ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৮

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৮
সাইয়্যারা খান

মাগরিবের আজান দেয়ার আগেই ঘুম ছুটে গেল আদ্রিয়ানের। বুকের উপর আবিষ্কার করলো ঘুমন্ত রোদকে। একদম বাচ্চা বাচ্চা ভাব। বিড়ালের মতো আদুরে আদুরে। মন চায় আদর করে দিতে। রোদ যেহেতু ঘুম তাই সুযোগের অসৎ ব্যাবহার করবে আদ্রিয়ান কিন্তু পরক্ষণেই ভাবলো অসৎ কেন হতে যাবে? এতো একদম সুযোগের সৎ ব্যাবহার। বিয়ে করা বউ আদ্রিয়ানের। মোহরানার টাকাও সোধ করেছে ভাবতেই টুপ টাপ করে রোদের গালের উঁচু হওয়া অংশে চুমু খেল।

এতে করে রোদ একটু নড়েচড়ে উঠলো। আদ্রিয়ান চোরের মতো চোখ বন্ধ করে নিলো। একটু পরই আবার চুমু খেল নাকে। এইবার রোদ নড়েচড়ে আদ্রিয়ানের বুকে নাক,মুখ ঘঁষতে ঘঁষতে ভিতরে ডুকতে চাইলো কিন্তু বেচারী অনেক চেষ্টার পরও ডুকতে পারলো না তাই ঠোঁট উল্টে আদ্রিয়ানের গলায় মুখ গুজে শুয়ে রইলো। আদ্রিয়ান একটু চোরা হাসি দিলো। ধরা পরে নি ভেবেই মনে শয়তানি শয়তানি একটা আনন্দ পেল। এমন সময় জারবা গলা ফাটিয়ে দরজায় ধুম ধাম আওয়াজ করতে করতে ডেকে উঠলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— ছোট ভাইয়া! ছোট ভাইয়া!
জারবার এই আওয়াজ নিশ্চিত পাশের দুই তিন বাড়ীর লোকজনও শুনে মনে হয় বুকে হাত দিয়েছে কিন্তু রুমের ভেতরের রোদের কোন হেলদুল নেই। নিজের মতো ঘুমে কাদা হয়ে আছে। আদ্রিয়ান বিরক্ত হয়ে রোদকে আস্তে করে বিছানায় শুয়িয়ে দিলো। দরজা খুলতেই হামলে পরলো জারবা ভাইয়ের উপর। আদ্রিয়ান ভরকে গেলও নিজেকে সামলে বললো,
— এখন ই তো পরে যেতি। বল কি হয়েছে? আর এমন চিল্লাতে না তোকে না করেছি?
জারবা ভাইয়ের হাত ধরে ঝাঁকিয়ে বললো,

— তোমার শশুড় বাড়ীর লোক এসেছে। জানো এবারও এত্তো এত্তো কিছু এনেছে। আম্মু ডাকে তোমাকে আর ছোট ভাবীকে।
আদ্রিয়ান একটু চমকালো হঠাৎ শশুড় বাড়ীর লোক এলো বলে তবুও তা প্রকাশ না করে জারবাকে বললো,
— তুই যা আসছি আমি।
আদ্রিয়ান ফ্রেশ হয়ে বের হলো। রোদের সামনে এসে বারকয়েক ডাক দিলেও রোদ নড়লো না উল্টো আদ্রিয়ানের বাহু ধরে ঘুমিয়ে রইলো। আদ্রিয়ান এবার জোরেই ডাক দিয়ে ধরে বসিয়ে দিলো। হঠাৎ এমন হওয়ায় রোদ উঠলো ঠিকই কিন্তু বেচারী চোখ খুলতে পারছে না। আদ্রিয়ান হেসে রোদকে বুকে চেপে ধরে বললো,

— এত ঘুমকাতুরে বউ আমার। আল্লাহ একে নিয়ে কই যাব আমি?
রোদ আবার বুকেই ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতেই আদ্রিয়ান তারাতাড়ি ওকে ধরে বললো,
— উঠুন ম্যাডাম। আপনার বাসার লোকজন এসেছে।
রোদ বহু কষ্টে চোখ খুললো। ঘুম হয় নি ওর চোখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। লাল হয়ে আছে। আদ্রিয়ান ওর গালে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,

— আস্তে আস্তে উঠো।
রোদ কতক্ষণ থম ধরে বসে রইলো এরপর উঠে ফ্রেশ হয়ে এলো। মাথায় উরণা দিয়ে আদ্রিয়ানের সাথে নিচে গেল। রাদ,রুদ্র, দিশা, তিশা আর ইশান এসেছে। আসার কারণ হলো রোদকে দেখা। না জানি বোনটার কি অবস্থা? রাদের কোলে মিশি বসে আছে। কি জানি বলাবলি করছে মামা-ভাগনি।রুদ্র তো বোনকে দেখেই ঝাপটে ধরলো। রোদও আদর করে জড়িয়ে ধরে রাখলো। রাদ মিশিকে কোলে নিয়েই বোনকে জড়িয়ে ধরে আদর করে দিলো। রোদকে তারা আসলে যতটা ভেবেছিলো ততটা ভেঙে পরে নি। অথচ তারা জানলোই না আদ্রিয়ান কিভাবে সামলেছে সব।

রাদ আজও রোদ কে নিয়ে যেতে চাইলো। রোদ ও যাবে যাবে বলে বুঁগিজুঁকি করছে যা আদ্রিয়ান খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছে কিন্তু ও তো কিছুতেই যেতে দিবে না। অবশেষে ইশান রাদকে বুঝায়। আজও যেতে নিলে রুদ্র আর রাদ বোনকে জড়িয়ে ধরে রাখলো বেশ কিছুক্ষণ। হাজার বলেও রাতের খাবার খেতে রাজি করানো গেল না তাদের। ওরা যেতেই রোদ মিশিকে কোলে নিয়ে সোফায় বসে পরলো। কান্না আসছে এখন ওর। আদ্রিয়ানের মা এগিয়ে এলো। রোদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে মিশিকে বললো,

— দাদু ভাই দেখ তো তোমার আলিফ ভাইয়া কোথায় গেল।
মিশি মায়ের কোল থেকে নেমে আলিফকে খুঁজতে গেলে আদ্রিয়ানের মা রোদের একহাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো,
— মন খারাপ আম্মু?
রোদ একটু ইতস্তত করে বললো,
— না আন্টি।
— আন্টি হলেও কিন্তু আমি মা। সব বুঝি।
রোদ মুখ নামিয়ে বললো,
— আসলে তেমন কিছু না।
আদ্রিয়ানের মা রোদের হাত দুটো আরেকটু ধরে বললেন,

— রোদ আম্মু আমার মন খারাপ করিস না। আদ্রিয়ান তোর ভালো চায়। আমার ছেলেটাকে একটু সুখ এনে দে রোদ। গত কয়েকদিন ধরে কেমন আগের মতো স্বাভাবিক আচরণ করে। বিগত চার বছরে আমাদের কারো সাথে তেমন একটা কথা বলত না ও। কেমন একা একা বাচ্চাদের নিয়ে থাকত। তুই আমার ছেলের কাছে থেকে যা আম্মু। তোকে অনেক ভালোবাসবে ও দেখিস।
রোদ একমনে সব শুনে গেল। আদ্রিয়ানের মা ই আবার বললেন,

— প্রতিদিন সকালে আমি দেখেছি ও মিশির পা ধরে ঘুমিয়ে থাকতো। নিজেকে মিশির অপরাধী মনে করে ও। মা ছাড়া নাতনীটা আমার তোকে মা ভাবে আম্মু।
আর কিছু বলার আগেই রোদ আদ্রিয়ানের মাকে জড়িয়ে ধরলো। উনিও জড়িয়ে ধরলেন। রোদ এমনিতেই ইমোশনাল টাইপের মেয়ে। নাক টেনে টেনে বললো,

— আমি ছেড়ে কেন যাব? মিশি তো আমার মেয়ে।
আদ্রিয়ানের মা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। তিনি জানেন রোদ পারবে সব সামলে নিতে।
এশারের আজান দিতেই রোদ নামাজ পড়ে মিশিকে খায়িয়ে ঘুম পারিয়ে দিলো। আদ্রিয়ান ঐ যে বের হ’য়েছে এখনও আসে নি। রোদ একবার ভাবলো কল দিক পরে কি ভেবে আর কল দিলো না। সাবা আর জারবা রুমে আসতেই তিনজন মিলে আড্ডা দিলো। রাত প্রায় ১০ টার দিকে আদ্রিয়ান বাসায় আসলো। টেবিলে খেতে বসতেই রোদ খাবার খাচ্ছে কম নাড়ছে বেশি। এই মেয়ে খাওয়া নিয়ে যতসব ত্যারাব্যারা করে। আদ্রিয়ান কয়েকবার চাপা ধমক দিয়ে বললো,

— খাচ্ছ না কেন?
— খাচ্ছিই তো।
বলে রোদ নিজের কাজ করতে লাগলো। টেবিলে বলাবলি করলো আদ্রিয়ানের মা যে, কাল এলাকার লোকজন আসবে রোদকে দেখতে। আদ্রিয়ানের মতামত চাইতেই আদ্রিয়ান বললো,
— কি দরকার এসবের?
আদ্রিয়ানের মা উৎসাহ নিয়ে বললেন,
— কি দরকার মানে? সবাই নতুন বউ দেখতে আসবে এটাই তো স্বাভাবিক নাকি?
আদ্রিয়ান আর তেমন একটা কিছু বলে নি। সবাই যে যে খেয়ে উঠে গেল। সাবা আর জারবা বসে আছে শুধু। রোদ উঠতে নিলেই আদ্রিয়ান ওকে ধরে বসিয়ে ভাত মাখতে মাখতে দাঁত চেপে বললো,

— কোন কথা ছাড়া হা করো।
রোদ মুখ চোখা করতে নিলেই আদ্রিয়ান চোখ রাঙিয়ে তাকালো। রোদ মুখ খুলে খেয়ে নিলো। রোদ আর খাবে না দেখে আদ্রিয়ান এবার দিলো এক ধমক। কেঁপে উঠল রোদ সহ সাবা, জারবা। সাবা এগিয়ে এসে বললো,
— কি হয়েছে?
রোদ উঠে দৌড়ে উপরে রুমে চলে গেল। আদ্রিয়ান দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললো,
— ওর খাদ্য নালীর সংকোচনের সমস্যা ছিলো ছোট বেলায়। এর কারণে এখনও মাঝে মধ্যে খেতে পারে না ঠিক মতো। জোর করে খাওয়াতে হয় নাহলে সমস্যা এটা আবারও দেখা দিবে। রোদের আম্মু আগেই জানিয়েছিলো কিন্তু এই মেয়ে শুনলে তো।

— আমার একবার সন্দেহ হয়েছিলো যে স্বাস্থ্য অনুযায়ী তো রোদের খাবার কম।
— হুম বাসায় জোর করে সবাই খাওয়াতো। রাদ এসব কারণেই ভয় বেশি পায়।
আদ্রিয়ান হাত ধুয়ে উঠে গেল। রুমে ডুকতেই দেখলো রুমে শুধু মিশি ঘুম যার দুই দিকে বালিশ দিয়ে আটকে রাখা অথচ রোদ নিজেই জানে না ঘুমালে ও নিজেই কতটা অগোছালো হয়ে থাকে। ওয়াসরুমে উঁকি দিতেই দেখলো খালি তাই ব্যালকনির দিকে এগিয়ে এলো। রেলিঙ ধরে দাঁড়িয়ে আছে রোদ। ওভার সাইজ টিশার্টটা বাতাসে একটু দুলছে সাথে কপালের দিকে কিছুটা ছাড়া ছাড়া চুল উঁকিঝুকি দিচ্ছে।

আদ্রিয়ানের ভারিক্কি মনটা নিমিষেই যেন যুবক প্রমিকের মতো হয়ে উঠলো। মন চাইলো রোদকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে চুলে নাক ডুবাতে একটু দুষ্ট দুষ্ট আদর করতে। যেই ভাবা সেই কাজ। আদ্রিয়ান ধীর পায়ে এগিয়েও গেল কিন্তু সকল দুষ্ট আদর আর দেওয়া হলো না রোদের নাক টানার আওয়াজে। নিশ্চিত এই মেয়ে কাঁদছে ভাবতেই অস্থির হয়ে উঠলো আদ্রিয়ান।

রোদের বাহু ধরে নিজের দিকে ঘুরাতেই দেখলো গাল,নাক লাল করে ফেলেছে এই মেয়ে। আদ্রিয়ান হাত দিয়ে মুছতে নিলেই রোদ ঝামটা মে’রে হাত সরিয়ে দিলো। রোদের মেজাজ এখন ভয়াবহ খারাপ। “ক্যান রে শালা তুই ক্যান ধমকালি?” কথাটা আদ্রিয়ানকে উৎসর্গ করে মনে মনে বললো রোদ। আবার ভাবলো ইশ শালা কেন হবে এই আদ্রিয়ান তো রোদের জামাই ভাবতেই কান্না বেড়ে গেলো রোদের।
আদ্রিয়ান জোর করে চোখ মুখ মুছে দিয়ে বুকে চেপে ধরলো। মাথায় চুমু খেয়ে বললো,

— আ’ম সরি রোদ।
রোদ বুঝি আর থামে। বাচ্চাদের যেমন বকা দিয়ে আদর করলে বেশি কান্না করে রোদও তেমনই আদ্রিয়ানের আদরে লাই পেয়ে কেঁদে যাচ্ছে। আদ্রিয়ান রোদের কোমড় জড়িয়ে ধরে উঁচু করে বারান্দায় রাখা কাউচের উপর হেলান দিয়ে বসে রইলো ওর উপর উবুর হয়ে বুকে মুখ গুজে শুয়ে আছে রোদ। আদ্রিয়ান বেশ কিছু সময় রোদকে আদর দিলো তো একপর্যায়ে যেয়ে রোদ একটু থামলো।

আপাতত রোদ আদ্রিয়ানের বুকের উপর হেলে ঢুলে শুয়ে আছে। একটু পর পরই নাক মুখ ঘঁষে ঘঁষে মুছে দিচ্ছে আদ্রিয়ানের বাহুর দিকের টিশার্টে। আদ্রিয়ান ও কিছু বললো না। থাক না একটু ভালোই তো লাগছে আদ্রিয়ানের। অন্য সময় হলে নিশ্চিত আদ্রিয়ানের একটু খুঁত খুত লাগতো কিন্তু অবাক করার বিষয় আজ তেমন কিছুই লাগলো না আদ্রিয়ানের। হয়তো ভালোবাসার মানুষের সব কিছুই ভালোলাগে। পরক্ষণেই ভাবলো আদ্রিয়ান, সে কি সত্যি ভালোবেসে ফললো এই রোদকে? আচ্ছা আদ্রিয়ান বুঝি শুধু মাত্র মিশির জন্য বিয়ে করেছে নিজের জন্য বুঝি নয়? আদ্রিয়ানের ভাবনার মাঝে রোদের ফোন বেজে উঠলো। রিসিভ করতেই দেখলো ওর মা। রোদ বেশকিছুক্ষণ কথা বললো। কথা শেষ হতেই আদ্রিয়ান জিজ্ঞেস করলো,

— বিচার দিলে না আমার নামে?
— বিচার কেন দিব?
— ধমকালাম যে?
রোদ আসলে একজায়গায় কথা আরেক জায়গায় লাগানো পছন্দ করে না কারণ এতে সমস্যা বাড়ে। তাই কিছু বললো না। আদ্রিয়ান ওকে টেনে থুতনিতে আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে দিয়ে বললো,
— কাল মিশান আসবে।
রোদ একটু নড়েচড়ে উঠলো। আসন পেতে বসে জিজ্ঞেস করলো,
— আচ্ছা ও কি পছন্দ করে? আমি কি করব ওর জন্য? আচ্ছা ও কি জানে? মানে কিভাবে?
আদ্রিয়ান আস্তে করে রোদের ঠোঁটের উপর আঙুলের ছোঁয়া দিলো। রোদ যেন মুহূর্তেই চুপ করে গেল। আদ্রিয়ান শান্ত কন্ঠে বললো,

— তুমি তোমার মতো ওর সাথে মানিয়ে নিও৷ আমি জানি আমার রোদ পারবে।
“আমার রোদ” কথাটা ভালো লাগলো রোদের। আদ্রিয়ান রোদের হাত ধরে বললো,
— আসো ঘুমাব।
— আমি না সন্ধ্যায় উঠলাম এখন ঘুম আসবে না।
— আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিব। চলো।
অগত্যা রোদ বিছানায় গেল। আদ্রিয়ান এক পাশে মিশিকে আরেক পাশে রোদকে বুকে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো৷ আদ্রিয়ানের বুকের রোদ আঁকিবুঁকি করতে লাগলো। এ যেন অন্য রকম এক ভালোলাগা। ভিন্ন এক রং এর আগমন আদ্রিয়ানের জীবনে। রং টা ভালোলাগার। ভালোবাসার। ভালোবাসার ভিন্ন এক রং।

ঘুম থেকে আজ মিশি আগে উঠে বাবার বুকে চড়ে বসলো। পেটের উপর গোল হয়ে বসে বাবার চোখ আঙুল দিয়ে নাড়াচাড়া করলো। আদ্রিয়ান চোখ খুলে মিষ্টি করে হাসলো। মেয়েকে বুকে চেপে ধরে চুমু খেল। ওকে নিয়ে দরজা খুলতেই মিশি মুখ না ধুয়েই দৌড়ে গেল বাইরে। আদ্রিয়ান বিছানায় তাকাতেই চোখ যেন আটকে গেল। এলোমেলো করে ঘুমিয়ে আছে রোদ। ঢোলা টিশার্ট উপর দিকে উঠে ফর্সা পেট দৃশ্যমান হচ্ছে। চেয়েও নজর ঘুরাতে পারলো না আদ্রিয়ান। বহু কষ্টে ঢোক গিলে ওয়াসরুমে ডুকে পড়লো।

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৭

টেবিলে বসে মিশিকে খাওয়াচ্ছে রোদ। পাশেই আদ্রিয়ান বসা। নিজের ব্রেডের ভিতর ডিম ডুকিয়ে স্যান্ডউইচ এর মতো বানিয়ে দুই কামড় খেয়ে আবার ওটা রোদের মুখের সামনে দিলো। রোদ ও খেয়ে নিলো। মিশির খাওয়া হতেই আদ্রিয়ান রোদকে পরটা ডিম দিলো। হঠাৎ করেই মিশি চিৎকার করে উঠলো যার ফলে কেঁপে উঠে নিজের উপর পানি ফেলে দিলো রোদ।

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৯