথায় ঢুকছে না আমার। কিন্তু আর যাই হোক আমি বিয়ে করছি না‌। যে ছেলেটার জন্য আজ আমায় এতো অপমানিত হতে হলো তাকে বিয়ে করতে আমি কোনোমতে রাজি না। কিন্তু আমার মামা মামী কে দেখে মনে হচ্ছে তারা আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে। এতো বড় বাড়িতে আমার বিয়ে’র কথা হবে সেটা তারা ভাবে নি। আমি নিজেই তো ভাবি নি। হঠাৎ করেই মামী পাল্টে গেল। তিনি বলে ওঠলেন…)

– আরে আরে তুমি দাঁড়িয়ে কেন? বসো বসো। বসে কথা বলি আমরা।
– ( মামা ) হ্যাঁ হ্যাঁ মা বসো তুমি। তা বিয়েটা এখন হবে তো। আমরা কি সব জোগার করবো। আসলে মা দেখতেই তো পারছো কতো গরীব আমরা। তারপরও যতটুকু পারি দেখবো।
– ( আর পারলাম না। এবার দাঁড়িয়ে বলতে লাগলাম ) কি শুরু করেছো তোমরা। আমি করবো না এই বিয়ে। আর এই লোকটা কে তো কোনোমতে না।

– ( মামী ) এই মেয়ে কি যা তা বলছিস। হাতের লক্ষী কে এভাবে পায়ে ঢেলে দিছিস তুই!
– মামী তুমি বুঝতে পারছো না আমি…
– ( আয়ানা ) আমি কি তোমার সাথে একটু কথা বলতে পারি। একা….
– ( অবাক হয়ে আয়ানা’র দিকে তাকালাম )
– ( মামী ) হ্যাঁ হ্যাঁ কেনো নয়। তোমরা বল কথা আমরা আসছি। যতক্ষন সময় লাগে বলো।
( মামী আমার বাহু ধরে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগল… )
– বেশি কথা বলবি না, চুপচাপ হ্যাঁ বলবি বিয়েতে, আগের টা ভেঙেছে এটা যেন না ভাঙ্গে বুঝলি।
– কিন্তু মামী..
– আচ্ছা আমরা আসছি তোমরা কথা বলো!

( বলেই সবাই বের হয়ে গেল রুম থেকে বেরিয়ে গেল। আমি দাঁড়িয়ে আছি।‌ হঠাৎ করেই আয়ানা আমার ঘাড়ে হাত রেখে বিছানায় বসাল। আমি আয়ানা’র দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটার দেখতে অনেক সুন্দর। দুধ ফর্সা গায়ের রঙ, চুল গুলো অনেক সুন্দর করে স্টাইল করা। পরনে ও খুব ভালো পোশাক। আয়ানা আমার দিকে মুচকি হেসে তার জিন্স এর পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে আমার ঠোঁটে থাকা লিপস্টিক মুছতে থাকে। আমি অবাক হয়ে তাকে দেখছি। )

– আমার ভাই কিন্তু ওতোটাও খারাপ না। জানি তোমার সাথে একটু আগে যা করেছে তাতে আমার কথাটা তুমি বিশ্বাস করবে না এটা স্বাভাবিক কিন্তু আর কি কিছু করার আছে। আমি তোমার ভালোর জন্যই বলছি রাজি হও বিশ্বাস করো ঠকবে না। আর না হলে এই সমাজ তোমাকে বেঁচে থাকতে দেবে না। এটার কারনও আমার ভাই সেটা আমি জানি। তাই সবকিছু ঠিক করতে চাইছি। এখন তুমি আমাকে বলো তুমি কি চাও…

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ২